এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • গল্প

    moulik majumder লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৫ মে ২০২১ | ৮১২ বার পঠিত
  • কেতকী দত্ত ক্ষমা করবেন প্লিজ

    মৌলিক মজুমদার

    - এক -

    ঘুম থেকে উঠে একটা কেমন যেন অন্যরকম ঠেকছে চারপাশ। চোখ খুলতেই মাথার উপর একটা নোংরা মশারি। তাতে নানা সাইজের ফুটো। কয়েকটা ফুটো আবার সেলাই করা। কয়েকটা সেফটিপিন মারা। তার উপরে কাঠের কাঠামোতে বাঁশের ছাউনির ছাদ। তেলচিটচিটে বালিশ মাথায় শুয়ে আছি। একটা বেডকভার দিয়ে আমার শরীর ঢাকা। সেটাও তেলচিটচিটে। উঠে বসলাম। মনে পড়ল কাল সন্ধ্যায় আমার ছোটবেলার বন্ধু কেতকী দত্তের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলাম। এসেছিলাম বলতে হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্ত। কলকাতার এই মেকী জীবনযাত্রা ভাল লাগছিল না। ক্লান্ত হয়ে উঠছিলাম কোম্পানির ব্যালেন্সশীট ঘাঁটতে ঘাঁটতে। টার্নোভারের গ্রাফ চড়ছে তো চড়ছেই। আর আমার জীবনীশক্তির গ্রাফ বিলো পোভার্টি লাইন গোঁত্তা খাচ্ছে। রোজ রোজ নিয়মের চিকেন স্যুপ আর ভাল লাগছে না। কদিন ধরেই মনের মধ্যে একটা দোনলা বন্দুক কে যেন আমার দিকেই তাগ করে রেখেছে। এমন মোক্ষম সময়ে ছোটবেলার বন্ধু কেতকী দত্ত ফোন করল। ইনিয়ে বিনিয়ে নানা কথার মধ্যে সে ব্যাটা আমন্ত্রণ জানিয়েও বসল। "তুই তো এখন বড়লোক হয়ে গেছিস, আর কি আসবি! " রোখ চেপে গেল। মনও একটা এডভেঞ্চার চাইছিল। ট্র্যাভেলে গেলে তো পাঁচতারা হোটেলের বাইরে থাকা হয় না আজকাল! এবার অন্যকিছু হোক!

    চমকের আরো বাকি ছিল। তেলচিটিচিটে বেডশিট গা থেকে সরিয়ে বিছানা ছাড়ার উপক্রম করছি। দেখি আমার গোদা থাই বদলে গেছে লিকলিকে ঠ্যাঙে। হাঁটু অব্দি উঠে রয়েছে মলিন লুঙ্গি। তার নিচে মলিনতর পা'দুটি ভারতবর্ষের বিজ্ঞাপন হয়ে দাঁত কেলিয়ে হাসছে। লুঙ্গি? লুঙ্গি তো আমি কস্মিনকালে পড়ি না! আমি পড়ি ইম্পোর্টেড ট্রাউজার্স। বিষ্ময়ে গালে হাত দিলাম। হাতটা গিয়ে পড়ল এক হনু বার হওয়া, খোঁচাখোঁচা না কামানো গালের উপর। এই গাল নিশ্চিত আমার নয়।

    লুঙ্গি সামলে হোঁচট খেতে খেতে কেতকীর ছোট আয়নাটার সামনে গেলাম, যেটা বাঁশের খুঁটি থেকে ঝুলছিল। যে আয়নায় কেতকীর ক্ষৌরকর্ম ও তার স্ত্রীর রূপচর্চা হয়ে থাকে। ও হরি! আমি কোথায়! এ যে কেতকী দত্ত! অবিকল কেতকী দত্ত। আমার দিকে এক উজবুক মুখ করে আয়না থেকে চেয়ে রয়েছে। বিষয়টা পরিস্কার নয়। আমি শেষমেশ কেতকী দত্ত হয়ে গেলাম?

    বিছানা লাগোয়া যে টেবিলটা থেকে ঘড়ঘড় শব্দে টেবিলফ্যানটা চলছিল, তাতে ঠকাস করে একটা শব্দ হল। মুখ ঘুরিয়ে দেখলাম, কেতকীর স্ত্রী ফুলি একটা ডাঁটি ভাঙা চায়ের কাপ রেখেই আবার কোথায় মিলিয়ে গেল। আচ্ছা, ফুলি কি এখন আমার স্ত্রী? তাহলে কলকাতায় মিলির কী হবে? আমার ব্যস্ত সোশ্যাল ওয়ার্কার স্ত্রী মিলি? যাকগে, সে পরে ভাবা যাবে। আপাতত ফুলির সাথে যৌন সম্ভাবনায় মনটা নেচে উঠল। ফুলির কিন্তু জিরো ফিগার, হোকনা সেটা ক্রনিক কোলাইটিসের কারণে, শহুরে আটার বস্তা নয় সে।

    মশারিটা খাটের স্ট্যান্ড থেকে খুলে খাটের উপর তিনমাথা স্টাইলে বসলাম। তিনমাথা মানে হাঁটু উঁচিয়ে বসা আরকি। কেতকী এভাবে বসে দেখেছি। আমাকে এখন কেতকী স্টাইল নকল করতে হবে। ঠিকঠাক কেতকী দত্ত হয়ে উঠতে চাই আমি। বিড়ির পোটলাটা টেবিলের উপর পড়ে রয়েছে। বার করে নিলাম একপিস। কমদামী লাইটারে জ্বালিয়ে ছাড়লাম একমুখ ধোঁয়া। বুকটা জ্বলে গেল। ক্লাসিক ফিল্টার টানা বুক বলে কথা। চায়ের মধ্যে কেরোসিনের গন্ধ। তবু চুমুক দিলাম। শালার কেতকী, এবার তোকে বাগে পেয়েছি শালা। পাক্কা কেতকী আমি, বেশ উৎফুল্ল লাগছে।

    ফুলি এবার একটা বাজারের ব্যাগ ছুঁড়ে দিল। সাথে বাক্যবাণ, "যাওনা, আর কত গড়িমসি করবে? " পাক্কা খেলোয়াড়ের মত লোফলাম আমি ব্যাগ ও কথা। ফুলিকেও লোফলাম। " আরে মিনসে সকাল সকাল করে কী? বাচ্চারা সব জাগা তো। " আচ্ছা পরে হবে। বিরস বদনে বিড়ির শেষটা ছুঁড়ে ফেলে খাট থেকে নামতে যাব, পিলপিল করে এসে জুটেছে মন্টু, শান্টু, জবা, আরতি, পল্টু। এরা কেতকী পল্টন। বিভিন্ন সাইজ। মাথায় ঘাড়ে চাপছে। বাব্বা, ফুলি নিলে মন্টু, শান্টুও নিতে হবে।

    - দুই -

    আমি এখন কেতকী দত্ত হলে কী হবে! মানিব্যাগ তো অমিতাভ সেনের। মনটাও অমিতাভ সেনের। বেশ জুৎসই করে বাজার করা গেল। বেশ নধর চাইতে একটা জ্যান্ত কাতলা, নতুন ফুলকপি, বাঁধাকপি সমস্ত নিলাম। বেশ চড়া দামেই নিলাম। বাচ্চাগুলোর জন্য কষ্ট হল, ফুলির জন্যেও। কাল রাত্রে এদের ডিনারের অবস্থা দেখেছি। বন্ধুর জন্য টেনেমেনে খরচ করেছে কেতকী। কিন্তু দারিদ্র্য ঢাকতে পারেনি। তাহলে অন্যান্য দিনে না জানি কী খাবার জোটে এদের। স্কুলের সামান্য কেরাণীর বেতনে গোটা পরিবারের কি আর সুষম আহার জোটে! দু'ব্যাগ ভরে বাজার করলাম। দ্যাখ শালা কেতকী, তোর বউ বাচ্চাদের কেমন যত্ন আত্তি করি দ্যাখ! তুই তো শালা তোর জামা আমাকে পরিয়ে কোথায় ভাগলি শালা! ফুলি আজ বাজার দেখে ভিরমি খাবে।

    বাজার থেকে বেরোতে যাব এমন সময় একটা সিড়িঙ্গে টাইপের লোক আমাকে পেড়ে ফেলল। এও দেখতে কেতকী দত্তর মতো। কোটরগত চোখ, হনু বার করা মুখ, খোঁচাখোচা দাড়ি, কন্ঠা বেড়িয়ে রয়েছে, বয়স বোঝা যায় না। এ গ্রামের সবাই কি কেতকী দত্ত নাকি! ফিসফিসিয়ে কানে কানে বলল, " কীরে, কাল এলিনা? কতক্ষণ অপেক্ষা করলাম! " আমি তো আকাশ থেকে পড়লাম! " তুই তো সন্ধ্যাবেলা মিস দিস না! কী ব্যাপার! খুব জমেছিল কাল তিনপাত্তির আসর। অনেকদিন এমন রগড় হয় নি। ভোলা আর বিলকিশ কাল ফতুর হয়ে আসর ছেড়েছে। এমন মোক্ষম চাল চেলেছি বুঝলি? আর পদ্মিনীর উপর কে জানি ভর করেছিল, যা পেগ বানাচ্ছিল ছুঁড়ি আর যা নাচ দিল! আহা! তা, তুই ছিলি কোন চুলায়? " আমতা আমতা করে বললাম, " নারে, কলকাতা থেকে আমার এক বন্ধু এসেছে। আমার এখানেই উঠেছে। কাল তাকে নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম। আসা হল না। "

    "কেমন বন্ধু? রসিক নাকি? তাহলে তাকে নিয়েই চলে আয় আজ সন্ধ্যায়। টাকা আনিস বেশি করে, বুঝলি! আজ রতন আর চানুকে ফতুর বানাবো। তোর টাকা আর আমার দাওপ্যাঁচ, ব্যাপারটা একদম জমে যাবে মাইরি।"

    হুঁহাঁ করে ওই মর্কটকে বিদেয় করে এগোলাম মুদী দোকানের দিকে। শালা কেতকীটা জুয়াও ধরেছে। মদ জুয়া নারী। ত্রহ্যস্পর্শ। গুণ দেখি সবই আছে ব্যাটার। এই ধ্যাদ্ধেড়ে গোবিন্দপুরে ভালই সাম্রাজ্য বিস্তার করে বসেছে। ব্যাটার রস আছে ভালই, এদিকে বউ বাচ্চাকে খাওয়ানোর মুরোদ নেই। মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে গেল।

    "এই যে কেতকীবাবু, আজ কিন্তু ধারে হবে না। কড়কড়ে টাকা গুনতে হবে। আপনার অলরেডি পাঁচহাজার বাকি পড়ে গেছে। "

    চোখ তুলে দেখলাম। মুদী দোকানের থলথলে ভুঁড়ি আমার দিকেই কটমট করে চেয়ে আছে।হাজার পাঁচেক সাথে আছে। দেবো নাকি অলম্বুষটার মুখে ছুঁড়ে। ক্রেডিট কার্ডে চোকাতে পারলে ভাল হয়। হাতে হার্ড ক্যাশ থাকা দরকার। এই গণ্ডগ্রামে সে আশা দূর অস্ত। একটা এটিএম কাউন্টার চোখে পড়েছে বাজারে। ওখান থেকেই টাকা তুলে ঝামেলা নিকেশ করতে হবে।

    "আচ্ছা আচ্ছা, ওবেলা চুকিয়ে যাব। এখন নগদ সওদা করতেই এসেছি। টাকা দিয়েই নেব। নিন, লিস্টটা ধরুন। "

    ভুঁড়ির কটমট চোখ মোলায়েম হল।

    "কী ব্যাপার কেতকীবাবু? ভদ্দরলোকের কেতা দেখাচ্ছেন বড়! লোনটা স্যাংশন হল নাকি। সকাল সকাল টাকার গরম দেখাচ্ছেন! কী ব্যাপার! " ব্যস্ত হাতে চাল ডাল মাপতে মাপতে খোঁচা মারল ভুঁড়ি।

    - তিন -

    গলদঘর্ম হয়ে বাজার নিয়ে ঘরে ফিরলাম। এত ওজন বহুদিন বইতে হয়নি। কলকাতায় তো অন্য ব্যবস্থা। শালা কেতকী আজ ওজন বওয়ালো। পেয়ে নিই ব্যাটাকে একবার। আচ্ছা করে দুরমুশ চালাতে হবে।

    ঘরে এসে বাজার রাখতে না রাখতেই ফুলি এসে ঝাঁপিয়ে পড়ল বুকে। আহা, এ যে মেঘ না চাইতেই জল। নরম শরীরে বেশ একটা সুখ সুখ হচ্ছে। আচ্ছা করে হাত বোলাতে লাগলাম ওর পিঠে কোমরে।

    "আরে ফুলি, হলোটা কী? "

    "তুমি খুব খারাপ। কত টাকা ধার করেছ সুমন ব্যাপারীর কাছে? "

    "না, মানে, ইয়ে …" আমতা আমতা করতে থাকি।

    "ব্যাটা এসে আমাকে কত খারাপ খারাপ কথা বলে গেল। মাগগো, কান গরম হয়ে গেছে আমার। বলে কিনা চোকাতে না পারলে আমাকে তুলে নিয়ে যাবে। আজ নাকি দেনা শোধের শেষ দিন ছিল। পাওনাদারেরা বাড়িতে এসে উঠছে, ছি ছি! আর তুমি আমাকে বাঘের মুখে ফেলে মহানন্দে বাজারের ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে গেলে। কী সব নোংরা নোংরা কথা! বাপের জন্মে শুনিনি। " ফুলি আরো ঘন হয়ে এল।

    এবার আমার কেতকীর উপর রাগ উঠছে। অনেকক্ষণ কেতকীকে সহ্য করেছি। এবার আর পারছি না। বাড়ির বৌকে এভাবে অপমানকর অবস্থায় ফেলে শালা কেতকী তুই পালালি! অমানুষ একটা!

    "কত টাকা? কত টাকা ফেরত দিতে হবে? "

    ছিটকে সরে গেল ফুলি।

    "ন্যাকামি করছ? তুমি ধার নিয়েছ আর নিজে জানো না? সুদে আসলে সওয়া দুই লাখ হয়েছে বলল। কীভাবে চোকাবে গো এত টাকা? ইশ কী কপালেই না এমন অকালকুষ্মান্ডের সাথে বিয়ে হয়েছিল! " গজগজ করতে থাকে ফুলি।

    রোববারের দুপুরটা ভালোই কাটছে। ফুলি মনের আশ মিটিয়ে রান্না করেছে। অনেকদিন পর হাত খুলতে পেরে দারুণ খুশি। কাতলার কালিয়ার স্বাদ এখনো মুখে লেগে আছে। আমারও মরচে ধরা মুখ টাটকা খাবারের স্বাদ পেয়ে ফিরে গেছে শৈশবে। মায়ের হাতের রান্নার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে।

    মৌজ করে বিছানায় বসেছি। কেতকী পল্টন কেউ মাথা ম্যাসাজ করে দিচ্ছে, কেউ হাত টিপছে, কেউ কানে সুড়সুড়ি দিয়ে দিচ্ছে। কেতকী তোফা আছে। মিনি জমিদার হয়ে আছে শালা। আমার কর্পোরেট লাইফের চেয়ে তার কোনো অংশেই কম আকর্ষক নয় তার জীবন। গুটি গুটি পায়ে ফুলি এসে পাশে বসল। পান সুপুরি সেজে নিয়ে এসেছে। তেজ একটু কম। এলাহি বাজার দেখে মেয়েটা একটু ঘাবড়ে গেছে, সাথে কিছুটা নরমও হয়ে এসেছে। সাথে আছে সকালের পাওনাদারের বিশ্রী তাগাদা। সব মিলে ফুলি একটু নিভে আছে।

    ফুলিকে চাঙ্গা করার জন্য বললাম, "চিন্তা করোনা, কিছু একটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে। লোনের জন্য তো এপ্লাই করেছি, স্যাংশন হয়ে গেলেই ব্যাটার মুখে ছুঁড়ে মারব। "

    "ভাবছি আমিও টুকটাক সেলাইয়ের কাজ শুরু করবো। তাতে তোমার সাহায্য হবে। লোনটা পেলে কিছু টাকা বাঁচিয়ে আমাকে একটা সেলাই মেশিন কিনে দিও। শায়া ব্লাউজ বানিয়ে কিছু রোজগার হবে। তোমার উপর খুব চাপ পড়ছে আমি বুঝতে পারি। এত বাজার করলে কী করে গো? এত টাকা কোথায় পেলে? "

    "সে নিয়ে তোমার ভাবতে হবে না। তুমি এক কাজ করো, তুমি আমার ব্যাঙ্কের বইটা নিয়ে এসো তো। কোথায় রেখেছি মনে করতে পারছি না। "

    দিন কেটে যায়। রাত আসে। যে উৎসাহ নিয়ে দিন শুরু করেছিলাম, সে উৎসাহ আর অবশিষ্ট নেই। কেতকী দত্ত হওয়ার সুখ আছে, কেতকী দত্ত হওয়ার অভিশাপ আছে।

    - চার -

    আমার এসইউভি কেতকীর গেটে এসে দাঁড়িয়েছে। কেতকীকে কানে কানে বললাম "একটু বাইরে আয়। "

    বাইরে আসতে বললাম " তোর একাউন্ট নাম্বার ফুলির কাছ থেকে নিয়েছি। আমি কিছু টাকা ধার দেবো। তুই মাসে মাসে শোধ করবি আর একটা কথা, পদ্মিনীর ঠেকে যদি আবার গিয়েছিস, তো তোকে সুপারি কিলার লাগিয়ে খুন করাব আমি। "

    গট গট করে হেঁটে গাড়িতে উঠে বসলাম আমি। গাড়ি স্টার্ট নিয়েছে। গাড়ি স্পিড বাড়াচ্ছে। পাশে পাশে দৌড়চ্ছে আমার ছোটবেলার বন্ধু কেতকী দত্ত। কপালে হাতজোড় করে। পাশে পাশে দৌড়াচ্ছে মন্টু, শান্টু, আরতি, জবা, পল্টু। কপালে হাতজোড় করে। গাড়ি গতি বাড়িয়ে সামনে এগিয়ে গেল। পিছনে আমাকে ধাওয়া করছে এক ভারতবর্ষ।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে প্রতিক্রিয়া দিন