এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হোটেল ম্যানেজার - ৪

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৯ জানুয়ারি ২০২২ | ৭৫৫ বার পঠিত
  • তিলোত্তমার দোতলায় ছ নম্বর ঘরটা একেবারে একফালি। খুবই ছোট। লাগোয়া বাথরুমও নেই। এ ঘরটায় সপ্তাহে পাঁচদিন থাকে অমিতাভ। অমিতাভ ভট্টাচার্য। একটা বেসরকারী আর্থিক লগ্নি সংস্থায় কাজ করে। কোম্পানির হাল খুব খারাপ। নানারকম সরকারি নিয়মকানুন আসছে মাঝেমাঝেই। সে সব মেনে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া মুশ্কিল। কোম্পানি গুটিয়ে যেতে পারে যে কোন দিন। অমিতাভ ছাড়া তার একজন সহকর্মী অলোক সিনহা তিলোত্তমায় থাকে সপ্তাহে পাঁচদিন, সোম থেকে শুক্র। শুক্রবার অফিস করে কলকাতায় ফেরে দুদিনের জন্য। দুজনের মনেই চাপা শঙ্কা এবং উদ্বেগ চাকরি হারাবার।

    অলোকের অবশ্য এক দিক দিয়ে বাঁচোয়া। সে বিয়ে থা করেনি। সুতরাং সাংসারিক দায়িত্ব কম। অমিতাভ বিবাহিত এবং তিন বছরের একটা ছেলে আছে। দুজনেরই বয়স পঁয়ত্রিশের আশেপাশে। স্বেচ্ছাবসর প্রকল্পের আওতায় যদি পড়ে তারা, এককালিন কিছু টাকা পাবে আশা করা যায়। তাছাড়া সামান্য কিছু টাকা প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্র্যাচুইটি বাবদ পাওয়া যেতে পারে। স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প ছ মাসের ভেতর কার্যকরী হবার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। তারপর কি হবে অমিতাভ বা অলোক কেউই জানে না। এবারের পুজোটা কেমন কাটবে তা নিয়ে ওদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা তেমন বলার মতো কিছু নয়। কোন কারিগরি প্রশিক্ষণও  নেই। সুতরাং চাকরিটা চলে গেলে তাদের জীবনতরী সংসারের তরঙ্গসংকুল অকূল পাথারে হাবুডুবু খেতে থাকবে এটা সহজেই অনুমান করা যায়। 

    ছ নম্বরের উল্টোদিকে সাত নম্বর ঘর। অ্যাটাচড বাথ আছে। আপাতত দিন দশেক ধরে এক দম্পতি আছে ওঘরে। সঙ্গে একটা পাঁচ বছরের বাচ্চা।
    বাচ্চাটা সকালে ঘুম থেকে ওঠে নটা নাগাদ। সেই সময় থেকে রাত্রে তার ঘুমোতে যাবার সময় পর্যন্ত প্রায় সারাক্ষণ তার মায়ের গলা শোনা যায়— ‘ বান্টি.... বান্টি.... শিগ্গীর এস... চলে এস বলছি.... তাড়াতাড়ি চলে এস .... আর একবার ডাকব .... তার মধ্যে না এলে খুব খারাপ হবে কিন্তু ...’
    ইত্যাদি ইত্যাদি ..... সারাদিন চলতে থাকে। ছেলেটার বাবা  সারাদিন লজে থাকে না। 
    রাত দশটার পরে ফেরে। বোধহয় কোন ব্যবসায়িক কাজে কাঁথিতে এসেছে।
    শরীরটা ম্যাজম্যাজ করছে বলে সেদিন আর অফিসে যায়নি অমিতাভ। অলোক একাই বেরিয়ে গেল। দুপুরে এক ঘুম দেবার পরে বিকেল পাঁচটা নাগাদ বিছানায় বসে ছিল। বাপি এসে কাঁচের গ্লাসে চা আর দুটো বিস্কুট দিয়ে গেল। 
    গ্লাসের চায়ে একটা চুমুক দিয়েছে সবে, এমন সময়ে কোথা থেকে মহা দুরন্ত বান্টি যেন আচমকা গঙ্গা ফড়িংয়ের মতো উড়ে এসে সুড়ুত করে অমিতাভর ঘরে ঢুকে পড়ল। 
    ওদিকে করিডোর থেকে বান্টির মা চেঁচাতে লাগল, ‘ বান্টি... বান্টি... কোথায় গেলি ... চলে এস বলছি .... চলে এস... খুব মার খাবে কিন্তু ...’
    বান্টি কোন উত্তর না দিয়ে অমিতাভর খাটের ওপর ধমাস করে শুয়ে পড়ল। শুয়ে শুয়ে সিলিং-এর দিকে তাকিয়ে বোধহয় তার পরবর্তী কোন উদ্ভট কার্যক্রম পরিকল্পনা  করতে লাগল।
    অমিতাভ তার ঘর থেকে একটু গলা তুলে বলল, ‘ এই যে.... এখানে....’
    ছ নম্বর ঘরের দরজায় বান্টির মা আবির্ভূত হলেন । বত্রিশ তেত্রিশ বছর বয়েস হবে। বেঁটেখাটো গোলগাল চেহারা। চোখে লালচে রঙের ফাইবারের চশমা। 
     — ‘ ও: হো .... এখানে ঢুকে বসে আছে ! কি বজ্জাত বলুন দিকিনি... সারাদিন একদন্ড স্থির নেই .... এত ছোটাছুটি করতে পারি আমি .... বলুন তো !’
     বান্টির মা ঘরে ঢুকলেন না। দরজায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নিজের ছেলের সম্বন্ধে অভিযোগ জানাতে লাগলেন। অমিতাভকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ আপনি এখানে চাকরি করেন ?’
     — ‘ হ্যাঁ , সেইরকমই ..... আপনারা কি কলকাতা থেকে ?’
    — ‘ না না .... আমরা মেচেদায় থাকি। আমার হাজব্যান্ড ইলেকট্রিক্যাল জিনিসপত্রের ব্যবসা করে। ওই ব্যাপারেই এখানে আসা। আমি কাঁথিতে আগেও কয়েকবার এসেছি । এবারে চলে এলাম। দীঘায় ঘুরে যাবার ইচ্ছে আছে। আমার মাসতুতো বোনের বিয়ে হয়েছে ওই সাইডেই। ওর শ্বশুর বাড়িতে যাইনি কখনও। ওই বোন আমারই বয়সী। খুব মিস্টি দেখতে। আলোর পাখি সিরিয়ালে পার্ট পেয়েছিল ।একটুখানি অবশ্য। তবু সিরিয়ালে পার্ট তো পেয়েছে। টি ভি সিরিয়ালে পার্ট পাওয়া কি চাট্টিখানি কথা ! সিরিয়ালটা দেখেছেন ? ওই যে ওই  জায়গাটায়.... যেখানে .... সবাই মিলে খাবার টেবিলে খেতে বসেছে। ওখানে একটা মেয়ে খাবার দিচ্ছিল... তার হাত লেগে জলের গ্লাসটা উল্টে গেল .... জল পড়ল নতুন জামাইয়ের পোশাকে।ওই মেয়েটাই হল.....’ 
     এই অনর্গল বাক্যস্রোতে বাধা পড়ল। এতক্ষণ মনোযোগের বাইরে থাকা বান্টির মন:পূত হচ্ছিল না। সে এবার সক্রিয় হল।
    সে হঠাৎ অমিতাভর বিছানা বালিশ তছনছ করতে আরম্ভ করল। বিছানার ওপরে থাকা কাগজপত্র ছিটকে পড়ে গেল  নীচে। অমিতাভ একরকম আকস্মিক উৎপাতে হতচকিত হয়ে পড়ল। 
     — ‘ এ: হে .... এই না ... দাঁড়াও... দাঁড়াও ... ‘ অমিতাভ প্রায় আর্তনাদ করে উঠল। কিন্তু কে শোনে কার কথা। বান্টি দুম করে  অমিতাভর কোলে গিয়ে পড়ল এবং তার মুখের দিকে তাকিয়ে জিভ বার করে মুখ ভ্যাংচাতে লাগল।
     এতে বান্টির মায়ের বিরাট কোন ভাবান্তর হল না। তিনি বললেন, ‘বান্টি .... কি হচ্ছে কি ? দিনকে দিন এত অসভ্য হচ্ছ তুমি ! ওঠ বলছি .... শিগ্গীর ওঠ। ভীষণ বজ্জাত ..... ।’
     কিন্তু মায়ের কথা মান্য করার কোন লক্ষ্মণ দেখা গেল না বান্টির । সে মুখ ভ্যাংচানোটা বন্ধ করল বটে, তবে অমিতাভর কোল থেকে উঠল না। অমিতাভ এমন অবাঞ্ছিত বিড়ম্বনা সহ্য করতে রাজি হল না। সে বান্টিকে ঠেলা মারতে লাগল কোল থেকে তুলে দেবার জন্য। কিন্তু বান্টি এত সহজে হার মানবার পাত্র নয়। সে অমিতাভর কোমরের কাছটা জড়িয়ে ধরে কোলের কাছে সেঁটে রইল। 
      বান্টির মা বেশিক্ষণ চুপ করে থাকতে পারেন না। তিনি আবার কথা শুরু করলেন, ‘ আপনার বাড়ি কোথায় .... কলকাতায় ? ‘
     অমিতাভ বান্টিকে কোল থেকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে যেতে বলল, ‘ হ্যাঁ.... কসবায়।’
     — ‘ ও কসবায় ?  চিনি চিনি .... আমার এক দেওর ওখানে থাকে.... ওই যে কি যেন জায়গাটা.... প্রচুর পয়সা ..... দুটো গাড়ি.... যে যেমন কপাল করে জন্মেছে ..... তাই না ? .... অ্যা..ই বান্টি .... ওঠ, ওঠ বলছি ... দাঁড়াও বাবা ফিরুক .... তারপর তোমার হচ্ছে .... ‘
     শেষের দিকের কথাগুলোয় মন্ত্রের মতো কাজ হল। বান্টি অমিতাভকে ছেড়ে দিল, তারপর কি একটা চিন্তা করে তড়িৎ গতিতে তার মায়ের হাতের ফাঁক গলে এক ছুটে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। বান্টির মা ‘ বান্টি ... তুমি একদম ছাতে যাবে না .... বান্টি ... বান্টি ‘ বলে চেঁচাতে লাগলেন। অমিতাভকে বললেন, ‘ আসছি... দেখি আবার কোথায় গেল.... বড় বজ্জাত.... বান্টির বাবার সঙ্গে আপনার আলাপ করিয়ে দেব অখন .... আ..সছি....’। বলে ভদ্রমহিলা অন্তর্হিত হলেন। অমিতাভ হাঁফ ছেড়ে বাঁচল। এই সময়ে বাপি এসে হাজির হল। বলল, ‘ কাকু চায়ের পয়সাটা এখন দেবেন ...নাকি পরে ? ‘
     — ‘ না না... নিয়ে যা ...’ অমিতাভ পার্স থেকে দশটা টাকা বার করে।
    —  ‘ কানের ঝিটকি নড়িয়ে দিয়েছে তো ? ‘
    — ‘ মানে ? ‘
    — ‘ না... ওই সাত নম্বরের বৌদির কথা বলছি । বৌদি কিন্তু লোক খুব ভাল । একদম সাদা সিধা। একটু বেশি বকে ঠি কই..... ওর বরটা কিন্তু রাম হারামি .... একদম বেশি মিশতে যাবেন না ওর সঙ্গে।এখানে কোথায় যে কি করে বেড়ায় কেউ জানে না। ‘ বাপি দরজার মুখে দাঁড়িয়ে এদিক ওদিক দেখতে দেখতে চাপা স্বরে কথা বলতে থাকে।
    —- ‘ এই যে বলল ইলেকট্রিক্যাল সরঞ্জাম .... ‘
    — ‘ আরে দূর দূর ... ওসব ফালতু কথা । ইলেকট্রিক না ছাই... কাঁথিতে আবার ইলেকট্রিকের কিসের কারবার।ওর ব্যাপার নিখিল দাস সব জানে .... নিখিল দাসকে চেনেন তো ? ওই যে এগারো নম্বরের বোর্ডার।’ তারপর এক চোখ টিপে রহস্যময় ভঙ্গীতে ‘এঁচড়ে পাকা ‘ বাপি বলল, ‘ রতনে রতন চেনে, শুয়োরে চেনে কচু .... হ্যা: হ্যা: হ্যা:’ ।
    — ‘ কিন্তু ওই ভদ্রমহিলা তো....’
    — ‘ ওই যে বললাম বৌদি খুব সাদা সিধা। লোকটার নাম শুভঙ্কর পাল। হেব্বি সেয়ানা। ভাবছে আমরা কিছু বুঝি না, ঘাসে মুখ দিয়ে চলি। এই যে বৌকে সঙ্গে নিয়ে নিয়ে ঘুরছে এটাও একটা চালাকি... ভাবছে কেউ কিছু বুঝবে না।’
    — ‘ অ্যাই বাপি কি সব আবোল তাবোল বলছিস.... লোকের নামে ওরকম বদনাম করতে নেই....’
     — ‘ মা ক্কালি .... কাকু, যা বলছি সব হানড্রেড পার্সেন্ট ঠি ক  বলছি। আপনাকে আমার খুব ভাল লাগে .... মাইরি বলছি .... তাই বললাম, যাতে আপনি সাবধানে থাকেন .... ‘।
    — ‘ কিন্তু তুই তো শুধু বকবক করে যাচ্ছিস । আসল কেসটা কি তাই বল ।’
     বাপি কি একটা বলার জন্য অমিতাভর পাশে বসতে যাচ্ছিল।এমন সময়ে ‘ চল চল.... ঘরে চল ... চল বলছি .... উ : , এই একটা ছেলেতে হাড়মাস একেবারে কালি করে করে দিলে গো ... বাবা আসুক আজকে .... হচ্ছে তোমার ... ‘ বলতে বলতে ছেলেকে কোথা থেকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে অমিতাভর ঘরের দরজার সামনে এসে পড়লেন বান্টির মা। 
     বাপি চকিতে সাবধান হয়ে গেল। সে বলল , ‘ পরে পরে.... এখন যাই । নীচে ডাকছে।’ 

       রাত প্রায় সাড়ে  আটটা বাজে। কাঁথি বাইপাস- দীঘা রোডের মোড় নির্জন। রাস্তায় আলো আছে, তবে দুপাশের চাষের জমিতে জমাট আঁধার।ঝিঁঝি ডাকছে। শুভঙ্কর পাল ওখানে দাঁড়িয়ে একজনের সঙ্গে ব্যবসায়িক আলোচনা করছিল। শুভঙ্করের চেহারা লম্বা, কালো, রোগা, দরকচা মারা। তার আলোচনার সঙ্গীর চেহারা 
    ঠি ক তার উল্টো। ফর্সা এবং হৃষ্টপুষ্ট। তার নাম কৌশিক গিরি।
    সে বলল, ‘ অন্তত দশলাখ  তুলতে না পারলে লস খেতে হবে। রাস্তায় খাবার লোক তো কিছু কম নেই।’
     — ‘ তাছাড়া এজেন্টদের পেমেন্ট আছে। ইন্টেরিয়রে ঘুরে ঘুরে  ওরা কালেক্ট করছে..... ‘ , শুভঙ্কর বলে পান চিবোতে চিবোতে। 
    — ‘ হ্যাঁ হ্যাঁ বটেই তো ... বটেই তো । আর একটা কথা.... যেটা আগেও বলেছি .... ভুলেও যেন কাউকে টাকার গরম দেখাতে যেও না। যেমন ইলেকট্রিকের ব্যবসা করছ, তেমনি করতে থাক।’ কৌশিক গিরি ব্যবহারিক পরামর্শ দেয়।
    — ‘ এসব আবার আমাকে বলতে হয়। তিনবছর হয়ে গেল এ লাইনে।’
     বাইপাসের মুখ থেকে ডানদিকে বাঁক নিয়ে একটা হেডলাইট জ্বলা সিএসটিসি-র বাস তীব্র গতিতে দীঘার দিকে বেরিয়ে গেল। 
     কেষ্ট, বাপি আর ননী এখন এই ভরা জমজমাট মিল টাইমে তিলোত্তমার একতলায় খাবার পরিবেশন করছে।
     অমিতাভ আর অলোক নীচে খেতে নামল।
     ( ক্রমশ: )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন