এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • nilanjan sayed | 57.11.2.5 | ০৫ জুন ২০১৭ ১১:১৮366494
  • আমার বাইক টা নাজিবুর দের বাড়িতে রাখতে গেছিলাম।ও তখন স্নান করছিল।বিকেল বেলা।
    আমাকে দেখে অল্প হেসে বলল,'কি গো রোজা রেখেছেন ?
    আমি সংক্ষিপ্ত উত্তর দিলাম,'না।'
    ও কিছু বলবার আগেই ওর বউ বলে উঠল,'কি করে রাখবেন ,রোজা রাখার যে কি কষ্ট ...'
    ততক্ষণে আমি বাইরে বেরিয়ে এসেছি।
    লোকে কিছুতেই স্বীকার করবে না বাড়ির বউদের রোজা রাখা প্রচণ্ড কষ্টকর।এমনিতেই গ্রামে বিবাহিত মহিলাদের খুব সকালে উঠতে হয়।সারা দিন ধরে কাজ আর কাজ।বিরাম নেই।সঠিক সময়ে খাওয়ার ফুরসত নেই।সন্ধে হলে ক্লান্তিতে অবসন্নতা ঘিরে ধরে।
    মুসলমান পরিবারে বাইরের পুরুষের সাথে কথা বলতে দেওয়া হয়না,কেউ এলে ভেতরে প্রবেশ করার হুকুম নেই।বাইরে 'দলিজ ঘরে'(বৈঠক ঘর)বসতে দেওয়া হয়।এটা একটা ভুল ধারণা।
    বাইরের পরিচিত মানুষ অনায়াসে ভেতরে যেতে পারে।মহিলাদের সাথে গল্প গুজবে কোন বাধা নেই।হিন্দু মুসলমান খ্রিষ্টান কোন ব্যাপার নেই।
    সাধারনত বাচ্চাদের পড়াশুনো ,স্কুলে ভর্তি ,প্রিন্সিপালের সাথে দেখা করা,টিউটর রাখা,স্কুলের টিচারদের সাথে যোগাযোগ করা সমস্ত কিছুই মেয়েরাই করে।বাচ্চার বাবা এ ব্যাপারে এত টুকু নাক গলায় না।
    এভাবেও মেয়েদের বাইরের জগতের সাথে একটা সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়।আলো বাতাস শরীরে মনে লাগে।কিন্তু এগুলো সমস্ত মেয়েদের উদাহরণ নয়।
    বিশাল ক্যানভাসে গ্রামের মুসলমান মেয়েদের ছবি আঁকলে দেখতে পাওয়া যাবে তারা ঠিক আর বদ্ধ ঘেরাটোপে নেই,আবার আছেও।
    আপনি এখানে এলে দেখতে পাবেন তারা স্কুটি চালাচ্ছে,একা ব্যাংক যাচ্ছে,বাজার করছে রীতিমত দামদর করে।পুরুষদের সাথে তাল মিলিয়ে ধান পিটোচ্ছে।আবার দেখা যাবে বোরখা পরে স্বামীর বাইকের পেছনে চলেছে।নিঃশব্দে রীতি নীতি মেনে চলছে।
    কিন্তু সারাদিনই ব্যস্ত কাজকর্মে।ক্লান্তি অবসন্নতাও তাদের জীবনের একটা অংশ।
    এর পরে তাদের এখন রোজা পালন করতে হচ্ছে।
    তাদের খাওয়া দাওয়ার নির্দিষ্ট চার্ট বদলে যাচ্ছে।সারাদিন মুখে জল স্পর্শ করতে পারবেনা।খেতেও পারবেনা কোন কিছু।মেয়েদের এই অনাহারে রাখাএবং সারাদিন ধরে কাজ কর্ম করাকে আমার অমানবিক নিষ্ঠুর বলে মনে হয়।
    এই গরম কালে ডাক্তার রা বার বার বলছেন বার বার জল খেতে।অথচ সেটাকে একেবারে অবহেলা করা হচ্ছে।
    এই শরীর কে অনাহারে রাখা স্রেফ ধর্মের দোহায় দিয়ে,তা কতটা যুক্তিযুক্ত?
    আমি অন্য একটা সত্য গল্প দিয়ে শেষ করব।
    সে ছিল একট্রাক ড্রাইভার।রাতে ঘুমিয়ে পড়েছিল।জেগে দেখছে খাওয়ার সময় প্রায়ই শেষ।এবার সে কি করবে,কিছু তো খেতে হবে।না খেলে রোজার নিয়ম মানা হচ্ছে না।সে করল কি,পকেট থেকে দ্রুত বিড়ি বের করল।দেশালাই দিয়ে বিড়িতে আগুন ধরিয়ে ফুক ফুক করে কয়েক বার টেনে নামাজ পড়তে বসল।রোজার শর্ত তো পালন হল।
    বিড়ি খেয়ে রোজা পালন করা যায় কিনা বিশেষজ্ঞরা বলবেন।আমি কেবল ঘটনাটা জানিয়ে রাখলাম...
  • nilanjan sayed | 57.11.6.2 | ০৫ জুন ২০১৭ ২১:৩৫366505
  • মুসলমান সমাজে সৈয়দ, কাজীর স্থান একেবারে উঁচুতে। যাঁরা মনে করেন মুসলমান সমাজে উঁচু নীচু নেই তাঁরা ভুল ভাবেন।
    এরা সাধারণ মুসলমান চাষি শ্রেণির মানুষ কে খুব অবজ্ঞার চোখে দেখে।চেয়ারে বসার অধিকার নেই সাধারণ মানুষের ,তারা যদি চেয়ারে বসে থাকে।
    আমার সব চাইতে বাজে যেটা লাগে কথায় কথায় এরা জাতের বড়াই করে।যেহেতু সুযোগ সুবিধা পেয়েছে বলে শিক্ষাদীক্ষা পেয়েছে আগে।কিন্তু অত্যন্ত সচেতন ভাবে নিজেদের গরিমা বজাই রাখে।
    আমি এই রকম পরিবারে গিয়েছিলাম একবার।ফেরার সময় মনে হচ্ছিল,আঃ বাঁচলাম,দম বন্ধ হয়ে আসছিল ।
    বোরখা পরার নতুন ভাবে প্রচলন আমি অন্তত দেখিনি এই সমাজে।মেয়েরা ভীষণ ভাবে আধুনিক পোষাকে অ্যাডিকটেড।
    সাধারণ অবহেলিত মুসলমান সামনে এগিয়ে আসছে।লেখা পড়া করছে।তাদের কেউ কেউ দুর্দান্ত রেজাল্ট করছে।আমার চোখে সামনে দেখতে পাচ্ছি একেবারে সাধারণ ঘরের মেয়েরা ফিজিকসে অনার্স,ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে পড়ছে।

    আমার মনে হয়েছে এটা একটা থাপ্পর উঁচু সমাজের জন্য।এটার দরকার ছিল...।
    হিন্দু ও মুসলমান সমাজের একেবারে নীচু তলার মানুষ উপরে উঠছে।তারা আর বাবুদের(উচ্চ শ্রেণির হিন্দু ও মুসলমান ) চোখ রাঙানিকে পরোয়া করেনা।
    এই ভাবে যত উঁচু সমাজের মেরুদণ্ড ভাঙবে ,তত সমাজের উন্নতি।(পুরোন লেখা)
  • কল্লোল | 233.186.253.214 | ০৬ জুন ২০১৭ ০৫:৫৭366516
  • চিন্তার কারন বাড়ছে।
    গতকাল রিক্সায় উঠেছিলাম। রিক্সা চালাচ্ছিলেন যিনি, তিনি আমার পুরানো পরিচিত। আমার চেয়ে বেশ কিছুটা ছোট। পুত্রকে নিয়ে যখন ওর গানের স্কুলে যেতাম, তখন প্রায়ই ওঁর রিক্সায় যেতাম। নানান সুখ দুঃখের কথা হতো। গতকাল হঠৎই রিক্সা চালাতে চালাতে বললেন,
    - হিন্দুরা রোজা রাখলে মরেই যেতো। এতো শক্তি আমদের আল্লাই দেন। এই দেখুন রোজা রেখেও রিক্সা চালাচ্ছি এই গরমে।
    আমি নির্বাক।
    আবারও বললেন,
    হিন্দুদের অত হিম্মত নেই। আমাদের যদি নামাজ পড়ার সময় কেউ ভুনেও দেয়, একজনও নামাজ ছেড়ে উঠবে না। কিন্তু ওদের দুটো লাঠি নিয়ে তেড়ে আসলেই সব পালিয়ে যাবে।
    আমি স্তম্ভিত।
    সেই মুহুর্তে কিছু বলিনি ওঁকে। বুঝতে পারছিলাম কিছু একটা ঘটেছে। হয়তো পরে কখনো সুযোগ পেলে কথা বলবো।
  • pi | 57.29.237.207 | ০৯ জুন ২০১৭ ০৮:২০366519
  • আরো আসুক।
  • nilanjan sayed | 57.11.9.161 | ১৪ জুন ২০১৭ ০৭:২১366521
  • আমেরিকার ভেতরেই আছে যেমন অন্য আমেরিকা।ভারতের ভেতরেই আছে অন্য ভারত বর্ষ।যে খবর ভারতবর্ষের শিক্ষিত মধ্যবিত্ত মানুষ পাননি।টিপিকাল ধারণা নিয়ে বাগবিতণ্ডা করেন।
    নাম টা ধরুন তাঁর তনুজা বেগম।বাস করেন এক জংলা গ্রামে।স্বামী বাইরে থাকেন ,সেনাবাহিনীতে কাজ করেন।
    শ্বশুর মশাই ধর্মপ্রান মানুষ।
    তনুজা কিন্তু জিনস পরেন যখন বাজারে যান।ভাবছেন স্কুটি করে বাজার যান?উঁহু বাইক নিয়ে বাজার বেরোন।শ্বশুর মশাই তাঁকে কিচ্ছুটি বলেন না।
    বলুন এই তনুজার খবর জানতেন আপনারা?
    আপনার মনে হচ্ছে না তনুজার উচিত ছিল বোরখা পরা?
    আরেকজনের নাম ঐ ধরা যাক জারিনা খাতুন।সে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে।বুঝলেন সে প্রেমে পড়ল শ্যামল মুখুজ্যের সাথে।গভীর প্রেম।ভাবছেন বুঝি এবার দাঙ্গা লাগল ,বুঝি।বাপরে কি সব্বনেশে ব্যাপার।
    ইয়ে না।শ্যামলের বন্ধুরা যেমন শফিক,আবুল সবাই সাহায্য করছে চিঠি চালাচালি তে।
    দুই পরিবারের কানে উঠে গেল।
    শ্যামলের বাবা তো চিন্তিত হয়ে পড়লেন।জারিনার বাবাও চিন্তিত হলেন।
    কিন্তু প্রেম কিন্তু বন্ধ হল না।শ্যামল তো ঠিক করে নিয়েছে সে জারিনাকে 'বিবাহ করিবেই করিবে।'
    কিন্তু 'তা হইল না।ভাল পাত্রর সহিত জারিনার বিবাহ হইয়া গেল ।'
    তারপরেও কিন্তু গল্প শেষ হয়নি।
    জারিনা বিয়ের প্রথম দিনই সমস্ত প্রেম পত্র স্বামী কে দেখিয়ে দিল।তৎক্ষনাৎ স্বামী 'তাহাকে বাড়ি পাঠাইয়া দিলেন।''তাহার পর জারিনার কি হইয়াছিল সে অন্য গল্প।'অন্য দিন অন্য সময় বলব।এই পোষ্টের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই।
    'বিমল প্রেমে পড়িয়াছে ছাত্রী ইন্নি খাতুনের।'মুখ খানি ভারি মিষ্টি।এক বার চাইলে দৃষ্টি ফেরানো যায়না।''পড়ানোর বদলে খালি চাহিয়া থাকিত।'সদ্য সে চাকরি পেয়েছে।বয়স খুব অল্প।দেখলে আরো অল্প মনে হয়।একবার ইন্সপেকটর 'সরিজমিনে'এসে ওকে ছাত্র ঠাউরেছিলেন।বলেছিলেন,'খোকা এদিকে এস তো।'
    ইন্নি খাতুনও 'প্রেমে পড়িয়া'গেল।
    বিমলের মা তো শুনে আতঙ্কে দিশাহারা।কাঁদ কাঁদ স্বরে বললেন,'বাবা অমন কাজ করিসনি।ওরা সাংঘাতিক।'
    ওরা সত্যিই সাংঘাতিক ছিল।
    আর বিশদে যাবনা।উপসংহারে চলে আসি।ওদের প্রেম বাস্তবায়িত হয়েছিল।ইন্নি খাতুন আর বিমল সুখে 'সংসার করিতেছে।'কোন বাধা আসেনি।
    ইন্নির বান্ধবী আমায় বলল 'ইন্নি এখন হিন্দু হইয়া গিয়াছে।সিঁথিতে লাল টকটকে সিঁদুর,হাতে শাঁখা। '

    আমার কাছে একটি মেয়ে পড়ত।সেও এই ভাবে বিয়ে করল একটি হিন্দু ছেলেকে।মেয়েটির বাবা 'জামাতি'করত।এত দূর পড়ে মনে হচ্ছেনা একেবারে বাঘের ঘরে ঘোঘের বাসা?
    আসলে জামাতি বাবাটা পরের দিন অক্কা পেয়ে গেলেন।কোন বাধাবিঘ্নর সম্মুখিন হতে হয়নি।

    গ্রাম গঞ্জ সম্পর্কে বাবু সম্প্রদায়ের আজব ধারণা আছে।'তাঁহারা মনে করেন গ্রামের মানুষেরা দাওয়ায় বসে ভুড় ভুড় করিয়া হঁকো টানেন।'
    মণ্ডপ বসে।এত দূর পর্যন্ত পড়ে আমার নিজেরই 'লজ্জা লাগিতেছে।'
    ইউরোপ আমেরিকা গ্রামের লোকের কাছে আর দূর নয় জানেন?
    বেশ কিছু ছেলে একেবারে ধেদ্ধেড়ে গোবিন্দপুর থেকে বেরিয়ে একেবারে সোজা আমেরিকা।আগে থেকে হিন্দু উদাহরণ ছিল এবার তার সাথে যুক্ত হয়েছে বেশ কিছু মুসলমান ছাত্র।
    নতুন প্রজন্মের প্রায়ই সব ছেলেমেয়েরা ক্রিকেটে ভারতকে সমর্থন করে।
    পাকিস্তান কে জঙ্গি রাষ্ট্র বলে চেনে।প্রতিদিন টিভিতে খবরের কাগজে পড়ে আপনা থেকেই এই প্রভাব এসে যেতে পারে।বরং উল্টো টা হওয়া একটু কঠিন ব্যাপার....
  • pi | 57.29.133.165 | ১৪ জুন ২০১৭ ১০:০০366522
  • তনুজাদের কথা আরো আসুক।

    জারিনারই বা কী হল শুনতে চাই।
  • nilanjan sayed | 57.11.11.194 | ১৫ জুন ২০১৭ ১২:০২366523
  • হাত বাড়ালেই আমি ৮০সালকে ছুঁতে পারি।আমার স্মৃতিতে ৭১সালও ধরা দেয়।
    সে সময়ে প্রচুর মেয়ে সে হিন্দু কি মুসলমান দারুণ দুঃসাহসী ছিল।হোস্টেলের পাঁচিল টপকে প্রেমিকের সাথে দেখা করতে যেত।সিগারেট খেত।পরীক্ষায় টুকলিও করত।
    আবার কিছু মেয়ে সাইকেল জোরে চালাত।তারা বাজার করত।ছেলেদের সাথে মিশতে কোন সংকোচ ছিলনা।
    আমার মনে পড়ছে ,আমার বয়স তখন৭/৮।আমি খুব লাজুক ছিলাম।১৮/১৯বছরের মেয়ে আমাকে কোলে তুলে নিয়েছিল।আমি খুব লজ্জা পেয়েছিলাম।মেয়েটি বিএ পড়ছে তখন।আজ তিনি অধ্যাপিকা।তিনি মুসলমান ঘরের মহিলা ছিলেন।
    আমার স্মৃতিতে ধরা দিচ্ছে(আমার বাড়ি বাদ দিয়ে)মুসলমান মেয়েরা শালোয়ার কামিজ পড়ত।তারা পড়াশুনো করত।প্রেমও করত।
    মুসলমান স্মার্ট মেয়ের অভাব ছিলনা।আমার খুড়তুতো ভাইকে (তখন আমাদের দুজনেরই বয়স ৮/৯হবে)দশম শ্রেণির একটি মেয়ে পাঁজাকোলা করে তুলে নিয়েছিল ।আমরা কি কারণে গার্লস হাইস্কুল গিয়েছিলাম।ক্লাশের মধ্যেই তুলে নিয়েছিল।আমার ভাইয়ের সে কি লজ্জা।
    ঐ মেয়েটিকে পরে ওদের বাড়িতে কাঁদতে দেখেছি।কাঁদতে কাদতে চোখ দুটো ফুলে গিয়েছিল।সম্ভবত ওদের বাড়িতে কেউ মারা গেছিল।আমি কিন্তু অবাক হয়েছিলাম।
    গোকর্ণ বাস স্ট্যান্ড থেকে দুই তিন কিমি গিয়ে রাস্তার ধারে একটি বাড়ির একটি মেয়ে সেইসময়ে মহারাণী কাশীশ্বরী বিদ্যালয়ে পড়াশুনো করত।বাসে যাতায়াত করত।সালটা ঐ৭৮/৭৯সাল।মেয়েটির কাকার একটা টেপরেকর্ডার ছিল।সেই প্রথম আমার টেপ রেকর্ডার দেখার অভিজ্ঞতা।মুসলমান মেয়ে একা বাসে চেপে বহরমপুরে পড়াশুনো করত।কই ,কোন বাধার সম্মুখীন হয়নি তো।
    কোথাও কোন রক্ত চক্ষুও দেখা যায়নি।আজকে যখন ৮০দশকের কোন মুসলমান মেয়েকে সেকালের মেয়ে বলা হয় এবং নাকি প্রচুর বাধার সম্মুখীন হতে হত তাদের পড়াশুনো করার সময়।এটা শুনে হাঁ হয়ে যাই।
    ৮০দশকে প্রথম দিকে বহরমপুর গার্লস কলেজ থেকে যে মেয়েটি ইংরেজি অনার্সে সব চাইতে ভাল ফল করেছিল,সে একজন মুসলমান ঘরের মেয়ে ছিল
    সত্তর দশকের শেষের দিকে দুই বোন গার্লস কলেজের হোষ্টেলে থেকে একজন সায়েন্স ও অন্য জন ইংরেজি অনার্স নিয়ে পাস করেছিল।তারা সাধারণ ঘরের পরিবারে মেয়ে।সেই সময়ই একজন মুসলিম মেয়ে হিন্দু ছেলে কে বিয়ে করেছিল।ছেলেটি সম্ভবত এসইউসি পার্টি করত। চোখ বুজলেই সেই সময় টা ভেসে ওঠে।
    মনে হয় কোথায় এটা সেকাল?
    এটা সত্যি এত লেখাপড়া সে সময়ে ছিলনা।কিন্তু সেকাল বলে অন্ধকারে ফেলে দেওয়া উচিত নয়....
  • প্রতিভা | 116.51.130.83 | ১৬ জুন ২০১৭ ১২:৩৫366524
  • ভারতবর্ষ জুড়ে সাম্প্রদায়িকতা তুঙ্গে ওঠার কারণেই কিনা জানি না, পর্দা, রোজা রাখার প্রবণতা বাড়ছে বলেই মনে হয়। ফারুকের মা আমার প্রতিবেশী ছিলেন। বাইক চালাতেন, গাড়িও। মালদার অখ্যাত গ্রামের স্কুল ফাইনাল পাস ছিলেন। কিন্তু এতো স্মার্ট আর কাজের ছিলেন যে ওঁকে দেখে হিংসে হত। সেদিন দশ বছর পর ব্যাংকে এক মাঝবয়সী মহিলা, সাদা ঘোমটা মাথায়, আমায় জড়িয়ে ধরলেন,আমি ফারুকের মা। আমি অবাক, সেই ডানপিটে মহিলা চাদর রাখছেন। উনি কানে কানে বললেন চাপ আছে।
  • শেসে | 59.203.248.56 | ১৬ জুন ২০১৭ ১২:৪৩366495
  • নীলাঞ্জনের স্মৃতিচারণে এই সত্যটাই ফুটে উঠল যে আমাদের মনের দরজা জানালাগুলো একটু খোলা রাখলেই বাইরের আলোর ঝলকানি দেখতে পাবো | এরকম অভিজ্ঞতার কাহিনী আরো আরো লেখো, নীলাঞ্জন |
  • কল্লোল | 233.186.132.177 | ১৭ জুন ২০১৭ ০৯:১৬366496
  • আমি হয়তো ভুল হতে পারি, কিন্তু এই বাড়বাড়িটা মুসলমান সমাজে লক্ষ করেছি বাবরী ঘটনার পর থেকে। আমি কলকাতায় যেখানে থাকি, সেটি টালিগঞ্জ ফাঁড়ি। আমাদের পাড়ায় ঢোকার রাস্তা ঘড়িঘর দিয়ে। গোটা রাস্তাটাই গরীব মুসলমানেদের বাস। এদের পূর্বপুরুষদের অনেকেই টিপু সুলতানের দুই পুত্রের সাথে এখানে চলে আসে।
    আনওয়ার শাহ রোডের মুখে বড় মসজিদে দাদুর সাথে সকালে ফুল তুলতে গিয়ে ইমাম সায়েবের সাথে দাদুর গল্প করা ছিলো নিত্যকার কাজ। আমার ছোটবেলার বন্ধুদের অনেকেই মুসলমান। তাদের বা তাদের পরিবারের কেউ কেউ নামাজী ছিলেন। রোজা অবশ্য অনেকেই রাখতো। বুর্খা, হিজাব এসব বিশেষ দেখিনি। কেবল ঈদে, মহরমে বা শবেবরাতে কেউ কেউ পরতেন। ঐ সব দিনে অনেকেই নামাজ পরতেন। আমাদের বাসায় ঠিকা কাজের মানুষ সবসময়েই মুসলমান মহিলা। তাদের লক্ষী পূজোর প্রসাদ বা অন্য কোন পূজোর সিন্নি খেতে দেখেছি। এখন দিলে নিয়ে যায়। বলে ছেলে বা মেয়ে খাবে। সে খাবে না কারন সে নামাজ পরে। কিতাব পড়ায়।
    বাবরির পর অল্পবয়সীরাও নামাজ পড়ে, টিপিকাল দাড়ি রাখে, প্যান্ট বা পাজামা গোড়৯র উপরে থাকে। মেয়েদের মধ্যে অবশ্য দৈনন্দিন কাজে হিজাব বা বুর্খা দেখি না। তবে বেড়তে যাবার সময়, অনুষ্ঠান বাড়িতে বুর্খা, হিজাবের চল লক্ষণীয় ভাবে বেড়েছে।
    হ্যাঁ একটা জিনিস, আগের মতো ভয়ানক দারিদ্র নেই।
    বরং, এই এলাকায় বহুদিন ধরে কাবলীওয়ালাদের বাস। আগে তাদের বেশ দাপট ছিলো, এখন বড়ই ম্লান দেখায় তাদের। বেশ কয়েক ঘর বৃহন্নলাদের বাস ছিলো, তারা এখনো আছে। দেখে মনে হয় তাদের অবস্থাও আগের চাইতে ভালো।
  • অভিষেক | 52.110.176.185 | ১৭ জুন ২০১৭ ০৯:৩২366497
  • আচ্ছা, মুসলমান বাড়িতে খোকাখুকু জন্মালে পরে বৃহন্নলারা টাকা তুলতে যান? বাড়ির মানুষ কেমন প্রতিক্রিয়া দ্যাখান?
  • nilanjan sayed | 57.11.5.91 | ২১ জুন ২০১৭ ১৭:৫৫366498
  • এটি একটি গল্প
    নীলাঞ্জন সৈয়দ

    আমার মা হিন্দু ব্রাহ্মণ কন্যা ছিলেন।বাবা মুসলমান।ওঁদের আলাপ হয়েছিল একটি পার্টি অফিসে।বাবা পার্টির হোল টাইমার ছিলেন।পার্টি অফিসেই খেতেন, শুতেন ,ঘুমোতেন।কবীর বলে একটি ছেলে বাবার সঙ্গে মায়ের আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন।মা সকাল বেলায় পার্টি অফিসে এসেছিলেন।বাবাতো চিনতেন না,মনে করেছিলেন কেউ সাহায্য চাইতে এসেছে।বাবা বললেন,'এখন তো মাত্র আট টা বাজে।দশটায় আসুন সবাই কে পাবেন।আমি ছাড়া কেউ নেইতো এখানে। 'মা হেসে বলেছিলেন ,'আমি তো আপনার কাছেই এসেছি।'মা শালোয়ার কামিজ পরেছিলেন ।
    বাবা পরে আমায় বলেছিলেন,'তোর মা ধপধপে ফর্সা ছিল,আর সাজুগজু করে এসেছিল।আমি কি করে বুঝব ও একজন পার্টির মেম্বার।কবীর সেই সময় এসে পড়েছিল ,পুরো ব্যাপার টা মিটে গেছিল।'কবীর কাকু ওঁর বাড়িতেআমায় নিভৃতে বলেছিলেন,'তোর মা অসামান্যা মহিলা ছিল।দাদার সঙ্গে থাকত।বাড়িতে অভাব চলছে ,পড়াশুনো চালানোর জন্য অন্য বাড়িতে কাজ করতে হত।'এই পর্যন্ত বলে কবীর কাকু আমার দিকে তাকালেন,আমার কোন প্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা দেখতে।না আমার মনে কোনে রেখাপাত হয়নি।বাবা তো প্রথম থেকেই আমার মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছেন কোন কাজই ছোট নয়।কবীর কাকু তারপর বললেন ,'দুঃখ কষ্টকে ঢাকার জন্যই তোর মা একটু সেজে গুজে থাকত।'মায়ের জন্য এবার আমার মন খারাপ করছে।
    মা আমাকে সব কিছু দিয়ে আমায় আগলে রাখতেন।অভাব আমাদের নিত্য সঙ্গী ছিল।তবুও সব সময় মা হাসি মুখে থাকতেন।সকাল বেলায় উঠিয়ে আমাকে পড়াতেন ,'ছোট খোকা বলে অ আ ,শেখেনি সে কথা কওয়া ।আমার আধো আধো গলায় সবটা বেরোত না।মা শুনে হেসে কুটিপাট হতেন।আমার বাবা মাকে বিয়ে করে গ্রামের বাড়িতে চলে এলেন।সেখানে প্রাইভেট টিউশুনি পড়াতে শুরু করলেন।মা সাংসারিক কাজে ব্যস্ত হলেন।পার্টি মাথায় উঠল।মা বাবাকে বলে নিজের জন্য ছোট্ট একটি ঘর তৈরি করিয়েছিলেন।সেটা ছিল ঠাকুর ঘর।সেখানে তিনি পুজো করতেন।আমি জানতাম এখানে তিনি দারুণ মানসিক শান্তি পেতেন।পার্টির কঠোর নির্দেশ ছিল কোন ধর্মাচরণ করা যাবেনা।কিন্তু গ্রামে এসে সব কিছু ওলট পালট হয়ে গেল।বাবাকেও দেখেছি ঈদে নামাজ পড়তে।বাবা বলতেন মানুষের সাথে সংযোগ জরুরী।ঈদ হচ্ছে এমন একটা উৎসব সেখানে উঁচু নীচু সকলের সাথে আন্তরিক যোগাযোগ হয়।কবীর কাকু আমার কাঁধে হাত রেখে বলেছিলেন ,'তোর বাবা যা বলছেন তা পুরোপুরি ঠিক নয়।কোন ধর্মীয় উৎসবই সমস্ত মানুষ কে কাছে টেনে নেয়না।আমরা যখন আফিম জাতীয় নেশার কবলে পড়ি তখন আত্মসমর্থনের জন্য যুক্তি খুঁজি।'

    কবীর কাকুর কথায় ঠিক।বাবা মা সবাই ধর্ম কে আঁকড়ে ধরতে চাইলেন।কিন্তু কোন বিরোধ ছিলনা।বাবা মা পরস্পরকে প্রচণ্ড ভালবাসতেন।আমিও উভয় ধর্মের মধ্যে বড়ো হচ্ছিলাম।আমি সব কিছুতে মায়ের প্রতি নির্ভরশীল ছিলাম।যাকে বলে মাদার্স চাইল্ড।অল্প বয়সে আমার রামায়ণ মহাভারত মুখস্ত হয়েগেছিল।আমার মাথায় সব সময় ঘুরত শ্রীকৃষ্ণ, অর্জুন ।স্বপ্ন দেখতাম ইন্দ্রপ্রস্থ ,নন্দন কাননের।আমি কে বৃষ্টির দেবতা।পবন বায়ুর দেবতা সেটাও জানতাম।বাবা আমাকে আরব্য রজনীর গল্প শোনাতেন।মাঝ রাতে বাবা আমাকে'এক দিনের জন্য রাজা 'গল্প শুনিয়ে ছিলেন।এই ভাবে আমার মধ্যে হিন্দু মুসলমান সংস্কৃতি জারিত হয়ে চলেছিল।
    কিন্তু কোথাও কোন গণ্ডোগোল হয়েছিল ।রকিব কাকা আমার বাবা মার বিয়ে সমর্থন করেননি।তিনি বাবার সঙ্গে কোন সম্পর্ক রাখেন নি।উনি হলেন আমার বাবার আপন ভাই।আবার আমার সঙ্গে ওঁর দারুণ হৃদ্যতা ছিল ।আমায় খুব ভাল বাসতেন।মায়ের দাদার নাম সমীর রায়।মা এক মুসলমান কে বিয়ে করেছেন বলে বোনের সঙ্গে কোন সংস্রব রাখেন নি।আমাকে তিনি অসম্ভব ভালবাসতেন।ভাগ্নে অন্ত প্রাণ ছিলেন ।আমি বহুবার সমীর মামার বাড়ি গেছি ।তিনি ক খনও আমাদের বাড়ি আসেন নি।সম্পর্ক এক জটিল জায়গায় পৌঁছেছিল।

    এবং এলাকায় আমাদের সম্পর্ক নিয়ে উত্তাপ ছিল।আমরা টার্গেট হয়ে গেলাম।আমাদের কে মারা ষড়যন্ত্র হয়ে গেল।লোকজন ধেয়ে আসছে।এরকম একটা বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে আমাদের বাড়ি অদ্ভুত শান্ত।মা শুয়ে আছে ।বাবা নিঃশব্দ।আমরা ভাগ্যের হাতে নিজেকে সঁপে দিয়ে ছিলাম।বোমার শব্দ ,হৈ চৈ এর শব্দ ক্রমশঃ এগিয়ে আসছে।শুনতে পাচ্ছি 'শেষ করে দে ওদের ,বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দে।পুড়িয়ে দে ।'মা আমাকে আঁকড়ে ধরলেন।সেই সময় হঠাৎ একটা কন্ঠস্বর শোনা গেল,'তোরা কোথায়।'সমীর মামার কন্ঠস্বর।হাঁফাচ্ছেন,চীৎকার করে বলছেন,'তোরা কি পাগোল হয়েছিস?এখানে পড়ে রয়েছিস।'মামা মায়ের কাছে এসে গেছেন।বিস্ময়ের পর বিস্ময়।রকিব কাকার কন্ঠস্বর শোনা গেল,'ভয় নেই সমীর দাদা।পুলিশ এসে গেছে।অবস্থা নিয়ন্ত্রণে।'বাবা কিংকর্তব্যবিমূঢ়। কবীর কাকু ঠিকই বলতেন,'দুর্যোগের সময় সব ভেদাভেদ মুছে যায়।কেবল ভালবাসা টিকে থাকে।মা মামাকে প্রণাম করছেন।বাবা রকিব কাকার সঙ্গে কথা বলতে বলতে ভেতরে ঢুকছেন ।সকালের সূর্য হেসে উঠেছে...
  • aranya | 172.118.16.5 | ২১ জুন ২০১৭ ২০:৫১366499
  • বাঃ
  • Du | 57.184.32.243 | ২৩ জুন ২০১৭ ০৯:৫০366500
  • আজকেই ফেসবুকে খুঁজে পেলাম যে মেয়েটিকে তাকে আমি চিনতাম ছোটবেলায়। অস্ট্রেলিয়াতে আছে অবশ্য। ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিতে রিসার্চ করছে আর যেটা বেশ চমক আমার কাছে ওর সমপ্রেমের অসমধর্মের সম্পর্ক শেয়ার করেছে ফেসবুকে সচ্ছন্দে। পার্কসার্কাসে বাড়ি যায় কিনা জানিনা তবে হয়তো বা যায় !
  • শঙ্খ | 52.110.184.164 | ২৩ জুন ২০১৭ ১২:৫৩366501
  • ভালো লাগছে আলোচনা।
  • nilanjan sayed | 57.11.2.121 | ২৩ জুন ২০১৭ ১৫:৪৭366502
  • একেবারে সাধারণ হিন্দু মুসলমান ছেলেমেয়ে রা এবং তাদের পরিবারের মানুষেরাও শিক্ষকদের দারুণ সম্মান করে।তারা অতিথি পরায়ন।তারা কি রকম সম্মান করে কল্পনাতেও আসবেনা।
    চাতর বলে একটি গ্রামে কয়েকটি ছেলেমেয়েকে পড়াতাম। বাইক নিয়ে যেতাম।ঘন গাছ পালার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।সেখানে একবার আমার গাড়ি বিগড়ে যায়।আমার মাথায় বাজ পড়ে।এই সন্ধে বেলা আমি বাড়ি যাব কি করে?বাইক নিয়ে অত দূর হেঁটে বাড়ি যাওয়া আমার পক্ষে দুঃসাধ্য।গ্রামের মানুষ যাদের বেশির ভাগ হয় মুসলমান।তাঁরা দেড় ঘন্টা ধরে বাইক টি চালাবার চেষ্টা করেন।কি ভাবে?তাঁদের উদ্যম দেখার মতো।আমি চেপে থাকলাম,ব্রেক টিপে,পেছন থেকে কয়েক টি ছেলে ঠেল তে লাগল।আমাকে বলা হল,চলন্ত অবস্থায় ব্রেক ছেড়ে দেবেন।ওদের উপদেশ মানা সত্বেও গাড়ি ন যৌ ন তস্থৌ।
    এর পর ছেলের বাবারা ঠেললেন,তবুও গাড়ি চললনা।এই পেছন থেকে দৌড়তে দৌড়তে ঠেলা খুব কষ্টকর।তবুও আমার জন্য ঘন্টা দেড়েক এই কষ্টটা স্বীকার করলেন।কিন্তু গাড়ীর একই অবস্থা।
    এরপরে ওঁরা বলতে পারতেন, "আমরা তো অনেক চেষ্টা করলাম।হলনা।এবার আপনি দেখুন কি করা যায়।"
    না ,ওরা তা বলেন নি।একটি ছেলের বাবা বলে উঠলেন,"কোন ব্যাপার নয়,আপনি গাড়িতে চাপুন ,আমরা ঠেলতে ঠেলতে পৌঁছে দেব।"
    আমার বাড়ি বাইকে চাতর থেকে পনেরো মিনিট লাগে পৌঁছতে।সেই সময় বর্ষা কাল।রাস্তা কাদা হয়ে আছে,জায়গা জায়গা।
    ততক্ষণে চারিধার অন্ধকার হয়ে গেছে।তিন চারজন মানুষ ঠেলতে ঠেলতে নিয়ে চললেন।আমি বাইকে চেপে আছি।আমার খুব অস্বস্তি হচ্ছিল।জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে গিয়ে ঢালু জায়গায় নামলাম।সেখানে জল জমে আছে।ওঁরা কিন্তু ঠেলছেন।এরপর কিছু দূর গিয়ে বাঁধ ।নামলাম।ওই চারজন ঠেলে বাইক কে বাঁধের উপরে তুললেন।তারপর আবার চলা শুরু হল।চারজনের মধ্যে দুজন বড়মানুষ ছিলেন,দুজন অল্প বয়সী।
    এই ভাবে রণগ্রাম ব্রিজে পৌঁছনোর পর পাকা রাস্তায় এলাম,এর পর অতটা আর কষ্ট নেই।বয়স্ক মানুষ দুজন বললেন,"এরপর আর ঝামেলা নেই,এরা আপনাকে নিয়ে এতে পাঠিয়ে দেবে।'
    রণগ্রাম পৌঁছলাম।এই গ্রাম টি তে কেবল মাত্র হিন্দুরা বাস করেন।কয়েকটি ছেলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল।তাদের মধ্যে একটি সাতাশ আঠাশ বছরের ছেলে আমার পরিচিত।ওরা জানতে চাইল কি হয়েছে।
    তারপর ওরা নিজেদের উৎসাহে গাড়িটা কে সারাবার চেষ্টা করল।সেই পরিচিত ছেলেটা আরেক জন কে ফোন করে ডাকল,যাকে ফোন করল সে ছিল মিস্ত্রি।

    মিস্ত্রি এল।কিন্তু সাজ সরঞ্জাম নেই,কিভাবে সারানো সম্ভব?তবুও চেষ্টার কসুর করল না।কিন্তু কিছুই হল না।তখন রাত প্রায়ই দশ টা বাজছে।
    শেষে বলল,"গোকর্ণ নিয়ে যেতে হবে হবে ,এছাড়া কোন উপাই নেই।পরিচিত ছেলেটির নাম ছিল শ্যামল।
    চাতর থেকে যে ছেলেদুটি আমার সাথে এসেছিল,তাদের শ্যামল পাঠিয়ে দিল।বলল,'কোন চিন্তা নেই।আমরা পাঠিয়ে দেবার ব্যবস্থা করব।'ওরা চলে গেল।
    আমার বাড়ি বা গোকর্ণ এখনও বেশ খানিক টা দূর।
    শ্যামল একটি ছেলের বাড়ি থেকে একটি মোটর সাইকেল আনালো।নাইলেনের দড়ির সাথে দুই মোটর সাইকেল যুক্ত করল।
    শ্যামল বলল," এভাবে আপনার বাইকে চেপে যেতে পারবেন না।আমি চাপছি,আপনি ওই গাড়িটায় পেছনে চাপুন।বাবন আপনাকে নিয়ে যাবে।"
    বাবনের পেছনে বসলাম।শ্যামল আমার বাইকে চাপল।আমার গাড়ি কে টেনে নিয়ে গেল বাবনের গাড়ি।গোকর্ণে পৌঁছলাম।মিস্ত্রি জেগেই ছিল।কিন্তু পরিষ্কার জানিয়ে দিল তার অপারগতার কথা।আবার ফের ঘুরিয়ে নিয়ে গাড়িকে নিয়ে যাওয়া হল আমাদের গ্রাম,আমার বাড়ি।
    আমাকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে ওরা চলে গেল।শ্যামল যাবার সময় বলে গেল," গাড়িটাকে সারিয়ে নেবেন কালকে।"

    অন্য দিন অন্য সময় আবার বাইকে করে যাচ্ছি,সময় ভোর।হাটপাড়া পৌঁছতেই চরম বৃষ্টি আরম্ভ হল। দৌড়ে রাস্তার ধারে একটি বাড়ির বারান্দায় আশ্রয় নিলাম।গাড়িকে পাশে দাঁড় করিয়ে রেখেছি।হাটপাড়া পুরোপুরি একটি মুসলমান প্রধান গ্রাম।এবং দুর্দ্ধর্ষ ।বারান্দাটা পরিষ্কার করছিলেন বাড়ির এক বয়স্ক মহিলা।আমি হিন্দু না মুসলমান কিছু জানে না।
    এদিকে বৃষ্টির থামার নাম নেই।এমন সময় দেখি ওই মহিলা আমার জন্য চা এবং বেশ কয়েক টি বিস্কুট নিয়ে এসেছেন।এভাবে একজন সম্পূর্ণ এক অপরিচিত মানুষের জন্য নিয়ে আসা ...ভাবা যায়না

    এর পর শান্তি নিকেতনে চলে যাই।ওখানে কিছু দিন ছিলাম।একটি চায়ের দোকানে চা বিস্কুট খেতাম।দোকান টা চালাতেন এক মহিলা।তাঁর দুটো সন্তান ছিল।পাশেই পড়ত।একদিন আমি চা বিস্কুট খেলাম ওই দোকানে।পয়সা দিতে যাচ্ছি,এমন সময়ওই মহিলা বললেন,"বাবু লাগবে না,আমি এমনি খাওয়ালাম আপনাকে।

    রণগ্রাম ব্রিজে দুই মেছুনি মাছ নিয়ে বসে থাকেন।বড় মাছ।রুই কাতলা,বোয়াল।
    পাশেই দ্বারকা নদী।আমাকে দেখলেই হেসে বলবে ,"মাছ নেবেন?"
    আমি বলি ,"পয়সা নেই।"
    মেছুনি বলবে ,"কোন ব্যাপার নেই।আপনি তো রোজ আসেন এদিকে।"
    আমাকে আড়াইশো টাকার ,দেড়শো টাকার মাছ কত বার ধারে দিয়েছে বলার নেই।
    অথচ আমি ওদের খুব পরিচিত নই।
    মেছুনি দুজন জন্ম সূত্রে হিন্দু ।

    আজ আমি এত হিন্দু মুসলমান কেন করছি।কারণ কিছু পোষ্ট পড়ে আমি অস্থির হয়েছি।তাদের মতে হিন্দু মুসলমানের মধ্যে বিদ্বেষ বাড়ছে।বেশির ভাগ অমুক সম্প্রদায়ের মানুষ সাম্প্রদায়িক।অমুক রা অমন করছে।
    তমুক রা অমুক করছে।

    আমাদের দেশের ্সাধারণ মানুষের মধ্যে কোন বিদ্বেষ নেই।আমার গর্ব আমি এখানে জন্মেছি।সাধারণ মানুষের মধ্যে এত মহান বস্তু রয়েছে তা খোঁজ রাখার ইচ্ছে এলিট সম্প্রদায়ের নেই।আমি মনে করি আমাদের দেশের শিকড়ে অসাম্প্রদায়িকতার বীজ রয়েছে।তাকে এত সহজে উপড়ানো যায়নি,যায়না,যাবে না।
  • aranya | 172.118.16.5 | ২৩ জুন ২০১৭ ২১:৫৪366503
  • নীলাঞ্জনের লেখাগুলো আরও অনেক ছড়িয়ে দেওয়া দরকার। প্রবাসী হিন্দু বাঙালী-দের জমায়েতে আজকাল এমন সব কথাবার্তা শুনি, সীমান্তে মুসলিম প্রধান জেলা গুলো - মালদা, মূর্শিদাবাদ ইঃ নিয়ে তাদের বড় চিন্তা, ওখানে সবাই নাকি পাকিস্তানে চলে যেতে চায়..
  • nilanjan sayed | 57.11.6.173 | ২৪ জুন ২০১৭ ১০:০৫366504
  • মাথায় ফেজ টুপি,মুখে ফ্রেঞ্চকাট দাড়ি,পরনে চুড়িদার ,গায়ে পাঞ্জাবী,হাতে ব্যাগ।ধপধপে ফর্সা।
    রাস্তা দিয়ে হাঁটছে।দেখা হল।
    হাসল,হেসে হাত বাড়িয়ে দিল,'আসসালামো আলাইকুম।'
    এক নাগাড়ে বলতে লাগল,'মেয়ে অসুস্থ,ইনফেকশন হয়ে গেছে।মারাত্মক ব্যাপার।কলকাতা হাসপাতালে আছে।'
    পিতার উদ্বিগ্ন স্বর।
    একটি মাত্র মেয়ে,সন্তান হওয়ার পর ভালোই ছিল ।হঠাৎ কি কারণে ইনফেকশন হয়ে মারাত্মক ধারণ করেছে।সরাসরি মেয়েটি কলকাতার স্থানান্তরিত।

    কিছুদিন আগে মেয়েটি এবং ওর কন্যা সন্তানের মুখ আমাকে দেখিয়েছিল।

    ও কথা বলতে বলতে হঠাৎ মুখটি কানের কাছে নিয়ে এসে বলল,'কি বলব বলো,বলতেও লজ্জা।ভাইরা এত শিক্ষিত অথচ জিজ্ঞেসও করল না ,আমার মেয়েটা কেমন আছে। দুনিয়াটা বড় অদ্ভুত ভায়া।'

    মাত্র তিন দিন হল আমাদের গ্রামের একটি ছেলে বাইক অ্যাক্সিডেন্টে মারা গেছে।এলাকায় শোকের ছায়া।ছেলেটি পঞ্চায়েত অফিসে কাজ করত।মাথায় সব সময়্ হেলমেট থাকত,খুব ধীরে গাড়ি চালাত।অথচ মৃত্যু হয়ে গেল।
    হাসপাতাল ,পুলিশ খুব সাহায্য করেছিল।দ্রুত পোষ্ট মর্টেম হয়ে গেল,তারপর দ্রুত কবর জানাজা সব সম্পন্ন হয়ে গেছিল।
    আমি জানতাম না।সন্ধের সময় পাশের গ্রাম গোকর্ণে ওষুধ কিনতে গিয়ে জানতে পারলাম ছেলেটি মারা গেছে।
    এলাকার সব চাইতে বড় ওষুধের দোকান।দোকানের মালিক আমার ক্লাশ মেট।মিন্টু দাস।ওখানেই জানতে পারলাম।
    মিন্টু আপশোষ করছিল,'খুবই ভাল ছেলে।যখনই পঞ্চায়েত অফিসে গেছি,দারুণ ভাবে সহযোগিতা করত।কখনও বলত কাকা আপনাকে থাকতে হবেনা,আমি ঐ পথ দিয়ে যাব ,তখন দিয়ে দেব।'
    কিছুক্ষণ থেমে মিন্টু বলল,'কতই বা বয়স ওর ,পঁয়ত্রিশ বছর মাত্র।'
    পাশে দাঁড়িয়ে ছিল একটি ছেলে।সে বর্ণনা করছিল কিভাবে আমাদের গ্রামের ছেলেটি মারা গেছে।
    তারপর বলল,'আমার আব্বা কিছুতেই বাইকে চাপতে দেয় না।একেবারে সহ্য করতে পারে না,আমার ভাইএর অ্যাক্সিডেন্টের পর থেকে।'
    আমি মিন্টুর দিকে তাকালাম ,মিন্টু বলল,'জীবন্তির কাছে একটা অ্যাক্সিডেন্ট ঘটেছিল তিনমাস আগে।'
    আবছা আবছা মনে পড়ল।
    ছেলেটি বলতে লাগল,'আমার ভাই এবং তার বৌ সন্তানকে নিয়ে বাইকে করে ডাক্তার দেখাতে গেছিল।ফেরার পথে জীবন্তির কাছে একটি কলকাতার বাস ধাক্কা মারে বাইক কে।পড়ে যায় ভাই,সেই অবস্থায় বাস ওর উপর দিয়ে চলে যায়।সঙ্গে সঙ্গে ডেড।ওর বৌ পরের দিন মারা যায়।সন্তান টা কেবল বেঁচে যায়।'

    ছেলেটি পড়ে ইংলিশ অনার্সে,এই ছেলেটিও পড়ে ইংলিশ অনার্সে।
    ঈদ কিংবা পুজোয় দুজনায় অংশ গ্রহণ করে।
    এই আশ্চর্য রকম বন্ধুত্ব আমি দেখিনি।
    দুজনেই একই থালায় খাবার খায়।
    দুজনেই যা কিছু সব কিছু মিলেমিশে করেন।

    চাতর ,গোপালনগর ইত্যাদি গ্রাম গুলোয় হিন্দু মুসলমান মিলেমিশে আছে।এখানে প্রচুর গল্প পাওয়া যায়।
    এই রকম গ্রামেই দেখেছিলাম কালীপুজোর মাইক এক ধর্মপ্রাণ এক মুসলমানের ছাদে বাজাতে দেখেছি।

    আমার বাইক খারাপ হয়ে গেছিল।রণগ্রাম ব্রিজে।সন্ধে তখন।তন্ময় মণ্ডলের গ্যারেজে দিতে হল বাধ্য হয়ে।পরের দিন তন্ময় জানাল বাইকের অনেক কিছু খারাপ হয়ে গেছে।
    আরেকজন অভিজ্ঞ মেকানিক কে ডেকে আনল।একই কথা সেও বলল।মোট খরচ প্রায়ই আড়াই হাজার।
    আমাকে বলল তন্ময় ,'আপনি টেনশন করবেন না।আমাকে ধীরে ধীরে দেবেন।'
    ঠাণ্ডা রাত।ওরা যখন মেরামত করছে তখন আমিও সাথে আছি।দশ টা বাজে।বাইরে তখন কনকনে ঠাণ্ডা।শাটার বন্ধ করে কাজ করছে ওরা।
    গাড়ি স্টার্ট নিল কিন্তু মাঝে মাঝে 'ফলস মারছে।'
    প্রধান মেকানিক বলল,'দাদা আর থাকবেন না।আপনি থাকবেন না,বাড়ি যান।আপনার গাড়ি সম্পূর্ণ ভাল করে তবে দেব ।আপনি পরের দিন পেয়ে যাবে।'
    তারপর সে ডাক দিল,'রতন, দাদাকে বাড়ি পৌঁছিয়ে দে।'
    রতন মণ্ডল প্রধান মেকানিক প্রকাশের ভাগনে।
    আমার বাড়ি থেকে তিন কিমি দূর তন্ময়ের গ্যারেজ থেকে।
    রতন আমাকে উড়িয়ে নিয়ে চলল,ঠাণ্ডা বাতাস কেটে।একেবারে বাড়িতে পৌঁছিয়ে দিল।
    তন্ময়ের গ্যারেজ এবং আমার বাড়ি,মধ্যখানে ধূ ধূ ফাঁকা মাঠের মাঝে পাকা রাস্তা।জনবসতি নেই।

    পরের দিন গাড়ি পেয়ে গেলাম।আগের চেয়ে ভাল চলছে।
    এবং তন্ময়ের ফি এখনও বাকি রয়েছে।একমাস হতে চলল।মুখ ফুটেও আমাকে চাইনি।

    এখন মাত্র সাত টা তেরো মিনিট বাজছে,অথচ মনে হচ্ছে গভীর রাত।এই মাত্র বাড়ি ঢুকলাম।
    বাবুলাল পালের বাড়ি থেকে প্রচুর ছেলে মেয়ে বেরোল।পিঠে বইয়ের বোঝা।একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছাত্রী।তারা এখন রাস্তা দিয়ে হাঁটছে।
    ছাত্রীগুলো সব মুসলমান।
    আপনারা অবাক হবেন শুনে রাত (গ্রীষ্মকালে)নটা সাড়ে নটার সময় এই মেয়েদের অনেকে সাইকেল করে বাড়ি ফেরে প্রাইভেট শেষে।

    বিশাল ক্যানভাসে এই সব মানুষ কে যখন দেখি তখন কোন ধর্ম দেখিনা,দেখি এই সব মানুষেরা বেঁচে থাকতে চায় ,পরস্পর কে ভালবেসে।লড়াই করে বাঁচে,কিন্তু বিদ্বেষ দেখিনা।
    অথচ যারা ছোট্ট দেশালাইয়ের খোপে বাস করে হাজার রকমের বিদ্বেষ ,হাজার রকম ঘৃণা দেখেন।
    তাঁদের চোখে এই মানুষেরা হিন্দু মুসলমান।
    সবচাইতে দুঃখজনক ব্যাপার সাহিত্যিক যাঁরা মানুষের গল্প বলেন ,কোন বিশেষ জাতের গল্প বলেন না,তাঁরা এই বিশ্রি ব্যাপারে যোগ দিয়েছেন।
    তাঁদের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা ,বিশ্লেষণী মনোভাব ,দার্শনিকতা সব হারিয়ে গেছে।

    তাঁরা এত সাধারণ হয়ে যাচ্ছেন,অথচ তাঁদেরই তো পথ দেখানোর কথা ছিল।

    তবুও আমি আশা বাদী।এই সাধারণ মানুষেরা আমায় আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে,শক্তি দিচ্ছে....তেনারা গোল্লায় যাক....
  • pi | 57.29.249.63 | ২৮ জুন ২০১৭ ০৮:২০366506
  • এইসব মানুষেরাই সংখ্যাগুরু, অন্যেরা খোপে থাকা ব্যতিক্রম, এরকমটা এখনো বিশ্বাস করতে ভাল লাগে।
  • ? | 193.82.199.156 | ২৮ জুন ২০১৭ ০৯:৩৩366507
  • অতি সম্প্রতি বাঙালী হিন্দুদের সঙ্গীঅক নৈশভোজে গিয়ে আমার অভিঞ্জতা সম্পুর্ন বিপরীত এবং আমি জোর গলায় প্রতিবাদ করায় আড্ডার সূর কেটে যায়। পরে বাড়ী ফিরে আমার স্ত্রীও আড্ডার মেজাজ নষ্ট করার জন্য অনূযোগ করেন। অর্থ্যাৎ লোকে অম্লান বদ্নে "ওদের" সম্বন্ধে ভুল বিষোদগার করলেও সেটা আমাকে মেনে নিতে হবে - আমি এই সামাজিকতা মানতে অস্বীকার করায় অসুবিধা।
  • aranya | 172.118.16.5 | ২৮ জুন ২০১৭ ২০:১৫366508
  • 'এইসব মানুষেরাই সংখ্যাগুরু, অন্যেরা খোপে থাকা ব্যতিক্রম, এরকমটা এখনো বিশ্বাস করতে ভাল লাগে' - একমত, বিশ্বাসের ব্যাপারে। তবে 'খোপে থাকা ব্যতিক্রম' বোধহয় নয়, মৌলবাদীরা যথেষ্ট সংখ্যাতেই আছে এবং বিবিধ কারণে সংখ্যাটা বাড়ছে, সারা পৃথিবীতেই
  • b | 24.139.196.6 | ২৮ জুন ২০১৭ ২২:১৫366509
  • @ ?
    আমি চুপ করে যাই। কোনো কথা বলি না।
    নইলে প্রায় সমস্ত ফ্যামিলি কানেকশন বন্ধ করে দিতে হবে। ফেসবুক থেকে ৭৫% বন্ধুকে আনফ্রেন্ড করতে হবে।
    এই হল মাইনরিটি হয়ে বেঁচে থাকা।
  • ? | 193.82.199.156 | ৩০ জুন ২০১৭ ০০:৩৪366510
  • @ব, পারিনা চুপ করে থাকতে, এমনিতেই বেশী বন্ধুও নেই, আত্মীয়্তাও নেই। আর এই পরের মন যুগিয়ে যেতে পারি না। বাড়ীতে বউয়ের পুজার জ্বালাই অস্থির। কবে আমরা আগে মানুষ হব কে জানে?
  • S | 202.156.215.1 | ৩০ জুন ২০১৭ ০২:৫০366511
  • আমারও এই ধরনের এক্সপিরিয়েন্স হয়েছে। সাম্প্রদায়িক কথাবার্তা আজকাল খুব জোড় গলায় বলা যায় দেখেছি। আর তাতে সমর্থনও আসে পোচুর। ঠিকই তো। অন্যরকম কথাবার্তা বললেই লোকে খুব অসন্তুষ্ট হয়।

    যুক্তি আর তথ্যনির্ভর তক্ক তো অনেকদিন আগেই মরে গেছে। জোড়ে একটা মিথ্যা কথা বললেই সেটা সত্যি হয়ে যায়। আর মতে না মিললে নেম কলিঙ্গ তো আছেই। আজকে আটার লাই ইজ বেটার দ্যান পলিটিকাল কারেক্টনেস।
  • Du | 182.58.105.220 | ৩০ জুন ২০১৭ ০২:৫৬366512
  • কেউ মানবে না কিন্তু বিজেপি আর সিপিএম একই রকম দল কারন আদর্শভিত্তিক এই ধরনের কথাগুলোর অবদানও রয়েছে। অন্তত বাংগালী সার্কলে তো বটেই।
  • nilanjan sayed | 57.11.1.194 | ১১ জুলাই ২০১৭ ১১:৫৫366513
  • প্রথম খবর টা আল্লারাখাই দিল।
    "স্যার আমাদের একটা গরু ছিল না,তার আজ বাচ্চা হয়েছে।
    চোখে মুখে উৎফুল্ল ভাব।
    স্যার জিজ্ঞেস করলেন ,"কখন হয়েছে?"
    আল্লারাখা বলল,'ভোর বেলা।আব্বুই খবর দিল।আমি তখন ঘুমিয়ে ছিলাম।"
    আবার ও বলল,"স্যার গরুর বাচ্চা রা অদ্ভুত ধরনের।"
    স্যার -কেন?
    আল্লারাখার চোখে মুখে শিশুর সারল্য মাখা বিস্ময়।বলল,'জন্মাবার কিছুক্ষন পরে টলমল করে উঠতে যাচ্ছে।তার এক ঘন্টা পরে হাঁটছে।
    আর স্যার অ্যা টা গোবরের মত নয় ,মানুষের মত।"
    বলেই চুপ করে গেল।ব্যাপার টা বাজে জায়গায় পৌঁছে গেল।স্যার কে বোধহয় হাগুর ব্যাপার টা বলা ঠিক হল না।সে দুলে দুলে পড়তে শুরু করল।
    এটা হল হল গিয়ে সকাল আট টার কথা।
    দশ টায় খেয়ে দেয়ে আল্লারাখা স্কুল চলে গেল।বিকেল বেলা ছুটতে ছুটতে এসে বই গুলো টেবিলে ছুড়ে দিয়ে গোয়াল ঘরে হাজির।দেখে বাছুর টা নেই।
    মা কে জিজ্ঞেস করল,"মা বাছুর টা কই?"
    মা বললেন,"তোর আব্বু বাগানে নিয়ে গেছে।"
    বাগানে গিয়ে দেখে বাছুর টা ছুটে বেড়াচ্ছে।অবাক হয়ে গেল দেখে।সে হাত তালি দিয়ে উঠল।আব্বু মৃদু হাসলেন।
    বাছুর টার মুখ টা একেবারে শিশুর মত।কি সুন্দর।
    আব্বু কে বলে ,'আব্বু আমি পুশবো।
    আব্বু বললেন,"ঠিক আছে।"
    আল্লারাখা একমাত্র সন্তান।খুবই আদরের।ও একটু অসুস্থ ।প্রতি মাসে নিয়মিত ডাক্তারের কাছে যেতে হয়।ওর একেবারে মরে যাবার কথা ছিল।
    ডাক্তারের অসম্ভব দক্ষতার সঙ্গে চিকিৎসা করায় ও বেঁচে গেছে।কলকাতার ডাক্তার ওকে বাঁচিয়েছিল।
    নামটা ওর মনে আছে অর্জুন চৌধুরী।
    ডাক্তার বাবুর সঙ্গে এত বন্ধুত্ব হয়ে গেছিল যে এখনও মাঝে মাঝে ওকে ফোন করেন।
    আল্লারাখার বেশি দৈহিক পরিশ্রম ,ওকে প্রহার একেবারেই করা যাবে না।পার্থ কাকু বলে দিয়েছেন।
    সেই কারণে আব্বু ওকে বলে দিয়েছেন,"তুমি আদর করবে।কিন্তু বাছুর খাওয়ানো,ওর দেখাশুনোর কাজ কালু করবে।তুমি সাথে যাবে ,দেখবে ব্যাস।
    আল্লারাখা শুনে খুব খুশি হল না।বলল,"আমি মাঠ থেকে ঘাস কেটে নিয়ে আসব।খাওয়াব।"
    আব্বু হাসলেন,"একটু বড় হোক তারপরে।এখন ও মায়ের দুধ খাবে।"
    বাছুর কে যেভাবে দুধ খাওয়ায় সে টা পছন্দ করে না।
    গোয়ালা দুধ দুইতে আসে তখন বাছুর কে দড়ি দিয়ে টেনে ধরে রাখা হয়,যেতে দেওয়া হয়না ওর মার কাছে।গোয়ালা বাঁটের নীচে বসে দুই জাংয়ে পাত্রটা ধরে রাখে।হাত দিয়ে বাঁট টানে।দুধ পাত্রে পড়ে।
    আল্লারাখার বাচ্চাটার জন্য কষ্ট হয়।আহা দুধ খাওয়ার জন্য ছটপট করছে আর কালু বদমাস দড়ি দিয়ে টেনে ধরে রাখে,যেতে দেয় না।
    গোয়ালার দুধ দোয়ানোর পর কালু ছেড়ে দেয় বাছুর কে ।ও ছুটে গিয়ে মায়ের কাছে গিয়ে দুধ টানতে থাকে ।মাঝে মাঝে খেতে খেতে ঢুঁসো মারে।মা নির্বিকার।
    আল্লারাখার মনে হয় গোরুর মুখে শরীরে স্নেহ ভাল বাসা ঝরে পড়ছে।

    বাছুর টা একটু বড় হল।কালু ওকে মাঠে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে যায়।আল্লারাখা সঙ্গে যায়।
    একদিন বিকেলে বাছুর এবং ওর মাও গেছে।ঘাস খাচ্ছে।ওর মাকে দড়ি দিয়ে বাঁধা,বাছুর টা খোলা আছে।সেদিন কি হল বাছুর টা ছুট লাগাল মাঠ দিয়ে ।ঊর্ধশ্বাসে ছুট।কালুও ছোটে পিছন পিছন।
    আল্লারাখার মজা লাগে ।সেও খোলা মাঠে মুক্তির স্বাদ অনুভব করে।সেও কালুর পিছন পিছন ছোটে।দেখতে কালু কাঁদছে ছুটতে ছুটতে।ধরতে পারছে না।
    কালু আল্লারাখার চেয়ে কিছু টা বড়।বারো তের বছর বয়স।
    একদিন সকালের দিকে মাস্টার মশাই বারান্দায় পড়াচ্ছেন ।আল্লারাখা বলল,"স্যার ঐ দেখুন শুভ্রকে ।কত বড় হয়ে গেছে।"মাস্টার মশাই চমকে বাইরে তাকান,দেখেন একটা ধপধপে সাদা গরু চরছে।ঘাস খাচ্ছে।
    মাস্টার মশাই বললেন,"আরে এতো একেবারে গরু হয়ে গেছে।"
    আল্লারাখা বলল,'স্যার ওকে গরু বলবেন না,ও হল শুভ্র।"
    মাস্টার মশাই বুঝলেন গরু বলাতে আল্লারাখার খারাপ লেগেছে।
    আল্লারাখা ওকে ঘাস ,খোল খাওয়ায়।এগুলো করার অনুমতি দিয়েছেন আব্বু।
    আর গরু টা কেমন দিন কে দিন আল্লারাখার বাধ্য হয়ে উঠেছে।
    আল্লারাখা বলে,"শুভ্র কাম হেয়ার ।"শুভ্র চলে আসে ।ওর গলা জড়িয়ে ধরে আদর করে ,মাথায় হাত বুলিয়ে দেয় ।শুভ্র চুপ চাপ থাকে।

    একদিন রাতে আল্লারাখার বাবা ওর মাকে বলছেন,"একটা ভাল খদ্দের পেয়েছি।শুভ্রকে বিক্রি করে দেব।"
    মা বললেন,"আল্লারাখার কথা ভেবেছ ,ও মেনে নেবে?
    -মেনে নেবে না কেন।ও তো আর ছোট নয়।ঠিক বুঝবে।"

    পরের দিন স্কুল থেকে ফিরে ছুটে গোয়াল ঘরে যায় ।ও আজ ভেবেছে নিজে খাওয়াবে শুভ্রকে।
    গিয়ে দেখে শুভ্র নেই।
    মাকে চেঁচিয়ে জিজ্ঞেস করে ,"মা।শুভ্র কোথায়?"
    মা রান্না করতে করতে বলেন,"তোর আব্বু বিক্রি করে দিয়েছে।"
    কথাটা বুকে ধক করে লাগে।আল্লারাখা ফের বলে,"মা তুমি কি বললে?"
    মারও খুব কষ্ট হচ্ছে বলতে,"তোর আব্বু বিক্রি করে দিয়েছে।বলেছে চিন্তা করতে বারণ করবে ।আরেক টা কিনে আনবে।"
    কোন কথা কানে যায় না আল্লারাখার।সে কাঁপতে আরম্ভ করে।তারপর দড়াম করে পড়ে গেল মেঝেতে।মা ছুটে আসেন।মুখে চোখে জল দেন।ওকে বারান্দার চৌকিতে বসান।আল্লারাখার চোখ মুখ অস্বাভাবিক, কেবল একটি কথা মুখ থেকে বেরোল"আমার ভাই চলে গেল ,আমার আর কিছু থাকল না।"
    তারপর কিছুক্ষণ পরে আবার পুনরাবৃত্তি,"আমার ভাই চলে গেল আমার আর কিছু থাকল না।"
    তখন চারিদিকে অন্ধকার নেমে এসেছে....
  • nilanjan sayed | 57.11.11.153 | ২৯ আগস্ট ২০১৭ ১৪:১৬366514
  • মেয়েটির মা আমার সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিল।তেরো অথবা চোদ্দ বছর বয়স।
    মাথায় ওড়না জড়ান।জড়ো সড় ভাব।
    মা বলল,"সাত দিন পরে চলে যাবে।"
    পাশ দিয়ে নদী তির তির করে বয়ে চলেছে।দূরে ধুপ করে তাল পড়ার শব্দ শোনা গেল।
    মা বলেই চলেছে,'আমার মেয়ে বুদ্ধিমান।'
    আমি জিজ্ঞেস করলাম,"কোন ক্লাশে পড়ে?"
    মা একটু লজ্জা পেল,তারপরে জিজ্ঞেস করল ,'কোন ক্লাশে পড়িস?'
    মেয়েটি যা বলল,তা একবর্ণ বুঝতে পারলাম না।
    আমি নিজেই জিজ্ঞেস করলাম ,"কোন ক্লাশে পড়ে?"
    মেয়েটির মা বলল,"মাদ্রাসায় পড়ে।'
    আমি জিজ্ঞেস করলাম,'সরকারি মাদ্রাসা?
    ওর মা বলল,"না ,প্রাইভেট মাদ্রাসা।"
    আমি সামান্য অবাক।একটা অল্প বয়সী মেয়েকে বাইরে রেখে পড়াশুনো করানো হচ্ছে।
    সেখানে মেয়ে কি শেখে।
    "প্রথম দুই বছর বাংলা বিজ্ঞান শিখেছে।তারপর কেবলই হাদিশ ,উর্দু আরবিতে ধর্মীয় বই।"
    আমি চমকে গেলাম।
    এই পাঁচ বছর পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন বিজ্ঞান ,অংক,আধুনিক শিক্ষা থেকে।
    "আপনার মেয়ের জীবন কে ধ্বংশ করে দিচ্ছেন।
    "না মুসলমান মেয়েদের এগুলো প্রয়োজন আছে।"
    আরে এ নিয়ে কথা বলছিনা কিন্তু আধুনিক শিক্ষার তো প্রয়োজন।আলামিন মিশনও তো আধুনিক শিক্ষার উপর জোর দিচ্ছে।
    আধুনিক শিক্ষা না থাকলে তো আপনার মেয়ে এই
    সমাজের সঙ্গে তাল মেলাতে পারবেনা।
    অন্ধকারে নিক্ষিপ্ত হবে।
    মেয়েটির মা বুঝল।বলল,'আমরা ভেবেছিলাম বাংলা ইংরেজি বিজ্ঞান শেখাবে ,সেই ভেবে ভর্তি করিয়েছিলাম।এখন দেখছি তা নেই।"
    -আপনার মেয়েকে ছাড়িয়ে আনুন।এখানে ভর্তি করিয়ে দিন।

    আমি ভাবতে পারিনি মুসলিম সমাজে আরেকটা সমান্তরাল শিক্ষা ব্যবস্থা চলছে।যখন এক রাবেয়া যাচ্ছে চিকিৎসা বিজ্ঞানে পড়াশুনো করতে,আরেক রাবেয়া মাথায় ঘোমটা টেনে হাজার বছর আগের স্থবির শিক্ষায় মগ্ন।
    দুই রাবেয়ার মধ্যে মানসিক গ্যাপ এক আলোক বর্ষের।
    হয়তো এই শিক্ষা ব্যবস্থা খুব টিম টিম করে চলছে,তবুও মুসলমানদের ভাবা প্রয়োজন এটা নিয়ে....
  • aranya | 172.118.16.5 | ২৯ আগস্ট ২০১৭ ২০:৪৩366515
  • 'প্রথম দুই বছর বাংলা বিজ্ঞান শিখেছে।তারপর কেবলই হাদিশ ,উর্দু আরবিতে ধর্মীয় বই।'
    - বাংলার মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের কত % এধরনের মাদ্রাসায় পড়ে, সে নিয়ে কোন তথ্য আছে?

    নীলাঞ্জনের লেখাগুলো ভাল লাগে।
  • Du | 182.58.67.203 | ৩০ আগস্ট ২০১৭ ০২:১১366517
  • কেন যে বড়োরা অনেকেই বাচ্চাবেলাটা ভুলে যায় ঃ( বাবারা কি একটু বেশিই ভোলে ঃ(
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন