এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • একটি গানের নতুন ব্যাখ্যা

    Eman Bhasha লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ | ৩৫৭ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • পুরানো সেই দিনের কথা, বার্নস, স্কটিশ জাতীয়তাবাদ, রবীন্দ্রনাথ এবং মুড়ি, রাবণ ও আমাদের দেশ

    ইমানুল হক

    বসে বসে জম্পেশ করে মুড়ি মেখে খাচ্ছিলাম, গুরুচণ্ডা৯ স্টলের সামনে। বেশ কয়েকজন মুড়ি ভোজে অংশ নিয়েছেন। সাংবাদিক থেকে কবি, কবি থেকে সংগঠক। এর মাঝেই একটা ফোন এলো। ঝামেলা বেঁধেছে। যাব  না যাব না করছি , মুহুর্মুহু ফোনাঘাত। যেতেই হল।‌
    লিটল ম্যাগাজিন মণ্ডপের কাছে কয়েকজন 'চড়কি' নামে একটি পত্রিকা বিক্রি করছিলেন ইস্কনের সামনে। সেখানে একটি মণ্ডপের লোকেরা আপত্তি জানায়। বচসা বাঁধে। একদলের অভিযোগ, গরিব ছেলে মেয়েদের ওঁরা ফুটপাতের ছেলে বলেছেন। এবং ওই স্টলটি লেখক/ কবিদের মুরগি বানিয়ে ব্যবসা করে। ৫০ কপি ছেপে  ৫০০ কপির টাকা আদায় করে। পয়সা ফেলো বেশি, কম বই নাও।
    এই হচ্ছে নীতি।
    যাক, দু'পক্ষের তর্কাতর্কি থামে না।
    অবস্থা জটিল।
    এমন সময় গিয়ে চেনা মুখ দেখে বুঝিয়ে সুঝিয়ে আবার মুড়ির কাছে ফিরলাম।
    এমন সময় দেখি মেলার মাইকে দেবজ্যোতি মিশ্রের গলা।
    প্রাণের মুড়ি ছেড়ে ছুটতে যাচ্ছি, এলেন দুই পাঠক পাঠিকা। 'কাদামাটির হাফলাইফ' কিনেছেন। আর বাকি বই কথা। বইমেলায় থাকার কথা  এবার ১৩ টি বইয়ের। কবিতার বই বের হয়নি। হবে।
    বাকিগুলো একটা মাঝমাঠে। আরেকটা এক নম্বর গেটের কাছে। ভিড় ঠেলে যাওয়া।
    রুবিনা এবং রাকিবুল জুটি বললেন, আপনার খুব ফ্যান।
    বাকিগুলো চাই।
    ছাত্র এখন অধ্যাপক শান্তনু ছিলেন পাশে। বললেন, তিনটি বই কাছেই আছে। মার্কস মোদি মমতা, কথাসাহিত্যের ফাঁপা মধ্যবিত্ত দুনিয়া এবং ইতিহাস পুরাণ : মিথ ও মিথ্যা।
    বইয়ে সই দিয়ে ছুটলাম । গিয়ে দেখি লোকে লোকারণ্য। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুনছি গান। দেখতে পেয়ে একজন জায়গা ছাড়লেন।
    প্রতুল মুখোপাধ্যায় এবংদেবজ্যোতি মিশ্রের গান‌ শোনার বিষয় শুধু নয়, দেখার বিষয়ও বটে।
    দেখলাম। মঞ্চে তেমন নড়াচড়া করতে পারছেন না দেবজ্যোতিদা। 
    নেমে এলেন নীচে। শ্রোতাদের মাঝখানে চলে গেলেন।
    একের পর এক সলিল চৌধুরীর কালজয়ী গান: 
    শ্যামলবরণী ওগো কন্যা, ধিতাং ধিতাং বোলে।
    এলো বেলা চাওয়ের অনুরোধ।
    সেটাও গাওয়া হল মেজাজেই।

    সত্যজিৎ রায়ের লেখা গানও এলো সুরের উন্মাদনায়।
    'হেই সামালো ধান হো' গানের অনুরোধ করলেন গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়। গানের সঙ্গে গলাও মেলালেন।
    এবার শেষের পালা, আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে গানের সঙ্গে সবাইকে উঠে দাঁড়াতে অনুরোধ করতেই গোটা প্রেক্ষাগৃহ ঝলমল করে উঠল প্রাণের আনন্দে।

    শেষগান হলো, পুরানো সেই দিনের কথা।


    আগে থেকেই একটা জেদ অভীপ্সা অভিপ্রায় এবং দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট করে দিচ্ছিলেন দেবজ্যোতি।
    গান তো শুধু বিনোদন নয়, লড়াই সংগ্রাম, বিপ্লবী চিন্তা ও চেতনার হাতিয়ার।
    পর রোবসনের গান গাওয়া তো এমনি বন্ধ করা হয়নি।
    এমনি এমনি গানের জমায়েত ভণ্ডুল করতে গুলি চালানো হয়নি। এবং ১৪ জন পল রোবসনের সেই প্রতিবাদী গান-সমাবেশ সফল করতে হাজারে হাজারে হাজির হয়ে বুলেটের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়ান নি।

    দেবজ্যোতি বিনোদন দেন না। একটা বক্তব্য পেশ করেন নানা মোড়কে। সেই জন্যই তাঁকে ভালোবাসি। কিছু মতপার্থক্য নিয়েই। 
    দেবজ্যোতি বলছিলেন, এই ভারতকে কি আমরা চিনি? একে বদলে দেওয়া হচ্ছে।
    এক শ্রোতা হাততালি দিলেন।
    কে কে হাততালি দিলেন ভাই, বলে চললেন গানবিপ্লবী, আপনি নিজের দায়িত্বে হাততালি দিলেন, বলেই বললেন, আমিও নিজের দায়িত্বে বলছি, এই ভারত নয় আমাদের ভারত প্রেমের ভারত, মহব্বতের ভারত, প্রেমের বাঁশিতে মিলে মিশে একাকার হওয়ার ভারত।
    চলুন, বলে এল প্রেমের প্লাবন,  উত্তরভারতের রোমিও স্কোয়াডের বিরুদ্ধে রাধাকৃষ্ণের দেশের, হীরা রঞ্ঝার দেশের, অমৃতা প্রীতমের দেশের, সুনীল নার্গিসের দেশের প্রতিবাদ।

    ৩.
    আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে-- এই গান গত ২৫ বছর ধরে ভোর পাঁচটায় শেষ হয়, ভাষা ও চেতনা সমিতির সারারাত বাংলাভাষা উৎসব। আকাদেমির সামনে। রাত ১২টার সময় মশাল মিছিলেও এই গান ইদানীং কেউ গাইলে বুঝি এই গান হয়ে উঠছে মিশ্র সংস্কৃতির ভারতের চেতনা।
    এই গানের সঙ্গে সবাইকে উঠে দাঁড়াতে বললাম আমি। কারও অনুমতির অপেক্ষায় না থেকে। এখন না দাঁড়ালে দেশের জন্য, কবে দাঁড়াবো।
    নেতারা বিক্রি হয়ে যাবে, এজেন্সির ভয়ে মূল শত্রুকে আড়াল করবে, আঁকচাআঁকচি করবে, আমরা তো পারি না।
    তাই পুরানো সেই দিনের কথা যখন উঠল, আমার কাছে এই গানের অর্থ বদলে গেল।
    স্বাধীন স্কটল্যান্ড আর স্বাধীনতা পায় নি। আজও ব্রিটিশ কারাগারে বন্দি স্বাধীনতার স্বপ্ন।
    পুরাতন স্কটল্যান্ডের কথা স্মরণ করাতে স্কটিশ কবি, রবার্ট বার্নস রবীন্দ্রনাথের জন্মের ১০০ বছর আগের কবি লিখলেন সেই গান --
    এবং কবিতা ( কবিতাএবং গান) " আউল্ড ল্যাং সাইন " প্রায়শই হগমানে (বছরের শেষ দিন) গাওয়া হয় ‌এটি।

    হে স্কটিশ তুমি ভুলে যেওনা পুরানো দিন, যাকে বলা হচ্ছে খারাপ দিন, ভালো ছিল। বড় সুন্দরী ছিল আমাদের পৃথিবী, এই অত্যাচারী, সংস্কৃতি ধ্বংসকারী ব্রিটিশরা ছাড়াই।।
    স্কটিশ জাতীয় কবি রবার্ট বার্নস বা রাবি বার্নসের গান দিয়ে শুরু হল শেষ গান।  স্কটল্যান্ডের জাতীয় কবি হিসেবে স্বীকৃত বার্নস এখন উদারতাবাদী ও সমাজতন্ত্রবাদীদের প্রেরণা।
    রাবি বার্নস ( ওঁদের রাবি আমাদের রাবি) সংগ্রহ করেছিলেন অজস্র স্কটিশ লোকগান।
    দেখো আমাদের সংস্কৃতি কত উন্নত, ব্রিটিশ অসভ্যতা, তোমাদের ভণ্ডামি, অনাচার, খাদ্যাভ্যাস, লোকাচার আমাদের ওপর চাপিয়ে দিও না।
    বোঝাতেন তিনি।
    বার্নস বেসরকারিভাবে আজও স্কটল্যান্ডের  জাতীয় কবি। আমাদের জাতীয় কবি রবীন্দ্রনাথ।
    সেই রবীন্দ্রনাথের গান, পুরানো সেই দিনের কথা, অন্য মানে নিয়ে হাজির হল।
    এ শুধু কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরানো দিন মনে করাল না, মাত্র ১০ বছর আগের ভারত আর এখনকার ভারত মনে করাল।
    গোটা প্রেক্ষাগৃহ হয়ে উঠেছিল উত্তাল প্রতিবাদ। গান শেষ হতে সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় নামের এক ভদ্রলোক বলছিলেন, ওঁরা আবার ফিরলে, এই গানও নিষিদ্ধ করবে। বলেই হাতে চাপ দিয়ে বললেন, ওদের ফিরতে দেওয়া যাবে না। দেবো না।
    এর আগে আমার হাতে চাপ দিয়েছেন রাজুদা। উঠে দাঁড়াতে বলায় রেগে যেতে পারেন ভেবেছিলাম, বুঝলাম, খুশি হয়েছেন। কম কথার মানুষ।
    বাইরে আসি।
    চলচ্চিত্রের দৃশ্য। মাথার উপরে মেট্রো। তার উপরে চাঁদ। নীচে ফুটবল খেলছে মুন্নার ছেলে। তিনি জ্যেঠুদের সঙ্গে খেলবেন না, কাকুর সঙ্গে তাই সই।
    প্রতিদিন ফিরি এক চালকের সঙ্গে। 
    তিনি অপেক্ষা করেন।
    আমিও।
    আসতে বলছিলেন, টিভি দেখলে মনে হয়, ওরাই সব।
    কিন্তু ফুলকপির দাম বাবু ত্রিশ টাকা। গত বছরও কুড়ি টাকায় দুটো বা তিনটে কিনেছি এইসময়। কেরোসিন তো জীবন কেরোসিন করে দিল।

    চালকের নাম রাবণ।
    তাঁর গ্রামে তৃণমূলের রাজত্ব। সিপিএম রা সবাই বিজেপি হয়ে গেছে। রাবণের গুষ্টি এখনও সিপিএম।
    বললেন, আর আগের মতো সিপিএমের ভোট বিজেপিতে ঢেলে যাবে না, দেখবেন।

    দেখি?
    বিল গুড তো ফেইলড গুড হয়েছিল ২০০৪-এ।
    আবার বছর কুড়ি পরে, বিশ সাল বাদে কী হয়!

    ভারত মরবে না, ভারতের মিলে মিশে একাকার হওয়ার সত্তা এক ভাষা এক সংস্কৃতি এক খাদ্যাভ্যাস এক দল এক ধর্ম এক নেতা মানবে না।
    মানতে পারে না।

    পুনশ্চ: 

    বার্নসকে পথিকৃৎ হিসেবে গণ্য করা হয় , এবং তাঁর মৃত্যুর পর তিনি উদারতাবাদ এবং সমাজতন্ত্র উভয়ের প্রতিষ্ঠাতাদের জন্য অনুপ্রেরণার একটি বড় উৎস হয়ে ওঠেন এবং স্কটল্যান্ডে এবং সারা বিশ্বের স্কটিশ প্রবাসীদের মধ্যে একজন সাংস্কৃতিক আইকন হয়ে ওঠেন। 19 এবং 20 শতকে তার জীবন এবং কাজের উদযাপন প্রায় একটি জাতীয় ক্যারিশম্যাটিক কাল্টে পরিণত হয়েছিল এবং স্কটিশ সাহিত্যে তার প্রভাব দীর্ঘকাল ধরে শক্তিশালী ছিল । 2009 সালে স্কটিশ টেলিভিশন চ্যানেল STV দ্বারা পরিচালিত ভোটে স্কটিশ জনসাধারণের দ্বারা তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ স্কট হিসাবে নির্বাচিত হন ।

    মূল রচনা তৈরির পাশাপাশি, বার্নস স্কটল্যান্ড জুড়ে লোকগানও সংগ্রহ করেছিলেন, প্রায়শই সেগুলিকে সংশোধন বা মানিয়ে নিতেন । তার কবিতা (এবং গান) " আউল্ড ল্যাং সাইন " প্রায়শই হগমানে (বছরের শেষ দিন) গাওয়া হয় , এবং " স্কটস ওয়া হে " দীর্ঘকাল ধরে দেশের একটি বেসরকারী জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে পরিবেশন করে। বার্নসের অন্যান্য কবিতা এবং গান যা আজ সারা বিশ্বে সুপরিচিত তার মধ্যে রয়েছে " এ রেড, রেড রোজ ", " এ ম্যানস এ ম্যান ফর এ' দ্যাট ", " টু এ লাউস ", " টু এ মাউস ", " দ্য ব্যাটল অফ শেরামুইর ", " ট্যাম ও' শান্টার " এবং " এ ফন্ড কিস "। উইকিপিডিয়া থেকে
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 2401:4900:634c:7de1:242d:4bf:46c2:3be9 | ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:০৭528007
  • এই উঠে দাঁড়ানোর ভয়ে কোথাও যাই না :-(
     
    এমনকি মাস দুয়েক আগে আমাদের অ্যাসোসিয়েশানের জিবিএম ছিলো, শুরুতে সভাপতি মশাই হঠাত বল্লেন আমরা তামিল অ্যান্থেম দিয়ে মিটিং শুরু করবো, সবাই উঠে দাঁড়ান। সবাই উঠে দাঁড়ালেন, স্রেফ আমি বোকার মতো বসে রইলাম :-(
  • Arindam Basu | ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১১:০৮528008
  • বড় ভাল সময়ে লিখলেন। ২৫শে জানুয়ারী রবি বার্ন্সের জন্মদিনও বটে। কলকাতায় বা বইমেলায় বার্নস নাইট উদযাপন করলেন আপনারা? 
  • সৃষ্টিছাড়া | 59.91.41.46 | ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:২৮528014
  • খুচরো আঁতলামি 
     
    বই মেলা না হওয়াই চটি বন্দনা? 
  • | ২৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:১৪528017
  • কথাসাহিত্যের  ফাঁপা মধ্যবিত্ত দুনিয়া এটা কোন প্রকাশনী? 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন