এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • এত তাড়াতাড়ি ?

    কবীর সুমন লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১৩ জুলাই ২০১১ | ৮৯৩ বার পঠিত
  • রাজ্য পরিচালনার ভার যে রাজনৈতিক দলের হাতেই থাকুক না কেন, শাসকশ্রেণী অর্থাৎ পুলিশবাহিনীর সঙ্গে তাদের অশুভ আঁতাত যে কোনও সময়েই বিয়ের মত বাঁধনের চাইতেও বেশী শক্তপোক্ত হয়ে দাঁড়ায়, এমনটা যেন একটা অলিখিত নিয়ম হয়ে উঠেছে। আর ঠিক এমনটাই না হলে মনে হয় না যে ক্ষমতাসীন দলটির পক্ষে রাজ্যে শাসন করা আদৌ সম্ভব হবে । গোটা বিশ্ব জুড়ে মানুষ, রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক নেতা, সবাই শান্তির কথা বলে, সমস্যা ইত্যাদির শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ বাতলায়। কিন্তু তারা এই কথা বলে হয় শাসকদল অথবা জোটের অন্তর্ভূক্ত হয়ে, নিজের হাতের মুঠোয় পুলিশি ক্ষমতা রেখে। এ এক আজব পরিস্থিতি; আমি এক রাজনৈতিক নেতা সশস্ত্র পুলিশবাহিনী এবং কম্যান্ডোদের (আমার স্ট্যাটাস যদি তাই হয়) সুরক্ষাবেষ্টনীর মধ্যে থেকে সাধারণ জনগণকে হিতোপদেশ বিতরণ করতে আসবো, তাদের সমস্যার প্রজাতান্ত্রিক সুরাহা দর্শাবো, আমার নিরাপত্তারক্ষীরা পুরো ঘটনার সময় চারদিকে নজর রাখবে, তারা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে থাকবে, সেইসব সাধারণ মানুষ যারা ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেছে তাদের দিকে সন্দেহের চোখে তাকাবে, কারণ তারা দেখতে চায় কোন ভোট-নাগরিকের হাতে আমার সমূহ ক্ষতির সম্ভাবনা। এত এত সংখ্যক পুলিশ আর সশস্ত্র কম্যান্ডোরা, বিপুল পরিমাণ এই আগ্নেয়াস্ত্রের ভান্ডার রক্ষীদল এবং প্রজাতন্ত্রের হাতে, এসব দেখে আমার মন কু-গায়, হয়ত প্রজাতন্ত্র একটা অতিবিপজ্জনক প্রস্তাবনা - এই বুঝি খুব খারাপ কিছু ঘটে গেল। এইভাবে দেখলে মনে হয় আমাদের গণতান্ত্রিক অব্যবস্থা একটা রূদ্ধশ্বাস থ্রীলার।

    যেদিন থেকে আমি এই সব রাজনৈতিক দল আর তাদের নেতাদের কাজকর্ম সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল হয়েছি, আর পাঁচজনের মত এখানে ওখানে, খবরের কাগজের রিপোর্টে দেখেছি আইনশৃঙ্খলাভঙ্গকারী আর দুষ্কৃতিদের গ্রেপ্তারের প্রশ্নে পুলিশি অনীহা, ঠিক তখন বুঝেছি যে এই সবের কারণ আসলে পুলিশকে দেওয়া শাসকদলের নির্দেশ ছাড়া আর কিছুই নয়। সমস্যাটা আসলে অন্য; নতুন সরকার ক্ষমতায় এসে অনেক অঙ্গীকার করে ফেলে, সুষ্ঠ আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা এগুলোর অন্যতম। আইন শৃঙ্খলা না থাকলে খুব স্বাভাবিকভাবেই সরকারের উপর সাধারণ মানুষের আর আস্থা থাকবে না। সুষ্ঠ সরকারি পরিচালনা ব্যবস্থাই একমাত্র কাজের কথা। সামগ্রিকভাবে যত ত্রুটি আর ক্ষোভ, সেখানে সরকারি পরিচালনাব্যবস্থা যদি সামান্য হলেও উন্নতি করে দেখাতে পারে, সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরে পাওয়া সম্ভব। পুলিশকে রাজনীতির অন্তর্ভূক্ত করার ব্যাপারটা, নাগরিক অধিকার সুরক্ষার বিপরীতে ক্ষমতাসীন দলের ও তার কর্মীদের স্বার্থে পুলিশকে ব্যবহার করা, ক্ষমতায় আসা কোনও দলের ক্ষেত্রে এটা নিজের পায়ে কুড়ুল মারার নামান্তর। দীর্ঘ বাম-জমানায় পুলিশ সিপিআইএম'এর নিয়ন্ত্রণাধীন লেজুড় হওয়ার সুনাম কুড়িয়েছে। আমার মত সাধারণবর্গ যারা কখনও রাজনৈতিক ছাতার নীচে আসতে চাইনি, যখন সিপিআইএম'এর অপশাসনের বিরূদ্ধে সোচ্চার জন-আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যোগ দিই, আমার বেশীরভাগ বক্তব্য আর লেখালিখিতে পুলিশের উপর শাসকদলের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের প্রসঙ্গটির অবতারণা করেছিলাম। একবারের জন্য হলেও এমনটাই মনে করেছিলাম যে সিপিআইএম গদিচ্যূত হওয়ার পর নতুন দল ক্ষমতায় এলে তার নেতারা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে অন্তত কিছু সময়ের জন্য পুলিশি ক্ষমতা নিজেদের হাতের মুঠোয় আনবার লোভ থেকে নিজেদের বিরত রাখতে পারবে। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি যে আমার মত অনেকেই এমনটা ভেবেছিল। বাস্তবিক, আমার দিবাস্বপ্নের দৌড়ে আমি নব্য সরকারে সাধু সন্ন্যাসীদের দেখিনি, একবারের জন্যও ভাবিনি নে নতুন নেতারা ভগবানসুলভ অমোঘত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। রাজনৈতিক দল ও তার নেতাস্থানীয়দের সঙ্গে হওয়া দৈনন্দিন অভিজ্ঞতা থেকে আমরা এটাই জেনেছি যে তাঁদের করা নিয়মিত রাজনৈতিক ও সামাজিক ছোট বড়ো ভুলচুক এবং সে সব নির্বিশেষে দিনের শেষে তাদের কপচানো বোলচালের অফুরান যোগান, এমনটা নিতান্তই সাধারণ রাজনীতির অঙ্গবিশেষ।

    আরেকটা ক্লিশে হল, ক্ষমতা দুর্নীতির জড়। অনেক আগের সেই স্বপ্নীল আমিটা, তার ধারে কাছে না-ঘেঁষে আমি প্রস্তাব রাখতে চাই, ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে দলের নতুন যে মুখগুলির হাতে প্রচুর ক্ষমতা এসে পড়ে, সেই ক্ষমতা যেন তাদের দুর্নীতিবাজ না করে তোলে। অন্তত:, এতো তাড়াতাড়ি যেন তেমনটা না হয়। দুর্নীতি আসুক ধীরে, সম্ভবপরি ধীর-লয়ে। শুধু চক্ষুলজ্জার খাতিরে, গোটাটা একসাথে এসে যেন পুরোটা একেবারেই না খেয়ে ফেলে। একেবারে দুর্নীতিবিহীন দেশ, উপমহাদেশ আর অন্যান্য দেশ! আমাকে মাফ করবেন, খুব নেশাগ্রস্ত সময়েও এমন অবাস্তব-কল্পনা আমার দ্বারা সম্ভব নয়।

    আমার অসংলগ্ন চিন্তাভাবনা আর সেই সবের বহি:প্রকাশকে খুব একটা গুরুত্ব না দিলেও, আমি সত্যিই কল্পনা করিনি যে রঙ কাঁচা থাকতেই নতুন দলীয় নেতারা পুলিশের উপর প্রভাব বিস্তার করতে উঠে পড়ে লেগে যাবে। আমার অনেককালের চেনা সমাজকর্মী এবং লেখক আয়েষা খাতুন যাকে আমি তার কাজে অধ্যাবসায়ের জন্য শ্রদ্ধা করি, আমাকে ১০'ই জুলাই ২০১১ টেলিফোন করে। ১০'ই জুলাই অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেস পার্টির শহীদ দিবস এবং গত রাজ্যসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের জন্য প্রস্তাবিত বিজয় উৎসবের ঠিক এগারো দিন আগে। এগুলো আমাকে ভাবায়। আমাকে আয়েষা ফোন করে আর একটা ঘটনার বিবৃতি দেয়।

    ২১শে জুন, ২০১১ আয়েষা খাতুন সাঁইথিয়া থেকে ডাউন গণদেবতা এক্সপ্রেসে চড়ে। হাওড়াগামী এই ট্রেনের লেডিজ কম্পার্টমেন্টে উঠে আয়েষা দেখে সতেরো আঠেরোজন মহিলা কামরার প্রতিটা সীট দখল করে শুয়ে আছে আর কোথাও একটুও বসবার জায়গা নেই। সাঁইথিয়া থেকে হাওড়া বেশ লম্বা রাস্তা আর আয়েষা এই এতোটা দূরত্ব দাঁড়িয়ে যেতে চাইছিলো না। ও এগিয়ে গিয়ে একজন মহিলাকে একটু বসার জায়গার জন্য অনুরোধ করে। একটা অসংরক্ষিত কামরায় গুরুতর অসুস্থ না হলে কেউ গোটা সীট জুড়ে শুয়ে শুয়ে যেতে পারে না, যখন অন্য সহযাত্রী পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে তখন তো নয়ই। আসন খালি থাকলে সেখানে বসতে পারা একজন রেলযাত্রীর সাধারণ অধিকার। এই ক্ষেত্রে অনেক আসনই খালি ছিল। যেই মহিলাকে আয়েষা অনুরোধ করে সে সাফ জানিয়ে দেয় যে সে উঠে বসতে নারাজ এবং ওই বেঞ্চে আয়েষার বসার জায়গা নেই। উক্ত মহিলা দাবী করেন যে তিনি শুয়ে শুয়েই যাবেন। অন্যান্য সব মহিলারা এই কথায় তাদের সমর্থন জানায়।

    আয়েষা আমাকে বলে, এই অবস্থায় একটা বাকবিতন্ডা শুরু হয়। ওই দুর্মুখ মহিলারা আয়েষাকে বলে যে তারা সবাই স্কুল শিক্ষক আর আয়েষাকে যদি হাওড়া পর্যন্ত দাঁড়িয়ে যেতে হয় তো তাতে তাদের কিচ্ছু যায় আসে না। আমি আয়েষা কে চিনি, এমন অন্যায় দাবী ও বিনা প্রতিবাদে মেনে নেওয়ার মেয়ে নয়। কিন্তু আয়েষা প্রতিবাদ করলে ওই সব "স্কুল শিক্ষক' একজোট হয়ে আয়েষাকে মারতে থাকে। আয়েষা প্রচন্ড মার খায়। ওরা আয়েষার মাথায়, কপালে উপর্যুপরি সেফটিপিন ফুঁটিয়ে দেয়। সতেরো আঠেরোজন মহিলা স্কুল শিক্ষক দল বেঁধে একটা নিরপরাধ মেয়ের উপর চড়াও হয়, তার দোষ সাঁইথিয়া থেকে হাওড়া যাওয়ার একটা ট্রেনের অসংরক্ষিত মহিলা কামরার খালি সীটে বসতে চাওয়া।

    আয়েষা খাতুন পুলিশে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে। আয়েষা জানায়, গণদেবতা এক্সপ্রেসে হওয়া ওই হিংসাত্মক ঘটনায় জড়িত কিছু মহিলার নামে পুলিশ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এই অদ্ভুত ঘটনার রিপোর্টে আয়েষার বক্তব্য পরিষ্কার এবং প্রাঞ্জল। আয়েষা জানায়, এই গোটা ঘটনাটা ঘটে সাঁইথিয়া আর আমেদপুরের মাঝামাঝি। কিন্তু ওই স্কুল শিক্ষকদের মধ্যে অন্তত তিনজনের সঙ্গে তৃণমূলের বীরভূম জেলাধ্যক্ষের নৈকট্য এবং সম্ভবত: একজন রাজ্যস্তরের মন্ত্রীর যোগাযোগের জন্য পুলিশ দোষীদের গ্রেপ্তার করতে পারছে না। আয়েষা আরও জানায়, তৃণমূলের মাননীয় লোকসভা সদস্য শতাব্দী রায় পুলিশকে দোষীদের গ্রেপ্তার করার নির্দেশিকা দেওয়া সত্বেও পুলিশ তা অমান্য করেছে। প্রায় বছরখানেক আগে আমি আয়েষা খাতুনের সঙ্গে মাননীয় এমপি শতাব্দী রায়ের আলাপ করিয়ে দিই কারণ নিজের কাজের ক্ষেত্রে আয়েষার সাহায্যের প্রয়োজন ছিল। গণদেবতা এক্সপ্রেস ঘটনা এবং পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার কথা আয়েষা ওনাকে জানালে উনি তৎক্ষণাৎ আয়েষাকে চিনতে পারেন।

    পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ের পটভূমিকায় তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যূত্থান এখনও অপরিণত, এটা আয়েষার দুর্ভাগ্য, ওর শারীরিক এবং মানসিক ক্ষত আর দোষীরা (যাঁরা কিনা সম্মানীয় স্কুল শিক্ষক) যাদের নামে গ্রেপ্তার পরোয়ানা জারি হওয়া সত্বেও পুলিশ অকর্মণ্য হয়ে রয়েছে, সেই পুরনো অসুস্থ্য দুর্ব্যবস্থার ছবিটা আরও প্রকট করে দেয়, ক্ষমতালোভী রাজনৈতিক নেতারা আজও সেই একইভাবে সমগ্র পুলিশব্যবস্থাকে নিজের হাতের পুতুল বানিয়ে নিয়ন্ত্রণ করে চলছে। এরা পুলিশকে বলেছে যে দোষীদের গ্রেপ্তার করা যাবে না কারণ তারা শাসক দলের শীর্ষস্থানীয়দের চেনাশোনা। আর কারা এই শীর্ষস্থানীয়রা? এদের দুজনেই তৃণমূলের স্থানীয় চাঁইবিশেষ। এদের একজন আবার মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর ক্যাবিনেটের সদস্য।

    শুভবুদ্ধিসম্পন্ন আপনারা বলবেন, রাজনীতির দুনিয়ার এমনটা তো আকছার ঘটছে। ক্ষমতায় আসা প্রতিটা রাজনৈতিক দল এমনি করেই ক্ষমতার অপব্যবহার করবে। আমি জানি আপনি সত্যি বলছেন। কিন্তু আমার প্রশ্ন, এত তাড়াতাড়ি ? দেওয়ালে রঙ পাকা হতে এখনও যে অনেক বাকি, এটা কি ওরা দেখছেনা ?

    অনুবাদক : সায়ন্তন দে

    মূল লেখা : http://www.kabirsumanonline.com/home/2011/07/10/so-soon/
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৩ জুলাই ২০১১ | ৮৯৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন