এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • কন্যা তোর, জীবনভোর...

    দময়ন্তী
    আলোচনা | বিবিধ | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৭ | ৬৮৯ বার পঠিত
  • মনে আছে সেই ছবিটা? সেই যে দুই হাত জড়ো করা, দুচোখ দিয়ে জল পড়ছে, প্রাণভিক্ষা চাইছেন, আমাদের কাছে যিনি গুজরাট দাঙ্গার মুখ বলে পরিচিত। কুতুবউদ্দিন আনসারি -- যাঁর ছবি সর্বভারতীয় মিডিয়ায় তুমুল প্রচারিত হওয়ার সাথে সাথে এই খবরও প্রচারিত হয়েছে যে পশ্চিমবঙ্গে তাঁকে ডেকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এতে সরাসরি জড়িত না হলেও, প্রধানত: যে রাজনৈতিক দলটি সরকার চালান তাঁদের বহু হোমরাচোমরা ব্যক্তিই এই পূনর্বাসনের প্রক্রিয়াটির সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। মিডিয়া তা যথোপযুক্ত গুরুত্ব দিয়ে প্রচারও করেছে। কুতুবুদ্দিন আনসারির মুখে ফুটে ওঠা সীমাহীন আতঙ্কের ছবি, শান্ত স্বস্তিতে বদলে যেতে দেখে আমরা পশ্চিমবঙ্গের অধিবাসী হিসাবে বেশ একটু গর্বিতও হয়েছি।

    এটি ২০০৩ সালের ঘটনা। এই ২০০৩ এই পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ হয় তসলিমা নাসরিনের আত্মজীবনী "দ্বিখন্ডিত"। পশ্চিমবঙ্গের "পুস্তকপ্রেমী", "সংস্কৃতিবান", "সংবেদনশীল" মূখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বইটি তিনি নিজে একাধিকবার পাঠ করেছেন, তাঁর মনে হয়েছে বইটিতে ইসলামকে অবমাননা করা হয়েছে এবং এর জন্য পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লেগে যেতে পারে। বিবেচক অভিভাবকের মত কাজই করেছিলেন নি:সন্দেহে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লেগে গেলে কুতুবউদ্দিন আনসারিকে আশ্রয় দেওয়া যেত না। তিনি রাজ্যের পিতৃস্থানীয়, ছেলেপুলেরা কি পড়বে না পড়বে, তা তিনি ঠিক করে দিতেই পারেন। আমরা প্রায় সবাই তা মেনেও নিয়েছিলাম। মুষ্টিমেয় কিছু লোকই মাত্র এর প্রতিবাদ করেছিলেন। মজার ব্যপার হল, উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক দলের মধ্যে একমাত্র বিজেপিই এই নিষিদ্ধকরণের প্রতিবাদ করেছিল। সেই বিজেপি যারা মকবুল ফিদা হুসেনকে নিরন্তর ধাওয়া করে গেছে "হিন্দুধর্মকে অবমাননা করার জন্য।

    এই সময়ই আমাদের বিখ্যাত কবি সাহিত্যিকেরা, নামকরা ফেমিনিস্ট অ্যাকটিভিস্টরা আমাদের জানান, তসলিমা কিরকম খারাপ চরিত্রের মেয়ে, কিরকম অশ্লীল লেখাপত্র লেখেন, কিরকম স্বার্থপর ও প্রচারলোভী, ইত্যাদি, ইত্যাদি এবং ইত্যাদি। দেখেশুনে মনে হতে থাকে কেউ প্রচারলোভী হলে, "অশ্লীল" লেখা লিখলে তাকে খুন করাই উচিৎ। বাংলাদেশে যারা তাঁর মৃত্যুদন্ড ঘোষণা করেছেন, তারা আসলে ঠিক কাজই করেছেন। আমরা যারা ছোটবেলা থেকে শিখি "সদা সত্যকথা বলিবে", তারাই ভীষণ রেগে যাই তসলিমার নিজের মাতাপিতা, তাঁদের জীবনযাপন সম্পর্কে সত্যভাষণে। আমরা যারা ছোট ছোট ঘরে ও বড় ছোট মাঠে ভাষণ দিয়ে বেড়াই "সদা সত্যকথা বলিবে", যারা নিজেদের ছেলেমেয়েদের শেখাই, আপ্রাণ মুখস্থ করাই "সদা সত্যকথা বলিবে"; তারা সব্বাই ভীষণ রেগে যাই তসলিমার নিজের যৌনজীবন সম্পর্কে সত্যভাষণে।

    তসলিমা বারেবারে ভারতবর্ষের নাগরিকত্বের আবেদন করেন। তাঁর আবেদন শোনা হয় না। "স্থায়ী বাসিন্দা" হওয়ার আবেদন করেন, তাও আটকে থাকে। তাঁর ভিসার মেয়াদ শুধু বাড়ানো হয়, প্রতিবার ছয় মাস করে। বোধহয় কর্তারা আশা করেন যে এই ছ"মাসের মধ্যে এ আপদ ঘাড় থেকে নামবে, আর থাকতে চাইবে না। কিন্তু তা হয় না, তসলিমা আবারও ভিসা বাড়ানোর আবেদন করেন। তাঁকে ভারতে "আশ্রয়" দেওয়া উচিৎ কিনা, এ নিয়ে কোথায়ও কোন সিরিয়াস বিতর্কও চোখে পড়ে না, যেন নেহাৎই ফালতু একটা ব্যপার, বিশেষ গুরুত্ব দেবার দরকার নেই। ১৯৮৮ সালে রুশদির "স্যাটানিক ভার্সেস" ভারতে নিষিদ্ধ হওয়ার যাঁরা কঠোর সমালোচনা করেছিলেন, তাঁরা এইসময় একেবারে চুপ। কি করবেন বয়স হয়েছে তো!

    আর এর মধ্যেই এসে পড়ে ৯ই অগাস্ট, ২০০৭। হায়দ্রাবাদ প্রেস ক্লাবে অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভার কিছু সদস্য তাঁর প্রাণ নেবার চেষ্টা করে এবং সফল হতে না পেরে জানিয়ে দেয় তারা চেষ্টার ত্রুটি করবে না, সুযোগ পেলেই তাঁর প্রাণ নেবে। এমনিতে, এইসব বিধানসভার সদস্য টদস্যদের খুব একটা লজ্জিত হতে আমরা দেখি না কখনই, তা সে যে রাজ্যই হোক না কেন। তাঁরা নিজেদের, সাধারণ মানুষের থেকে আলাদা ভাবেন, আমরাও তাই ভাবি। তাই তাঁরা যখন যা ইচ্ছে হয় তাই করেন এবং আমরা সেটাই মেনে নিয়ে মুখ বুজে, মাথা নীচু করে, পিঠ কুঁজো করে চলি ফিরি। এক্ষেত্রেও তার খুব একটা ব্যতিক্রম হল না। বিধায়করা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াতে লাগলেন। পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করেও জামিনে ছেড়ে দেয়। উল্টে তসলিমার নামেই একটা কেস করে হায়দ্রাবাদের পুলিশ, ১৫৩ ধারা অনুসারে। পরে আক্রমনকারীদের উদ্দেশ্যে গ্রেপ্তারী পরোয়ানাও জারি হয়, তাঁরা গ্রেপ্তার হয়েছেন, এমন কোন সংবাদ অবশ্য কোথায়ও দেখিনি।

    কদিনের মধ্যেই কোলকাতায় টিপু সুলতান মসজিদের ইমাম ফতোয়া দেন, যে, তসলিমার মাথা কেটে আনতে পারবে, তাকে ১০০,০০০ টাকা ও অঢেল উপহার দেওয়া হবে। শুনে কেউই খুব একটা বিচলিত হন না। সাংবাদিকেরা বাইট পাওয়ার চেষ্টায় পুলিশের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ ব্যক্তিকে ধরাধরি করলে, তাঁরা জানান "লোকে রাগের মাথায় অনেক কিছু বলে; ওঁরা উত্তেজিত ছিলেন, তাই হয়ত বলেছেন" ইত্যাদি। "সংবেদনশীল" মূখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। যাঁরা "সলিডারিটি" নিয়ে প্রচুর বাক্যব্যয় করে থাকেন, সেইসব বন্ধুদেরও দেখিনি এই নিয়ে উত্তেজিত হতে, অথবা বলা ভাল, আদৌ মাথা ঘামাতে। এই ফতোয়া যে ভারত নামক রাষ্ট্রের, রাষ্ট্রীয় আইনের বিরোধী --- এই সহজ কথাটা কেউ বলে উঠতে পারেন না।

    দারুল উল্‌ম দেওবন্দের সদস্যরা এক সমাবেশে এই ফতোয়ার তীব্র বিরোধিতা করেন। তাঁরা পরিস্কার জানান এই ফতোয়া শরিয়তএর বিরোধী ও রাষ্ট্রীয় আইনেরও বিরোধী। ঐ ইমামের কোন অধিকারই নেই এই ধরণের ফতোয়া দেওয়ার। কি এক অজ্ঞাত কারণে এই খবরটি মেইনস্ট্রীম মিডিয়ার কোথায়ও প্রকাশিত হয় না।

    সত্যি বলতে কি, এসব দেখে খুব একটা অবাকও লাগে না। আমাদের সমাজে সামগ্রিকভাবে মেয়েদের স্বল্পায়ু কামনা করা হয়। অধিকাংশক্ষেত্রে পতির বেশ কিছু পরে জন্মানো সত্ত্বেও পত্নীর মৃত্যুতে পতিকে ভাগ্যবান ধরা হয়। প্রচলিত ব্রতপার্বণের মন্ত্রেও দেখি, পতিপুত্রকে রেখে মৃত্যুই চরম সৌভাগ্য। ভাইফোঁটায় ভাইয়ের দীর্ঘায়ু কামনা করে বোন, কিন্তু ভুলেও বোনের দীর্ঘায়ু কামনা করা হয় না। কন্যাভ্রুণহত্যা, কন্যা জন্মানোয় শিশুহত্যা , এসবও খবরের কাগজের বস্তাপচা খবর। প্রতিদিনই গন্ডা গন্ডা থাকে। তো কথা হল, আমাদের সমাজে মেয়েদের জন্য সামগ্রিকভাবেই যে মৃত্যুকামনা আছে, তার সাথে তসলিমাকে মেরে ফেলবার ইচ্ছাটা বেশ খাপে খাপে বসে যায়। এমনিতেই আমরা মেয়েদের স্বল্পায়ু দেখতে চাই। তারপরে এরকম একজন, যার সাহসের কোন সীমা পরিসীমা নেই, নিজের ঘরবাড়ী, সংসার, সম্মান কোনোকিছুরই তোয়াক্কা না করে প্রতিবাদ জানিয়ে যায়, খুলে খুলে দেখায় সমস্ত ঘা ও পচন, তাকে তো হেঁটোয় কাঁটা, শিয়রে কাঁটা দিয়ে পুঁতে দেওয়াই উচিৎ --- ঠিক যেমনটি আছে আমাদের রূপকথার গল্পে দুষ্টু রাণীদের জন্য বরাদ্দ। আর আমরা তো রূপকথায়ও দেখেছি রাণীরাই দুষ্টু হয়, তাদের কথায় ভুলে রাজারা খারাপ কাজ করে। আবার ভাল রাণীদের সাথে ভাল রাজা হয়ে থাকে। তাই তসলিমার মাথা কেটে আনবার হুকুম, আমাদের কানে লাগে না।

    তসলিমার লেখার মান যেমনই হোক, তাঁর সাহসকে আমি সম্মান করি। তিনি যেমন তাঁর পিতার অসৎ আচরণ দেখিয়েছেন, সেই কলমেই দেখিয়েছেন তাঁকে ডাক্তার তৈরী করার জন্য তাঁর পিতার আগ্রহ, চেষ্টা, সাহায্য। যখন নিতান্তই ঘটনাচক্রে শুনে ফেলি, এক যুবকবয়সী ও এক মধ্যবয়সী লুচ্চা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে; "আরে অমুক অমুককে ধরে ধরে তো গ্যাং রেপ করতে হয়"; যখন "গ্যাং রেপ" এর মত হাড়হিম করে দেওয়া শব্দ কান পুড়িয়ে দেয়; অথচ দেখি সেই শব্দ চ্যুইংগামের মত চুষে চলেছে দুই লুচ্চা, আসলে শব্দটা তাদের অবসর বিনোদনের উপকরণ -- তখন তসলিমার কথা মনে হয়। অত:পর যখন যুবকবয়সী ও মধ্যবয়সী লুচ্চাগণ কোথায়ও ধর্ষিতা নারীদের দেখতে যান, তাদের দু:খে বিগলিত হন, তখন সেই আশিরপদনখ ভন্ডামী দেখে তসলিমার কথা আমার মনে উদয় হয়। আমি চীৎকার করে উঠতে পারিনা, "তোমরা ভন্ড ও লুচ্চা"; পৃথিবীকে দেখাতে পারিনা তাদের চেহারা, বলতে পারিনা আরো অনেক কিছুই। আজন্মলালিত সৌজন্যবোধ এসে কন্ঠ চেপে ধরে। আমি অনুভব করি তাঁর তূল্য সাহস বিরল। "তসলিমা" হওয়া কঠিন, বেশ কঠিন।

    আমি তাঁর উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাবনত হই।

    সেপ্টেম্বর ২, ২০০৭
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০২ সেপ্টেম্বর ২০০৭ | ৬৮৯ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    ঢেকুর  - Tanima Hazra
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন