এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জয় হনুমান 

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৭ আগস্ট ২০২৩ | ২৬৪৫ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • হনুমান খুব বড় বীর। পুরোনো বাংলা পুঁথিতে লেখা আছে, পবনের ছেলে বজরংবলি হেলায় লঙ্কা করিল জয়। উপনিষদে লেখা আছে, ন হন্যতে হনুমান, অর্থাৎ, হনুমানকে মারা কঠিন না, অসম্ভব। পুরোনো সংস্কৃত শ্লোকে আছে, স্বদেশে পূজ্যতে রাজা / হনুমান সর্বত্র পূজ্যতে। অর্থাৎ, দেশের বাইরে প্রধানমন্ত্রীকে কেউ পাত্তা না দিলেও, হনুমানমন্দির আমেরিকাতেও আছে।
    হনুমান খুব বড় বিজ্ঞানী। হনুমানই প্রথম ইন্টারনেট আবিষ্কার করেন। ইলেকট্রনের গতিতে লঙ্কায় তিনি আগুনকে ভাইরাল করে দিয়েছিলেন। ইন্টারনেটের চোটেই স্বর্ণলঙ্কা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এরপর প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণার জন্য পৃথিবীতে চালু করেন হনুমানমন্দির। সেগুলিকে ছোটো করে, মানমন্দির বলা হয়। সেখানে আগে গ্রহ, তারা, এসব নিয়ে গবেষণা হত, পরে হোয়াটসঅ্যাপ ইউনিভার্সিটি আবিষ্কৃত হয়।
    শিল্পসংস্কৃতিতেও হনুমানের অবদান সরস্বতীর চেয়ে বেশি। বাংলা প্রবাদ আছে, "অ্যাই হনুমান কলা খাবি" - এখানে কলা মানে সিঙ্গাপুরী কলা নয়, শিল্পকলা। বীণা না থাকলেও তাঁর ল্যাজ ছিল। বিভিন্ন কম্পাঙ্কে ল্যাজ নাড়িয়ে বড়বড় সুর তুলতে পারতেন। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত গান হল হনুমান-চালিসা, যা এখন টিভি, রেডিও, ইন্টারনেট, ডিজে বক্স ইত্যাদি নানা মাধ্যমে শুনতে পাওয়া যায়।
    হনুমানকে নানা জায়গায় নানা নামে ডাকা হয়। উত্তরপ্রদেশের হিন্দুরা ডাকেন হনুমাঞ্জি । মুসলমানরা বলেন হনুমান আলি, হিমাচলের সব চেয়ে বিখ্যাত তীর্থস্থানের নাম ছিল হনুমানালি, পরে বদলে হয়েছে কুলুমানালি। সেখানে বছর বছর প্রচুর বাঙালি যান। চিনেরা আগে কথা বলতে পারতনা, হনুমানই তাদের ভাষা শেখান, হনুমানদার-ঋণ থেকেই তাদের ভাষার নাম হয়েছে মান্দারিন। চিন থেকে তিনি লাফ মেরে যেখানে ল্যান্ড করেন, সেই জায়গার নাম ছিল হনুমানদার মনি। এখনও সেই মন্দারমনি, বহু মানুষ দর্শন করতে যান।
    হনুমানের কীর্তির কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, হনু মানে না মানা। আধুনিক গানে আছে, হনু মান কোরো না। এখন সিনেমাহলে হনুমান, ইন্টারনেটে হনুমান, মানুষের দলের নাম হয় বজরং দল। খালি ডারউইন নামের এক বাজে প্রকৃতির সায়েব হনুমানকে মানুষের চেয়ে নিচু স্তরের বলেছিলেন। সেই অপরাধে তাঁকে সিলেবাস থেকে কেটে ফেলা হয়েছে। মানদামঙ্গলকাব্যের কবি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন,
    জল হবে কোকাকোলা
    পাখি হবে আরশোলা
    যখন আসিবে কলি।
    ভূলোক, দ্যূলোক, ভবে
    জাতির নায়ক হবে
    বজরংবলী।।
    এখন কলিকাল এসে গেছে। এখন হনুমানযুগ। জ্জয়বজ্রংবলী।
    ----------
    তা, এই কারণেই আমরা গুরুচণ্ডা৯তে, সামনের ১৫ ই আগস্ট, একটি বিশেষ সংখ্যা করতে চলেছি, যার নাম হনুমান সংখ্যা। পাড়ায় গজিয়ে ওঠা হনুমানমন্দির, ছাদে দাপাদাপি করা হনুমান, হনুমানের দাঁত খিঁচোনো, বা অন্য কিছু বিষয়ে যদি কারো কিছু লেখার থাকে, অবশ্যই লিখে পাঠান। [email protected] এই ঠিকানায়। রাজনীতি-ফাজনীতি নিয়ে ভাববেননা। পার্সোনাল ইজ পলিটিকাল, অর্থাৎ কিনা যাহাই হনুমান সংক্রান্ত, তাহাই রাজনৈতিক।
    পুঃ কেউ কপি করলে অনুগ্রহ করে শেষাংশটা সমেত করবেন। জ্জয়গ্গুরু।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Aha | 2600:387:2:805::5d | ১৪ আগস্ট ২০২৩ ০২:০৮522437
  • ছুপা চাড্ডি আর ছুপা থাকতে পারছে না। কত আর ভদ্র ভাষায় আসুন বসুন মত বিনিময় করুন লেখা যায়? আমি তো আর এসেসের সভায় যাই শুধু ওদের মতাদর্শ বোঝার জন্যে!
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:868b:199:8219:517e | ১৪ আগস্ট ২০২৩ ০২:২৮522438
  • যার যেমন খুশী খিল্লি করবে। তাতে কারো অমত থাকলে সে পাল্টা দেবে। হনুমান, রামচন্দ্র, প্রফেট, যীশু যার যেমন ইচ্ছে। আর আমার মত পাবলিক মজা নেবে। আমাদের দাবী, উপাসনার স্বাধীনতার মত খিল্লির স্বাধীনতা। দুদিক থেকেই। কিন্তু দাঙ্গা করলে মাথা ভেঙে দেওয়া হবে।
     
    এরা হনুমান খিল্লি সংখ্যা বের করছে তো ওরা লিবারেল খিল্লি সংখ্যা বের করুক। কে আপত্তি করবে? আর আপত্তি করলেই বা শুনবে কেন?
     
    এই তো সামারী।
     
     
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:5a25:ecab:92ba:7dbd | ১৪ আগস্ট ২০২৩ ০২:৩১522440
  • অমুক একে নিয়ে খিল্লি করল, ওকে নিয়ে কেন করল না, এসব বালখিল্য নাকে কাঁদুনি। আপনি ওকে নিয়ে খিল্লি করুন। আর আপনার দমে না কুলালে আমাকে পয়সা দিন, আমি করে দেব। এই লাইন পিছু তিনশ টাকা দিলেই হবে, আর কেস হলে উকিল খরচ।
  • &/ | 151.141.85.8 | ১৪ আগস্ট ২০২৩ ০২:৩৮522441
  • আপনারা তো বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ। ধরুন একটা সিস্টেমে ভিতর আর বাইরের সবই ইউনিটই তুমুল খিল্লি টিল্লি করতে পারে, কিসুই হয় না, কেস না মামলা টামলা কিছুই না। আর একটা সিস্টেমে বাইরের তো নাই, ভিতরের কোনো ইউনিটও যদি খিল্লি করে, কেস মামলা খুন চোখ নেওয়া ইত্যাদি হয়ে যায়।
    এই দুই সিস্টেমকে কীভাবে কী করবেন? আলাদাভাবেই ট্রীট করবেন নাকি মাঝামাঝি এসে মেলানোর কিছু চেষ্টা করবেন? এদিক থেকে একটু আঁচ বাড়িয়ে ওদিক থেকে আঁচ কমিয়ে কিছু করবেন?
  • dc | 2401:4900:1cd0:908e:7b:f574:f86e:a850 | ১৪ আগস্ট ২০২৩ ০৮:৪৯522443
  • সিএস, শার্লি হেবদো আছে তো, একদম হৈহৈ করে আছে। আমি মাঝে মাঝেই ওদের ইংরেজি ওয়েবসাইটটা পড়ি। শার্লি হেবদোর রাইটিং স্টাইলে একটা অসাধারন ইরেভারেন্স আর অ্যানার্কিস্টিক স্টাইল আছে, যেটা আমার জন্য এক্কেবারে পারফেক্ট। 
     
    যেমন ধরুন এই লেখাটাঃ laugh
     
    When all is said and done, are the French even allowed to be stupid?

    Hey French people, listen up. Yeah, that's right, you. Écoutez-moi, motherfuckers. Most of the world retains some vestige of the sentimental notion that the French might be smelly, annoying and tedious about cheese but they are, at the very least, much, much smarter than the rest of us. In the English speaking world, being a little bit dumb is one of the defining pillars of who we are. We never read a book and our cinema is cretinous, we think philosophy is gay and upsetting and we elect Donald Trump and Boris Johnson. We’re egregious nincompoops.
  • dc | 2401:4900:1cd0:908e:7b:f574:f86e:a850 | ১৪ আগস্ট ২০২৩ ০৮:৫০522444
  • আমাদের সৌভাগ্য যে শার্লি হেবদো এখনও বেরোয়, আর রুশদিও এখনও লেখেন। 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:70f8:998f:7ffb:44bb | ১৪ আগস্ট ২০২৩ ০৯:১৭522445
  • সিএস , তুমি লিখেছ -
     
    'ছাদে দাপাদাপি করা হনুমান, হনুমানের দাঁত খিঁচোন ইত্যাদি নিয়ে লেখা চাওয়া হয়েছে' 
     
    কেন চাওয়া হয়েছে? আমরা কি পশুদের ব্যবহার নিয়ে গবেষণা করছি? smileyএ তো অবশ্যই শ্রী হনুমান , যাকে অনেকেই পুজো করেন, তাকে নিয়ে মজা করার জন্যই চাওয়া 

    'পড়ে মনে হচ্ছে এই হনুমান আর শ্রীহনুমান এক অথবা হনুমানঠাকুরকে নিয়ে মজা করার জন্য লেখা ছাপানো হবে ?'
     
    - হ্যাঁ, তাই ​​​​​​​মনে ​​​​​​​হচ্ছে। ​​​​​​​মূল ​​​​​​​লেখার ​​​​​​​ছত্রে ​​​​​​​ছত্রে হনুমান, ​​​​​​​যিনি ​​​​​​​অনেকের ​​​​​​​কাছেই ​​​​​​​পূজ্য, তাকে ​​​​​​​নিয়ে ​​​​​​​খিল্লি ​​​​​​​করা ​​​​​​​হয়েছে। উদাহরণ - 
     
    'বীণা না থাকলেও তাঁর ল্যাজ ছিল। বিভিন্ন কম্পাঙ্কে ল্যাজ নাড়িয়ে বড়বড় সুর তুলতে পারতেন'
     
    'হনুমান খুব বড় বীর। পুরোনো বাংলা পুঁথিতে লেখা আছে, পবনের ছেলে বজরংবলি হেলায় লঙ্কা করিল জয়'
     
    'হনুমান খুব বড় বিজ্ঞানী। হনুমানই প্রথম ইন্টারনেট আবিষ্কার করেন। ইলেকট্রনের গতিতে লঙ্কায় তিনি আগুনকে ভাইরাল করে দিয়েছিলেন'
     
    এগুলো সবই শ্রী হনুমান ঠাকুর-্কে নিয়ে খিল্লি। ব্যক্তিগত ভাবে সৈকত বা যে কেউ খিল্লি করতেই পারে। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে গুরুর ব্যানারে এই খিল্লি সংখ্যা বার করা আমি সমর্থন করি না । 
     
    সমর্থন না করার কারণ -
    ১। ভারতে, বিশেষতঃ গ্রামীণ ভারতে, রামচন্দ্র এবং হনুমানকে অনেকেই শ্রদ্ধা , ভক্তি করেন, পুজো করেন। তাদের ধর্মবিশ্বাসে আমি আঘাত দিতে চাই না ।  বজরং দল , বিজেপি, আরএসএস ইঃ হিন্দুত্ববাদী দলগুলো হনুমানের নামে যা অত্যাচার করছে, তার দায় এই ধর্মবিশ্বাসী মানুষদের পূজ্য দেবতা শ্রী হনুমানের নয় 
    ২। ভারতে বহু জনগোষ্ঠী আছেন। তারা বিভিন্ন দেবতার পূজা করেন। আমার এক বন্ধু আছে - সূর্যপাতর মুন্ডা। তারা বৃক্ষ দেবতার পূজা করে। একই ভাবে সাপ, বাঘ ইঃ-র পূজা হয় । বাস্তব জগতে হনুমান পশু বলে তাকে নিয়ে মজা আমরা, সো কলড প্রিভিলেজড এলিট-রা  করতেই পারি, কিন্তু তাতে এই গ্রামীণ সমাজের আচার, সংস্কৃতিকে অসম্মান করা হয়। এটা হুতো ও  ভাটে লিখেছিল 
    ৩। হনুমান বাঙালীদের দেবতা নন, গুটখা-খোর অবাঙালী-দের দেবতা। এরকম একটা ন্যারেটিভ -ও বাজারে আছে। হনুমান এবং রামচন্দ্রের ইজারা আমরা বিজেপি-কে দিয়ে দিয়েছি। দেওয়ার কথা ছিল না। হিন্দু ধর্ম, গৈরিক বসন, রাম, হনুমান যত দেব দেবী আছেন, তাদের মনোপলি বিজেপি-র নয়, এই ন্যারেটিভ টা আমার বেটার লাগে 
     
  • aranya | 2601:84:4600:5410:70f8:998f:7ffb:44bb | ১৪ আগস্ট ২০২৩ ০৯:১৯522446
  • 'আমাদের সৌভাগ্য যে শার্লি হেবদো এখনও বেরোয়, আর রুশদিও এখনও লেখেন'
     
    - হ্যাঁ ডিসি, এটা আমাদের সৌভাগ্য। অভিজিত খুন হওয়ার পর মুক্তমনা, সচলায়তন ইঃ ব্লগ সাইটে স্লোগান ছিল - কলম চলবে 
  • dc | 2401:4900:1cd0:908e:7b:f574:f86e:a850 | ১৪ আগস্ট ২০২৩ ০৯:২৪522447
  • অরণ্যদা, কিন্তু ধর্মবিশ্বাস নিয়ে খিল্লি করা যাবে না কেন? যিনি অনেকের ​​​​​​​কাছেই ​​​​​​​পূজ্য তাঁকে নিয়েই বা খিল্লি করা যাবে না কেন? দুনিয়ার যা কিছু বা যে কাউকে নিয়েই তো খিল্লি করা যেতে পারে! ইনক্লুডিং অল ​​​​​​​ইনস্টিটিউশানস ​​​​​​​অ্যান্ড ​​​​​​​ইন্ডিভিজুয়াল্স ​​​​​​​:-)
     
     
  • dc | 2401:4900:1cd0:908e:7b:f574:f86e:a850 | ১৪ আগস্ট ২০২৩ ০৯:২৭522448
  • আমার মনে হয় হিন্দু রিলিজিয়াস এনটিটিস হোক বা ইসলামিক রিলিজিয়াস এনটিটিস, খৃশ্চান হোক বা পাগান, কাউকেই হোলিয়ার দ্যান দাউ হতে দেওয়া উচিত না। নো ওয়ান অ্যান্ড নাথিং শুড বি অ্যাবাভ খিল্লি।  
  • aranya | 2601:84:4600:5410:70f8:998f:7ffb:44bb | ১৪ আগস্ট ২০২৩ ০৯:২৮522449
  • আঃ নামক ট্রোলার-্কে ধন্যবাদ, ঘটনাটা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য। বিজেপি ও আরএসএস-এর এক বড় নেতা এবং এক হিন্দুত্ববাদী ঐতিহাসিক মঞ্চ থেকে মোদীজির গুণগান করছিলেন , কারণ তিনি গুজরাত দাঙ্গার সময় মুসলিমদের মারার জন্য ফ্রি হ্যান্ড দিয়েছিলেন। বাংলাতেও অমন দাঙ্গা প্রয়োজন ইঃ 
    প্রশ্নোত্তর পর্বে ওদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম কেন ওরা দাঙ্গা প্রমোট করছেন, কেন নারীঘাতী, শিশুঘাতী খুনীদের সমর্থন করছেন। দুজনেই আমতা আমতা করেছেন , কোন উত্তর দিতে পারেন নি। 
    সেই সভায় আমি ছাড়া কেউ কোন প্রতিবাদ করে নি। আমি যে হিন্দুত্ববাদী-দের সভায় তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পেরেছি, এটা আনন্দের, সুখস্মৃতি। 
    আবার সুযোগ পেলে আবারও যাব, এবং মৌলবাদী, খুনীদের বিরুদ্ধে বলব, তাদেরই মঞ্চ ব্যবহার করে .
     
    আপনার অসুবিধা হলে দুঃখিত, কিছু করার নেই smiley
  • aranya | 2601:84:4600:5410:70f8:998f:7ffb:44bb | ১৪ আগস্ট ২০২৩ ০৯:৩০522450
  • ডিসি, এটা আমার মত যে পার্সোনালি খিল্লি করা যেতে পারে, কিন্তু একটা ফোরামের পক্ষ থেকে , তার ব্যানারে নয় .
    লেটস এগ্রি টু ডিস এগ্রি অন দ্যাট smiley
  • dc | 2401:4900:1cd0:908e:7b:f574:f86e:a850 | ১৪ আগস্ট ২০২৩ ০৯:৩৩522451
  • আর ধর্ম নিয়ে, ধর্মের নানান মিথিকাল ফিগারদের নিয়ে, আর ধার্মিক ব্যাক্তিদের নিয়ে তো আরও বেশী বেশী করে খিল্লি করা উচিত বলে মনে করি। লোকজনকে এটা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য যে যেকোন ধর্ম অ্যাট দ্য এন্ড অফ দ্য ডে স্রেফ একটা মানুষের বানানো গল্পসামগ্রী, স্রেফ একটা সিস্টেম অফ বিলিফস। সবার ওপর এলিয়েন সত্য, তাহার ওপর নাই cheeky
  • dc | 2401:4900:1cd0:908e:7b:f574:f86e:a850 | ১৪ আগস্ট ২০২৩ ০৯:৩৪522452
  • "লেটস এগ্রি টু ডিস এগ্রি অন দ্যাট"
     
    অবশ্যই। কখনো দেখা হলে, এক পেগ জনি ওয়াকার বাকি রইল smiley
  • শাপ | 2405:8200:7000:5cal::3o1:1794 | ১৪ আগস্ট ২০২৩ ১২:০০522454
  • আ বে গুরু, হনুমান নিয়ে খিল্লি করিস না, অরণ্যদেব শাপ দেবেন, খুব জাগ্রত
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:bae2:376:c782:a6a | ১৪ আগস্ট ২০২৩ ১৯:৩৮522467
  • লোককে মনে কিছু একটা মনে করিয়ে দেবার জন্য খিল্লি করলে তো খিল্লির স্পিরিটটাই থাকল না। খিল্লি হল খিল্লির জন্য। উদ্দেশ্যমূলক খিল্লি হল, কিছু একটা হল যেটা খিল্লি নয়।
  • সিএস | 2405:201:802c:7838:641f:768c:747b:ad0b | ১৪ আগস্ট ২০২৩ ২০:৩৫522469
  • হনুমান জয়ন্তী এখন দাঙ্গা - ঝামেলা বাঁধানোর ক্যালেন্ডারে একটা প্রধান তারিখ। প্রতি বছরই হয়, হবে, মিচিল হবে, নাচ হবে, অস্ত্র হবে, গালি হবে, তারপর উল্টে ওদের কেস দেওয়া হবে। তো এই যে বজরংবলীকে, শ্রীহনুমানকে ব্যবহার করে এই পরিস্থিতি তৈরী করে ফেলা হয়েছে, রামের পরে তার অনুচরকেই ব্যবহার করা হচ্ছে, সে নিয়ে কি নির্বিরোধী, শান্ত হনুমানভক্তদের কোন বক্তব্য আছে, বা ভাজপা যে তাদের সাধের ভগবানকে হাইজ্যাক করে নিয়েছে সে ব্যাপারে কোন লেখাপত্তর - সংগঠন ইত্যাদি ? তাদের তথাকথিত বিশ্বাস ভাজপা চুরি করে নিজের কাজে লাগাচ্ছে যে ভাজপাকে নাকি অনেকে আছে যারা সমর্থন করে না, সেইরকম অবস্থা তৈরী হয়ে গেলে তাদের ভাবাবেগে যে বজরং দল আঘাত করছে, এরকম বোধের প্রমাণ চোখে পড়ে, শোনা যায়, পড়া যায় ?

    কিন্তু বক্তব্য হল হনুমানকে বীরপুঙ্গব বানিয়ে দাঙ্গাপরিস্থিতি তৈরী করলে তার কাউন্টার হিসেবে - খিল্লির লজিক হিসেবে, ক্ষমতা আর দাপটের বিরুদ্ধে খিল্লির লজিক হিসেবে - হনুমানের ল্যাজ নিয়ে রসিকতা করলে ঐসব হনুমানভক্তদের দুঃখ দেওয়া হবে, এটাই অরণ্যবাবুর বক্তব্য, যা বুঝছি।
     
     
  • সিএস | 2405:201:802c:7838:641f:768c:747b:ad0b | ১৪ আগস্ট ২০২৩ ২১:০৮522470
  • সমস্যা হল অরণ্যবাবু ব্যক্তির বিশ্বাস, গ্রামীণ মানুষের বিশ্বাস আর ভাজপার রাজনীতিকে আলাদা করে দেখছেন। কিন্তু ভাজপা সেরকম ভাবে না, তাদের উদ্দেশ্যই হল ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর যাবতীয় ধর্মবিশ্বাসকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করা। সেরকম হলে, তার কাউন্টার তো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী অথবা দেবভক্তদের মধ্যে থেকে আসতে হবে। সেসব আসছে কী ? সেই তো এলিটরা আর বিশ্বাসহীনরাই এসব নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে।
     
     
  • khilli | 202.87.221.113 | ১৪ আগস্ট ২০২৩ ২১:৩৪522471
  • অরণ্যের প্রাচীন প্রবাদ হোল, যা খিল্লিযোগ্য তাই নিয়েই খিল্লি করা হবে। বাপের সাধ্য নেই কেউ আটকায়। তার অর্থ এই নয় যে, ধর্ম মানেই খিল্লিযোগ্য। ধরুন জৈনধর্ম নিয়ে খিল্লি হয় কি? হয়না। শিখদের নিয়েও হয়না। ঐসব ধর্মের লোক এখনো এমন কোন কান্ডকারখানা করেনি যে জিনিসটা খিল্লিযোগ্য হয়। হিন্দুরা করছে বিজেপি যেভাবে হিন্দুদের খিল্লিযোগ্য বানিয়েছে, আর কোনো পার্টি পারেনি। ফলে হনুমান-টোনুমান নিয়ে খিল্লি হবেই।
     
    আমেরিকায় খ্রীস্চানরা খিল্লিযোগ্য। ইহুদিরা তত নয়, কেননা ক্যাথলিক বালগুলোর মতো ইহুদিরা লিফলেট বিলি করে লোকের বিরক্তি উদ্রেক করেনা। তবে হলোকস্ট সেন্টু দিয়ে ইজরায়েল মাড়ালে খিল্লি হয়। ল্যারি ডেভিড দেখুন। বুঝে যাবেন। একটা এপিসোড ছিল। ল্যারি বাথরুমে মুতছে, ছিটকে যীশুর ছবিতে লাগল, যীশুভক্তরা ভাবল প্ৰভু কাঁদছেন, শেষে বাওয়াল। আরেকটায় হলোকস্ট সারভাইভরকে ডিসকভারি চ্যানেলের সারভাইভরের সঙ্গে তুলনা করে এন্তার খিল্লি। প্যালেস্তাইন চিকেনের এপিসোডটা ত লিজেন্ডারি।
     
    মুসলিমদের কেসটা একটু আলাদা। ওরা প্রজেক্ট নিয়েছে খিল্লি করলে কল্লা নামিয়ে দেব। ফলে চারগুন খিস্তি খাচ্ছে। প্রফেটকে নিয়ে খিল্লি করতে দিলে বরং ভাল ছিল। চাপ নেই, ওরাও শিখে যাবে।
     
    সিম্পুল ল অফ নেচার। খিল্লি না চাইলে খিল্লিযোগ্য কাজ করবেন্না। ইতিহাসের মহাসমুদের পাড়ে দাঁড়িয়ে আপনি যে আওয়াজটা শুনতে পাচ্ছেন, ওটা ঢেউয়ের আওয়াজ নয় স্যার, যুগযুগান্তর ধরে ম্যাংগো পাব্লিকের খ্যাখ্যাখোখোখৌখৌ।
  • ~L~ | 103.76.82.204 | ১৪ আগস্ট ২০২৩ ২১:৩৯522474
  • এ তো যাবতীয় পুজো আচ্চা গুরুভক্ত দীক্ষিতদের ক্ষেত্রে সত্যি বলে মনে হয়। 
     
    যারা হনুমান পুজো করে, একেবারে ভক্ত আর কি, তারা বিজেপি ছাড়া অন্য কাউকে ভোট দেবে? যারা ইসকন, অনুকূলচন্দ্র, রাম ঠাকুর বা বালক ব্রহ্মচারী বা শ্রীমৎ অখণ্ড অমুকানন্দ বাবার শিষ্য, পুজোটুজো হয়, নামগান করে, তারা? যারাই শুধু অভ্যাস, প্রথা বা নিয়ম ভেবে সন্ধ্যাদীপ দেয়, শাঁখ বাজায়, দুবেলা ঠাকুরঘরে পুজো দেয়, সোমবার আকন্দের মালা আর বৃহস্পতিবার আমের পল্লব দিয়ে ঘট সাজিয়ে লক্ষ্মীর পাঁচালি পড়ে তারা ছাড়া বাকি যারা পুজো করাকেই জীবনের মূল ভেবেছে, অনলাইনে গীতার ক্লাস করছে, কণ্ঠি নিয়ে আমিষ ছেড়েছে, ইত্যাদি, তারা কেউ বিজেপি ছাড়া অন্য কাউকে ভোট দেবে? 
     
    এই ভক্তি, আস্তিক্যের বাড়াবাড়ি, পুজো দীক্ষা নিরামিষ কণ্ঠি নামগান কীর্তনের সর্বগ্রাসী আধিপত্য -- এগুলো ভাঙতে হবে তো। একটা মানুষ নিজের জীবনে হিন্দুত্ব ভগবান বা গুরুদেব ঈশ্বরভক্তির পরাকাষ্ঠা হয়ে ভোট দেওয়ার সময় অনান্য ইস্যু দেখে বিজেপিকে ভোট না দিয়ে কংগ্রেস আপ সিপিএম বা তৃণমূলকে দেবে -- এ কি সম্ভব? ভোটের বাজারে বিজেপি বিরোধিতা করতে মাঠে নামলে তো ঘোমটা খুলতেই হবে। সবরকম (হিন্দু) ধার্মিক বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধেই মুখ খুলতে হবে। হ্যাঁ ভোটের লক্ষ্যে, কারণ এ দেশের রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ ভোটের মাধ্যমেই নির্ধারিত হয়। ওটাই যুদ্ধক্ষেত্র। মানুষকে ধর্ম ও সেই আনুসাঙ্গিক কাজেকর্মে আবদ্ধ রেখে, সমস্ত মনোযোগ সেখানে বেঁধে রাখার খেলাটাকেই ঘোরাতে হবে তো।
     
    সবগুলোকে টার্গেট করে খিল্লি বা অন্য কিছু করতে হবে। রামকেও। রামদেবকেও।
     
    মুসলিম ধার্মিক বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধেও মুখ খুলতে হবে, তবে সেটা বাংলাদেশে, পাকিস্তানে, যেখানে মুসলিম মৌলবাদ মানবতার গলা টিপে ধরছে, ক্রমশ।
  • কিন্তু কিন্তু | 2405:8100:8000:5ca1::c7:383c | ১৪ আগস্ট ২০২৩ ২১:৪৯522475
  • এই যে শুনেছিলাম মুসলিমদের গোঁড়ামির বিরুদ্ধে হিজাব বোরখা তিন্তালাক হটাতে মুসলিমদের ভেতর থেকে প্রতিবাদ আসতে হবে। অমিতচাড্ডি অরণ্য এরাই ত বলেছিল। তাহলে এই যারা বিজেপীকে ওট দেয় না সমর্থনও করে না শুধু পুজোয়াচ্চা করে ভক্তিভরে তারা হিন্দুদের ভেতর থেকে বিজেপীর রামের হনুমানের নামে খুন করাকে প্রতিরোধ করবে না? আসবে না তাদের ভেতর থেকে প্রতিবাদ? 
  • :|: | 174.251.162.89 | ১৪ আগস্ট ২০২৩ ২১:৫৫522476
  • "অনলাইনে গীতার ক্লাস করছে, কণ্ঠি নিয়ে আমিষ ছেড়েছে, ইত্যাদি, তারা কেউ বিজেপি ছাড়া অন্য কাউকে ভোট দেবে?"
    কেন? দেবেনা কেন? গীতার সঙ্গে বিজেপির কী সম্পর্ক? ফুটবলের সঙ্গে গীতার একটা ক্ষীণ যোগ আছে মনে হচ্ছে কিন্তু কিন্তু ....
    খিল্লি সমাধান নয়। খিল্লিতে ক্লোসেট চাড্ডি তৈরী হবার সম্ভবনা বেশী বলে মনে হয়। 
    মূল টেক্সটের নিঃস্বার্থ সশ্রদ্ধ ব্যাখ্যা কাছাকাছি সমাধান হলেও হতে পারে। 
  • dc | 2401:4900:231e:2059:2930:820f:a385:d506 | ১৪ আগস্ট ২০২৩ ২২:১৪522478
  • khilli ল্যারি ডেভিডের নাম করলেন। আরেকজন বিখ্যাত খিল্লিবাজ হলেন জর্জ কার্লিন, ওনার একেকটা ভিডিও এককটা সম্পদ :-)
     
    হ্যাঁ, রিলিজিয়ন, রিলিজিয়াস আইকনোগ্রাফি ইত্যাদিদের নিয়ে অবশ্যই খিল্লি করতে হবে, কারন জনগনকে রিলিজিয়ান দিয়ে প্রভাবিত করা বিজেপি / আরেসেসের দীর্ঘকালের প্রোজেক্ট। তাদের বিরুদ্ধে আইডিওলজিকাল লড়াইয়ের অনেকগুলো ডাইমেনশানের একটা হলো খিল্লি। 
     
    তবে খিল্লির আরও একটা কারনে দরকার আছে বিশেষ করে ইন্ডিয়ায়। আমাদের ইন্ডিয়ানদের দোষ হলো আমরা বিভিন্ন ব্যক্তিকে পেডেস্টালের ওপর চড়িয়ে দি আর পারলে তাদেরই ভগবান বানিয়ে দি। রবীন্দ্রনাথ থেকে বিবুদা, গান্ধী থেকে সুভাষ প্রত্যেকের লার্জার দ্যান লাইফ ইমেজ বানাই আর একেকজনকে নিয়ে একেকটা কাল্ট শুরু করি। আর আমাদের এই অভ্যাস নিজেদের কাজে লাগায় প্রধানসেবকের মতো ডিক্টেটররা আর তাদের চাড্ডিভক্তরা। এটাকে কাটানোর জন্যও খিল্লি দরকার মনে করি। 
  • dc | 2401:4900:231e:2059:2930:820f:a385:d506 | ১৪ আগস্ট ২০২৩ ২২:২৪522479
  • এটা দেখতে পারেন, কার্লিন অন রিলিজিয়ন। এক্কেবারে অন্য লেভেলের laugh
     
  • ~L~ | 103.76.82.204 | ১৪ আগস্ট ২০২৩ ২৩:৩০522485
  • যারা সময় কাটাতে, হঠাৎ খেয়ালে কৌতূহলে বা দর্শন ইত্যাদির সন্ধানে গীতা পড়তে শুরু করে তারা একরকম কেস। কিন্তু এই নিয়মিত জমায়েত হয়ে বছরের পর বছর গীতা ক্লাস, কোভিডের সময় জমায়েত বন্ধ হয়ে গেলে অনলাইন গীতা ক্লাস, এসব অন্য প্রজেক্ট। মূলত আরেসেস ড্রিভন। মানুষকে ধর্মমুখী ভগবতমুখী করে তোলার নানা কৌশল।  গুজরাটে নানা পাড়ায় এইরম জমায়েত প্রতি সপ্তাহে দুই বা তিনদিন করে হয়। ধর্মকথা হয়, লোকে লিখিত ভক্তিপূর্ণ বক্তব্য পাঠ করে। ঈশ্বরপ্রেম আধ্যাত্মিকতা থেকে মানবতা অমুক গুরুর বাণী সবই বিষয়। মূল টার্গেট হল ধর্ম কর্মের দিকে আরো বেশি বেশি মানুষের আরও বেশি বেশি সময় ডিভোট করানো। মিশনে এইরকম একটা কাজ হয় প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় ১৫ মিনিট থেকে আধ ঘন্টা করে গান, পাঠ, আর ধ্যান। কিন্তু ওটুকুই। ওর একটা টার্গেট হল, সকালে ঘুমের রেশ তাড়ানো, সন্ধ্যেয় সারাদিনের ডিসট্রাকশন কাটিয়ে কনসেনট্রেট করে পড়তে বসানো। কিন্তু এজন্য দিনের বাকি সময় থেকেও কিছুটা করে শোষণ করার চেষ্টা হয় না। আর ঐ ধার্মিক পাঠচক্রগুলোতে বলা হয় এই নিয়ে আরো বেশি ভাবনা চিন্তা বাড়িতে করো। পরের দিনের জন্য স্পিচ লিখে ও তৈরি করে আনো, ইত্যাদিও চলে। মোটমাট অন্য সবকিছু থেকে সরিয়ে এনে ধর্ম সংক্রান্ত ব্যাপারে ইনভলভমেন্ট বাড়ানো। -- এই জিনিসগুলোকে সমূলে উৎখাত না করলে মুশকিল আছে। আবার জোরজার করে করতে গেলে উল্টো ফল। খিল্লি করে ট্রিভিয়ালাইজ করা একটা ভালো পথ। কিন্তু ইনক্লুসিভ খিল্লি। তাদেরকেও ইনক্লুড করাতে হবে, পার্টিসিপেট করাতে হবে। তারা যেন নিজেদেরকেই টার্গেট না ভাবে। তাহলে ওই যেমন বললেন, ক্লোসেট চাড্ডি তৈরি হবে। অন্তত মানুষের মনে এই জিনিসগুলো ঢোকানো যে ফালতু ব্যাপারে সময় নষ্ট করছি। করার মত আরো চাট্টি ভালো কাজ ভালো বিষয় রয়েছে। ক্রিয়েটিভিটির চর্চা বাড়ানো দরকার। আগে পাড়ায় পাড়ায় বছরে অন্তত দুটো ফাংশন, তাতে নাচ গান নাটক নৃত্যনাট্য তার মহলা ইত্যাদিতে মানুষের কিছু ক্রিয়েটিভ সময় যেত, পারস্পরিক ইন্টার‍্যাকশন বাড়ত। এখন পাতি ডিজে বা নাচের ট্রুপ বা নাটকের দল বা অমুক কন্ঠিদের এনে বা প্রফেশনালদের টাকা দিয়ে অনুষ্ঠান করাও। এন্টারটেনমেন্ট হয়ে গেল। পাড়ার লোকেদের ক্রিয়েটিভ সময়ও দিতে হল না। এই কালচারগুলো পাল্টাতে হবে। ফোর্সফুলি। পাড়ায় পাড়ায় কালচারাল ফোকাল পয়েন্ট ক্রিয়েট করে তাদের উদ্যোগে বাচ্চাদের, বড়দের এইসব অ্যাকটিভিটিতে টানতে হবে। মূল ফোকাস ধর্ম ও ধার্মিক কাজকর্ম থেকে সরিয়ে আনতে হবে। ঐ মূল টেকস্টের সশ্রদ্ধ নিঃস্বার্থ ব্যাখ্যা বা সেইগুলি প্রচার ও সেইদিকে মানুষের সময় টানার বিরুদ্ধেও ভাবতে হবে।  ধর্ম সংক্রান্ত হাবজগাবজে টাইম ইনভেস্ট করতে দিলেই মুশকিল, যত ভেগোলজি যত ফালতু চিন্তাভাবনায় মাথা ভর্তি হয়ে থাকবে সারাক্ষণ। একটা সময় একটা দেশের কয়েকজন সেরা দার্শনিক যা নিয়ে চর্চা করেছেন, যে সব হাই থট লিপিবদ্ধ করেছেন, সেসবে সেকালেও সাধারণ মানুষ ইন্টারেস্ট নেয়নি। কারণ তাদের লেভেলের জিনিসই না। ওইসব হাই থট, দর্শন, পড়ে জেনে সাধারণ মানুষের কী লাভ। যারা মস্তিষ্ক চর্চা করছেন করুন গে। আজকেই বা কয়জন মিল কান্ট হেগেল নিৎসে সার্ত্র হাউইডেগার স্যসুর দেরিদা ফুকো লাঁকা মার্কস এঙ্গেলস মাও লেনিন স্তালিন ট্রটস্কি পড়ে ফাটিয়ে দিচ্ছে? তাইলে খামোকা ষড়দর্শন বেদ উপনিষদ গীতা যোগ পড়ে পড়ে সবাকার মাথা নষ্ট করার দরকার কী? 
     
    বিজেপি আরেসেস ধর্মের মাঠে খেলছে। সেই মাঠে নেমে তাদের কাউন্টার করতে যাওয়া মানে তাদের খেলাতেই অংশ নেওয়া, ওরাও সেটাই চায়। ওই জন্যেই গাদা সাধুসন্ন্যাসী লালন পালন করছে। ব্যাখ্যা ইত্যাদির দিকে গেলে লোকে কার  কথা বিশ্বাস করবে ভেবেই কনফিউজড হয়ে যাবে। তারপর সারাদিনমান ধর্মবিতর্ক করেই কাটবে। সেটাই ওরা চায়।  অন্য সব দিক থেকে মনোযোগ সরিয়ে দেওয়া। একজন রামদেব যোগ ব্যায়াম শিখিয়ে লোকের বিশ্বাস জিতে কোটিকোটি টাকার পতঞ্জলি ব্যাবসা খুলে লাল হয়ে গেল। আবার কোটি কোটি টাকা ব্যাঙ্কঋণখেলাপী করে সাধারণের টাকা লুঠ করল। অথচ তার আওকাত গুরুদেবের, ভগবানের নেকস্ট। 
     
    নিজেদের চ্যানেল খুলুন। টিভিতে না হোক ইউটিউবেই খুলুন। যেসব খবর মেইনস্ট্রীম মিডিয়া চেপে দিচ্ছে সেগুলোকে সারফেস করুন। সারাদেশের থেকে ভলান্টিয়ার সাংবাদিক নিন। মানুষকে সজাগ করুন। চারপাশে অনেক আজে বাজে জিনিসপত্র হয়ে যাচ্ছে। এসব থেকে মুখ ফিরিয়ে ওই নাম গান করে কন্ঠি পড়ে গীতা পড়ে সময় কাটাতে গেলে নিজের আখেরে কোপ পড়বে। গ্যাসের দাম পেট্রলের দাম দেখুন, সবজির দাম দেখুন মোবাইল রিচার্জের দাম দেখুন আর খেপে উঠুন। সরকারকে বেসিক নিডসগুলো দিতে বাধ্য করুন। ভোদাফোনের ৯৯ টাকা রিচার্জ আগে সেকেন্ডে এক পয়সা থেকে বেড়ে সেকেন্ডে ২.৫ পয়সা হল। এবার ভ্যালিডিটি আঠাশ দিন থেকে কমিয়ে পনেরো দিন করে দিয়েছে। ব্যাঙ্কের সুদের হাল কী হয়েছে। কোন প্রতিবাদ নেই, গীতাপাঠ আর তার ব্যাখা চলছে। স্বার্থান্বেষী আর নিঃস্বার্থ, সশ্রদ্ধ আর বীতশ্রদ্ধ! রিডিকিউলাস!!
  • পিছিয়ে পড়ছেন না তো? | 2405:8100:8000:5ca1::f0:3adc | ১৫ আগস্ট ২০২৩ ০৭:১৮522496
  • জীবনে শত্রুর সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে? হনুমান মন্দিরে কী ভাবে পুজো দিলে বিনাশ অনিবার্য?
     
    কেউ শত্রুসংখ্যা বাড়াতে চান না। তবে জীবনে যত উন্নতি করবেন, ততই বন্ধু কমে আসবে। কিন্তু কেউ যদি অত্যধিক শত্রুতা করেন, তা হলে সামাল দেবেন কী করে?
    হনুমান মূর্তি।
    হনুমান মূর্তি। ছবি: সংগৃহীত।
    শ্রীমতী অপালা
    কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২৩ ১৯:০৩
    আমাদের জীবনে যেন কোনও শত্রু না থাকে এটা আমরা সকলেই চাই। কিন্তু কখন বা কেন যে জীবনে শত্রু এসে পরে তা বোঝার উপায় থাকে না। অনেক সময় শত্রুতা এত বেশি পরিমাণে কষ্ট দেয় যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে তছনছ করে ফেলে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, শত্রুর হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বেশ কিছু টোটকার কথা বলা হয়েছে। যা সঠিক নিয়মে পালন করলে শত্রুর হাত থেকে খুব দ্রুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে।
    আরও পড়ুন:
     
    শুকিয়ে গেলেও তুলসী পাতা আপনার নানা উপকারে লাগতে পারে, জানাচ্ছে জ্যোতিষ
     
    শোয়ার ঘরে আয়না রাখতে নেই কেন? বিয়ের আগে বাস্তুর আর কী নিয়ম জানতে হবে?
    টোটকা
    ১) প্রতি মঙ্গলবার রক্তচন্দনের মালায় হনুমানজির মন্দিরে বসে রাম নাম জপ করুন ১০৮ বার।
    ২) প্রতি মঙ্গলবার বা শনিবার হনুমানজির মন্দিরের অন্তত পাঁচবার বা সাত বার প্রদক্ষিণ করুন। যদি মন্দিরে যাওয়া সম্ভব না হয় তা হলে, বাড়িতে হনুমানজির মূর্তি বা ছবির সামনে প্রদক্ষিণ করতে পারেন। এতে যে শুধু শত্রুর বিনাশ হবে তা নয়, এই টোটকা করলে যে কোনও কাজে সাফল্য আসে খুব তাড়াতাড়ি।
    ৩) শত্রুর বিনাশ দ্রুত করতে চাইলে একটা ছোট গদা হনুমানজির
    মন্দিরে রেখে আসুন। এই ক্রিয়া শুক্লপক্ষের মঙ্গলবার রাত ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে করতে হবে। তার পর সেই গদা নিয়ে এসে নিজের কাছে রেখে দিন। এর ফলে শত্রু খুব দ্রুত বিনাশ হবে। অবশ্যই মনে রাখবেন এই গদা যেন রুপোর তৈরি না হয়। এই গদা হতে হবে তামা বা পিতলের। তবে যদি সম্ভব হলে সোনার গদাও দেওয়া যেতে পারে।
    ৪) প্রতি মঙ্গলবার সন্ধ্যাবেলা হনুমান চালিশা পাঠ করুন।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:f0e2:2463:7d6d:eda6 | ২০ আগস্ট ২০২৩ ০২:০২522638
  • কদিন পর এই ​​​​​​​টই-তে ​​​​​​​এলাম। 
     
    পলিটিশিয়ান লিখেছিলেন - 'এরা হনুমান খিল্লি সংখ্যা বের করছে তো ওরা লিবারেল খিল্লি সংখ্যা বের করুক। কে আপত্তি করবে? আর আপত্তি করলেই বা শুনবে কেন?'
     
    - দেখুন, এরা বনাম ওরার তো ব্যাপার নয়, আমরা। আমি নিজেকে গুরুচন্ডালী-র একজন, এইভাবেই দেখি, আমাদের ফোরাম বলে মনে করি। 
    হনুমান কে খিল্লি করে, তার ছাদে দাপাদাপি, দাঁত খিচোনো নিয়ে লেখা আহ্বান সমর্থন করি নি, কিন্তু হনুমান সংখ্যা প্রকাশের পর সেটা আমারও সংখ্যা। 
    রাজনীতি, ধর্ম ইঃ সেনসিটিভ ইস্যু তে কোন সংখ্যা বা চটি প্রকাশ বা কোন আন্দোলন শুরুর আগে, সাইটে আলোচনা হলে ভাল হয়। এটাই আমার মূল উদ্দেশ্য ছিল,এখানে  কিছুটা আলোচনা হয়েছে, ভাল লাগছে। 
    তৃণমূল সরকার প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর একটা খসড়া পাঠানো হয়, বিভিন্ন সদর্থক প্রস্তাব দিয়ে। সেই খসড়া পাঠানোর আগে সাইটে প্রচুর আলোচনা হয়েছিল - পক্ষে ও বিপক্ষে অনেক মতামত এসেছিল। সেটাই প্রার্থিত। 
    আবার গত বিধানসভা নির্বচনের আগে গুরু নো ভোট টু বিজেপি আন্দোলন এন্ডোর্স করে, ইউটিউবে সক্রিয় ভাবে প্রচার করে। এই প্রচারের আগে, যতদূর মনে পড়ে, সাইটে খুব একটা আলোচনা হয় নি। 
    নো ভোট টু বিজেপি এন্ড তৃণমূল - এই মর্মে প্রচার হওয়া উচিত, এভাবে কেউ ভাবতে পারেন, বিজেপি ডাকাত, তৃণমূল চোর, আমরা বাংলায় ডাকাত বা চোর কাউকেই চাই না, এই মনোভাব থেকে। নির্বাচনে কোন পক্ষাবলম্বন, নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়া - গুরুর এর থেকে দূরে থাকা উচিত, তাও কেউ ভাবতে পারেন। তো এ নিয়ে একটা জোরদার আলোচনা কাম্য ছিল, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে, সেটা হয় নি। 
    এটুকুই বলার। বহুমত আসুক। আলোচনা হোক। নিজ মতই ঠিক, তাহাই সেশ কথা, এমন টা আমি ভাবি না, অন্য কেউও, আশা করব, সেভাবে ভাবেন না 
  • dc | 2a02:26f7:d6c1:680d:0:750d:8084:d1f | ২০ আগস্ট ২০২৩ ০৮:৩৮522643
  • আমার মতে নো ভোট টু বিজেপি সবার পক্ষ থেকে আর সবরকম অর্গানাইজেশান থেকে প্রচার করা উচিত। যে আসে আসুক, বিজেপি যেন না আসে - এটা একদম ক্লিয়ার করে দেওয়া উচিত। 
  • r2h | 134.238.165.73 | ২২ আগস্ট ২০২৩ ২১:১৬522841
  • আহ, মাত্র এক হপ্তা নিরবচ্ছিন্ন ছুটির পরও ফিরে আসা বেদনাদায়ক, বিপুল ব্যাকলগ, সুচিন্তিত মতামতে মাথা তাজ্ঝ্বিম, কত কি করার আছে বাকি।

    অরণ্যদা হনুমান সংখ্যা নিয়ে একটু নঞর্থক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দেখলাম।
    এই ব্যাপারটা নিয়ে আমারও একটু দ্বিধা আছে, স্পেসিফিক হনুমান সংখ্যা নিয়ে না, মোটের ওপর ধর্মপ্রাণতা বা ধর্মভীরুতা আর ধর্মীয় মৌলবাদ্কে মিলিয়ে দেওয়া নিয়ে - ভাটে লিখেছিলাম ক'দিন আগে, কপি পেস্ট আর করছি না। আপত্তি নেই, দ্বিধা আছে।
    ঠাকুর দেবতা নিয়ে মস্করাতে আমার কোন আপত্তি নেই, বহুল প্রচারিত মহায়ন ছোটবেলাতেও অতি মোটা দাগের উৎকট কুরুচিকর মনে হত, কিন্তু সে শুধুই রুচির ব্যাপার, এছাড়া কিছু না। কিন্তু এটা রাজনৈতিক ভাষ্য হলে তার ফল কী হবে তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। সংসদীয় রাজনীতি আর ইয়ং বেঙ্গলের ধারা তো আলাদা। বদরপীরের মোকামে প্রদীপ জ্বালানো কলিমুদ্দি মিঞার সঙ্গে আইসিসের বা রামাহৈ গান গাওয়া ফেঁকু পাঁড়ের সঙ্গে বাবু বজরঙ্গীর যোগ নেই, এই জিনিসটা মনে না রাখলে, অন্তত ভোটের ব্যাপারে অসুবিধে।
    সে যাই হোক, হনুমান সংখ্যায় প্যালারাম আর রমিতবাবুর লেখা পড়লাম, দুটিই অত্যন্ত উমদা হয়েছে। লেখকদের ও সম্পাদকীয় টেবিলকে ধন্যবাদ।
    আর এইসব বলেও আমি তেমন ভ্রূকুটির লক্ষ্য হব না বলে মনে হয় কারন ঠাকুর দেবতা নিয়ে মস্করা বিষয়ে আমার সাধারন অবস্থান গুরুর অন্য দুয়েকটি পাতায় উপস্থিত। আবারও, কিন্তু রাজনৈতিক ভাষ্য হিসেবে এর ফল নিয়ে আমার দ্বিধা আছে।

    সিএস বলেছেন 
    • সিএস |  ১৪ আগস্ট ২০২৩ ২১:০৮
    • সমস্যা হল অরণ্যবাবু ব্যক্তির বিশ্বাস, গ্রামীণ মানুষের বিশ্বাস আর ভাজপার রাজনীতিকে আলাদা করে দেখছেন। কিন্তু ভাজপা সেরকম ভাবে না, তাদের উদ্দেশ্যই হল ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর যাবতীয় ধর্মবিশ্বাসকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করা।...
    এক্কেবারে একমত। প্রশ্ন হল, আমরাও কি তাই ভাববো?
     
    ওদিকে, আমারও দেশ ছিল পাতায় অরণ্যদা লিখেছে গুরুর প্রকাশনার সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত পদ্ধতি নিয়ে। আমার ধারনা ছিল অরণ্যদা জানে যে গুরুতে নানান বিষয়ের লেখায় নানান লোক সিদ্ধান্ত নেয়, সম্পাদকীয় দপ্তর আছে একটা ঢিলেঢালা মত, কিছু লোকজনের ভেটো পাওয়ার আছে তাও একটু ঢিলেঢালা, মোটের ওপর বহুমত ভালোরকম আছে, অন্তত আমি সেরকমই জানি। দুর্ভাগ্যবশত গুরুর প্রকৃত কর্তৃপক্ষ আজকাল গুরুর আলোচনায় আদৌ অংশগ্রহন করে না তাই এর ভ্যালিডেশনের আশা খুব একটা রাখছি না, তবে এরকমই ব্যাপার। গুরুর একটা ট্রাস্ট আছে, ইমেল আইডি আছে, সেখানেও লোকজন মতামত দেন টেন। এবার প্রতি সপ্তাহে গাদা লেখা বেরুচ্ছে, সেসব বের করার আগে আবার জনে জনে জিজ্ঞেশ করা বা মতামত নেওয়া - অরণ্যদার মাথায় এরকম কিছু থাকলে তার জন্য প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিটে আপিস খোলার জন্য ফান্ড লাগবে। 
    আমার জানা মত গুরুতে সব সময়ই ভলান্টিয়ারের দরকার হয়, আর ভলান্টিয়াররা সিদ্ধান্ত গ্রহনে অংশ নিতে পারে খুব সহজেই। সেই সৈকতদার জেলের টিফিন সংক্রান্ত আলোচনায় স্থির হয়েছিল যে যেটাকে ক্ষমতা বলে মনে করা হচ্ছে সেটা আসলে দায়িত্ব। আর দায়িত্ব কামস উইথ মোর দায়িত্ব। তো সেসব মাথায় রাখা দরকার। 
    আমি নিশ্চিত যারা সম্পাদকীয় সিধান্ত নির্ধারনের প্রক্রিয়াটার সঙ্গে যুক্ত, তাদের সবার জন্যই ঐ মন্তব্যটা অত্যন্ত বিরক্তিকর। খুবই হার্শ হলো, তার জন্য মার্জনা চাই, কিন্তু ব্যাপারটা তাই।
    মানে, অরণ্যদার প্রস্তাবটা কী, সম্পাদকীয় সিদ্ধান্তে এক্স্ট্রীম গণতন্ত্র? নাচের প্রতিযোগিতায় এসএমএস ভোটিঙের মত? তাতে আমাদের রেসিডেন্ট চাড্ডি স্প্যামার পঁচিশটা সাঙ্গোপাঙ্গো নিয়ে আসবে? ওসব হয় নাকি!

    আর "নো ভোট টু বিজেপি এন্ড তৃণমূল", - এ অতি হাস্যকর ধরি মাছ না ছুঁই পানি অবস্থান। এর থেকে ভোট ফর সিপিআইএম অনেক পরিস্কার। আমার অন্তত তাতে দুহাত তুলে সমর্থন করতে কোন দ্বিধা হবে না, যদি মনে করি সিপিআইএমের বিজেপি ও তৃণমূলকে আটকানোর মত জনবল ও মনোবল আছে।
    আর এই মুহূর্তে ভারতবর্ষে কার বিরুদ্ধে আছি সেটাকে স্পষ্ট করে বলার থেকে থেকে বড় অবস্থান আর কিছু হতে পারে না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন