এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ভাসুকি ইণ্ডিকাস্ : এক অতিকায় অহি কথা 

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ২১ এপ্রিল ২০২৪ | ২৭৯ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • ভাসুকি ইণ্ডিকাস্ 

    “পৌরাণিক কাহিনি কি তবে সত্যি হলো?”এভাবেই শুরু হয়েছে এক সাম্প্রতিক সংবাদ প্রতিবেদন। ভাবছেন তো, ঠিক কোন প্রতিবেদনের কথা বলছি? একটু অপেক্ষা করুন। এমন প্রাণান্তকর গরমে এতো তাড়াহুড়ো করলে চলবে? বাইরের গরমের সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে গরমাগরম ভাষণ আর বিবৃতির উত্তাপ। তাকে এড়িয়ে একটু অন্য ভাবনার খবর খুঁজতে খুঁজতে অবশেষে তার দেখা পেলাম। দেশের তাবড় তাবড় সংবাদপত্রের পাতা জুড়ে এই খবর বেশ ফলাও করে প্রকাশিত 
     হয়েছে দেখেছি, তবে এই রাজ্যের সংবাদপত্রগুলো এসব খবর হয়তো তেমন গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে না। সে যাই হোক, খবরটা যখন খুঁজে পাওয়া গেছে তখন তাকে নিয়ে একটু শোরগোল না হয় আমরাই করি। পৌরাণিক কাহিনি দিয়েই আজ শুরু হোক কথকতা।
     
    পুরাণ কথা।
     
    সে অনেক অনেক কাল আগের কথা। দেবাদিদেব মহেশ্বরের হাতে আবার নতুনভাবে সেজে উঠেছে মহাবিশ্বলোক। দেব কুলে বেশ খুশি খুশি ভাব। জন্মশত্রুদের এমন খুশি দানবেরা স‌ইবে কেন? তারা বলে বসলো, আমরাও এই নবায়িত বিশ্বলোকের ভাগ চাই। চাই বলে চেঁচালেই তো চলবে না, অধিকার ছাড়ছে কে ? তাই সুরলোকের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে লেগে গেল তুলকালাম যুদ্ধ । 
    বাহুবলী দানবদের সঙ্গে দেবতারা কখনও পাল্লা দিতে পারে? যুদ্ধে হার হলো তাঁদের। দৈত্যরাজ বলী হলেন ত্রিলোকেশ্বর। তাঁর অনেকদিনের ইচ্ছে 
    পূরণ হলো। যুদ্ধে পরাভূত অসহায় দেবতারা আর কি করেন? বিরস বদনে ,নতমস্তকে তাঁরা হাজির হলেন গোলোকে, ভগবান বিষ্ণুর কাছে। সব শুনে বিষ্ণু বললেন - “দেখুন, আপনারা দানবদের সঙ্গে সন্ধি করে নিন। এখন এভাবে যুদ্ধ করে শক্তি ক্ষয় করে কোনো লাভ নেই। এখন সুযোগের অপেক্ষায় থাকতে হবে।” বিষ্ণুর কথা শুনে দেবতারা তো হতবাক! এতকাল যাদের সঙ্গে বিবাদ বিসম্বাদে জড়িয়ে রইলাম, গালাগালি দিলাম তাদের সঙ্গে বিবাদ ভুলে এখন গলাগলি ? একেই হয়তো বলে ঠেলার নাম বাবাজি! কিন্তু ভগবান বিষ্ণুর কথা তো আর অগ্রাহ্য করা যাবেনা! দেবতাদের এমন গররাজি মানসিকতা টের পেয়ে অন্তর্যামী ভগবান বিষ্ণু তাঁদের সপ্ত সাগরের মধ্যে পঞ্চম - দুধ সাগর মন্থনের পরামর্শ দিলেন। আর কোনো উপায় না দেখে দেবতারা ভগবান বিষ্ণুর পরামর্শ মেনে নিতে বাধ্য হলেন।
     
    কিন্তু সমুদ্র মন্থন করে অমৃতের স্বাদ পাওয়া কি সহজ কাজ! চাই বিপুল জনবল। দেবতারা অগত্যা দানবদের দ্বারস্থ হলেন। সমুদ্র মন্থনের ফলে অমৃত সুধা উঠবে ‌। দানবেরা তার ভাগ ছাড়বে কেন? তারা দেবতাদের জানালো– “বেশ! সমুদ্র মন্থন করতে আমরা তোমাদের সাহায্য করবো বটে, তবে তার জন্য আমাদের অমৃতের ভাগ দিতে হবে, একেবারে আধাআধি বখরা। রাজি থাকলে বলো।”

    দেবতারা আর কি করেন? তাঁরা দানবদের প্রস্তাব মেনে নিল। মন্দার পর্বত রাজি হলো মন্থন দণ্ড হতে , কিন্তু দণ্ডকে ঘোরাতে যে শক্তপোক্ত দড়ি দরকার তা পাওয়া যাবে কোথায়? আবার খোঁজাখুঁজির পালা। শেষে সর্পরাজ বাসুকি রাজি হলেন মন্থন দণ্ড ঘোরাবার জন্য দড়ি হিসেবে কাজ করতে। শুরু হলো মন্থন, দড়ি টানাটানি । একে একে উঠে এলো নানান উপকরণ। বিষ্ণুর পরামর্শ মেনে দানবেরা ধরেছিল বাসুকির মাথার দিক। সেই কারণে বাসুকির মুখ থেকে বেরিয়ে আসা হলাহলে দানবদের বেহাল দশা। পাছে সৃষ্টি আবার লয় পায় সেজন্য দেবাদিদেব মহেশ্বর সেই হলাহল আকন্ঠ পান করে নীলকন্ঠ হলেন, আর অহিরাজ বাসুকি মহেশ্বরের গলায় মালা হয়ে ঠাঁই পেলেন।
    সৃষ্টি রক্ষা পেল। বাসুকি তাঁর নিঃস্বার্থ পরিষেবার জন্য পেলেন অনন্য পুরস্কার। 

    পুরাণ কথিত সেই বাসুকির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে রুরকি আই আই টি র দুই কৃতী জীবাশ্মবিদ বিজ্ঞানীর নিরলস প্রচেষ্টায়। আমরা সে কথায় আসবো , তবে তার আগে জীবাশ্ম নিয়ে প্রয়োজনীয় কিছু কথা আলোচনা করে নিই।
     
    জীবাশ্ম 

    সংস্কৃত ‘অশ্ম’ শব্দটির অর্থ শিলা বা পাথর। সেই অর্থে জীবাশ্ম বলতে আমরা বুঝি শিলীভূত জীবদেহকে। অর্থাৎ সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে কোনো জীব বা প্রাণিদেহ , উদ্ভিদের দেহের অংশ বিশেষের ছাপ যদি শিলাস্তরে সংরক্ষিত হয় তাকে আমরা জীবাশ্ম বলতে পারি। যদিও বর্তমানে আরও বৃহত্তর অর্থে ভূতাত্ত্বিকরা জীবাশ্ম কথাটিকে ব্যবহার করে থাকেন।
    ভূপৃষ্ঠের যেসব অঞ্চলে নমনীয় পাললিক শিলার আবরণীর দেখা পাওয়া যায় সেই সব স্থানেই সাধারণত জীবাশ্মের সন্ধান মেলে। অতীত পৃথিবীর হারিয়ে যাওয়া উদ্ভিদ ও প্রাণিদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে জীবাশ্মের জুড়ি নেই। জুরাসিক যুগের অতিকায় ডাইনোসরদের কথা বিজ্ঞানীরা আমাদের জানিয়েছেন ঐ জীবাশ্মের সূত্র ধরেই। শিলাপটের ওপর খোদাই করা বিচিত্র ছাপগুলো দেখে একসময় কিছু মানুষ জীবাশ্মগুলোকে চিহ্নিত করেছিলেন ‘ প্রকৃতির খেলনা’ হিসেবে। অনুসন্ধিৎসু বিজ্ঞানীদের নিরলস প্রচেষ্টায় আজ সেই খেলনাই হয়ে উঠেছে অতীতের রহস্য সিন্দুক খোলার সবথেকে বিশ্বাসযোগ্য চাবিকাঠি। টেথিস সমুদ্র গর্ভের আলোড়ন থেকেই যে হিমালয়ের উৎপত্তি বা গুজরাট রাজ্যের কচ্ছের লিগনাইট কয়লার স্তরে খুঁজে পাওয়া হাড়গোড়ের প্রস্তরীভুত অংশগুলো যে ঐ অঞ্চলে একদা বসবাসকারী এক অতিকায় সাপের তা জীবাশ্ম সূত্রেই জেনেছেন বিজ্ঞানীরা। এবার আমাদের জানার পালা।
     
    ভাসুকি ইণ্ডিকাস্ আখ্যান

    “শুন শুন সব্বোজন, শুন দিয়া মন,
    ইণ্ডিকাস্ ভাসুকি কথা করিব বর্ণন।।”
     
    অনেকটা এই সুরেই আমাদের ভাসুকি ওরফে বাসুকির কথা পরিবেশন করেছেন রুরকি আই আই টির ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুনীল বাজপাই এবং ওই বিভাগের পোস্ট ডক্টরাল ফেলো ডক্টর দেবজিত দত্ত। খুব সম্প্রতি এই দুই গবেষক গুজরাটের কচ্ছ অঞ্চলের লিগনাইট কয়লার স্তর থেকে সংগৃহীত জীবাশ্ম সমূহ পরীক্ষা করে জানিয়েছেন যে আজ থেকে প্রায় ৪৭ মিলিয়ন বছর আগে আজকের গুজরাট রাজ্যের কচ্ছের জলাভূমিতে বিশালাকৃতির দীর্ঘ চেহারার সাপেরা বসবাস করতো। এদের গড় লম্বাই ছিল আনুমানিক ৩৬ থেকে ৪৯ ফিট। অধুনা লুপ্ত টাইটানোবোয়ার জাত ভাই এই ভারতীয় প্রজাতির সাপটিকে তাঁরা নাম দিয়েছেন ভাসুকি ইণ্ডিকাস্ ( Vasuki indicus)। কেন এমন নামকরণ? 
     
    দেবজিতের কথায় , “ ভারতীয় পুরাণের আখ্যানে বিশালদেহী বাসুকি নাগের কথা আমরা শুনেছি। সমুদ্র মন্থনের সময় এই নাগরাজ সহায়তা করেছিলেন। তাই পুরাণ কথিত বাসুকি নাগের কথা মাথায় রেখেই কচ্ছের পানান্ধারোতে লিগনাইট কয়লার স্তরে খুঁজে পাওয়া জীবাশ্মের ভিত্তিতে সাপটিকে এই প্রতীকী নাম দেওয়া হয়েছে।”
    আজ থেকে প্রায় বছর কুড়ি আগে অধ্যাপক বাজপাই অনুসন্ধান সূত্রে এই ফসিলগুলো খুঁজে পান। প্রাথমিকভাবে তাঁর মনে হয়েছিল এগুলো সম্ভবত কোনো প্রাগৈতিহাসিক কুমীর জাতীয় প্রাণির প্রস্তরীভুত দেহাবশেষ। এমন অনুমানের কথা তিনি তখন প্রকাশ করার ব্যাপারে দ্বিধান্বিত ছিলেন। তিনি এই বিষয়ে সুনিশ্চিত হতে চাইছিলেন।তাই সংগৃহীত জীবাশ্মগুলোকে তাঁর পরীক্ষাগারে প্রায় লুকিয়েই রেখেছিলেন। হয়তো সহমর্মী সহকারীর অপেক্ষায় ছিলেন অধ্যাপক বাজপাই। ২০২২ সালে দেবজিত তাঁর উচ্চতর 
    গবেষণার জন্য বাজপাইয়ের সহযোগী হিসেবে রুরকিতে আসেন এবং নতুন করে জীবাশ্মগুলো নিয়ে পরীক্ষা শুরু করেন। পরীক্ষা করে তাঁরা দেখেন জীবাশ্মের অংশগুলো কুমীরের নয়, বরং শারীরবৃত্তীয় অঙ্গ সংগঠনের বিচারে বিশালদেহী সাপের সঙ্গেই তাদের গভীর মিল রয়েছে। এই বিষয়ে সুনিশ্চিত হবার পর‌ই তাঁরা তাঁদের এই ধারণার কথা আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান পত্রিকায় প্রকাশ করেন । বাকিটুকু এখন ইতিহাস।
     
    শিলাস্তর থেকে মোট ২৭ টি জীবাশ্ম উদ্ধার করা হয়েছিল। এগুলো সবই অজানা সাপের প্রস্তরীভূত কশেরুকা। এগুলো লম্বায় গড়পড়তা ১.৫ - ২.৫ ইঞ্চি এবং চ‌ওড়ায় ২.৫ থেকে ৪ ইঞ্চি। অশ্মীভূত কশেরুকা গুলো থেকে মনে হয় যে সেগুলো কোনো প্রাপ্তবয়স্ক প্রাণির । তাঁদের অনুমান, যে ভাসুকি ইণ্ডিকাস্ সম্ভবত ম্যাডসোয়েড প্রজাতির অন্তর্গত পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো প্রজাতির সাপেদের অন্যতম প্রতিনিধি যারা আপার ক্রিটেশিয়াস যুগ ( ১০০ মিলিয়ন - ৬৬ মিলিয়ন) থেকে শুরু করে প্লাইস্টোসিন যুগের(০.১২৬ মিলিয়ন -০.০১২ মিলিয়ন) শেষের দিক পর্যন্ত সময়কালের মধ্যে ভারতের এই অঞ্চলে বসবাস করতো।আকার আকৃতির বিচারে ভাসুকি ইণ্ডিকাস্ হলো বর্তমানে পৃথিবীর বুক থেকে হারিয়ে যাওয়া কুখ্যাত টাইটানোবোয়া সেরেজোনেনসিসের সমগোত্রীয় ‌। এই প্রজাতির সাপেরা আজ থেকে ৬০ মিলিয়ন বছর আগে দক্ষিণ গোলার্ধের সুবিস্তৃত অঞ্চলে বসবাস করতো। ‌ বিজ্ঞানীদ্বয়ের অভিমত, বাসুকি ইণ্ডিকাস নিশ্চিত ভাবেই পৃথিবীর সর্বকালের বৃহত্তম সাপেদের অন্যতম প্রতিনিধি। তথ্যভিজ্ঞ বিজ্ঞানীদের মতে ধরিত্রীর বুকে সাপেদের আবির্ভাব ও ক্রমবিবর্তনের ইতিহাস জানতে ম্যাডসোয়েড প্রজাতির সাপেদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে ‌। সেই সত্যকে মাথায় রাখলে বলতে হয় ভাসুকি ইণ্ডিকাস্ নিঃসন্দেহে সাপ সংক্রান্ত গবেষণায় নতুন গতি সঞ্চার করলো। ভারতের ভূ বিজ্ঞান গবেষণায় এ এক উজ্জ্বল অধ্যায়।

    অধ্যাপক বাজপাই একদা গুজরাটের যেখান থেকে ভাসুকি ইণ্ডিকাসের কশেরুকার জীবাশ্মগুলো উদ্ধার করেছিলেন সেই অঞ্চলের ভূপ্রাকৃতিক সংস্থানের বিলকুল পরিবর্তন ঘটেছে খণি থেকে কয়লা উত্তোলনের ফলে। বিজ্ঞানীদের ধারণা বহু বছর আগে গোটা অঞ্চলটি হয়তো একটি বিশাল জলাভূমির অংশ ছিল। ঐ অঞ্চলের জলাভূমিতে ছিল বিশালাকৃতির ভাসুকি ইণ্ডিকাসের বাস। নিউ মেক্সিকোর হাইল্যান্ডস বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক জেসুস রিভাসের মতে - “ভারতীয় গবেষকদের আবিষ্কৃত জীবাশ্ম সূত্র থেকে ম্যাডসোয়েড প্রজাতির অন্তর্গত সাপেদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে।” তাঁর মতে, “ভাসুকি ইণ্ডিকাস সম্ভবত জলজ বাস্তুতন্ত্রের অন্যতম অংশীদার ছিল আজকের অ্যানাকোন্ডার মতো।” অধ্যাপক রিভাসের এই মত অতীত গুজরাটের ভূ বৈচিত্র্য সম্পর্কেও মূল্যবান ইঙ্গিত দেয়।
     অধ্যাপক বাজপাই মনে করেন আন্ত : মহাদেশীয় সংঘাত ও সঞ্চালনের মাধ্যমে প্রাণিরা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে এবং বিবর্তনের পথে এগিয়ে যায়। তবে এই প্রথম ভারতীয় ভূখণ্ডে ম্যাডসোয়েইড প্রজাতির সাপের প্রস্তরীভূত দেহাংশ তথা 
    জীবাশ্মের সন্ধান পাওয়া গেল তা কিন্তু নয়।এর আগেও একাধিকবার এই ধরনের জীবাশ্ম খুঁজে 
    পাওয়া গেছে। যেমন ২০২২ সালে ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউট অফ হিমালয়ান জিওলজি, পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়,চণ্ডীগড়, রোপারের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, স্লোভাকিয়ার কোমেনিয়াস ইউনিভার্সিটির গবেষক বিজ্ঞানীরা লাদাখের শিলাস্তরে ম্যাডসোয়েইড প্রজাতির সাপের প্রস্তরীভূত দেহাংশ তথা জীবাশ্ম খুঁজে পেয়েছেন। তবে এবারের আবিষ্কার আগের সমস্ত গৌরবকে ছাপিয়ে গেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা। প্রাণি ভূগোল সংক্রান্ত গবেষণায় এই আবিষ্কার অত্যন্ত ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

    ডক্টর দেবজিত দত্ত এই গবেষণা প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে জানিয়েছেন – “সাপ হলো এক আশ্চর্য প্রাণি। তাদের আকার,অবয়ব বৈচিত্র্য,চলন তৎপরতা এবং আগমনের সময়কাল আমাদের হতবাক করে দেয়। স্বভাব বৈশিষ্ট্যের বিচারে সাপ খুবই নিরীহ প্রকৃতির। তবুও আমরা তাদের ভয় পাই, কেননা বেশ কিছু সাপের বিষ রয়েছে যা অনেক ক্ষেত্রেই প্রাণঘাতী। অথচ নিজের বিপদের আশঙ্কা থাকলেই সাপ ছোবল মারে। অথচ বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য সংরক্ষণে সাপের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। একথা মানতেই হবে।”

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সৌম্যদীপ সাহা রায় | 2405:201:8012:39b8:7915:6645:e743:9e86 | ২১ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:৫৬530865
  • নতুন একটা বিষয় আর তার ওপর এতো ডিটেইল লেখা! খুব ভালো লাগলো। 
  • শান্তনিক বসাক | 2401:4900:16b0:e4ed:1:1:5f:558f | ২২ এপ্রিল ২০২৪ ০২:৩৪530867
  • চমৎকার লাগল.... ঘটনাচক্রে আজকেই এই বিষয়ে রিপোর্ট টা পড়ছিলাম। এবং এই গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারকে এত মনোগ্রাহী ভাবে পরিবেশন সত্যিই প্রশংসনীয়।
  • Ritabrata Gupta | 103.68.127.19 | ২২ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:৪৬530868
  • এতো জটিল বিষয় এতো সহজ সরল ভাবে বিশ্লেষণ করতে সোমনাথ দা ছাড়া আর কাউকে পাওয়া মুশকিল! এত সুন্দর ও সহজবোধ্য যে চোখের সামনে পুরো ছবি যেন ভেসে ওঠে! কৃতজ্ঞ রইলাম এই অসাধারণ লেখাটি পেয়ে। আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের জন্য প্রাঞ্জল ভাষায় এমনি লিখে যেতে থাকুন! অসাধারণ!
  • সৌমেন রায় | 2409:40e1:1b:cf9f:8000:: | ২২ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:৫০530869
  • সল্প আলোকিত খবর সুন্দর ভাবে পরিবেশিত হয়েছে। বাংলা কাগজগুলির কাছে রাজনৈতিক তরজা ছাড়া আর কিছু গুরুত্বপূর্ণ নয়।
  • Amit | 163.116.203.24 | ২২ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:৫১530872
  • দারুণ লেখা। 
     
    একটা কোশ্নো:  ফসিলস এর একটা দুটো টুকরো থেকে এক্সটিঙ্কট সাপ বা ডাইনোসার এর পুরো লেংথ টা গেস করা হয় কিভাবে ? পুরো ফসিল তো প্রায় কখনোই পাওয়া যায়না। ফসিলস এর হাড়ের ফরমেশন /সাইজ র সাথে আজকের এনাকোন্ডা বা পাইথন র সিমিলার হাড়ের সাইজ কম্পেয়ার করে সোজা প্রো-রেট করে ?
     
    সেক্ষেত্রে একটা ধারনা করে নেওয়া হচ্ছে যে প্রপোর্শনালি সাপের ডাইমেনশন বা মুভমেন্টস কয়েকশো মিলিয়ন বছর ধরে মোটামুটি একই আছে ? সেটা হয়তো ১০০-% ঠিক নাও হতে পারে। 
     
    নাকি আরো কিছু মেথডস আছে ?
  • অঞ্জনা বন্দ্যোপাধ্যায় | 2405:201:8000:b1a1:ada1:12ae:3f4c:fffa | ২২ এপ্রিল ২০২৪ ১০:২৭530874
  • আরও একটি নতুন বিষয় নিয়ে লেখক পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন। লেখকের বিষয় ভাবনার ঝুলি যে বহু বিচিত্র সম্ভারে ভরপুর তা তার নিবন্ধগুলো পড়লেই বেশ বুঝতে পারছি। এরমধ্যেই পাঠকদের তরফে কলম বাগিয়ে ময়দানে নেমে পড়েছেন কেউ কেউ। এ ধরনের আলোচনা বাকি পাঠকদেরকেও সমৃদ্ধ করে। কয়েক টুকরো প্রস্তরীভূত কশেরুকার অংশ থেকে কীভাবে সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্যের আন্দাজ করা যায় সেটাও গভীর ভাবনার বিষয়। আমার ধারণা,এ ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা তুলনামূলক অ্যানাটমির সাহায্য নিয়ে থাকেন।
    লেখকের পরের বিষয় নিয়ে আলোচনার অপেক্ষায় থাকবো।
  • উন্মেষ | 43.252.250.112 | ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:৩১531015
  • খবরটা পড়েছিলাম ইংরেজি সংবাদপত্রে। এত সহজ প্রাঞ্জল ভাষায় বিষয়টা বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। 
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:৩৫531019
  • ইংরেজি প্রতিবেদন পড়তে গিয়ে এই লেখাটির কথা মনে পড়ায় এখানেই চলে এলাম এবং সমৃদ্ধ হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
  • সুবীর রায় | 115.187.62.47 | ০৩ মে ২০২৪ ২২:১৩531369
  • আপনার লেখা থেকে অনেক কিছুই জানতে পারছি। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন