এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • নোবেল এর গান


    অন্যান্য | ১১ মার্চ ২০১৯ | ২৫৯৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | 340123.99.121223.134 | ২০ জুন ২০১৯ ১৯:০৭381446
  • এটা ঠিক ই, এটা এত বেশি ঠিক যে অবাক হবার নেই। তবু ঐ আর কি ফ্রেশ ভয়েস শুনতে ভালো বাসে মানুষ, আর অন্যের কপাল ভালো সোশাল মোবিলিটি দেখে অ্যাসপিরেশনের একটা মরীচিকা আসে, আমার নতুন গলা শুনলেই ভালো লাগে কি করব।

    আর জেমস, আয়ুব বাচ্চু ভালো লাগে, কাওয়ালি ভালো লাগে তাই নোবেল আর প্রীতম কে ভালো লাগছে কি করব।

  • S | 890112.162.564523.159 | ২১ জুন ২০১৯ ০২:২৯381447
  • এলারবির আয়ুব বাচ্চু, জেমস, ফিডব্যাকের ম্যাক, মাইলস এদের গান তো কুড়ি বছর আগেই শুনেছি। এখন হ্ঠাৎ কোলকাতার লোকজন শুনে এক্দম আপ্লুত হয়ে গেলেন কেন? আমরা যখন শুনতাম, তখন তো লোকে এসব পাত্তা না দিয়ে সেই হেমোন্তো, মাননা, কিসোর আর সানুদা নিয়েই পড়ে ছিলো।
  • sm | 2345.110.014512.90 | ২১ জুন ২০১৯ ০৯:৩৯381448
  • কলকাতার অধিকাংশ সংগীত প্রেমী জনতা এঁদের নিয়ে আপ্লুত হয়নি বা হবেও না।
    এঁদের এমন কোন বিরাট কোয়ালিটি নেই, যে জনগণ আপ্লুত হয়ে শুনবে।
    একটু নতুন ধরনের গান,একটু নতুন সুর,আর সর্বোপরি ফ্রেশ গলা ও জি টিভির প্যাকেজ।তাই টিভি জনতা একটু দু দন্ড শুনছে।এর বেশি কিছু নয়।এসব এফেক্ট ক্ষণস্থায়ী।আবার কিছু বছর পর একটা সাইকেলে কিছু লোক শুনবে।
    এ গুলাম আলীর গজল নয় বা লতা, আশা,কিশোর, মান্নার গান নয় যে গুনগুনিয়ে গাইবে।চিৎকার সর্বস্ব আকুলতা মাত্র!
    সত্যি বলতে কি, নোবেল গাওয়ার আগে, জেমস বা আয়ুব বাচ্চু,এঁদের গান শুনিই নি।
    এঁরা মনকাড়া শিল্পী নয়।
  • S | 236712.158.670112.89 | ২১ জুন ২০১৯ ০৯:৫৪381449
  • সে বহুলোক লেড জেপলিনের গানও শোনেনি, তাতে কিছু প্রমাণ হয়্না।
  • sm | 236712.158.12900.52 | ২১ জুন ২০১৯ ১০:০১381450
  • অনেক কিছুই প্রমান হয়।যেমন কিছু আঁতেল বব ডিলান এর একটা গান ও পুরো শোনে নি।
    এসব হয়েই থাকে।
    কিন্তু রিয়েলিটি শো এ জ্বল জ্বল করে খালি,লতা, কিশোর,আশা, মান্না,রফি,আর ডি,শচীন কত্তা।
  • S | 890112.162.674523.64 | ২১ জুন ২০১৯ ১০:১১381451
  • চুরি করা গানগুলো?
  • sm | 2345.110.014512.90 | ২১ জুন ২০১৯ ১০:২৪381452
  • আবার সেই চুরি,প্রসঙ্গ!চুরি হগগলেই করে।
    মাস্টার,ছাত্রকে টুকতে গিয়ে ধরেছে।বাড়িতে কমপ্লেইন গেছে।ভাবছে, বাপ মেরে চাবুক ছিঁড়ে ফেলবে।
    ছেলের মুখ দেখে,বাবা-

    টোকাই ধর্ম,টোকাই কর্ম,
    টোকা তে নাহি পাপ,
    টুকেছে তোর দাদু ,ঠাকুর্দা,
    টুকেছে আমার বাপ।
  • কল্লোল | 236712.158.015612.93 | ২১ জুন ২০১৯ ১২:৫৬381453
  • ইহ কি টোকা না অন্য কিছু।
    Thandi hawaye


    Rahe na rahe hum


    Sagar kinare


    বা এইটা।
    লাইমলাইট থিম।

    ১মিনিট ৩০সেকেন্ড থেকে শুনুন।

    পল্লবিনী গ সঞ্চারিণী


    তু মেরে জিন্দগীমে
  • Kaju | 122312.242.016712.210 | ২১ জুন ২০১৯ ১৫:২৭381454
  • একজন বলেছেন এখানে গ্রুমারদের তালিমে এরম গাইছে, পরে "হাড় কঙ্কাল বেরিয়ে পড়বে"। আমি আগেই লিখেছিলাম এখানে গত দু সপ্তাহে অরিজিনাল গান গাওয়ানো হয়েছে একটা করে (দুটো গানই শ্রীজাত-র লেখা, একটি ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তর সুরে, গৌরব আর অঙ্কিতা ডুয়েট গেয়েছে, অন্যটি শান্তনু মৈত্রর সুরে নোবেল গেয়েছে), সেগুলো যদি কেউ শুনে থাকেন তাহলে বুঝতেন এদের পোটেনশিয়াল কতখানি। এবারের সিজন অন্যবারের চেয়ে অনেক আলাদা, এরা যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উঠে এল তাতে আর সন্দেহ নেই যে এরা বহুদূর যাবেই।
  • sm | 236712.158.01900.5 | ২১ জুন ২০১৯ ১৫:৪৬381456
  • আমি,এতো গুলো রিয়েলিটি শো এর মধ্যে,অন্বেষা আর শ্রেয়ান কে বিরল প্রতিভার অধিকারী বলে মনে করি।
    নয় নয় করে, জি প্রায় চার -পাঁচ বছর এতো আর্টিস্ট প্রোডিউস করলো,কিন্তু কারো গান আর সেরকম শুনতে পাই না।দু একজন ওই রচনার প্রোগ্রামে আসে।দু এক কলি গায়,কিন্তু সেই চার্ম বা মাধুর্য্য উপভোগ করি না।মনে হয়,এঁদের চেষ্টার অভাব আছে।
    হেমন্ত, নীল আকাশের নীচে গাইতে গাইতে যখন বলে,পৃথিবী ঘুমিয়ে পড়ে, সত্যিই ঘুমিয়ে পড়ি।এতটাই স্যুদিং!
    আবার মান্না দে যখন গায় ,কথা দাও,আবার আসবে কিংবা এই তো সেদিন তুমি আমাকে বোঝালে, শুনলে কেমন ঘোর লেগে যায়।পুরোনো দিনের স্মৃতি জেগে ওঠে।
    তো,এনাদের ঠিক করে নকল করেও তো অনেক দূর ওঠা যায়।
    কি জানি,আমি ই হয়তো সঠিক নই।
  • Kaju | 122312.242.016712.210 | ২১ জুন ২০১৯ ১৬:০৪381457
  • অন্বেষা আর শ্রেয়ান প্রকৃত গুণী বলেই ওরা অনেক নতুন অরিজিনাল গান গেয়েছে, গাইছে। অন্বেষা তো বলিউডেও কিছু গান গেয়েছে, ডিটেলস মনে নেই। আগেকার শোভন গাঙ্গুলী, জীমূত, দুর্নিবার এদের গলা আমার তো খুবই ভালো লাগে। সেই অনীকের কাল থেকে অনেক নতুন প্রতিভা এসেছে, তারা পরবর্তী কালে ঠিকই নিজেদের ঔজ্জ্বল্য দেখিয়েছে। আসলে গানের মার্কেট এখন এতটাই ডাউন, আমরা নতুন গানের খবরই রাখি না যদি না সিনেমায় গায়।
  • Kaju | 122312.242.016712.210 | ২১ জুন ২০১৯ ১৬:০৬381458
  • অনীক আর রথীজিৎ একই সিজনের ফার্স্ট আর থার্ড। আজ রথীজিৎ গ্রুমার হিসেবে বিখ্যাত, অনেক নতুন পরীক্ষানিরীক্ষা করে চলেছে গানের মিউজিক অ্যারেঞ্জমেন্ট নিয়ে ফিউসন নিয়ে। অনীক ওই রচনার প্রোগ্রাম ছাড়া কোথায় আর দেখি তাকে?
  • কল্লোল | 236712.158.015612.135 | ২১ জুন ২০১৯ ১৬:২৬381459
  • ঐটা সার কথা। গানের আর কোন বাজার নাই। যারা বছর ১৫/২০ বা তারও আগে আগে নামটাম করে ফেলেছে তারা তবু করে কম্মে খায়।
    এখানকার কথা বাদই দিন, যারা হিন্দি চ্যানেলগুলোর রিয়েলিটি শোতে ফাস সেকেন হয়, তারাই বা কোই?
    আর এই সব রিয়েলিটি শোতে এরা যা ইনফ্রা পায় তা পেতে গেলে যেকোন নতুন গায়কের ফাটবে।
  • Kaju | 122312.242.016712.210 | ২১ জুন ২০১৯ ১৬:৪২381460
  • এখন সারেগামাপা-য় যে বিশ্বমানের মিউজিক ইনস্ট্রুমেন্ট আনা হচ্ছে তা এক কথায় চোখ টেরিয়ে দেয় ! শান্তনুকে অব্দি জিগেস করতে হয় এটা কোন দেশের যন্ত্র, কীরকম আওয়াজ বেরোয় ইত্যাদি। প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন যন্ত্র ব্যবহৃত হতে দেখি। বহুপরিচিত গানও এই অ্যারেঞ্জমেন্টের কারণে অন্য রূপ পেয়ে যায়।

    এখনকার প্রতিযোগীদের কন্ঠ বা গায়কী কেমন সেটাই বিবেচনা করা হয়, গান সিলেকশনেও একটু যদি জোর দিত ভালো হত। একহ্নো সেই সাধের লাউ টাউ শুনতে ভাল্লাগেনা। নতুন গান গাইছিল তন্ময়, সে তো আউট হয়ে ফিরে এসেও নার্ভাস হয়ে মূলপর্বে ফিরতে পারল না।
  • sm | 236712.158.34900.194 | ২১ জুন ২০১৯ ১৭:২৪381461
  • কল্লোল বাবু বা কাজু কে জিগাই,আগেকার সেই প্রাণ কাড়া সুর কই?কোথায় সলিল,সুধীন,হেমন্ত,আর ডির মতন সুরকার?
    কয়েকটা সুমন আর নচিকেতার গানের পর ,দু চারটে আধুনিক বা সিনেমার গান শোনার মতো হয়েছে।
    যেমন ধরুন আজ শ্রাবনের,বারান্দায় রোদ্দুর, আমার সারাটি দিন,আমাকে আমার মতো,তুমি যাকে ভালোবাসো,কি করে তোকে বলবো,চাঁদ কেন আসে না ইত্যাদি-
    এই গানগুলোর সুরও কি দুর্দান্ত?
    গত কয়েক বছর ধরে,এতো কম হিট গান,আই মিন মেলোডি যুক্ত গানের সংখ্যা কম কেন?
    এঁরা তো চুরি করেও ভালো জিনিস নামাতে পারবে বলে মনে হয় না।
    এরকম অবস্থা কেন?
  • Kaju | 122312.242.016712.210 | ২১ জুন ২০১৯ ১৮:১১381462
  • রুপঙ্করের "আজ শ্রাবণের বাতাস বুকে" তো খুবই প্রিয় গান আমার।

    আধুনিক গানের খোঁজ রাখা কমই হচ্ছে সেটা ঠিক। হয়ত সেভাবে বিক্রি নেই, এফ এমে যেটুকু পরিচিতি - এটার জন্যেই আধুনিক গান কম্পোজ করার দিকে আগ্রহ কমে যাচ্ছে। সিনেমাতেও বেশীরভাগই জিত গাঙ্গুলি আর সমিধ মুখার্জিদের লারেলাপ্পা। ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত-র মত গুণী সুরকার-রা নিজেদের মুন্সীয়ানার স্বাক্ষর ঠিকই রাখছেন যেখানে তাঁদের রাখা হচ্ছে।

    সুর ওইভাবে এনাদের মত কেন নয় বলা সম্ভব নয়। যার যা দক্ষতা সেইমতই সুর কম্পোজ করেন। ওনারা সব স্টলওয়ার্ট, শতাব্দীতে একবরই আসেন ঝাঁক বেঁধে, আবার সেভাবেই খালি করে চলে যান। তবে কিছু ভালো কাজ তো অবশ্যই হচ্ছে, কম তো নিশ্চয়ই তবে হচ্ছে।

    বলিউডের গান যেভাবে ক্লাসিকাল বা সুফি ঘরানাকে কাজে লাগিয়ে ঋদ্ধ হচ্ছে বাংলায় অতটা হচ্ছে না এতো একশোবার। এখন হিন্দি গান আমজনতার শিখে নেবার পক্ষে খুবই কঠিন। আগে সেটা যাতে সহজ হয় সেই ভেবেই গান বানাতে এস ডি, আর ডি-রা।
  • sm | 236712.158.23900.39 | ২১ জুন ২০১৯ ১৮:২৫381463
  • হিন্দি ফিলম মিউজিকে একটা ভালো শূন্যতা এসেছিলো, আশি র দশকের গোড়ায়।তখন অধিকাংশ সিনেমা, বাপ্পীদা সুর দিতেন।বাপ্পীদা, একজন মাল্টি ট্যালেন্টেড ,দক্ষ সুরকার হলেও ,ওই বিপুল চাহিদা মেটানোর ক্ষমতা ছিলো না।
    নাদিম শ্রাবন,আনন্দ মিলিন্দ, যতীন ললিত,অন্নু মালিক এসে ,এই শূন্যতা কে ভরিয়ে দেয়।
    পরে তো রহমান সাহেব এসে পুরো ভোল পাল্টে দিলেন।সারা ভারত ও বিদেশ থেকে অসংখ্য গুণী সুরকার এসে হিন্দি সিনেমার গানকে ,চিন্তা মুক্ত করেছে।
    অন্য দিকে হিন্দি সিনেমা,গুনীর যোগ্য সমাদরও করেছে।
    বাংলা ফিল্ম বোধ হয় গুণী সুরকার ধরতে ইন্টারেস্টেডই নয়।সিনেমায় আনাচে কানাচে,পারলেই শেলফ থেকে পেড়ে দু চারটে রবীন্দ্র নাথ ঢুকিয়ে দেয়।
    আধুনিক গানের তো বারোটা বেজে গেছে।কিন্তু দেখুন,বিপুল জনতা এফ এম শোনে।ভালো জিনিষ পরিবেশন করলে,নিশ্চয় লোকে খাবে।
  • কল্লোল | 237812.68.454512.54 | ২১ জুন ২০১৯ ২২:৩১381464
  • সলিল, শচিনকত্তা ও রাহুল, হেমন্ত, সুধীন - এদের মতো সুরকার ক্ষণজন্মা। এরা ঝাঁকে আসেন। তবে, আমাদের বাবারা পঙ্কজ মল্লিক, রাইচাঁদ বড়াল, রবীন মজুমদারদের এদের ওপরে রাখতেন ব্যতিক্রম শচিনকত্তা। এটা হয়তো যুগের রুচির প্রশ্ন। আমি তো কিছুতেই সায়গল ভালো লাগাতে পারলুম না। অথচ শচিনকত্তার(সুর করা ও গাওয়া) সেযুগের গান ভালো লাগে।
    আজা আজা আজা ম্যায় হুঁ প্যার তেরা বা আজকাল তেরে মেরে প্যার কি চর্চে কি রূপ তেরা মস্তানা ক্লাসিক হয়ে গেছে। গানগুলো যখন তৈরী হয়েছিলো, হিটও করেছিলো তখন বেশ ছিছিক্কার শোনা গেছিলো।
    কাজেই "তখন হতো এখন কোই" - এ হাহুতাশ লেগেই আছে যুগে যুগে।

    তবে বেসিক গানের বেশ দুরবস্থা এখন। বাজার নেই। ফিল্মের গানের আলাদা বাজারও নেই আর। ফিল্মের লাভ লোকসানের মধ্যে তার অর্থনীতি জুড়ে গেছে, তাই টিঁকে আছে। আলাদা করে গজল বা সুফি গান আর হচ্ছে কোথায়?
    ঠিক একই কারনে বাংলা বা অন্য ভাষার আধুনিক গানও ধুঁকছে।
    গান - এই একটা পণ্যের বিশিল্পায়ন ঘটেছে। এইচএমভি বা সোনি মিউজিকের হাল দেখুন। সম্ভবতঃ সারা পৃথিবীতেই এক দশা।

    আর আজকাল, সুর ধার নেওয়া বেশ চাপের। আগে প্রচুর স্প্যানিশ ভাষায় গাওয়া গানের সুর নিতেন অনেকেই, ধরা না পরে। আজ নেটের যুগে ওকাজটা একদম করা যায় না।
    মেহেবুবা ও মেহেবুবা বা না কোই দিল মে সমায়া কিংবা কাপে কাপে আমার হিয়া কাঁপে কোত্থেকে নেওয়া - আম আদমীর পক্ষে জানা সম্ভব ছিলো না। আজ তুড়ি মেরে বের করে ফেলা যায়।

    গান সুর করে / গেয়ে / লিখে পেট ন ভরলে কোদ্দিয়ে আসবে ভালো গান।
  • sm | 236712.158.12900.4 | ২১ জুন ২০১৯ ২৩:১০381465
  • আচ্ছা,সুর কোথা থেকে চুরি করছে,এ নিয়ে আদৌ শ্রোতা মাথা ঘামায়?
    ভুপেন হাজারিকা,বিস্তীর্ণ দুপারে লিখেছে ও গেয়েছে।রুমা গুহ ঠাকুরতা, সেটাই আবার গেয়েছেন।এখনো লোকে গাইছে।
    আকা, দেখিয়েছিল, নচির ,দুলছে হাওয়ায়, বেসামে মুচও, হুবহু তুলে নেওয়া।
    এরকম তো হাজার উদাহরণ দেওয়া যায়।
    চারটে চুরি করুক।দুটো নিজের সুরে গেয়ে,এলবাম টাকে অন্তত জনপ্রিয় করুক।
    সেদিন কে মান্না দের একটা ইন্টাভিউ তে দেখছিলাম,ছোট বেলায় উনি বন্ধুদের সঙ্গে বেঞ্চ বাজিয়ে কলকাতায় বাবু দের গান দু কলি গাইছিলেন।চমৎকার সুর।এগুলো পুনরাবিষ্কার হোক।
    স্বপন বসু তো প্রচুর লোকগীতি কালেকশন করে রেখেছেন।শচীন কত্তাও করতেন।এগুলোই নাড়িয়ে চাড়িয়ে নতুন সুর দেওয়া হোক।
    সারা পৃথিবী থেকেই তো চুরি করা যায়।সুরের তো অভাব নেই।
    দিবে আর নিবে,মিলাবে, মিশিবে।কবে বলে গেছেন দাড়ি বাবু।
  • Atoz | 236712.158.678912.215 | ২১ জুন ২০১৯ ২৩:১৮381467
  • চুরি চামারি করে চাট্টি খেয়ে পরে ভালোই ছিল সব। হতচ্ছাড়া ইন্টার্নেট এসে হাটে হাঁড়ি ফটাশ! তার উপরে আবার ব্যাটাদের কী সব আইন আছে, কাপিরাইট না কী, ধরা পড়লে জরিমানা মামলা মোকদ্দমা চৌষট্টি ফৈজৎ।
    আরে মিউজিক কোম্পানিগুলো নাকি আজকাল এআই দিয়ে মিউজিক বানিয়ে বাজারে ছেড়ে দিচ্ছে, রয়াল্টি ফয়াল্টি ও দিতে হল না, অনেক সস্তায় পড়ল। ঃ-)
  • S | 236712.158.670112.155 | ২২ জুন ২০১৯ ০৩:১৮381468
  • পুরোনো সবকিছু খুব ভালো ছিল, এখনকার সব খুব খারাপঃ এটা সময়ের না, বয়সের প্রতিফলন। সকলেই তার নিজের যৌবনের জিনিসের মত মাধুর্য্য আর কিছুতেই পায়না। কারণ সেই জিনিস তাকে কয়েক মুহুর্তের জন্য তার যৌবন ফিরিয়ে দেয়। এখনকার ছেলেপিলেরা এখনকার গানই শোনে, ইউটিউবে ভিউজ দেখে নেবেন। তাদেরও বয়স হলে বলবে সেই অরিজিত সিংয়ের অসাধারণ গান এখন আর শুনিনা।

    বাংলা সিনেমাতে এখনও ভালো গান থাকে। কমে গেছে, তাই একটু খুঁজতে হয়। কারণ বাজারটাও শেষ হয়ে যাচ্ছে, কেউ বাংলা সিনেমা দেখতে হলে যায়্না। ফলে বাজেট নেই ভালো লিরিসিস্ট, মিউজিশিয়ান, সিঙ্গারদের পয়সা দেওয়ার মতন।

    এইসব আলোচনা শুনলে সেই "একটা পুরনো রবীন্দ্রসঙ্গীত" গাওয়ার রিকোয়েস্টের কথা মনে পড়ে।
  • sm | 236712.158.23900.39 | ২২ জুন ২০১৯ ০৮:০৭381469
  • ঠিক ই তো।আমার প্রজন্মের লোকজন এখন ও উলুৎ পুলুত হয়ে যায়,প্রসেনজিৎ আর তাপস পালের সিনেমার জন্য!
  • কল্লোল | 237812.69.4556.98 | ২২ জুন ২০১৯ ১১:৪৮381470
  • কেন? এখনকার সুরকারদের মধ্যে অনুপম রায়, দেবজ্যোতি মিশ্র, ইন্দ্রদীপ - এরা তো বেশ ভালো। অনিন্দ্য আর উপল মিলেও বেশ কিচু ভালো গান করেছে সিনেমায়। আজকাল বাংলা অধুনিক গানের সুরের চাইতেও গানের কথা বেশ চমকদার।
  • sm | 236712.158.90089.78 | ২২ জুন ২০১৯ ১১:৫৭381471
  • একদম ঠিক।কিন্তু যাদের নাম করলেন,এঁদের কয়েকটি এবং খুব হাতে গোনা গান ভালো মানের হয়েছে।কালজয়ী হয় নি।
    খালি অরিজিৎ সিংয়ের কথা ভাবুন।খুব উঁচু দরের গায়ক।কিন্তু বাংলা সিনেমায় কটা উৎকৃষ্ট গান গেয়েছে?
    ভালো কাজ করিয়ে নিয়েছে,হিন্দি চিত্র শিল্প।প্রীতম বিক্ষিপ্ত কিছু ভালো সুর দেয়।কিন্তু বলিউডে।
    বাংলা সংগীত জগতে ভালো সুরকারের অভাব রয়েছে।
    গায়ক/গায়িকা বা গীতিকার এর অভাব অতোটা নেই।
  • dc | 124512.101.7878.109 | ২২ জুন ২০১৯ ১২:১৩381472
  • "পুরোনো সবকিছু খুব ভালো ছিল, এখনকার সব খুব খারাপঃ এটা সময়ের না, বয়সের প্রতিফলন"

    ঠিক কথা। অমিতাভের পুরনো ডন সিনেমার গান আমাদের বাড়ির কাছে একটা দুর্গাপুজো হতো, তাতে সারাদিন ধরে চালাতো। এখনো যদি ইউটুবে আরে দিওয়ানো বা জিসকা মুঝে থা ইন্তেজার গানগুলো শুনি তো এক সেকেন্ডের জন্য সেই বাড়ির বারান্দা, সেই প্যান্ডেল, আর সেই দুর্গাপুজোর বিকেলগুলোর কথা মনে পড়ে যায়।
  • S | 236712.158.670112.35 | ২২ জুন ২০১৯ ১২:১৫381473
  • প্রীতম? ওর থেকে বড় চোর বিজয় মাল্যও নয়।
  • কল্লোল | 237812.69.5656.63 | ২২ জুন ২০১৯ ১২:২৪381474
  • এসএম। একটা কথা আমরা ভুলে যাই, হেমন্ত, সুধীন, নচিকেতা ঘোষ, সলিল, আরডি - এরা প্রুর গানে সুর করেছে, তার সবকটাই সাংঘাতিক কিছু নয়। প্রচুর ঝুল সুরও করেছেন। এদের ভালো গান হয়তো শতাংশের হিসাবে কিছু বেশী আজকের সুরকারদের চেয়ে।
    এদের মধ্যে সলিল বোধহয় দ্য বেস্ট। ওনার সুরে রেগুলার বেসিক গান গাইতেন সবিতা। কটা গান মনে রেখেছে লোকে। হ্যাঁ, মনে রেখেছে লতা বা হেমন্তর গান ওনার সুরে। তার কৃতিত্ব কি গায়কদেরও নয়?
  • S | 890112.162.674523.196 | ২২ জুন ২০১৯ ১২:৩৮381475
  • জীত গাঙ্গুলিরও অল্প কিছু ভালো সুর আছে। আর ঐসব তালের গান তৈরী করতেই হয় সময় আর বাজারের কথা মাথায় রেখে। আরডিরও প্রচুর এরকম গান আছে। নেক্স্ট জেনারেশনের নাচের গান শুনলে সকলেরই মাথা গরম হয়ে যায়, কারণ বয়্স আর কোমরে ব্যাথা।
  • sm | 236712.158.34900.194 | ২২ জুন ২০১৯ ১৫:৫৪381476
  • ওহ, নাচের গান বলতে বুঝছি।খোকা বাবু যায়,ঝিঙ্কু নাকুর -নাক্কু নাকুর না না ; এইতো।
    ব্রেশ।

    লতা, আশা,মান্না,কিশোর ছাড়ুন।
    আগে যে এতো, হৈমন্তী শুক্লা,বাণী জয়রাম,আরতি,সুমন কল্যাণপুর,এঁরা আধুনিক বাংলা গান গাইতেন,তার অনেক গান ও সুর চমৎকার।
    এখন শ্রেয়া ঘোষাল পর্যন্ত্য রিমেক গায়।নিজের একটা বাংলা গানের এলবাম ও হিট হয় নি।
    কি আর বলবো?
  • | 230123.142.5678.217 | ২২ জুন ২০১৯ ১৮:১২381478
  • আমার একটা বিচিত্র অভিজ্ঞতা আছে এইসব ব্যাপারে। আমার ধারণা আমি বৈজয়ন্ত আর ন্যাড়ার সঙ্গে অলরেডি শেয়ার করেছি একবার। বুড়ো হয়ে গেলে এক ই গল্প লোকে অনেকবার বলে। তো এই বার হয়েছে কি এমন ই এক জুন মাসে, হতদ্যম ও ফেরোতদ্যত আমি খবর পেলাম, বিয়ে করা সাধের বৌ টিকে ফেলে সে গ্রীষ্মে আমাকে অন্তত ফিরতে হচ্ছে না, একটি মিউজিক কোং এ চাগরি হয়েছে, আইটি বিভাগে তাদের লিখিত এবং তিন চার রাউন্ড মৌখিক পরীক্ষায় , কি আশ্চর্য্য আমি পাশ করেছি, এর কখনৈ কোন পরীক্ষাই আমি ঠিক একবারে পাশ করিনি, নিজেকে নিয়ে বিস্মিত হয়ে একটি সন্ধা কাটলো, এবং ইতিহাসের সমস্ত নজির ভুলে ঐতিহাসিক ঝোলের সঙ্গে পুরষ্কার স্বরূপ আমাকে পাতে দুটি ডিম দিলেন, সে রাত্রে বাঁচতে গিয়ে লড়াই করতে হল না। কল্যানমূলক রাষ্ট্রে সংগঠিত শ্রমিকের অন্ততত একটা ইজ্জত আছে। তো পরের দিন ৮৩ নং বেকার স্ট্রীটে গিয়ে যখন বসার জন্য নির্দিষ্ঠ ঘরে গেলাম, একদম ই অসুবিধে হল না, তার সঙ্গে দৃশ্যত অন্তত সংগীতের সম্পর্ক কম, আর পাঁচটা সার্ভার রুম গোছের দেখতে , তখনো আইটি গাই দের আকাশে শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের মেঘেরা গাভীর মত চাকরি নিয়ে প্রান্তর পাড়ি দেয় নি, বেসমেন্টেই ছিল ডেটা সেন্টার, কাজ আড্ডা, একটা পোষাকে আর ভাষায় অতি ক্যাজুয়াল সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হচ্ছি কিন্তু কাজের জায়গাটায় অকারণ ফর্মালিটির কোন অভাব ছিল না, কনসালটান্ট রা আসতেন জেতেন, আমরা জোয়াল রুপী অ্যাপ্লিকেশন লিখে বা সারভার চালিয়ে কোং, সংসার ও সাংস্কৃতিক ধনতন্ত্রের চাপ কাঁধে নিয়ে ঘুরতে অভ্যস্ত হয়ে উঠলাম।
    এবার একদিন এক ছেলে, রবিন সম্ভবতঃ বললো, কি গুরু মিনিস্ট্রি অফ সাউন্ড যাবে নাকি। আমি এমনিতেই একটু কাঁটা হয়ে থাকতাম, মাঝে মাঝেই ভাবতাম, এই এত বাল লিটল ম্যাগাজিন করে এসে হঠাৎ বুড়ো বয়সে হরমোন ই বা কেন জাগলো, বিয়েই বা কেন করলাম, বন্ধু বান্ধব নবদ্বীপ দার চায়ের দোকান, অলিপাব সিলভার গ্রিল কলেজ স্ট্রীট বইমেলা ছেড়ে কেনই বা বিলেতে এলাম, আর এসিচি তো এসিচি, একেবারে কালচারাপ ইম্পেরিয়ালিজম এর আইটি সাপোর্ট হয়ে গেলাম মাইরি, একি ধর্মে সইবে? যে মেসে থাকতাম, তার ঠিকনা ছিল নয়ের তিন হরিপদ দত্ত লেন। আমি নিশ্চিত ছিলম, বড় বড় গোল গোল চোখ আমাকে পরিচিত বইপত্রের ধুলোয় আটকে রাখবে, পেট ও চালিয়ে নেওয়া যাবে, কিন্তু ঐ আর কি হরমোন এবং একটা ন্যাকা ন্যাকা টেকনোক্রাসির লোভ, আহা এমন দিন আসবে, যেদিন আমার আংউলে সারভার কথা বলবে। তো যাই হোক আমি ভাব্লাম, পুরো তো বেচে গেছি, সন্ধে বেলা মিনিস্ট্রি তে গিয়ে আর মাখো মাখো করব না, পাস থাগলেই কি সব পার্টি তে যেতে হবে, খুব প্রত্যাখানের আনন্দে সন্ধে বেলায় ক্রিস্টোফার কডওয়েলের নামাংকিত বাড়িটার সামনে দিয়ে ঘুরে বাড়ি গেলাম। রিজেকশন অফ অ ডিকেয়িং কালচার ইত্যাদি ঃ-)))) পরে শোনা গেল মিনিস্ট্রি টি একটি অতি ইন্টারেস্টিং ক্লাব, সেখানে নতুন অ্যাকটো রা গান শোনা তে আসে, সেখানকার পাস কেউ ছাড়ে না, ধনতন্ত্রে প্রতিভা কে শুধু না, প্রতিভার আইটি সাপোর্ট কেও সুযোগ সন্ধানী হতে হয়। এই বোকা বনার পরে অবশ্য আর পেছনে ফিরে তাকাই নি, যে হোস্টেলে থাকতাম, সেখানে মাঝে মাঝে আলবার্ট হলের শস্তার টিকিট লটারি পাওয়া যেত, বা কোং এর ডিসকাউন্টেড পাস, তাতে নানা সময়ে বিবিসি প্রম্স এর শস্তাকোভিচ থেকে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন মিউজিক, মেসেজ ইন আ বটল খ্যাত স্টিং, উঠতি ক্রেগ ডেভিড, জুলস হল্যান্ড , ম্যাডোনা, ছোটো হলে চেম্বার মিউজিক, ট্রাফাল গার স্কোয়ারে ন্যাশনাল মিউজিয়াম এর পাশেই সেন্ট মার্টিঁস এর বেস মেন্ট পিটে, নানা চান্ট মিউজিক, নদীর ওপারে খোলা মাঠে বুর্ধো গেল্ন মিলার সুইং, আবার মেরিলিবোন হাই স্ট্রীটে টার্কিশ রেস্তোরান্টের পেছনে (এখানে আমার রেকো তে একবার বোধায় ভিকি রা আরেকবার ইমরান রা গেসলো), লাইভ জ্যাজ, হ্যামার স্মিথ অ্যাপোলো থিয়েটারে ডেভিড গ্রে, অলডউইচে প্যাকো পেনা র ফ্লামেন্কো গিটার শোনার সুযোগ হয়েছে। আর ছাড়িনি। ম্যাডোনা লিংকিং পার্ক শোনার সুযোগ ও হয়েছে, ভুল একটাই করেছি, সামান্য সার্টিফিকেশন পরীক্ষায় পাশ দেবার জন্যে গ্লাসটনবেরি মিস করেছি, মন্ট্রো জ্যাজ ফেস্টিভাল মিস অবশ্য করেছিলাম, যাতায়াত এর পয়সা ছিল না বলে, এই যে আজ বাতেলা দ্যাখেন, সব ই তখন তৈরী আর কি ঃ-))) হিংসুটে রা আশ্বস্ত হবেন, পয়সা নষ্টই হয়েছে শুধু, তবে যাকে বলে আফটার ডিনার স্পিচে আমি একটু ভালো সিগার আর হুইস্কি পেলেই বিনে পয়সায় এন্টারটেন করে দেব, তাতে বীরভূম থেকে হোয়াইট চ্যাপেল ফ্রিঞ্জ থিয়েটার সব ই পাবেন ঃ-))))

    তো যে কোনো আসল গল্পেই লাস্টে একটু লাস্ট মত রাখতে হয়, তো এই সব আর্টি ফার্টি উড়ু উড়ু চলছে, পয়সা বিশেষ হচ্ছে না, কিন্তু ২০০০ এর লন্ডন কে প্রায় ১৯১৭ পরবর্তী সেন্ট পিটার্সবার্গ মনে হচ্ছে, কারণ সে শহরেই একে তাকে ধরে ভিয়েনিজ চেম্বার মিউজিক, মায় চাকরি খোয়ানো ইউক্রেনিয়ান ন্যাশনাল উইন্ড অরকেস্ট্রা শোনা হয়েছে, পেটি কোট লেন এর মেলায় বিলি হলিডে, ডিউক এলিঁগ্টন ইত্যাদি র সঙ্গেও পরিচয় হয়েছে সিডি তে, রে চার্ল্স শোনা হচ্ছে খুব সার্ভার রুম গম গম, এমন সময় নোটিশ এলো, গভীর দুঃখের সঙ্গে জানানো হচ্ছে সাংস্কৃতিক ধনতন্ত্র নতুন একটি সংকটে পড়েছে, এবং পড়ার পরেই তাদের মনে হয়েছে, তাদের ডেটাবেস আর শ দেড়েক সারভার ওয়ালা ডেটা সেন্টার টি তারা আর নিজেরা চালাবে না, অতএব, বড় মাইনের আইরিশ বা এসেক্স এর শ্রমিক শ্রেণীর সঙ্গে ছোটো মাইনের ভুবনডাংআর শ্রমিক শ্রেণীটিকেও তাদের আর দরকার নেই। এবং আমার বস খুব কাঁচু মাঁচু হয়ে বললেন, তাঁর চাকরিও গন ফটাশ, অতএব আমাদের ধনতন্ত্রের আশ্চর্য্য সমানাধিকারের স্পিরিটে গদ গদ হয়ে মেরিলিবোন টাপ নাম পরিচিত পুরোনো পাব টিতে লন্ডন এল গলাঃধকরণ করাই উচিত কাজ হবে, এবং যে যাই বলুক, আমাদের বস বিল সে কিন্তু খুব সহানুভূতির সঙ্গে কথা বলেছে, প্রায় সকলকেই বলেছে সে নিজে নেগোশিয়েট করে ক্ষতিপূরণ বাড়িয়ে দেবে , শুধুই প্রতি বছরে এক সপ্তাহ হিসেব রাখবে না, এমনকি লয়ার দেরে বলে দেবে, যাতে মিনিমাল রেটে আমাদের জন্য মামলা করতে তারা রাজি থাকে, যদি আমরা সে পথে যাই। এবম` এও বলেছে, আহা কত ভালো, যে স্কটল্যান্ড হয়ে বারব্যাংক ফেরার পথে তার শুধু আমাদের কথাই মনে পড়বে। এই সব বলে এক মাল যখন নেকু নেকু করছে, আমার চেয়ে অল্প বড় স্থুলে ভুল নেই, এক আইরিশ মহিলা বলে উঠলেন, ফাক ইউ অ্যান্ড ইয়োর টলস্টয়, অ্যানাদার ওয়ার্ড আই অ্যাম চপিং ইয়োর বলস। এক ব্রিটিশ খ গোচ্ছের মাল ছিল, পুরো নন কমিটাল, যে সব কিছুতেই অ্যামিউজ্ড হয়, এবং সেও সেদিন কর্মহীন, দূর থেকে গেয়ে উঠলো অ্যানার্কি ইন দ্য ইউ কে বলে সেক্স পিস্টল এর গান টা, আমি বিপ্লবে এবং লিটল ম্যাগে ফেরার জন্য প্রস্তুত হয়ে , একট বিচিত্র বাড়ির সামনে দিয়ে বাড়ি ফিরলাম, সেখানে ১৬৬৫ তে থাকতেন, ওয়াটারম্যুজিক খ্যাত হ্যান্ডল, আর ১৯৬৮ তে জিম মরিসন, রাস্টার নাম উইম্পোল স্ট্রীট, যে রাস্তাটার উপরেই , আই হ্যাভ বিন অন দিস স্ট্রীট বিফোর বলে, পিগম্যালিয়ন এর মিউজিকাল এর বিখ্যাত গানটা গাওয়া হয়েছিল, স্টেজে রাস্তা তৈরী করে, প্রেমজ্বরে আচ্ছন্ন প্রফেসরের গলায়, ১৯৬৫ নাগাদ, গেয়ে বিখ্যাত হয়েছিলেন, সম্ভবত ফ্রেডি হিল।

    তো যাই হোক পরের দিন মেঘলা আকাশ, সারা রাত ঘুম নেই, চাগরি গেলে ঘুম ও আসে না, পদ্য ও বেরোয় না, বার তিরিশেক অ্যাকানুটে র রেস্ত কত দেখে নিয়েছি, প্রতিবার ই আগের বারের মতই কম দেখিয়েছে, অবশেষে ক্লান্ত হয়ে, বোরহেস এর ফিকশনেস নতুন কিনেছি তখন বোধ হয়, সেইটে হাতে নিয়ে টটেনহ্যাঅম কোর্ট রোড দিয়ে ঘুরে ফিরে গাওয়ার স্ট্রীটের এডুকেশন কলেজের বারে যাচ্ছি, ওখানে স্টেলা র পাঁইট সারা লন্ডনে শস্তা, শুধু ক্যান আই সি ইয়োর আই ডি কার্ড বললে বলতে হয়, আই অ্যাম নিশ'জ ফ্রেন্ড, তাইলে আশ্চর্য্য ভাবে আর কেউ ই কোন কার্ড দেখতে চায় না, অথচ নিশ, বিপ্লবের রোগে আক্রান্ত হয়ে তার অন্তত দশ বছার আগে লেবানন ফিরে গেছিল, এবং তার আর কোন খবর কারো কাছি ছিল না। এমন সময় সোনি এরিকসনে একটা ফোন, বোধি ডু ইউ মাইন্ড ইফ উই রিকোয়েস্ট ইউ, রিয়ালি সিনসিয়ারলি, টু কাম ব্যাক অ্যান্ড রিজিউম ইয়োর ডিউটিজ। আমি ভাবছি ধনতন্ত্র কাঁচা দেওয়া ঠিক, কিন্তু অভিমান করা উচিত হবে না, তাহলে বহু কষ্টে যে সন্ধের কোর্স পাষ দেবার একটা সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে, তারে টেম্স এর জলে ভাসিয়ে সিউড়ু ফিরতে হবে, আবার ভাবছি, আমি চাকরি ফেরত নিলে কার সর্বনাশ হবে, কোন বেশি মাইনের লোককে আমাকে দিয়ে বদলানো হবে, এই সব ভাবতে ভাবতে নিশের বন্ধু হবার আগেই ড্রিংক পেয়ে গেলাম, কতক্ষন পেয়েছিলাম মনেও নেই, কখন বাড়ি ফিরেছি কি ভাবে ফিরেছি তাও আর মনে নেই, কোন মতে প্যান্টের জায়গায় প্যান্ট এবং জামার জায়গায় জামা পড়ে পৌছনো গেল, গিয়ে গেটে খবর পেলাম, বেকার স্ট্রীটে না, আমাকে যেতে হবে কেনসিংটন চার্চ স্ট্রীট, আরো ঘন্টা খানেক পশ্চিমে। কারণ আমার নাকি ঐ ডেটা সেন্টারের চার্জ বুঝে নিতে হবে, নানা আইনি ঝামেলায় এই ডেটা সেন্টার ছাড়া গেলেও ওহ্কানকার বেশি সেন্সিটিভ ডেটা নাকি ছাড়া যাচ্ছে না, তখনো কারো হাতে, তার আগে নতুন কিছু কন্ট্রাক্ট নেগোশিয়েশন করতে হবে। তো ২৮ নম্বর বাড়িটা স্টেশনের কাছেই, ৩১ তম বার এটিএম এ রেস্তো দেখে নিয়ে একটা বেনে বেনে , হু ওয়ার সো গুড দেয় নেম্ড ইট টোয়াইস, নাম শস্তার ইটালিয়ান স্যান্ডউইচের দোকানা থেকে একটা শস্তাতম হ্যাম অ্যান্ড চিজ হাতে নিয়ে সে বিল্ডিং এ পৌছলাম, পৌছে দেখলাম এটা সেই বাড়ি, যেটা একদা আটলান্টিস রেকর্ড এর আপিশ ছিল, জন মনিষ্যি নেই, তাতে দেওয়াল জোড়া দুটি পোস্টার, একটি লেড জেপেলিন এর সেই বিখ্যাত আকাশযানের পোস্টার, আরেকটি, এসি ডিসির সম্ভবত থান্ডারস্ট্রাক গানের পোস্টার। বেশ হাঁ হলাম, কারণ আগের অপিশ টা ছিল ইনটারন্যাশনাল কন্ট্রাক্ট্স এর আপিশ, কেবলি হিসেবশাস্ত্র অথবা লয়ার দের ডার্ক সুট অথবা কেবলি আমাদের ফাস্টফুড আর ভুঁড়ি সম্বলিত রাত্রি জাগরণ, যেটা আমার তার আগের তথ্যপ্রযুক্তির চাগরির থেকে খুব আলাদা ছিল না, কোথাও পাস নিয়ে গেলে আলাদা কথা। কিন্তু পরে প্রখ্যাত আটলান্টিস রেকর্ডের আপিশে , লেবেল কোম্পানির কেনা বেচায় এসে পড়ব ভাবি নি, আর মিক জ্যাগার রা যে সব দোকান থেকে রেকর্ড কিনে জ্যামিং করত সে দোকান গুলো ও চোখে দেখবো কখনো ভাবি নি। তো সে কপালে ছিল হল, বছর দুয়েক পরে যখন ফিরছি পাট চুকিয়ে, আমাদের পাব ম্যানেজার বন্ধু কেরি, একটা আমার সম্মানার্থে পার্টি দিয়েছিল, মানে সে কেউ দশ দিনের ছুটিতে থাইল্যান্ড গেলেও তার সম্মানার্থে পার্টি দিত, সে আলাদা কথা, কিন্তু রীতি অনুযায়ী আপিশে কোন দিন না পড়লেও সেদিন আমি একটি জ্যাকেট চড়িয়ে গেছি, ক পাত্তার পেটে গেছে মনে ঠিক নেই, হঠাৎ দেখি কেরি, বারের উপরে উঠে বলছে, দিস ইজ আ গ্রেট ম্যান বলে ওর পরিচিত বক্তৃতাটা দিচ্ছে, কিন্তু জিউক বক্সে একটা অন্য গান বাজছে, সাধারণত আমি পপ বা রক ক্লাইস্ক্স দিতাম, বেশিটাই পিংক ফ্লয়েড বাজতো, বেশি রাত হলে, সেদিন দেখলাম এরা চক্রান্ত করে বাজিয়েছে, এসি ডিসির ঠান্ডারস্ট্রাক, ইন দ্য মিডল অফ দ্য রেল রোড ট্র্যাক, আই নিউ দেয়ার ওয়া নো টার্নিং ব্যাক, বাইরে জে জি সেবাল্ডের গল্পের মতই একটু ট্রপিকাল স্টর্ম গোছের হছিল, আর আমি কেরির গলায় দেশীকোত্তম পাচ্ছিলাম, তার সাইটেশনে একটাই লাইন, দিস ইজ আ গ্রেট ম্যান, নেভার ফরগেট্স টু সে গুডবাই, এভরি নাইট, হি ইজ ব্যাক এভরি নেক্স্ট ইভেনিং দো ঃ-))

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন