এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  উপন্যাস

  • কাঁটাতার ঃ প্রথম পর্ব

    Rajkumar Mahato লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | উপন্যাস | ১৪ জুন ২০২১ | ২০৪১ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • রাতের চাঁদ ঢাকা পড়েছে কালো মেঘের ঘনঘটায়। হু হু করে ঝড় বইছে। মোটা ত্রিপলের তাঁবুগুলো ছিঁড়ে যাওয়ার শেষ সীমানায় এসে ঠেকেছে। মোটা নারকেল দড়ির বাঁধন কিছুতেই খুলে যেতে দেবে না তাদের। চারপাশে চারটে বাঁশের খুঁটি কোনমতে ধরে রেখেছে সেই বাঁধন। কিছুটা দূরে পুরানো একটা দোতলা জমিদার বাড়ি। যেটাকে রিফিউজি ক্যাম্প নাম দেওয়া হয়েছে। ওদেশ থেকে আসা কিছু লোকজনেরা গাদাগাদি করে স্থান পেয়েছে সেখানে। যারা সেখানে স্থান পায়নি তাদেরকে এই তাঁবুতে জায়গা করে দেওয়া হয়েছে।

    মেরেকেটে উনত্রিশটা পরিবার নিয়ে নোয়াখালী থেকে বেড়িয়েছিল মাষ্টার। এখানে এসে দেখল হাজারে হাজারে লোকের ঠিকানা হয়েছে এই রিফিউজি ক্যাম্পগুলো। সদ্য নিজের দেশকে যারা টুকরো হতে দেখল। যাদের নিজের ভিটে মাটি একটা রেখা দিয়ে বিভক্ত করে দিল ইংরেজ সাহেব র‍্যাডক্লিফ। বাড়ির টিনের চালটা, তার উপর ঝুলে থাকা লাঊটা, কুমড়োটা, পুকুর ভর্তি মাছ, হাঁসেদের দল ছেড়ে যারা পালিয়ে এসেছে তাদের জায়গা হয়েছে এই রিফিউজি ক্যাম্প। একটা সিদ্ধান্তে রাতারাতি নিজের দেশে রিফিউজি হয়ে গেছে তারা। ভারতের সীমানায় ঢুকতে গিয়ে কারোর মা গেছে তো কারোর বাপ। কেউ ছেলে হারিয়েছে আবার কারোর মেয়েকে মা-বাপের চোখের সামনে টেনে নিয়ে গেছে তারা। মাষ্টার কিছুই করতে পারেনি। বাপ-মায়ের কাকুতি শোনেনি তারা। তাদের এখন স্বাধীনতার আনন্দ চেপে বসেছে। বিলাস করার সময় তাদের। আর পুরুষের বিলাস কি মেয়েমানুষ ছাড়া মেটানো যায়। আর তা যদি আবার অন্য দেশের মেয়ে হয়। একরাতে একদেশে থাকা মানুষগুলো বিদেশি হয়ে গেছিল তাদের কাছে। তাদেরকে আটকানো সম্ভব নয় এখন। তাদের সামনে মাষ্টার এই বুড়ো-বুড়ি দের নিয়ে কিছুই করতে পারবে না।

    এই উনত্রিশটা পরিবারের প্রায় সকলকেই চেনে মাষ্টার। তাদের সাথে জীবনের এই সতেরোটা বছর কাটিয়ে এসেছে। শিবু কাকার কোলে চড়ে কত মেলা দেখেছে। নবীন কাকার সাইকেলে চড়ে পাঠশালায় গেছে ছোটবেলায়। কালীপিসি ভাতের গোলা করে খাইয়েছে। আর দিদোর কাছে প্রতি সন্ধ্যে কত রুপকথার গল্প শুনে বড় হয়েছে সে। ছোট থেকে মা-বাপের থেকে বেশি এই সোনাপাড়ার মানুষগুলোর কাছে বড় হয়ে ঊঠেছে মাষ্টারদা। মা বাপ ছাড়া নিজের বলতে একমাত্র কালীপিসি। তার বাপের তৃতীয় বোন। কালো রঙের জন্য গ্রামের সবাই তাকে কালী নামে ডাকে। হাঁটু পর্যন্ত ঘন কালো চুল, টানা টানা চোখ, টিকালো নাক আর কথিত ভাষায় “কালোর মধ্যে দেখতে ভালো” কালীপিসিকে সবাই একডাকে চেনে।

    মাষ্টারের আসল নাম সুর্য। সুর্য মজুমদার। মজুমদার বংশের একমাত্র প্রদীপ। দেখতে একেবারে রাজপুত্র। বাপ তারিণী মজুমদার জমিদারের বংশধর বটে, তবে জমিদারী রক্ষা তার দ্বারা হয়নি। স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন দেখেই তার জীবনটা শেষ হয়েছে। তারিনী কালো, তবে কালীর মত কালো নয়। তাইতো গাঁয়ের লোকেরা মাঝে মাঝেই বলত সে আর কালী এক মায়ের পেটের ভাই-বোন, মনেই হয়না। সুর্য মায়ের মত গায়ের রং পেয়েছে। রূপটাও মায়ের মতই। টিকালো নাক। উশখো-খুশকো ঘন কালো চুল কাঁধ পর্যন্ত পাকিয়ে পাকিয়ে ঝুলতে থাকে। কাঁধে একটা কাপড়ের ঝোলা ব্যাগ থাকে। চোখে মোটা ফ্রেমের একটা চশমা। সর্বদা মুখে একরাশ হাসি থাকে মাষ্টারের।

    মাঠের পাড়ের সারি সারি তালগাছ আর নারকেল গাছের পাতাগুলো তখন বেমালুম, উন্মাদের মত দুলছে। হাওয়ার দিকে ঠেলে যেতে চাইছে নারকেল গাছের দোমালা নারকেলের কাঁদিগুলো। বেঁকে অর্ধেক ঝুলে গেছে গাছটা। দেখে মনে হচ্ছে এই বুঝি ভেঙে পড়ল দু-একটা তাঁবুর উপর। এখানে নয় নয় করে শয়ের উপর তাঁবু রয়েছে। গত তিনদিন থেকে সেইসব তাঁবুর দেখাশোনা করছে মাষ্টার আর নাজিবুল ।একটা চাপ দাঁড়ি রাখা ময়লা রঙের ছেলে নাজিবুল। জীর্ন একটা সাদা রঙের ধুতি আর একটা রং ক্ষয়ে যাওয়া নীল রঙের পাঞ্জাবী পড়েছে। মাথার চুলগুলোতে ধূলোরা জড়িয়ে ধরেছে। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় আম্মা হাতের তেলোয় কিছুটা নারকেল তেল নিয়ে মাথায় দিয়ে বলেছিল “মাথাটা বড্ড গরম তোর। নানিদের পুকুর পাড়ের নারকেল গাছ থেকে কতগুলি নারকেল কুইরেসিলুম। সেটাকে কুড়ে জাল দে, জাল দে তবে এই তেল বার করিসি। এই তেল্টুকুনি তোর মাথা ঠান্ডা রাখবে।” নাজিবুল একটা মুচকি হাসি দিয়ে আম্মাকে জড়িয়ে ধরেছিল। তার হাতে কয়েকফোঁটা জল পড়ল আম্মার চোখ থেকে। নাজিবুল বলল “আম্মা, কাঁদতিছিস কেন? ওদের পৌঁছে দে ফিরে আসব আমি। বন্ধু হয়ে বন্ধুর বিপদে পাশে দাঁড়াব না!” আমিনা নাজিবুলের হাতদুটো ধরে হাউহাউ করে কেঁদে বলল “যা বাপ। দিয়ে আয় ওদের। কি জানি কোন আঁটখুড়োর ব্যাটা এইডা করল। এরকম মুক্তি চাইনি আমরা।” নাজিবুল আম্মার দিকে তাকিয়ে বলল “কিসু পেতে গেলি কিছু হারাতে হয় জানিস নি?” আমিনা দৌড়ে রান্নাঘরে চলে গেল। মুহুর্তে হাতে একটা কাপড়ের পুঁটলি নিয়ে ফিরে এল। নাজিবুল তখন একটা পুঁটলিতে নিজের অল্প কিছু পড়নের কাপড় নিয়েছে। আমিনা রোয়াকের ওপর থেকে মাটির সিঁড়ির দুটো ধাপ নেমে নাজিবুলের হাতে সেই পুঁটুলিটা দিয়ে বলল “এতে কিছু জিনিস দিলুম। কাজে লাগবে তোদের। একটা ডিবেতে নারকেল তেল দিসি। মাথার চেটোতে দিস। মাথা ঠান্ডা থাকবে। সোলার ডালের হালুয়া আসে। তুই খাস, মাষ্টারকে দিস।” নাজিবুল মুচকি হেসে বলল “আসি আম্মা তবে।” শাড়ির আঁচল দিয়ে চোখ মুছে আমিনা বলল “তাড়াতাড়ি আসিস বাপ। তুই ছাড়া আমার যে আর কেউ নাইরে।”

    সেই কোন ছোটবেলায় নাজিবুলের বাপ নানিদের পুকুরে ডুবে মরেছে। তারপর থেকে আম্মাই তার সব। হঠাৎ করেই একদিন দুপুর বেলা মদ গিলে এসে পুকুরে স্নান করতে নেমেছিল নাজিম। নাজিবুল তখন চার মাসের হবে। দিন নেই রাত নেই যখন তখন ওই দক্ষিন তলার মাঠে গিয়ে আরও দু-চারটে মাতালের সঙ্গে মিলে মদ গিলে আসত কয়েকদিন হল। তবে আমিনার গায়ে কোনদিন হাত তোলেনি। সেই একটা গর্ব আর ওই চারমাসের ছেলেকে নিয়ে এই ভিটেতে পরে রইল আমিনা। তখন থেকেই তার এই যুদ্ধ একার। তখন মাষ্টারের বয়সও ওই মাস চার পাঁচেকই হবে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে জন্ম মাষ্টার আর নাজিবুলের।

    বিনু আর আমিনা ছোটবেলা থেকেই সখী। পুতুলের বিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে, কালবৈশাখীর আম কুড়ানো সবই একসাথে করে এসেছে তারা। বিনুকে মজুমদার বাবুর বড় ছেলের পছন্দ হল। বিয়ে হল তার। আর আমিনা নাজিমের সাথে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করল। দুই সখীর বিয়ে হল পাশাপাশি দুই গ্রামে।

    নোয়াখালের জন্য এই এলাকার নাম নোয়াখালী। অতীতে শোনা যায় ডাকাতিয়া পাহাড় থেকে বৃষ্টির জল এসে প্রতিবছর ডুবিয়ে দিত ভুলুয়া জেলাকে। ভেসে যেত মাঠ ভরা পাকা ধান, ভেঙে পড়ত মাটির বাড়ি। কারোর বাপ নিখোঁজ হত, কারোর মা। তাই এই দীর্ঘ খাল কেটে নাম দেওয়া হয়েছিল “নোয়াখাল”। আর ভুলুয়ার নাম বদলে হয়েছিল নোয়াখালী। বর্ষাকালে প্রবল বৃষ্টিতে জল যখন চাষের জমি ছাপিয়ে যেত। ওই খাল দিয়ে জলগুলো বয়ে গিয়ে পড়ত মেঘনা নদিতে। চলতি ভাষায় গ্রামের মানুষ সেগুলোকে কেনেল বলত। আসলে ক্যানেল থেকে কেনেল শব্দ এসেছে। এই নোয়াখাল মোল্লাপাড়া আর সোনাপাড়াকে আলাদা করে রেখেছিল। ঘাটে মাঝিরা নৌকা নিয়ে বসে থাকত। কেউ কেউ সেই নৌকা করে খাল পেরিয়ে ভাড়া মিটিয়ে এপার ওপার যাওয়া-আসা করত। গ্রীষ্মকালে খালের জল শুকিয়ে যেত। তখন গাঁয়ের লোকজন হেঁটেই পার করে ফেলত নোয়াকে। সোনামাঝি, বল্টুমাঝি তখন মুখ শুকিয়ে যাত্রিদের বলত “ আসোনা গো। মোরা খাব কি?” কেউ কেউ তাদের ডাকে সারা দিত। কেউ আবার মুখ ঘুরিয়ে চলে যেত।

    সেসব কয়েক যুগ আগের কথা। মাষ্টার এসব শুনেছিল মায়ের কাছে। মাটির নিকানো বারান্দায় তিনধাপ সিঁড়ি ছিল তাদের। বর্ষার জল যাতে ঘরে ঢুকতে না পারে, তাই এ গাঁয়ের সবার ঘর উঁচু করা। সেই সিঁড়ির দ্বিতীয় ধাপে বসত বিনু। মাষ্টারকে বসাত একেবারে নিচের ধাপে। তারপর মাথায় চুপচুপে করে সরষের তেল মাখিয়ে দিয়ে বলত “আহা, মাষ্টার আমার।” মাষ্টার রেগে যেত। মুখ গোমড়া করে কাঁঠাল গাছটার নিচে গিয়ে দাঁড়িয়ে ঠোঁট ফোলাত। বিনু তখন পরম স্নেহে তাকে ডাক দিত “সুর্য, আয় বাবা। আচ্ছা আর মাষ্টার বলব না। আয় সোনা আমার।” মাষ্টারের রাগ গলে জল হয়ে যেত। আবার পিছন ফিরে মায়ের কোলে এসে বসত সে। বিনু মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে একদিন বলেছিল “রাগ করিস কেন বাপ? মাষ্টার তোকে তোর বাপ নাম দিয়েছিল।”

    ছোট্ট মাষ্টার প্রশ্ন করেছিল মা’কে ”তাহলে সুর্য কে?”

    বিনু বলেছিল ”যে মাষ্টারদা, সেই সুর্য।”

    মাষ্টার তখন মায়ের দিকে মুখটা করে গভীর আগ্রহে জিজ্ঞেস করেছিল “মাষ্টারদা সুর্য সেন মা?”

    বিনু মাথা নেড়ে উত্তর দিয়েছিল “হ্যাঁ বাবা। সেই মাষ্টারদা সুর্য সেন।” সেদিন মাষ্টার আংশিক বুঝেছিল এই পাঁচ বছর বয়সেও তাকে সবাই মাষ্টার নামে কেন ডাকে। কিন্তু পুরো ব্যাখাটা এখনও ঢের বাকি।

    নিজেদের তাঁবুর বাইরে দাঁড়িয়েছিল মাষ্টার। তার পাশে মাঠে থেবরে বসে পরেছে নাজিবুল। কালীপিসি, দিদো আর চন্ডি কাকিমা ভিতরে আমোদিনীর কাছে বসে। বাইরে ঝড় নিজের গতিবেগ বাড়িয়েই চলেছে। গাছগুলো আরও যেন নুয়ে পরছে। এবার তারা মাটি ছোঁবে। নবীন কাকা এসে বলল “পইপই করে বললুম। বৌমাকে ওই বাড়িতে নিয়ে যেতি। একটা কথাও যদি শুনিস তুই।” নাজিবুল মুখটা শুকনো করে বলল “আমিও কয়েসিলাম।” শিবু কাকা এসে বলল “চলো চারজনে মিলে চারটে খুঁটিতে বরং চেপে বসে পড়ি। তাতে কিছুটা হলেও রক্ষে পাওয়া গেলেও যেতি পারে।” তারপর দাঁত খিঁচে বলল “মরণের ঝড় উঠিছে।” নাজিবুল খানিক হেসে বলল “তা শিবু চাচা, এ ঝড় ওই খুটিশুদ্ধ তোমায় উইরে নে চলে যাবেনা তো?” ঝড় নিজের গতিতে বইছে তখন। বৃষ্টি আসবে আসবে করেও থেমে আছে। মাষ্টার ভাবছে, তাদের জীবনে যে ঝড় এসেছে এই ঝড় তার কাছে কিছুই নয়।

    পরবর্তী পর্ব শনিবার (চেষ্টা করব)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ধারাবাহিক | ১৪ জুন ২০২১ | ২০৪১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন