এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ধর্ষণের শাস্তিতে দেশবাসীর উল্লাস

    অরূপ
    অন্যান্য | ০৬ মে ২০১৭ | ১৪৩৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • কল্লোল | 233.186.173.90 | ০৭ মে ২০১৭ ০৭:৫৩365941
  • সে কি! উল্লাস করবে না!! ফাঁসীটা হয়ে গেলেই সারা উত্তর ভারতে আর কোনদিনও ধর্ষন্ণ হবে না। এই যেমন ধনঞ্জয়ের ফাঁসীর পর পবতে আর একটাও ধর্ষণ হয় নি। অবাশ্য ১৮ বছরের কম ছেলেরা ধর্ষণ করবেই। সেটা আটকানো যাবে না।
  • dc | 132.174.104.148 | ০৭ মে ২০১৭ ০৮:০৯365952
  • কিন্তু মেয়েটি যে বলে গেছিল, যারা আমাকে এরকম করলো তাদের ছেড়ো না?
  • cm | 127.247.100.186 | ০৭ মে ২০১৭ ০৮:১৪365963
  • ছাড়ার কথা কে বললো?
  • যোগরূঢ় জগঝম্প | 192.66.115.132 | ০৭ মে ২০১৭ ১০:০১365967
  • রায়া আর দময়ন্তী - এই দুজনের লেখাদুটো কেউ পোস্ট করে দাও।
  • | ০৭ মে ২০১৭ ১০:৫৫365968
  • জগার কথামত আমারটা আমিই কপি করে দিচ্ছি। রায়ারটা খুঁজতে হবে। সিকি বা রোবু একটু হাত লাগাও।
    =====================

    প্রথমেই পষ্টাপষ্টি বলে নিই মৃত্যুদন্ড সমর্থন করি না, কোথাও না, কোনও কারণেই না।

    তো, জ্যোতিসিঙের অত্যাচারী ধর্ষক ও খুনীদের মৃত্যুদন্ড বহাল রাখায় চারিসিকে সুপ্রীম কোর্ট তথা ভারতরাষ্ট্রের জয়জয়কার পড়ে গেছে দেখছি। কাশ্মীরে লাগাতার হামলা ও ছত্রিশগড়ে হামলার ধাক্কায় 'গর্বিত ভারতবাসী' কি অল্প একটু কমে গেছিল? বোধহয়। জ্যোতিসিঙের মামলার রায় দেখে আবার তারা গুটগুট করে বেরিয়েছে। সে বেশ কথা।

    কিন্তু ঠিক তার আগের দিন বিলকিস বানোর মামলার রায়ও বেরিয়েছিল মুম্বাই হাইকোর্ট থেকে। ১৯ বছর বয়সী অন্তঃস্বত্ত্বা বিলকিস বানো গণধর্ষিতা হয়েছিলেন ২০০২ সালে আরেসএস বিজেপীর লোকেদের হাতে, চোখের সামনে খুন হতে দেখেছেন গোটা পরিবারকে, পুলিশ ও ডাক্তার বারেবারে অস্বীকার করেছে তাঁর বয়ান, এফ আই আর নেয় নি, প্রাণের ভয় দেখানো হয়েছে প্রশাসনের উচ্চস্তর থেকে, হ্যারাস করা হয়েছে যতভাবে সম্ভব। তাঁরাও চেয়েছিলেন অপরাধীদের মৃত্যুদন্ড হোক, কিন্তু মুম্বাই হাইকোর্ট তা দেয় নি। যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়েছে, ভারতীয় আইন অনুযায়ী যাবজ্জীবন মানেও সত্যিই সারা জীবন নয়, নির্দিষ্ট কিছু বছর মাত্র। তো এক্ষেত্রে 'গর্বিত ভারতবাসী'দের তরফে কোনও বক্তব্য দেখছি না। যেমন কখনওই দেখি নি সোনি সোরির যোনীতে ১২৬(?) টি পাথর ভরে দেওয়া নিয়ে কোনও বক্তব্য কিম্বা আদিবাসি মেয়েদের নির্বিচারে ধর্ষণ করে চলার বিরুদ্ধে কোনও বক্তব্য। সোনি সোরির যোনীতে পাথর ভরার জন্য অত্যাচারী পুরুষটি পুরস্কৃত হয়েছে, আদিবাসি, জনজাতি মেয়েদের ব্যবহার্য্য বস্তু হিসেবে ব্যবহার করার জন্য পুরস্কৃত হয়েছে বা হবে আরো বেশ কিছু উচ্চবর্ণ পুরুষ। সুপ্রীম কোর্ট এরকমই কিছু একটা বলেছে না? জ্যোতিসিংকে মানুষের বদলে নিতান্ত তুচ্ছু ব্যবহার্য্য বস্তু হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে?

    ভানওয়ারি দেবীর নাম অথবা কুনান পুশপোরার নামও সাধারণের স্মৃতিতে খুব একটা থাকে না। কিন্তু মনে করিয়ে দিলেই কি এই সব ধর্ষক অত্যচারী খুনীদের জন্যও মৃত্যুদন্ড চাইবেন 'গর্বিত ভারতবাসী'গণ? মনে হয় না, কারণ এই কেসগুলোতে খুনী ধর্ষকেরা কেউ ডিসপোজেবল এলিমেন্ট তো নয়, যাদের ফাঁসি চেয়ে এবং দিয়ে নিশ্চিন্ত হয়ে যাওয়া যায়। জ্যোতিসিঙের ক্ষেত্রে ধর্ষক খুনীরা নিতান্তই ডিসপোজেবল, তাই এত উল্লাস।

    আরো একটা কথা মনে করিয়ে দিই বরং। এই ফাঁসিগুলো হয়ে গেলেও কিন্তু কলকাতার বাসে কিম্বা হাওড়া শেয়ালদার লোকাল ট্রেনের জেনারেল কম্পার্টমেন্টে ভীড়ের সুযোগে গ্রোপিং বন্ধ হবে না, বন্ধ হবে না ফেসবুকে রাজনৈতিক আলোচনায় ভিন্নমতের মেয়েদের নাম দেখলেই কিছু লোকের 'রেট কত' জিগ্যেস করা, বন্ধ হবে না কোনও একটি মেয়ের 'প্রেমে পড়ে এবং সাড়া না পেয়ে' তাকে ধরে অনলাইন বা অফলাইন বুলিয়িং, বন্ধ হবে না স্বাধীনচেতা মেয়েটিকে সবার মাঝখানে অপমানকর উক্তি করে, তার সম্পর্কে মিথ্যে বদনাম দিয়ে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। এইগুলোর যে কোনওটাই আপনি কিম্ন্বা আপনার কোনও প্রিয়জনের সাথে ঘটতে পারে। তারপরেও আপনি গর্বিত ভারতবাসী থাকতেই পারেন, আপনার চয়েস।
    ======================
  • PT | 213.110.242.8 | ০৭ মে ২০১৭ ১১:০৪365969
  • "`ফাঁসীটা হয়ে গেলেই সারা উত্তর ভারতে আর কোনদিনও ধর্ষন্ণ হবে না।"

    এমনতো হতেই পারে যে "দৃষ্টান্তমূলক" ফাঁসী আছে বলে দশটার জায়গায় দুটো ধর্ষণ হচ্ছে। অন্ততঃ এটা প্রমাণ বা এর উল্টো তত্বটা প্রমাণ করা যাবে বলে তো মনে হয়না!! কিন্তু ফাঁসী না দিয়ে যাবজ্জীবন দিলেও তো ধর্ষণ কমবে বলে মনে হয়্না। তাহলে ধর্ষকদের তো কোন শাস্তি দেওয়ারই কোন মানে হয়্না!!

    কিন্তু ধর্ষকদের ফাঁসী দিলে ট্রেনে বাসে বাঁদরামো বন্ধ হবে এমন দাবী কেউ কোথাও করেছে নাকি?
  • sm | 52.110.177.182 | ০৭ মে ২০১৭ ১১:১৪365970
  • ফাঁসি নিয়ে কেন লোকজন এতো ইন্টারেস্টেড? ফাঁসির মেইন উদ্দেশ্য কি?শাস্তি হিসাবে অভিযুক্ত ব্যক্তি কে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়া নাকি ,ফাঁসি তে ঝুলিয়ে পেইন ফুল মৃত্যুদণ্ড দেওয়া।
    যদি উদ্দেশ্য পেইন দেওয়া হয়, তাহলে ফাঁসির চেয়েও অন্য অনেক উপায় আছে।
    যেমন মধ্য যুগীয় শাস্তি সমূহ।
    বাঁচিয়ে রেখেও পেইন দেওয়া যায়।আন্ডা সেলে পুরে রাখা,অত্যাচার করা ইত্যাদি।
    যদি মৃত্যুদান ই মেইন উদ্দেশ্য হয় তাহলে ও ফাঁসি ছাড়া ইলেকট্রিক চেয়ার,বিষ পান করতে দেওয়া এমন অনেক অপশন আছে।
    জনগণ ঠিক কোনটা চায়, বুঝা মুশকিল।
  • | ০৭ মে ২০১৭ ১১:২৪365971
  • রোবুরটা তুলে রাখি

    =============
    ফাঁসি দেওয়ার ফলে যে সেন্স অব ক্লোজারটা হবে সেটা মারাত্মক। বহু লোক ভেবে নেবে যে, "যাক, এবার তো শান্তিতে বাঁচা যাবে"। অথচ কিছুই হয়নি, হাজারো পোটেনশিয়াল ধর্ষক চারদিকে ঘুরে বেরাচ্ছে। বিশাখা গাইডলাইন নিয়ে কেউ কথা বলছে? মহিলা থানা? আরো মহিলা পুলিশ? ফাস্ট ট্র‍্যাক কোর্ট? অংকিত গর্গ? মনোরমা? সোনি সোরি? আসলে এগুলো কঠিন কাজ। তার থেকে কয়েকজনকে ফাঁসী দিয়ে কঠিন কাজটা সরিয়ে রাখি। লোকে ঠান্ডা হয়ে যাবে।
    "কঠিন বিকল্পের কোনো পরিশ্রম নেই।"

    আর তা ছাড়া, কাদের কাদের ফাঁসী দেওয়া হবে? যারা বলে "নারীর অপমান যারা করে তাদের মা বোনেদের চুদি" - তাদের? যারা ভীড় বাসে ট্রেনে গ্রোপ করে, তাদের? যারা সাইবার বুল্যিং করে তাদের, ফেসবুকে রেপ থ্রেট দেয় তাদের? যারা অসংখ্য মিসোজিনিস্ট জোক্স ফরোয়ার্ড করে চলে সারাদিন তাদের? যারা খেলায় জিতে বলে আজ অস্ট্রেলিয়াকে কোহলি একাই রেপ করে দিল তাদের?

    ===========================
  • dc | 132.174.104.148 | ০৭ মে ২০১৭ ১১:২৯365972
  • cm, ছেড়ে না দেওয়া বলতে মেরে ফেলার কথা বলেছিলাম। গতকাল কোথায় যেন পড়ছিলাম মেয়েটি নাকি কোন পুলিশ অফিসারকে বলেছিল, আমাকে যারা এরকম করল তাদের যেন লটকে দেওয়া হয়। অন্তত পুলিশটা এরকম একটা দাবী জানিয়েছে দেখছিলাম।
  • Arup | 113.230.101.54 | ০৭ মে ২০১৭ ১১:৪৭365942
  • আমি পোষ্ট দিয়ে নিজের মতামতাটাই দিতে পারিনি নেট কানেকশনের প্রব্লেমের জন্য এদিকে দেখছি সবাই কমেন্ট করে ফেলেছে।
    নিচে দিলাম

    ডিসেম্বর ২০১২ ধর্ষণ ও হত্যা কান্ডে সুপ্রিম কোর্ট দোষীদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। এর ফলে ভারতীয় জনগনের বিশাল অংশ শান্তি পেয়েছে কারণ একজন সাধারণ মেয়ে যে সিনেমা দেখে বাড়ি ফিরছিল তার এইরকম নৃশংস ও অমানবিক গন ধর্ষণ এবং হত্যা এই জনগন সমুহের খুব খারাপ লেগেছিল এবং তাই প্রতিবাদ টতিবাদ করতে হয়েছিল আর কি। এবার যেহেতু প্রতিবাদ করার জন্য সময় দিতে হয়েছে অ্যান্ড টাইম ইস মানি অ্যান্ড মানি মানেই ইনভেস্টমেন্ট তাই প্রতিবাদের আশানুরুপ ফল পেতে হবে তো? তাই খুশী। তা নাহলে ব্যাস্ত সময়ে এতো মাথা খারাপ করার সময় কোথায়? যেমন কয়েকটা ঘটনা উল্লেখ করছি কিন্তু সেগুলো গড়গড় করে পড়ে গেলেও কোনরকম অনুভুতি সহানুভুতি জন্মাবে না।
    কয়েকদিন আগে ছতিশগড়ের একজন মহিলা পুলিশ ফেসবুকে একটা পোষ্ট লিখেছিল (পরে সরিয়ে দেয়) যেখানে বলেছে, ১৪, ১৬ বছরের আদিবাসী বাচ্চা মেয়েদের ওর চোখের সামনে পুলিশ থানায় উলঙ্গ করে হাতে এবং স্তনে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়েছে। ওদের পুলিশ দ্বারা ওদের ধর্ষণ এবং অমানবীয় টর্চার করা হয়েছে। সিআরপিএফ বাহিনীরা কম বয়েসি আদিবাসী মেয়েদের স্তন টিপে দেখে দুধ বেরোচ্ছে কি না, ধর্ষণ / গনধর্ষণ ও করে আদিবাসী মেয়েদের। বহু আদিবাসী মেয়েদের ওপরই এইধরনের অত্যাচার করা হয়েছে প্রায় এক দশক ধরে। এই খবর শুনে অনুভুতি জাগল? জাগল না তো? ঠিক আছে আরও নৃশংস করি ব্যাপারটা।
    ছত্তিসগড় পুলিশ এসপি অঙ্কিত গর্গ সনি সরি নামক এক আদিবাসী মহিলার যৌনাঙ্গে ইলেক্টিক শক দিয়েছিল এবং তার মল্পদ্বারে পাথর গুঁজে দিয়েছিল। আরও অনেক যৌন অত্যাচার করেছিল সেগুলো নাহয় বাদ দিলাম। এবার অনুভুতি জন্মেছে? জন্মায় নি। স্বাভাবিক। সেই রাগ, ঘৃণা, ফাঁসি চাওয়া, রাস্তায় প্রকাশ্যে গুলি করে মেরে দেওয়া ওসব দাবি দাওয়ার চিন্তাভাবনা তো আসেইনি বরং এই আদিবাসী মেয়েদের ওপরেই সন্দেহ তৈরি হয়েছে তো? "আদিবাসী মানেই তো মাওবাদী। ঠিকই করেছে। এদের সাথে এইরকমই করা উচিৎ" - এই ধরনের চিন্তা ভাবনা আসছে তো? চাপ নেই। আপনি একদম সুস্থ।
    আমি ভুলভাল বকছি নাকি? যাহ! এইতো গত বছর জুলাই মাসে যখন কাশ্মীরের ইনশা মালিক নামক ১৪ বছরের বাচ্চা মেয়েকে পেলেট বন্দুক দিয়ে মেরে খুলি ফাটিয়ে দুচোখ অন্ধ করে দিল ভারতীয় সেনাবাহিনী তখন তো ভারতীয় জনগনের বড় অংশ বেশ খুশি ছিল। তাঁদের মতে, "তো কি হয়েছে মেয়েটা নিজের বাড়ির দোতালার জানলা দিয়ে শুধুই দেখছিল, কোনরকম পাথর ছোঁড়ে নি? কাশ্মিরি মেয়ে তো। ওগুলো হবেই। পাথর ছুঁড়লে তো রাস্তায় ফেলে গন ধর্ষণ করে পেটে রড ঢুকিয়ে নাড়িভুঁড়ি বের দেওয়া উচিৎ"।
    মোদ্দা কথা, সেনাবাহিনী ধর্ষণ, টর্চার বা ওই ধরনের কোনকিছু করলে সেটা নিয়ে সহানুভুতি তো দুরের কথা বরং সেটাকে দেশপ্রেমের কাজ হিসেবে বিবেচ্চ্য করা হবে। এবং সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কোন মেয়ে টুঁ শব্দ করলেই প্রথমে রেপ থ্রেট নাহলে সজাসুজি রেপ।
    আচ্ছা দাঙ্গায় গনধর্ষণ অনুভুতি জাগাতে পারে কি? যেমন উত্তরপ্রদেশের জনপ্রতিনিধি বিজেপির সঙ্গীত সোম পাকিস্তানের একটা ভুয়া ভীডিও ছড়িয়ে ৪ বছর আগে মুজাফফর নগরে দাঙ্গা করিয়েছিল যেখানে ৬ জন মুসলিম মহিলাকে গন ধর্ষণ করে দাঙ্গাকারিরা। কি অনুভুতি জাগল? নাকি দাঙ্গা ফাঙ্গা ছোটখাটো জিনিস, সেখানে গন ধর্ষণ হবেই, স্বাভাবিক ব্যাপার। এতে রাগার কি আছে?
    এতো কিছুতে যখন অনুভুতি জাগে নি তখন আর ম্যারিটাল রেপ-এর মত ফালতু জিনিস নিয়ে অনুভুতি তো দূর থাক বরং "ম্যারিটাল রেপ" সংজ্ঞা নিয়েই সন্দেহ জেগে যাবে! একজন স্বামী নিজের বাড়িতে রাতের বেলা রুমের ভেতরে ৫ মিনিটের জন্য সেক্স করলে সেটা আবার রেপ হয় নাকি? রেপ হবে সবাই মিলে রাস্তায় ফেলে নৃশংস ভাবে কাউকে রেপ করছে, রক্ত টক্ত বেরিয়ে গেছে, আরেকটু হলেই মরে যাবে মেয়েটা, এই ধরনের। মানে একটা পাশবিক ব্যাপার না থাকলে রেপ জমে না, তাই না? যেমন কয়েক মাসের বাচ্চা মেয়েকে রেপ করল। এইধরনের খবর নাহলে ঠিক অনুভুতি জন্মায় না। আর এইধরনের খবর তো আর রোজ শোনা যায় না, ৩-৪ বছরে এক আধবার। তাই ওই ৩-৪ বছরে একআধবার ফেসবুকে নিজের প্রতিবাদ জানিয়ে ফাঁসির রায় শোনা অব্দি অপেক্ষা করে সেলিব্রেশন করা হবে। ঠিকই আছে। দিল্লিতেই রোজ ৬টা করে ধর্ষণ হয়। কত আর প্রতিবাদ করা যায় বলুন?
  • pi | 57.29.226.11 | ০৭ মে ২০১৭ ১২:৩৫365943
  • আচ্ছা, বিলকিস বানোর কেসে শাস্তি ধর্ষণের জন্য নাকি অতগুলো খুনের জন্যেও ? কোনটার জন্য কে শাস্তি পেয়েছেন জানা যাবে ?
  • সিকি | ০৭ মে ২০১৭ ১৫:০৫365944
  • রায়া -

    আমি মৃত্যুদণ্ডের বিপক্ষে। আমি ধর্ষণের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের আরো একটু বেশি বিপক্ষে। কেন মৃত্যুদণ্ডের বিপক্ষে, কেন রাষ্ট্রের হাতে খুনের ক্ষমতা থাকতে পারে না, কেন বিষয়টা অনেক বেশী মৌলিক, সেসব আলোচনা আজ থাক। আজ বরং মেনেই নি এদেশে অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। আজ বরং কথা বলা যাক বলা যাক ধর্ষণের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড কেন সমস্যার, কেন এক্ষেত্রে বিরোধিতা একটু বেশি জরুরী

    সম্প্রতি জ্যোতির চার ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড বহালের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে চার পাশে বেশ উচ্ছাস দেখতে টেখতে পাচ্ছি-

    সেই উচ্ছাসের ফাঁকে যদি খানিকটা সময় হয়, তাহলে কটা কথা বলার ছিলো, পারলে একটু পড়ে দেখবেন।

    ১) দিল্লির রাজপথে জ্যোতিকে যেভাবে ধর্ষণ করা হয়েছিলো, যেভাবে তার উপর পৈশাচিক অত্যাচার চালানো হয়েছিলো তারপর অপরাধীদের জন্য কোনও ঘেন্নাই যথেষ্ট নয়। অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। বেশ। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধের শাস্তি ফাঁসি বা মৃত্যুদণ্ড। জ্যোতির ঘটনা অত্যন্ত নৃশংস , সন্দেহ নেই , বিরল কি? যে মুহূর্তে জ্যোতির ঘটনা আমরা সেই বিরলের মধ্যেও বিরলতম ধরে নিচ্ছি, অর্থাৎ যে অপরাধ ঘটেনা বললেই চলে বলে মেনে নিচ্ছি সে মুহূর্তে কিন্তু এক লহমায় অস্বীকার করছি এই দেশে প্রতি ঘণ্টায় ঘটে যাওয়া অজস্র এই ধরণের ঘটনাকেও। অস্বীকার করছি কলকাতার খালে ভাসা ফুটপাথের সেই ছোট্ট মেয়েটার লাশটাকে, অস্বীকার করছি মনোরমাকে, কুনানপ্রদেশকে, তিন বছরের শিশুর রক্তাক্ত ক্ষত বিক্ষত যোনীকে, অস্বীকার করবো সেই আদিবাসী মেয়েটাকে যাকে দিনে রাতে সেনা জওয়ান 'ভোগ ' করে, মাঝে মাঝে কোনও উন্মত্ত অতি বিপ্লবীও। অস্বীকার করবো অনিতা দেওয়ানের যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে দেওয়া টর্চকে, ছোট, মেজো, বড় দাঙ্গায় ক্ষমতার আস্ফালনের প্রকাশ মাধ্যম হয়ে ওঠা হাজার হাজার শরীরকে। তাপসী মালিক, নন্দীগ্রাম, কামদুনি, সুজেট অস্বীকার করবো সবাইকে, সব কিছুকেই। অস্বীকার করবো বিলকিস, আদতে জ্যোতিকেও। এই রায়কে স্বীকৃতি দেওয়ার অর্থ, এই ধরণের আরও অন্তত লাখ খানেক ঘটনাকে জাস্ট 'মিথ্যে' বলে ধরে নেওয়া। আরও কোটি অপরাধীকে, অপরাধ প্রবণতাকে, অপরাধী মনকে আড়াল করা।এর দায় ঠিক কে কে নিতে প্রস্তুত?

    ২) ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড মানে তাকে পরিকল্পিত খুন, হত্যা, প্রাণনাশ বা জেনোসাইডের সমকক্ষ অথবা ক্ষেত্র বিশেষে তার থেকে বেশি হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া। খুন মানে মৃত্যু। একটা জীবন মুহূ্র্তে শেষ। তারপরে আর কিছু থাকেনা। কিন্তু ধর্ষণের অর্থ একজন মানুষের জীবন শেষ হয়ে যাওয়া নয়। শেষ হয়ে যেতে পারে না। আর কবে এই সহজ সত্যিটা বুঝবো আমরা? আর কবে এই ভীষণ পিতৃতান্ত্রিক ভাবনা ছেড়ে বেরবো?

    ৩) খুব বেশী নয়। ১৯৮০ থেকে ২০১৭ , এই ৩৭ বছরের সীমাটুকুই যদি ধরি তাহলে আমাদের জন্মের আগে ১৯৮৪ জন্মের পরে ১৯৯২, ২০০২, ২০১৩ সালে চারটে ভয়াবহ দাঙ্গা হয়েছে। অন্য রোজ ঘটে যাওয়া, দাঙ্গা গুলো বাদ দিলাম। বাদ দিলাম কাশ্মীর, মণিপুর, বাস্তার সহ বিভিন্ন 'উপদ্রুত' অঞ্চলের ধর্ষণের রোজনামচাকেও। এবার ওই চারটি দাঙ্গায় ঠিক কীভাবে কত শত মেয়ে (অনেক পুরুষকেও) ধর্ষিত হয়েছে, তাদের উপর কী পরিমাণ অকথ্য অত্যচার হয়েছে তার বোধহয় ১০% মাত্র খবরে ঠাঁই পেয়েছে, মোদ্দাকথা আমরা আসল হিসাবটা আসলে জানিও না। তা এই সবকটা দাঙ্গাতেই যারা মাস্টার মাইন্ড হিসাবে কাজ করেছে, যারা এই সমস্ত দাঙ্গা এবং তার সমস্ত নৃশংসতা সংগঠিত করেছে, এবং মোক্ষম সময়ে সাক্ষী, বয়ান 'বদলের' দৌলতে যথাযথ প্রমাণের অভাবে ছাড় পেয়েছে। শুধু তাই নয়, এরা প্রত্যেকেই কোনও না কোনও সময়ে রাষ্ট্র যন্ত্রের প্রতিনিধিত্ব করেছে অথবা এখনও করছে। তা সে জগদীশ টাইটলার হোক বা অমিত শাহ বা সর্বোপরি আমাদের 'মিত্রোঁ' বাবু। এই নিয়মের অন্যথা নেই। জনসভায় এই রাষ্ট্র ব্যবস্থার একজন এমপি, (আক্ষরিক অর্থে যিনি নিজেও একজন ল'মেকার বা আইন প্রণয়নকারী) বাড়িতে ছেলে ঢুকিয়ে রেপের হুমকি দেয়, সেই রাষ্ট্র কী করে অন্য ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিতে পারে? এর থেকে বড় দ্বিচারিতা আর কীই বা হতে পারে? যদি ধরেওনি প্রাণদণ্ড মুকেশদের ক্ষেত্রে জায়েজ, তাহলে কেন বাদ পড়ে যায় যারা ক্ষমতার শীর্ষে থেকে যারা প্রতি মুহূর্তে ধর্ষণ, খুন, যৌন অত্যাচার সংগঠিত করছে, তারা? তারা যখন অন্যদের ফাঁসির বিধানের পথ প্রশস্ত করে, আসলে তারা তার আড়ালে নিজেদের অপরাধকে নাল হিসাবে প্রমাণের কুচেষ্টায় আরও একটু অগ্রসর হয়। তাদের জন্যও কেনো ফাঁসির উপকারিতা নিয়ে ফেসবুকে রচনা লেখা হয় না? কেনো পৈশাচিক উল্লাসে মাতা হয় না?

    ৪) বেশি দূর নয়। কাল থেকেই এই ফেসবুকে যা যা চলছে খানিক চোখ বুলিয়ে আসুন। দেখতে পাবেন কেউ ফাঁসির বিরোধিতা করা মানেই উলটে শুনতে হচ্ছে 'নিজে ধর্ষিত হোক বা তোমার বাড়ির লোক ধর্ষিত হোক তারপরে বুঝবে'। মত না মিললেই যারা অন্যের জন্য ধর্ষণ কামনা করতে পারেন, যারা মনে করতে পারেন 'শিক্ষা' দেওয়ার জন্য 'কথা বোঝানোর জন্য অন্য কাউকে ধর্ষণ করা যেতেই পারে তাদের সঙ্গে রাম সিং বা মুকেশ সিংদের আসলে মূলগত পার্থক্যটা ঠিক কোথায়? তাদের এই ভাবনার মৃত্যু কী চারজনের মৃত্যুর সঙ্গেই ঘটবে। মুকেশ সিংও কিন্তু বলেছিলো জ্যোতিকে তারা 'শিক্ষা' দিতে চেয়েছিল...

    রোজ আপনার ইনবক্সের আদার ফোল্ডারে কোন ধরণের মেসেজ জমে? রোজ কোনও ডিসকোর্সে গেলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঠিক কতবার আপনাকে, আপনার মাকে, দিদিকে, বন্ধুবান্ধব সব্বাইকে রেপ করার, চুদে দেওয়ার, ঠাপ দেওয়ার হুমকি শুনতে হয়? হিসেব করেছেন? করেননি, কারণ বিষয়টা আসলে অগণিতবার আমি, আপনি, আমরা প্রত্যেকে ফেস করেছি। আর করেই যাচ্ছি। এই ধর্ষকাম ভাবনা বন্ধের জন্য কোন ফাঁসির দড়িতে মোম মাখাচ্ছি আমরা? খেলার মাঠে যে কোনও ভাল পারফর্মেন্সকে বা জেতাকে যখন ধর্ষণের সঙ্গে তুলনা করে নেচে ওঠা হয় কোথায় যায় আমাদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি, ঠিক কী ভাবে শুধুমাত্র চারটে লোকের মৃত্যুকে 'সেলিব্রেট' করে এই ভাবনার বদলানো যায়? রাতে বিছানায় বউকে ধর্ষণ করে যে 'বীরপুরুষ' সকালে জ্যোতির অপরাধীদের শাস্তির খবরে নেচে ওঠে, তার ধর্ষণলিপ্সা এই চারজনের মৃত্যু আটকাতে পারবেতো? মুকেশদের ফাঁসি বহাল থাকবেই এত মোটামুটি বোঝাই গিয়েছিলো, সেই শাস্তির কথা শুনে ২০১২ সালের পর থেকে এই পাঁচবছরে কী ধর্ষণ এবং একই ধরণের যৌন অত্যাচার একটাও কমেছে? পিতৃতন্ত্র, মিসোজিনিকে প্রতি পদক্ষেপে শক্তিশালী করে, ধর্ষকামী সমাজের গোড়ায় জল সিঞ্চন করে একটা ঘটনাকে বিক্ষিপ্ত বলে চারটে লোককে লটকে দেওয়ার অর্থ আসল সমস্যাকে ইচ্ছাকরে আড়াল করার কদর্য কৌশল।

    মুকেশ সিংদের প্রতি বিন্দুমাত্র সহানুভূতি নেই। এই চারজনের মৃত্যু যদি ধর্ষণ সংস্কৃতি মুছে ফেলতে পারতো, এই প্রশ্নগুলোর জবাব দিতে পারতো, তাহলে তাদের মৃত্যুকেও স্বাগত জানাতাম হয়ত।

    কিন্তু, সবটুকু বজায় রেখে এই চারজনের মৃত্যুকে ঘিরে উচ্ছ্বাস এমনকি ফাঁসির 'লাইভ টেলিকাস্ট' দেখার পৈশাচিক দাবিগুলো দেখে ঘেন্না হচ্ছে। ঘেন্না হচ্ছে এই হিপোক্রিসিতে নিমজ্জিত রিয়্যাকশনগুলো দেখে। হতাশ লাগছে, অসহায়ও। মুকেশদের ফাঁসির দিন হয়ত দেশের কোনও প্রান্তে আরও এক জ্যোতি একইভাবে ধর্ষিত হবে, খুন হবে। আমরা তখনও এই চারজনের মৃত্যুর উল্লাস বগলদাবা করে আনন্দের জাবর কাটবো, আর এদেশের গভীরে আরও একটু শিকড় বিস্তার করবে ধর্ষণ সংস্কৃতি।
  • সিকি | ০৭ মে ২০১৭ ১৫:১৫365945
  • সায়ন্তন সেন -

    ফাঁসি দিলেই রেপ থেমে যাবে না-- কথা কেবল এটুকুই নয়। যৌনাঙ্গ কেটে নিলে, বা যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিলেও রেপ কমবে না। বস্তুত, শাস্তির ভয়ে অপরাধ কমে গেছে-- ইতিহাসে এ দৃষ্টান্ত বিরল। তাই বলে শাস্তি দেওয়া হবে না এমন তো নয়। শাস্তি থাকবে। যদি অপরাধ থাকে। প্রশ্নটা শাস্তির তো বটেই। কিন্তু, প্রশ্নটা আরও বেশি করে কে শাস্তি দিচ্ছে, শাস্তি দেওয়ার অধিকার কার, কারা এই শাস্তিকে সমর্থন করছে, কারা দূর থেকে শাস্তিটিকে দেখছে-- তার। সুতরাং, প্রশ্নটা রাজনৈতিক।

    পর্ব এক

    ফাঁসির সমর্থনে থাকা অসংখ্য মানুষ-- যাঁরা চান এখনই মেরে ফেলা হোক ঐ নির্দিষ্ট চারজনকে, তাঁরা অনেকেই আসলে চান নিজেদেরই অজান্তে নিজেদের কাঁধ থেকে দায় সরিয়ে দিতে। তাঁরা জানেন, এই রেপটা, বা আরও অসংখ্য রেপ, প্রতিদিন-- তাঁরাও করছেন। জানেন, যখন বলা হয়, মেয়েদের মুখে আবার বড়ো বড়ো কথা কী, যখন বলা হয়, মেয়ে হয়ে রান্না জানে না, যখন বলা হয় রুমালের সাইজের পোশাক, যখন বলা হয়, চরিত্রই নেই যার তার আবার ধর্ষণ কীসের, যখন আড় চোখে চেখে নেওয়া হয় অটো বা বাসের সহযাত্রীটিকে, যখন নিশ্চিন্তে কনুই চালিয়ে দেওয়া হয় আলতো-- তখন, জানেন তাঁরা, আসলে তাঁরা সকলে অপরাধী। তাঁরা জানেন, এই অপরাধের ভার তাঁদের বইতে হবে কেননা দিলীপ ঘোষকে ফাঁসি দেওয়া তো দূরের কথা, ন্যূনতম শাস্তি দেওয়া হবে না। তাঁরা জানেন, শাস্তি দেওয়া হবে না যোগী আদিত্যনাথকেও। তাঁরা জানেন, প্রতিদিনের শেষে তাঁদের একবারও দাঁড়াতে হবে না কয়েদি পোশাক পরে। একটা ঝুলন্ত দড়ির সামনে। তাঁরা মানে কোনো তৃতীয় পক্ষ না। আমিও আছি এই 'তাঁরা'-র মধ্যে। এই আমরা, আমরা সবাই জানি, যেদিন উত্পাদনের যন্ত্রে প্রতিষ্ঠিত হলো পুরুষের মালিকানা, সেইদিন থেকে-- সেই লাঙল আবিষ্কারের সময় থেকেই আমরা সক্কলে মিলে এই প্রতিটা ধর্ষণকে প্রতিদিন ঘটিয়ে তুলেছি। ঘটতে দিয়েছি। ঐ চারটি ছেলের মুখ-- যাদের জন্য আমি অ বি চ্যু য়া রি লিখছি না, আই রিপিট, যাদের জন্য আমি অ বি চ্যু য়া রি লিখছি না, যারা ভয়ঙ্কর অপরাধী, যে অপরাধের সাথে আর কোনো কিছুর তুলনা হয় না, তেমন ভয়াবহ, ভয়ঙ্কর, হিংস্র অপরাধের অপরাধী যারা-- তাদের মুখ আমরা আয়নায় দেখিনি কখনো?

    যুক্তি এটাও নয় যে উপমহাদেশে অসংখ্য ভিক্টিম বিচার পান না। যুক্তি হলো, আমরা চারটে মুখ পেয়ে গেছি, যারা আমাদের বাঁচিয়ে দেবে। যারা মরে গেলে, যখন মরে যাবে তারা, যখন ফাঁসের দড়িটা একটু-একটু করে এঁটে বসবে গলায়, যখন আস্তে আস্তে দম বন্ধ হয়ে আসবে, চোখটা অল্প লাল হবে আর বেরিয়ে আসতে থাকবে ঠিকরে, সেই মুহূর্গুলোতে আমরা একটু একটু করে হাত ধুয়ে ফেলবো। পরম আহ্লাদে। "কে করেছিল?"-- কেউ জানতে চাইলেই নিখুঁত আঙুল তুলবো-- "ঐ তো, ঐ চারজন"। তাতে বেশ ঝেড়ে ফেলা যাবে সব। ঝটপট।

    পর্ব দুই

    প্রশ্ন আরও জটিল। কেবল শাস্তি দেওয়া দরকার তাই নিয়ে ভাবলে অনেকগুলো সমস্যা থেকে যায়। কে শাস্তি দিচ্ছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। যদি আমি শাস্তির সাথে সহমত পোষন করি তবুও গুরুত্বপূর্ণ। গুরুত্বপূর্ণ, কেননা, শাস্তিদাতা নিজেই যদি অপরাধী হয়, তাহলে অপরাধের মূলবিন্দুতে পৌঁছনোর পথে তৈরি করে দেওয়া যায় আশ্চর্য আলেয়া। ইল্যুসন। আর তাতে অপরাধ বাড়তে থাকে। শাস্তিও বাড়তে থাকে। কেবল আবছা হতে থাকে অপরাধীর মুখ। তাই না? ভেবে দেখুন, একজন লোক দশজন লোকের হাতে একটা রাইফেল তুলে দিয়ে বললো, যাও ঐ লোকটাকে খুন করে এসো। যারা রাইফেল চালিয়ে খুন করলো তারা ভয়ানক অপরাধী। আপনি তাদের দেখতে পেলেন। বললেন, তাদের ফাঁসি চান। রাগে। ক্ষোভে। যন্ত্রণায়। কিন্তু যদি সেই লোকটি ফাঁসি দেওয়ার একমাত্র অধিকারী হয়, যে তাদের হাতে রাইফেল তুলে দিয়েছিল? তাহলে? আপনি শাস্তির সমর্থক কিনা সেটাই কেবল কথা না, আপনি রাষ্ট্রের শাস্তি দেওয়ার অধিকারের সমর্থক কিনা-- কথা সেটাও। যারা জে এন ইউ-এর ক্যাম্পাসে পরিত্যক্ত নিরোধ খোঁজে, যারা মনে করে মুসলমান মহিলাদের কবর থেকে তুলে ধর্ষণ করা উচিত, গুজরাতে যারা শতশত ধর্ষণের প্রত্যক্ষ পরিকল্পক, যারা বলে মেয়েদের স্বাধীনতা নয়, চাই নিরাপত্তা-- একটা মেশিনারি হিসেবে-- সেই রাষ্ট্রকে, যে রাষ্ট্রের জন্মের ইতিহাসের সাথেই অপরাধের প্রশ্নটি জড়িত, আপনি শাস্তি দেওয়ার অধিকারী মনে করেন কিনা কথা সেটাও।

    হ্যাঁ, কথাটা কেবল ফাঁসি/ মৃত্যুদন্ডের ক্ষেত্রেই উঠছে-- ফাঁসিই সেই শাস্তি যাতে অপরাধীকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া যায়।

    ফাঁসিই সেই শাস্তি যাতে অপরাধীর হাত থেকে রক্ত মুছে ফেলা যায় নিপুন কৌশলে।

    ফাঁসিই সেই শাস্তি যাতে চোরা রাস্তায় অপরাধীকে নিঁখুত ভাবে আড়াল করে দেওয়া যায়। আরেকবার।
  • সিকি | ০৭ মে ২০১৭ ১৫:১৭365946
  • দেবশ্রী মিত্র -

    ধরুন আপনি আর্থ-সামাজিক শ্রেণি হিসেবে সমগ্র দেশের নিরিখে মধ্য-নিম্নতম ভাগে অবস্থান করেন। ধরুন আপনার রাজ্যে দাঙ্গা বেধেছে, আপনারা পরিবারের সবাই, ষোলো আঠেরো জন, পালাচ্ছেন গ্রাম ছেড়ে। প্রাণভয়ে, অবশ্যই। কিন্তু শেষরক্ষা হয় না। দাঙ্গাবাজরা আক্রমণ করে আপনাদের। আপনার পরিবারের চোদ্দ জন সদস্যকে খুন করে তারা, তার মধ্যে আপনার তিন বছরের কন্যাসন্তান ছিল, তাকে খুন করা হয় পাথরে আছড়ে মেরে। আপনার স্ত্রী এবং পরিবারের অন্যান্য মহিলা সদস্যাদের তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় এবং পরে তাদের মেরে ফেলা হয়। অন্তত ধর্ষকরা তাই ভেবে ফেলে রেখে যায় তাঁদের।
    পরে যখন আপনি তাঁদের খুঁজে পান, দেখেন যে আপনার পাঁচ মাসের অন্ত্বসত্তা স্ত্রী জীবিত আছেন গণধর্ষণের পরেও। আপনি কি করবেন? স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে যাবেন? হ্যাঁ তা যেতে পারেন, যদি আপনি ভারতীয় পুরুষতান্ত্রিক সমাজের মানদণ্ডে মোটামুটি ভালো লোক হন, বাড়ি নিয়ে যাবেন, নিজে সবকিছু ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করবেন এবং স্ত্রীকে সবকিছু ভুলে যাওয়ার পরামর্শ দেবেন।

    যদি আরেকটু বেশি ভালো লোক হন? একটু বেশি সাহস থাকে প্রাণে? স্ত্রীকে থানায় নিয়ে যাবেন এবং এফআইআর করবেন। পুলিশ আপনাদের তাড়িয়ে দেবে কারণ রাজ্যে তখন সরকারী মদতে আপনার এবং আপনাদের নিধনযজ্ঞ চলছে এবং এই পরিস্থিতিতে পুলিশের আপনার অভিযোগ না নেওয়াই স্বাভাবিক। আপনি কি করবেন? আরেকটু সাহস করে আরেকটি থানায় যাবেন? সেখান থেকে আরেকটিতে? অবশেষে কোন এক থানার কোন এক অফিসার, যে লোক মন্দ না, আপনার অভিযোগ নেবে এবং আপনাদের হসপিট্যালে পাঠাবে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য। মেডিক্যাল টেস্ট করতে হয় ধর্ষণের চব্বিশ বা বড়জোর আটচল্লিশ ঘন্টার মধ্যে, সুতরাং আপনার মৃত সন্তানের লাশ তখনো দাফন হয়নি, মেডিক্যাল অফিসার যখন আপনার স্ত্রীর টেস্ট করতে অস্বীকার করছেন এবং ভয় দেখাচ্ছেন যে টেস্টের নামে আপনার স্ত্রীকে বিষ ইঞ্জেকশান দিয়ে দেওয়া হবে, আর আপনি আপনার স্ত্রীকে নিয়ে এক ডাক্তার থেকে আরেক ডাক্তারের দরজায় হত্যে দিচ্ছেন, আপনার মাথায় আছে চব্বিশ ঘন্টার ডেডলাইন, সন্তানের বা পরিবারের অন্যান্যদের পচতে থাকা লাশ নয়!

    আপনি মশাই একটু বেশিই সাহসী এবং সহানুভূতিসম্পন্ন ভারতীয় পুরুষদের তুলনায়। মেরুদণ্ড একটু বেশিই শক্ত আপনার। নাহলে ধর্ষিতা স্ত্রীকে নিয়ে শুধু সংসার করা না, কি করেন নি আপনি। পনেরো বছর ধরে আপনার কেস লড়েছে সিবিআই। অপরাধীরা প্রভাব বিস্তার করতে পারে, এই ভিত্তিতে কেস স্থানান্তরিত করা হয়েছে মুম্বইতে। আপনারা দাঁতে দাঁত চেপে লড়েছেন সমান তালে। যার নেতৃত্বে আপনাদের এই দুর্দশা, তিনি এখন সারা দেশের রাজা। তার বিরুদ্ধে বলার সাহস নেই তাবড় তাবড় লোকের। কিন্তু আপনারা ভয় পান নি। শেষ পর্যন্ত মুম্বই হাই কোর্ট রায় শুনিয়েছে এই সপ্তাহে: অপরাধীদের যাবজ্জীবন। যে পুলিশ অফিসারেরা এফআইআর নিতে চায় নি বা যে মেডিক্যাল অফিসাররা টেস্ট করতে চায় নি, তাদেরও যথাযথ সাজা হয়েছে।
    আপনার স্ত্রী, বিলকিস বানো, বলেছেন, এই রায়ে তিনি খুশি। নারী হিসেবে, স্ত্রী হিসেবে, মা হিসেবে যে অপমান আর অত্যাচার তাঁকে সইতে হয়েছিলো, তার যথাযথ বিধান করায় দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর তাঁর বিশ্বাস পুনঃস্থাপিত হয়েছে এবং এই রায়ের পর তিনি এবং তাঁর পরিবারের সবাই নতুন করে জীবন শুরু করতে পারবেন।

    আপনার কথা আলাদা করে কেউ বলেনি, ইয়াকুব রসুল। অবশ্যই আপনি বিলকিস বানোর পরিবারের অন্যতম প্রধান অংশ। কিন্তু আমি আপনার কথা আলাদা করে বলছি। এই পোড়া দেশে যেখানে শতকরা নিরানব্বই জন পুরুষ, শিক্ষিত অশিক্ষিত নির্বিশেষে বিশ্বাস করেন যে নারীর সম্ভ্রম থাকে তার যোনিতে, আপনি সেই ভয়ংকর পুরুষতান্ত্রিক মিথকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে এক উনিশ বছরের সন্তান হারা গণধর্ষিতাকে শুধুই সেই দৃষ্টিতে দেখেছেন যা দেখা উচিত, আপনার অর্ধাঙ্গিনী। তাঁর এই লড়াইতে যোগ্য সঙ্গীর ভূমিকা পালন করেছেন আপনি। আরও দুটি সন্তান হয়েছে আপনাদের এই ঘটনার পরে। আপনি যে অনায়াস দক্ষতায় তিন সন্তানের পিতা এবং বিলকিসের সৌহরের ভূমিকা পালন করেছেন, কোন প্রশংসাই তার জন্য যথেষ্ট নয়।

    ধর্ষকরা তো থাকবেই যুগে যুগে, বিলকিসরাও থাকবে তাদের সংহার করার জন্য। কিন্তু আপনার মত মানুষের বড় অভাব এই পোড়া দেশে।

    আপনার মত পুরুষ এদেশে ঘরে ঘরে জন্মাক, ইয়াকুব রসুল।
  • pi | 57.29.252.200 | ০৭ মে ২০১৭ ১৯:১৯365947
  • 'ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড মানে তাকে পরিকল্পিত খুন, হত্যা, প্রাণনাশ বা জেনোসাইডের সমকক্ষ অথবা ক্ষেত্র বিশেষে তার থেকে বেশি হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া।'

    এটা বললে এই কেসে কিন্তু একটু গণ্ডগোলের ব্যাপার হয়ে যাবে। এখানে ধর্ষণের সাথে মার্ডারও হয়েছে। আর চার্জে মার্ডারও আছে। বিরল বীভৎসতা শুধু ধর্ষণ নয়, ওভাবে অত্যাচার বা গাড়ি চালিয়ে শেষ করে দিতে চাওয়া, এসব কিছু নিয়েই বলা হয়েছে।

    If the dreadfulness displayed by the accused in committing the gang-rape, 427 unnatural sex, insertion of iron rod in the private parts of the victim does not fall in the ‘rarest of rare category’, then one may wonder what else would fall in that category.....

    Supreme Court said, "Taking the serious injuries, the severe nature of offence committed by the convicts, we are upholding the sentence

    বিরলের মধ্যে বিরলতম কেসে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যায় কিনা, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারি, তর্ক করতে পারি, কিন্তু এই বীভৎসতা বিরলই। সোনি সোরির সাথে হওয়া অত্যাচারও। বিলকিস বানোর কেসেও। আর সেটা আরো বেশি মনে হয় ঐ চোদ্দজনকে খুনের ঘটনায়। বিরল, কারণ যে বিশাল সংখ্যক অপরাধ হয়, তার নিরিখে শতাংশের হিসেবে।

    নির্ভয়ার কেস বা বিলকিস বানোর পরিবারের লোকেদের ক্ষেত্রে খুনের কথা কেন আসছেই না, কেবল ধর্ষণ কেন, এটাও খুব আপত্তিকর মনে হচ্ছে। প্রাণ যাওয়ার চেয়েও মেয়েদের সম্মান নষ্ট হওয়াটা বেশি চিন্তার ব্যাপার ?

    তবে যেহেতু জ্যোতির শেষ ইচ্ছা ছিল , মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হোক, তাই সে ইচ্ছাকে সম্মান জানাতে এই রায় দিলে কিছু বলব না। কিন্তু ফাঁসি দেওয়া নিয়ে মানুষের উল্লাস উৎসব নিয়ে বলব। এই উল্লাসটাও পৈশাচিক , অমানবিক ঠেকছে।
  • সিকি | ০৭ মে ২০১৭ ২০:০৮365948
  • বিলকিস মারা যান নি বলেই হয় তো তাঁর শেষ ইচ্ছে কিছু হয় নি, তাই শুধু জ্যোতির শেষ ইচ্ছেকে সম্মান জানানোই প্রধান হয়ে উঠছে।

    মানে, বিচারপ্রক্রিয়ার থেকেও শেষ ইচ্ছাকে সম্মান জানানোর প্রক্রিয়াটা কী করে এত বেশি প্রধান হয়ে উঠছে, সেটাতেই আমার একটু অস্বস্তি হচ্ছে। উল্লাসে তো অস্বস্তি হচ্ছেই। এই জল্লাদের উল্লাসমঞ্চ আমার দেশ নয় ইত্যাদি।

    মৃত্যুর ঘোষণায় উল্লাস আমার বিবেকে আঘাত হানে। সে যত ঘৃণ্য অপরাধী বা সন্ত্রাসবাদীই হোক না কেন, সমবেত এই উল্লাস আমাকে মনে করিয়ে দেয় সেই অ্যাম্ফিথিয়েটারের দিনগুলির কথা। বন্দীদের লড়িয়ে দেওয়া হত ক্ষুধার্ত হিংস্র পশুর সামনে। বন্দী কারা হত? অপরাধীরা অবশ্যই। তখন অপরাধের সংজ্ঞা আলাদা ছিল, আজ আলাদা। কিন্তু সেদিন স্টেডিয়ামে আপামর নাগরিক স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করত মৃত্যুদৃশ্য, উল্লাসে ফেটে পড়ত, সেই সময়ের থেকে এতটুকুও কি এগিয়েছি আমরা?
  • dc | 132.174.177.177 | ০৭ মে ২০১৭ ২২:০৩365949
  • শেষ ইচ্ছাকে সম্মান জানানোর জন্য মৃত্যুদন্ড দেওয়া, এতে আমারও একটু অস্বস্তি হচ্ছে। বিচার হওয়া উচিত সব রকম ইনফ্লুয়েন্স মুক্ত হয়ে, এমনকি ভিক্টিম এর ইচ্ছেও সেখানে প্রাধান্য পাওয়া উচিত না, শুধুমাত্র কি অপরাধ করা হয়েছে আর তার কি শাস্তি দেওয়া উচিত সেটাই কনসিডার করা উচিত। এক্ষেত্রে ধর্ষন, খুন আর অত্যাচার - এই তিনটে অপরাধের শাস্তি দেওয়ার কথা।
  • amit | 149.218.47.128 | ০৮ মে ২০১৭ ০১:৩৭365950
  • কিন্তু SC - এর রায়ে কোথায় বলা আছে শেষ ইচ্ছে কে সম্মান জানানোর জন্য মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হচ্ছে ? এক্ষেত্রে ধর্ষণ, খুন এর বিরুদ্ধে রায় দেওয়া হয়েছে বর্তমান আইন অনুসারে। এটাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম ধরা হয়েছে, সেটা আদালতের অধিকার।

    এবার খুনের ক্ষেত্রে ডেথ পেনাল্টি থাকা উচিত কি না, সেটা নিয়ে তর্ক হতে পারে, কিন্তু বর্তমান আইন কে এড়ানো যায় কি ? আর বহু অন্যায়ের ক্ষেত্রে ফাঁসি হয়নি বলে সব ক্ষেত্রে ছেড়ে দিতে হবে সেটা কোন যুক্তি ? এতো ডাকাত ধরা যায়নি বলে চোরকে ছেড়ে দেওয়া হোক এর মতো কথা। আর ফাঁসি হলেই কাল থেকে ধর্ষণ হবে না, কোনো মূর্খ সে দাবি করে বলে তো মনে হয়না, কিন্তু একটার ফাঁসি হলে হয়তো দস্তার বদলে দুটো অপরাধ হতে পারে, সেই এত জন যে বেঁচে গেলো, সেটাই লাভ। এখন সত্যি দোস্ত অপরাধ হতে পারতো কিনা, সেই হিসেব চাইলে নেই আমার কাছে।
    ফাঁসি হলে ধর্ষণ কমে না, সেটা যারা দাবি করেন, তারা ঠিক কি ভাবে অপরাধ কমানোর কথা ভাবেন ? ফাঁসি না দিলে কোথাও ধর্ষণ কমেছে, তার কোনো স্ট্যাটিসটিক্স আছে কি ? অন্য কোনো ভাবে অপরাধ কমানো যাবে তার প্রস্তাব দেওয়া হোক। প্রস্তাব এলেও বর্তমান আইন যত দিন না রিপ্লেস হচ্ছে, ততদিন সেটা মেনেই চলতে হবে।
  • amit | 149.218.47.128 | ০৮ মে ২০১৭ ০১:৩৮365951
  • দোস্ত নয়, দশটা।
  • T | 165.69.191.255 | ০৮ মে ২০১৭ ০৭:২৮365953
  • আরে বর্তমান আইনকে কে এড়াচ্ছে? আইন না মেনেই বা কে চলতে বলছে? বর্তমান আইন যা আছে সেই অনুযায়ী বিরলতম অপরাধের জন্য ফাঁসি হচ্চে। কিন্তু এই আলোচনাটা তো মৃত্যুদন্ডের যৌক্তিকতা নিয়ে হচ্ছে।
  • amit | 213.0.3.2 | ০৮ মে ২০১৭ ১০:৪৬365954
  • টোয়ি এর হেডিং পড়ে আমি তো অন্য ভাবলুম। যে মৃত্যুদণ্ড নিয়ে মূল আপত্তিটা নয় , আপত্তি সেটা নিয়ে উল্লাসের বহি প্রকাশে। একমত। এই চার জনের ফাঁসি নিয়ে উল্লাস প্রকাশের কিছু নেই, কিন্তু এদের ফাঁসি হলে আলাদা করে দুঃখ প্রকাশের ও কিছু নেই। আর যাই হোক , এটা ধনঞ্জয় কেস নয় যে ভুল লোকের ফাঁসি তে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। "daughters অফ India" ডকুতে এরা নিজেই স্বীকার করেছে।

    এবার কোনো অপরাধে ফাঁসি হওয়া উচিত কিনা, সেটা নিয়ে আলাদা আলুচোনা হোকনা, সেটা নিয়ে আগে একটা টোয়ি তে বেশ ভালো আলোচনা চলছিল, এখন খুঁজে পাচ্ছি না।
  • কিন্তু | 127.194.205.244 | ০৮ মে ২০১৭ ২৩:৪২365955
  • দেখুন, অমরেন্দ্র বাহুবলী দেবসেনাকে বলেছেন, মাহেশমতীতে মেয়েদের গায়ে হাত দিলে মাথা কেটে নেওয়া হয়। সেখানে ধর্ষন তো তুলনায় অনেক বড় অপরাধ! তাই না?
  • সিকি | ০৯ মে ২০১৭ ০৭:৪৯365956
  • করিশ্মা কাপুর আর ভেঙ্কটেশের একটা সিনেমা ছিল অনেকটা এই লাইনে - আনাড়ি। দেখেছেন?
  • sm | 52.110.156.126 | ০৯ মে ২০১৭ ০৮:২৫365957
  • কোর্ট রুমে সমবেত করতালি, মোটেই পৈশাচিক উল্লাসের অভিব্যক্তি নয়।এসব হলো আম জনতার হতাশার বহি :প্রকাশ।
    যদি পৈশাচিক উল্লাস টাই বড়ো ব্যাপার হতো, তাহলে ফাঁসি দেওয়ার দৃশ্য লাইন দিয়ে দেখতো বা লাইভ তোলার দাবি জানাতো।
    একচ্যুয়ালি এই সব লোকজন ,অনেকেই জীবনে কোনো না কোনো অবিচারের স্বীকার । এর ওপর বিভিন্ন হাই প্রোফাইল কেস-যেমন শিল্পপতির ছেলের গাড়ি চাপা দেওয়া, আইনের ফাঁক গলে অপরাধীর ঘুরে বেড়ানো ,আর্থিক তছরুপের নো শাস্তি,রাজনৈতিক খুনোখুনির নো ফায়সালা - এ সব নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা ;বিচার ব্যবস্থার ওপর বিশ্বাস কমিয়ে আনে।
    এরা আবার এও জানে এ পোড়া দেশে একমাত্র বিচার ব্যবস্থাই কিছটা জাস্টিস বা মানসিক শান্তি দিতে পারে। কারণ পুলিশ,প্রশাসন,রাজনৈতিক নেতা -সক্কলে জরা গ্রস্ত।
    তাই ফাঁসির আদেশ হলে কিছুটা না, অনেকটাই পেলাম -এই তৃপ্তি বোধ ই হাততালি দিতে প্রনোদিত করে।
  • pi | 57.29.205.93 | ০৯ মে ২০১৭ ০৮:৫৭365958
  • সেও করছে বইকি। কত লাইক কত শেয়ার এই পোস্টের।

    'নির্ভয়ার ধর্ষকদের ফাঁসির শাস্তি নিয়ে বক্তব্য (না করলে ১২ ঘন্টার মধ্যে জুকুকাকা অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেবে বলেছে)

    ডিসক্লেইমার ঃ আমি এ বিষয়ে একান্তই নিজের মন থেকে যা মনে হয়, তা বলব। বীভৎস লাগাটা স্বাভাবিক। আনফ্রেন্ড করলেও রাগ করব না।

    আমি এই ধর্ষন ও হত্যাকান্ডের আসামীদের ফাঁসির শাস্তির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এরকম নৃশংস নারকীয় ধর্ষন ও হত্যাকান্ডের আসামীদের ফাঁসি দিয়ে মারাটাকে আমি শাস্তি নয়, দয়া হিসেবেই দেখছি।
    এদের লম্বা লোহার পোলে আড়াআড়ি ভাবে বেঁধে নীচে আগুন জ্বালিয়ে জুলু ডান্স করতে করতে খুঁচিয়ে, ছ্যাঁকা দিয়ে, পায়ূতে আঁকশি ঢুকিয়ে বেশ পেঁচিয়ে অন্ত্রসকল বের করে এনে সেগুলো তাদের দেখিয়ে দেখিয়ে টানাটানি করে তাদের রক্তে হোলি খেলে হেসে নেচে নীচে জ্বালানো আগুনে এদের শরীরটা রেয়ার টু মিডিয়াম ভেপসে উঠলে এদের মাংস কামড়ে ছিঁড়ে খেয়ে ফেলা উচিত। ফুল কুক্ড হলে কিন্তু মানুষের মড়া তো, দুর্গন্ধ ছাড়ে আর চর্বিগুলোও কেমন একটা গ্যাদগ্যাদে হয়ে যায়।
    যাই হোক, এবার প্রশ্নঃ কেন?
    উত্তর ঃ সমাজ ও বাকী ধর্ষকরা এই শাস্তি দেখে কতটা কেঁপে উঠে নিজো লিঙ্গে সীসা ঢেলে সীল করে নেবে, তাতে সন্দেহ আছে। সেটা পরের কথা। একটা পরিষ্কার কথা বলি, তা হল, "অন্য রেপিষ্টরা এতে শিক্ষা পাবে কী পাবে না, সেটা নিয়ে আমার মাথাব্যথা কম। ওদের শাস্তিটা ওদের কর্মফল। ওদের শাস্তি দেওয়ার উদ্দেশ্য ওরা যে কাজটা করেছে, তার ফল দেওয়া। বাকীদের সামনে দৃষ্টান্ত পেশ করাটা গৌণ। একটা ঘৃণ্য অপরাধের শাস্তি দেওয়ার জন্য এত কৈফিয়ত কেন দিতে হবে?
    অদ্ভুত তো?
    আমি একটা কথা মনে করি, এবং নির্লজ্জভাবে মনে করি যে, মানবজাতির জন্য গণতন্ত্র নয়। একটা অনুন্নত মাথামোটা অসহ্য প্রাণী যাদের "ইগো" নামক একটা জিনিস আছে যার জোরে তারা নিজেদের "প্রাণীশ্রেষ্ঠ" বলে দাবী করে এবং সেই দাবীর কোন সর্বপ্রাণীয় বা সর্বজীবিয় যুক্তি নেই। গণতন্ত্র জন্তু জানোয়ারের জন্য যাদের নিজস্ব শিক্ষা আর সর্বোপরি নিয়মানুবর্তিতা আছে। তারা মানুষের মত স্বাধীণতার নামে ছিনালী করে না। তাদের মধ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রবণতা নেই। আজ অবধি কোনো সিংহ কোন খরগোসকে টাইম পাস করার জন্য বা শিল্পীস্বত্ত্বার বিকাশের জন্য মারেনি। খিদে পেলে মেরেছে এবং ততটুকুই শিকার করেছে, যতটুকু তার খিদে। আজ অবধি কোনো বন্য জন্তু, জানোয়ার, পোকা-মাকড়কে খাদ্য অপচয় করতে দেখেছেন? বাড়িতে পুষলে তখন তারা মানবতা দ্বারা দূষিত হয়ে খাদ্য নষ্ট করে। তাও সেটা তাদের দোষ নয়, উজবুক মালিকই পোষ্যের খোরাক বুঝতে পারে না তাই খাদ্য নষ্ট হয়।
    শুনুন, আমি মানুষের জীবনে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি না। গণতন্ত্রের দাম মানুষ কোনদিন দেয়নি, আর দিতেও পারবে না। চাবকে চুদে না রাখলে মানুষ আজ অবধি ঠিক থাকেনি, থাকবেও না। বন্য জন্তু প্রতিদিন বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করে আর সৃষ্টির আদিকাল থেকে এই লড়াই এর ধারা তাদের শিখিয়েছে উচ্ছৃঙ্খল না হতে, শক্তির ব্যবহার না করতে। জঙ্গলে প্রাণীরা সীমান্ত রক্ষা বা দখলের লড়াই লড়ে না। লড়তেও হয় না। ভিন্নধর্মী প্রাণী ও উদ্ভিদের প্রাকৃতিক ও শ্রদ্ধাপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য ওদের সংবিধান লিখতে হয়না। জঙ্গলে হিরোসিমা নাগাসাকী হয় না।
    একটা আউট এন্ড আউট অপরিণত, ক্ষমতালোভী, প্রকৃতির থেকে শত যোজন দূরে চলে যাওয়া অপদার্থ জীবজাতী মানবকূলের জন্য আমার এক মাইক্রোইঞ্চও দয়ামায়া নেই। যে জাতির সবথেকে বড় দুটো চালিকা অনুভূতির নাম "লোভ" এবং "ভয়" , তাদের এইরকম শাস্তিই প্রাপ্য।
    সৌদি আরবে শাস্তির ভয়েই মাদক দ্রব্যের সাধারণ ব্যবহার অনেক কম। এটা ভুলে গেলে চলবে না।
    যে ধর্ষকের চেতনা নেই, কাঠগড়াতে দাঁড়িয়েও পরিষ্কার বক্তব্য "যা করেছি, তা অপরাধ নয়" । তাদের সংশোধনের জন্য একটা হিসুর ফোঁটাও খরচ করার কোনো মানে হয় না বলেই আমি মনে করি।
    শুধুমাত্র অভিযুক্ত ধর্ষকদেরই নয়, যে ধর্ষককে নাবালকের স্নেহে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে টাকা আর সেলাই মেশিন উপহার দিয়ে, তাকেও মেরে ফেলা উচিত।
    সংশোধনের নামে মনস্তাত্ত্বিক দূষণ মেনে নেওয়া যাবেনা। এখানে একদল পৈশাচিক অপরাধীদের মারা হচ্ছে। মজনুকে ঢিলানো হচ্ছে না। তাই লায়লার মত বুক চাপড়ে আর সায়া তুলে "পাথর সেই মারুক যে পাপ করেনি" মার্কা মেলোড্রামা করবেন না। আপনাদের মতে যদি "যারা মৃত্যুদন্ড চাইছেন, তারাও অপরাধী" বলেই আপনাদের মনে হয় তো সেক্ষেত্রে এতগুলো অপরাধীদের মাঝখানে সংশোধন কী করে হবে বলে আপনাদের মনে হয়? কীভাবে সংশোধন করবেন তাদের যাদের কোনো অপরাধবোধটাই নেই?জেলে থাকাকালীণ কচি ধর্ষক রাম সিং এক টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, "মেয়েরা রাতে বাইরে বেরোলে এরকম হবেই" । এই কথা শুনে দেশের কোন কোন প্রত্যন্ত কোনায় কত কত সুপ্ত ধর্ষক এই রাম সীং কে নিজের নেতা বানিয়ে গর্ব সহকারে ধর্ষণে নিজেকে রেডী করেছে, আর জেলে বসে সাক্ষাৎকারে "উ লাল বুশশার্ট ঠো প্যহিনেব। হম উ মা কা সেক্সি লাগেলে মা কসম" বলেছে আপনারা গ্যারান্টী দিতে পারেন? এবার কী আপনাদের সংশোধনের চোদনামীর ঠেলায় "রেপিস্ট সেলেব" ও দেখতে হবে নাকী? বাল।

    আঁতলামী এমনিতে ভালোই, দু চারপেগের পর আমিও করেই থাকি। তবে আঁতলামী সাময়িক হওয়াটাই মঙ্গলকারী। আঁতলামীর নেশা উঠলে তখনই মানুষ ভুলে যায় যে এসব বালবাজারি আবদার করার আগে একটা দেশের সমাজ, অর্থনীতি আর মনস্তত্ত্বটা মাথায় রেখে চলতে হয়।
    আগে একটা ঠিকঠাক সামাজিক পরিকাঠামো তৈরী করার দায় কেউ নেবে না। রাস্তায়ঘাটে ধর্ষণ হতে দেখলে চুপচাপ গা বাঁচিয়ে চলে যাবে। এখনো কোনো অচেনা পুরুষ টানা ৫ মিনিট হাঁ করে কোনো মেয়ের দিকে তাকিয়ে থাকলে সেই মেয়েটি চেক করে তার ব্রা এর ফিতে বেরিয়ে আছে কীনা, বা জামায় রক্তের দাগ কীনা। আজও মেয়েরাই মেয়েদের বলে, "এত রাত করে বেরোবার কী দরকার?"
    আজও যৌনতা মাত্রেই -- "ছিহ্, আমি 'ওরকম' মেয়ে/ছেলে নই"।
    যে দেশে অনেক মানুষই যৌনতা ও ধর্ষনের পার্থক্যই বোঝে না।
    সে দেশে এত সং আর শোধন নেওয়া যাচ্ছে না আর।
    সংশোধন বললেই এবার গ্রীকবীর আলেকজান্ডারের ভাষায় বলব
    "সেলুকাআআআস, ধর তো ব্যাটার বাবড়ি চুলে ঠাইস্যা'
  • dc | 132.174.90.28 | ০৯ মে ২০১৭ ০৯:৫৪365959
  • তাই বলে করিশ্মা কাপুরের সিনেমা দেখতে হবে? এ তো ফাঁসির চাইতেও বেশী শাস্তি!
  • কল্লোল | 233.176.34.223 | ১৫ মে ২০১৭ ২১:১৪365961
  • ভগ্যিস ফাঁসির সাজা বহাল থাকলো!! নইলে এরকম ঘটনা রোজ চারটে করে ঘটতো। তেমনই লোকে বলছে।
  • PT | 213.110.242.22 | ১৫ মে ২০১৭ ২৩:৩৮365962
  • ফাঁসির সাজা না থাকলে হয়্ত এরকম ঘটনা রোজ চোদ্দটা করে ঘটতো--কে জানে?!!
  • amit | 149.130.200.184 | ১৬ মে ২০১৭ ০১:৪২365964
  • লোকে কি বলছে তা তো শুনলুম, কল্লোল দার নিজের কি ধারণা ? ফাঁসি তুলে দিলে ধর্ষণ কমে যাবে ? প্রসঙ্গত ধর্ষণের অপরাধে ফাঁসি হয়না, খুনের দায়ে হতে পারে, তাও গুটিবিশেষে। তো এই সব খুনি দের কি করা উচিত ?
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে প্রতিক্রিয়া দিন