এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হোটেল ম্যানেজার - ১৭

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ৪৯৮ বার পঠিত
  • পিনাক আর অর্ণাশ্রী আজ সকালে তিলোত্তমা ছেড়ে দিল। এখানে আর কাজ নেই আপাতত।
    তাদের পাতা জালেই কৌশিক গিরি ধরা পড়েছে। শুভঙ্কর পাল আর এখানে ফিরবে না এ খবরও তারা পেয়ে গেছে। মোবাইল ট্র্যাক করে জানা গেছে সে এখন সুন্দরবন এলাকায় গোসাবার   কাছাকাছি।  বাপির কাছেও খবর এল । সংগঠনের কনিষ্ঠতম সদস্য। 
       মনীষা মেচেদায় ফিরে গেছে অমিতাভকে তাদের কাজের ব্যাপারে হলদিয়ার চন্ডীবাবুর সঙ্গে   কথাবার্তার সারাৎসার জানিয়ে।
    অমিতাভর অবশ্য নিজেকে মোটেই আত্মবিশ্বাসী লাগছে না ওইসব কনস্ট্রাকশান জব-এর লোহা লক্কড় যন্ত্রপাতি জড়িত মালপত্র আদান প্রদানে ক্রিয়াকর্মের ঘষটা ঘষটিতে। তার এক বন্ধু কিংশুক অনেক বছর ধরে এই ধরণের কাজ করছে। তার মুখে শুনে শুনে এসব কাজকর্মের ধারা এবং প্রকৃতি সম্বন্ধে মোটামুটি ধারণা হয়ে আছে তার।
    এই কাজগুলো তার দ্বারা হবে এমন ভরসা তার মোটেই নেই। অলোকের কথা অবশ্য সে বলতে পারবে না। সে কিছুটা অন্য ধাতুতে গড়া। এসব ব্যাপারে অবশ্য অলোকের সঙ্গে কোন কথা হয়নি। তবে অমিতাভ 
    ঠি ক  করল কাজটা করুক না করুক চন্ডীবাবুর সঙ্গে অবশ্যই দেখা করবে একবার। ব্যাপারটা ভালভাবে জানা তো দরকার। কথায় বলে, এভরিথিং কাউন্টস। তাছাড়া মনীষার প্রেস্টিজেরও একটা ব্যাপার আছে। তারপর তার মনে হল, এত আগ বাড়িয়ে আগডুম বাগডুম ভাবার কোন মানে হয় না। চন্ডীবাবু তো এখনও ফাইনাল কথা কিছু বলেননি । তবে কাঁথি বাসের মেয়াদ যে আর পনের দিন সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। জট পাকিয়ে আছে আর এক জায়গায়, মনোজট অবশ্য। চন্ডিকাপ্রসাদের চাকরি সে করুক বা না করুক মনীষার সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে এটা ভাবা তার পক্ষে বেশ কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। গভীর মানসিক বিড়ম্বনা অনুভব করতে লাগল অমিতাভ কারণ সে স্ত্রী পুত্র নিয়ে পুরোদস্তুর সংসারী। কাল শনিবার। তার কলকাতায় বাড়ি ফেরার কথা।
     
      আজ আবার সকাল থেকে আকাশ আগলা মেঘলা করছে। আলো কেমন যেন ঘুমন্ত। নিখিলের আর সাতদিন হাতে আছে। শিউড়ি চলে যাবার আগে তার মন ছটফট করতে লাগল অনিন্দিতার একটা খবর পাবার জন্য। যোগাযোগ আর হোক না হোক একটা খবর অন্তত পাওয়া খুব দরকার । হাজার হোক, বিপদে পড়ে সাহায্য পাবার আশাতেই তো তার কাছে ছুটে এসেছিল। কেন যে ও আর সৌম্য দিন্দার সঙ্গে যোগাযোগ করল না !উকিলবাবুর কাছ থেকে তো জানা গেল যে টাকাটা কোন ব্যাপার ছিল না।মনের মধ্যে অনেক দোনামোনার দড়ি টানাটানির পর মোবাইলে কন্ট্যাক্ট লিস্ট বার করে ‘দিন্দা উকিল’ নামে আঙুল ছোঁয়াল।
       — ‘ হ্যালো .... হ্যাঁ .... নিখিলবাবু বলুন ...’
    একবারের চেষ্টাতেই লাইন পাওয়া গেল। উকিলবাবু ফোনও তুললেন খুব তাড়াতাড়ি।
    .........     ..........     ..........     ............
     
       উড়িষ্যার খুব কাছাকাছি জায়গাটা। একটু দূরেই রেললাইন। গেছে চলে পুরীর দিকে। আকাশ আগলা মেঘলা । বৃষ্টি নামলেও নামতে পারে। অনিন্দিতা হেঁটে যাচ্ছে ধীর স্থির নিরুত্তাপ ....একা একা। ছেলেকে   রেখে এসেছে তার মামার বাড়িতে, ওই একটু দূরে। 
    জলা জমির পাশের রাস্তা দিয়ে সোজা সামনে তাকিয়ে দৃঢ় ভঙ্গীমায় হেঁটে চলেছে ওই উত্তরমুখো রেললাইনের দিকে। বেলা বারোটা। মেঘলা আকাশ।রাস্তা ফাঁকা। এ পথে কম লোকেই চলাফেরা করে। সিগন্যাল সবুজ। হাওড়ার দিক থেকে ট্রেন আসছে। অনিন্দিতা জোর পায়ে হাঁটছে। তার মনে কোন ভাবনার জট নেই। স্থিরসংকল্প মস্তিষ্ক। ভাবনায় চিন্তায় কেউ কোথাও নেই। সে আর মৃত্যুর মধ্যে আছে শুধু নিরাসক্ত রেললাইন । আর তার ওপর ছুটে আসা গতিময় রেলগাড়ি। উদ্দেশ্যে  অবিচল এক মানুষের মতো সে নিখুঁত সময় মেপে এসে পড়ল সুদূর বিস্তৃত ইস্পাত সরীসৃপের ধারে। রেলগাড়ি ছুটে আসছে সাগরের গর্জন তুলে । শব্দ আরো কাছে এসে পড়ল। ওই দেখা যায় গাড়ির শরীর। আর মাত্র তিরিশ ফুট দূরে ....... 
    অনিন্দিতা শুয়ে পড়ল লাইনের ওপর আড়াআড়ি । লাইনের দুপাশে অযত্নের ঘাস আর আগাছা। লাল লাল রক্ত আর মাথার ঘিলু ছিটকে পড়ল রুক্ষ মলিন ঘাসে আর বুনো আগাছায়।ট্রেনের পাইলট ভূতে পাওয়া চোখে ভয়ার্ত দৃষ্টিতে ইঞ্জিন থেকে মাথা বার করে দেখতে দেখতে গেল।তার কিছু করার সুযোগ ছিল না।

       নিখিল বলল, ‘ হ্যাঁ , মিস্টার দিন্দা.... বাধ্য হয়ে একটু ডিসটার্ব করলাম। বলছি যে, অনিন্দিতার কোন খবর টবর আছে আপনার কাছে ? আপনার কাছে খবর থাকার কথা নয়.... তবু আপনাকেই একবার নক করলাম। যদি কিছু ..... থাকে।কিছু মনে করবেন না , মানে.....’
    — ‘ না না .... নট অ্যাট অল.....নট অ্যাট অল .... আমি আপনাকে কিছুক্ষণের মধ্যেই ফোন করতাম।আপনি যেহেতু কেসটা এনেছিলেন আপনাকে জানানো আমার মরাল ডিউটি।আসলে আমি ইনফরমেশনটা কনফার্মড হওয়া পর্যন্ত ওয়েট করছিলাম ......’  সৌম্যশেখর দিন্দা অত্যন্ত দায়িত্বশীল স্বরে বলতে থাকেন।
    — ‘ কি .... ক্কি.... ব্যাপার বলুন তো .... ঠি ক বুঝতে পারলাম না..... মানে....! ! ‘ নিখিলের কথা জড়িয়ে যায়। সে উকিলবাবুর কথায় একটা অস্পষ্ট অশুভ সংকেত পায়। তার বুকে কে হাতুড়ি মারতে থাকে।
    সৌম্যবাবু আবার বললেন , ‘দুটো ব্যাপারই আজকে ঘটেছে । ‘
    ‘কোন দুটো ব্যাপার ? ‘ — এই প্রশ্নটা নিখিলের গলার কাছে আটকে রইল ভয়ঙ্কর উৎকন্ঠার বাষ্পে রুদ্ধ হয়ে। সে রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করতে লাগল দিন্দার পরবর্তী কথাগুলোর জন্য।
    .............       .........      .........    .........
     
       অমিতাভ আর অলোক বাস ডিপোয় গিয়ে বাসে উঠে বসল কলকাতায় যাবার জন্য। বাস ছাড়ার পর অমিতাভ আস্তে আস্তে ভেঙে ভেঙে চন্ডীবাবু এবং তার কাজ সংক্রান্ত খবরটা উন্মোচিত করল, এ ব্যাপারে মনীষার সংযোগটা যতটা সম্ভব রেখে ঢেকে রেখে। এই অপ্রত্যাশিত সুযোগ সম্ভাবনায় অলোকের চোখে যেন পাঁচশ ওয়াটের আলো জ্বলে উঠল। পারলে সে এক্ষুণি গিয়ে চন্ডীবাবুর দ্বারস্থ হয়। সে বার বার অমিতাভকে বলতে লাগল , ‘ কবে তালে যাওয়া যায় ওনার কাছে ...... একটু তাড়াতাড়ি কমিউনিকেট কর..... কাজ তো আর আমাদের জন্য বসে থাকবে না। কে কোথা দিয়ে ঢুকে পড়বে তার ঠি ক আছে । সুযোগ বারবার আসে না। ‘
    অমিতাভ একবার এসব কাজের অনভ্যস্ততাজনিত অসুবিধের কথাটা তুলেছিল। কিন্তু অলোক অমিতাভর মতো কুন্ডলী পাকিয়ে থাকা মানসিকতাসম্পন্ন নয়। সে ওসব কথায় আমলই দিল না।  ‘ আরে দূর ..... ওসব কোন ব্যাপারই নয়। বেগারস আর নট চুসারস ।’
    তীব্র আবেগের মাথায় এও বলল, ‘ ফরচুন ফেভারস দা ব্রেভ ‘ ।
    অমিতাভ ভাবল— এ তো ভাল জ্বালা হল ! কথাটা বলে বড় মুশ্কিল হল দেখছি । এ তো নাছোড়বান্দার মতো লেগে থাকবে এখন। একমাত্র মাধ্যম তো মনীষা পাল। স্বামীর চিন্তায় তো তার মাথার ঠি ক  নেই এখন। তাকে খোঁচাখুঁচি করাটা কি উচিৎ হবে ! শুভঙ্কর পাল এখন কোন ঘাটে জল খাচ্ছে কে জানে।
    তারপর ভাবল, মনীষা নিজে থেকেই তো প্রস্তাবটা দিয়েছিল। সে তো আগ বাড়িয়ে কাঁদুনি গাইতে যায়নি তার কাছে। সুতরাং অ্যাপ্রোচ করা যেতেই পারে। ‘ফরচুন ফেভারস দা ব্রেভ’। অমিতাভ ভটচাজ মনটাকে শক্ত করে বাঁধতে থাকে । ড্রাইভার হু হু করে বাস টানছে। গাড়ি হেঁড়িয়া পেরিয়ে গেল।
    ( আগামী পর্বে সমাপ্য )

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:f42b:28d5:6bdd:e2d2 | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০২:০৩503931
  • প্রত্যেকটা পর্বের জন্য অপেক্ষা করে থাকি।
  • Anjan Banerjee | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৮:২০503935
  • কি বলে ধন্যবাদ জানাব ! 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন