এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  বইপত্তর

  • আমাদের ছাড়া এই পৃথিবী

    সুকান্ত ঘোষ লেখকের গ্রাহক হোন
    বইপত্তর | ০৯ আগস্ট ২০২৩ | ৬৯৯ বার পঠিত | রেটিং ৪ (২ জন)
  • পৃথিবীর বয়স কত? ধরুণ গিয়ে ঐ মোটামুটি ৪.৩ বিলিয়ন ইয়ার, মানে ওই ৪৩০ কোটি বছরের মত আর কি।  তো এই এত বছর বয়সে পৃথিবীর বুক থেকে ‘প্রাণ’ নাম জিনিসটার পুরোপুরি অবলুপ্তি হয়েছে বার কয়েক ধরে নেওয়া যাক।  ওই যেমন ডাইনোসার রা হাপিস হয়ে গিয়েছিল।  সেই অর্থে মনুষ্য প্রজাতির (হোমো স্যাপিয়েন্স) এর অবলুপ্তি পৃথিবীর বুক থেকে এখনো হয় নি।  কিন্তু যদি হত?
     
    মানুষ কি ভাবে পুরোপুরি পৃথিবীর বুক থেকে মুছে যেতে পারে সেই নিয়ে অনেক পাবলিক ভাবনা চিন্তা করেছে – অনেকের তো আবার এই নিয়ে টাইম পাস ভাবনাও আছে।  পারমাণবিক বোমা এবং উল্কা/গ্রহাণু পুঞ্জ-র পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়া – এই দুটি মোটামুটি সবচেয়ে কাছেকাছি কারণ পৃথিবীর বুক থেকে মানুষ ভ্যানিস করে দেবার।
     
    এর বাইরেও কি ভাববার আছে – মানুষ যে ভাবে দিনের পর দিন পৃথিবীকে টর্চার করেছে, মাটি থেকে জল – প্রচুর প্রচুর প্রজাতি চিরতরে অবলুপ্ত হয়ে গেছে ইতিমধ্যে – যারা আর ফিরে আসবে না।  তো এই ভাবে বাকিদের ভ্যানিস করাতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ হাত লাগিয়ে, আমরা নিজেরাই একদিন ভ্যানিস হয়ে যাব না তো?
     
    কিন্তু যদি এমন হয় যে, উল্কাপাত বা পরমাণু বোমা নয় – অন্য কোন এক কারণে কাল থেকে আমরা মানুষরা পৃথিবীর বুক থেকে জাষ্ট ‘নেই’ হয়ে গেলাম।  মানে আর বাকি যা কিছু সব থাকবে – শুধু আমরাই থাকব না! তাহলে কেমন হবে? আমাদের স্থাপত্য, শিল্পকলা সব থাকবে – আমরা বাদে! ওই সব জিনিস কত দিন থাকবে? বা আমরা পৃথিবীকে বদলে গিয়ে যেখানে নিয়ে এসেছি, সেখানে থেকে পৃথিবী-কে তার পূর্ব অবস্থায় ফিরে যেতে কতদিন সময় লাগবে?
     
    এই সব নানা জিনিস নিয়ে নাড়াচাড়া করে “দি ওয়ার্ল্ড উইথ আউট আস” এক অপূর্ব বই লিখেছেন অ্যালেন উইজম্যান।  বইটি পড়লে নানা ভাবনার খোরাক পাবেন – মানুষ আর্বিভূত হবার আগে পৃথিবী ঠিক কেমন ছিল, কাল আমরা নাই হয়ে গেলে পৃথিবী-কে কেমন ছেড়ে যাব, আমাদের শহর গুলি কেমন থাকবে, কি কি জিনিস ক্ষয়ে বা ভেঙে যাবে, কারো আরো আরো বেশীদিন থেকে যাবে ইত্যাদি ইত্যাদি।
     

     
    এবার একটা প্রশ্ন হল – আমরা যদি ‘নেই’ হয়ে যাই, তাহলে কি প্রমাণ থেকে যাবে যে আমরা পৃথিবীতে ছিলাম একদিন? ডাইনোসারের মত শুধুই ফসিল দেখে আমাদের উপস্থিতি বিচার করতে হবে? আমাদের স্থাপত্য, শিল্পকলা থেকে হয়ত বোঝা যাবে আমরা এখানে একদিন ছিলাম – আমাদের আঁকা ছবি, আজকের ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র থেকেও না হয় বোঝা যাবে আমাদের কেমন দেখতে ছিল, আমাদের মুখ দিয়ে কেমন শব্দ বেরুতো ইত্যাদি ইত্যাদি? কিন্তু সেগুলো কতদিন টিকবে? তারপর কি হবে? আমাদের থাকার প্রমাণ কি হবে?
     
    আর যদি এর থেকেও কেস গম্ভীর হয় – মানে পৃথিবীটাই যদি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়, তাহলে এই মহাবিশ্বে যদি কেউ থেকে থাকে আমরা বাদে, তারা কি কোনদিনই জানতে পারবে না যে আমরা এখানে ছিলাম একদিন? আর যদি থেকেই থাকি, তাহলে কেমন দেখতে ছিলাম আমরা? মহাকাশে এদিক ওদিকে আমাদের ছবি ছড়িয়ে দেবার চেষ্টা করি নি কি আমরা?
     
    তলিয়ে ভেবে দেখলে খবরটা শুনে খুব বেশী আশ্চর্য হবার কিছু নেই – আমাদের বিজ্ঞানী-দের মাথাতে এটাও এসেছিল।  শুধু বিজ্ঞানী-দেরই বা কেন, নাসা-র কর্তাদের মাথাতেও এটা ঘুরছিল ১৯৭৭ সালে যখন তাঁরা ভয়জার ১ এবং ২ মহাকাশে পাঠানোর শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।  ছোট্ট করে বলে নিই, ভয়জার ১ এবং ২ যাকে বলে যুগ্ম মহাকাশ ‘প্রোব’ – ভয়েজার ১ উৎক্ষেপিত হয় ১৯৭৭ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর আর ভয়জার ২ আগষ্ট মাসের ২০ তারিখে।  কিন্তু পরে উৎক্ষেপিত হলেও ভয়জার ১ বেশী দ্রুত গতিসম্পন্ন ছিল ভয়জার ২ এর থেকে ফলে মহাকাশে গিয়ে কিছুদিনের মধ্যে ২ নম্বর-কে টপকে নেয়।   এদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল বৃহস্পতি, শনি এবং তার আশেপাশের সৌরমন্ডলের সীমানা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা।  তারপর যদি এদের স্বাস্থ্য ঠিক থাকে তাহলে সৌরমন্ডলের বাইরে ইন্টারষ্টেলার (আন্তঃনাক্ষত্রিক) স্পেস পর্যন্ত যাবে না হয়! ২০১৩ সালে নাসা ঘোষণা করে যে ২০১২ সালের ২৫শে আগস্ট ভয়জার ১ আন্তঃনাক্ষত্রিক মহাকাশে প্রবেশ করেছে।  এটি প্রথম মনুষ্য নির্মিত বস্তু যা সৌরজগতের সীমানা ছাড়িয়ে গিয়েছে।  অনুরূপ ভাবে ভায়জার ২ আন্তঃনাক্ষত্রিক মহাকাশে প্রবেশ করে ২০১৮ সালে।  ২০২৩ সালের জুলাই মাসের হিসেব অনুযায়ী এই মুহুর্তে ভয়জার ১ পৃথিবী থেকে ২৪০০ কোটি কিলোমিটার দূরে!
     
    যাই হোক, ফিরে আসা যাক ১৯৭৭ সালের কথায় – নাসা-র লোকজন ভাবলেন যে, আচ্ছা এই যে এতদূরে আমরা মহাকাশ যান পাঠাচ্ছি, তাদের সাথে যদি অন্য গ্রহের বা সৌরমন্ডলের বাইরের গ্রহান্তরের প্রাণীর দেখা হয়ে যায় তাহলে তারা কি করে বুঝবে যে এটা কারা পাঠিয়েছে? তারা কি ভাবে জানবে ‘মানুষ’ নামক প্রজাতির অস্তিত্ত্ব! ডাকা হল আমেরিকার কর্ণেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাষ্ট্রোফিজিসিষ্ট কার্ল সাগান এবং ফ্র্যাঙ্ক ড্রেক-কে।  এঁদের দুজনকে বলা হল – বাপু আমরা ভয়জার পাঠাচ্ছি মহাকাশে, তোমরা এমন কিছু সাজেষ্ট কর যেগুলো মানুষ প্রজাতির প্রতিনিধি হিসেবে স্পেস প্রোবের সাথে আমরা পাঠাবো – যা দেখে মানুষ সম্পর্ক-কে ধারণা করতে পারবে যারা কোনদিন মানুষ দ্যাখে নি তারা! 
     
    অবশ্য কার্ল সাগান এবং ফ্যাঙ্ক ড্রেক এর কাছে নাসা-র এমন অনুরোধ এই প্রথম নয়।  এর আগে ১৯৭২ এবং ১৯৭৩ সালে ‘পায়োনিয়র -১০’ এবং  ‘পায়োনিয়র -১১’ মহাকাশে পাঠনোর সময় প্রথম অনুরোধ এসেছিল।  অনেকেই জানেন যে কার্ল সাগান-এর জনপ্রিয় বিজ্ঞান বিষয়ের বইগুলির অলঙ্করণ করেন জন লোমবার্গ নামে এক চিত্র শিল্পী যিনি সাথে সাথে রেডিও প্রোডিউসার-ও।  তাই নাসার কাছে থেকে এমন অনুরোধ পেয়ে, সাগান প্রথম দ্বারস্থ হয়েছিলেন জন লোমবার্গ-এর।  এঁরা সবাই চিন্তা ভাবনা করে যা স্থির করেছিলেন সেই মত নাসা দুই পায়োনিয়র মহাকাশ যানে তেই ৬ ইঞ্চি বাই ৯ ইঞ্চি সোনার জল করা অ্যালুমিনিয়ামের ফলক বোল্টু দিয়ে টাইট করে আটকে দিয়েছিল।  আর সেই ফলকে খোদাই করা ছিল এক মনুষ্য পুরুষ এবং নারী-র নগ্ন চিত্র।  আর সেই ছবির পাশে আরো খোদাই করা ছিল সৌর জগতের মধ্যে পৃথিবীর অবস্থান এবং মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সি-তে সূর্যের অবস্থান।  চিন্তা এমন ছিল যে কেউ যদি পায়োনিয়র এর সাথে দেখা পায়, তাহলে তারা বুঝতে পারবে পৃথিবী কোথায় এবং মানুষ-দের এমন দেখতে!  
     
    পায়োনিয়র ১০ তার শেষ সিগন্যাল পৃথিবীতে পাঠায় ২০০৩ সালে ৮০০ কোটি মাইল দূরত্ব থেকে – আর কুড়ি লক্ষ্য বছর পরে পায়োনিয়র রেড স্টার আল্ডেব্রান এর কাছ দিয়ে যাবে।  অন্যদিকে পায়োনিয়ার ১১ শনির কাছকাছি ছিল ১৯৭৯ সালে – তার পর থেকে সে যেদিকে গ্যাছে তাতে করে আগামি চল্লিশ লক্ষ বছর সে কোন নক্ষত্রের আশেপাশে আসবে না!
     
    কিন্তু এগুলো তো পরের কথা – ১৯৭৭ সালে কার্ল সাগান বা ফ্রাঙ্ক ডেরেক জানতেন না যে পায়োনিয়র এত দূর চলে যাবে।  কিন্তু যাক বা না যাক, তাঁরা ঠিক করে নিয়েছিলেন যে ভায়জার এ তাঁরা আরো জটিল কিছু রাখবেন মানুষের প্রতিনিধিত্ব করতে, সেই পায়োনিয়রের মত খোদাই করা পুরুষ-নারী মূর্তি ছাড়াও।  তখন ডিজিটাল যুগ আরো প্রাগাঢ় হচ্ছে নাসা-তে, কিন্তু জটিল ডিজিটালের না দিকে না গিয়ে ভয়জারের জন্য তাঁরা বানালেন আমাদের গ্রামোফোনের ডিস্কের মত ১২ ইঞ্চির একটা সোনার জল করা তামার অ্যানালগ ডিস্ক।  আর সেই ডিস্কে এবারে একই সাথে ধরা থাকবে শব্দ এবং ছবি। সাথে গ্রামোফোনের পিন-এর মত একটা ‘স্টাইলাস’-ও জুড়ে দিলেন।  আশা এই যে যদি কোন বুদ্ধিমান গ্রহান্তরের প্রাণির হাতে এটা আসে তাহলে তারা অন্তত এটা চালিয়ে দেখার মত বুদ্ধি ধরবে!
     

     
    এই গোটা ব্যাপারটা কিন্তু নাসা বেশ বেশ সিরিয়াসলি নিয়েছিল। সেই ডিস্ক ডিজাইন থেকে শুরু করে যাবতীয় মহাকাশে কসমিক-রে, তাপমাত্রা ইত্যাদি থেকে ডিস্ক-টিকে কিভাবে সুরক্ষিত রাখা যাবে সেই নিয়ে বিশাল গবেষণা হল।  কেমন সিরিয়াস? ধরে নেওয়া হচ্ছে যে এই ডিস্ক-টি মানব সভ্যতার শেষ বেঁচে থাকা টুকরো! এবার এতে যতটুকু পারো মানুষের সভ্যতার ইতিহাস ভরে দাও এবং আমাদের শেষ প্রতিভূ হিসেবে এটিকে রক্ষা করো! সেই ডিস্ক-টিকে ভরে রাখা হল এক সোনা-র হল করা অ্যালুমিনিয়ামের বক্সে।  এবং জটিল হিসেব মত কম করেও সেই বাক্স মহাকাশে বহাল তবিয়তে থাকবে ১০০ কোটি বছর!  
     
    এবার ব্যাপার হল তাহলে এই ডিস্ক-এ কি তথ্য ভরে রাখা হবে? মানব সভ্যতার উপস্থিতি জানান দেওয়ার মত জটিল ব্যাপার! ওদিকে জন লোমবার্গের হাতে ছিল মাত্র ছয় সপ্তাহ ডিস্ক-টিকে রেডি করে দেবার।  লোমবার্গ এবং তাঁর সহকারী-রা প্রবল ব্যপ্তির এক সমীক্ষা চালালেন পৃথিবীর চিন্তাবিদ, বিজ্ঞানী, শিল্পী, কল্প-বিজ্ঞানের লেখক সমেত আরো অনেকের মাঝে।  সেই সমীক্ষা চালিয়ে ঠিক করা হল – ডিস্কে ধরা থাকবে ৫৪টি ভাষার শুভেচ্ছা বার্তা এবং সাথে ডজন ডজন পৃথিবীর অন্য প্রাণীর – চড়ুই থেকে তিমি, আর থাকবে আমাদের দৈনিক শোনা শব্দ, যেমন হার্ট বীট, মেঘের গর্জন, আগুনের চড়বড় শব্দ এবং বাচ্ছাকে দেওয়া তার মায়ের চুম্বনের শব্দ!
     
    ডিস্কে নারী পুরুষের মূর্তি ছাড়াও রেখে দেওয়া হল আরো নানা চিত্র - আমাদের ডি এন এ গঠন; সৌরমন্ডলের এবং তার ভিতর পৃথিবীর অবস্থান; প্রকৃতি, স্থাপত্য, নগর, উঁচু ইমারতের এর সব ছবি; বাচ্ছা-কে যত্ন নেওয়া নারীর ছবি;  মানুষের শিকার করা; গ্লোব নিয়ে বাচ্ছাদের খেলা রত অবস্থা; এবং মানুষের খেতে বসার ছবি।  এবার ঘটনা হল যদি কেউ মানুষ দেখেই না থাকে, এবং পৃথিবীও থাকে তাদের অচেনা, তাহলে এই ছবি দেখে তারা কি করে বুঝবে কি জিনিস দেখছে? সেই ভেবে লোমবার্গ কিছু শৈল্পিক ব্যাখ্যা/ইঙ্গিত রেখে দিয়েছিলেন ডিস্কে। যেমন নারী-র পেটের কাছে গর্ভস্থ সন্তান – আশা এই যে গ্রহান্তরের প্রাণী অন্তত কিছুটা বুঝে নেবে এই থেকে!
     
    ছবি এবং শব্দ তো হল – তাহলে সঙ্গীত কি কিছুই ধরা থাকবে না? সেই মত ঠিক করা হল ২৬টি বিভিন্ন প্রকারের সঙ্গীত ধরা থাকবে – সে পিগমি উপজাতির সঙ্গীত থেকে শুরু করে আজেরবাইজানী ব্যাগপাইপ।  আর ছিল বাখ এবং মোজার্ট। সবচেয়ে বেশী নমিনেশন এসেছিল কুইন অব দি নাইট-র মোজার্টের ‘দ্যা ম্যাজিক ফ্লুট’ পারফরমেন্স ধরে রাখার – যেখানে মানব স্বরের সবচেয়ে উঁচু পর্দা ‘এফ সার্প’ ধরা পড়েছে!
     
    এই সব নিয়ে সেই ডিস্ক এই মুহুর্তে পৃথিবী থেকে ২৪০০ কোটি কিলোমিটার দূরে। আর আজ যদি আমরা টুক করে পৃথিবী থেকে উধাও হয়েও যাই – তাহলেও আজ থাকে অন্তত আরো ১০০ কোটি বছর আমাদের অস্তিত্ব ধরা থাকবে ১২ ইঞ্চির এক তামার ফলকে! আর তার মানে কমপক্ষে আরো ১০০ কোটি বছর ধরা থাকবে পৃথিবীর বুকে বাচ্ছাকে দেওয়া তার মায়ের চুম্বনের শব্দ!

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • বইপত্তর | ০৯ আগস্ট ২০২৩ | ৬৯৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 2401:4900:2605:4150:f815:6352:5f60:76bb | ০৯ আগস্ট ২০২৩ ২১:৩৬522316
  • এটা পড়তে ভারি ভালো লাগলো। একটা পয়েন্ট যোগ করতে পারি :-) ডিস্ক বানানোর পর সাগান, ড্রেক, ও আরও অনেকেরই চিন্তা ছিল, এতোসব ইনফো তো ভরলাম, কিন্তু এলিয়েনরা সেগুলো পড়তে পারবে তো? তখন সাগান প্রস্তাব দিলেন, ডিস্কটার একদম শুরুতে ইনফো দিয়ে দেওয়া হোক ঠিক কতো স্পিডে ওটা চালালে ঠিকমতো ডিকোড করা যাবে। আর এই স্পিড দেওয়া হলো হাইড্রোজেনের স্টেট ট্রান্সিশানের এনার্জির ভিত্তিতে, যা কিনা ১৪২০ মেগাহার্জ। সাগান মনে করেছিলেন হাইড্রোজেন হলো আমাদের ইউনিভার্সে সবচাইতে কমন এলিমেন্ট, কাজেই যে কোন এলিয়েন ঐ ২১ সিএম হাইড্রোজেন লাইনটা দেখলে বুঝতে পারবে ওটার মানে কি। 
     
     
  • সিএস | 2405:201:802c:7838:641f:768c:747b:ad0b | ১০ আগস্ট ২০২৩ ০১:০৬522318
  • কেসরবাঈ কেরকারের একটা গান এই ভয়জারেই পাঠানো হয়েছিল।
     
     
  • kk | 2607:fb91:142e:498e:5181:5760:cc77:e37f | ১০ আগস্ট ২০২৩ ০১:১৫522319
  • কিন্তু এই যে মেল আর ফিমেল চিহ্ন দেওয়া আছে, ১৬০ আর ১৫৫ সেন্টিমিটার লেখা আছে, এগুলো এলিয়েনরা ডিকোড করবে কী করে? এইসব সিম্বল, মাপ তো মানুষের বানানো। ওগুলো দেবারই মানে কী!
  • &/ | 151.141.85.8 | ১০ আগস্ট ২০২৩ ০১:২৫522320
  • নিচে ছোটো দাগ দেওয়া যে! হয়তো ঐ দাগটার সঙ্গে অ্যাসোসিয়েট করতে পারবে, যে cm বলতে ঐ অতটা দৈর্ঘ্য বোঝাচ্ছে।
  • :|: | 174.251.162.89 | ১০ আগস্ট ২০২৩ ০৩:৩০522321
  • যত যাই হোক -- তবু ১০০ কোটি বছর একটা সীমিত সংখ্যামাত্র। অমরত্ব নয়। 
    যেন অহম নামৃতা স্যাং কিমহং তেন কুর্যাম? ইত্যাদি প্রভৃতি 
  • &/ | 151.141.85.8 | ১০ আগস্ট ২০২৩ ০৩:৪৯522323
  • কিন্তু এই সেন্টিমিটার দাগ দেখে ঠিক করে ছবির মানুষ দুটোকে মাপলে অতি ছোটো ছোটো ভাববে। ১৬০ বা ১৫৫ তো আর এলিয়েনরা চেনে না!
  • সুকি | 117.194.112.191 | ১০ আগস্ট ২০২৩ ০৭:২১522324
  • ধন্যবাদ ডিসি, হ্যাঁ এটা জানাছিল বা এই বইটিতেও বিস্তারে লেখা আছে। লেখা বড় হয়ে যাচ্ছে বলে আর বিস্তারে যাই নি। 
     
    তেমনভাবে দেখতে গেলে এই সব জিনিস টাইম পাস টাইপের ধরে নেওয়াই ভালো। ইউটিউবেই লোকে কেশরবাঈ এর গান শুনছে না পাবলিক তো এলিয়েন রা ডিকোড করে শুনবে! আর তা ছাড়া আমার মনে হয় এলিয়েনদের রাগভিত্তিক জিনিসপত্র না শোনানোই ভালো, মানব সভ্যতা নিয়ে ভুল ধারণা তৈরী হতে পারে! 
  • dc | 2401:4900:2605:4150:d1cc:d858:b109:ce6 | ১০ আগস্ট ২০২৩ ১০:০৯522327
  • সুকি, ঠিকই, এলিএনদের রাগভিত্তিক গান শোনানো খুবই রিস্কি ব্যপার laugh
     
    kk, এক সেন্টিমিটার বলতে আমরা কি বোঝাই, সেটাও আগে নম্বর দিয়ে ডিফাইন করা আছে। যেকোন এলিয়েন সিভিলাইজেশানের সাথে কমিউনিকেট করতে গেলে আগে প্রাইম নাম্বার দিয়ে আমাদের সিম্বলগুলোর মানে বোঝাতে হবে, তারপর সেগুলোর ভ্যালু। তারপর অ্যালাফাবেট, গ্রামার ইত্যাদি। শুধু নম্বর দিয়েই পুরো ল্যাঙ্গুয়েজ ডিফাইন করা সম্ভব। কার্ল সাগানের কনট্যাক্ট বইটা পড়ে দেখতে পারেন, সেখানে খুব ভালো লেখা আছে কিভাবে দুটো সিভিলাইজেশান ধাপে ধাপে একে অন্যের ভাষা বুঝতে পারে। অ্যারাইভাল সিনেমাটাতেও কিছুটা দেখিয়েছিল। 
  • kk | 2607:fb91:142e:498e:c68c:7ed8:f79d:8c86 | ১০ আগস্ট ২০২৩ ১৮:২২522335
  • হ্যাঁ অ্যারাইভাল সিনেমার কনসেপ্টটা খুব ভালো লেগেছিলো। আচ্ছা, সাগানের বইটা পড়বো। থ্যাংকিউ dc।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন