এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • শাহাজাদা ঔরঙ্গজেবের দ্বিতীয় বুন্দেলা বিদ্রোহ দমন অভিযান 

    upal mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৬৫ বার পঠিত
  • শেষ বারের মতো আর এক বার্তা পাঠান হচ্ছে বিদ্রোহী বুন্দেলা রাজাঝুঝর সিংহের কাছে যে তিরিশ লাখটাকা আর কিছু এলাকা শাহী সোপর্দ করলে মাফ করা হবে তাঁকে, কিন্তু এ বার্তাও বিফলে গেল।

    ষোলোশো পঁয়তিরিশের বর্ষা কাটা অবধি অপেক্ষা করল মোঘল ফৌজ। তারপর শুরু হল দ্বিতীয় বুন্দেলা বিদ্রোহ দমন অভিযান যার সামগ্রিক দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়েছে ষোলো বছরের শাহাজাদা ঔরঙ্গজেবকেসম্ভবত সেপ্টেম্বরের শেষে তিনটে ফৌজি ডিভিশন ঝাঁসির পঁচিশ মাইল উত্তর পূর্বে ভাণ্ডারে মিলিত হচ্ছে তাদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে ঝুঝর বিরোধী বুন্দেলা অন্য বাহিনীগুলো। সেখানে এসে গেছেন শাহাজাদা ঔরঙ্গজেব ও তাঁর বিশাল সওয়ার বাহিনী। তিন জাহাঁবাজ সেপাইসালার তাঁকে গাইড করবেন, তাঁদের নিয়ে ওরচার দিকে এগুচ্ছেন ঔরঙ্গজেব বিশাল বাহিনীর সঙ্গে। আগুয়ান বাহিনীর ফৌজিরা ঘন জঙ্গলের রাস্তা কেটে পরিষ্কার করে হাতি, ঘোড়া চলাচলের উপযুক্ত করছে। আড়ালে আবডালে থেকে গুলি চালাচ্ছে ঝুঝর সিংহের ফৌজ কিন্তু তাতে কি বিশাল বাহিনীর গতি থামানো যায়? ষোলোশো পঁয়তিরিশের দোসরা অক্টোবর ওরচার দু মাইল দূরে এক গ্রামে পৌঁছল ফৌজের মূল কলাম আর অন্য এক দ্রুতগামী কলাম ঝুঝর সিংহ বিরোধী বুন্দেলাদের নেতৃত্বে পাহাড়চূড়ায় আক্রমণ শানিয়ে শত্রুদের বিধ্বস্ত করে অনেককে বন্দী করে ফেলল। সেই দেখে ভয় পেয়ে ঝুঝর সিংহ তাঁর পরিবারকে ধামুনিতে সরিয়ে দেন। চৌঠা অক্টোবর মোঘল ফৌজের মূল কলাম ওরচার কেল্লার পাঁচিল টপকে ঢুকে পড়লে ঝুঝর সিংহ কিছু ফৌজকে শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের জন্য, মানে কচুকাটা হবার জন্য রেখে, উল্টো দিক দিয়ে পালালেন।একদিন লাগল কেল্লা ও শহরের দখল নিতে। তারপর যুদ্ধে সাহায্যের জন্য দেবী সিংহ বুন্দেলাকে ওরচার রাজা করা হল, দেওয়া হচ্ছে তিন হাজারি মনসব। বেতওয়া নদী পার হয়ে ঝুঝর সিংহকে তাড়া করছে মোঘল ফৌজ ধামুনির দিকে। ততদিনে সেখান থেকে হাওয়া ঝুঝর। পালিয়েছেন বিন্ধ্য পর্বত আর নর্মদা নদী পার হয়ে গোন্ড ভূমি চৌরাগড়ে। ধামুনিতে শাহী ফৌজ কিছু বাধা পায়। রাজপুত যোদ্ধা রত্নাই একাই লড়ে যাচ্ছেন, আঠেরোই অক্টোবর শাহী ফৌজ পৌঁছে ঘেরাবন্দি করে রাখে কেল্লা তারপর মাঝরাতে সেপাইসালার খান-ই-দৌরানের কাছে সন্ধির বার্তা আসে। ইতিমধ্যে রোহিলা যোদ্ধাদের এক অংশ মাটি খুঁড়ে কেল্লার পূর্ব দিকের বাঁশ ঝোপের আড়ালে কেল্লায় ঢুকে লুটপাট শুরু করেছে। ওই অন্ধকারের মধ্যে খান-ই-দৌরান ছুটে এসে তাদের সামলাচ্ছেন। এই সময় কেল্লার দক্ষিণ দিকের দেয়ালের কাছে কেউ বারুদের স্তুপে মশাল ফেললে বিরাট বিস্ফোরণ হয়ে আশি গজের মতো দেয়াল ধসে তলায় ঘেরাবন্দি করা তিনশো রাজপুত ফৌজ আর শদুয়েক ঘোড়াকে চাপা দিয়ে মেরে ফেলল। ক্যাঁচালের একশেষ হল।

    ঝুঝর সিংহের পালানোর পথ চিহ্নিত করে ফেলছে মোঘল ফৌজ, সাতাশে অক্টোবরের মধ্যে চৌরাগড় কেল্লায় পৌঁছে দেখছে সেখানের কামানগুলো ভেঙে, সব কিছু পুড়িয়ে, গোন্ড রাজপ্রাসাদ উড়িয়ে দিয়ে পালিয়েছে বুন্দেলা বাহিনী। একটা ছোট ফৌজ সেখানে রেখে মূল মোঘল ফৌজি কলামটা ঘাঁটি গাড়ে চার মাইল দূরে শাহপুরে। সেখানে খবর আসে ঝুঝর সিংহ সপরিবারে ছ হাজার সেপাই আর ষাটটা হাতি নিয়ে গোন্ড ভূমির আরো ভেতরে দেওগড় আর চান্দার দুর্ভেদ্য অঞ্চলে ঢুকে গেছে, পালাচ্ছে দিনে ষোলো মাইল বেগে, এগিয়ে আছে চোদ্দ দিনের পথ। গভীর সলা পরামর্শের পর শাহাজাদা ঔরঙ্গজেবের অনুমতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় দ্রুতগামী ঘোড়ায় দিনে চল্লিশ মাইল বেগে এগোতে হবে শাহপুর থেকে। চান্দার সীমান্তে এসে ঝুঝরের ফৌজের সঙ্গে লড়াই লেগে যায় শাহী ফৌজের। বাঘের মতো লড়েও হেরে যাচ্ছেন ঝুঝর সিংহ। পালাতে হচ্ছে জঙ্গলের পথে। অনবরত তাড়া করছে মোঘল ফৌজ। দিনে থামা নেই, রাতে ঘুমোতে গেলে শাহী ফৌজের জঙ্গল কেটে এগিয়ে আসার শব্দে তাঁবু গুটিয়ে পালাতে হয়। যোদ্ধারা ক্লান্ত, পরিবারের সবাই অবসন্ন, ঘোড়ারা আর দাঁড়াতে পারছে না, হাতিরা কথা শুনতে চাইছে না -সবাই বিশ্রাম চাইছে। কিন্ত বিশ্রাম নেওয়া যাবে না এগিয়ে আসছেন শাহাজাদা ঔরঙ্গজেবের বিশাল ফৌজ। এসব বিপদ তো বুন্দেলা রাজার জানা কিন্তু আর একটা অজানা বিপদও তাঁকে আর তার বাহিনীকে তাড়া করে আসছিল যা তিনি বুঝতেও পারেননি। সেটা হল রাজ্যহারা,জঙ্গলে শ্বাপদের থেকেও দ্রুত আর নিঃশব্দে থাকা গোন্ড যোদ্ধার দল। যাদের রাজাকে হত্যা করেছেন তিনিই তাই তারাও ছিল সুযোগের অপেক্ষায়। সে সুযোগও তারা পেয়ে যায়। উদভ্রান্তের মতো সোনাদানার বোঝা বয়া হাতিদের পায়ের চাপ মুছে,মোঘল ফৌজের দিকে তাদের পাঠিয়ে দিয়ে দুদলে ভাগ হয়ে পালানোর চেষ্টা করলেন ঝুঝর সিংহ আর তার পরিবার। কিন্তু সোনাদানা পাওয়ার পরও এগিয়ে আসতে থাকে শাহাজাদা ঔরঙ্গজেবের সৈন্যরা, তারা টাকাকড়ি চায় বটে তবে আরো চাইছে হুকুমতের খেলাপের বদলা। তারা ভালোই বোঝে হুকুমত টাকারও অনেক আগে। ক্ষমতা থাকলে টাকা আসবে যাবে, এখন চাই ঝুঝর সিংহ আর তাঁর পরিবারের ছেলেদের সবার মাথাগুলো। যুদ্ধের এই অলিখিত ফরমান যে শর কলাম করা - কাটা মাথা হাতে করা তা এই বুন্দেলা যুদ্ধের অভিযানে ভালো করে বুঝতে হয়েছিল শাহাজাদা ঔরঙ্গজেবকেও। ফলত দুটো দলই ধরা পড়েছে। একটায় অন্য রাজকুমার আর মহিলারা ছিলেন। তারা ধরা পড়ল মোঘল ফৌজের হাতে। সে সময় রাজপুত প্রথা অনুযায়ী মহিলাদের ধর্ষিতা ও লুট হয়ে যাওয়ার আগে মেরে ফেলার কথা কিন্তু যদুনাথ বলছেন কয়েকজন মহিলাকে গলা কাটার পরই, মোঘল ফৌজের লোকেরা হুড়মুড় করে এসে পড়ে আর যারা গলা কাটছিল, তাদেরই গলা কেটে দেয় বা বন্দী করে। যথারীতি জীবিত বেশিভাগই মহিলারা ধর্ষিতা হয়ে হারেমে চালান হয়েছিলেন বা বেশি বেয়াড়াপনা দেখিয়ে কোতল হন। ঝুঝর সিংহ আর তাঁর সুপুত্র বিক্রমজিতের কপালে বেঁচে থাকার কোন চান্স ফ্যাক্টর ছিল না। জঙ্গলের মধ্যে রাত্তিরে ঘুমের মধ্যে তাঁদের অতর্কিতে আক্রমণ করল চান্দার গোন্ড জমিদারের যোদ্ধারা। তারপর পুরষ্কারের প্রত্যাশায় সযত্নে কাটা মাথা দুটো কোন সেপাইসালার হয়ে হায়ারার্কি মেনে, শাহাজাদা ঔরঙ্গজেব হয়ে বাদশাহ শাজাহানের কাছে পৌঁছনোর তারিখ হল ষোলোশো পঁয়তিরিশের ডিসেম্বর।

    বোঝাই যাচ্ছে মাস তিনেক খুব জ্বালিয়ে ছিলেন বুন্দেলা বিদ্রোহী ঝুঝর সিংহ।বাদশাহের সাইহুর শিবিরের পেল্লায় দরজায় বুন্দেলা বিদ্রোহীর সঙ্গে ছেলে বিক্রমজিত ছাড়া আর কার কার কাটা মাথার থাকার কথা সেটা জানা যাচ্ছে না, এখানেই কল্পনার কেরামতি। মনে হতে পারে অসংখ্য কাটা মাথার মধ্যে ঠিক কোনটা যে ঝুঝর সিংহের এটা কিছুতেই বুঝতে পারেননি শাজাহান। শাহাজাদা ঔরঙ্গজেবকে ধমকাধমকি করছিলেন শুধুশুধু আর শাহাজাদা ভাবছিলেন এ কেমন বিচার আব্বুজানের ! শাহজাদাকে বাঁচাতে সেপাইসালার খান-ই দৌরান বুদ্ধি করে নিয়ে এলেন কোতল হওয়া গোন্ড রাজা প্রেম নারায়ণের ছেলে হিরদে শাকে। তিনি মাছি ভনভন করা কাটা মাথার মধ্যে ঝুঝর সিংহের মাথাটা ঠিক চিনতে পেরে বাদশাহকে খুশ করেন। সেই খুশিতে বাদশাহ শাহজাহান আবার বুকে টেনে নিচ্ছেন বাহাদুর ছেলে ঔরঙ্গজেবকে আর কানে কানে বলছেন, ''যে যাই বলুক, আমার পরে তুইই!!'' আদব মেনে বাবাকে সন্মান জানিয়েছিলেন শাহাজাদা,জানতেন কিছুক্ষণ পরেই আবার এই গোপনে বলা কথাটি ভুলে যাবেন বাদশাহ। তবে একটা তৃপ্তির ভাব তাঁর আসে - যাক আখলাকের - রাষ্ট্রীয় নীতিজ্ঞানের শিক্ষেটার কিছু নমুনা তো রয়ে গেল ! হুকুমতের বিরোধিতার ন্যায় বিচার এই কাটা মাথারা ! সেটাই বা কম কিসের ভাবছেন ঔরঙ্গজেব।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন