এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বাকিসব

  • নতুন রূপকথা 

    &/
    বাকিসব | | ০৪ মার্চ ২০২৩ | ১৮০৬ বার পঠিত
  • প্রাচীন রূপকথার আদলে লেখা নতুন কাহিনি, মৌলিক রচনা । এরকম লেখা যদি আপনাদের থাকে, শেয়ার করুন না ! এই সেদিন দেখছিলাম একজন শিক্ষিত, বিনয়ী দুই কাঠবেড়ালি পাব্লো আর বাবলোকে  নিয়ে কী দারুণ রূপকথা লিখেছেন!  পরদিন লিখলেন গোলাপি কাক আর বেগুনী বাতাসার রূপকথা। এরকম সব। :-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • &/ | 151.141.85.8 | ২১ মার্চ ২০২৩ ০৭:৫৪739802
  • সব শুনে দয়ালু সেই মানুষ বলে, "তোরা এখন ঘুমো। কাল ভোরে আমি তোদের সঙ্গে করে নিয়ে যাবো সেই মিরিচিনি গাছের সুড়ঙ্গের কাছে।"
    বাচ্চা ভালুক বলে, "আপনি কে? এইরকম সাপের রূপ ধরে ছিলেন, আবার মানুষ হয়ে গেলেন, আপনি সাধারণ কেউ তো নন!"
    মানুষটা স্নিগ্ধ হেসে বলে, "আমি কে সেটা পরে জানতে পারবি। তোরা কারা সেও পরে জানতে পারবি।"
    ওরা তো শুনে থ! ওরা নিজেরা কারা তাও ওরা জানে না! ভালুক তাকায় লোকটার দিকে, লোকটা তাকায় ভালুকের দিকে। তারপরে দু'জনে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।
  • &/ | 151.141.85.8 | ২২ মার্চ ২০২৩ ০১:১৩739814
  • এর পরে কী ঘটেছিল সে আর মনে পড়ছে না। কিছুকাল খোঁজ করে দেখি, যদি পাই ভালো, যদি না পাই আরও ভালো। ঃ-)
  • kk | 2601:14a:500:e780:9916:4f6:548:402d | ২২ মার্চ ২০২৩ ০১:৩৪739815
  • সে কি কথা?! আমি তো কখন থেকে বসে ভাবছি কখন ওরা ঘুম থেকে উঠবে? নিতান্ত খুঁজে না পেলে তুমি নিজেই শেষটা লিখে দাও না। 
  • &/ | 151.141.85.8 | ২২ মার্চ ২০২৩ ০১:৪১739816
  • এমনিতেই গল্পটার এত বানাতে হচ্ছে যে থিসিয়াসের জাহাজের মত অবস্থা হচ্ছে। শেষটাও নতুন বানিয়ে দিতে হবে।
    একদিকে ভালো, ছিল একটা গল্প, হয়ে গেল দু'টো গল্প। ঃ-)
  • kk | 2601:14a:500:e780:9916:4f6:548:402d | ২২ মার্চ ২০২৩ ০১:৪৬739817
  • তাতে ক্ষতি কী? সেই যে জেফরি আর্চারের একটা গল্প ছিলো 'ওয়ান ম্যান'স মীট সার্ভড..." বলে। এবার শেষটা চার রকম ভাবে ছিলো - রেয়ার, মিডিয়াম রেয়ার, মিডিয়াম, আর ওয়েল। চমৎকার কনসেপ্ট!
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ২২ মার্চ ২০২৩ ০৫:৫৯739819
  • কি মুস্কিল! এইভাবে ঝুলিয়ে রাখা অত্যন্ত অবিচার। গপটা শেষ করবে ত! 
  • &/ | 151.141.85.8 | ২২ মার্চ ২০২৩ ০৬:১২739820
  • ঠিক আছে বানাই তবে।

    পরদিন মোরগ ডাকার সঙ্গে সঙ্গে উঠে পড়ে ওরা। তৈরী হয়ে নেয় বেরোবার জন্য। সেই মানুষটি কতগুলো গরম গরম মিষ্টি পিঠে দেয় ওদের খেতে। সেই খেতে খেতে তিনজনে রওনা হয়। পথ দেখিয়ে আগে আগে চলে সেই রহস্যময় মানুষ।
    একসময় তারা দেখতে পায় বনের মধ্যে একটা তিরতিরে জলধারা। মানুষটা বলে, "এই হল উষ্ণ প্রস্রবন থেকে আসা নদী। এর ধার ধরে ওইদিকে চলতে থাকো, একসময়ে সুড়ঙ্গের মুখ দেখতে পাবে। সুড়ঙ্গের মধ্যেও এই নদীকে পাবে। এর ধার ধরে চলতে চলতে একসময়ে দেখতে পাবে সেই প্রস্রবন, তারই কাছ ঘেঁষে মিরিচিনি গাছের সারি, একেবারে ঝোপালো হয়ে আছে। ঠিক আছে, এগোও তোমরা। আমি এখন আসি।"
    এই বলে মানুষটা মিলিয়ে গেল হাওয়ায়।
  • &/ | 151.141.85.8 | ২২ মার্চ ২০২৩ ০৭:০৫739822
  • নদীর ধার ঘেঁষে চলতে থাকে ওরা নির্দেশিত দিকে। কিন্তু কই সুড়ঙ্গের মুখ, কোথায় কী? চলতে চলতে ওদের পা ব্যথা করে, সর্বশরীর ক্লান্ত হয়ে আসে। তবুও ওরা হাঁটে। একসময় দেখতে পায় বিরাট এক ঝুরিনামা বটগাছ দাঁড়িয়ে আছে নদীর ধারে। তার বিরাট কান্ডে গা এলিয়ে দু'জনে বিশ্রাম করে। লোকটা ভালুককে কোলের মধ্যে টেনে নিয়ে হাত বুলিয়ে বুলিয়ে বলে, "এই ভাল্লু, তোর জন্মদিন তো পার হয়ে গেছে রে। এখন আর মিরিচিনির পায়েস খেয়ে কী হবে তোর?"
    ভাল্লু টলটলে চোখে চেয়ে বলে, "আমার জন্মদিন পার হয়ে গেছে, তাতে কী হয়েছে? তোমার জন্মদিন তো পার হয় নি। তোমার জন্মদিনে পায়েস হবে।"
    লোকটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে, "কেজানে কবে আমার জন্মদিন। আমার কেউ তো নেই, কেউ আমাকে বলেও নি কবে আমার জন্মদিন। "
    ভালুক ওর হাতের উপরে চুমো খেয়ে বলে, "কে বেলেছে কেউ নেই তোমার? আমি আছি, তোমার বন্ধু। আর জানা যখন নেই, তখন তো যেকোনো দিনই তোমার জন্মদিন। মিরিচিনি পাতা পেলেই তুলে নিয়ে চলো আমাদের বাড়ি, আমার মা পায়েস রেঁধে দেবে। তারপরে আমরা তোমার জন্মদিন করব।"
  • kk | 2601:14a:500:e780:3477:8d85:e56c:4ddf | ২৪ মার্চ ২০২৩ ০১:০৩739833
  • আজ বিশ্ব-ভালুক দিবসে এই গল্পের বাকিটুকু হবে নাকি? ভাল্লু আর তার বন্ধুর আসল পরিচয় তো এখনও জানা যায়নি।
  • &/ | 151.141.85.8 | ২৪ মার্চ ২০২৩ ০১:৪৯739834
  • শাকম্ভ, নামটা মনে রাখুন। ভুলে না যাই, তাই তুলে রাখলাম। ঃ-)
  • &/ | 151.141.85.8 | ২৪ মার্চ ২০২৩ ০৬:০৮739835
  • বিশ্রামে তাজা হয়ে তারা উঠে পড়ে বটগাছের তলা থেকে। নদীর ধারার পাশ দিয়ে চলতে থাকে আবার। নিবিড় অরণ্য, ডালে ডালে পাতায় পাতায় আঁধার করে আসে। মোটা মোটা লতা ঝুলছে। সেসব সরিয়ে সরিয়ে এরা পথ চলে। চলে আর চলে।
    বনের ভিতর থেকে কতরকম আওয়াজ আসে। পাখির ডাক, পশুর ডাক, পতঙ্গের আওয়াজ। হাওয়ার ঝিরঝির ঝরঝর মর্মর শনশন। পাশে নদীর কুলুকুলু তো আছেই।
    একজায়্গায় দেখা গেল নদী ঢুকে গেছে সুড়ঙ্গে, একটা সরু ফাটলের মতন মুখ তার। সেইখানে দিয়ে কোনোক্রমে ভাল্লু আর লোকটা তো ঢুকল। কিন্তু ভিতরে ভীষণ অন্ধকার। কিছুই দেখা যাচ্ছে না, চলবে কী করে তারা?
    এমন সময় কতগুলো সবুজ প্রজাপতির মতন পতঙ্গ ঢুকে পড়ল ভেতরে, তাদের ডানাগুলো স্নিগ্ধ সবুজ আলোয় উজ্জ্বল। সেই স্বয়ংপ্রভ প্রজাপতিদের আলোয় পথ খুঁজে খুঁজে এরা চলতে থাকে। নদীটা পাশে পাশেই বয়ে চলেছে।
    ক্রমশ চওড়া হয়ে গেছে সুড়ঙ্গ, আর অন্ধকার সামান্য ফিকে হয়ে গেছে। তারপরে বাঁক ঘুরেছে। এই বাঁক পেরিয়েই প্রচন্ড বিপদের মুখে পড়ল এরা।
    অসংখ্য কালো কালো উড়ন্ত পাখি এসে ঝাঁপিয়ে পড়ল ওদের উপরে।
  • &/ | 151.141.85.8 | ২৪ মার্চ ২০২৩ ০৬:১৪739836
  • প্রজাপতিগুলো উড়ে গিয়ে সুড়ঙ্গের দেওয়ালে বসে পড়েছে। ভালুক আর লোকটা পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে পাথর হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছে। এই আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবার উপায় তো কিছু জানা নেই তাদের।
    কিন্তু কোথা থেকে লোকটার হাতে এসে পড়ল অদ্ভুত চকচকে এক জাদু তলোয়ার। সে প্রাণপণে তলোয়ার চালিয়ে কালান্তক কালো পাখিগুলোকে কচাকচ কাটতে লাগল।আশ্চর্য ব্যাপার হল তলোয়ারে কাটা যাওয়া মাত্র ওরা মিলিয়ে যাচ্ছিল যেন একমুঠো কালো ধোঁয়া।
    ভালুকের মাথায়, কাঁধে, হাতে, বুকে স্বয়ংপ্রভ প্রজাপতিগুলো উড়ে এসে বসেছিল। সে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। লোকটির লড়াই করতে সুবিধে হচ্ছিল এই আলোতে।
  • &/ | 151.141.85.8 | ২৪ মার্চ ২০২৩ ২০:০১739839
  • আপনাদের ভালো না লাগলে অবশ্য আর গল্প বলবো না। এমনিতেও তো এসব অন্যেরই গল্প। ভেবে দেখলে দুনিয়ার সব গল্পই অন্যের।
  • dc | 27.62.89.130 | ২৪ মার্চ ২০২৩ ২০:০৮739840
  • আমার তো গল্পটা পড়তে বেশ ভাল্লাগছে। রূপকথা কিনা জানিনা, তবে ফ্যান্টাসি এলিমেন্টটা ভালো লাগছে। 
  • kk | 2601:14a:500:e780:358a:f1ae:1ce2:df0e | ২৪ মার্চ ২০২৩ ২০:৫৩739842
  • এই যে অ্যান্ডর,
    আমি দেখছি তোমার মনে বারবার এই সন্দেহ্টা আসছে যে কারুর হয়তো ভালো লাগছেনা, তাই আমার আর না এগোনোই ভালো। এটা থেকে বেরোও তো। হয়তো কারুর কমেন্ট দেখতে না পেলে তোমার এই সন্দেহ্টা আসছে। কিন্তু অনেক সময়েই তো পাঠক অপেক্ষা করে যে পুরোটা হয়ে যাক, তারপর একবারে বলবো। অন্য অনেক টইতেই এই ট্রেন্ড লক্ষ্য করে থাকবে। এমনও অনেক টই আছে যেখানে কেউ আদৌ কোনো কমেন্ট করেননা (আমার নিজের অনেক লেখাতেও তেমন হয়েছে)। তার মানে এই নয় যে কেউ পড়ছেনা, বা ভালো লাগছেনা। তুমি ঐসব না ভেবে লিখে যাও তো। বিন্দাস লিখে যাও।
  • দীপাঞ্জন | 223.191.53.115 | ২৫ মার্চ ২০২৩ ১৬:১৫739843
  • কেকের সঙ্গে একমত। এটা তো স্কুল কলেজের ক্লাস নয় যে সবাই এসে এটেন্ডেন্স দিয়ে যাবে laugh। গল্প চালিয়ে যান।
  • &/ | 151.141.85.8 | ২৭ মার্চ ২০২৩ ০১:১৯739846
  • কেকে, আসলে পাঠকের সাড়াশব্দ পেলে(সে ভালো বা মন্দ যাই তাঁরা বলুন) বোঝা যায় পাঠকের কাছে পৌঁছচ্ছে। তবে সব পাঠকই যে সাড়াশব্দ দেন তা নাও হতে পারে। কেউ কেউ হয়তো নিঃশব্দে পড়ে চলে যান। তাঁদের মনে কী হচ্ছে জানার উপায় কী?
  • kk | 2601:14a:500:e780:7816:3800:4e5b:2722 | ২৭ মার্চ ২০২৩ ০২:০০739847
  • জানার কোনো উপায় নেই। উত্তরহীণতা, অস্পষ্টতা, সামনে দু পা দেখা যায়না এমন ঘন কুয়াশা, অজানা ধাঁধা, সব তালারই চাবির অনুপস্থিতি, অনিশ্চয়তা এই গুলোই জীবনের মহা সত্যি ভাই। আমি অনেক মূল্য দিয়ে এতদিনে এইটুকু বুঝেছি। কাজেই উপায় খুঁজে লাভ নেই। আমার অবশ্য ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয় যে লেখা হোক, কি গল্প বলা, কি ছবি আঁকা, মোটমাট যেকোনো শিল্প তৈরী করা, সে সৃষ্টির আনন্দের জন্যই করা। তারপর তা কে কিভাবে নিলেন বা না নিলেন তা তাঁদের ব্যাপার। জানতে পারলে ভালো লাগে ঠিকই। তবে না জানতে পারলেই আর কী এমন ক্ষতি?
    অবশ্য এটা আমার মনে হওয়া। কাউকে একমত হতে হবে এমন দাবি নেই।
  • &/ | 151.141.85.8 | ২৭ মার্চ ২০২৩ ০২:৪৩739848
  • দাড়িদাদুও তাই বলতেন। তিনি বেশ একটু আধ্যাত্মিকভাবে বলতেন, স্রষ্টা তাঁর সৃষ্টি করছেন অহৈতুকী আনন্দ থেকে। বা এরকমই কিছু একটা। ঃ-)
  • &/ | 151.141.85.8 | ২৭ মার্চ ২০২৩ ০৬:০৪739849
  • যাইহোক, শেষটুকু বলে দিই।

    সেই যুদ্ধে কত সময় যে কেটে গেল, তা তারা জানে না। যেন যুগযুগান্ত বয়ে যাচ্ছে আর যুদ্ধ হয়েই যাচ্ছে হয়েই যাচ্ছে। একসময় লোকটির মনে হল আর বুঝি সে পারে না, এইবারে অন্ধকার ডানা দিয়ে ঢেকে ফেলবে তাকে কালো পাখিগুলো। লোহার মত শক্ত, তীক্ষ্ণ চঞ্চু দিয়ে ঠুকরে ঠুকরে তাকে শেষ করে ফেলবে। তার ক্লান্ত হাত থেকে জাদু-তরবারি প্রায় খসে পড়ে পড়ে, এমন সময় ভালুক লাফিয়ে উঠে কামড়ে ধরল একটা বড় পাখির গলা।
    কোথায় যেন একটা বিস্ফোরণের মত শব্দ হয়, তারপরেই তারা দেখতে পায় পাথর ধসে পড়েছে, সুড়ঙ্গে আলো ঢুকছে। তারা সেই পথে যেই বাইরে এসেছে, অমনই ম্যাজিক। ওরা দেখতে পায় যেন অন্য জগতে এসে পড়েছে। অপূর্ব সবুজ সুন্দর সেই জগৎ। একটা বিরাট উপত্যকা, সেখানে গাছে গাছে অদৃষ্টপূর্ব সব ফুল আর ফল, নানা রঙের পাখি এ গাছ ও গাছ উড়ছে আর গান গাইছে। আর সেই সবুজ আলোর ডানাওয়ালা প্রজাপতিরা উড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে। হাওয়া এত স্নিগ্ধ যে প্রতিটি শ্বাস নেবার সঙ্গে সঙ্গেই ভিতর-বাহির আনন্দে ভরে ওঠে।
    আর সবচেয়ে আশ্চর্য ব্যাপার হল, তারা নিজেরা বদলে গিয়েছে। খর্বকায় ক্ষুদ্রচোখ লোকটি বদলে দীর্ঘকায় ছিপছিপে আয়তচোখের একজন যুবক হয়ে গেছে আর ভালুক হয়ে গেছে একজন মানুষ, এক নরম চোখের কোঁকড়া কালোচুলের কিশোর। পরস্পরের দিকে চেয়ে তাদের বিস্ময়ের সীমা থাকে না।
    এমন সময় সেই গাছবাড়ির মানুষটি বেরিয়ে আসেন আড়াল থেকে। তাঁকে ঘিরে কীসের যেন স্নিগ্ধ আভা আর চন্দনের সুগন্ধ। তিনি বলেন, " এসো, এসো তোমরা। শাকদ্বীপে স্বাগত। অবশ্য এ তোমাদেরই দেশ। এতদিনে তোমরা শাপমুক্ত হয়েছ। আর দেশকেও শাপমুক্ত করেছ। অন্ধকারের শক্তি পরাজিত হয়েছে। এসো, আমার সঙ্গে এসো। তোমাদের প্রাসাদে নিয়ে যাই।"
    তারা দু'জনে মানুষটিকে প্রণাম করে বলে, "আপনি কে আমাদের বলুন।"
    তিনি বলেন, "আমি শাকম্ভ, শাকসব্জি আর শস্যের দেবতা। আমার পিতা হলেন বৃক্ষদেব ইরাবর্ত। আর মা হলেন ভূদেবী রুতারা। এঁরা তোমাদের এই শাপদ্বীপের অধিষ্ঠাতা দেবতা ও অধিষ্ঠাত্রী দেবী। বহুকাল আগে এই দ্বীপভুবন আক্রান্ত হয় অন্ধকারের শক্তিদ্বারা। এখানের রাজা ও তাঁর পরিজনেরা, তাঁর সৈন্যসামন্ত প্রায় সকলেই পরাজিত হয়। শুধু আমার পিতামাতার সহায়তায় সদ্যোজাত রাজপুত্রকে নিয়ে আমি পালিয়ে যেতে পারি অন্য দ্বীপে। আর ঋক্ষদেব ভালুকের রূপ ধরে নিয়ে গিয়েছিলেন সদ্যোজাত সেনাপতিপুত্রকে। সেই ছেলেকেও ভালুকের রূপ দিয়েছিলেন। তারপর থেকে অনাথ-আশ্রমে রাজপুত্র অরুণার্ক পালিত হয় আর ভালুকরূপে সেনাপতিপুত্র দুর্জয় পালিত হয়। কথিত ছিল যেদিন এরা দু'জনে একত্রিত হয়ে নিয়তিসুড়ঙ্গের ভিতর দিয়ে আসতে আস্তে অন্ধকারের শক্তিকে পরাজিত করতে পারবে যুদ্ধ করে, তারপরেই শাপমুক্তি ঘটবে শাকদ্বীপের। আর অরুণার্ক ও দুর্জয় নিজের নিজের প্রকৃত রূপ ফিরে পাবে। এইসবই আজ সত্য হয়েছে। চলো, তোমাদের রাজপ্রাসাদে নিয়ে যাই। "
    তারপরে যা হয়। অরুণার্কের রাজ্যাভিষেক আর দুর্জয়ের সেনাপতি পদ প্রাপ্তি। গোটা শাকদ্বীপ ফুলে ফলে শস্যে সঙ্গীতে পরিপূর্ণ।
    শাকম্ভ আর ঋক্ষ উত্তরে দক্ষিণে পূর্বে পশ্চিমে দূত পাঠিয়ে দিয়েছেন নতুনের বার্তা দিয়ে। শাকদ্বীপে নবজাগরণ।

    (সমাপ্ত)
  • &/ | 151.141.85.8 | ২৭ মার্চ ২০২৩ ০৬:০৭739850
  • শাকদ্বীপের হবে। কোথাও কোথাও টাইপো আছে। শাকদ্বীপের জায়্গায় শাপদ্বীপ হয়ে গেছে। নিজগুণে ক্ষমা করে দেবেন।
  • &/ | 151.141.85.8 | ২৭ মার্চ ২০২৩ ০৮:০৪739851
  • রুতারা শাকদ্বীপের অধিষ্ঠাত্রী দেবী আর ইরাবর্ত শাকদ্বীপের অধিষ্ঠাতা দেবতা।
  • dc | 2401:4900:2300:255e:3d2a:721b:3974:c8ff | ২৭ মার্চ ২০২৩ ০৮:০৭739852
  • শেষটা বড্ডো তাড়াহুড়ো করে হয়ে গেল। 
  • &/ | 107.77.237.98 | ২৭ মার্চ ২০২৩ ১০:৪৪739853
  • হুঁ , মাঝে আরও এডভেঞ্চার ঢোকানো দরকার 
  • kk | 2601:14a:500:e780:5434:7744:a019:29d5 | ২৭ মার্চ ২০২৩ ২০:১২739854
  • যাঃ, বড্ড ঝপ করে শেষ হয়ে গেলো। মিরিচিনি পাতার পায়েসও তো খাওয়া হলো না। শাকদ্বীপের বাসিন্দাদের নামগুলো খুব সুন্দর। কিন্তু বারবার মার্ভেল এর সিনেমা গুলো দেখে দেখে আমার এমন হয়েছে যে এই অন্ধকার গুহা পেরিয়ে অন্যরকম জগতে পৌঁছে যাওয়া পড়ে আমার মনে হলো 'সাং চী'র কথা। লুমিনেসেন্ট প্রজাপতিদের কথা পড়েই ডক্টর স্ট্রেঞ্জের সেই প্রজাপতিগুলোর ছবি চোখে ভেসে উঠলো। এইসব।
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ২৭ মার্চ ২০২৩ ২১:০০739855
  • হ‍্যাঁ, ঝপ করে শেষ হয়েছে। গল্পখোরদের খাই-খাই মেটাতে অন‍্যের গপ সেই বোম্বে-মিঠাইয়ের মত টেনে লম্বা করতে করতে ক্লান্তি এসে গিয়েছিল। laugh
  • &/ | 107.77.237.98 | ২৭ মার্চ ২০২৩ ২২:৫৯739856
  • ওগুলো  রূপক , ফসিল ফুয়েল আর  সোলার এনার্জি। ওই কালো পাখি আর লুমিনিসেন্ট প্রজাপতি . :)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন