এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হোটেল ম্যানেজার - ৭

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ৭০৩ বার পঠিত
  • নিখিল দাসের বাড়ি বারাসাতের কাছাকাছি। ওখান থেকে একটা মর্মান্তিক খবর এল সকাল সাতটা নাগাদ। তার বড় মেয়ে ঐশীকে কাল ফাঁকা রাস্তা থেকে কারা তুলে নিয়ে গেছে। এখনও পাওয়া যায় নি। মেয়ের বয়স  আঠারো উনিশ হবে। কলেজে সেকেন্ড ইয়ারে বি কম পড়ে। বাবার মতোই চালাক চতুর। তাকে অপহরণ করা খুব সোজা ব্যাপার না। ফোনটা এসেছিল স্থানীয় থানা থেকে। নিখিল সাত সকালে ওরকম একটা বার্তা পেয়ে প্রাথমিকভাবে বেশ ঘাবড়ে গিয়েছিল ঠিকই  কিন্তু সামলে নিতে সময় নেয় নি। সে মাথা ঠান্ডা রেখে সম্পূর্ণভাবে বিভ্রান্ত কোনো মেয়ের বাপের মতো নয়, একজন তদন্তকারি অফিসারের কেতায় অনায়াস ভঙ্গীতে জিজ্ঞাসা করল, ‘মোলেস্টেশান বা রেপ টেপ-এর কোন ফাইন্ডিং আছে?’  
    ওদিক থেকে বিরক্তিতে ভরা সাব ইন্সপেক্টরের নীরস কেঠো স্বর — ‘ আরে  মশায় .... সেটা কি করে বলব  এখন! কেস ট্রেস করি আগে। আজব লোক তো আপনি! আপনার ওয়াইফ আর ছোট মেয়ে এখানে বসে আছেন। নার্ভাস ব্রেকডাউন হয়েছে ম্যাডামের..... আপনি জলদি চলে আসুন। ম্যাডামের সঙ্গে কথা বলবেন কি? ’
    — ‘ না না ... কথা বলার দরকার নেই। কি আর বলব .... ঠিক আছে .... ’
    — ‘ আচ্ছা ঠিক আছে। এনিওয়ে, আপনি এক্ষুণি স্টার্ট করুন ওখান থেকে। ইনভেস্টিগেশনে আপনার অ্যাসিস্ট্যান্স দরকার হবে । ওকে...’ 
    — ‘ হ্যাঁ ওকে ওকে.... এক্ষুণি বেরুচ্ছি।’, নিখিল জবাব দেয়।
    পুলিশ অফিসার লাইন কেটে দেন। 

    ঐশীকে পাওয়া গেল সন্ধেবেলায় বেশ খানিকটা দূরে অচেতন অবস্থায়। চোখে দেখে যা মনে হচ্ছে, ধর্ষণ যে হয়েছে সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। গণধর্ষণ হয়েছে কিনা সেটা ফরেনসিক রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে। আগামীকাল মেডিক্যাল টেস্ট হবার কথা। পুলিশ গোটা ব্যাপারটায় প্রচুর তৎপরতা দেখিয়েছে সারাদিন ধরে। স্বত:প্রণোদিত মামলা রুজু করেছে। কিন্তু সবার আগে দরকার ঐশীর বয়ান। না হলে পুলিশ অপরাধি ধরার কাজে নামতে পারছে না। ঐশী এখন স্থানীয় হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে।

    নিখিল এবং তার স্ত্রী ও ছোট মেয়ে মৌপিয়া সেদিন সারা রাত হাসপাতালেই থাকল। থানা থেকে দুজন কনস্টেবল মোতায়েন করা হল খুব সম্ভবত: কোন দুষ্কৃতী অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে সাবধানতা হিসেবে। 

    রাত দুটো বাজে। নিখিল আর মৃদুলা পাশাপাশি বসে ছিল একটা বেঞ্চে। নিখিলের বৌ মৃদুলা আপনমনে বলল, ‘ পাপ পাপ.... ঘরের লোকের ঘোর পাপের ফল এসব ..... ।’
    নিখিল মৃদুলার দিকে না তাকিয়েই বলল, ‘ চুপচাপ বসে থাক। বাজে কথা বকো না। তোমার বড় মেয়ের স্বভাব চরিত্র জানতে আর আমার বাকি নেই। যেমন কর্ম তেমনি তো ফল হবে .....’
    — ‘ বাজে কথা বলবে না একদম। সবাইকে কি নিজের মতো দেখ নাকি? চোরের মন বোঁচকার দিকে। যাক, এখন চুপ কর। নিজের ঘরের জঞ্জাল দয়া করে আর হাটের মাঝে ঢেল না।’
    নিখিল সাময়িক বিরতি দেয়। তারপর আবার বলে, ‘ আমি শিওর এর পেছনে অরিত্র আছে। পাক্কা দুনম্বরী মাল .... চোরে চোরে মাসতুতো ভাই আর কি .... ’।
    অরিত্র হল ঐশীর মাসতুতো ভাই। মৃদুলার বোন পৃথার ছেলে।
    কথাটা কানে যেতে মৃদুলা তেলে বেগুনে জ্বলে উঠল। চাপা গলায় বলল,  ‘ চুপ কর.... চুপ কর বলছি.... নোংরা লোক .... ’
    — ‘ হ্যাঁ আমি তো নোংরা লোক। আর তোমরা সব ধোয়া তুলসীপাতা। ’
    নিজের মেয়ের ধর্ষনের অব্যবহিত পরে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে এ ধরণের সংলাপ সচরাচর শোনা যায় না, কিন্তু নিখিলের পরিবারে সবই সম্ভব। এদের সবকিছুই বিচিত্র।

    কদিন পরে ফরেনসিক রিপোর্ট এল। গ্যাং রেপ-এর প্রমাণ পাওয়া গেছে। প্রাইভেট পার্টে ‘মালটিপল ব্রুইজ’ -ও পাওয়া গেছে। শুক্রানু চিহ্নেরও প্রমান পাওয়া গেছে, টেস্ট খুব তাড়াতাড়ি হওয়ায়।
    হালপাতালের বেডে শুয়ে ঐশী পুলিশের কাছে যা বয়ান দিল সেটা ধরি মাছ না ছুঁই পানি মার্কা। মানে, আমি রেপড হয়েছি কিনা আমি জানিনা। কিংবা, হয়ত রেপড হয়েছি কিন্তু কারা করল বুঝতে পারছি না। কিংবা আমি রেপড হলেও কিন্তু কেউ আমাকে রেপ করে নি। এই ধরণের চরম বিভ্রান্তিকর সব বয়ান দিতে লাগল ঐশী। 
    এসআই যখন জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আপনি আপনার নেবারহুড থেকে অত দূরে গেলেন কি করে?’ তারও বিভিন্ন ধরণের উত্তর এল। একবার বলল, ‘ওখানে ওই ঝিলের ধারে বেড়াতে গিয়েছিলাম’। 
    — ‘ আ..চ্ছা  বেশ। আপনি কি একাই গিয়েছিলেন ? ’
    — ‘ হ্যাঁ, তবে ওখানে কয়েকজনের সঙ্গে দেখা হয়ে গিয়েছিল’, ঐশী জবাব দেয় ।
    —- ‘ তারা কি আপনার কলেজের বন্ধু , না অন্য কেউ ?’
    — ‘ না না কলেজের না। অন্য... অন্য .... ’ 
    তারপর বলে ‘ হ্যাঁ কলেজেরও ছিল ... কলেজেরও ছিল... ’
    পুলিশ অফিসার জিজ্ঞাসা করেন, ‘ তারা কি ছেলে না মেয়ে ?’
    — ‘ মেয়ে। ছেলেও ছিল দু একজন।’
    — ‘ দু একজনই ছিল। বেশি না?’
    — ‘ হ্যাঁ ওই আর কি .... ’
    — ‘ কিন্তু তোমাকে তো আমরা অজ্ঞান অবস্থায় খুঁজে পাই ওখানকার ওই বাগানের মধ্যে। তোমার ওই অবস্থা  কি করে....’, অফিসার আপনি থেকে তুমিতে নেমে আসেন অন্তরঙ্গতা তৈরি করে তদন্তে অগ্রগতির উদ্দেশ্যে।
    — ‘ কারা যেন আমার মুখ চেপে ধরে ক্লোরোফর্ম করে গাড়িতে তুলে ....’ ঐশী বলে।
    — ‘ .... গাড়িতে তুলে তারপর ?’
    অফিসারের মুখ কোন প্রয়োজনীয় তথ্য পাবার আশায় উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। পুলিশ সুও মোটু কেস চালু করেছে। সুতরাং তাদের গরজ থাকা স্বাভাবিক।
    — ‘ তারপর তো কিছুই মনে নেই। কিছুই মনে পড়ছে না।’
    — ‘ কিন্তু তুমি তো বললে তুমি নিজেই ঝিলের ধারে বেড়াতে গিয়েছিলে।’
    — ‘ হ্যাঁ ... তাই তো গিয়েছিলাম। কিন্তু কি করে যে ওখানে ওইভাবে .... কিছুই মনে করতে পারছি না । কি যে করি .... ঠিক আছে মনে পড়লে আপনাদের সব জানাব.... এখন একটু রেস্ট নিতে দিন প্লিজ।’

    এসআই গৌতম সেন থানায় ফিরে গিয়ে ওসি বিপ্লব দত্তকে পুরো রিপোর্ট দিলেন।বিপ্লববাবু সব শুনে বললেন, ‘ হুমম্ ... বুঝতে পেরেছি ঘাঘু মাল। গভীর জলের মাছ। ঝাঁকের থেকে কই বাইরে ছিটকে পড়ে কোনভাবে ফেঁসে গেছে আর কি। এখন মামলা চাপা দিতে মরিয়া। যাক, মরুকগে.... কেস তুলে নিচ্ছি। এ কেস দাঁড়াবে না এটা শিওর। কোন কো-অপারেশান পাবে না।’
    গৌতম সেন বললেন, ‘তাই তো মনে হচ্ছে।’

    নিখিলের ছোট মেয়ে বাড়িতে মাছের ঝোল রান্না করছে। বড্ড ঘরোয়া মেয়ে।

    বাবা মা তার দিদিকে নিয়ে বাড়ি ফিরে এল। আশেপাশের লোক উঁকিঝুকি মারতে লাগল। কিন্তু কোন প্রশ্ন করতে সাহস করল না। এ পরিবারটা একটু ব্যাঁকা ট্যারা গোছের। তাই কেউ বিশেষ ঘাঁটাতে চায় না।

      এর মধ্যে মাসতুতো দাদা অরিত্র একবার ফোন করেছিল মৌপিয়াকে। ঐশীর হাল হকিকৎ সব জানতে চাইছিল। কার কাছে খবর পেয়েছে কে জানে। সে নাকি একটা প্রোজেক্টের কাজে ভুবনেশ্বরে আছে। আসার ইচ্ছে থাকলেও আসতে পারছে না। সে নাকি মাসির নাম্বারে অনেকবার ট্রাই করেছে, কিন্তু লাইন পাওয়া যায় নি। মেসোর নম্বর তার কাছে নেই। তাই বাধ্য হয়ে মৌপিয়াকে ফোন করছে। মৌপিয়া সহজ সরল হলেও বোকা নয়। তার কোন কথাই বিশ্বাসযোগ্য মনে হল না। মনে হল, অরিত্র হয়ত ভুবনেশ্বর টর নয়, দত্তপুকুর বা মধ্যমগ্রামে বসে আছে। কিন্তু সে ভেবে পেল না অরিত্র ঐশীর গ্যাং রেপ-এ জড়িত থাকবে কেন। তাহলে কি ইদানীং দুজনের সম্পর্ক ভাল যাচ্ছে না? তাই অরিত্র একটা রিভেঞ্জ নিল! ওদের পক্ষে সবই সম্ভব। এটা হয়ত তাদের দুজনের মনোমালিন্যের ফলশ্রুতি। তার দিদি মোটেই সোজা বান্দা নয়। পুলিশ কেসটা সে এখনই খাওয়াতে চায় না বোধহয়। কোন মারাত্মক প্রতিশোধের পরিকল্পনা আছে নিশ্চয়ই ঐশীর মাথায়। জনসংযোগ কিছু কম নেই মৌপিয়ার দিদির।

       এই পারিবারিক আবহে মৌপিয়া একদম থাকতে চায় না। সে প্রায়ই প্রবল অস্থিরতা বোধ করে। মৌপিয়া ভেবে রেখেছে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর সে একটা ছোটখাটো চাকরি যোগাড় করবে, তারপর কোন লেডিজ হোস্টেলে চলে যাবে। সেখানে থেকে ইভনিং ক্লাস করে পড়াশোনা চালাবে। এখন কি আছে ভাগ্যে কে জানে। মানুষ তো ভাবে এক, হয় আর এক।

      রাত আটটা বাজল। টিভির চ্যানেলে চ্যানেলে প্যানেল বিতর্কের ভরভুর আলোচনার আসর বসেছে। কোন এক জায়গায় আদিবাসী বালিকার গনধর্ষণ নিয়ে তুমুল বাতবিতন্ডা চলছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শাষনে কোন রাজ্যে কত নারী নির্যাতন হয়েছে তার সরকারি বেসরকারি রাজনৈতিক অরাজনৈতিক হিসেব লেখা কাগজপত্তর নিয়ে আলোচনাকারিরা চ্যানেল আলো করে বসে আছেন। ধর্ষণের চেয়েও তাদের সকলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হল তাদের প্রত্যেকের দল অন্য দলের চেয়ে ভাল সেটা যেন তেন প্রকারে প্রমাণ করা।

    নিখিল টিভি খুলে বসে আছে। ঐশী পাশের ঘরে শুয়ে শুয়ে মোবাইল ঘাঁটছে। কালকেই তার একগাদা বন্ধুবান্ধব বাড়িতে এসে হাজির হবে নিশ্চিত। ফোনে তাদের সঙ্গেই যোগাযোগ চলছে। মৌপিয়া পড়াশোনা করছে। মৃদুলা রান্নাঘরে আলু ভাজছে।

    চ্যানেলে ফাটাফাটি বিতর্ক চলছে। এই সময়ে নিখিলের মোবাইল বেজে উঠল। মোবাইল খুলতে স্ক্রীনে ফুটে উঠল — ‘অনিন্দিতা কলিং’। নিখিল মোবাইল নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে গেল। রান্নাঘর থেকে মৃদুলার গলা শোনা গেল— ‘ কোন মক্ষীরানী ডাক দিলেন কে জানে .... ’।

    ( ক্রমশ: )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • syandi | 45.250.246.131 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৮:৪৯503441
  • লেখকের লেখার স্টাইলটি বেশ। কৈশোরে পরা বনফুলের হাটেবাজারে মনে পড়ে যায়। টুকরো-টুকরো ঘটনা সুন্দর করে জুড়ে দিয়ে খুব ভালো একটা ছবি ফুটে উঠছে।
  • Anjan Banerjee | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৮:২৩503520
  • অনেক ধন্যবাদ 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন