এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ফুটপাতে ফোটে কৃষ্ণচূড়ার দিনঃ নবান্ন অভিযানের একটি প্রত্যক্ষ বিবরণী

    প্রত্যক্ষদর্শী
    অন্যান্য | ২৩ মে ২০১৭ | ২৫৩৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • প্রত্যক্ষদর্শী | 55.124.6.223 | ২৩ মে ২০১৭ ১৯:১১366695
  • "আক্রান্ত মরীয়া শব্দ ও আমার কেন্দ্রীয় কমিটি,
    কমরেডদের কষ্ট দাও, আমাকে অনিদ্রা"
    -জয়দেব বসু (জনগণতান্ত্রিক কবিতার ইশতেহার- সাত)

    ৪১ ডিগ্রি তাপমাত্রায় গনগনে আগুণ তখন আকাশ থেকে নয়, ফেটে পড়ছিল মিছিলের টকটকে লাল মুখগুলো থেকে। প্রবল রাগে একটা লাখখানেক লোকের মিছিল তখন দমবন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছে বিদ্যাসাগর সেতুর মুখে। শেষ পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। সেতুর ওপর জলকামান নিয়ে পুলিশবাহিনী ব্যারিকেডের ওপারে মূর্তির মতন দাঁড়িয়ে। যুদ্ধশুরুর ঠিক আগে যেরকম দেখা যায়।

    একদম ব্যারিকেডের কাছে যে দলটা আমরা চলে গিয়েছি, তাদের সকলের ব্লাড প্রেশার তখন মনে হয় ১৫০ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। একটু পেছনের মাটাডরটা থেকে তখন নির্দেশ আসছে, 'কমরেডরা আপনারা ধৈর্য ধরুন। ব্যারিকেড ভাঙতে হবে সুশৃঙ্খলভাবে।" কিন্তু তখন কেউ আর ধৈর্য ধরবার অবস্থায় ছিল না। হাত থেকে হাতে নিঃশব্দে পাচার হয়ে যাচ্ছিল লাল পতাকা। অনেকেই সম্ভবত বাড়ি ফিরবে বলে বেরয়নি। বাঁশের বড় বড় খাঁচাগুলোকে হাতে ধরে পজিশন নিয়ে নিয়েছে কমরেডরা। এক লাখ লোকের সমবেত শ্বাসপ্রশ্বাসটুকু তখন রেসকোর্সে ছাড়িয়ে গঙ্গার ওপর ছিটকে পড়ছে। রাজপথ পিছলে যাচ্ছে ঘামে।

    হঠাৎ আওয়াজ উঠল, "ব্যারিকেড ভাঙ্গুন"। রে রে করে উন্মত্তের মত এগিয়ে গেল লোকজন। কিন্তু লোহার শক্ত ব্যারিকেড, স্ক্রু দিয়ে আটকানো। কোনোভাবেই বাঁশের খাঁচা দিয়ে ধাক্কা মেরে ভাঙ্গা যাচ্ছে না। বন্যার মত তখন কমরেডরা নিজেদের শরীর নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লেন ব্যারিকেডের ওপর। তাতেও লাভ হল না। ততক্ষণে একটা দল রাস্তার ডিভাইডার টপকে ডানদিকে চলে গেছে। ওইদিককার ব্যারিকেড ভাঙবে বলে। আমিও টপকালাম। ডানদিকে দৌড়তে দৌড়তে দেখছি আমার পাড়ার যুবনেতা সিদ্ধার্থদা ছুটতে ছুটতে মিলিয়ে গেল ব্যারিকেডের সামনে। ওইদিকটায় এগোতে যাব, প্রথম টিয়ার গ্যাসটা ফাটল। ধোঁয়ায় ঢেকে গেল চারপাশ। চোখ অল্প জ্বালা করছে, প্রথম লাঠিটা পিঠে খেলাম তখন। ধোঁয়ার ভেতর আর এগনো যাবে না বুঝে আবার রেলিং টপকে রাস্তার মাঝে চলে এলাম।

    পরে শুনেছি, সিদ্ধার্থদা ব্যারিকেডের একদম সামনে গিয়ে আরও হাজার হাজার কমরেডের সঙ্গে হাত দিয়ে ঝাঁকাতে শুরু করেছিল । কিছুক্ষণের জন্য ব্যারিকেড এবং পুলিশ উভয়েই ছত্রভঙ্গ হয়ে গিয়েছিল। একটা ব্যারিকেড ভাঙ্গা হয়েছে। পুলিশ তখন পাগলের মত লাঠি চালাতে শুরু করল। সঙ্গত হিসেবে আধলা ইঁটের বৃষ্টি। মিছিল থেকে তখন চিৎকার উঠেছে, 'খানকির ছেলেরা টিয়ার গ্যাস চালাচ্ছে। শুয়োরের বাচ্চাদের মেরে ফেল'। উ ল্টোদিক থেকে কমরেডরা ইট ছুঁড়তে শুরু করল পালটা। আমি রাস্তার মাঝখান দিয়ে দৌড়চ্ছি, পেছনে পুলিশ তাড়া করে আসছে। মাঝখানের ব্যারিকেড যারা ভাঙছিল তাদের রাস্তায় ফেলে পেটাচ্ছে পুলিশ।সেই দৌরের মাঝেই দেখলাম ব্রিজে ঠিক ওঠার মুখটায় পুলিশ একটা গ্যাসের শেল ফেলল, আর কুড়ি একুশ বছরের এক তরুণ সবকিছু অগ্রাহ্য করে ছুটে এসে সেই শেল হাতে তুলে পালটা ছুঁড়ে দিল পুলিশের দিকে। সব পুলিশের মাস্ক ছিল না। তারা আবার পিছু হটল। কিন্তু সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে এবার ছুটে আসল মুখোশধারীরা। এবার পালাতেই হবে। ধরতে পারলে হাড়গোড় ভেঙ্গে দেবে। হাজার হাজার গলায় তখন আওয়াজ উঠেছে "ইনকিলাব জিন্দাবাদ", "খানকির ছেলেদের গাঁড় মেরে দে"। বিপদ বুঝে ব্রিজ টপকে লাফ দিয়ে নামলাম রাস্তার বাঁদিকে।

    ভেবেছিলাম বাঁদিকটা ফাঁকা পাব। কিন্তু সেখানে তখন অন্য বিপদ। শেল ফাটার আওয়াজ শুনে ব্রিজের নিচে যেসব কমরেডরা ছিলেন তাঁরা ভেবেছিলেন গুলি চলছে। হুড়োহুড়ি করে দৌড়তে গেছেন। একটা পুলিশের ভ্যান ছিল, তার কাচ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। পিলপিল করে পুলিশ এগিয়ে আসছে। আমার আশেপাশেই ছিল আমার বোন। সে ভিড়ের মধ্যে কোথায় ছিটকে গেছে। পাশেই তখন দৌড়চ্ছে আরেক কমরেড রেশমি। চিৎকার করে বললাম "মুখ ঢাক, এখুনি গ্যাস আসবে'। রেশমি ওড়না দিয়ে মুখ ঢেকে ভিড়ের মধ্যে ঢুকে গেল। আর তখন ঠিক বাঁপাশে কয়েক ফুট দূরত্বে শেলটা ফাটল। গ্যাস আগেও খেয়েছি কিন্তু এরকম টিয়ার গ্যাস দেখিনি। চোখ মুখ নাক ঝাঁঝের চোটে অন্ধকার, অনেকে বমি করছে। দুজনকে দেখলাম রাস্তায় পড়ে গেলেন বমি করতে করতে। পুলিশ তার মধ্যেই এক বৃদ্ধকে লাঠি মেরে তাঁর চশমা পা দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়ে বলছে "শুয়োরের বাচ্চা কতবার বারণ করেছিলাম দাঁড়িয়ে থাকতে?” আর্ধেক জিনিস তখন দেখতে পাচ্ছি না। এগোতে গিয়ে প্রবল ধাক্কা খেলাম। রাস্তায় পড়ে গেছি। কাঁধ ছিঁড়ে যাচ্ছে যন্ত্রণায়। কোনোমতে চোখ মেলে দেখি এক বয়স্ক কমরেড লাল পতাকা শুদ্ধু আমার কাঁধে এসে পড়েছেন। তাঁকে ধরে উঠতে যাব, পরপর লাঠির বাড়ি এসে পড়ল পিঠে আর কাঁধে। অন্ধের মত হাত দিয়ে সামলাতে গেলাম, আঙুলে ধরাম করে লাঠি এসে পড়ল। যন্ত্রণায় ব্রহ্মতালু পর্যন্ত চিড়িক দিয়ে উঠল।

    দৌড়তে দৌড়তে দেখলাম, এজেসি বোস ফ্লাইওভার যেখানে শেষ হয়েছে, সেখান থেকে পুলিশের দিকে বন্যার মত ইঁটবৃষ্টি হচ্ছে। সঙ্গে স্লোগান "ইনকিলাব জিন্দাবাদ", "সিপিএম জিন্দাবাদ", "পুলিশের মা চুদে দে"। পুলিশ ওদিকটা এগোতে না পেরে আমাদের দিকে চলে আসল, যারা ফুটপাতের কাছে ছিলাম। আমরা অনেক বেশি ভালনারেবল ছিলাম যাদের মারা সহজ। কিন্তু যারা একদম মুখোমুখি ছিল, সিংহের মত লড়েছে। পরে শুনেছি, পুলিশকে ওই জায়গাটার পজিশন ক্যাপচার করতে সবথেকে বেশি সময় লেগেছিল।

    পিটিএস-এর গলিতে ঢুকে পড়ে ফুটপাতের ওপর বসে আছি, চোখ জ্বলছে, দেখলাম হাঁফাতে হাঁফাতে বোন আসছে। পুলিশ এক বৃদ্ধকে যখন পেটাচ্ছিল, ও তখন পুলিশের লাঠি কেড়ে নিয়ে চিৎকার করে বলেছে "মাদারচোদ লজ্জা করে না বুড়ো মানুষের গায়ে হাত তুলিস?” আর যায় কোথায় ! সঙ্গে সঙ্গে তিন চারজন পুলিশ ঘিরে ধরে মেরে হাত ফুলিয়ে দিয়েছে। এতই লেগেছে যে ঠিকমত কাঁদতেও পারছে না। ফোঁপাতে ফোঁপাতে বলছে শুধু "একটাকেও পালটা মারতে পারলাম না"।

    পিজিতে আসলাম। ততক্ষণে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়েছে হাতে। পিজির সামনে আহত কমরেডদের ভিড়ে ছয়লাপ। মেয়েরা হাউহাউ করে কাঁদছে অনেকে। অনেকেই রাগে ফুটছে। সিদ্ধার্থদা শেল তুলে পুলিশের দিকে ছুঁড়ে দিয়েছিল বলে কোমরে এমন লাঠি খেয়েছে যে যন্ত্রণায় দাঁড়াতে পারছে না। রেশমিকে মাটিতে ফেলে পেটে পা চালানো হয়েছে। এখনো বমি করছে। অমিতের পিঠ ফেটে গেছে লাঠির মারে। ইমার্জেন্সিতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে দেখলাম, স্ট্রেচারে দুজন পুলিশ শুয়ে। একজনের কপাল ফেটেছে, একজনের হাত ভেঙেছে। মার আমরা ফিরিয়ে দিয়েছিলাম।

    হ্যাঁ, কাল কলকাতায় যেটা হয়েছে সেটা স্ট্রিট ফাইট বাদে আর কিচ্ছু ছিল না। আর যুদ্ধের নিয়ম মেনেই, একবার আমরা এগিয়েছিলাম, একবার পুলিশ।কিন্তু যে কমরেডরা নিজেদের শরীরটাকে বোমার মতন ব্যারিকেডের ওপর ছুঁড়ে দিচ্ছিলেন, লাল পতাকা কাঁধে যে মেয়েটা দৌড়তে দৌড়তে এসে আধলা ইট ছুঁড়ে মারল পুলিশের দিকে, তাদের কারোর নাম ইলা মিত্র, কারোর নাম কংসারি হালদার, আবার কারোর নাম ছিল মহম্মদ আমিন। আর তারা কাল সকলেই একটা মেসেজ দিয়ে গিয়েছে। আমি কাল পুলিশের চোখে ভয় দেখেছি । প্রাণের ভয় নয়। পরিচিত খেলার ছক ভেঙে যাবার বিপন্নতা। গ্রাম থেকে আসা বহু কমরেডের পায়েই জুতো ছিল না। এতই গরীব যে জুতোটুকুও কেনবার পয়সা নেই। কিন্তু খালি পায়েই যখন ব্যারিকেডের ওপর লাথি মারছিলেন, সেই একটা শব্দের মেসেজটা স্পষ্ট বুঝে গিয়েছিল পুলিশ। ছক ভেঙে যাবার ভয় তাই অত প্রবলভাবে ধরা পরেছিল তাদের চোখেমুখে। মেসেজটার নাম 'শ্রেণিযুদ্ধ'।

    কালকের কলকাতার সঙ্গে কাশ্মীর অথবা তাহিরির স্কোয়ারের কোনও তফাত ছিল না। এত লড়াই কলকাতা বহুদিন দেখেনি। এত প্রেম কলকাতা বহুদিন দেখেনি।

    (সব নাম পরিবর্তীত)
  • s | 108.209.202.160 | ২৪ মে ২০১৭ ০৬:১৬366706
  • অনবদ্য লেখা।
    কিন্তু প্রশ্ন সেই একই। এখানে প্রতিদ্বন্দী তো পুলিশ না, পুলিশের পেছনে যারা আছে, তারা। এই পুলিশের সংগে লড়ার বাঁধাধরা নিয়মটাকে ভেঙে, যারা আসল শত্রু, তাদের মোকাবিলা কিভাবে করা যাবে? ভোটের বাক্সে তো সে মোকাবিলা করা যাচ্ছে না।
  • প্রত্যক্ষদর্শী | 149.5.231.135 | ২৪ মে ২০১৭ ০৯:০৮366717
  • যারা আসল শত্রু, কালকের পুলিশ তাদেরই অংশ ছিল। আমরা এমন কথা ভাবিনি যে নবান্ন পর্যন্ত পৌঁছতে পারব। ইন ফ্যাক্ট, ব্রিজের ওপর ওঠাটাই সুইসাইডাল হত, কারণ দুইদিকে ব্যারিকেডের মধ্যে ইঁদুরের মত আটকা পড়ে যেতাম । তখন ব্রিজের ওপর থেকে লাফ দেওয়া ছাড়া উপায় থাকত না । কিন্তু লক্ষ্য ছিল ব্যারিকেড ভাঙ্গা, একটা ভয়াবহ স্ট্রিট ফাইট পুলিশকে উপহার দেওয়া । আর এটাই দিনের পড় দিন করে যাওয়া, যাতে তিষ্ঠতে না পারে । আমরা স্ট্রিট ফাইট করে উঠে এসেছিলাম ekokale। এটা ছাড়া আর কী-ই বা করতে পারি !
  • Somnath Roy | ২৪ মে ২০১৭ ১০:৩৩366728
  • ভালো লাগল। কিন্তু এই রেজিস্ট্যান্সটা দিতে ৬ বছর লেগে গেল কেন? তবে এই স্ট্রিট ফাইট দিনের পর দিন চললে বেশ উপভোগ্য হবে। রাম থেকে বামের দিকে স্পটলাইট ঘুরলে মঙ্গলই।
  • Somnath Roy | ২৪ মে ২০১৭ ১০:৩৫366739
  • কাল মিছিলে নাকি সুমিত তালুকদার আর ঋতব্রত ব্যানার্জী একই ইঁট থেকে আধলা ভেঙে পুলিশের দিকে ছুঁড়েছে, সিপিএমের এটাও কিন্তু বিরাট পাওনা।
  • যোগরূঢ় জগঝম্প | 131.241.218.132 | ২৪ মে ২০১৭ ১০:৪১366750
  • সুমিত কলকাতায় নেই। ক্যালকমীয় বালবাজারির দরকারও নেই এখানে।

    যাকগে - যেটা বলার ছিলো - সেদিন যাদের দেখলাম, বয়স্ক, মহিলা, অল্পবয়সী ছেলেমেয়েগুলো - তাদের সবাইকে টুপি খোলা সেলাম। হ্যাঁ, আমরা আবার যাবো, আবার মার খাবো - কতদিনে লাঠি ভেঙে টুকরো হয় দেখবো।
  • Somnath Roy | ২৪ মে ২০১৭ ১০:৫১366761
  • ঋতব্রতও কলকাতায় নেই?
  • নয়নতারা | ২৪ মে ২০১৭ ১১:১৪366772
  • যাক, ৬ বছর লাগলো বটেই, কিন্তু প্রতিবাদের শিরদাঁড়া খুঁজে পেলেন কিছু নবীন ।
    কোনো অপোজিশন না থাকা মারাত্মক । আশাকরি, নেক্সট ইলেকশন-এ যোগ্য অপোজিশন পার্টি হতে পারবে কমরেডস !
    ইনকিলাব জিন্দাবাদ !
  • পত্রব্রত ব্যানার্জী | 178.235.206.71 | ২৪ মে ২০১৭ ১১:১৭366778
  • আমি তখন আধলা ইট দিয়ে কুমিতের অফিসে চিঠি লিখছিলাম।
  • Somnath Roy | ২৪ মে ২০১৭ ১১:২১366696
  • আচ্ছা এই ছদ্মনামে লেখা কি সালকিয়া প্লেনামের পথ পরিত্যাগ করে গোপন ও ষড়যন্ত্রমূলক হয়ে ওঠার পুনর্প্র্যাকটিস?
  • T | 165.69.199.255 | ২৪ মে ২০১৭ ১১:২৪366697
  • ইদানীং খাগড়াগড় নিয়ে কিছু হচ্চে না? কবিরা যে শুকিয়ে যাচ্ছেন!
  • গজেন্দ্র কুমার মিত্র | 116.67.37.133 | ২৪ মে ২০১৭ ১১:২৬366698
  • এত চমৎকার গদ্য এখনো লেখা হয় ? প্রত্যক্ষদর্শী বাবু মিত্র ঘোষে গিয়ে যোগাযোগ করবেন ভানুর সাথে । ভানুকে বলবেন , গজেন মামু পাঠিয়েছে ।
    বেশ সুন্দর কল্পনা শক্তি । খুব ভালো
  • Somnath Roy | ২৪ মে ২০১৭ ১১:২৭366699
  • এটা তিয়েনান্মেনের থ্রেড, এদ্দিন ঘোরার পর এবার দাঁড়াচ্ছে, খাগড়াগড় ফড় এর কাছে লাগে!
  • গজেন্দ্র কুমার মিত্র | 116.67.37.133 | ২৪ মে ২০১৭ ১১:২৮366700
  • বাংলা সাহিত্যর আকাল দূর আপনিই করবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস ।
  • j | 151.197.16.185 | ২৪ মে ২০১৭ ১১:৩০366701
  • প্রফেট পুলিশ দিয়ে পেটানোটা জাস্টিফাই করার পরই ...... ছন্দে ছন্দে
  • সুকান্ত ভট্টাচার্য্য | 116.67.37.133 | ২৪ মে ২০১৭ ১১:৩৬366703
  • গজেন খচ্চরের পাজি বুর্জেয়া প্রেত কে লাথি বিতাড়িত করে আমি এসেছি কমরেড !
    দিকে দিকে কমরেড গড়ে তোল , থুড়ি , ভেঙে ফেল ব্যারিকেড !
    বুধো টা চিরকালই বোকার হদ্দ! ওটাকে আর মাতব্বরি করতে দিও না !
    লাল সেলাম
  • T | 165.69.199.255 | ২৪ মে ২০১৭ ১১:৩৬366702
  • আহা খাগড়াগড় কোথায় কার দাঁড় করাচ্চে তাই জিগালুম। না বললেও চলবে?
  • T | 165.69.199.255 | ২৪ মে ২০১৭ ১১:৩৭366704
  • দাঁড়ি, কোশ্নো নয়।
  • প্রতিবিপ্লবী | 57.15.11.234 | ২৪ মে ২০১৭ ১১:৪২366705
  • আগের বছর নবান্ন- লালবাজার অভিযানের পর কমরেডরা আচমকা জেগে উঠেই রামের তলায় আশ্রয় নিয়েছিলাম।এবার ওরকম হবে না বলেই দৃঢ় বিশ্বাস।
  • রোবু | 213.132.214.88 | ২৪ মে ২০১৭ ১১:৪৫366707
  • ট্রোলরা জেগেছে দেখে বোঝা যাচ্ছে সঠিক পথ নেওয়া হয়েছে।
  • ebar Manchester | 174.100.41.2 | ২৪ মে ২০১৭ ১১:৪৬366708
  • এবার কোবতে ম্যানচেস্টার নিয়ে আসবে। খাগড়াগড় একে তৃতীয় বিশ্ব তার সাথে পুরোনো খবর। এবার শান্তিজল পড়েছে প্রথম বিশ্বে। কোবতে হবে আঁতলামো হবে ইশতেহার মার্ক গল্প লেখা হবে।
  • প্রতিবিপ্লবী | 57.15.11.234 | ২৪ মে ২০১৭ ১১:৪৭366709
  • পথ নিয়ে কোনো বিতর্ক আছে নাকি?
  • পোঁদ দাসগুপ্ত | 116.67.37.133 | ২৪ মে ২০১৭ ১১:৫২366710
  • এই সব কবি সাহিত্যিক দিয়ে রাজনীতি হয় না । তাই নিজেই চলে এলাম কমরেড ।
    সুকান্ত বখাটে ছোকরা এরকম একটি রক্তক্ষয়ী আন্দোলন নিয়ে খিল্লি করছিল !
    যাই হোক কমরেড আমাদের দাবী লাশ কেন পাওয়া গেল না ?
    পুলিশদের বন্দুকে কি নিরোধ লাগানো আছে ? লাশ না দেওয়ার এই সাম্রায্যবাদী চক্রান্তের বিরুদ্ধে গর্জে উঠুন কমরেড !
    লাল সেলাম
  • লাল সেলাম | 126.203.209.140 | ২৪ মে ২০১৭ ১১:৫৬366711
  • আমাদের এত কিছু দূর্দান্ত পরিকল্পনার পরেও জ্যোতিবাবুর বাম সরকারের ২১শে জুলাই-এর মতো, এই সরকার গুলি চালালো না কেন জবাব দাও। কলকাতা পুলিশ দূর হটো।
    জবাব চাই জবাব দাও। এই জবাব তোমায় দিতে হবে, নইলে চাকরি ছাড়তে হবে।
  • পোঁদ দাসগুপ্ত | 116.67.37.133 | ২৪ মে ২০১৭ ১২:০১366712
  • প্রয়োজনে নিজেরাই গুলি চালিয়ে একে অপরকে হতাহত করুন !
    বলা যাবে গেঞ্জি পুলিশ গুলি ছুঁড়েছে
    কমরেড এই আত্মত্যাগ ব্যর্থ হবে না ! কমরেডের রক্ত হবে না ব্যর্থ
    লাল সেলাম
  • বিনয় কোঙার | 119.74.192.18 | ২৪ মে ২০১৭ ১২:০৬366714
  • পুলিশের হাতে কমন্ডুলু থাকবে না রিভলবার থাকবে?
  • হরেকৃষ্ণ কোঙার | 119.74.192.18 | ২৪ মে ২০১৭ ১২:০৬366713
  • পুলিশ কি তবে রসগোল্লা ছুঁড়বে?
  • T | 190.255.250.21 | ২৪ মে ২০১৭ ১২:১০366715
  • ট্রোলরা প্রতিবারই হইচইয়ের পর জেগে ওঠে। এই নেকস্ট দুদিন কি তিনদিন। যেরম পেমেন্ট হয়েচে সেই অনুযায়ী।
  • j | 151.197.16.185 | ২৪ মে ২০১৭ ১২:১৮366716
  • পেমেন্ট
    গরমেন্ট
    প্রফেট

    পুরো ইষ্টবেঙ্গলে পোসান্ত আর মোহনবাগানে পোসুন
  • স্পাইডারম্যান | 233.230.248.221 | ২৪ মে ২০১৭ ১২:১৯366718
  • ব্যারিকেড ধরে ঝুলে আছি, পেমেন্ট করার আগে নামিয়ে নে
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন