এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বুড়ো হয়ে যাচ্ছি

    Ayaon Ghosh লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ২৮ নভেম্বর ২০১৭ | ৫৬৯৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Ayaon Ghosh | ২৮ নভেম্বর ২০১৭ ২১:২৫369890
  • কমিউনিকেশন চ্যাপ্টারের মেয়ের স্কুলের প্রজেক্ট।

    আগেকার সময়কার এক্সাম্পল যোগাড় করতে বলেছে তারমধ্যে পায়রার ছবি যেমন আছে তেমনি আরেকটা হচ্ছে পোস্টকার্ড , যেটা পোস্টাপিস থেকে আজকে কিনে আনা হয়েছে ।
    হঠ করে মনে পড়ে গেল এই সেদিনকেইতো সুপারহিট মুকাবলাতে বাবা সায়গলকে লোকে পোস্টকার্ডেই গানের রিকোয়েস্ট পাঠাত বা মালদা থেকে ঠাম্মার মেজ-বোনের কুশল জিজ্ঞাসা এই পোস্টকার্ডের মাধ্যমেই আসতো।

    সুপারহিট মুকাবলার জনপ্রিয়তা এমন জায়গায় চলে গেছিল যে মার্কেটে পোস্টকার্ডের আকাল দেখা দিয়েছিল . তাই আরেকটা নতুন জিনিসের আমদানি করেছিল ডাকবিভাগ তার নাম কম্পিটিশন পোস্টকার্ড । এই কমের প্রচুর সদস্য এইগুলোর হয়ত কোনদিন ব্যবহারই দেখেনি ।

    নাহ্ মাত্র সতেরো আঠারো বছরের মধ্যে এত বুড়ো হয়ে যাওয়ার ফিল আগে কখনও হয়েনি . একটা লিস্টি করলে কেমন হয় এইরকম হারিয়ে যাওয়া জিনিসগুলো তাহলে বুড়ো হয়ে যাওয়ার একটা হিসেব পেতাম ।
  • Ayaon Ghosh | ২৮ নভেম্বর ২০১৭ ২১:২৫369901
  • কমিউনিকেশন চ্যাপ্টারের মেয়ের স্কুলের প্রজেক্ট।

    আগেকার সময়কার এক্সাম্পল যোগাড় করতে বলেছে তারমধ্যে পায়রার ছবি যেমন আছে তেমনি আরেকটা হচ্ছে পোস্টকার্ড , যেটা পোস্টাপিস থেকে আজকে কিনে আনা হয়েছে ।
    হঠ করে মনে পড়ে গেল এই সেদিনকেইতো সুপারহিট মুকাবলাতে বাবা সায়গলকে লোকে পোস্টকার্ডেই গানের রিকোয়েস্ট পাঠাত বা মালদা থেকে ঠাম্মার মেজ-বোনের কুশল জিজ্ঞাসা এই পোস্টকার্ডের মাধ্যমেই আসতো।

    সুপারহিট মুকাবলার জনপ্রিয়তা এমন জায়গায় চলে গেছিল যে মার্কেটে পোস্টকার্ডের আকাল দেখা দিয়েছিল . তাই আরেকটা নতুন জিনিসের আমদানি করেছিল ডাকবিভাগ তার নাম কম্পিটিশন পোস্টকার্ড । এই কমের প্রচুর সদস্য এইগুলোর হয়ত কোনদিন ব্যবহারই দেখেনি ।

    নাহ্ মাত্র সতেরো আঠারো বছরের মধ্যে এত বুড়ো হয়ে যাওয়ার ফিল আগে কখনও হয়েনি . একটা লিস্টি করলে কেমন হয় এইরকম হারিয়ে যাওয়া জিনিসগুলো তাহলে বুড়ো হয়ে যাওয়ার একটা হিসেব পেতাম ।
  • Ishan | 202.189.128.15 | ২৮ নভেম্বর ২০১৭ ২১:৩৮369912
  • লেখালিখি করে একটি ছেলে। খুবই বুদ্ধিমান, তার্কিক। বন্ধুত্বেরই সম্পর্ক। কথা প্রসঙ্গে একদিন বললাম, তিয়েন-আন-মেন স্কোয়্যারের সময় রিপোর্টিং গুলো মনে পড়ে? সে গম্ভীর ভাবে বলল, নানা সে তো অনেক দিন আগে, তখন জন্মাইনি। হুব্বা হয়ে গেলাম। তারপর মনে পড়ল, কল্লোলদা, দীপ্তেনদাদের সত্তর সংক্রান্ত কথাবার্তায় নির্ঘাত আম্মো এরকমই বলতাম। :-)
  • পাই | 24.139.221.129 | ২৮ নভেম্বর ২০১৭ ২১:৪২369923
  • বাঃ, ভাল টই। আমি তো সেদিন হ্যারিকেন দেখে বুড়ো হওয়া টের পেলাম।
    আর পোস্টকার্ড বলতে মনে হল, লোকে একদিন ইমেইল দেখেও বুড়ো হওয়া টের পাবে নিগ্ঘাত। তো তখন কী আসবে?
  • dd | 59.207.57.148 | ২৮ নভেম্বর ২০১৭ ২২:৫৩369934
  • দেখুন, এই প্যারাবলটি পড়তে পারেন। তবে ছুচিবাই থাকলে না পড়াই ভালো।

    সে সময়ে লোকাল ট্রেনে বাদরুম থাকতো না। তো এক ভদ্রলোকের নিদারুন বেগ পেয়েছে। পরের স্টেশন আসতে আরো আদ ঘন্টা। ইদিকে ধরে রাখার মতন অবস্থা নেই। আতংকে ত্রাসে দুর্ভাবনায় তিনি তখন দিশাহারা।

    সহযাত্রী উনার সন্ত্রস্থ মুখ দেখে জানতে চাইলেন, সমস্যাটা কি মশাই? আপনি এমন কাৎড়াচ্ছেন কেনো?
    "দারুন বাহ্যি পেইছে। আর আদ ঘন্টাটাক তো চেপে রাখার কোনো চান্সই নেই। কি উপায়?" এই শুনে সহযাত্রী তুড়ি মেরে কইলেন ,উপায় তো আমার বুক পকেটেই। এই দেখুন। কবরেজী নস্যি। এক টিপ নিলেই আপনার আর কোনো চিন্তা থাকবে না।

    উক্ত ভদ্রলোক, সরোল গোলগাল বিশ্বাসে সেই নস্যি নিতেই, বাপরে কি হাঁচি। বলাই বাহুল্য সেই প্রখর হাঁচির সাথেই সমবেত ইয়ে তুমূল বেগে বহিষ্কৃত হোলো। কাপড়ে চোপড়ে একশা।

    ক্ষুব্ধ অপমানিত ভদ্রলোক সহযাত্রীকে কইলেন, আমার এতো বড়ো সর্বনাশ করে দিলেন? একটা ইসে নেই?

    সহযাত্রী কইলেন, দ্যাখেন। আপনি এবারে নিশ্চিন্ত তো। আর যন্ত্রন্না নেই। তাই তো ? এবারে আরামসে গ্যাঁট হয়ে বসুন, প্রকৃতি ট্কৃতি দেখুন। ঝালমুরি খান। পরের স্টেশনে এসে ধীরে সুস্থে বাড়ী ভ্হলে যান। ঠিক আছে?

    তো বুরো বয়সটা অনেকেরি এরকম। যতোই যন্তন্না থাকুক না কেনো, টেনশন আর নেই। যা হবার সে তো হয়েই গ্যাছে। এই ত্তো এসেও গ্যাছেন প্রায়। ব্যাস।
  • dd | 59.207.57.148 | ২৮ নভেম্বর ২০১৭ ২২:৫৫369937
  • ও হো, আরে না না।

    এইসব আজে বাজে গল্পোটল্পো আপনেদের জন্য নয়। এই আমার মতম যারা অকৃতী অধম, তাদের জন্য। আত্মজীবনী টাইপের।

    আপনেদের জন্য তো কবি বলেইছেন, মানুষের উপর বিশ্বাস হারাবেন না। আপনেদের স্বচ্ছ জীবন।
  • চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য | 113.77.47.233 | ২৮ নভেম্বর ২০১৭ ২৩:৪৫369939
  • পাড়ায় পাড়ায় হারমোনিয়াম বাজিয়ে ফাংশন হওয়া থেকে মোবাইল ফোনে ছমাসে দুশো টাকা রিচার্জ (আজকাল মাসে চারশো লাগে, অথচ তখন প্রেম করতাম আর এখন করিনা).. বুড়ো হবার কি আর শেষ আছে রে ভাই। আজকাল তো এতো বুড়ো হয়েছি পনেরো বছর আগে আড়াই টাকা অটো ভাড়া ছিলো শুনে নিজেই আঁতকে উঠছি।
  • Ayaon Ghosh | ২৮ নভেম্বর ২০১৭ ২৩:৪৫369938
  • লোকাল ট্রেনে কি বাথরুম এখনো থাকে ?
  • শাহিদ আফ্রিদি | 140.184.252.73 | ২৮ নভেম্বর ২০১৭ ২৩:৪৯369940
  • হ্যাঁ কম্পিটিশান পোস্টকার্ডের দাম বেশী ছিলো, প্রায় তিন টাকা মতন, এমনিটা বোধহয় পনেরো পয়সা!
    আমি ছেলেবেলায় বেশ ক্যাবলা ছিলাম, অতশত বুঝতে না পেরে সপ্তাহের পর সপ্তাহ সস্তা পনেরো পয়সার পাতি পোস্টকার্ডে সুরভি-তে চিঠি লিখে গেছি ঠিক উত্তর দিয়ে, বলাই বাহুল্য একদিন-ও ডাকে নি ! এই দুঃখটা কি করে যেনো রয়ে গেছে ...
    এইটা বলে খেয়াল হলো, সুরভিতে রেণুকাদিদির পাশে যে লোকটি থাকতেন, তার চেহারা মনে আছে, নামটা ভুলে গেছি বেমালুম !
  • সিকি | ২৮ নভেম্বর ২০১৭ ২৩:৫০369891
  • ক্লাস ইলেভেনে রোজা দেখেছিলাম, তিন টাকা পঁচাত্তর পয়সার টিকিটে। যমুনায় শিন্ডলার্স লিস্ট দেখেছিলাম কুড়ি টাকায়।
  • সিকি | ২৮ নভেম্বর ২০১৭ ২৩:৫১369892
  • রেণুকা সাহনির সাথে থাকতেন সিদ্ধার্থ কাক।
  • সিকি | ২৮ নভেম্বর ২০১৭ ২৩:৫৩369893
  • ছোটবেলায় দাঁড় টানা নৌকায় বসে গঙ্গা পেরিয়ে ব্যারাকপুর গেছিলাম। বিয়েবাড়ির ভিয়েন থেকে সদ্য নামা ফুটন্ত রসগোল্লা খেয়েছি কাঁসার বাটিতে করে।

    এসব আর দেখা যায় না।
  • Ayaon Ghosh | ২৮ নভেম্বর ২০১৭ ২৩:৫৮369894
  • আরেকটা জিনিস মনে আছে ইস্কুলে পড়তে কোকাকোলার ভারতীয় মার্কেটে পুন:প্রবেশ। পুঁটিরামে গিয়ে কিনে খেয়েছিলাম।
    আবাপ আর গণশক্তিতে একই সাথে পাতাজোড়া বিজ্ঞাপণ আর সেই নিয়ে হইহট্টোগোল।
  • pinaki | 90.254.154.99 | ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ০০:০৩369895
  • মেয়ে দেখে আমি মাঝে মধ্যেই রিদমের গান হলে কোমর টোমর দোলাই। নিজেও মনে করি আমার কচিপনা যায় নি। একদিন আমাকে জিজ্ঞেস করল বাবা তুমি ড্যাব করতে পারো? সে বস্তুটা কী জানতে চাইলাম। খুব বিরক্তিসহ বলল তুমি এত ব্যাকডেটেড জানতাম না। সারা পৃথিবী ড্যাব করছে, আর তুমি সেটা কী তাই জানো না! তুমি বুড়ো হয়ে যাচ্ছো। মেনে নিতে হল। :-(

    ছেলেমেয়ের কাছে আপনার বুড়োত্ব ধরা পড়ে যাওয়ার আগে চুপিচুপি শিখে নিন ড্যাব ব্যাপারটা কী।

  • শাহিদ আফ্রিদি | 140.184.252.73 | ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ০০:২০369896
  • সিদ্ধার্থ কাক !! ঠিক ...

    আমি এখনো বরানগরের কুটিঘাট থেকে বেলুড় যাই খেয়া-পার করে, গত বছর-ও দেখলাম ভাড়া এক-টাকা ! চলে কি করে কে জানে ! আর সত্যি, দাঁড়-বাওয়া নৌকো বোধহয় সেই ইস্কুলে পড়ার সময় শেষ দেখেছিলাম ... ভটভটি নৌকোয় সেই চার্মটাই নেই ...

    আর দেখেছিলাম মুর্শিদাবাদ-এ, ২০০১ মনে হয়, সেখানে আবার পাড় থেকে গুণ টেনে নৌকো কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া দেখেছিলাম - সে এক অদ্ভুত জিনিষ ...

    দামের কথা ভাবলেই মনে পড়ে কোনও এক সময় উইলস ফ্লেক-এর দাম ছিলো ঠিক একটাকা, আর উত্তরের শহরতলিতে অন্ততঃ একটাকায় চারটে ফুচকা - সে বড়ো সুখের দিন ! একবার রিক্সা ভাড়া বাঁচাতে পারলেই একটা মিনি মোচ্ছব !
  • I | 57.15.15.240 | ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ০০:৩১369897
  • বুড়ো হতে লোকের কী আনন্দ দেখুন। হেঃ ডিডি, আপনি বৃথাই আমাদের তরুণ বলে খোঁটা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
  • শাহিদ আফ্রিদি | 140.184.252.73 | ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ০০:৩৬369898
  • আমার অ্যাডভাইজার বলেছিলেন, 'বুড়োর-ও রকমফের আছে, তুমি যার কথা বলছো তিনি ওল্ড, আমি এনশিয়েন্ট !'
  • Atoz | 161.141.85.8 | ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:৩৭369899
  • মেরে কেটে লাখখানেক কি লাখদেড়েক বছর পার হল সবে, এখনও শিশুই বলা যায়। কোটিখানেক বছর অন্ততঃ হলে তবে তো টীনেজ আসবে। ঃ-) ডাইনোদের দেখুন, কত কোটি বছর এনতার মজা করে শেষে দুম করে ফৌত। আর, আরশোলাদের দেখুন, স্থিতপ্রজ্ঞের মতন এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। কত ডাইনো এলো, কত গেল, কত রাইনো এল কত গেল, কিছুতেই কিছু আসে যায় না । ঃ-)
  • বিপ্লব রহমান | ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ০৭:০৪369900
  • ডাহা মিথ্যে কথা! সেই কবে থেকে ১৮+ এ আটকে আছি!

    এই গুরু বিভাগ নিপাত যাক!
  • kiki | 185.100.20.219 | ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ০৮:১৯369902
  • কী আর বলব, ছেলের বয়সী এক মেয়ে ফেবুতে আবীরকে ক্রাশ বলে স্ট্যাটাস দেয়।

    তবে এখানে মোবাইলের যুগে প্রেম করা লোক ও নিজেকে বুড়ো দাবী করছে। আমাদের সময়ে পোষ্টকার্ড আর ইনল্যান্ড লেটারের যুগে কত প্রেম ভেস্তে গেল.........

    আমরাও তবে ভয়ঙ্কর প্রাচীন হয়ে গেলুম।ঃ(
  • kiki | 185.100.20.219 | ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ০৮:২১369903
  • এখানে কেউ নিশ্চয় বাদামী রঙের চৌক দাঁতের লড়াই দশ পয়সায় কিনে খায়নি।

    হেন্স প্রুভড..........
  • Atoz | 161.141.85.8 | ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ০৮:৩২369904
  • তবু তো এরা রেডিওযুগের কথা জানেই না। বাড়ী বাড়ী টিভি আসার আগের যুগ। পাড়ায় একটা কোনো বাড়িতে টিভি থাকলে ভীড় করে সবাই দেখতে যেত। ঃ-)
    তখন প্রতি রবিবার রেডিওর বিবিধভারতী প্রচারতরঙ্গে হত বোরোলীনের সংসার। আরো কত কী। শনিবার হত হাতুড়ী মার্কা ফিনাইলেক্সের শনিবারের বারবেলা। ঃ-)
  • pi | 24.139.221.129 | ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ০৯:২৫369905
  • চৌক দাঁতের লড়াই কী ? বাদাম চাক ?

    এখন আর পেনফ্রেন্ড কনসেপ্ট আছে ? এখানে কার কার ছিল ?
  • সেন্টি | 82.204.42.99 | ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ০৯:৪১369906
  • আহা, রেডিও ... শোওনিবাআরের বাআআরবেলা ... কি সুন্দর নাটকীয় ভাবে বলতো ! আমি মন দিয়ে বিজ্ঞাপন গুলো শুনতাম, যাত্রাপালার বিজ্ঞাপনগুলো খুব ভালো লাগতো, 'সিঁথির সিঁদুর চাটলো ইঁদুর' মার্কা যাত্রাগুলো বিশেষ করে, শেষে বলা হতো লায়েক বন্ধুদের সত্বর যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে ! আর বিকেল হলেই ছিলো 'চাষীভাইদের জন্য বলছি' ফলো'ড বাই কপিলা গো খাদ্যের অ্যাড ! 'বালতি যে দুধে ভ'রে গ্যালো ঘোষমশাই' !!!
  • kiki | 185.100.20.219 | ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ০৯:৫৪369907
  • না না, পুরো গুড় দিয়ে তৈরী। দাঁতে চিপকে যেত।

    আমার বেশ কয়েকটা পেন ফ্রেন্ড ছিল। একজন তাঁর লেখা একটা বই ও পাঠিয়েছিলেন। বয়স্ক মানুষ। কোনো ইসের দোষ ছিলো না। খুব ভালো মানুষ। কিন্তু সেই বই আমি খুঁজে পাই না। অথচ বই, চিঠি, এসব ফেলে দেওয়া আমার স্বভাব নয়। তার চিঠি গুলো ও নেই।ঃ(

    রেডিও যখন এলো তখন হাতুরি মার্কা ফিনাইল এক্স না মিসানোর জন্য শনিবার স্কুল থেকে দুড়দাড় করে ছুটে আসা.........
  • kiki | 185.100.20.219 | ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ১০:০৫369908
  • ড্যাব....... হি হি
  • de | 69.185.236.55 | ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ১১:৩৪369909
  • আমার পুরানো দিনের কথা মনে পড়ে - কিন্তু নিজেকে বুড়ো ভাবতে পারিনা এখনো -

    পুরনো দিন বলতে মনে পড়লো স্কুলের বাইরে চন্ডীমেলা হোতো এই শীতকালে,সেখানে স্কুল থেকে বেরিয়েই নাগরদোলা চড়ে, নারকোল-ঘুগনী, ফুচকা, কটকটি খেয়ে বাড়ি আসতাম - বন্ধুরা সব মিলে দারুণ হুল্লোড় হোতো - ওই বড় নাগরদোলায় বন্ধুদের ছাড়া আর কোনদিন চড়ার সাহস করতে পারলাম না কোনদিন। সেই সময় স্কুলের মাঠ্টাকে মনে হোতো কত্তো বড়ো - চারপাশের গলি মতো ঘিঞ্জি রাস্তা যেখানে মেলা হোতো, সেই রাস্তাটা যে ঘিঞ্জি এটা মনেই হয়নি কখনো। এই মেলার গপ্পো মেয়েকে অনেক করেছিলাম। মেয়ে বড়ো হবার পরে একবার সে মেলা দেখাতে নিয়ে গিয়ে টের পেয়েছিলাম বয়েস বেড়ে গেছে - মেয়ের একটু বেশী ভিড় লেগেছিলো, আদারোয়াইজ ভালোই লেগেছিলো - কিন্তু আমি যেন কিছুই খুঁজে পেলাম না। স্কুলের মাঠটা ধুলোয় ভরে গেছে, অতো বড় নেই আর, চারপাশের বাড়ির চাপে গলিগুলো আরো ছোট-ছোট হয়ে গেছে। অতো ধুলোয় আর ভিড়ে কিছু খাওয়ার সাহসই করে উঠতে পারলাম না। বেরিয়ে এসে হাঁপ ছেড়ে বাঁচি আর কি!
  • Saumitra | 228.248.49.2 | ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ১২:১৩369910
  • Stick jaw
  • রৌহিন | 116.203.174.39 | ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ১৩:১২369911
  • এখানে মন্তব্য টন্তব্য পড়ে বুঝলাম আমি মোটেই বুড়ো নই। এখানে কারো ক্লাস ইলেভেনে রোজা, কারো ইশকুলে কোকাকোলা। কোকা বাবুর প্রত্যাবর্তনকালে আমার গ্র‍্যাজুয়েশন সারা, রোজার কালে আমি কাজকম্ম করি (চাকরি না অবশ্য)। কোকাকোলার আগে আমিও পোস্টকার্ড ইউজ করতাম না কারণ আমার চিঠি খাম ছাড়া ধরত না - আর প্রাপকেরা প্রায়ই বলে থাকত ওটা খাম নয়, ড্রাম। এক টাকায় দশটা ফুচকা খেয়ে একটা ফাউ চাইতাম। পাঁচ টাকা প্যাকেট ফিল্টার উইলস (যাকে আপনারা বড় নেভি কাট নামে চেনেন) কিনে নিয়ে যেতাম বাবার জন্য। আমি নিজে যখন ধরলাম ততদিনে উইলস ৬৫ পয়সা পিস - চারমিনার স্পেশাল খেতাম ৩৫ পয়সা করে। চার্মস বলে একটা ব্র‍্যান্ড ছিল খুব জনপ্রিয় - ৩০ পয়সা। আর পানামা সিগারেট ২০টার প্যাকেট ২০ টাকা।

    কলকাতায় বেড়াতে এসে দুর্গানগর স্টেশনে মধুসূদন মিষ্টান্ন ভান্ডারে খেয়েছিলাম টাকায় চারটে রসগোল্লা। এক পয়সা দু পয়সার কয়েন রেয়ার হয়ে গেছিল - পাঁচ, দশ পয়সার কয়েনই বেশী চলত। রাস্তায় চোখ রেখে হাঁটতাম এক আধটা কয়েন কুড়িয়ে পেলে সিগারেট বা বিড়ি কেনা যেত।

    ছোটবেলায় বাড়িতে লন্ঠন জ্বলত। বিকালে বড়রা চা খেতেন - দাদু দু নয়া দিয়ে পাঠাতেন, "বাড়ির দোকান" থেকে দশটা থিনারুট বিস্কুট আনতে।

    আজ্ঞে না - আমি বুড়ো নই। অস্বীকার করলাম।
  • b | 24.139.196.6 | ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ১৯:৩৫369913
  • কালে কালে আর কত কি দেখবো বলুন? পাঁচ সের কনকচূড় চাল,সেও আমার ছেলে দরদস্তুর না করেই দশ কড়ি দিয়ে কিনে নিয়ে এলো।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন