এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • কলতান আর চিউয়িং গাম  - ৩১ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ৩০ জুলাই ২০২৩ | ৩৬০ বার পঠিত
  • ( শেষ পর্ব )

    কলতান হেসে হরিপ্রসাদকে বলল, ' আসুন আপনারা .... আমরা পেছনের ঘরে বসে একটু কথাবার্তা বলি .... '
    আগরওয়ালজি একগাল হেসে বললেন , ' হ্যাঁ চলুন স্যার ... '
    স্বামী স্ত্রী দুজনে কলতানের পিছন পিছন একটা ঘরে গিয়ে ঢুকল। অনেক পুরণো বাড়ি , ছোট বড় মিলিয়ে অনেকগুলো ঘর।
    ----- ' বসুন বসুন হরিজি। বসুন ম্যাডাম ... আপনাদের মতো ওয়েল ম্যাচড পেয়ার আমি বেশি দেখিনি। খুব ভাল লাগে আপনাদের ... '
    হরিপ্রসাদজি খুশিতে ডগমগ হয়ে ওঠেন। সাধনাজি হাসি হাসি মুখে নীচের দিকে তাকিয়ে থাকেন।
    ----- ' তাছাড়া আপনাদের আন্ডারস্ট্যান্ড্যান্ডিং , মানে বোঝাপড়াও খুব ভাল .... সেটাই তো দরকার .... খুব ভাল .... '
    ----- ' সে যা বলেন। আপনাদের আশীর্বাদে ... '
    হরিপ্রসাদজি বিনয়ে বিগলিত হন।
    কিন্তু সাধনা আগরওয়ালের ' দেমাক বহত তাগড়া হ্যায় '। তার মুখের স্মিতভাবে যেন একটা ছায়া পড়ল। তিনি নিষ্পলকে তাকিয়ে রইলেন কলতানের মুখের দিকে। কলতানও কোন কথা না বলে তাকিয়ে রইল সাধনার চোখের দিকে।
    ----- ' আন্ডারস্ট্যান্ডিং থাকা কি খারাপ ? ' বেশ পরিশীলিত কন্ঠে জিজ্ঞাসা করলেন সাধনাদেবী।
    ----- ' একদমই না। সাধারণভাবে খুবই ভাল। তবে কি ধরণের কাজ করবেন তার ওপর নির্ভর করবে ভালোমন্দ।'
    কলতান ঠান্ডা গলায় বলে।
    কি জানি কি ভেবে আগরওয়ালজি বললেন ,
    ' ঠিক ঠিক... সাহি বাতায়া আপনে গুপ্তাজি ... '
    ----- ' যাই হোক, ভাল থাকলেই ভাল। মিলেমিশে থাকাই তো ভাল .... ' বলে কলতান একটু চুপ করে রইল। তারপর একটা অদ্ভুত কথা বলল,
    ' হরিপ্রসাদজি আপনি কি চিউয়িং গাম চিবোতে পছন্দ করেন ? '
    -----' না না .... আমার ওসব আদত বিলকুল নেই ... আচ্ছা আমাকে এসব জিজ্ঞাসা করছেন কেন ?'
    সাধনাজি একদৃষ্টে কলতানের দিকে তাকিয়ে আছেন।
    কলতান বলল, ' না আপনার দলের সবাই তো চিবোয় ... '
    ----- ' আমার দলের মানে ? '
    ----- ' মানে জ্যাকলিন মালিয়ার দল ... '
    ----- ' কি বলছেন কি ! ওরাই তো আমায় থ্রেট দিত .... '
    ----- ' হ্যাঁ তা দিত ... কিন্তু সে তো অনেক পরে। আপনি সতীশ মিশ্র এবং জীবন সরকারকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেবার পর এ ঘোটালা থেকে সরে যেতে চাইছিলেন। আপনার অনেক টাকা কামানো হয়ে গিয়েছিল। সতীশ মিশ্রের ফ্যামিলিকেও আপনি ভয় দেখিয়ে চাপ তৈরি করে দেশে পাঠিয়ে দিলেন। তারা কেমন আছে কিছু জানেন কি ? যাক সে সব পরে জানবেন। আপনার সঙ্গে সিদ্ধার্থ সিনহা এবং জ্যাকলিনের পরিচয় হয়েছিল গৌহাটিতে। কিভাবে ঠিক বলতে পারব না। আপনি আপনার ব্যবসার কাজে ওখানে গিয়েছিলেন। রতনে রতন চেনে। পরিচয় পর্ব হওয়ার পর কথায় কথায় জ্যাকলিন আপনাকে ওই অসৎ কাজের প্রস্তাবটা দিয়ে আপনাকে তাদের চক্রের সঙ্গে যুক্ত হতে বলে। আপনি ভীষণ রকমের অর্থলোভী। সঙ্গে সঙ্গেই রাজি হয়ে যান , সাত পাঁচ কিছু না ভেবেই। আপনার মিসেস, যার বুদ্ধির ওপর আপনার প্রচুর আস্থা আছে তার বারণও আপনি শোনেননি। পরে অবশ্য দল ছেড়ে দেওয়ার পর জ্যাকলিন অ্যান্ড কোম্পানির হুমকির মুখে পড়ে সাধনাজির শরণাপন্ন হন এবং তিনি আপনাকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পরামর্শ দেন। সাধনাজি এই গ্যাং-এ যুক্ত থাকাকালীন আপনি আপনার সব দুষ্কৃতীদের কথা জানতেন। আর জানত আপনার বন্ধু সতীশ মিশ্র। এই জানার কারণেই তাকে খুন হতে হল। এটাও সাধনাজি জানতেন। কিন্তু তার কিছু করার ছিল না। স্বামীকে তো তিনি জেনেশুনে বিপদে ফেলতে পারেন না। বরং আমার সাহায্য নিয়ে আপনাকে নির্দোষ প্রমাণ করার পদক্ষেপ নিলেন ....'
    এই সময়ে হরিপ্রসাদ উত্তেজিত হয়ে চেঁচিয়ে উঠলেন , ' গুপ্তাজি আপ কেয়া বাকবাস করতে যারহে হো ... দেমাক তো ঠিক হ্যায় না ? সাধনা , তুমি ভি চুপ কিঁউ ব্যয়ঠে ভালা .... কুছ বোলতি কিঁউ নেহি ? '
    সাধনাজি হঠাৎ আঁচলে মুখ ঢেকে মাথা নীচু করে ঝরঝর করে কেঁদে ফেললেন।
    কলতান কথা থামিয়ে চুপ করে বসে রইল খানিকক্ষণ।
    হরিপ্রসাদ আগরওয়াল চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন, ' আপনি যে এত আলতু ফালতু কথা বলছেন ... কোন প্রুফ আছে আপনার কাছে ? '
    কলতান মৃদু হেসে বলল, ' নিশ্চয়ই আগরওয়ালজি ... প্রুফ ছাড়া কেউ কথা মানবে ? ওসব হচ্ছে দাঁড়ান ... '
    জাগ থেকে এক গ্লাস জল খেল কলতান। হরিপ্রসাদকে বলল, ' খাবেন নাকি ? '
    হরিজি কোন উত্তর না দিয়ে অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নিলেন।
    কলতান আবার শুরু করল, ' আসল কথাটাই বলা হয়নি এখনও। চিউয়িং গাম .... এটা এই দলে আপনার অবদান। মজার ব্যাপার .... '
    কথাটা শুনে হরিপ্রসাদ ঝট করে কলতানের দিকে তাকালেন। কোন কথা না বলে স্থির চোখে তাকিয়ে রইলেন। সাধনাজি এখনও চোখে আঁচল চাপা দিয়ে বসে আছেন।
    ----- ' কি বলতে চাইছেন ? ' হরিজি রুখে দাঁড়ান।
    ----- ' দলে এই চিউয়িং গাম চিবোনোর নেশাটা আপনিই ধরিয়েছেন। আপনাদের হাই কম্যান্ড ব্যাপারটা জানে কিনা সেটা তাদের ধরবার পর জানা যাবে। এই দেখুন ... একটা গোলাপী প্যাকেট। ডেবোনেয়ারের অফিসের পিছন দিকে, মানে সুগত সেনের চেম্বারের পিছনের জানলার নীচ থেকে এরকম অনেক পেয়েছি। আর একটা পেয়েছি আপনার পকেট থেকে .... '
    হরিপ্রসাদ ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে থাকলেন কলতানের মুখের দিকে।
    -----' সেই আমার বাড়িতে যেদিন এসেছিলেন .... চা খেয়ে মুখ মোছবার জন্য পকেট থেকে রুমাল বার করতে গিয়ে , এই যে, এই পাউচটা পড়ে গিয়েছিল। আপনি খেয়াল করেননি। এতে দুটো গাম ছিল। কৌতূহলবশত আমি একটা ইউজ করি, মানে মুখে দিয়ে চিবোতে থাকি এবং ফিল করি আমার আমার মস্তিষ্ক থেকে ভয় ,উদ্বেগ দুশ্চিন্তা অনেকটাই উবে যাচ্ছে। মাথা বেশ হাল্কা এবং মেজাজ ফুরফুরে। আমি নিশ্চিতভাবে বুঝতে পারি এতে বিশেষ কোন স্টেরয়েড ইনগ্রেডিয়েন্ট আছে। তবে হয়ত তেমন ক্ষতিকর নয়। এই কমলা রঙের চিউয়িং গাম আপনার কোম্পানিতে তৈরি। বোধহয় ভারতের কোন কোন অঞ্চলে এর ভালোরকম চাহিদা আছে। সে যাই হোক দুটো পাউচ আমি মিলিয়ে দেখি। ম্যানুফ্যাকচারারের নাম এইচ পি প্রাইভেট লিমিটেড। এইচ পি মানে খুব সম্ভবত হরিপ্রসাদ। এগুলো বোধহয় আপনার সাইড বিজনেস। সে যাই হোক আপনি যেদিন আমার বাড়িতে এসেছিলেন সেদিন আপনি আপনার একটা ভিজিটিং কার্ড দিয়েছিলেন ঠিকানা এবং ফোন নাম্বার দেবার জন্য। আপনি সে সময়ে আমার আস্থা অর্জনের জন্য এত ব্যস্ত ছিলেন যে এই ঝুঁকিটা চোখ কান বুজে নিয়ে ফেলেছিলেন। এতটা রিস্ক না নিলেও পারতেন। এর পরেও আপনার কাছে হুমকি আসছিল। কারণ প্রচুর প্রফিট করে নেবার পর নিজের ইচ্ছেমতো একটা ক্রিমিনাল গ্যাং ছেড়ে দেওয়া যায় না। এটা আপনার বোঝা উচিত ছিল। তাদের অনেক কিছু জেনে ফেলার পর তাদের সঙ্গ ছাড়তে চাইলে তারা আপনাকে ছাড়বে কেন ? '
    হরিপ্রসাদ কোন কথা না বলে কলতানের কথা শুনে যেতে লাগল।
    কলতান আবার বলল, ' সুগতবাবু এবং অশেষ আমাদের সঙ্গেই আছে। আপনাকে আইডেন্টিফাই করতে তাদের কোন অসুবিধে হবে না। আরও দু একজন আপনাকে সহজেই আইডেন্টিফাই করতে পারবে। তাদের ডাকছি ..... '
    কলতান দরজার দিকে মুখ ঘুরিয়ে ডাকল ----
    ' আপনারা আসুন ....'
    নীল শাড়ি পরা বছর চল্লিশের আঁটোসাঁটো গড়নের মহিলা সঙ্গে একটা আন্দাজ আঠারো বছরের ছেলে এবং পনের বছরের মেয়ে নিয়ে ঘরে এসে ঢুকল।
    দেখে এক মুহূর্তের জন্য চমকে উঠল হরিপ্রসাদ। সাধনাজি ভিজে চোখে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলেন ওদের দিকে।
    তিনজন বসে পড়ল একটা চৌকির একধারে।
    কলতান বলল, ' রাঁচি থেকে আনিয়েছি এদের গতকাল। হরিপ্রসাদজি আপনি তো এদের চেনেন নিশ্চয়ই .... '
    হরিপ্রসাদ হতচকিত দৃষ্টিতে ওদের দিকে তাকিয়ে রইলেন।
    কলতান বলল, ' সতীশ মিশ্রের ওয়াইফকে আপনার না চিনতে পারার কোন কারণ নেই। আপনি এদের ভয় দেখিয়ে রাঁচি পাঠিয়েই নিশ্চিন্ত হলেন না , কাউকে সুপারি দিয়ে সতীশকে সরিয়ে দিলেন। আচ্ছা ... মিস্টার আগরওয়াল আপনার এই অ্যাকশানের জন্য হাইকম্যান্ডের অ্যাপ্রুভাল ছিল ? '
    হরিজি চোখ তুলে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে কলতানের দিকে তাকাল। কলতানও হাসি হাসি মুখে সোজাসুজি তাকিয়ে রইল হরিপ্রসাদের চোখের দিকে।
    ----- ' বলুন না ... হরিবাবু সতীশকে মারার দরকার হল কেন ? ..... আমার ধারণা জ্যাকলিনের অর্ডারেই আপনি কাজটা করেছিলেন। কারণটা খুব সিম্পল ... বিশেষ কিছু না .... সতীশ আপনার প্রস্তাবে রাজি তো হনইনি , বরং পুলিশকে জানাবে বলেছিল। আর আপনি আমার কাছে ব্যাপারটা সাজিয়ে বলেছিলেন একদম উল্টো করে। মানে, সতীশ কালপ্রিট আর আপনি যেন ভিকটিম।
    জীবনকৃষ্ণের ব্যাপারটা অবশ্য আলাদা। ও-ই আপনাকে এলিমিনেট করতে চেয়েছিল। কিন্তু আপনি তাকবাগ বুঝে আগেই খেলে দিলেন দানটা। স্রেফ প্রফেশানাল জেলাসি। এটা কিন্তু আপনার হাইকম্যান্ড তো নয় , জ্যাকলিনেরও নলেজে ছিল না। দুজনকেই গুলি করা হয়েছিল ফাঁকা মাঠের পাশে একটা লেকের ধারে। পুলিশ এখনও কাউকে ট্রেস করতে পারেনি। জানিনা পারবে কিনা। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আপনি সতীশের ফ্যামিলিকেও টার্গেট করেছিলেন। কিন্তু ওরা ঠিক সময়ে পালিয়ে যায় এবং সতীশের এক বাল্যবন্ধুর বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। অত্যন্ত সদাশয় সেই মানুষটি খুব সাবধানে সতীশের বউ বাচ্চাকে লুকিয়ে রাখে ঈগলের ভয়ানক নখ থেকে। কি তাইতো ভাবিজি ? '
    সতীশের জরু দামিনী ঘাড় নেড়ে বলল, ' হাঁ জি ... '
    হরিপ্রসাদ থম মেরে বসে আছেন। সাধনাজি দুটো গভীর শ্বাস ফেললেন।

    কলতান আবার বলল হরিপ্রসাদের দিকে তাকিয়ে, ' নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন ..... আমি এত কথা জানলাম কি করে এবং জানলামই বা কখন ! তাই তো ? '
    হরিপ্রসাদ কোন কথা না বলে নিজের করতলের দিকে তাকিয়ে রইলেন। বোধহয় নিজের ভাগ্য গণনা করছেন।
    ----- ' না আমি রাঁচি যাইনি। আমার সোর্স অফ ইনফর্মেশান হল অশেষ পালিত। সে দেখা গেল পুরো ব্যাপারটাই জানে। এটা তো কল রেকর্ড থেকে পরিষ্কার যে অশেষ আপনাকে হুমকি দিত গ্যাংয়ের নির্দেশে। সেটা অবশ্য আপনি দলের সঙ্গে গদ্দারি করার পর। সে যাই হোক, অশেষ এই অপরাধী চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার চাপ আর নিতে পারছিল না। সে এই শিকল ছিঁড়ে বেরোবার একটা রাস্তা খুঁজছিল। আমরা ওকে কাস্টডিতে নেবার পর ও মুক্তির একটা রাস্তা দেখতে পায়। সে রাজসাক্ষী হতে রাজি হয়ে যায়। আমি ওর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলি পুলিশ কাস্টডিতে। ওর কাছ থেকেই আপনার সব কথা জানতে পারি। শুনে মিথ্যে কথা বলব না, আমি কিছুটা হীনন্মন্যতায় আক্রান্ত হয়েছিলাম .... এটা আমি একেবারেই ধরতে পারিনি। অশেষ খুব ক্ষুব্ধ ছিল আপনার ওপর, দুজন নীরিহ লোককে মারার জন্য। অশেষই সতীশ মিশ্রের বৌ বাচ্চার খবর দেয় আমাকে। ও সব খবর রাখত। খবর পেত অবশ্য সিদ্ধার্থ সিনহা মারফত। দলের লোক দলের কিছু কথা তো জানবেই এবং সেটা চুঁইয়ে কিছুটা নীচে পড়বেই। কিছুদিন আগে ও দুবার রাঁচিতেও গিয়েছিল। এই মার্ডার দুটো ওর মনকে নাড়া দিয়ে গিয়েছিল। হাজার হোক, অশেষ কোন বর্ন ক্রিমিনাল নয়। চিউয়িং গাম রহস্যতেও আমার ধারণা সঠিক প্রমাণ করে ওই অশেষই। দক্ষিণ এশিয়ার কিছু কিছু অঞ্চলে এই গামের ভাল চাহিদা আছে। এটা হরিপ্রসাদের সাইড বিজনেস।'
    এই পর্যন্ত বলে কলতান বলল, ' ভেরি সরি মিস্টার আগরওয়াল, আপনাকে নেমন্তন্ন করে ডেকে এনে বিব্রত করতে হচ্ছে। কি করব বলুন ... আমাদের কাজটাই এরকম। আপনি মার্ডারের সুপারি কাকে দিয়েছিলেন এবং সে বা তারা কিভাবে অপারেশানটা এক্জিকিউট করেছিল সেটা কলকাতা পুলিশ রাঁচি পুলিশের সঙ্গে একযোগে নিশ্চয়ই করবে। তাছাড়া আপনাকে হেফাজতে নেবার পর আপনি যত তাড়াতাড়ি মুখ খুলবেন, কেসটা তত তাড়াতাড়ি ফয়সালা হবে। কি ... ঠিক কিনা ? যাই হোক, এবার চলুন খাওয়া দাওয়া করে নেওয়া যাক .... মিস্টার গৌতম রক্ষিতও ওখানেই আছেন। আপনার সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেব ... '

    সাধনাজি আবার একবার চোখে আঁচল চাপা দিয়ে কান্নায় ডুবে গেলেন।

    ( শেষ )

    ************** ************ *********
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Mousumi Banerjee | ৩০ জুলাই ২০২৩ ২৩:০৬521930
  • শেষটা তেমন হল না। বাকিদের কথা নেই। তিতির, প্রেরক ই বা কি ভূমিকায় বোঝা গেল না
  • যোষিতা | ৩০ জুলাই ২০২৩ ২৩:৪৩521933
  • শেষটা তেমন জমেনি।
  • kk | 2607:fb91:87b:8018:4bad:c302:48d3:5dff | ৩১ জুলাই ২০২৩ ০০:১০521935
  • চিউয়িং গামের মধ্যে "স্টেরয়েড জাতীয়" জিনিষটা একজ্যাক্টলি কী থাকতো? সিবিডি নাকি? সিবিডি তো বেশ ভালো জিনিষ। আমি খাই মাঝেমাঝে গামি হিসেবে।
    আমারও মনে হয়েছে শেষটা কেমন তাড়াহুড়ো করে হলো। কিছু জিনিষ অশেষ পালিত বলে দিয়েছে, কিছু সিদ্ধার্থ সিনহা বলে দিলো, কিছু সুগত সেন বলে দিলো। তাহলে আর মাথা খাটিয়ে বার করা সেভাবে দেখতে পেলামনা। আর সত্যি, তিতির ও প্রেরকের চরিত্রের অবতারণা আদৌ কেন হয়েছে সেও বোঝা গেলোনা।
  • কালনিমে | 2402:3a80:1983:ae6d:dd14:d689:6b9d:7b6d | ৩১ জুলাই ২০২৩ ০০:১৭521937
  • শিয়ালদা।
     
    যুবভারতী॥
  • :|: | 174.251.160.133 | ৩১ জুলাই ২০২৩ ০২:৫৮521939
  • ইডি সিবিয়ায়ের গৈন্দাগিরি এই রকমই হয়। আপনাদের চাহিদার সেশ নাই। 
  • Mousumi Banerjee | ৩১ জুলাই ২০২৩ ০৯:৫৩521949
  • যেখানে শেষ হয়েছে অনেক প্রশ্ন থেকে গেছে। 
     
    চিউয়িং গাম, এতগুলো চরিত্র সবকিছু পরিষ্কার ঠিক হল না। 
     
    জানি না, বলা ঠিক হবে কি না! 
    তবুও মনে হচ্ছে এই শেষ টুকু থেকে নতুন ভাবে শুরু করা যেতে পারে। পরবর্তী কর্মকাণ্ড নিয়ে
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে প্রতিক্রিয়া দিন