এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ধারাবাহিক  গপ্পো

  • রাজরক্ত (রহস্য গল্প) : ৪র্থ পর্ব

    Ranjan Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | গপ্পো | ২৯ জুন ২০২১ | ২৩০৭ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮
    (৪) কুন্দনন্দিনীর কথা ২৫/০৩/২০০২ বিকেল ৫.৩০

    বাবা আমার নাম রেখেছিল কুন্দনন্দিনী, বিষবৃক্ষের নায়িকা। কিন্তু আমার বয়ে গেছে অমন ন্যাকাবোকা মেয়ে হতে। আমি একেবারে রোহিণী, হ্যাঁ, ‘কৃষ্ণকান্তের উইলে’র রোহিণী। আমি যা চাই তা আদায় করে নিতে পিছপা হই না।আমি দিদির মত অত ভাবের ঘোরে থাকি না। বেশি সংস্কৃত সাহিত্য আর বৈষ্ণব পদাবলী পড়লে অমন হয়। দিদির ওই ‘মথুরা নগরে প্রতি ঘরে ঘরে যাইব যোগিনী হইয়ে’ ভাব আমার পোষায় না। আসলে ওই যারা অমন ‘ধরি ধরি মনে করি ধরতে গেলে আর পেলাম না’ ভাবে থাকে তারা হয় নিজেকে ঠকায়, নয় হিপোক্রিট।

    নিশ্চিত ছিলাম, আমাকে কী করতে হবে। ওই রাজপরিবারের অহংকারী ছেলেটা, ওকে ঘায়েল করতে হবে। জানি ওর জন্যে শান্তিনিকেতনের অনেক মেয়ে হেদিয়ে মরছে। কিন্তু এটাই তো চ্যালেঞ্জ, ও শুধু আমার হবে। ওর মাথা আমার পায়ে রগড়ে দেব। বাবা গীতগোবিন্দম থেকে আওড়াতেন না? ‘দেহি পদপল্লবমুদারম’!

    আরে হ্যাঁ, বিষবৃক্ষেও আমার মত একটি মেয়ে আছে-হীরা, হীরা মালিনী। যার পায়ে ধরে দেবেন্দ্র বলেছিল ‘দেহি পদপল্লবমুদারম’? কিন্তু উপন্যাসের শেষে হীরা পাগল হয়ে খালি ওই গানটাই গাইত; আমি পাগল হব না। ঠান্ডা মাথায় খেলব। বীরেন্দ্রপ্রতাপের সব প্রতাপ ঘুচিয়ে ছাড়ব।

    তখন যা যা করার ছিল সব করেছিলাম। এমনকি প্যাডেড ব্রা পরা শুরু করেছিলাম। ফার্স্ট ইয়ারে কিছু ছেলের এদিক ওদিক থেকে উড়ে আসা কমেন্ট ‘নিমাই’ কানে আসত। মাথায় আগুন জ্বলে উঠত। মাণিক বন্দ্যোপাধ্যায় ভুল লিখেছেন, আসলে ছেলেরা নয়, মেয়েরা মনে মনে ছেলেদের জিজ্ঞেস করে - ‘শরীর শরীর তোমার মন নাই’? এসব দিদিকে কিছু বলিনি। খালি ওই ব্রা দেখে দিদি নাক কুঁচকে বলেছিল - তোর কী হয়েছে, বলতো?

    দিদিকে কোন দলে ফেলব? নেকুপুষু না হিপোক্রিট? দুটোই; খানিকটা খানিকটা। ওর ‘পেটে খিদে মুখে লাজ’ ভাবটা ধরা পরে গেছল সেই বোলপুর লজের পাশের রেস্টুরেন্টে, যেদিন আমরা দুই বোনে সত্যের সম্মুখীন হলাম। নির্মম রূঢ় সত্য।

    আমার গোবিন্দলাল অনেক বড় খেলুড়ে। ভ্রমর ও রোহিণী দুজনকেই হাতে রাখতে চায়। তার জন্যে যত্ন করে জাল বিছিয়েছে।আমরা দুই বোন সেই জালে পড়ে ছটফট করেছি। একজন আরেক জনের দিকে আঙুল তুলে শাসিয়েছি - তুই কি করে এমন করলি? একটু চোখের চামড়াও নেই? নির্লজ্জ, বেহায়া!

    কিন্তু ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে ভাবতে বসলাম। আমরা প্রতারিত, দুজনেই ঠকেছি। এখন এই হেরো খেলাটা কি করে গ্রেসফুলি শেষ করা যায়? ঠান্ডা মাথায় ভাবতে হবে। তখন জানলাম যে দিদির পেটে বীরেন্দ্রপ্রতাপের বাচ্চা এসে গেছে। কিন্তু বীরেন্দ্র’র থেকে কোন খবর কোন ফোন নয়। ওর সিমকার্ড বদলে ফেলেছে।

    আমার মাথায় বাজ, এটা কী করল দিদি? না, ও হিপোক্রিট নয়, শৈবলিনী নয়, একেবারে কলংকিনী রাধা! তখন টের পেলাম - আমার ওই বোকা সরল দিদিকে আমি কতটা ভালবাসি। ভগবান পুরোপুরি একচোখো নন, ওই সময়ে আমরা দু’জনেই চাকরি পেয়ে গেলাম। দিদিকে আমার কাছে নিয়ে গেলাম। ওখানেই খোকা জন্মাল, অনেকটা বিশেষ করে চোখদুটো ওর বাবার মত। দিদি নাম রাখল নরেন্দ্র।

    আরও আঘাত এল। বাবা চলে গেলেন। আমার চোখের জল শুকিয়ে গেল। হ্যাঁ, লড়াই করতে হবে। ফার্স্ট রাউন্ড গোবিন্দলালের, কিন্তু এরপর যদি ওকে ঘরছাড়া সন্ন্যাসী না করেছি! ঠান্ডা মাথায় প্ল্যান আঁটলাম। দিদির চাকরিটা ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুরে হওয়ায় সুবিধে হোল। এক বছরের মাথায় জানতে পারলাম যে সত্যিই বোম্বাগড় নামের একটা ছোটখাট এস্টেট মধ্যপ্রদেশের শাহডোলের কাছে বূড়ারে আছে। এও জানলাম যে ওদের যুবরাজ এখন বীরেন্দ্রপ্রতাপ। বুড়ো রাজা এখনও বেঁচে। ওঁর অবর্তমানে ওই গদিতে বসবে। যাক, অনেক মিথ্যের মধ্যে এটুকূ অন্ততঃ সত্যি।

    এবার মাথায় এল যে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করতে হবে। একেবারে ‘অভিজ্ঞান শকুন্তলম্‌’ স্টাইলে, খালি সঙ্গে কোন কণ্বমুনি নেই। জেনেছি ও বেশিরভাগ সময় থাকে ওদের বিলাসপুর শহরের প্রাসাদে, নাম বোম্বাগড় প্যালেস।

    দিদিকে রাজি করিয়ে বিলাসপুর শহরে গিয়ে একদিন রেকি করে বাড়িটা দেখে নিলাম। হ্যাঁ, যুবরাজ সাহিব প্যালেসে আছেন। সকাল দশটা থেকে বারোটা অব্দি উনি দরবারে বসেন। তখন দেখা করা যাবে।

    পরের দিন, ঠিক এগারটার সময় আমরা হাজির। দিদি, আমি ও দিদির কোলে নরেন্দ্র। বুক ঢিপ ঢিপ করছে, যেমন শান্তিনিকেতনে স্টেজে ওঠার সময় করত।

    যদি অস্বীকার করে তবে সবার সামনে ওর মুখোস খুলে দেব। আমাদের দুজনের অনামিকাতে পরা ওর দেয়া সেই আঙটি দুটো।

    বড় লোহার গেট পেরিয়ে একটা বড় আঙিনা, বড় সবুজ লন। একটা লোকের হাতে চেনে বাঁধা দুটো কুকুর। দরবারের বাইরে একটা ছোট ঘরে আমাদের বসতে বলে একটা লোক একটুকরো স্লিপ আর কলম ধরিয়ে দিয়ে বলল আমাদের নামধাম এবং দেখা করার কারণ সংক্ষেপে লিখে দিতে। বাংলায় লিখলাম-শান্রিনিকেতনের শৈবলিনী ও কুন্দনন্দিনী; সাক্ষাতের উদ্দেশ্যঃ ব্যক্তিগত।

    তারপর স্লিপ নিয়ে ও ভেতরে চলে গেল। দরবারের দরজার ভেলভেট নীল পর্দা হাওয়ায় দুলছে। কিছু কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে।

    একটু পরে লোকটি বাইরে এসে জানাল যুবরাজ সাহিব দেখা করতে চান না। উনি আপনাদের চেনেন না। অপরিচিত মহিলাদের সঙ্গে উনি দেখা করেন না। দিদির চোখে জল। ও বলতে লাগল, ‘প্লীজ, প্লীজ, কোথাও একটা ভুল হচ্ছে। একবার ভেতরে যেতে দিন। দেখলেই ঠিক চিনতে পারবেন’।

    লোকটার মুখের চেহারা কঠিন হোল। একবার বাচ্চার দিকে তাকিয়ে ও কড়া স্বরে বলল, ‘ইয়ে সব নহীঁ চলেগা, মেডামজি! অব আপ জাইয়ে’। ওর ইশারায় আরও দুজন লোক এগিয়ে এসে দিদির রাস্তা আটকালো। গায়ে হাত না দিয়েও প্রায় ঠেলতে ঠেলতে ওকে লনের দিকে নিয়ে চলল।

    আমার কেমন শীত শীত করছে। কত কি বলব, কেমন করে বলব-সব রিহার্সাল দিয়ে এসেছিলাম, কিন্তু এই মুহুর্তে সব গুলিয়ে গেছে। ওরা ছেলে কোলে দিদিকে আটকাতে ব্যস্ত, আমি সোজা পা চালিয়ে পর্দা ঠেলে ভেতরে ঢুকে গেলাম। একটা মেহগনি কাঠের বেশ ডিজাইন করা সিংহাসনে বছর তিরিশের এক সুপুরুষ ব্যক্তি বসে। সামনে একজন ঝুঁকে একটা ফাইল ধরে রেখে তাঁকে দস্তখত করাচ্ছে। বেশির ভাগ লোকজন জাজিম পাতা মাটিতে বসে। আরও দু’একটা চেয়ার এদিক সেদিক পাতা। আমি ঢুকতেই সভার গুঞ্জন বন্ধ হয়ে গেল। সিংহাসনে বসা ব্যক্তিটি মুখ তুলে অবাক হয়ে আমাকে দেখছেন।

    আমি থতমত খেয়ে বললাম - যুবরাজ সাহাব সে মিলনা হ্যায়।

    ওঁর ভ্রূ কুঁচকে উঠল, ‘বোলিয়ে, ক্যা বাত হ্যায়’?

    আমার হিন্দি জবাব দিয়েছে। ইংরেজিতে বললাম - কুন্দনন্দিনী অ্যান্ড শৈবলিনী ফ্রম শান্তিনিকেতন। ইউ মে রিমেমবার আস।

    ভদ্রলোকের ভদ্রতার মুখোস খসে পড়ল। সোজা দাঁড়িয়ে উঠে ঠেট হিন্দিতে বললেন — কৌন ইনহে অন্দর ঘুসনে দিয়া? একদফে নেহী বোল দিয়া ফির ভি -- মঙ্গল সিং? কহাঁ মর গয়া সালে?

    তারপর দু’জন ভৃত্যগোছের লোককে বললেন - ‘ইস আওরত কো বাহার তক, নহীঁ রাস্তা তক ছোড়কে আও। অউর শুনো, আজকা দরবার এহীঁ খতম। দিমাগ খরাব কর দী’। এরপর উনি গটগটিয়ে ভেতরে চলে গেলেন।

    আমরা বিলাসপুর স্টেশনে এসে রায়পুরের ফিরতি ট্রেন ধরলাম। দিদির কোয়ার্টারে এসে সেদিন আমরা গুমশুম, কেউ কথা বলছি না। পরের দিন বিকেলে আমি কোলকাতায় ফেরার বোম্বে মেইল ধরব। সকালে দিদি বলল, এবার ওকে ভুলে যাওয়াই ভাল রে ছোটু। আজ থেকে ও আমাদের জন্যে নেই হয়ে যাক। নরেন্দ্র জানবে ওর বাবা নেই, অ্যাক্সিডেন্টে মারা গেছে। যে নিজের ছেলেকে দেখতে চায় না – দিদি আবার ফুঁপিয়ে উঠল।

    - একটা কথা দিদি। আমি কাল ভেতরে গিয়ে দেখা করলাম। ও বোধহয় বীরেন্দ্রপ্রতাপ নয়।
    -- কী বলছিস কি? বীরেন্দ্রপ্রতাপ নয়? যুবরাজ নয়? তাহলে ও কে?
    -- সেটাই তো কাল থেকে ভাবছি। আমি তো যুবরাজের সঙ্গেই কথা বললাম। চেহারাটা একটু মেলে, কিন্তু বয়সে অন্ততঃ পাঁচ বছরের বড়।
    -- আরে ও ছাড়া আর কে হবে? আসলে সিংহাসনের দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে বয়েস বেড়ে গেছে।
    -- মাত্র এক বছরে এতটা ফারাক? মামলা কুছ গড়বড় হ্যায়।
    -- ছেড়ে দে ছোটু; উই মাস্ট মুভ অন নাউ। নরেন্দ্রকে বড় করতে হবে। অনেক কাজ। ওই বোম্বাগড়কে ভুলে যা! যদি কোন দিন পথে ঘাটে দেখা হয়, চিনতেও পারে — আমি চিনব না।

    এভাবেই কেটে গেছে দশটা বছর। আমি আসানসোলের কলেজে বাংলার হেড সুমন্ত্রকে বিয়ে করেছি। নরেন্দ্র আমাদের কাছে বড় হচ্ছে। আমরা ওর মা-বাবা, দিদি ওর বড় মাসি। সুমন্ত্র সবটা জানে, শুধু আমার দিকটা ছাড়া। সেই আঙটিটা দিদিকে রাখতে দিয়েছি। এতদিনে বুঝে গেছি - সব লড়াই জেতা যায় না।

    কিন্তু সব গন্ডগোল করে দিল ওই গতকাল ডাকে আসা চিঠিটা। আগামী ২৭ তারিখ অমাবস্যার রাতে ছিন্নমস্তার মন্দিরে বোম্বাগড়ের কুলদেবীর বার্ষিক আরাধনায় আমি আমন্ত্রিত! আবার দিদিও ওই একই চিঠি পেয়েছে।

    সাতপাঁচ ভেবে ঠিক করেছি আমরা যাব। যে পাঠিয়েছে সে আমাদের জানে শুধু নয় ভাল করে খোঁজখবর রাখে, মায় আমাদের বর্তমান ঠিকানা পর্য্যন্ত। এ’রকম কে হতে পারে সেই একজন ছাড়া? কিন্তু কেন? সে’সময় এত অসম্মান এত প্রত্যাখ্যানের পর আজ দশ বছর বাদে কিসের দরকার পড়ল? বিবেকের দংশন? ওর মত লোকের বিবেক থাকে? নাকি কোন সমঝোতা করতে চায়? কে জানে! অনেকগুলো সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি।

    আর সব ছাপিয়ে জেগে উঠেছে একটা কৌতুহল। আসল বীরেন্দ্রপ্রতাপ কে? কী তার পরিচয়? নাম-পরিচয় ভাঁড়িয়ে কি কেউ শান্তিনিকেতনে পড়তে পারে, ভর্তি হতে? আফটার অল, একটা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি তো বটে। স্কুল-লিভিং সার্টিফিকেটে নামঠিকানা কুলজি সব তো থাকে। তাহলে? সেই প্রশ্নের সমাধানে যাওয়া, আর পারলে ওর নাক রগড়ে দেয়া। কিন্তু যদি সব ঠিক হয়ে যায়? দ্যুষ্মন্ত শকুন্তলাকে চিনতে পারে আর ভরতকে কাছে ডেকে নেয়? আমার কষ্ট হবে ভরতকে ছেড়ে দিতে। কিন্তু দিদি? ওর কথা ভেবেই কিছু করতে হবে।

    আমরা যাচ্ছি। শুধু দু’জন — শৈবলিনী ও কুন্দনন্দিনী। সুমন্ত্রের কাছে নরেন্দ্র রইল। ছিন্নমস্তার মন্দিরের ফটো তুলে এনে ওদের দেখাব। সুমন্ত্র সঙ্গী হতে চেয়েছিল, রাজি হইনি। ঠিক করলাম কি? তবে সাবধানের মার নেই। আপাততঃ ভাল করে প্যাকিং করে ফেলি।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮
  • ধারাবাহিক | ২৯ জুন ২০২১ | ২৩০৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ৩০ জুন ২০২১ ২৩:১৪495490
  • এলসিএম


       ধন্যবাদ। শুধরে দিয়েছেন লাস্ট একটা রিকোয়েস্ট।


    ডানদিকে  যেখানে বর্তমানে সক্রিয় লেখাগুলোর বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয় সেখানে শুধু পর্ব চার রেখে বাকি দুইতিন গুলো উড়িয়ে দেয়া যাবে? খামোখা জায়গা জুড়ে রয়েছে।

  • অমিত সেনগুপ্ত | 27.59.98.19 | ০২ জুলাই ২০২১ ১১:৪০495532
  • বেশ জমে উঠেছে। বাকী পর্বের অপেক্ষায় আছি। 

  • :|: | 174.255.0.8 | ০২ জুলাই ২০২১ ১১:৪৮495533
  • জাল রাজকুমার? মানে, ঝিন্দের বন্দীর ছায়ায়? হায়! সেই সিনেমার ময়ূরবাহন ...

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন