এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আপনার সাংস্কৃতিক রুচি কি বদলেছে


    অন্যান্য | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ১২৫৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • | 340123.99.121223.133 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৩:৩১377790
  • আপনার রুচি কি বদলেছে? যদি না বদলে থাকে আপনি ক্লিয়ারলি আউটডেটেড অথবা আলিমুদ্দিন আর যদি বদলে থাকে অথচ এখানে এখনো লেখেন নি তাইলেও আপনি খুব খারাপ। অতএব লিখুন, আঁতেলদের গণপ্রহার করার এই সুযোগ থেকে নিজেকে ও পরিবারকে বঞ্চিত করবেন নাঃ-)
  • dc | 011212.227.783423.224 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৫:০০377801
  • আমার রুচি একটুকুও বদলায়নি। এখনো মেটাল বেশী ভাল্লাগে আর হার্ড রক একটু কম, এখনো সাই-ফাই ছাড়া খুব একটা পড়ি না, এখনো মারপিট না থাকলে সিনেমা দেখি না। পৃথিবী বদলে গেছে, আমি একই আছি, একজনে যা ছিলাম আগে।
  • | 453412.159.896712.72 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৫:১৬377812
  • সমোসকিতি অনেক বড়সড় বেপার। আমি শুদু বইয়ের কতা বলেছিলাম হুজুর।
  • pi | 4512.139.122323.129 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৫:২১377815
  • এইত্তো ভাল টই! ভাল হানুদা।

    শুধু বই কেন, সিনেমা, নাটক?
    এমনকি জামাকাপড়ের পছন্দের রুচিই ভাব ভাবলে, ছোটবেলায় যা সব ঝিলিমিকি ঝিনচ্যাক ড্রেসপত্তর পরতে ভালবাসতাম, ফেজে ফেজে সেসব পছন্দ কত বাঁকই না নিল!
  • | 453412.159.896712.72 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৫:২২377816
  • না না জামাকাপড় কিম্বা ধর সেই কটকটে গোলাপী রসকদম্ব -- এইসব নিয়ে লিখলে আলিমুদ্দিন খুব খচে যাবে!
  • dc | 011212.227.783423.224 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৫:৩৫377817
  • হ্যাঁ জামাকাপড় নিয়ে লিখলে বিপদ। ছোটবেলায়্তেও জিনসের প্যান্ট পড়তাম, এখনো পড়ি। অপোসংস্কিতি আর ছাড়তে পারলাম না।

    তবে কয়েকদিন আগে একটা মজার ব্যাপার হলো। জিনস কিনতে একটা দোকানে ঢুকেছি স্ত্রীর সাথে, একটি মেয়ে এগিয়ে এসেছে প্যান্ট দেখাতে। প্রথমে একটা প্যান্ট বার করলো, সেটায় দেখি ঝিকমিকে রংএর বোতাম লাগানো। আমি বল্লাম আমি এসব পরিনা, এক্কেবারে পাতি বোতামওলা প্যান্ট দেখাও। তাতে আরেকটা বার করলাম, সেটা আবার হাঁটুর কাছে তাপ্পি মারা। তখন আমি বল্লাম দ্যাখো খুকি, আমি ওল্ড ম্যান আর আমার পছন্দও পুরনো। এমন প্যান্ট দেখাও যাতে চকমকে বোতাম নেই, ছেঁড়াখোড়া নেই, একশো বছর আগে যেমন জিনস বানাতো ঠিক সেরকম। তাতে মেয়েটি আমার স্ত্রীর দিকে এমনভাবে তাকালো যার মানে, এ কাকে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছো? লাস্ট অবধি পছন্দসই কোন প্যান্ট পেলামই না।
  • pi | 4512.139.122323.129 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৫:৪০377818
  • আরে কটকটে গোলাপি রসকদম্ব মনে করিয়ে ভাল করেছ। ওটা খুবই প্রিয় ছিল। এখন আর পছন্দ করব কিনা বলতেই পারছিনা কারণ এখন আর দেখতেই পাইনা ! তবে হ্যাঁ, ফুড কালারের সচেতনায় হয়তো কিনতে কিন্তু কিন্তু করব।
    ২৬ ষে জানু , ১৫ ই অগস্ট হাউসিং এ ফ্ল্যাগ তোমার পরেই দশ সেমি বাই দশ সেমি প্যাকেটে একটা গোলাপি রসকদম্ব আর গজা নাকি খাজা ?
    যাহোক, খাজাগজা তখনো খাজা লাগত, এখনো লাগে। এব্যাপারে আমার সাংস্কৃতিক রুচি বদলায়নি।
  • | 340123.99.121223.133 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৫:৫৭377819
  • রসকদম্ব, জামাকাপড় মায় আলিমুদ্দিন ও সংস্কৃতির চয়েসের মইদ্যে পড়ছে বলে মনে করেছেন রাজনৈতিক মহলের অন্য কোন একাংশ।
  • কল্লোল | 238912.66.453412.4 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৬:০৮377820
  • এ আর বলার মতোন কিছু নাকি?
    ১০/১২ বছুরে আমি, কালো ভ্রমর পড়ে উত্তেজিত। স্বপনকুমারের বাজপাখী সিরিজও হেব্বি লাগতো। অবশ্য তখন বিমল-কুমার-জয়ন্ত-মানিকও ভাল্লাগতো। ক্ষীরের পুতুল পড়লে কান্না পেতো। শরচ্চন্দ্রও বেশ উদাস করে দিতেন। অরণ্যদেব-ম্যানড্রেক খুবই চমৎকার। বাঁটুল বা হাঁদাভোঁদা ভালোনা। সন্দেশ-কিশোর ভারতী পার হয়ে ১৫/১৬ থে ২০/২২ একটা মুজতবা সময় গেছে, সেটা অবশ্য এখনো আছ্বে। এরমাঝে সুনীল-শীর্ষেন্দু-দিব্যেন্দু-সমরেশ বসু এসেছে ও গ্যাছে। সন্দীপন কোনকালে ভালো লাগে না। শেষমেশ রাঘব বাঁড়ুজ্জ্যেতেই স্থিতি, তবে ঐ অন্নপূর্ণা পর্যন্ত। তাপ্পর আর গপ্পো উপন্যাস তেমন টানে না। শ্যামল গাঙ্গোর বাজার সফর দুর্দান্তো লাগছে।
    জামা কাপড় তো কতৈ বদলালো। বক্রম দেওয়া বোতামওয়ালা খাড়া কলার-ডগ কলার-গুরু কলার-পাঞ্জবী-প্যান্ট...... প্যান্ট ? সেও সরুপা থে ঘন্টাতলা-প্যারালাল হয়ে ফের সরুপা। জিনস পড়ছি ১৯৭৩ থে - ঐ যারে কয় ফেডেড। বাড়িতে চিনুর মা চিল্লিয়ে ফাটিয়ে দিতো - এটা কি প্যান্ট!! অ্যাঁ? সতেরো বার ধোয়ার পরও গলগল করে রং ওঠে!!
    এসব কি আর বলার মতো কিছু?
  • | 340123.99.121223.133 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৬:৩৬377791
  • বদলাবেন কিন্তু ব্লগাবেন না , উটি হচ্চে নি। এটি আধুনিক কনফেসনাল , স্বীকার করুন আপনি বিমান বসু কে একবার হামি খেয়েছিলেন ঃ-)
  • Kaju | 122312.242.016712.210 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৬:৪২377792
  • আমার এখন নাট বল্টুর কার্টুন হেব্বি ভালো নাগচে। উটি না দেকলে আমার রোববারই হয় না।
  • | 453412.159.896712.72 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৬:৪৩377793
  • অ্যাঁ!!
    কেনোওওও?
    সর্বোপরি কোথাআআয়? (অবশ্য 'হামি' যখন গালেই হপে)
  • pinaki | 0189.254.455612.105 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৬:৫৩377794
  • আমার মনে হয় চরিত্র বদলেছে। খুব শান্ত হয়ে গেছি। উত্তেজনা আর ভাল্লাগে না আজকাল। রুচি মনে হয় একই আছে। গোবিন্দার নাচ, স্টিভেন সীগাল এর অ্যাকশন আর গুরুচণ্ডা৯র সাহিত্য - এর চেয়ে এগোতে পারিনি এখনও।
  • সৈকত | 340112.99.675612.98 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৬:৫৪377795
  • এ মাইরি, কল্লোলদা একজন কবিরও নাম করলেন না; কৃত্তিবাস ওঝা, বড়ু চণ্ডীদাস, ভুসুকুপাদ, ঈশ্বর গুপ্ত, ডি এল রায়, কুমুদ মল্লিক, অক্ষয়্কুমার বড়াল, গোবিন্দচন্দ্র দাস, রঙ্গলাল, নিদেন সুকান্ত, জাস্ট কারোর না। এ রুচি আর কি বা রুচি !!! ঃ-)
  • DC (Kolkata) | 230123.142.5678.17 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৭:৩৮377796
  • " সংস্কৃতির ঢাক তেড়ে কেটে তাক তাক / দমা দম দমা দম কৃষ্টি বিষম " সন ১৯৯২-৯৩ সালে যে সাংস্কৃতিক রুচির পরিবর্তন হলো বাংলাদেশে তারপর তো আর বিশদ কিছু দেখলাম না । শুধু ' দাগা বোলানো ছাড়া । আর হ্যাঁ , সাংস্কৃতিক রুচি বদল ব্যাপারটা মনে হয় হরমোনাল চেঞ্জ এর সমগোত্রীয় নয় । তাহলে সব 'ওপেনটি বায়োস্কোপ' আর 'প্রজাপতি বিস্কুট ' হয়ে যেতে পারে !
  • | 340123.99.121223.133 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৭:৪৭377797
  • ঃ-)))))

    গোবিন্দা ব্রিলিয়ান্ট। অসম্ভব ভালো নাচেন আর দুর্দান্ত অ্যাকটর।
  • pi | 4512.139.122323.129 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৭:৫০377798
  • হঠাৎ মনে হল, রুচি কোন বাঙালি মেয়ের নাম হয়? রুচিরা শুনেছি, রু্চি শুনিনি। কেন?
  • b | 4512.139.6790012.6 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৯:০৮377799
  • কেউ রাখেনি বলে।
    আমার আবার ছোটবেলায় এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা পড়তে ভালো লাগতো। মানে ধরুন দশ বছর বয়সে। এদানি ত্যামন ইয়ে পাই না।
  • Ekak | 90045.206.4512.85 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২১:৩১377800
  • ছোতো ব্যালায় সোমোস্কিতি ফিতি শুন্লেই মোনে হোতো কিচু কাকু মার্কা পাব্লিক চ্যার টেনে বসে পোয়েন্টলেস ভাট বোকচে আর মাঝে মাঝে পদ্দার ওপারে ডাক দিয়ে বল্চে, , ,, ,, কৈ গো চা হোলূঊও ???

    সেই থেকে বিতেষ্টা, আখুনো একিরকোম আচে।
  • Ekak | 90045.206.4512.85 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২১:৫৪377802
  • আর, হোত্তি বোল্তে , বৈ পত্তোরের পচোন্দো বোয়েসের সোঙ্গে বেড়েচে , খুব এক্টা একশো আশি সুলোব পাল্টায় নি।

    ব্যতিক্রোম,ঃ

    ১) মার্কেজ আর ভাল্লাগেনা। জায়্গা নিয়েছেন ইওসা। আলেন্দে কিন্তু সাম্হাও এখোনো পছন্দ।

    ২) রেনোয়া আর পোষায় না। হেটার নৈ কিন্তু জস্ট ডোন্ট ফাইন্ড ইন্টারেস্টিঙ্গ এনিমোর। শাগাল প্রীতি বেড়েচে।

    ৩) জে ডি র কবিতার প্রতি আগ্রোহ প্রতিনিয়ত কমচে, বিনয়ের প্রতি বাড়চে।
  • কল্লোল | 238912.66.90056.96 | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২২:৪৩377803
  • মাইরী।আমাদের সায়নের ছাড়া আর কারুর কবতে মোট্টে ভাল্লাগে না। নত্তুন বয়সে আল মাহমুদ এট্টু ভাললাগতো।
  • dd | 670112.51.0123.133 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৮:২৫377804
  • এমন কি RSS'র রুচিও বদলেছে। কইছে গোলওয়াকার আর ত্যামন হজম হচ্ছে না। ভুট্ভাট হয়। আরো কইলো এল জি বিটি ,ঐ সবও চলবে, আহা। ওরাও তো কেষ্টর জীব । আইডিয়া করুন।

    আমার রুচি যা বদলেছে সেটা তো টেকনলজির জন্য, অনেকটাই। আগে যা পড়তে/দেখতে/শুনতে পেতাম না,এখন ঘরে বসে মাউসবাজি করেই অ্যাকসেস করতে পারি।

    কতো বিদেশী খাবার চাখতে পারি, এমন কি রাঁদতেও পারি। আগে তো নাম ও শুনিনি। মানে বুঝুন, রুচি বদলায় নি - ছড়িয়ে গ্যাছে সব খানে সব খানে সব খানে।
  • dc | 7823.62.34900.93 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১০:০০377805
  • হ্যাঁ ডিডিদা, মোহনবাবুর কথাবার্তা শুনে মনে হচ্ছে ২০১৯ এ ফেরার চান্স কম :d
  • S | 90067.146.9004512.46 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১০:২১377806
  • যদুপুর এবং তার পরবর্তী সময় অবধিও বেশ রুচিবান ও ছুচিবান ছিলাম। ভালো সাহিত্য (বাংলা, ইংরাজি, অনুবাদ) পড়তাম। ভালো ইংরাজী সিনেমা দেখতাম। হলিউডের কর্মাশিয়াল সিনেমাও দেখতাম, কিন্তু শুধুমাত্র ভালোটা নিই এরকম দাবী করতাম। হিন্দি সিনেমা বা পোসেনজিত-চিরোন্জিত-তাপসপাল মার্কা বাংলা সিনেমা দেখতাম না। হিন্দি গান শুনতাম না। বাংলা ব্যান্ডের গান শুনতাম। দুলে দুলে রোবিন্দো সঙ্গীতও শুনতাম মাঝে মধ্যে। ক্লাসিকাল শুনতাম তবে কম, না বুঝলেও। ইংরাজী গান শোনার সুজোগ কমই ছিলো, উৎসাহও কম ছিলো।

    কিন্তু তারপরে আবার পড়তে কোলকাতায় আসলাম। আর সব গোলমাল হয়ে গেলো। ততদিনে অবশ্যি অনেক কিছুরই পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু হঠাত দেশি অপসংস্কৃতি ভালো লাগতে শুরু করলো। মনে হলো বিদেশি ফালতু জিনিসের থেকে আমার দেশের ফালতু জিনিস বেটার। আরো একটা ব্যাপার ঘটলো। কোনও জিনিস ভালো লাগলে ভালো লাগছে বলার সাহস জন্মালো, কে কি বললো তাতে আমার যাগ্গে। আবার সবাই ভালো বলছে মানেই আমারও ভালো লাগতেই হবে, তা একদমই নয় সেটাও মনে হলো। ফলে বেশ রুচিহীন ছুচিহীন হয়ে উঠলাম। তার ফলে অনেকে অবশ্যি দিশেহীন ইসেহীন হয়ে গেলো।

    ডিডিএলজে বা কুছ কুছ মার্কা হিন্দি সিনেমা বা পোসেনজিত-চিরোন্জিত-তাপসপাল মার্কা বাংলা সিনেমা এখনো দেখতে পারিনা। তার সাথে অ্যাভেন্জার্সও দেখতে পারিনা। হলিউডের সিনেমা তো এখন দেখা প্রায় বন্ধই করে ফেলেছি। তবে এখনকার দেব-অন্কুষ-সোহম মার্কা বাংলা সিনেমা গুলো দেখি। ভালৈ লাগে। সঙ্গে আঁতেল সেমি আন্তেল সিনেমা গুলো-ও দেখি।

    বই পড়তে আর ভালো লাগেনা। বড্ড ফলতু বিশ্লেষন থাকে। বেশিরভাগ লেখাতেই লেখকের পলিটিকাল এবং থট বায়াস পাই। তখন বড্ড বিরক্ত লাগে। তার থেকে রিপোর্ট পড়তে বেটার লাগে। গানের ব্যাপারে আমার উৎসাহ চিরকালই কম। ভালো লাগলে লাগলো, না লাগলে লাগলো না। তবে বাংলা এবং হিন্দিতে ৯০এর দশকের থেকে এখন অনেক বেটার গান হচ্ছে বলে মনে হয়।
  • ন্যাড়া | 890112.217.782323.153 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১০:৩৬377807
  • আমার রুচি-টুচি বিশেষ পাল্টেছে বলে হয়না। তখনও রাম ভাল লাগতনা, এখনও লাগেনা। তখনও খনুর সিরিয়াস লেখা বুঝতে পারতাম না, এখনও পারিনা।
  • S | 90067.146.9004512.46 | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১০:৩৮377808
  • রাম ভাল লাগেনা এরকম "অ্যান্টি ন্যশনাল" কথা বলতে পারলেন?
  • | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৬:১৫377809
  • সত্তর দশকের মফস্বলের মিষ্টির দোকানগুলো অধিকাংশ হত সাদামাটা চেহারা, কোয়েকটা কাচের শোকেস তাতে মূলত সাদা বা অফ হোয়াইট মিষ্টি, রঙের বৈচিত্র্য সামান্যই। একদম উপরের খোলা তাকে ডাঁই করা কমলা হলদে চিকিমিকি বোঁদে, সন্ধ্যেবেলায় আসে শনিবার হলে ফুরিয়ে যায় দেড় দু ঘন্টার মধ্যেই। এক দুই ধাপ উঠে কাচের কেসে নাক ঠেকিয়ে দাঁড়ালে দেখা যায় একদম নীচের তাকে গোটা তিন চার বড় বড় অ্যালুমিনিয়ামের গামলা, ঈষৎ ঘোলাটে রসে ভাসছে সাদা রসগোল্লা আর মেরুণ লাল পান্তুয়া। অভিজ্ঞরা বলেন মিষ্টির দোকানে কাচের কেস ঈষৎ উত্তল রাখে যাতে মিষ্টির সাইজ বড় দেখায়। হবে হয়ত। এছাড়া পালে পার্বণে দেখা যেত আরো দুটি উজ্জ্বল রঙের মিষ্টি। কটকটে কমলা রঙের জাফরি জাফরি ডিজাইন করা মচমচে মস্তবড় অমৃতি আর ছোট থেকে মাঝারি সাইজের কটকটে গোলাপী রঙের উপর সাদা ক্ষীরের ছিটে দেওয়া রসকদম্ব।

    সে অমৃতি ছিল তেলেভাজা, মস্ত সাইজের জন্য একটা খেয়ে শেষ করলেই ছোটমানুষদের পেট ভরে যেত। রসকদম্ব কিন্তু তেমন না, ছোট্ট ছোট্ট মানুষরাও তিনটে চাট্টে খেয়ে নিতেই পারত। বাইরে সাদা গুঁড়ো থাকায় গোলাপী নরম সরম মিষ্টিটাকে অত তত কটকটে দেখায় না
  • | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৬:৪৭377810
  • সত্তর দশকের মফস্বলের মিষ্টির দোকানগুলো অধিকাংশ হত সাদামাটা চেহারা, কোয়েকটা কাচের শোকেস তাতে মূলত সাদা বা অফ হোয়াইট মিষ্টি, রঙের বৈচিত্র্য সামান্যই। একদম উপরের খোলা তাকে ডাঁই করা কমলা হলদে চিকিমিকি বোঁদে, সন্ধ্যেবেলায় আসে শনিবার হলে ফুরিয়ে যায় দেড় দু ঘন্টার মধ্যেই। এক দুই ধাপ উঠে কাচের কেসে নাক ঠেকিয়ে দাঁড়ালে দেখা যায় একদম নীচের তাকে গোটা তিন চার বড় বড় অ্যালুমিনিয়ামের গামলা, ঈষৎ ঘোলাটে রসে ভাসছে সাদা রসগোল্লা আর মেরুণ লাল পান্তুয়া। অভিজ্ঞরা বলেন মিষ্টির দোকানে কাচের কেস ঈষৎ উত্তল রাখে যাতে মিষ্টির সাইজ বড় দেখায়। হবে হয়ত। এছাড়া পালে পার্বণে দেখা যেত আরো দুটি উজ্জ্বল রঙের মিষ্টি। কটকটে কমলা রঙের জাফরি জাফরি ডিজাইন করা মচমচে মস্তবড় অমৃতি আর ছোট থেকে মাঝারি সাইজের কটকটে গোলাপী রঙের উপর সাদা ক্ষীরের ছিটে দেওয়া রসকদম্ব।

    সে অমৃতি ছিল তেলেভাজা, মস্ত সাইজের জন্য একটা খেয়ে শেষ করলেই ছোটমানুষদের পেট ভরে যেত। রসকদম্ব কিন্তু তেমন না, ছোট্ট ছোট্ট মানুষরাও তিনটে চাট্টে খেয়ে নিতেই পারত। বাইরে সাদা গুঁড়ো থাকায় গোলাপী নরম সরম মিষ্টিটাকে অত তত কটকটে দেখায় না। ঐ সাদা গুঁড়ো সত্যি সত্যিই ক্ষীরের নয় মোটেই, মিল্ক পউডার জলে হালকা মেখে গুঁড়ো বানানো। তা মিল্ক পাউডারও খেতে তো দিব্বি। গোলাপী গায়ে দাঁত বসালেই আরো গভীর গোলাপী রীতিমত কটকটে রঙের তুলতুলে অন্তঃস্থল। কিন্তু সেসব তো অন্যদের হাতে, নিজের হাতে ওঠার কোনও সম্ভাবনা ছিল না। ওগুলো নাকি নর্দমার জলে বানানো ভীষণ খারাপ মিষ্টি। তা হাতে নেবার সুযোগ এলো এক সরস্বতীপুজোয়। ইস্কুলের টানা চালাঘরে মাঝের বেড়ার বিভাজিকাগুলো উঠিয়ে এক মস্ত হলঘরে সারি সারি বেঞ্চ। কলাপাতার ফাঁকে গড়িয়ে পড়া খিচুড়ি, লাবড়া, টমাটোর চাটনি আর হাতের পাতার চেয়ে বর্ফ্হ পাঁপড়ভাজার পরেই বালতি করে এলো সেই নেটসদৃশ গুঁড়োয় মোড়া গোলাপী লহর --- আহাহা এতদিনে তবে পাওয়া গেল তাকে। করুণ চোখে তাকিয়ে আরেকটা দাও না বলে দুটো আদায় নবম শ্রেনীর দিদিটার থেকে।

    কিন্তু নাঃ পরেরটুকু তেমন সুখের নয়, হাতে তুলে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রথম কামড় দিতেই ---- ওরে বাবারে এটাক্কি! যেমন প্রচন্ড মিষ্টি তেমন কিরকম একটা গন্ধ। কি সেন্টের গন্ধ রে বাবা! আর মিষ্টি! বাপস সে পুরো জিভ থেকে ব্রহ্মরন্ধ্রে ছড়িয়ে যাওয়া স্বাদ। বাকীটা কোনমতে মুখে চালান কোরে মুখ ধোবার জায়গায় গিয়ে কুলকুচি করে ফেলা। ওদিকে অনুলেখাদি খুব রাগ করছেন 'কে মিষ্টি ফেলে গেচ? শীগগির এসে খেয়ে যাও। খাবে না তো কেন নষ্ট করলে পাতে নিয়ে?'

    গোলাপী রসকদম্বের সাথে আর কোনওদিন হাতেনাতে মোলাকাত হয় নি। অমৃতিদের অন্য রাজ্যে ঘিয়ে ভাজা হয়, ওজনদরে বিক্রি হয়, একটা খেলে পেটও ভরে যায়। কাজেই ছোটমানুষ বড় হয়ে তার সাথেই ভাব জমিয়ে ফেলে।
  • r2h | 785612.119.560112.13 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৮:১৭377811
  • ক'দিন ধরে জিলিপি খাবো বলে ঘুরছিলাম, জানা গেল সক্কালবেলা ছাড়া জিলিপি হয়না।

    আজ সকালে বড় রাস্তার ধারে তিন চারখানা দোকানে কোথাও জিলিপি পেলামনা, ঐ কমলা রঙের অমৃতি আছে। শেষমেশ রায়পুরের চিপা গলির মধ্যে একটি অতি ক্ষুদ্র মিষ্টির দোকানে পাওয়া গেল, তাও কেমন ম্রিয়মান মুমূর্ষু ন্যাতপেতে জিলিপি।
    আমাদের পাড়ার লোক বোধয় আর এখন জিলিপি খায়না, শুধু অমৃতি আর লাড্ডু খায়।

    অবশ্য অবাঙালী দোকানের হলদে সরু মুচমুচে জিলিপিগুলো হয়।
  • | 340123.99.121223.133 | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৮:৫৪377813
  • এ যা পোস্টোসমগ্র, নিয়মিত মন ছুঁয়ে যেতে পারে ;-) খ
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন