এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  খবর  খবর্নয়

  • মেডিকেলের এই আন্দোলন কাদের উত্তরাধিকার

    আদিত্য সরকার লেখকের গ্রাহক হোন
    খবর | খবর্নয় | ২১ জুলাই ২০১৮ | ৯৭১ বার পঠিত
  • অনিকেত কে? কী তার পরিচয়? কোন উত্তরাধিকারকে সে বহন করে??
    আমরা এখন অনেকেই জানি কলকাতা মেডিকেল কলেজে গত ১১ দিন ধরে ৬ জন ডাক্তারি ছাত্র অনশনরত। নবনির্মিত একটি ১১ তলার হোস্টেলে স্বচ্ছ কাউন্সেলিং করে, যাতে সমস্ত উপযুক্ত ছাত্রছাত্রী সেই হোস্টেলে থাকার অধিকার পায়, সেই দাবিতে।
    ভেবে দেখুন।
    ১. অনিকেত, অর্ণব, দেবাশিষ, হিল্লোল, সুমিত, অয়ন এর কেউ নিজের জন্যে অনশন করছে না।
    ২. এরা বলছে না কিছু নির্দিষ্ট ছাত্রছাত্রী কেই হোস্টেল দেওয়া হোক, যারা এদের ঘনিষ্ঠ।
    ৩. এরা কেউ বলছে না, ফার্স্ট ইয়ারের ছাত্রছাত্রীদের সরিয়ে দিয়ে ওদের হোস্টেল দেওয়া হোক।
    ৪. ওরা এতদিন যেমন মেডিকেল কলেজের সিনিয়র-জুনিয়র মিলে মিশে থেকেছে, পরীক্ষার আগের রাত থেকে, শরীর খারাপের গোটা দিন, ব্রেক-আপের মন খারাপ থেকে, কলেজ ফেস্টের উৎসবে, সেটাই চাইছে যাতে অবিরত থাকুক।
    ৫. ওরা কেউ নতুন হোস্টেল ভাংচুর করছেনা, কেউ সেখানে জবর-দখল করছে না, কেউ প্রিন্সিপ্যাল কে চেয়ার বা জলের বোতল ছুঁড়ে মারছে না।

    এবার মেডিকেল কলেজ ছাড়িয়ে এসে, ছাত্র আন্দোলন ছাড়িয়ে এসে, অনশন ছাড়িয়ে এসে একটা অন্যকথা ভাবুন। আপনার কথা ভাবুন। আপনার স্বাস্থের কথা ভাবুন।
    স্বাস্থ্যের অধিকার আর স্বাস্থ্য আন্দোলনের কথা ভাবুন। উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে থাকা বহুতল কর্পোরেট হাসপাতাল আর তার স্বাস্থ্যব্যবসার কথা ভাবুন।
    সরকারি হাসপাতলের যোগ্য চিকিৎসক আর স্বাস্থ্যকর্মী থাকা স্বত্বেও তার অব্যবস্থার কথা ভাবুন।

    এই মুহূর্তে আমাদের দেশ তথা রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা এক চরম সংকটের মধ্যে দিয়ে চলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেখানে বলছে জিডিপির ন্যুনতম ৫% স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ্য করতে, সারা পৃথিবীর গড় যেখানে ৬%, প্রথম বিশ্বের দেশগুলো যেখানে ১০-২০% ব্যয় করছে, সেখানে আমাদের দেশে ১.০২% ব্যয় করছে সরকার।
    বছরের পর বছর সরকারি হাসপাতালের অবহেলা আর তাল মিলিয়ে বেসরকারি হাসপাতালের শোষণ- এই দুই যাঁতাকলের মধ্যে পড়ে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য একটা বড় প্রশ্ন চিহ্নের মুখে।
    এই অবস্থায় বিভিন্ন জায়গায়, নানান সময়ে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ক্ষোভে ফেটে পড়া ছাড়া আর উপায় থাকছেনা।

    গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতীকি প্রতিনিধি হিসেবে বারবার তাই ডাক্তাররা জনরোষের মুখে পড়ছেন। অথচ এই জনবিমুখী স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রকৃত রোগটা বিক্ষিপ্ত কয়েকজন ডাক্তারের 'সাধারণ মানুষের সাথে খারাপ ব্যবহার' বা উন্নাসিক আচরণের থেকে অনেক, অনেক গভীরে।
    সচেতন, সংবেদনশীল এবং ওয়াকিবহাল নাগরিকরা এগিয়ে আসছেন এই রোগের প্রকৃত কারণটা খুঁজতে।
    ঠিক এইখানে আমি একটু থামতে বলছি। ভেবে দেখতে বলছি, মনে করতে বলছি সেই সমস্ত ডাক্তারদের কথা, স্বাস্থ্যকর্মীদের কথা, যারা বিষয়টাকে নিজেদের পেশাগত জায়গার বাইরে এসে স্বাস্থ্যব্যবস্থার উল্টোদিকে থাকা সাধারণ মানুষদের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন। ব্যবস্থাটার ভিতরে থেকে তারাই চিনিয়ে দিচ্ছেন এর মধ্যেকার দুর্নীতি, এর অসারতা, এর শুষ্ক কাঠামো থেকে ঝরে পড়া ঘুণ। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি তারা দেখাচ্ছেন সম্ভাব্য সমাধানের পথ। তাঁরা আহ্বান জানাচ্ছেন একটা বৃহৎ স্বাস্থ্য আন্দোলনে যোগদান করার। জনমুখী একটা কল্যাণকর স্বাস্থ্যব্যবস্থার। "সবার জন্যে স্বাস্থ্যের"।

    অনিকেত এই চিকিৎসকদের সন্তান। অয়ন, সু্মিত, হিল্লোল এই চিকিৎসকদের উত্তরাধিকার। সুযোগ্য উত্তরাধিকার।
    অনিকেতরা সেই ডাক্তারিছাত্রদের প্রতিনিধি যারা ১৯৮০-র দশকে স্বাস্থ্য আন্দোলনে পথে নেমেছিলেন সরকারি হাসপাতালে ২৪ ঘন্টা এক্স-রে, ই সি জি ও অন্যান্য জরুরি পরিষেবা চালু করার জন্যে। অয়নরা সেই ডাক্তারিছাত্রদের উত্তরসূরি যারা নব্বই এর দশকে কলকাতার বিভিন্ন বস্তি এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে গেছেন, বস্তিবাসী মানুষদের স্বাস্থ্যের হাল হকিকতের খোঁজ তাঁদের মধ্যে গিয়ে নিয়ে এসেছেন।
    আর তাই শুধু বর্তমান নয়, যে কোন শাসক দলের কাছেই এই উত্তরাধিকার একটা বড় দু:স্বপ্ন। আসন্ন স্বাস্থ্য আন্দোলনের একটা প্রচ্ছন্ন হুমকি।
    এইটা মেনে নিতে চাইছেনা রাষ্ট্র। এইটা মানতে রাজি নয় কর্তৃপক্ষ। তাই চাইছে একদম ফার্স্ট ইয়ার থেকে, একদম 'তৃনমূল' স্তর থেকে এই সম্ভাবনা সমূলে বিনাশ করতে।
    অনিকেতদের এই আন্দোলন এই মূহুর্তে তাই এতখানি গুরুত্বপূর্ণ, এতখানি সময়োচিত, এতখানি জরুরি।
    এই উত্তরাধিকার কে টিকিয়ে আমাদের রাখতেই হবে। আমাদের জন্যে, আমাদের স্বাস্থ্যের অধিকারের জন্যে, আমাদের ভবিষ্যৎ এর জন্যে। এ'ছাড়া আমাদের আর কোন পথ নেই।
    অনিকেত শব্দের অর্থ -যার ঘর নেই। অনিকেতদের এই ঘর চাওয়ার দাবি মিলেমিশে যাক আমাদের সবার বিজ্ঞান সম্মত স্বাস্থ্য পরিষেবার দাবির সাথে। অনিকেতদের এই আন্দোলন মিলেমিশে যাক আমাদের "সবার জন্যে স্বাস্থ্যের" আন্দোলনের সাথে।
    অনিকেতদের জয় হোক।
    স্বাস্থ্য আন্দোলনের জয় হোক।

    চিত্রঃ সুমন্ত ব্যানার্জি
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • খবর | ২১ জুলাই ২০১৮ | ৯৭১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 3478.160.342312.238 (*) | ২১ জুলাই ২০১৮ ১০:৪০85446
  • ৮০-র দশকে জুনিয়র ডাক্তার-দের আন্দোলন মনে আছে। ডাক্তারী ছাত্র না হলেও, মেডিকেল কলেজে প্রচুর যেতাম তখন।

    'অনিকেতদের এই আন্দোলন মিলেমিশে যাক আমাদের "সবার জন্যে স্বাস্থ্যের" আন্দোলনের সাথে' - এটাই চাই।
  • π | 7845.29.895612.74 (*) | ২২ জুলাই ২০১৮ ০১:৩৪85454
  • মিছিলের কল দিচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা আর পিছনে মৌসুমীদির গান, আমি খুঁজছি, আমি খুঁজছি, তোমার ঠিকানা!

    https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=10156541478786407&id=688266406

    আর এখন মিছিল। ভাবা যায়না, এত লোকের ঢল, এতটাই স্বতঃস্ফূর্ত।৷ কলেজের ভিতরেই মিছিল হবে ঠিক হয়ে এখন বাইরেও বেরিয়ে গেল।

    https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=943586342494760&id=100005302087801
  • কনভেনশন | 232312.171.783423.108 (*) | ২২ জুলাই ২০১৮ ০২:০১85455








  • Pi | 7845.29.895612.74 (*) | ২২ জুলাই ২০১৮ ০৫:৫০85456
  • প্রায় ৮০০০ লোক সই করে ফেলেছেন!৷ আর আপনি মিস করে গেছেন? বা, এখনো জানেন না, মেডিকেলে কী চলছে? ১২ দিন অনশন হয়ে গেলে, কয়েকজন ছাত্র খুবই অসুস্থ, অধ্যক্ষ মেনে নিয়েছেন ছাত্রদের সব দাবি নায্য বলে, ডি এম ই ও মৌখিকভাবে, কিন্তু 'হায়ার অথরিটি' র সিলমোহর পড়েনি বলে এখনো বিশ বাঁও জলে, এমনকি এই রিপোর্ট ও কাগজে এসেছে, মুখ্যমন্ত্রী নাকি সই করবেন না!৷ এখন যদি আরো লোকজন পাশে এসে না দাঁড়ান, আরো চাপ না দেন, তো কবে?
    দাবি না মানা হলে তো অনশন ও উঠবে না,
    তখন দাবি নায্য বলে স্বীকৃত হওয়ার পরেও মানা না হলে চাপ দেবেন না?

    আজ কনভেনশনে হাজার হাজার লোক এসেছেন,
    তিলধারণের জায়গা হয়নি সেসব ছবি, ভিডিও ও দেখেছেন নিশ্চয়, প্রচুর সই সেখানেও হয়েছে।
    যাঁ্রা এখনো করতে পারলেন, তাঁদের জন্য অনলাইন পিটিশনটি রইল। পড়ে ও সই করতে কয়েক মিনিট ও খরচ হবেনা কিন্তু।

    কালকের দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তার আগে যত সই আসে, ভাল।৷ তাই সই করুন, এবং করে বন্ধুদের শেয়ার ও করুন। দেওয়ালে, মেসেঞ্জারে, হোয়াপে।
    সময় কিন্তু সত্যিই বেশি নেই।

    আর পরশু মহামিছিল। মেডিকেল কলেজের চলমান আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়ে। দুপুর তিনটে থেকে। তাতেও যে পারবেন আসুন, দূরের লোকজন যতজনকে পারেন জানান।
  • pi | 7845.29.895612.74 (*) | ২২ জুলাই ২০১৮ ০৬:৩৬85457
  • কনভেনশনের খবর যত আশার, উল্টোদিকের খবর ততই হতাশার।

    অর্জুনদার পোস্ট,
    'কাল বলেছিলাম , একটা আশা ছিলো অনশন উঠে যাবার।
    আজ আবার দুর্যোগের কালো মেঘ। প্রিন্সিপাল লিখিত দিয়েছে যে ছাত্রদের দাবি সঠিক। কিন্তু হায়ার অথরিটির অনুমতি সাপেক্ষ।
    এই হায়ার অথরিটিটা কি সেটা বুঝতে পারা যাচ্ছে না।

    আমরা ডাক্তারদের পক্ষ থেকে আজ প্রবীণ চিকিৎসক প্রফেসর বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী কে নিয়ে গেছিলাম। তিনি ছাত্রদের অনুরোধ করেন। এবং অসংখ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তাব্যক্তি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কে ফোন করেন যাতে রবিবারের মধ্যে কিছু সমাধান হয়ে যায়। প্রায় সকলেই এই হায়ার অথরিটির কারণ দেখিয়ে তাদের অপারগতা জানান।

    অতএব ১৩ দিন বাদেও অনশনের আরো একটা দিন।
    ওদের মুখের দিকে তাকাতে পারছি না, তবে ছেলেগুলোর কাছে অনেক কিছু শিখছি।

    #মেডিক্যাল্‌লড়ছে'
  • pi | 7845.29.895612.74 (*) | ২২ জুলাই ২০১৮ ০৬:৪৩85458
  • অনিকেতের পোস্ট.

    "আমাদের ১৩ দিনের অনশন নাকি 'প্রতীকি', বলেছেন ‌DME....

    হ্যাঁ, প্রতীক তো বটেই, লড়াইয়ের প্রতীক!"
  • aranya | 3478.160.342312.238 (*) | ২২ জুলাই ২০১৮ ০৭:৫৭85459
  • ১৯৮০ র বা তার পরের জুনিয়ার ডাক্তারদের আন্দোলন পরিকাঠামোর দাবীতে ছিল? নাকি গ্রামে না যাওয়ার দাবীতে ছিল'

    - পরিকাঠামো-র দাবী ছিল, ইন্টার্ন/হাউস স্টাফ-দের বেতন বৃদ্ধির দাবীও ছিল। হাসপাতাল চলে জুনিয়র ডাক্তার-দের কাঁধে ভর দিয়ে, অথচ তাদের বেতন ছিল খুবই সামান্য।

    দাবীর চার্টার এখন আমার কাছে নেই, কিন্তু খুবই ন্যায্য দাবী ছিল সবই।

    গ্রামে না যাওয়ার মত হাস্যকর কোন দাবী ছিল না।
  • ? | 348912.82.90090012.205 (*) | ২২ জুলাই ২০১৮ ০৮:২৩85447
  • ১৯৮০ র বা তার পরের জুনিয়ার ডাক্তারদের আন্দোলন পরিকাঠামোর দাবীতে ছিল? নাকি গ্রামে না যাওয়ার দাবীতে ছিল। তৎকালীন আন্দোলনকারী এখন কোথায় আছেন জানলে বোঝা যেত দাবীর সত্য।
    আজকের এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েও বলি এটি বাচ্ছাদের হট্কারী আন্দোলন। এই সমস্যা অন্যভাবেও সমাধান করা যেত। সবকিছুকেই রাজনীতির রঙ না দিয়েও সমাধান করা যায়।
  • pi | 7845.29.895612.74 (*) | ২২ জুলাই ২০১৮ ০৮:৪৬85448
  • তত্কালীন আন্দোলনকারীদের একজন ডাঃ পুণ্যব্রত গুণ। কোথায় আছে জানাতে হবে?
  • এই | 348912.82.90090012.205 (*) | ২২ জুলাই ২০১৮ ১০:২৭85449
  • উত্তরটা আশা করেছিলাম। উনি সত্যিই গুণী আর শ্রদ্ধেয় মানুষ। কিন্তু বাকীদের খোঁজ পেলে ভাল লাগত। আর এই আন্দোলনে আমার ভীষণ চেনা একজন আছে তার কাছ থেকে যা জানতে পাই তাতে মনে করি আবেগ বেশী কিন্তু সমস্যার সমাধান আরও সহজে এই বাচ্চাগুলির জীবনকে সংকটে না ফেলেও করা যেত। হস্টেলের এই অব্স্থা তো আজকের নয়। ওর কাছ থেকে প্রথম শুনেই আমি চমকে গিয়ে ছিলাম ।
  • π | 7845.29.895612.74 (*) | ২২ জুলাই ২০১৮ ১০:৩২85450
  • সবার নাম জানতে চাইছেন, কারা কী করেন ইত্যাদি, নিজেও নাম দিয়ে পরিচয় জানিয়েও লিখুন, নইলে প্রশ্নের উত্তর দেবে কেন কেউ?
  • π | 7845.29.895612.74 (*) | ২২ জুলাই ২০১৮ ১২:২২85453
  • কনভেনশন থেকে আরো।
    তিলধারণের জায়গা নেই। এত্ত লোক।
    হু হু করে লোকজন আসছে।

    এদিকে আজই ছ'টায় মিছিলের কল দেওয়া হয়েছে, মেডিকেল থেকে ধর্মতলায়।

    https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1621808371280814&id=100003549995704
  • . | 348912.82.90090012.205 (*) | ২২ জুলাই ২০১৮ ১২:২২85452
  • ব্যক্তিগত চাই না। সংঘবদ্ধভাবে জানলেই হল। আমি যে কথাটা বলতে চাই সেটা রাজনৈতিক ভাবে না গিয়েও এই সমস্যার সমাধান করা যেত। যাউকগিয়া কাটাইয়া দেন।
    মাঝখান থেকে আমার যেটা ভাল লেগেছে সেটা হল নিকটাত্মীয়েদের মধ্যে অন্ততঃ এক্জন রাজনৈতিকভাবে সচে্তন হল। এক নিতান্ত রাজনৈতিক অরাজনৈতিক পরিবারে এক প্রল্হাদের জন্ম হল। তার পিতা মাতা তার বন্ধুদের ছেড়ে বাড়ী যেতে বলায় সে অস্মীকার করেছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন