এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  সিনেমা

  • ক্লোজলি ওয়াচড ট্রেনস

    সিফোঁ
    আলোচনা | সিনেমা | ০৯ জুন ২০০৮ | ৪৭০ বার পঠিত
  • গল্পটা চেক দেশের গন্ডগ্রামের এক রেলস্টেশন আর সেই স্টেশনের লোকজনদের নিয়ে। মেনলি এক বয়:সন্ধিপ্রাপ্ত কিশোরের। সময় WWII , তাই রেলগাড়িতে করে জার্মান(নাৎসি)দের ছাগল, গরু, নার্স ও বন্দুক-গোলাবারুদ যায়। কিন্তু কেউই প্রায় পাত্তা না দিয়ে হুশ করে স্টেশনের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। এখন কিশোরের নাম মিলোস হ্‌র্‌মা। তার বাপ রেলের ইনজিন চালাতো, আর দাদু ছিলো সম্মোহনকারী। মিলোস বললো ল্যাদ খাওয়ার সুপ্রাচীন অভ্যাসের জন্যই নাকি দাদুর অমন পেশা গ্রহণ। সেও ল্যাদ খেতে চায়, তাই সিগনালম্যান হওয়া ছাড়া আর অন্য কোনো পেশার কথা সে ভাবেইনি। স্টেশন মাস্টার এককথায় এক ঢ্যামনা গোলগাল চল্লিশ-পঞ্চাশ। পায়রা পোষে আর মেয়ে তোলার চেষ্টা করে। আর বাকি দুজনের মধ্যে একজন তিরিশ-পয়ঁতিরিশ - হাই তোলে, সহজেই মেয়ে পটায়, কিন্তু অসম্ভব বৈরাগ্য। রাতের কাজকম্ম হয়ে গেলে সকালে উঠে আড়মোড়া ভাঙ্গে আর শিস দেয়। সেই দেখে স্টে . মা জ্বলে পুড়ে মরে। নাম হুবিচকা। আরেকজন একেবারেই বুড়ো, শুধু কবেকার গল্প করে আর দেওয়াল-ঘড়ির সুমধুর টুং-টুং শুনে পুন:পুন: হর্ষিত হয়। শেষ জন এক অল্পবয়স্ক মহিলা । পরে বলবো।

    ভয়ানক ভাঁড় হিসেবে দেখানো হয়েছে ইন্সপেক্টরকে। রাইখের জন্য সদা নিবেদিত, জার্মান জাতির গৌরব অক্ষুন্ন রাখতে সদা চিন্তিত ও WWII এ থার্ড রাইখের জয় যে আসলে ইওরোপ বা মাইরি বলতে গোটা জগতের হিতসাধনের নিমিত্তে তাই প্রচার করতে ব্যস্ত। একখান বড় ম্যাপ ঢেলে বুঝিয়েও দেন কিভাবে ইওরোপের বিভিন্ন পার্ট থেকে সম্মানের সাথে পশ্চাদপসরন করে শত্রুদের ফাঁদে-টাদে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। যদিও হুবিচকা থেকে থেকেই "কেন?" জিজ্ঞেস করে একে ফাপরে ফেলে দিচ্ছিলো, আর সেই "কেন?"র রোগ ধরে আমাদের মিলোসকেও।

    এদের নিয়ে ছবিটা এমন তৈরী হয় যে, বাইরের পৃথিবী যখন WWII , থার্ড রাইখ এইসব জরুরী বিষয় নিয়ে বেবাক চিন্তিত, তখন এই কটা হতচ্ছাড়া চেক- পায়রা, বয়:সন্ধি ও হাইতোলা নিয়ে ব্যস্ত থাকলো।

    তা এ বয়:সন্ধির চাপে মিলোস এক কমবয়সি মহিলা কন্ডাক্টারের প্রেমে পড়লো। মাশা। এ মেয়েও নানারূপ ইঙ্গিতে-আকারে-প্রকারে প্রেমে চোবানোর সব ব্যবস্থাই করতে লাগলো প্রতিদিনকার একটা ট্রেনে আসা-যাওয়ার পথে। কিন্তু মিলোস রোগাপটকা কতকটা ভানুর মত দেখতে হওয়াতে, বা আর অন্য কোনো ইভোলুশনারি আনফিটনেসের কারণে, কিম্বা "ইহাই নির্মম সত্য কিন্তু চেপে রাখো বস" এর জন্য, ঠিক জানিনা, প্রথম রাতের শারীরিক মিলন পাতি ফুস হয়ে যায়। নানারকম এক্সটার্নাল এজেন্ট যেমন মেয়ের কাকার হাঁচি, জলের জগ ওঠানো নামানো এইসবের আওয়াজে ঘাবড়ে গিয়ে মিলোস বোঝে "এ যাত্রায় আর হোলোনি" আর সিগনালম্যানের টুপি মাথায় দিয়েই ঘুমিয়ে পড়ে। মাশা রাগে-দু:খে উঠে গিয়ে অন্য জায়গায় বিছানা করে শুয়ে পড়ে।

    এরপর পীড়িত ও মর্মাহত মিলোসের দুহাতের শিরা কাটন ও লোকের দয়ায় হাসপাতাল গমন। সেখানে চ্যাঙড়া ডাক্তার বলে এসবই প্রিম্যাচিওর ইজাকুলেশন, হয়েই থাকে। ঘাবড়ানোর কিচ্ছু নেই। তুমি বরম একজন বয়স্ক অভিজ্ঞ মহিলার সাথে প্রথমে যোগাযোগ করো। ডাক্তারি সার্টিফিকেট নিয়ে মিলোস যায় ইন্সপেক্টরের ঘরে। সেখানে কড়া ভাষণ শোনে - আজ যখন দেশের প্রতিটা মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ছে, জার্মান জাতির শৌর্য, বীর্য ইত্যাদি রক্ষা করা তাদের পবিত্র কর্তব্য বলে গ্রহণ করছে তখন এই গান্ডু রেলস্টেশন থেকে আমরা কি পাচ্ছি - না, গোটাকয় সেক্স পীড়িত হতভাগা। তোমার এই হাতের শিরাকাটাকে কাজ করার অনীহা ইয়ানি দেশদ্রোহিতা বলে দেখা যেতে পারে ইত্যাদি ইত্যাদি।
    -"যদি অনুমতি দেন স্যার"
    - "কি?"
    -"ডাক্তার বলেছেন এ সবই প্রিম্যাচিওর ইজাকুলেশন"
    (এরপর কানে কানে ফুসফুস)
    -"তুমি কি মনে কর তোমার জন্য মেয়েছেলে জোটানো আমার কাজ?"

    বেরিয়ে যাও। দূর হও।

    স্টেশনে এসেও মিলোস জনে জনে বোঝাতে থাকে সব দোষ হল প্রিম্যাচিওর ঐ। একজন বয়স্ক অভিজ্ঞ মহিলা সাহায্য করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। কৈশোরের নির্দোষ উৎকন্ঠায় স্টে . মা কেও জড়িয়ে ধরে -

    -"আপনার স্ত্রী কি? ..... "
    -"নাআআ, আমার স্ত্রী একান্তই আমার"
    -"না মানে বলছিলাম, আপনার স্ত্রীর যদি চেনা কেউ ..... "
    -(দরজা দড়াম)

    ইদিকে, মিলোসের অনুপস্থিতিতে হুবিচকার সেক্ষজীবনের নবতম সংযোজন ঘটে-

    স্বাভাবিক কর্মহীন রাতে মেয়েটির মাথার মধ্যে কিছু কিলবিল করে ও হুবিচকাকে টেনে নেয়। দীর্ঘ অভিজ্ঞতা যে প্রকার ঔদাসীন্য ও প্রায়োগিক কুশলতা দেয় তার জেরে হুবিচকা সোজাসুজি রতিক্রিয়ায় না গিয়ে নতুনতর খেলার প্রয়াস প্রায়। করে কি, স্টেশন আপিসের এন্তার রাবার স্ট্যাম্প দিয়ে সে মেয়ের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ছাপ্পা মারতে থাকে ও এই লেটেস্ট সেক্ষ স্টেটমেন্টে মেয়েটি আমোদিত হয়ে খিলখিল করে।

    এমন অনাচ্ছিষ্টি কান্ডের জন্য রেল তদন্ত কমিটি বসায় ও ভাঁড় ইন্সপেক্টর ঐ স্টেশনে আসে। এইদিনটি প্রচন্ড গুরুত্বপূর্ণ - মোটেই এই তদন্ত কমিটির জন্য না, বরম বিপ্লবীদের সাহায্যে আগেরদিন রাতেই হুবিচকার হাতে এসে পড়েছে বিস্ফোরক, যেটি পরেরদিন বন্দুক-গোলাবারুদে ভর্তি জার্মান ট্রেন যখন
    পাস করবে, তাকে হাল্কা করে স্লো করে দিয়ে সিগনাল পোস্টের মাথা থেকে ফেলে দেওয়া হবে। আর ট্রেন স্টেশন পেরোতে না পেরোতেই দুউম।

    কিন্তু এখন তদন্ত চলছে -

    -"তোমাকে কি হুবিচকা ঐ রাতে বলপ্রয়োগ করেছিলো বা অন্য কোনোভাবে বাধ্য করেছিল?"
    -"না না, আমি নিজের ইচ্ছেতেই যা করার করেছি"
    -"ফোঁস" (দীর্ঘশ্বাস)
    -(হঠাৎ মুখ উঙ্কÄল)কিন্তু, কিন্তু জার্মান ভাষার অবমাননা একে নিশ্চয় করে বলা যায়!

    ইদিকে, ট্রেন আসার সময় হয়ে আসে। হুবিচকা আর মিলোস উসখুস করে। হুবিচকাকে মোটেই আপিস ছেড়ে বেরোতে দেবেনা দেখে মিলোস নিজেই ড্রর থেকে মালটা নিয়ে বেরিয়ে যায় আর চড়ে বসে সিগনাল পোস্টের মাথায়। আরেক বুড়ো(সেই যে ঘড়িবিলাসী), সিগনাল ফেলে দেয়। ট্রেন আস্তে হয়ে যায়। মিলোস টপ করে মালগাড়ির ক্যানভাস ঢাকা ছাদে বোমটা ফেলে দেয়। হঠাৎ ট্রেনের ঝাঁকুনিতে টাল সামলাতে না পেরে মিলোস পড়ে যায় আরেকটা বোগির ছাদে। হঠাৎ কিছুটা দূরে প্রবল বিস্ফোরন। সবাই হন্তদন্ত হয়ে বাইরে আসে। হুবিচকা হ্যা হ্যা করে হাসতে থাকে। বিস্ফোরনের ধাক্কায় জানলার পাল্লা দুমাদুম বন্ধ-খোলা হতে থাকে, হাল্কা বেড়া ভেঙ্গে পড়ে যায়। মাশার হাতে উড়ে আসে মিলোসের সিগনালম্যান টুপি। গোটা পর্দা জুড়ে কালো ধোঁয়া ক্রমে ক্রমে ভরে যেতে থাকে। ঘড়ির ঘন্টা বাজে দারুন মিষ্টি করে। ইতিহাসের ঘন্টা?

    সিনিমা শেষ হয়।

    তবে এ আমি মোটেই বলে দেবোনা যে মিলোসের দাদু অনেকদিন আগে সম্মোহন শক্তি দিয়ে জার্মান ট্যাঙ্ক থামাতে গিয়ে দাঁড়ান একেবারে ট্যাঙ্কের সামনে। ট্যাঙ্ক থামে, তারপর পাতি চ্যাপ্টা করে দিয়ে বেরিয়ে যায়। রক্তে আছে হিরোইজ্‌ম?
    এও বলে দেবোনা যে, বোমা নিয়ে আসে যে অপূর্ব সুন্দরী মহিলা তার নাম ভিক্টোরিয়া ফ্রাই। হুবিচকা তার কানে গুজগুজিয়ে কি বললে সে মিলোসের প্রিম্যা: ইজা: সংক্রান্ত ভয় দূর করতে সাহায্য করে। ব্যক্তিগত সেক্সুয়াল লিবারেশনের পরেরদিনই জাতির পলিটিকাল লিবারেশন?

    ১৯৬৮র সোভিয়েত অধিগ্রহণের পর বহু বছর এই সিনেমা দেখানো হয়নি আর জিরি মেনজেল কে সিনেমা বানাতে দেওয়া হয়নি বহুদিন সে কথাও বলছিনা।

    না, মোটেই বলবোনা।

    জুন ৯, ২০০৮
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৯ জুন ২০০৮ | ৪৭০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন