নাটক: ভুলে যাই কেমনে !
( স্কুল ফেরতা একদল ছাত্র। পিঠে ব্যাগ।পরনে বাহারি পোশাক। নিজেদের মধ্যে গল্প করতে করতে পথ চলছে তারা। খোলা মাঠের মাঝখান দিয়ে এক চিলতে পায়ে চলার পথ। সেই পথ ধরেই নিজেদের মধ্যে হুল্লোড় করতে করতে চলেছে তারা,মানে শ্রীরূপ, ঋষি , ঋষিরাজ আর সুমিত। ওদের মধ্যে ঋষিরাজ একটু পিছিয়ে পড়েছে। তাই তাকে উদ্দেশ্য করেই হাঁক পাড়ে শ্রীরূপ।)
শ্রীরূপ - এই ঋষিরাজ ! পা চালিয়ে আয় । পিছিয়ে পড়লি যে বড়ো!
সুমিত - শরীর খারাপ লাগছে না কি ? বাপরে বাপ ! কি গরমটাই না পড়েছে ! এই একটু দাঁড়া ..
ঋষি - এই দেখনা, আমরা ‘থ্রী মাস্কেটিয়ার্স’ কেমন টাট্টু ঘোড়ার মতো টগবগিয়ে চলেছি। তুইও,পা চালিয়ে এগিয়ে আয়না ভাই।
ঋষিরাজ - যাচ্ছি রে বাবা যাচ্ছি । রোজ রোজ স্কুল ছুটির পরে এমন ব্যস্ত হয়ে টোলে যেতে ইচ্ছে করে তোদের? আমার বাপু একদম ইচ্ছে করছেনা আর। অথচ এ কথা কেউ মানতেই চায়না, শুনতেই চায়না। ( হাঁপাতে হাঁপাতে প্রায় দৌড়ে এসে বন্ধুদের সঙ্গে যোগ দেয় )
সুমিত - ঠিক বলেছিস। সেদিন বাড়িতে এ কথা বলতেই সকলে কেমন রে রে করে উঠলো! যেন আমি একটা অবান্তর কথা বলে ফেলেছি।
ঋষি - এমনটা যে আমার বাড়িতেও ঘটলো সেদিন! মাকে আমি বলেছিলাম,আজ আর আমার কোচিংএ পড়তে যেতে ভালো লাগছে না! আজ আমার ছুটি। একথা শুনে মা কি বললেন জানিস?
ঋষিরাজ - নতুন করে কি আর বলবে বল?ভাঙা রেকর্ডের মতো সেই একই কথা আওড়ে গেলেন হয়তো - “এখন চারিদিকে কেবল কম্পিটিশন! কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জায়গা ছেড়ে দেবেনা। না পড়লে তুমি পিছিয়ে পড়বে। তোমার বাবা,আমি যে এতো কষ্ট করছি,তাতো তোমার মুখের দিকে তাকিয়েই।” তা হ্যারে শ্রীরূপ , তোর বুঝি এমন জীবন ভালো লাগে? এই স্কুলের পরে আবার ধরাচূড়া বদলে ……
শ্রীরূপ - ভালো কি আর লাগে ! সব কিছুকে মানিয়ে নিতে হয়। আমাদের ইচ্ছে বলে নাকি কিছু থাকতে নেই। অন্যের চাপিয়ে দেওয়া ইচ্ছেকে মেনে চলাই হলো নিয়ম - ( গানের সুরে ) চলো নিয়ম মতে,চলো কানুন পথে। বাঁকা পথে চলতে যেওনা, অন্যরকম ভাবতে যেওনা।
সুমিত - বাহ্ ! ব্রেভো। চল, সবাই মিলে গাই। এটা আমাদের মার্চি্ঙ সঙ্ হলো আজ থেকে।
সকলে একসাথে - চলো নিয়ম মতে, চলো কানুন পথে। বাঁকা পথে চলতে যেওনা, অন্যরকম ভাবতে যেওনা ।
শ্রীরূপ - ( সমবেত গানের রেশ ধরে ) চলো নিয়ম মতে, চলো মাম্মির মতে, চলো ড্যাডির মতে। নিজেরা ভাবতে যেওনা। চলো তাঁদের মতে।
( গানের কলির এই বদলটা সকলে বেশ উপভোগ করে। গান শেষ করে সকলে হো হো করে হেসে উঠে একে অন্যের গায়ে লুটিয়ে পড়ে)
ঋষি - ও শ্রীরূপ ! সত্যিই তোর জবাব নেই।তোর গান এতক্ষণ জমে থাকা গুমোট ভাবনাগুলোকে নিমেষে হালকা করে দিল।
শ্রীরূপ- ( একটু উদাস কন্ঠে ) এই গান যে আমার বিকল্প আশ্রয়, আমার প্রাণন স্রোতের উৎস। ঠাম্মি যে আমাকে এমনটাই ভাবতে শিখিয়েছেন। মাঝেমাঝে যেদিন টোলে যাবার টান থাকেনা, সেদিন স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে সন্ধেবেলা হারমোনিয়ামটা টেনে নিয়ে নিজের মতো করে গান গাইতে বসি। আমার গানের সুরের খেয়ায় চেপে ঠাম্মিও আমার সাথে এসে গলা মেলান। এই দিনগুলোতে আমার যে কি ভালো লাগে তা তোদের বুঝিয়ে বলতে পারবোনা। ( সুরে গেয়ে ওঠে ) মোরা হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল, শুধাইলো না কেহ গো!
( এই কথার মাঝেই সুমিতের নজর পড়ে দূরে। অন্যান্যদের সেদিকে দেখতে বলে সে ।)
সুমিত - এই দেখ গাছের তলায় কে একজন বসে আছে না ! দূর থেকে দেখে তো মনে হচ্ছে একজন মানুষ। ছেলেধরাটরা নয়তো? কেমন বিদঘুটে একটা জোব্বাজাব্বা পড়া!
ঋষিরাজ - ধুস্ , চলনা এগিয়ে গিয়ে দেখি। এখনও তো খানিকটা সময় বাকি রয়েছে।
( ওরা পায়ে পায়ে এগিয়ে যায় )
শ্রীরূপ - এই যে দাদু ! আজ যে একলা বসে? বলি তোমার বন্ধু বান্ধবরা সব গেল কোথায়? একলা বসে আছো দেখে আমরাই এলুম তোমার সঙ্গে কথা কইতে।
বৃদ্ধ - খুব ভালো করেছো। আমি তো তোমাদের পথ চেয়েই এখানে বসে আছি। কখন গুটিগুটি পায়ে এই অনিচ্ছুক পথ বেয়ে তোমরা সবাই পাঠশালে যাবে। চলার ভঙ্গিতেই আমি বেশ টের পেয়ে যাই তোমাদের ইচ্ছে আর অনিচ্ছাগুলোকে। তবে একটা বিষয়ে আমার বেজায় খটকা লাগে!
সমস্বরে সবাই মিলে - খটকা? বলো কি গো দাদু? তা কিসে খটকা লাগলো শুনি ।
বৃদ্ধ - তাহলে আর বলছি কিগো! আসলে আমি ভেবে পাইনে, একালে তোমরা সব সাঁঝবেলায় পাঠশালায় যাও কেন? আমাদের কালে তো এমন
নিয়ম ছিলোনা!
ঋষি - ( হেসে ওঠে) তুমি না দাদু এক্কেবারে ছেলেমানুষ। কিচ্ছুটি বোঝনা। আমরা পাঠশালায় যাচ্ছি এ কথা কে বললো তোমায়? আমরা সবাই দলবেঁধে টিউটোরিয়ালে যাচ্ছি গো, টিউটোরিয়ালে যাচ্ছি। বলি, তুমি বুঝি কখনও পাঠশালে যাওনি?
বৃদ্ধ - যাইনি বললে তো নিপাট মিছে কথা বলা হবে। গিয়েছিলুম। তবে সেখানকার জল বাতাস আমার ঠিক সইলোনা। তাই যতটা উৎসাহ নিয়ে জুড়ি গাড়ি হাঁকিয়ে দাদা আর ভাগ্নে সত্যপ্রসাদের সাথে ‘দি ওরিয়েন্টাল সেমিনারি’ স্কুলে যাওয়া শুরু করেছিলাম, ঠিক ততোটাই ভাঙ্গা মন নিয়ে আবার ঘরে ফিরে এলাম । আসলে আমার অভিভাবকেরা বুঝে নিয়েছিলেন , লেখাপড়া শেখার বাঁধা রাস্তায় এ ছেলেকে চালানো যাবেনা। ( নিজের রসিকতায় নিজেই হেসে ওঠেন )
ঋষিরাজ - ( খুব অবাক কন্ঠে) স্কুল ছেড়ে দিলে? বাড়ির লোকজন কিছু বললো না?
সুমিত - কি মজায় দিনগুলো কাটাতে গো তোমরা! আমাদের দেখো, মাঝে মধ্যে স্কুলে যাবনা বললে যদিবা ছাড় মেলে, টিউটোরিয়ালে যাবনা বললেই মায়েদের সব মুখ ভার। এই নিয়েই তো কথা কইছিলাম আমরা।
বৃদ্ধ - স্কুলে যাবার তাড়া হয়তো ছিলনা , তাই বলে
লেখাপড়ার পাট ছিলনা বললে যে বেজায় ভুল বলা হবে। বাবামশায় আর আমার দাদারা মিলে বাড়িতেই যে নানান বিষয় পাঠের বিস্তর আয়োজন করেছিলেন। আমার প্রথম গুরুমশাই ছিলেন কৈলাস মুখুজ্যে। আর যখন রুটিন মেনে পাঠশালে যাবার পাট একেবারেই চুকলো তখন আমাকে ঘিরে গুরুমশাইদের ঢল নামলো– নীলকমল ঘোষাল, সীতানাথ দত্ত, হেরম্ব তত্ত্বরত্ন,
অঘোরবাবু, কিশোরী চাটুজ্যে । আর কতো জনের নাম বলবো বলো?
শ্রীরূপ - আরে, রোশো দাদু রোশো। তুমি যে মাস্টারমশাইদের নামের ফিরিস্তি ধরাচ্ছ, তা শুনে যে আমাদের আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হবার জোগাড়! আমরা ভাবি একালে আমরাই বুঝি পড়াশোনার চাপে বিলকুল চিঁড়ে চ্যাপ্টা।টীচার আর টিউটরদের দৌরাত্ম্য বুঝি কেবল আমাদেরই সইতে হয় ; কিন্তু তোমার কথা শুনে এখনতো মনে হচ্ছে তোমাদের কালেও যে এমন দস্তুর ছিল। আসলে আমাদের মতো ছাপোষা ছাত্রদের সকলের কপাল যে এক তা আমরা বিলকুল বুঝতে পারছি।
বৃদ্ধ - বাহ্ ! তোমরাতো বেশ চালাক চতুর ছাত্র , আমার কথার সূত্র ধরে কেমন চটপট দুটো সময়ের মিল - গরমিলের হিসেবটাকে মিশিয়ে একাকার করে দিলে।
ঋষিরাজ - না মিলিয়েই বা উপায় কি বলো? বাড়ির বড়োরা, স্কুলের স্যারেরা, ম্যাডামরা সবসময় আমাদের খুঁত ধরে। কাল কে সাক্ষী মেনে বলে, সেকালে সবকিছুই নাকি কেমন অন্যরকম ছিলো। একালের মতো বাঁধনহারা জীবন তাঁদের ছিলোনা। আচ্ছা,এর পেছনে আমাদের হাত কোথায় বলো? তোমাদের সময়গুলো বদলাতে বদলাতে এ কালের ঘাটে এসে ভিড়েছে।সময়টাকেতো আর আমরা বয়ে নিয়ে আসিনি।
বৃদ্ধ - হক কথা, একেবারে হক কথা। এ কথাটা তো রীতিমতো ভেবে দেখার মতো।
সুমিত - কিন্তু ভাবছে কে? সকলে তো আর তোমার মতো বুঝদার নয়।
ঋষি - তুমি কিন্তু দাদু একদম অন্যরকম ।
কেমন মন দিয়ে আমাদের কথাগুলোকে শুনছো, আমাদের দুখ্যুগুলোকে বোঝার চেষ্টা করছো।সবার যদি এমন বুঝদার মন হতো তাহলে বেশ হতো। কী বলিস তোরা?
শ্রীরূপ - তুই তো একেবারে আমার মনের কথা, আমাদের মনের কথাটাই বললি।
বৃদ্ধ - আসলে আমার ছোটো বেলাটাও যে একটা গণ্ডী বাঁধা পরিসরে কেটেছে। তাই হয়তো তোমাদের দুঃখগুলো , কষ্টগুলো আমাকে এভাবে ছুঁয়ে যাচ্ছে।
ঋষিরাজ - আচ্ছা দাদু , তোমাদের কালে খেলাধুলোর পাট ছিলনা বুঝি?
বৃদ্ধ - ( একটু ভেবে) ছিল, তবে তখন খেলা ছিল সামান্য কয়েকরকমের। ছিল মার্বেল, ছিল ব্যাট বল - একালের ক্রিকেটের অত্যন্ত দূর কুটুম্ব। আর ছিল লাটিম ঘোরানো, ঘুড়ি ওড়ানো। শহরের ছেলেদের খেলা সবই ছিল এমনি কমজোরি। মাঠজুড়ে ফুটবল খেলার লম্ফঝম্ফ তখনও আটকে ছিল দূর সমুদ্র পাড়ে।এমনি করে একই মাপের দিনগুলো শুকনো খুঁটির বেড়া পুঁতে চলেছিল আমাকে পাকে পাকে ঘিরে।
সুমিত - কি সুন্দর কথা কও তুমি দাদু! ঠিক রবিঠাকুরের মতো।
বৃদ্ধ - ( বেশ অপ্রস্তুত হয়ে ) রবিঠাকুর! তিনি আবার কে? তাঁকে আবার আমাদের মাঝখানে টেনে আনলে কেন?
শ্রীরূপ- সে কি দাদু! তুমি রবিঠাকুরের নাম শোননি? এ কথা আমাদের বিশ্বাসই হয়না।
বৃদ্ধ - না না। নাম তো বিলক্ষণ শুনেছি। তবে তিনি তো কোন্ আদ্দিকালের মানুষ! তা একালের মানুষেরা তাঁর কথা জানে? রবিঠাকুরকে তাদের মনে আছে?
ঋষি - মনে থাকবেনা? তিনি যে আমাদের আত্মার আত্মজন, আমাদের দিন যাপনের সঙ্গী, আমাদের সুখ দুঃখ, আনন্দ বেদনার সহভাগী।
ঋষিরাজ - তোমার বুঝি আমাদের কথা বিশ্বাস হচ্ছে না? এই যে শ্রীরূপকে দেখেছো,ও ওর ঠাম্মির কাছে গান শেখে - রবিঠাকুরের গান। এই শ্রীরূপ দাদুকে একটা গান শোনা না।
বৃদ্ধ - সেই ভালো। তখন থেকে কেবল কথার কচকচানি চলছে।নাও শ্রীরূপ গান শুরু কর।
শ্রীরূপ - পড়ন্ত বিকেলের লালিমা মাখা আকাশে ঐ দেখা যায় সজল কালো মেঘের আলপনা; তপন তাপের দগ্ধ বেলা শেষে ঐ আসে নবযৌবনা বরষা। তাকে আজ আমন্ত্রণ জানাই রবিঠাকুরের গানে।
এসো শ্যামল সুন্দর,
আনো তব তাপহরা তৃষাহরা সঙ্গসুধা।
বিরহিনী চাহিয়া আছে আকাশে।।
সে যে ব্যথিত হৃদয় আছে বিছায়ে
তমাল কুঞ্জ পথে সজল ছায়াতে,
নয়নে জাগিছে করুণ রাগিনী।।
( অঝোর ধারায় বৃষ্টি পড়তে থাকে। ছেলেরা মনের আনন্দে, মুক্তির আনন্দে মাতোয়ারা )
ঋষিরাজ - (আবৃত্তি করে)
এসেছে বরষা, এসেছে নবীন বরষা ,
গগন ভরিয়া এসেছে ভূবন ভরসা।
দুলিছে পবনে সনসন বনবীথিকা,
গীতময় তরুলতিকা।
শতেক যুগের কবিদলে মিলি আকাশে
ধ্বনিয়া তুলিছে মত্ত মদির বাতাসে
শতেক যুগের গীতিকা ।
শতশত গীত মুখরিত বনবীথিকা ।।
শ্রীরূপ - ( গান গাইতে গাইতে)
এসো শ্যামল সুন্দর।
বকুল মুকুল রেখেছে গাঁথিয়া ,
বাজিছে অঙ্গনে মিলন বাঁশরি।
আনো সাথে তোমার মন্দিরা
চঞ্চল নৃত্যের বাজিবে ছন্দে সে –
বাজিবে কঙ্কন, বাজিবে কিঙ্কিনী ,
ঝঙ্কারিবে মঞ্জীর রুণু রুণু ।।
দাদু এই হলো রবিঠাকুরের গানের বাণী। কানের ভিতর দিয়া মরমে পশিল আজি, আকুল করিল মোর প্রাণ। দাদু শুনতে পাচ্ছ ? দাদু……
সুমিত - দাদু তো এখানে নেই । কোথায় গেল?
(চারিদিকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে সকলে)
সকলে একসাথে - দাদু তুমি কোথায়? তোমাকে দেখতে পাচ্ছি না কেন? দাআআআআআদু…
( চারিদিক নিস্তব্ধ । হঠাৎ অন্তরাল থেকে ভেসে আসে বৃদ্ধের কন্ঠস্বর। )
বৃদ্ধ - আমি এখানে । তোমরা আমাকে এখনও মনে রেখেছো দেখে ভারি আনন্দ পেলাম। আজ অনেক দিন পর তোমাদের নবীন চোখ দিয়ে, এই সময়ের চোখ দিয়ে আমার ফেলে আসা জীবনের কিছু খণ্ড মুহূর্তের ছবিকে ফিরে দেখার অবসর পেলাম।এ যে আমার কাছে কতটা পাওয়া তা তোমাদের বলে বোঝাতে পারবো না। তোমরা ভালো থেকো । আমি আবার আসবো। আমাকে ভুলে যেওনা।
সকলে একসাথে - তোমাকে চিনতে পেরেছি দাদু। তুমি আমাদের সহজ পাঠের রবিঠাকুর । আমাদের সবার প্রিয় রবি দাদু।
( শ্রীরূপ গান ধরে। নিজের বাঁধা গান)
শ্রীরূপ - তুমি যে মোদের প্রিয় রবিঠাকুর
তোমাকে আমরা ভুলে যাই কেমনে?
তুমি যে মোদের সনে সকাল দুপুর -
তুমি আছো মোদের স্বপন জাগরণে।
তুমি যে তপ্ত দুপুর মন উদাসী,
তুমি আছো বাদল মেঘের সজল দিনে,
তুমি যে ফাগ রাঙানো মনপলাশী,
কেমনে রইবো মোরা তোমা বিণে !
তুমি যে মোদের প্রিয় রবিঠাকুর,
কেমনে কাটাবো দিন তোমা বিণে !
**
আজ বৈশাখের ২৫। রবিঠাকুরের ১৬৪ তম জন্মদিন। তাঁকে স্মরণে রেখেই ছোটোদের জন্য এই নাট্য নৈবেদ্য।
এই নাটকের অভিনয়ে কেউ আগ্রহী হলে নাটককারের লিখিত অনুমতি নিতে হবে।
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।