এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  ভ্রমণ  ঘুমক্কড়

  • পায়ের তলায় সর্ষেঃ অজন্তা ইলোরা ঔরঙ্গাবাদ 

    Shuchismita
    ভ্রমণ | ঘুমক্কড় | ১৬ আগস্ট ২০২২ | ১৩৭৮ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (২ জন)
  • প্রথম গুহার সামনে জুতো খোলার সময় থেকেই "গাইড চাহিয়ে দিদি?", " জাতক কহানিয়া হ্যায়, হাম এক্সপ্লেন কর দেঙ্গে" শুরু হয়ে গেল। "না না, গাইড চাই না" বলে ভিতরে ঢুকছি, ততক্ষণে দরজার কাছে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটির চোখ আমার হাতের বইতে। "যিনকি পাস নারায়ণ সানিয়ালকা কিতাব হো উনকি গাইডকা ক্যা জরুরত!" তারপর থেকে "অজন্তা অপরূপা" ভিআইপি পাসের মত কাজ করল। গুহার মধ্যে আলো অত্যন্ত কম। আমাদের কাছে টর্চ নেই। বেশিরভাগ মানুষই কিছুই না দেখে সেল্ফি তুলে চলে যাচ্ছে। এরই মধ্যে যারা এক্টু জানতে চায় গাইডরা তাদের টর্চ দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন। আমাদের তো অমন এক ঝলকের দেখায় আশ মিটবে না। নিজস্ব টর্চ হলে ভালো হয়। প্রথমবার চেয়ে পেলাম না। মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে আছি, দেখি এক গাইড এসে টর্চ দিয়ে গেলেন -"দেখ লো আপ। মেরে পাস এক্সট্রা হ্যায়"। ষোলো নম্বর গুহায় প্রায় ঘন্টাখানেক বসে ছিলাম। তেমন ভীড় ছিল না। গাইড ভাই এসে বললেন - "নারায়ণ সানিয়ালজিকা কিতাব সবসে আচ্ছা হ্যায়। জাতক কহানিয়া পুরা ডিটেল মে হ্যায় ইস কিতাব মে। হামে তো ইতনা ডিটেল পতা নেহি হোতা। যব দাদা-দিদি লোগ আতে হ্যায় লিখ লেতা হুঁ।" সত্যি করেই সতেরো নম্বর গুহায় যখন গেছি গাইড এসে জানতে চাইলেন, দিদি জুজুক কোন কোন ফ্রেমে আছে দেখে দিন তো আপনার বই থেকে। বিশ্বান্তর জাতকের কাহিনির যে কটি ফ্রেম "অজন্তা অপরূপা"য় কপি করা হয়েছে সেগুলো ধরে ধরে জুজুককে চিনে নিলাম গাইডের সাথে। গাইডও হাসিমুখে দেখিয়ে দিলেন কৃষ্ণা অপ্সরাকে। ঐ জায়গাটায় ম্যাপ পড়তে ভুল করছিলাম। সব গুহাগুলো দেখে দিনের শেষে যখন আরেকবার ফিরে আসছি চিত্রবহুল ষোলো, সতেরো, এক ও দুই গুহায়, গাইডরা হেসে বলছেন, "আবার দেখতে হবে? সমঝতা হুঁ। হামারা তিস সাল হো গ্যায়া। ফিরভি অজন্তা কমপ্লিট নেহি হুয়া।" তখন ভীড় বেশ কম। প্রথম বার যে ছবিগুলো চিনতে পারি নি, সেগুলো চেনার চেষ্টা। কৃষ্ণা রাজকুমারীকে খুঁজে পাইনি প্রথম বার। গাইড তাঁর শক্তিশালী টর্চ ধরলেন ম্যাপে বর্ণিত জায়গায়। মিঠুন খুঁজে পেল রাজকুমারীকে। গাইড এনাকে চেনেন না। "অজন্তা অপরূপা"য় প্রতীক্ষারত কৃষ্ণা রাজকন্যার কথা যতটুকু লেখা আছে আমার ভাঙা হিন্দীতে বর্ণনা করলাম। তিনিও মহাজনক জাতকের সমুদ্রতরীর দৃশ্যটি আরও অন্য ছবির ভীড় থেকে খুঁজে দিলেন আমাদের। এক রাজপুত্রের অভিষেকের দৃশ্য দেখিয়ে জানতে চাইলেন বইতে সেই রাজপুত্রের পরিচয় দেওয়া আছে কিনা। শ্যাম জাতক ও রামায়ণের অন্ধমুনির উপাখ্যানের সাদৃশ্য নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হল। এ কাহিনী হিন্দু নাকি বৌদ্ধ তা নিয়ে বিবাদ যে অর্থহীন তা নিয়ে সকলেই একমত হলাম। বেরোনোর আগে এখনকার দুহাজার টাকার নোটে অজন্তার যে নকশাগুলো আছে সেগুলো চিনিয়ে দিয়ে দরাজ গলায় হাসলেন " আপকা কিতাব মে ইয়ে নেহি হোগা, কিঁউকি দো হাজারকা নোট তব নেহি থা।"
    কোনো আর্থিক লেনদেন ছিল না। আমরা প্রতিটা ছবিওয়ালা গুহা দুবার গেছিলাম। বকশিশ যে দেবো না তা এনারা জানতেন। দুজন ছাত্র তাদের পছন্দের বিষয় পেলে যেভাবে কথা বলবে ঠিক তেমনই বিনিময়।
     
    (সাথের ছবিটি অজন্তার সতেরো নম্বর গুহার - ভিক্ষাপাত্র হাতে বুদ্ধ, সামনে রাহুল ও যশোধরা) 
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Shuchismita | 24.53.190.120 | ১৬ আগস্ট ২০২২ ০১:৫৩738197
  • দেড় হাজার বছর আগের ভারতে কেমন ছিল সৌন্দর্যের সংজ্ঞা? আমি প্রিভিলেজড মানুষ, গাত্রবর্ণ গড়পড়তা পৃথিবীবাসীর তুলনায় সাদার দিকেই হেলে থাকবে। আমি যদি বা বলি গায়ের রঙের সাথে সৌন্দর্যের সম্পর্ক নেই, বরং আমার পক্ষপাত নবদূর্বাদল শ্যামের প্রতি, সে স্বীকারোক্তি গজদন্ত মীনারনিবাসীর খামখেয়াল হিসেবে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তার চেয়ে দেখা যাক অজন্তার শিল্পীর কল্পনায় কেমন গায়ের রং বারবার ঘুরেফিরে এসেছে। আসলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই, কিন্তু রেসিজিম যেহেতু হাজার বছরের সংস্কারে রক্তে মিশে গেছে, তাই আশ্চর্য হয়েই দেখতে হয় অজন্তার নায়িকাদের গায়ের রং ভারতীয় নারীর স্বাভাবিক রঙের মতোই কালো। গর্ভসঞ্চারের সংবাদে উদ্ভাসিত মায়াদেবীর গায়ের রং বাদামী। রাজকুমার নন্দের হবু বধু জনপদকল্যাণী কালো। স্বর্গ থেকে উড়ে আসা কৃষ্ণা অপ্সরা, প্রতীক্ষারত কৃষ্ণা রাজকুমারী, প্রসাধনরতা কৃষ্ণা - কালো মেয়ের ছড়াছড়ি অজন্তাচিত্রে। সাথের ছবির অবলোকিতেশ্বর পদ্মপাণির নায়িকাও ঘোর কৃষ্ণবর্ণা।মূলত মেয়েদের কথা লিখলাম কারণ তাদের গায়ের রং নিয়েই ভারতীয় সমাজের মাথাব্যাথা বেশি। কালো পুরুষেরও অভাব নেই অজন্তায়। সতেরো নম্বর গুহায় নলগিরিদমনের কাহিনীতে খোদ বুদ্ধদেবের গায়ের রং কালো যা কিনা নেপালজাতকের জন্য বাস্তবানুগ হওয়া কঠিন। তবু তো মানি "আমারই চেতনার রঙে পান্না হল সবুজ"। নইলে নীল চোখ, সোনালী চুলের মানুষের পক্ষে যীশু হওয়া কিভাবে সম্ভব! 
     
    (সাথের ছবিটি অজন্তার প্রথম গুহায় অবলোকিতেশ্বর পদ্মপাণি)
     
  • Shuchismita | 24.53.190.120 | ১৬ আগস্ট ২০২২ ০১:৫৪738198
  • "বলো সখী বলো তার নাম আমার কানে কানে"
    অজন্তা চিত্র, সতেরো নং গুহা (গুহার বাইরের দেওয়ালে ডান দিকে)
     
  • Shuchismita | 24.53.190.120 | ১৬ আগস্ট ২০২২ ০১:৫৪738199
  • উদ্যত রাজতরবারীর সামনে লুটিয়ে পড়েছে নর্তকী। মহাকালের নিয়মে রাজা মুন্ডহীন। নর্তকী অক্ষত।
    অজন্তা চিত্র, দ্বিতীয় গুহা 
  • Shuchismita | 24.53.190.120 | ১৬ আগস্ট ২০২২ ০১:৫৫738200
  • "তোমার চরণ ধূলায় ধূলায় ধূসর হব"
    মহাপরিনির্বাণ। শায়িত বুদ্ধমূর্তিটি ২৪ ফুট লম্বা। কিন্তু নজর কাড়ছে পায়ের কাছে বসে থাকা একান্ত সহচর আনন্দ। তার হেলানো মাথা, কপোল সংলগ্ন করতল, নিমীলিত চোখে যে শূন্যতার আভাস তাতে সন্যাসীর বন্ধনমুক্তি নেই। এ একান্ত পার্থিব।
    অজন্তা কেভস, ছাব্বিশ নম্বর গুহা, পঞ্চম শতাব্দী
     
  • Shuchismita | 24.53.190.120 | ১৬ আগস্ট ২০২২ ০১:৫৬738201
  • এক সারি শ্রমণ
    অজন্তা নবম গুহা, খ্রীস্টপূর্ব দ্বিতীয় -প্রথম শতাব্দী, চিত্র সংযোজন সম্ভবত পঞ্চম শতাব্দী
     
    smi
  • Shuchismita | 24.53.190.120 | ১৬ আগস্ট ২০২২ ০২:০০738202
  • পার্বতী শিবের পাণিগ্রহণ করছেন। শিব তাঁর দক্ষিন হস্ত পার্বতীর দক্ষিন হস্তে সমর্পণ করেছেন। বাম বাহু দিয়ে স্পর্শ করেছেন পার্বতীর কাঁধ। রোমাঞ্চিত পার্বতী ডানপায়ের আঙুল দিয়ে মাটিতে আঁচড় কাটছেন। শিব-পার্বতীর পায়ের কাছে বিয়ের সাক্ষী ব্রহ্মা।
    (ইলোরা কৈলাশ মন্দির, ষোড়শ গুহা)
     
  • Shuchismita | 24.53.190.120 | ১৬ আগস্ট ২০২২ ০২:০২738203
  • শিব-পার্বতীর বিয়ে
    ইলোরা ২৯ নং গুহা
  • Shuchismita | 24.53.190.120 | ১৬ আগস্ট ২০২২ ০২:০৬738204
  • শিব-পার্বতীর বিয়ে
    ইলোরা ২১ নং গুহা
    এখানে গণেশ ঠাকুর বাপ-মায়ের বিয়ে দেখতে এসেচেন - শিব-পার্বতীর মাঝখানে তাঁকে ​​​​​​​দেখা ​​​​​​​যাচ্ছে ​​​​​​​
     
  • Shuchismita | 24.53.190.120 | ১৬ আগস্ট ২০২২ ০২:০৮738205
  • শিব-পার্বতীর পাশাখেলা। পার্বতীর ডান হাতের মুদ্রাটি যেন বলছে - এরকম চোট্টামি করলে তো তোমার সাথে খেলাই চলে না! শিব তর্জনী নির্দেশ করে অনুনয় করছে - ঘাট হয়েছে, আর একটা দান খেলে যাও প্লিজ। সঙ্গীসাথীরা ঘাড় উঁচু করে খেলা দেখছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে জোরে জোরে বাতাস করছে পিছনে দাঁড়ানো মেয়েটি।

    ইলোরার সব গুহাতেই যে নিখুঁত কাজ হয়েছে এমন না। এই ছবিটা জুম করে দেখতে গিয়ে চোখে পড়ল চতুর্ভুজ শিবের বাম হাতের প্রোপোর্শান ঠিক নেই। ডান দিকের দ্বিতীয় হাতটি কেমন অদ্ভুত ভাবে নেমে এসেছে। শিল্পীর আর দোষ কি! চারহাতওলা মানুষ কি আর সে চোখে দেখেছে কখনও! শিবের মাথার ওপর যে লোকটিকে দেখা যাচ্ছে দুই হাতের মুঠো কাছাকাছি এনে কিছু একটা বোঝাতে চাইছে, তার ক্ষেত্রেও অস্থিসংস্থানগত ত্রুটি রয়ে গেছে।

    ইলোরা ২১ নং গুহা
     
  • kk | 2601:448:c400:9fe0:c809:bd3f:9777:1b36 | ১৬ আগস্ট ২০২২ ০২:০৮738206
  • বাঃ, ছবিগুলো সুন্দর তুলেছো তো! আরেকটু ডিটেলে লেখা হোক।
  • Shuchismita | 24.53.190.120 | ১৬ আগস্ট ২০২২ ০২:০৮738207
  • নারায়ণ সান্যালের বইতে পড়েছি ভারতীয় শিল্পী anatomical accuracyর চেয়ে চিত্রিত বিষয়বস্তুর ভাব নিয়ে বেশি খুঁতখুঁতে। সান্যাল মশাই সাইট করেছেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নন্দলাল বসু প্রমুখকে। এই বোধিসত্ত্ব মূর্তিটির ডান হাতের মুদ্রার দিকে তাকানো যাক। মানুষের অস্থিসংস্থানে এই মুদ্রা বাস্তবে সম্ভব না। কিন্তু শিল্পীর চিন্তায় স্থান পেয়েছে "করকমল" শব্দটি। বোধিসত্ত্বের করুনাময় হাতখানিকে আক্ষরিক ভাবে পদ্মের মত গড়লেন ইলোরার শিল্পী। অস্থিসংস্থানের ত্রুটি হলে হোক।
     
  • Shuchismita | 24.53.190.120 | ১৬ আগস্ট ২০২২ ০২:১০738208
  • মন্দিরে ঢুকেই সবচেয়ে প্রথমে চোখে পড়বে কমলাসনা দেবীর অভিষেক। হাতির শুঁড়ে ধরা আছে জলপূর্ণ কলস। দুইপাশে চতুর্ভুজ হাস্যমুখ দ্বারপাল। সবচাইতে ভালো লাগছে সরোবর ভরে থাকা পদ্মপাতাগুলি।
    (ইলোরা কৈলাশ মন্দির, ষোড়শ গুহা)
     
  • Shuchismita | 24.53.190.120 | ১৬ আগস্ট ২০২২ ০২:১২738209
  • সপ্তমাতৃকা - ব্রহ্মাণী, বৈষ্ণবী, মাহেশ্বরী, ইন্দ্রাণী, কুমারী, বরাহী, চামুণ্ডা
    সাথের ছবিতে এই অর্ডারেই আছেন কিনা বলতে পারবো না। এদের সাথে গণেশ ঠাকুর থাকেন এক কোণে। তাঁকে ডানদিকে দেখা যাচ্ছে। ইলোরার কৈলাশ মন্দিরের কোনো একটি কক্ষে এই ছবিটা তোলা।
    কৈলাশ মন্দিরটি বিশাল। একই থিমের ভাস্কর্য মন্দিরের বিভিন্ন জায়গায় রিপিট হয়েছে। যেমন ধরা যাক, মন্দিরে ঢুকেই ডানদিকে একটা মহিষাসুরমর্দিনীর মূর্তি। আবার আরেকটু এগোলেই খোলা চত্ত্বরে যেখানে হাতির মূর্তি আছে সেখানে আরেকখানা মহিষাসুরমর্দিনী। একটা আরেকটার কপি নয় তাবলে। ইলোরার শিল্পীরা দারুণ ক্রিয়েটিভ। নকল করার মতো বোরিং কাজ এনারা করেন না।
    তো এই সপ্তমাতৃকাও রিপিট হয়েছেন। একটি প্রকোষ্ঠে মাতৃকাদের কয়েকজন মুণ্ডহীন। একজন টুরিস্ট এলেন।
    আমাদের দিকে জিজ্ঞাসু চোখে চেয়ে বললেন - মূর্তিগুলো ভাঙলো কি করে?
    আমিঃ অনেক পুরনো মন্দির তো। ভাঙতেই পারে।
    কৌতুহলী টুরিস্টঃ ঔরঙ্গজেব ভাঙে নি তো?
    তিতিবিরক্ত আমিঃ ঔরঙ্গজেব ভাঙলে তো শিবমন্দিরে শিবের মূর্তিগুলো সবার আগে ভাঙতো। ইনসিগনিফিক্যান্ট মাতৃকামূর্তি কেন ভাঙবে?
    কৌতুহলী টুরিস্টের নিমপাতা মুখ ও প্রস্থান।
     
  • Shuchismita | 24.53.190.120 | ১৬ আগস্ট ২০২২ ০২:১৩738210
  • "ব্যূঢ়োরস্ক বৃষস্কন্ধ শালপ্রাংশু মহাভুজ"
    ইলোরা কৈলাশ মন্দির। মন্দিরে ঢুকেই পিছন ফিরে দাঁড়ালে এদের দেখা যাবে।
    ফ্রেমের সামনে ডানদিকে মন্দিরের চতুর্ভজ দ্বারপাল। দ্বারপাল কেন চতুর্ভুজ তা এখনো জানি না।
    তার পিছনে মাঝখানে রঘুকূলপ্রদীপ রাম ঋষি বশিষ্ট্যর আশ্রমকে রাক্ষসমুক্ত করছেন। পায়ের কাছে দেখা যাচ্ছে যজ্ঞাধিপতি ব্রহ্মাকে।
    তারও পিছনে ফ্রেমের বামদিকে কার মূর্তি চিনতে পারি নি
  • Shuchismita | 24.53.190.120 | ১৬ আগস্ট ২০২২ ০২:১৪738211
  • ইলোরা গুহামন্ডলী
    ২৯ নং গুহার বাতায়ন থেকে অন্য কিছু গুহা
    ২৮ নং গুহার সামনে দেখা যায় একটি ক্ষীণতনু ঝরনা
    শুনেছি বর্ষাকালে সে ভরযৌবনা হয়
     
  • Shuchismita | 24.53.190.120 | ১৬ আগস্ট ২০২২ ০২:১৪738212
  • মহাকালের রক্ষী
    ইলোরা ২৯ নং গুহা
  • Shuchismita | 24.53.190.120 | ১৬ আগস্ট ২০২২ ০২:১৫738213
  • ইলোরা ২৯ নং গুহা
  • Shuchismita | 24.53.190.120 | ১৬ আগস্ট ২০২২ ০২:১৬738214
  • মকরবাহিনী গঙ্গা
    ইলোরা ২১ নং গুহা
  • Shuchismita | 24.53.190.120 | ১৬ আগস্ট ২০২২ ০২:১৭738215
  • ইলোরা ১-৬ নং গুহার কোনো একটি (সবকটিই বৌদ্ধ গুহা)
     
  • Shuchismita | 24.53.190.120 | ১৬ আগস্ট ২০২২ ০২:১৮738216
  • তথাগত সমীপে
    ইলোরা ১০ নং গুহা
  • Shuchismita | 24.53.190.120 | ১৬ আগস্ট ২০২২ ০২:১৯738217
  • "পথের পথিক সেও দেখে যাবে
    তোমার বার্তা মোর মুখভাবে"
    তীর্থঙ্করের শরীর জড়িয়ে গুল্ম উঠেছে। পায়ের কাছে নিশ্চিন্তে শুয়ে আছে দুটি হরিণ। আমার নজর কেড়েছে নীচে ডানদিকে বসে থাকা মানুষটি। তার দেহ ভঙ্গিমায়, মুখের অভিব্যক্তিতে মনে হচ্ছে ওই জায়গাটিতে বসতে পেয়ে তার সব কিছু পাওয়া হয়ে গেছে।
    (ইলোরা, ৩৪ নং গুহা)
  • Shuchismita | 24.53.190.120 | ১৬ আগস্ট ২০২২ ০২:২২738218
  • "কত কত শত ভকত প্রাণ, হেরিছে পুলকে, গাহিছে গান
    পুণ্য কিরণে ফুটিছে প্রেম, টুটিছে মোহবন্ধ রে"
    একটা নিশ্চুপ অন্ধকার গুহার গর্ভমন্দিরে ঢুকে দেখি তথাগতের দিকে হাত জোড় করে এনারা বসে আছেন। টর্চ ফেলে দেখতে হল।
    ঔরঙ্গাবাদ কেভস, তিন নম্বর গুহা, ষষ্ঠ-অষ্টম শতাব্দী
     
  • Shuchismita | 24.53.190.120 | ১৬ আগস্ট ২০২২ ০২:২২738219
  • গুহাটা বেশ ছোটো। গর্ভগৃহ আর বাইরের দেওয়ালের মধ্যে সরু গলিপথ। সেখানে পাওয়া গেল এই দেওয়াল জোড়া বুদ্ধমূর্তি।
    ঔরঙ্গাবাদ কেভস, চতুর্থ গুহা, ষষ্ঠ-অষ্টম শতক।
  • Shuchismita | 24.53.190.120 | ১৬ আগস্ট ২০২২ ০২:২৩738220
  • মূল প্রকোষ্ঠের দুই পাশে অবলোকিতেশ্বর পদ্মপাণি ও বজ্রপাণি। ভিতরে গর্ভগৃহে তথাগত বুদ্ধের আভাস দেখা যাচ্ছে।
    ঔরঙ্গাবাদ কেভস, সাত নম্বর গুহা, সপ্তম-অষ্টম শতাব্দী
     
  • Shuchismita | 24.53.190.120 | ১৬ আগস্ট ২০২২ ০২:২৪738221
  • গর্ভগৃহের দুই পাশে বৌদ্ধদেবীদের মূর্তি। নারীমূর্তির ঈষৎ ভুঁড়ি ভরসা জাগায়।
    ঔরঙ্গাবাদ কেভস, সাত নম্বর গুহা, সপ্তম-অষ্টম শতাব্দী
     
  • Shuchismita | 24.53.190.120 | ১৬ আগস্ট ২০২২ ০২:২৪738222
  • গর্ভগৃহের পিছনে দুটি ছোট প্রকোষ্ঠে আরও দুটি বুদ্ধমূর্তি আছে। টর্চের আলো ফেলে দেখা গেল তাদের। এই গুহাগুলোতে একেবারেই লোক আসে না। মানুষের চিতকার চেঁচামেচি ছাড়াই দেখা যায়। দুদণ্ড চুপ করে বসা যায়।
    ঔরঙ্গাবাদ কেভস, সাত নম্বর গুহা, সপ্তম-অষ্টম শতাব্দী
     
  • গবু | 223.223.142.189 | ১৬ আগস্ট ২০২২ ০৮:২৬738223
  • ভালো লাগলো। চত্বরের মধ্যে হাঁটাহাঁটি কি রকম? আমার এক পরিচিত ৭০ বছর বয়স্ক যেতে চান, কিন্তু হাঁটুর অসুবিধে আছে। টানা বেশিক্ষণ হাঁটতে পারেননা। যাওয়া উচিত কিনা আমাকে জিগ্যেস করলেন, আমি তো যাইনি - আর এইসময়েই লেখাটা চোখে পড়লো।
  • Shuchismita | 24.53.190.120 | ১৬ আগস্ট ২০২২ ১৮:২৪738230
  • হাঁটাহাঁটি ভালোই। অজন্তা ও ঔরঙ্গাবাদে সিঁড়ি ভাঙতে হবে। ইলোরা সেই তুলনায় সহজ। ভিতরে বাসও চলে। তবে বাস তো আর প্রতিটা গুহায় স্টপেজ দেয় না। বাস যেখানে দাঁড়াবে সেখান থেকে আশেপাশের কয়েকটা গুহা দেখে নিতে হবে। গুহার মধ্যেও পাথরের সিঁড়ি আছে। সব মিলিয়ে পায়ের ওপর চাপ একটু পরবে।
  • | ১৬ আগস্ট ২০২২ ২০:২২738231
  • এই টইটা খুবই ঠিক সময়ে শুরু হয়েছে। থ্যাঙ্কু হুচি। 
    ওঁরা নারায়ণ সান্যালের বই তোমাদের হাতে দেখে চিনলেন কী করে? প্রচ্ছদ দেখে? 
  • dc | 2401:4900:1cd0:1775:112e:fe29:e495:ee09 | ১৬ আগস্ট ২০২২ ২০:৫০738232
  • ছবিগুলো দারুন লাগছে। অজন্তা ইলোরায় আমার অনেকদিনের যাওয়ার ইচ্ছে, কিন্তু এখনো সুযোগ হয় নি। দেখা যাক কখনো প্ল্যান করতে পারি কিনা। 
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে প্রতিক্রিয়া দিন