সিএস , তুমি লিখেছ -
'ছাদে দাপাদাপি করা হনুমান, হনুমানের দাঁত খিঁচোন ইত্যাদি নিয়ে লেখা চাওয়া হয়েছে'
কেন চাওয়া হয়েছে? আমরা কি পশুদের ব্যবহার নিয়ে গবেষণা করছি?
এ তো অবশ্যই শ্রী হনুমান , যাকে অনেকেই পুজো করেন, তাকে নিয়ে মজা করার জন্যই চাওয়া
'পড়ে মনে হচ্ছে এই হনুমান আর শ্রীহনুমান এক অথবা হনুমানঠাকুরকে নিয়ে মজা করার জন্য লেখা ছাপানো হবে ?'
- হ্যাঁ, তাই মনে হচ্ছে। মূল লেখার ছত্রে ছত্রে হনুমান, যিনি অনেকের কাছেই পূজ্য, তাকে নিয়ে খিল্লি করা হয়েছে। উদাহরণ -
'বীণা না থাকলেও তাঁর ল্যাজ ছিল। বিভিন্ন কম্পাঙ্কে ল্যাজ নাড়িয়ে বড়বড় সুর তুলতে পারতেন'
'হনুমান খুব বড় বীর। পুরোনো বাংলা পুঁথিতে লেখা আছে, পবনের ছেলে বজরংবলি হেলায় লঙ্কা করিল জয়'
'হনুমান খুব বড় বিজ্ঞানী। হনুমানই প্রথম ইন্টারনেট আবিষ্কার করেন। ইলেকট্রনের গতিতে লঙ্কায় তিনি আগুনকে ভাইরাল করে দিয়েছিলেন'
এগুলো সবই শ্রী হনুমান ঠাকুর-্কে নিয়ে খিল্লি। ব্যক্তিগত ভাবে সৈকত বা যে কেউ খিল্লি করতেই পারে। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে গুরুর ব্যানারে এই খিল্লি সংখ্যা বার করা আমি সমর্থন করি না ।
সমর্থন না করার কারণ -
১। ভারতে, বিশেষতঃ গ্রামীণ ভারতে, রামচন্দ্র এবং হনুমানকে অনেকেই শ্রদ্ধা , ভক্তি করেন, পুজো করেন। তাদের ধর্মবিশ্বাসে আমি আঘাত দিতে চাই না । বজরং দল , বিজেপি, আরএসএস ইঃ হিন্দুত্ববাদী দলগুলো হনুমানের নামে যা অত্যাচার করছে, তার দায় এই ধর্মবিশ্বাসী মানুষদের পূজ্য দেবতা শ্রী হনুমানের নয়
২। ভারতে বহু জনগোষ্ঠী আছেন। তারা বিভিন্ন দেবতার পূজা করেন। আমার এক বন্ধু আছে - সূর্যপাতর মুন্ডা। তারা বৃক্ষ দেবতার পূজা করে। একই ভাবে সাপ, বাঘ ইঃ-র পূজা হয় । বাস্তব জগতে হনুমান পশু বলে তাকে নিয়ে মজা আমরা, সো কলড প্রিভিলেজড এলিট-রা করতেই পারি, কিন্তু তাতে এই গ্রামীণ সমাজের আচার, সংস্কৃতিকে অসম্মান করা হয়। এটা হুতো ও ভাটে লিখেছিল
৩। হনুমান বাঙালীদের দেবতা নন, গুটখা-খোর অবাঙালী-দের দেবতা। এরকম একটা ন্যারেটিভ -ও বাজারে আছে। হনুমান এবং রামচন্দ্রের ইজারা আমরা বিজেপি-কে দিয়ে দিয়েছি। দেওয়ার কথা ছিল না। হিন্দু ধর্ম, গৈরিক বসন, রাম, হনুমান যত দেব দেবী আছেন, তাদের মনোপলি বিজেপি-র নয়, এই ন্যারেটিভ টা আমার বেটার লাগে