এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ২১স্ট সেঞ্চুরি তে ক্যাপিটালিস্ট বা কমিউনিস্ট ন্যারেটিভ

    Amit
    অন্যান্য | ২৮ মে ২০১৯ | ৪০৩৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Amit | 340123.0.34.2 | ২৮ মে ২০১৯ ১১:০৩383636
  • অনামিত্র র টইটাকে ছেড়ে দ্যান। আসল লেখাটা বড্ডো ভালো হচ্ছে। ইকোনমিক বা সোশ্যাল ন্যারেটিভ নিয়ে যে যা চিন্তা করেন, ভাবেন হলে ভালো হয়, এখানে ঝপাঝপ নামিয়ে দিন।
  • রঞ্জন | 232312.162.128912.141 | ২৮ মে ২০১৯ ১৬:৫৯383647
  • ভেরি গুড। অমিত!
  • S | 458912.167.34.76 | ২৮ মে ২০১৯ ১৭:০৪383658
  • আগের লেখাগুলো এখানে কপি করে দিন। স্পেস একটু লাগবে।
  • ei nin | 2390012.8.455623.10 | ২৮ মে ২০১৯ ১৭:২০383667
  • Ishan on 28 May 2019 05:35:23 IST 89900.222.34900.92 (*) #
    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------
    প্রশ্নটা কমিউনিজমের কনসেপ্ট সহজ করে বোঝানো নিয়ে নয়। কমিউনিজম কে কবে দেখেছে। রাজনীতি দাঁড়িয়ে থাকে এই মুহূর্তের লক্ষ্য সহজ করে বলা নিয়ে। সেটা বামপন্থীদের কাছে কঠিন কিছু না। ভারতের ১% লোকের কাছে ৫০% সম্পদ (সংখ্যাটা আরবিট লিখলাম, আসল সংখ্যাটা ভুলে গেছি)। বাকি নিরানব্বাই শতাংশ বাকিটা নিয়ে মারামারি করছে। এ খুব সোজা কথা। টিসিএসের, উইপ্রোর সিইওর মাইনে কোম্পানির মাঝামাঝি একজন চাকুরের মাইনের ২০০ গুণ (আবারও সংখ্যাটা আরবিট), একজন দারোয়ানের মাইনের ১০০০ গুণ বেশিই হবে। বামরা এটা কমিয়ে আনতে চান। কালো টাকা উদ্ধার করতে চান। সবার জন্য নিখরচায় শিক্ষা-স্বাস্থ্য চান। রাজ্যের হাতে বেশি ক্ষমতা চান। গরীব কৃষকদের কৃষিপণ্যের দাম বেঁধে দিতে চান। ন্যূনতম মজুরি বাড়াতে চান। কাজের নিশ্চয়তা চান। এই তো কথা। প্রতিটাই সোজা এবং সহজেই বলা যায়। মিম বানিয়ে, হোয়াটস্যাপে, সামনাসামনি, টিভি চ্যানেলে, চোঙা ফুঁকে। এর মধ্যে দু-একটা অবশ্য সবাই বলে থাকে, যেমন কর্মসংস্থান, কালো টাকা। এই দুটো বামপন্থীরা কীকরে আলাদা করে করবেন ব্যাখ্যা করা দরকার। মানে যে অপদার্থতার এবং দুর্নীতির ফাঁক গলে কালো টাকা কালো টাকা হচ্ছে, সেটা বন্ধ কীকরে করা হবে। এর সঙ্গেই জড়িত আছে অপদার্থ বলে পরিচিত সরকারি সেক্টরকে কীকরে কর্মকুশল করে তুলবেন ইত্যাদি। কিন্তু বাকি সবই বামদের নিজস্ব।

    এগুলো এত সোজা, যে সবাই জানেন। এবং এর জন্য মার্কসবাদ পড়ারও দরকার নেই। কিন্তু সমস্যা সোজা কথায় না, সমস্যা হল এই সোজা জিনিসগুলো বামরা হয় বিশ্বাস করেননা, কিংবা পাবলিক স্ফিয়ারে বলেননা। খোলা বাজার বাকিদের সঙ্গে বামেদের রন্ধ্রে ঢুকে গেছে। প্রগ্রেসিভ ট্যাক্সেশন করে উপরের ১% এর উপার্জন কমিয়ে অর্ধেক করে দেব, কেউ বলতে পারবে? পারবেনা। অর্ধেকটা কথার কথা, কমিয়ে আনবই বলতেও পারবেনা। বৃহৎ পুঁজির বৃহৎ শিল্পের উপর কর চাপাব কেউ বলতে পারবে? পারবেনা। কারণ, লক্ষ্যটাই হল ল্যাল্যা করে পুঁজি টেনে আনার। তাতেই সবাই সাবস্ক্রাইব করেন। করেন উদার অর্থনীতিতে, করেন বিশ্বায়নে। অতএব এগুলো বলা যাবেনা। আমার মতো লোকই তো এসব পার্টির স্তম্ভ। তাঁরা টাটাকে জামাই-আদর করে শিল্প করায় বিশ্বাস করেন। বিশ্বাস করেন ট্রিকল ডাউন এফেক্টে। বাংলার বেঙ্গালুরুকরণই তাঁদের মোক্ষ। তাঁদের সমর্থন চলে গেলে চলবে কীকরে।

    এ অবশ্য সংসদীয় বামদের কথা বললাম। অনমিত্র মাওবাদীদের কথা লিখেছে। তাঁরাও এসব কিছু বলবেননা। কারণ এগুলো 'রিলিফ'। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। ওঁরা এসবে বিশ্বাস করেননা। একদম ক্ষমতা দখল করে তারপর থামবেন। তার আগে এইসব ডিটেল ফালতু।

    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------

    S on 28 May 2019 05:49:07 IST 458912.167.34.76 (*) #
    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------
    এগুলো সব বাম কর্মধারা। খুব বেশি হলে ডেমোক্র্যাটিক সোশালিজম বলা যেতে পারে। ঐ যেটা এখন আম্রিগার ডেমোক্র্যাটদের অনেকে বলছেন। এগুলোর কোনোটাই কমিউনিজমের আশে পাশেও নয়। তার জন্য যে খোল নলছে পাল্টানো দরকার, সেসব আগামী তিরিশ হাজার বছরেও হবে বলে মনে হয়্না। যে পরিস্থিতির মধ্যে সেসব দিনবদল হয়, সেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক ভাবে আসে না। আর মাওয়ের দেশে যা হচ্ছে, তাতে মাওবাদী ব্যাপারটাই বা কি সেও ছাই বুঝিনা। এক্দম ক্ষমতা দখল করার পরে সব ঠিক করা হবে, অতেব এখন যেমন অনাচার কুশাসন চলছে চলুক - আর সেই সুযোগে দিদি-মোদি ক্ষমতায় থাকুক। ফলে বিপ্লবের রথ উল্টো পথে দৌড়চ্ছে। কানহাইয়া বলছিলো যে ভারতে নাকি ৯০টা বাম পার্টি আছে। যদুপুরে এসেফাইকে আমরা রাইট উইঙ্গ মনে করতাম।

    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------

    Amit on 28 May 2019 06:15:11 IST 340123.0.34.2 (*) #
    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------
    "কারণ, লক্ষ্যটাই হল ল্যাল্যা করে পুঁজি টেনে আনার।"

    এর বদলে আর কি কি অপসন আছে ? সেটাও তো জানা দরকার। এমনি এমনি কি আর সব সরকার ঝাঁপাচ্ছে শিল্প আনার জন্য ? পুরো সিস্টেম টার খোল নলচে কবে বদলাবে, ততদিন লোকজন কে তো আর না খাইয়ে রাখা যাবে না। বিসনেস ট্যাক্স না এলে ওয়েলফেয়ার স্কিম গুলোর টাকাই বা কোত্থেকে আসবে ?

    আজকের যুগে পুঁজি, শিল্প , লোক সব কিছুই মোবাইল। যদি আজকে পব শিল্প আনতে উৎসাহ না দেখায়, পাশের রাজ্য ঝাঁপিয়ে পড়বে। যদি ইন্ডিয়াতে সব রাজ্যে বিপ্লবে হয় (স্বপ্নে পোলাও খেলে ঘি ঢালতে ক্ষতি কি ? ), তাহলে ব্যবসা গুটিয়ে পাশের দেশে নিয়ে যেতে কতক্ষন লাগে ? IT কোম্পানি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম গুলোর টেবিল চেয়ার, ল্যাপটপ, ডেস্কটপ সব ভাড়া করা। ব্যবসা খুলতেই যা সময় লাগে, গোটাতে ১ দিন। প্রতিটা দেশ চেষ্টা করছে যত পারে ইনসেন্টিভ দিয়ে শিল্প বা সার্ভিস সেক্টর ধরে আনতে জাস্ট টু সাস্টেইন বেসিক ইকোনমি।

    আজকে ডলার র দাম দু টাকা কমে গেলে ইনফোসিস র শেয়ার র কি হাল হয় ? উল্টোদিকে যারা তেল ইমপোর্ট করছে, তাদের কি হাল হয় ? সব কিছুর তো আর এক বগগা সল্যুশন পাওয়া যাবে না।

    তাহলে অল্টারনেট মডেল টা কি যেটা প্রাক্টিক্যাললি ইমপ্লিমেন্ট করা যাবে ? ওটা জানলেই তো পাগল সারে।

    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------

    Ishan on 28 May 2019 06:20:47 IST 89900.222.34900.92 (*) #
    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------
    কানহাইয়া নিজের মাতৃভাষায় কথা কননা। একটু বিহারি টানে বিশুদ্ধ হিন্দি বলেন, যাতে উচ্চকোটির লোকের মনে হয়, এ ব্যাটা নির্ঘাত মাটির কাছাকাছি। ঐটা ভেবেই যা আনন্দ। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে বেগুসরাই কানহাইয়াকে ছয় না সাত কত একটা লক্ষ ভোটে হারিয়েছে। বেগুসরাইয়ে কানহাইয়া পাপ্পু যাদবের হাত ধরেছিলেন। তারপরেও। এতদ্বারা যারা কানহাইয়াকে মাথায় তুলে রেখেছিলেন, তাঁদের এইটুকু বোঝা উচিত, যে, কানহাইয়ার ন্যারেটিভ বিহারের ন্যারেটিভ নয়। উনি হিন্দি টিভি চ্যানেলে হয়তো বামদের ভালো প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন। (বক্তা হিসেবে খুবই ভালো, তবুও হয়তো বললাম, কারণ বিহার বা ইউপিতে কেমন প্রতিনিধি দরকার, সে আমার জানা নেই)। কিন্তু জেএনইউ তে জননেতা ম্যানুফ্যাকচার করা যায়না। আর বাংলায় হিন্দিভাষী একজন 'জাতীয় নেতার'ও কোনো প্রয়োজন নেই।

    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------

    Ishan on 28 May 2019 07:11:58 IST 89900.222.34900.92 (*) #
    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------
    @অমিত, এছাড়া বামপন্থীদের অল্টারনেটিভ ন্যারেটিভ আর কী আছে?

    সব সরকারই পুঁজিপতি ধরতে দৌড়চ্ছে। সব দলই সফট বা হার্ড ফর্ম্যাটে জাত বা ধর্মের মেরুকরণ ঘটানোর চেষ্টা করছে। নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে। কিন্তু বামদের ন্যারেটিভটা কী যার জন্য আলাদা করে লোকে ভোট দেবে?

    অল্টারনেটিভ ডিটেল বহু আছে। শিল্পায়নের কথাই যদি বলেন, শিল্প কোথাও ডেকে ডেকে এনে হয়নি। বেঙ্গালুরুতে এবং নিকটবর্তী এলাকায় কেন্দ্রীয় সরকারি ইলেকট্রনিক হাবই ছিল বলা যায়। বেঙ্গালুরু তারই ফসল। দিল্লি বা বোম্বেও কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির ফসল। দিল্লিতে এবং সন্নিহিত এলাকায় যে পরিমান টাকা ঢালা হয়েছে, তা অকল্পনীয়। উল্টোদিকে স্বাধীনতার ঠিক পরের দিনই কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করে বাংলা থেকে যা ইনকাম ট্যাক্স আদায় হয় তার ২০% পশ্চিমবঙ্গ পাবে। ঠিকই পড়ছেন। ২০%। এর সঙ্গে উদ্বাস্তু সমস্যায় একটি কানাকড়িও ঠেকানো হয়নি। পাটের অভাবে চটকল বন্ধ হতে শুরু করে। পাটচাষ শুরু করায় খাদ্যাভাব দেখা যায়। কেন্দ্রীয় সরকার নতুন কোনো বিনিয়োগ, নতুন কোনো পরিকাঠামো বানায়নি। এই লুণ্ঠন প্রায় ঔপনিবেশিক, যদি না পুরো হয়।

    তা, এতটা লিখলাম এই কারণে, যে কেন্দ্রীয় সরকার যদি ট্যাক্সের ৮০% দেয় তো পরিকাঠামো খুবই বানানো সম্ভব। এখনও। কিন্তু সে দাবী কে করবে? অশোক মিত্র এই কথা বলে বলে মারাই গেলেন। আর বলারও কেউ নেই তো দাবী।

    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------

    Amit on 28 May 2019 07:36:57 IST 340123.0.34.2 (*) #
    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------
    খেয়েছে। ১৯৪৭ র ইতিহাস টেনে আনলে এখন কি হবে ? ঐতিহাসিক সব ভুল বা বঞ্চনা তো আর ফিরে গিয়ে শোধরানো যাবে না। আমি ২০১৯ এ দাঁড়িয়ে বামেদের কি করা উচিত সেটা জিগাইতে যাচ্ছিলাম। পপুলেশন র ৭০-৮০% হয়তো ৪৭ এর পরে জন্মেছে, তারা সেই ইতিহাস ঘুরে দেখতে আদৌ আগ্রহী নয়।

    কেন্দ্র সরকার কি রাজ্যে রাজ্যে ট্যাক্স স্ল্যাব আলাদা করে ধরে দেয় ? যদি সেটা হয়েও থাকে, ট্যাক্স ছাড়াও অনেক রাজ্যে এক্সট্রা ইনভেস্টমেন্ট আসে, সেটা কেন্দ্র সরকার হতে পারে, রাজ্য সরকার ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক বা অন্য কথা থেকে ঋণ নিয়ে করতে পারে। উদা: গুজরাট , তামিলনাড়ু ইত্যাদি। সেখানে সব রাজ্যকে সমান ভাবে বেনিফিট দেওয়া হয়, একেবারেই নয়। সেখানে বহু পলিটিকাল একুয়াশন কাজ করে।যেমন অন্ধ্র কবে থেকে স্পেশাল স্টেটাস র জন্য দাবি জানিয়ে যাচ্ছে।

    কিন্তু বামেরা কি আবার সেই বঞ্চনার ন্যারেটিভ নিয়ে যাবে লোকের কাছে ?

    কেন্দ্রীয় সরকার র বঞ্চনা শুনে শুনে ৩৪ বছর কাটিয়েছি। তারপর 2011 থেকে আরো ৮ বছর। কিন্তু কোনো সমাধান তো পাওয়া যায়নি। এখন সেই যুক্তি মানতে গেলে, বেশি করে কেন্দ্র সরকারের ইনভেস্টমেন্ট আনতে গেলে তো রাজ্যে বিজেপি আসাই ভালো, এক সরকার থাকলে চুলোচুলি কম হবে।মোদির লুক ইস্ট পলিসি তে যদি ইকোনমিক করিডোর তৈরী হয় সব পুবের রাজ্য জুড়ে, তাহলে তো সেটা অনেক ভালো। মোদী তো গ্রান্ড প্ল্যান দেখিয়েছে লুক ইস্ট পলিসিতে, একেবারে সিঙ্গাপুর অব্দি।

    তাহলে এখন বামেদের আনলে রাজ্যের বা কারোর ইন্টারেস্ট টা ঠিক কোথায় ? লোকে তো সেই কথাই আগে জিগাবে। হিসেবে মিলছে না।

    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------

    Ishan on 28 May 2019 07:50:05 IST 89900.222.34900.92 (*) #
    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------
    হিসেবে মিলবেনা কেন? আমিও তো একই কথা বলছি। যে কাজটা মোদী অনেক ভাল পারে (গুজরাত মডেল), তার জন্য বামদের তো একেবারেই দরকার নেই। খামোখা লোকে ভোট দেবে কেন? এর আগে, ঠিক হোক বা ভুল, লোকে বামদের বাম ন্যারেটিভের জন্য পছন্দ বা অপছন্দ করত। ন্যারেটিভটাই না থাকলে বাম রা থাকবে কেন? এবার অলটারনেটিভ ন্যারেটিঊ খোঁজার দায়িত্ব বামেদের। আমি আমার মতো বললাম। যে, ২০১৯ এ রাজ্যের অটোনমি এবং আয়করের ৮০% চাওয়া উচিত। আরও বাকি যাযা বললাম। সেটাই মানতে হবে, একেবারেই তা নয়।

    তবে, কেন্দ্র এবং রাজ্যে একই সরকার সম্পর্কে একটি তথ্য। ৪৭ থেকে ৬৭ এই ২০ বছর কেন্দ্র এবং রাজ্যে একই সরকার ছিল, যে কুড়ি বছর বাংলার পতন হয়।

    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------

    dc on 28 May 2019 08:18:59 IST 127812.49.7890012.21 (*) #
    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------
    দেখুন, বামেরা তাদের মেসেজ জনতার কাছে পৌঁছতে পারেনা তার পাতি কারন কমিউনিজম থিওরেটিকালি যাই হোক না কেন, প্র্যাক্টিকালি ব্যাপারটা ফেল করেছে।

    তার চেয়ে আমাদের ক্যাপিটালিস্টদের মেসেজ লোকের কাছে পৌঁছনো সোজা কারন আমরা প্র্যাক্টিকাল কথা বলি (আবার আমাদের ইকোনমিক থিওরিও আছে, অ্যাডাম স্মিথ থেকে কেইন্স থেকে ফ্রিডম্যান হয়ে সোলো-সোয়ান সাহেবরা যেরকম বানিয়েছেন)। আমরা বলি সরকার বা বুরোক্রেসি ইনেফিসিয়েন্ট আর ইনোভেটিভ না। কাজেই সরকার রেগুলেটার এর কাজ করবে, আর ব্যবসা চলবে রেগুলেটেড ফ্রি মার্কেট নিয়ম অনুযায়ী। ইনভেস্টররা নিজেদের মতো করে ইনভেস্ট করবে আর প্রফিট ম্যাক্সিমাইজ করবে। সরকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আর ইনফ্রা ডেভেলপমেন্টে জোর দেবে। কোম্পানির সিইও কতো মাইনে পায় আর লাইন ম্যানেজার কতো মাইনে পায় সেসবে নাক গলাবে না, সেসব কোম্পানির বোর্ড ঠিক করবে, কারন সিইও ডেলিভার না করতে পারলে তাকে এক মিনিটে ফায়ার করে দিতে পারে।

    এখন ভারতে নব্বুই সালে মনমোহন সিং কয়েকটা সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন (যার জন্য ওনাকে ভারতের সেরা ফিনান্স মিনিস্টারদের মধ্যে ধরা হয়), লাইসেন্স রাজ অ্যাবোলিশ করে ব্যবসার ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রন কিছুটা কমিয়েছিলেন। তাছাড়া এক্সচেঞ্জ রেট পার্শিয়ালি ফ্লোট করিয়েছিলেন। কিন্তু কাজটা সম্পূর্ণ হয়নি, ফলে ভারতে এখন একটা আধ খ্যাঁচড়া আধা ফিউডাল আধা ক্রোনি ক্যাপিটালিজম টাইপের ব্যাপার চলছে। তার ওপর বিজেপি এসে ইকোনমি আরও চটকে দিচ্ছে।

    আমরা ক্যাপিটালিস্টরা চাই সরকার আরও ট্রান্সপারেন্ট হবে, রেগুলেশানের ওপর জোর দেবে, এয়ারলাইন, টেলিকম ইত্যাদি সেক্টর থেকে নিজেকে সরিয়ে নেবে, পাবলিক সেক্টর থেকে ডাইভেস্ট করে দেবে। বড়ো ইন্ডাস্ট্রি আর লার্জ স্কেল ইনভেস্টমেন্ট করার ক্ষেত্রে বাধা দেবে না। শিক্ষা-স্বাস্থ্য-ইনফ্রা তে অনেক বেশী ইনভেস্ট করবে। সরকারের রোল গভর্নেন্স এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখবে।

    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------

    Amit on 28 May 2019 08:46:17 IST 340123.0.34.2 (*) #
    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------

    এই টইতে মূল লেখাটা খুব ভালো চলছে, এতো প্রশ্ন করে করে বেপথ করতে চাই না। অন্য কোনো টোয়ি খোলা যাক ক্যাপিটালিস্ট/ কমিউনিস্ট ন্যারেটিভ ইত্যাদির জন্য। আগেও কয়েকটা ছিল।

    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------

    lcm on 28 May 2019 08:47:35 IST 900900.0.0189.158 (*) #
    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------
    জেনারেলি এসব (রাজ্য রাজনীতি... এসেট্রা) নিয়ে লেখা পড়তে আজকাল বোরিং লাগে, কিন্তু এটা স্রেফ লেখার স্টাইলে দারুণ হচ্ছে -

    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------

    sm on 28 May 2019 09:36:25 IST 2345.110.786712.179 (*) #
    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------
    ডিসির ওপরের পোস্ট টা পড়ার পর যুগপৎ মুঘধ ও বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি।সত্যিই সরকারের উচিত না ,বাজারের ও ব্যবসার কাজে নাক গলানো।ওটাকে মার্কেট এর নিয়ম অনুযায়ী ই চলতে দেওয়া উচিত।কিছু কিছু ক্ষেত্রে খালি রেগুলেটর এর কাজ করবে।
    এ পর্যন্ত গপ্পো ঠিক আছে।কিন্তু আমার বক্তব্য হলো,পুঁজিও যাতে সরকার সরবরাহ না করে।শিল্পপতিরা নিজেদের পুঁজি নিজেরা খুঁজে নিক।সরকারী ব্যাংক থেকে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা লোন নেওয়া বন্ধ করুক।আপাতত এটুকু হলেই ভারতে চলবে।

    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------

    dc on 28 May 2019 09:41:09 IST 127812.49.7890012.21 (*) #
    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------
    অবশ্যই। ব্যাংকিং সেক্টর পুরোটাই প্রাইভেটাইজ করা উচিত। শিল্পপতিরা বাধ্য হবে ফান্ড পাওয়ার জন্য ট্রান্সপারেন্সি আর অ্যাকাউন্টেবিলিটি বাড়াতে।

    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------

    sm on 28 May 2019 10:04:06 IST 2345.110.786712.179 (*) #
    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------
    এটা করতে পারলে,ভারতে স্বর্ণ যুগ আসবে।কোন বাম ও ডানপন্থা লাগবে না।ট্যাক্সের টাকাতেই, মনের আনন্দে সরকার জনহিতকর প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারবে।
    শিল্প চাই বলে রাজ্যে রাজ্যে প্রতিযোগিতা চলবে না।মিডিয়ার নাটকবাজি কমবে।

    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------

    S on 28 May 2019 10:22:01 IST 458912.167.34.76 (*) #
    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------
    অনামিত্র তোমার লেখা খুব ভালো লাগছে। আর বিরক্ত করবোনা। বামেদের ন্যারেটিভ নিয়ে সত্যিই একটা টই খোলা উচিত। সেখানেই আলোচনা চলুক।

    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------

    রঞ্জন on 28 May 2019 10:23:52 IST 232312.162.128912.141 (*) #
    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------
    লেখাটা চলুক।

    এই ফাঁকে ডিসিকে বলিঃ
    অংক কি এতটাই সরল?
    তাহলে ২০০৯ এ ফ্রিডম্যান ফেইল করলেন কেন? কেন স্টিগলিজদের প্রেস্ক্রিপশন বেশি কাজে দিল?
    ভারতে সমস্ত ব্যাংক প্রাইভেট ছিল ১৯৬৯ অব্দি। তাতে পারদর্শিতা ছিল? ছোট ডিপোজিটারের টাকা সেফ ছিল?
    তাতে ইকনমি এগুচ্ছিল?
    ইন্দিরা গান্ধীর ১৯৬৯ ব্যাংক ন্যশনালাইজেশনের ইম্প্যাক্ট ইকনমিকে লং রানে স্ট্রাকচারাল জড়তা থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করল। বিশেষ করে কৃষি উৎপাদন ও ইনফ্রাস্ট্রাকচারে।
    যার লাভ অবশ্যই প্রাইভেট সেক্টর পেল। ওদের তখন কোন মোটিভেশন ছিল না ইনফ্রাস্ট্রাকচারে ইনভেস্ট করার।
    আজ ভারত ফুড প্রোডাকশনে সেলফ সাফিশিয়েন্ট; ছোটবেলায় ভাবতে পারতাম না । এক্ষণ প্রবলেমটা ওভার প্রোডাকশন ও ইঙ্কমপিটেন্ট মার্কেট চেইনের।
    কাজেই প্রাইভেট প্লেয়াররা মাঠে খেললেও কোচ বা ক্যাপ্টেনের মত সরকারের রোল থাকা উচিত।
    ২। কিন্তু বাম মানসিকতায় পাবলিক সেক্টর নিয়ে একটা অবসেশন আঁচে যেন প্রাইভেট হলেই ক্যাপিটালিজম, আর পাবলিক সেক্টর হলেই সমাজতন্ত্রের কাছাকাছি!
    লেনিনের মডেলেও ওটা সোস্যালিজম ছিল না , বরং স্টেট এন্ড ব্যুরক্র্যাটিক ক্যাপিটালিজম ছিল --এটা বলার সময় এসেছে। ওয়ার্কার রা আদৌ ক্যাপিটালের মালিক ছিল না , ওয়েজ লেবারই ছিল।
    ৩ আসলে দরকার দায়বদ্ধতা-- প্রাইভেট হোক, কি পাবলিক। সেটারই অভাব।

    অনমিত্র কই?

    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------

    PM on 28 May 2019 10:55:11 IST 9001212.30.8934.43 (*) #
    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------
    "অবশ্যই। ব্যাংকিং সেক্টর পুরোটাই প্রাইভেটাইজ করা উচিত। শিল্পপতিরা বাধ্য হবে ফান্ড পাওয়ার জন্য ট্রান্সপারেন্সি আর অ্যাকাউন্টেবিলিটি বাড়াতে"।--- সদ্য সদ্য ইয়েস ব্যান্ক আর আইিসিআসিআই ব্যন্ক এর গ্রস দুর্নীতি দেখার পরেও কি করে এতো জোর গলায় বলছেন ? ইয়েস ব্যান্ক এ এখনো পুরো খুলাসা হয় নি তাও

    Rন্হনদার সাথে একমত

    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------

    dc on 28 May 2019 10:58:17 IST 127812.49.7890012.21 (*) #
    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------
    রঞ্জনদা, অংক কখনোই সরল হয় না ঃ-) ওভারল মডেল হওয়া উচিত সরকার যতোটা সম্ভব ব্যবসায়ে সরাসরি পার্টিসিপেশান বন্ধ করবে, কারন ব্যবসা করাটা সরকারের কাজই না। সরকারের কাজ হলো রেগুলেশান, গভর্নেন্স, আর ইনফ্রা ডেভেলপ করা, শিক্ষা-স্বাস্থে বেশী খরচ করা, দেশের লোককে বিনামূল্যে অথবা নামমাত্র মূল্যে শিক্ষা আর স্বাস্থ্য বেনিফিট দেওয়া (অন্তত একটা লেভেল অবধি)।

    এগুলো ছাড়াও উচিত স্টেট আর রিলিজিয়নের সেপারেশান, যা বোধায় আমাদের দেশে প্রায় কখনোই হয়নি, যার ফলে আজ আরেসেস/বিজেপি ওদের বিষাক্ত ক্যাম্পেনে সফল হয়েছে।

    "কাজেই প্রাইভেট প্লেয়াররা মাঠে খেললেও কোচ বা ক্যাপ্টেনের মত সরকারের রোল থাকা উচিত" - একমত।

    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------

    dc on 28 May 2019 11:00:18 IST 127812.49.7890012.21 (*) #
    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------
    পিএমদা, দুর্নীতি তো সব ক্ষেত্রেই আছে, সরকারি ক্ষেত্রেও আছে, বেসরকারি ক্ষেত্রেও আছে। ওটা ডিসাইডিং ফ্যাক্টর হওয়া উচিত না।

    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------

    amit on 28 May 2019 11:04:54 IST 340123.0.34.2 (*) #
    ----------------------------------------------------------------------------------------------------------
    এটাকে ছাড়ান দ্যান। আর একটা খুলে দিয়েছি। এই ইকোনমিক সাবজেক্ট টা অনেক বেশি ডিসকাসন র দরকার, তর্কাতর্কির জোরে আসল লেখাটা হারিয়ে যাবে।
  • PM | 7834.111.450123.246 | ২৮ মে ২০১৯ ১৭:৪২383668
  • আজকে একটা রিপোর্ট বেরিয়েছে। অআগের NDA সরকারের আমলে ১০ লক্ষ কোটি টাকার নন পারফর্মিং অ্যাসেট NPA বেড়েছে ব্যন্ক এর। আনে শোধ হবে না এমন ধার বেড়েছে ১০ লক্ষ কোটি। এটা তার আগের আমলের মোট npa র ৪ গুন। অরকার এখন ত্যক্সের পয়্সা ঢেলে লিকুইডিটি ফেরাবে। এই টাকাই দেশের বাইরে গেছে তারপর তার কমিশন আবার ইলেকসন ফান্ডে ব্যাক করে এসেছে

    প্রকারন্তরে আমরাই ইলেকসন ফান্ড স্পন্সর করেছি। আর সেই ফান্ড এর ৯৮% কোন দল পেয়েছে সবাই জানেন নিশ্চই
  • রঞ্জন | 232312.162.128912.141 | ২৮ মে ২০১৯ ২০:৩৪383669
  • ডিসি।
    "ওভারল মডেল হওয়া উচিত সরকার যতোটা সম্ভব ব্যবসায়ে সরাসরি পার্টিসিপেশান বন্ধ করবে, কারন ব্যবসা করাটা সরকারের কাজই না। সরকারের কাজ হলো রেগুলেশান, গভর্নেন্স, আর ইনফ্রা ডেভেলপ করা, শিক্ষা-স্বাস্থে বেশী খরচ করা, দেশের লোককে বিনামূল্যে অথবা নামমাত্র মূল্যে শিক্ষা আর স্বাস্থ্য বেনিফিট দেওয়া (অন্তত একটা লেভেল অবধি)।"

    --তাহলে একটা লেভেল অব্দি আপনি প্রাইভেট প্লেয়ারদের ফ্রি হ্যান্ড দেবার কথা ভাবছেন না । যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য , ইনফ্রাস্ট্রাকচার।
    ।১ ধরে নিতে পারি এক্ষেত্রে তথাকথিত পিপিপি মডেলের শো-বাজি আপনার পছন্দ নয় । অর্থাৎ কিছুদিন দু'ভাই (সরকার ও প্রাইভেট প্লেয়ার) মিলে প্রজেক্ট ভায়াবল করলো, তাতে ইনফ্রাস্ট্রাকচার সরকারের বিনিয়োগ (পড়ুন ট্যাক্স পেয়ারের) আর ওয়ারকিং ক্যাপিট্যাল প্রাইভেট। তারপর সেটা পুরোপুরি প্রাইভেটকে দিয়ে দেওয়া হল। মানে, ক্যাপিটালিস্ট সাজানো গোছানো ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফোকটে পেয়ে গেল। এটা শিক্ষা, স্বাস্থ্য দুটো নিয়েই বলছি ।
    যেমন আম্বানীর স্কুল খোলার আগেই এক্সিলেন্সের সীলমোহর লেগে একশ' কোটি টাকা পেয়ে গেল।
    যেমন ফর্টিস, মেডিকা নামমাত্র মূল্যে প্রাইভেট হাসপাতালের জমি পেয়ে গেল, কিন্তু কিছু প্রতিশত গরীবকে সার্ভ করার শর্ত বেমালুম ভুলে গেলো! যদিও ওটা পিপিপি মডেল নয় ।
    ২ ধরে নিতে পারি আপনার স্বাস্থ্যের জন্যে বীমা বেসড আমেরিকান মডেলের তুলনায় সরকার নিয়ন্ত্রিত বৃটিশ মডেল বা স্ক্যান্ডেনেভিয়ান মডেল পছন্দ।
    এই অবধি আপনার সঙে কোন মতভেদ নেই।
    ক্লাসিক্যাল মডেলে বিপ্লবের কোন সম্ভাবনা (ভারতে কেন, বিশ্বের কোথাও ) দেখছি না । যদি উপরের টিকিট কাটার আগে এই দেশ স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশগুলোর মত ওয়েলফেয়ার স্টেট হয়েছে দেখে যেতে পারি তাহলেই উদ্বাহু হয়ে নেত্য করতে করতে চিতেয় উঠবো।
    ৩ যেই আপনি রেগুলেশান ও গভরনেন্স এর কথা আনছেন তখনই ইকনমিতে কোচ বা ক্যাপ্টেনের মত দখলদারির প্রশ্ন আসছে। মাইক্রো লেভেলে শিল্পপতিদের ছূট দেওয়া গেলেও ম্যাক্রো লেভেলে সরকারের বড় রোল আসবে। রিজার্ভ ব্যাংকের একটা বড় দায়িত্ব ইকনমির বিশ্লেষণ করে রোডম্যাপ ঠিক করা, ট্রেড সাইকল কে নিয়ন্ত্রণ করা, কোন দিকে প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট বাড়াতে/কমাতে হবে --সেদিকে আঙুল তোলা।
    আপনি রাজি?
    ৪ দেখুন, ফেডারাল ব্যাংকের এবং সরকারের উদার মদত বিনা আমেরিকান ইকনমি/ ব্যাংকিং ২০০৮-০৯ এর ক্রাইসিস থেকে বেরতে পারত না । মার্কেটকে খোলা ছাড়লে ও যে পাগলা ষাঁড়ের মত ব্যবহার করবে না তার কোন গ্যারান্টি নেই। যদিও ২০০০ সালের গোড়ায় মিল্টন ফ্রিডম্যান আর ওঁর স্ত্রী মিলে একটা বই লিখে ফেলেছিলেন এটা প্রমাণ করতে জে আমেরিকান সরকার প্রায় কম্যুনিস্ট হয়ে গেছে। এত ট্যাক্স? যার বাচ্চা পড়ে না তাকেও এডু সেস দতে হবে!
    ৫ আমি কম্যুনিজম নিয়ে কিছু বলছই না , ওটা আলাদা টইয়ের দাবি করে ।
    এইটুকুই বলছি জে সম্পদের অসাম্য বন্টন রুখতে সরকার ফাউল বা হ্যান্ডবল বলে বাঁশি না বাজালে মার্কেটে এফেক্টিভ ডিমান্ড কমবে যেটা ক্যাপিটালিজমের পক্ষে খুব খারাপ, আর মাওবাদী ও নানা কিসিমের উগ্রবাদী তৈরি হবে।
    ৬ অক্সফ্যামের দশ মাসের পরিশ্রমে তৈরি রিপোর্ট বলছে (নির্মাতাদের মধ্যে দিল্লির রানু ভোগল আমার ব্যক্তিগত বন্ধু, তাই জোর দিয়ে বলছি ) মোদীর তৃতীয় এবং চতুর্থ বর্ষে দেশের সম্পদের ৭০% মাত্র ১% লোকের হাতে কেন্দ্রীভূত হয়েছে। আগে ওটা ৩% লোক ছিল।
  • dc | 127812.49.7890012.21 | ২৮ মে ২০১৯ ২১:২০383670
  • রঞ্জনদা, আমার মতে শিক্ষা আর স্বাস্থ্য সরকারের ভালোমতো রেগুলেট করা উচিত, এই দুটো সেক্টরেই অনেক বেশী করে স্পেন্ড করা উচিত (অন্তত জিডিপির ১০-১৫% করে)। সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা আর স্বাস্থ ব্যবস্থা এতোটাই ভালো হওয়া উচিত যে বেশীরভাগ লোক পাবলিক স্কুলে পড়াতে চাইবে, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যাবে। আর এগুলো সবই বিনামূল্যে দেওয়া উচিত বা নামমাত্র মূল্যে। এর পরেও যদি আম্বানি স্কুল বা হাসপাতাল খুলতে চায় তো সরকারের সমস্ত নিয়ম মেনে খুলতে হবে, তার পরেও সেই স্কুলে পড়াশোনার মান কেমন হচ্ছে সেটা দেখার অধিকার সরকারের থাকবে। আপনার ১ আর ২ নং পয়েন্টের সাথে একমত।

    "রিজার্ভ ব্যাংকের একটা বড় দায়িত্ব ইকনমির বিশ্লেষণ করে রোডম্যাপ ঠিক করা"

    সে তো বটেই, অবশ্যই। রিজার্ভ ব্যাংক সেন্ট্রাল ব্যাংকার, ইকোনমির ওভারল মনিটরিং এর দায়িত্বে থাকবে। ইনফ্লেশান টার্গেট করবে না গ্রোথ টার্গেট করবে সেই ডিসিশান নেবে, ইন্টারেস্ট রেট কমাবে বা বাড়াবে। মনেটারি পলিসি ঠিক করবে, টি বিল, টি বন্ড ইত্যাদির গ্যারান্টর হবে।

    সম্পদের অসম বন্টনে সরকারের কতোটা রোল হওয়া উচিত সে নিয়ে খুব একটা শিওর নই, তবে প্রেফার করবো যতোটুকু ইন্টারভেনশান না করলেই না তার বেশী যেন সরকার নাক না গলায়। সোশ্যালিজমের দিকে যেন না ঝোঁকে, যতোটা সম্ভব ক্যাপিটালিস্ট ইকোনমি চালায়।
  • dc | 127812.49.7890012.21 | ২৮ মে ২০১৯ ২১:৩৭383671
  • আর ২০০৮-০৯ এর ক্রাইসিস অ্যামেরিকান সরকার যেভাবে হ্যান্ডল করেছিল সেটা আমার মতে ভুল ছিল। সরকারের পলিসি হওয়া উচিত ছিল লিভ অ্যান্ড লেট ডাই। সিটিব্যাংক, মেরিল লিঞ্চ ইত্যাদিদের কোল্যাপ্স করতে দেওয়া উচিত ছিল, ট্যাক্সপেয়ারের টাকায় বেলআউট একেবারে ভুল পলিসি।
  • | 340123.99.121223.132 | ২৮ মে ২০১৯ ২১:৩৮383672
  • দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ওয়েলফেয়ার স্টেট এর যে বেসিক টেনেট্স, সেগুলোকে এখন বাম দের বলতে হচ্ছে। সর্বত্রই, কারণ গণতন্ত্র ইত্যাদি বলতে যা বোঝায়, সেগুলি কে নতুন করে ডিফেন্ড করতে হচ্ছে বাম দের। ক্যাপিটালিজম এর পক্ষে এখন আর গণতন্ত্র ডিমান্ড জেনারেশন বা প্রোডাকশন প্রসেস স্টেবিলাইজ এর জন্য প্রয়োজনীয় টুল না। বাম পজিশন সব সময়েই ক্যাপিটালিজম এবং তার সঙ্গে স্টেট ইনটারভেন্শন এর সম্পর্কের , বা স্টেট এর নেচার অনুযায়ী বদলেছে। এই আলোচনায় সেই আসপেক্ট টা পাচ্ছি না।
  • | 340123.99.121223.133 | ২৮ মে ২০১৯ ২২:২৪383637
  • এবং এটা নিজেদের মইদ্যে বলে রাখতে অসুবিধে নাই, (যদিও ইশান বাঙালি ন্যাশনালিস্ট সত্ত্বা বেশি প্রকাশ করার পর থেকে লেপ্ট লিবেরেল দের ক্যামন ঠেশ দিয়া কথা কয়), কালদর্শী কমরেড ঈশ্বর এবং কমরেড মার্ক্স এর রসবোধ এর পরিচায়ক হোক বা না হোক, দুটি ঘটনা একটু বিচিত্র।

    বলা হয় ১৯৩৭ রুজভেল্ট এর নিউ ডিল , এমনকি ১৯৪৫ এ এটলি দের ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিস ঘোষণার আগেই, আধুনিক ওয়েলফেয়ার স্টেট বড় সড় শুরু। যদিও ওয়েস্টফালিয়ান ডেমোক্রাসি যেগুলো, তাতে পেনসন শুরু হয়েছিল কিছু বিংশ শতকের গোড়ায়। এবং আরো বলা হয়, রুজভেল্টে র এই ১৯২৯ মহা ক্র্যাশ পরবর্তী পদক্ষেপ, আসলে সোভিয়েট সেন্ট্রাল প্ল্যানিং এর একটা প্রতিক্রিয়া, যেটা ক্র্যাশ এ অপেক্ষাকৃত কম অ্যাফেকটেড হয়। (যদিও পরে দেখা গেছে সেটা সবটা সত্যি না)।
    আবার বলা হয়, সেই একই সময় তেই ১৯৩৩ এ যে ফ্র্যাংক অ্যান্ড ডড রুল্স ইত্যাদি করা হয়েছিল, স্পেকুলেটিভ ইনভেস্ট মেন্ট এর সঙ্গে অন্য ইনভেস্টমেন্ট আর পেমেন্ট্স কে সেগ্রিগেট করার জন্য, যাতে রিটেল ইনভেস্টর আর জব্স রক্ষা পায়, তাকেই হালকা করে করে , বিশেষতঃ ১৯৮৪ র রেগান থ্যাচার দের নেতৃত্ত্বের কনসেনসাস এর আমল থেকে, আপনাদের এই দুরবস্থা ২০০৮ থেকে ২০১১ ইত্যাদি।

    অন্য দিকে এখন এই যে গণতন্ত্র কে উন্নয়ন এবং বৃদ্ধি দুটোর পক্ষেই বাধা হিসেবে ধরা হচ্ছে, সেটা চীনের ১৯৭৯ পরবর্তী উত্তেজনাপূর্ণ মহাশক্তিমান হবার স্টোরির অনুপ্রেরনা, কিছু লোকের মাথায় ঢুকেছে, সব ধরণের সব পার্টির লিবারেলাইজার দের মধ্যেই, দ্যাট ইজ দ্য মডেল টু ফলো। আর অন্য দিকে ক্যাপিটালিস্ট জগতে অটোমেশন ইত্যাদি ঠ্যাকন দেবার জনয়া, সোশাল স্টেবিলিটির জন্য ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম ইত্যাদি ভাবনা আসছে।

    তো বুঝতে পারছেন, আমরা বামপন্থী রা দু চারবার অল্প হিলিয়ে যে গেছি, আপনারা তাতে রিয়াকট করেই মরছেন, তাই বলে কি সামান্যতম অহংকার করিচি? ঃ-)))))
    আদি ব্রাহ্ম হলে দেখতেন এর মধ্যে এমনকি ফ্যামিলি কেস ও কিছু ঢুকে যেত ঃ-)))
  • কল্লোল | 342323.191.4556.29 | ২৮ মে ২০১৯ ২২:৩৯383638
  • মুস্কিলটা হচ্ছে বামেদের হাতেও কোন বিকল্প নেই। বিকল্প হিসাবে বামেরা এতোকাল যে মডেল ভেবে এসেছে সেটা রাষ্ট্রীয় পুঁজির মডেল যা অকৃতকার্য হতে বাধ্য এবং তাইই হয়েছে।
    পুঁজি এখন দুটো সংকটে পড়ছে - ১) যন্ত্রায়নের ফলে বাজার ক্রমাগতঃ ছোট হয়ে যাওয়া, ২) পরিবেশ দূষণ যা পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
    প্রথমটা থেকে বেরিয়ে আসার কিছু রাস্তা - ১) বাজারের বাইরে ভোগের সামর্থ্য না থাকা বিশাল জনসংখ্যাকে মরে যেতে দেওয়া বা মেরে ফেলা অথবা ২) ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম চালু করা অথবা ৩) শ্রমনিবিড় শিল্পে ফিরে যাওয়া
    দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে রাস্তা একটাই বিশিল্পায়ন। হয়্তো প্রথম সমস্যাটার ৩য় সমাধানটি এর প্রাথমিক পদক্ষেপ হতে পারে।
    আর একটা রাস্তা, একদম নতুন কোন প্রযুক্তি যাতে দূষণ হবেই না বা দূষণ কমতে থাকবে।
  • কল্লোল | 342323.191.4556.29 | ২৮ মে ২০১৯ ২২:৪৬383639
  • হয়তো বা রোজাভা/আচলান কোন পথ দেখতে পারে।
  • Amit | 340123.0.34.2 | ২৯ মে ২০১৯ ০৫:৪৬383640
  • কল্লোল দার পয়েন্ট গুলো তে একমত। আজকে ডেভেলপেড দেশ গুলোতে অটোমেশন আর তার জন্য জব লস একটা খুব বড় সমস্যা। তা ছাড়াও পুঁজির গ্লোবালিজাসন এর পর বেশির ভাগ লেবর ইনটেনসিভ মেনুফ্যাক্টরউইং এশিয়া র দেশ গুলোতে শিফট করে গেছে। IT সাপোর্ট ও আউটসৌর্সড, এখানে জব পাওয়াই সমস্যা খুব হাই এন্ড স্পেশালিস্ট ছাড়া।

    এবার সরকার সোশ্যাল সিকিউরিটি দিয়ে সামলাতে পারছে না। থাম্ব রুল হলো প্রতি একজন কে সোশ্যাল সিকিউরিটি বা মেডিকেয়ার দিতে গেলে মিনিমাম চারজন ট্যাক্স পেয়ার চাই। সেই রাসিও দিন দিন কমে আসছে। এক সময় এটা ভেঙে পড়বেই। পিরামিড উল্টে যাচ্ছে।

    ফিনল্যাণ্ড ইউনিভার্সাল ইনকাম এর কথা ভেবেছে। ওদের লোক কম , ন্যাচারাল রিসোর্সে বেশি। হয়তো ওরা বেশ কিছু দিন সুস্টাইন করতে পারে, কিন্তু বাকি দেশ গুলোর পক্ষে সেই মডেল কতদিন চালানো সম্ভব কেও জানে না। ক্যাপিলাসম এর একটা অল্টারনেটিভ মডেল দরকার। যে পুড়ে ক্যাপিটালিজম মডেল ডিসি বললেন , সেটা গ্রোথ ইকোনমি তে ভালো কাজ করে , স্ট্যাগনান্ট ইকোনমি তে নয়। এবার এক্সপোর্ট/ কন্সাম্পসন কমে গেলে এক সময় বা এক সময় স্ট্যাগনেশন আসতে বাধ্য, ল অফ মোমেন্টাম। বাজার ও গুটিয়ে আসবে।

    শ্রম নিবিড় শিল্পে ফিরে যাওয়া খুব শক্ত, প্রতিটা টেকনোলজি আজকাল রোবট, রিমোট সেন্সিং, অটো কন্ট্রোল, AI এর দিকে ঝুকে পড়েছে। কোনো কর্পোরেট ফেরত যেতে রাজি নয়, কারণ যন্ত্র ইউনিয়ন করে না , মাইনে দিতে হয়না। এর থেকে প্রফিটাবলে, নির্ঝঞ্ঝাট মডেল আর নেই। কোনো সরকার জোরাজুরি করলে জাস্ট অন্য দেশে ব্যবসা গুটিয়ে নাও। নো ইমপ্যাক্ট।

    ডিসি-কে, অন্য ভাবে নেবেন না, কিন্তু বাস্তব দুনিয়াতে "সারভাইভাল অফ টি ফিটেস্ট রুল" শুনতে ভালো, যতক্ষণ না হটাৎ নিজের চাকরি যায়। তা ছাড়াও, কোনো সরকার চায়না হুট্ করে কোনো কোম্পানি ফেল করুক আর তাদের ঘাড়ে বিশাল সোশ্যাল সিকিউরিটি র বোঝা চাপুক। তাই অনেক সময় আইনত দরকার না থাকলেও জাস্ট হিউমান স্টান্ডপয়েন্ট থেকে ট্যাক্স পেয়ার দের টাকায় কোম্পানি কে survive করানোর চেষ্টা হয়। কোনো সময় কাজ হয় (বিগ ৩ ইন ডেট্রয়ট), কোনো সময় ডুবে যায় (এয়ার ইন্ডিয়া)। সব সময় যে কোনো কোম্পানি নিজের দোষে ডোবে তাও নয়, জাস্ট তারা টেকনোলজি দিসরূপশন সামলাতে পারে না বা ট্রেন্ড বুঝতে পারে না (ইস্ট ম্যান কোডাক)।

    তার মানে এই নয় যে ক্যাপিটালিজম খারাপ। জাস্ট এটা বলা যে ইডিয়াল ওয়ার্ল্ড ষ্টীল দাস নট এক্সিস্ট ইন রিয়েল লাইফ বা ওয়ান রুল ফিটস অল র মতো কোনো সাকসেস ফর্মুলা এখনো অব্দি আছে বলে জানা নেই। আর ইকোনমিক্স বা ম্যানেজমেন্ট কোনো অবসোলুট সাইন্স নয়, ওগুলো কোনো ফিজিক্যাল ল অফ নেচার মেনে চলে না , ওগুলো মেনলি হিস্টরিকাল স্ট্যাটিসটিক্স বেসড ডাটা প্রেডিকশন আর সেগুলোকে বেহ্যাভ সাইন্স এর সাথে মিলিয়ে একটা স্ট্যান্ডার্ড প্যাটার্ন তৈরী করার চেষ্টা।
  • Amit | 340123.0.34.2 | ২৯ মে ২০১৯ ০৫:৪৭383641
  • সরি, পিওর ক্যাপিটালিজম মডেল হবে।
  • কল্লোল | 342323.191.3456.130 | ২৯ মে ২০১৯ ০৬:৩৯383642
  • অমিত। "শ্রম নিবিড় শিল্পে ফিরে যাওয়া খুব শক্ত, প্রতিটা টেকনোলজি আজকাল রোবট, রিমোট সেন্সিং, অটো কন্ট্রোল, আঈ এর দিকে ঝুকে পড়েছে। কোনো কর্পোরেট ফেরত যেতে রাজি নয়, কারণ যন্ত্র ইউনিয়ন করে না , মাইনে দিতে হয়না। "
    কোনো কর্পোরেট ফেরৎ যেতে রাজি নয় - এই গল্পটা আজকের। আজ থেকে ২৫/৩০ বছর পরে কর্পোরেটরা বুঝবে যন্ত্র কনজিউমার নয়। যন্ত্র চাল-ডাল-গম-মাছ-মাংস-গাড়ি-টিভি-টুথপেস্ট-ফ্রিজ-কম্পিউটার কিছুই কেনে না। তখন কনজিউমার বাড়ানোর কথা ভাবতে হবে। হয়তো অনেক আগেই ভাবববে তারা। যদি না ঐ বিশাল নন-কনজিউমার জনসংখ্যাকে তারা নিশ্চিহ্ন করে দেবার প্ল্যান না করে। ধরা যাক কোন কারনে যদি পৃথিবীর ৭০/৮০% লোক মরেই যায়, তো প্রাকৃতিক সম্প্দ আপেক্ষিকভাবে বেড়ে যাবে। উৎপাদন কমিয়ে ফেললে, দূষণও কিছুটা কম হবে। কিন্তু এটা করা যাবে কি?
    এর উপর আছে আবহাওয়ার দূষণ আর সমুদ্রস্তর বেড়ে যাওয়া জনিত প্রাকৃতিক বিপর্যয়। ।
    বিশিল্পায়ন ছাড়া পথ বেশ কঠিন।
  • Amit | 340123.0.34.2 | ২৯ মে ২০১৯ ০৬:৪৮383643
  • আরে ৭০ - ৮০-% লোক মরে গেলে যদি আমরাও তার মধ্যে পরে যাই, তাহলে গুরুতে গুচ্ছের আট ভাট লিখবে কারা- ? এতো জরুরি সব সাবজেক্ট।

    জোকস এপার্ট। ইন প্রিন্সিপাল আমি ১০০-% এগ্রি করছি আপনার সাথে , সত্যি কনসিউমার বেস কমে গেলে কর্পোরেট গুলোও বাঁচবে না। নিজেদের বাঁচাতে চেঞ্জ টা মানুষ আর কর্পোরেট দুজনের জন্যই জরুরি। কিন্তু সেই বেড়ালের গলায় ঘন্টা বাধা টা যে কবে, কিভাবে শুরু হবে , সেটাই জানি না। নিজে এনার্জি সেক্টরে কাজ করি বলে জানি , কার্বন ক্যাপচার এ এখনো কোম্পানি গুলোর কি রকম এলজি।

    আর সেরকম ইকোনমিক টেকনোলজি ও আসছে না এসবে । একটা অদ্ভুত ভিসুয়াস সাইকেল, প্রফিটেবলে নয় বলে রিসার্চ হয়না বেশি, ইনভেস্টমেন্ট আসে না। আর ইনভেস্টমেন্ট আসেনা বলে কেও রিসার্চ করতে চায়না।

    যুদ্ধ লেগে ৭০-৮০ % সাবাড় হলে অবশ্য অন্য গল্প। বেঁচে থাকলে আবার এই পাতায় শুরু করবো। :) :)
  • S | 458912.167.34.76 | ২৯ মে ২০১৯ ০৬:৫৩383644
  • তাহলে কি প্রগতির সঙ্গে সঙ্গে যেসব যন্ত্রপাতি তৈরী হবে সেগুলোকে বর্জন করা হবে? গাড়ি না চালিয়ে পালকিতে করে যাতায়াত করলে সেটা বেশ শ্রমনিবিড় ইসে হলো। আবার মনে করুন চিকিৎসা ক্ষেত্রে যেসব যন্ত্রপাতি তৈরী হয়েছে সেগুলোকে কি ফেলে দেওয়া হবে? বা স্ট্যাটিস্টিকাল প্যাকেজগুলো বিশাল বড় ডেটাবেস কয়েক সেকেন্ডে অ্যানালাইজ করে দেয়। সেটি না করে ম্যানুয়ালি করলে কয়েক বছর লাগবে। সেটাও বেশ শ্রম নিবিড়তার দিকে অগ্রগতি হলো।

    অটোমেশান মানেই সেটা বামপন্থার বিরুদ্ধে কেন? আম্রিগায় হয়েছে বলে? চীনে হলেই বাম অর্থনীতির অংশ হয়ে যেতো? আমার তো মনে হয় যান্ত্রিক প্রগতির সঙ্গে বামপন্থার কোনও বিরোধ থাকা উচিত নয়। থাকলে সেটা বামপন্থার জন্য চিন্তার, প্রগতির জন্য নয়।

    কয়েক দশক পরে কর্পোরেটরা বুঝতে পারবে যে তাদের কন্জিউমার বেস কমে যাচ্ছে, তখন তারা অটোমেশান কমাবে ইত্যাদি - এগুলোর কোনোটাই বামপন্থার কথা না। ফলে তখন যে সমাধান বেড়বে সেটাও ধনতন্ত্রের অঙ্গই হবে, এবং ধনতন্ত্রকে আরো শক্তিশালী করবে।
  • কল্লোল | 342323.191.3456.130 | ২৯ মে ২০১৯ ০৭:০৫383645
  • আমিও তো তাইই বলছি বড় এস।
    সে তো মার্ক্স কোথায় যেন লিখেওছিলেন - তখন যন্ত্রই সব কাজ করে দেবে। মানুষ অখন্ড অবসর ভোগ করবে - শিল্প-সাহিত্য ইঃতে বেশী বেশী সময় দেবে।

    ধণতন্ত্রও তখন তার আজকের রূপে থাকতে পারবে না। সেটা বাম কি বাম নয় তা নিয়ে ভাবারও কোন কারন নেই। কিন্তু কোথাও কাউকে ভাবতে হবে মানুষ ও পৃথিবী বাঁচানোর কথা।
  • S | 458912.167.34.76 | ২৯ মে ২০১৯ ০৭:৩০383646
  • কল্লোলদা, ধনতন্ত্রও এখন কোমাতে গেছে; অক্সিজেন মাস্ক লাগিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। একটা জিনিস খেয়াল করবেন যে সারা দুনিয়ার সব রাইট উইঙ্গ পার্টিগুলো, যারা আগে ফ্রী মার্কেট, ফ্রী স্পীচ, গণতন্ত্র, গ্লোবালাইজেশনের পক্ষে সওয়াল করতো, আজকাল সেসব শুনলে সরাসরি আক্রমণই করে বসে। আর এইসব দলগুলোকে যে পুঁজিরা মদত দেয়, তারাও কেমন লাজুক মুখ নিয়ে চুপটি করে বসে থাকে। ধনতন্ত্রের পুজারিরা যে আসলে নাস্তিক সেটা গত ক্রাইসিস-রিশেসানের সময় বোঝা হয়ে গেছে। বহু লোকের চোখ থেকে ঠুলি সরে গেছে।

    আম্রিগার হাউসে নিউ গ্রীন ডীল আনার কথা হয়েছিল। সেখানে ১০ মিলিয়নের বেশি আয় হলে ৭০% কর বসার কথা ছিল। সে বিল অবশ্য ফ্লোরে আলোচনার জন্যও আসেনি। কিন্তু অদ্ভুত ভাবে এখনো সারা আম্রিগা সেই নিয়ে কথা বলেই চলেছে। ধনতন্ত্রের পুজারী ফক্স নিউজে সে নিয়ে এখনও সমালোচনা চলে। কেন? কারণ, ওরাও জানে যে আজ না হোক কাল এই লাইনেই হাঁটতে হবে। অন্য কোনও উপায় নেই। আগেরবার ট্যাক্স কমানোর পর বহু বড়লোকরা সেটার বিরোধীতা করেছিলেন। ক্যাপিটালিজমের বহু পন্ডিত বলেছেন যে ট্যাক্স কাট কোনও কাজে দেবেনা। অথচ ট্যাক্স কাট ধনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান হাতিয়ার।

    ওবামাকেয়ার গরীবদের বিনি/কম পয়সায় ইন্সিওরেন্স দেয়। প্রথম প্রথম সেই নিয়ে বিরোধীতা থাকলেও, এখন সেই নিয়ে জাস্ট কোনও আলোচনাই হয়্না। ট্রাম্প জেতার পর অনেকে বলেছিলো যে উনার জেতার অন্যতম প্রধান কারণ হলো ওবামাকেয়ার। অদ্ভুত ব্যাপার হলো ট্রাম্প জেতার পর প্রায় দুবছর হোয়াইট হাউস, কঙ্গ্রেসের দুই কক্ষই হাতে থাকা সত্ত্বেও ওবামাকেয়ার সড়াতে পারেনি। বহু রিপাব্লিকানরা ভোট দিতে পারেনি ওবামাকেয়ার রিপীলের পক্ষে (একজনের অফিস জানিয়েছিলো যে তারা ওবামাকেয়ার রিপিল করার পক্ষে ৪টে ফোন পেয়েছে, আর রাখার পক্ষে ১৮০০ টা)। ২০১৮তে ডেমরা জিতলই যাতে ওবামাকেয়ার থেকে যায়। আমি অবাক হবোনা যদি আর কয়েক বছরের মধ্যে ইউনিভার্সাল হেল্থকেয়ার চালু হয়। গরীব ছাত্রদের জন্য সরকারি কলেজকে টিউশান মুক্ত করার কথা অলরেডি চলছে। এমনকি বড় কোম্পানিগুলোকে ভেঙে ছোট করার প্ল্যানও আছে। আজকাল আলোচনায় বার বার উঠে আসে যে থিও রুজভেল্ট থাকলে এই বড় কোম্পানিগুলোকে ঠিক ভেঙে দিতেন।
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ২৯ মে ২০১৯ ০৭:৫২383648
  • কী সর্বনাশই যে হবে! এখনই ফেবুতে যে হারে কবিতা আসে, তাতেই অবস্থা কাহিল। যন্ত্র সব কাজ করে দেবে আর সব লোকে শিল্প সাহিত্য চর্চা করবে, সেই সময়ে যে কী হবে ভাবতেই হৃৎকম্প হচ্ছে। ঃ-)
  • রঞ্জন | 238912.69.340112.207 | ২৯ মে ২০১৯ ০৮:০১383649
  • আলোচনা জমে গেছে।
    একবিংশ শতাব্দীতে নতুন করে ভাবা দরকার। শুরুও হয়েছে।
    গুরুজনদের আমার মত চণ্ডালএর কোশ্নঃ
    ১ আজকের ক্যাপিটালিজম কি মার্ক্সের ক্যাপিটাল -২ ও ৩তে বর্ণিত বা এঙ্গেলস এর ম্যাঞ্চেস্টারের বস্ত্রশিল্পের বর্ণিত ছবির সঙে মেলে?
    -- কেননা অনেক গুরজন উন্নত ক্যাপিটালিস্ট দেশে থাকার এবং কাজ করার ফলে হাতে গরম এক্সপোজার পাচ্ছেন।

    ২ শিল্পে প্রলেতারিয়েতের সংখ্যা বাড়ছে না কমছে? মার্ক্সের সরলীকৃত মডেল-- ক্রমশঃ পুঁজির সঞ্চয় , বৃদ্ধির অতি কেন্দ্রীকরণের ফলে একদিকে হাতে গোণা বৃহৎ পুঁজিপতি আর অন্য দিকে বিশাল প্রলেতারিয়েতের ভীড় যাদের হাতের শেকল ছাড়া হারাবার কিছু নেই-- - আজ কতদূর সত্যি?

    ৩ আমাদের ছোটবেলার মডেল রাশিয়ায় পুঁজির সামাজিকীকরণ হয়েছিল, না রাষ্ট্রীকরণ? যদি দ্বিতীয়টি হ্যাঁ হয় , তাহলে ওই ইকনমিকে সোশ্যালিস্ট বলব কি স্টেট ক্যাপিটালিজম?

    ৪ শ্রমিক সোভিয়েত রাশিয়ায় পুঁজির মালিক হয়েছিল? নাকি ওয়েজ লেবার থেকে গেছল? শিক্ষা স্বাস্থ্য বাসস্থান ইত্যাদি ওয়েলফেয়ার মেজারের কথা ধরছি না । ওগুলো আজকাল অনেক উন্নত ওয়েলফেয়ার স্টেটে দ্যাখা যায় ।

    ৫ আজকে সমস্ত পুঁজিবাদী দেশে সরকারের নিয়ন্ত্রণ, কেইন্সীয় দাওয়াই দিয়ে ট্রেড সাইক্ল নিয়ন্ত্রণ , ইত্যাদির ফলে এবং চীন ইত্যাদি দেশে ব্যক্তিগত মুনাফা কে তোল্লাই দেয়ার ফলে ক্ল্যাসিক্যাল ক্যপিটালিজম ও সোশ্যালিজম এর বাইপোলার ছবিা বাস্তবে অনেক আবছা হয়ে গেছে কি না?
  • dc | 127812.49.011223.144 | ২৯ মে ২০১৯ ০৮:০২383650
  • অমিত, পয়েন্ট ওয়েল টেকেন ঃ-) S আর কল্লোলদাও ঠিক বলেছেন। প্রথমত, ক্যাপিটালিজম এর তো সমস্যা আছেই, আর সেই সমস্যা মেটানোর উপায়ও ক্যাপিটালিস্টদের খুঁজতে হবে, নাহলে অন্য কোন সিস্টেম চলে আসবে। তবে টেকনোলজিকাল প্রোগ্রেস এর কথা তো সোলো-সোয়ান মডেলে বলা হয়েছে, যেটাকে নিওক্লাসিকাল মডেলের মধ্যে ধরা হয়। মানে নতুন নতুন টেকনোলজি এসে ক্লোসড ইকোনমিতে লেবারের ডিমিনিশিং রিটার্ন কাউন্টার করতে পারে। বাস্তবেও সেরকমই অনেকটা হয়েছে।

    আর অটোমেশান সমস্যা মনে হচ্ছে, কিন্তু লং টার্মে সেরকম নাও হতে পারে (কম্পু নিয়েও সেরকমই আশংকা করা হয়েছিল)। আমার একটা সন্দেহ হচ্ছে যে আগামী পঞ্চাশ বছরে আমরা একটা দুটো গ্রহে কলোনি বানানোর চেষ্টা করবো, তখন এইসব নতুন টেকনোলজি কাজে লাগবে আর পৃথিবীতেও পপুলেশানের চাপ কিছুটা কমবে। অবশ্য তার আগেই ক্লাইমেট ডিসাস্টার শুরু হয়ে যেতে পারে। দেখা যাক কি হয়।
  • dc | 127812.49.011223.144 | ২৯ মে ২০১৯ ০৮:০৯383651
  • Atoz, এআই জীবনান্দ আর এআই রবীন্দ্রনাথ সরাসরি ল্যাম্পপোস্ট থেকে কবিতা শোনাবে তখন।

    রঞ্জনদার এক থেকে চার প্রশ্নের উত্তর আমি দিতে পারবোনা, কারন মার্ক্স এক লাইনও পড়িনি, উনি ক্যাপিটাল নিয়ে কি বলেছিলেন তাও জানিনা (ক্যাপিটালিস্টরা ধ্বংস হলো বলে, এরকম কিছু একটা বলেছিলেন বোধায়)। সোভিয়েত ইউনিয়নে কি হতো তাও খুবই কম জানি, একেবারেই আবছা দুয়েকটা ব্যপার জানি।

    আর আজকের বড়ো পুঁজিবাদী দেশগুলোতে কেইনসের মডেল খুব বেশী চলে না, বরং মনেটারি পলিসি বেশী চলে, যা কিনা অনেকটাই নিওলিবারাল মডেল হিসেবে খ্যাত (স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলো কিছুটা এর ব্যতিক্রম)।
  • রঞ্জন | 238912.69.340112.207 | ২৯ মে ২০১৯ ০৮:১৪383652
  • ্ডিসি,
    ঠিক কথা । গত তিনটে দশকে ফ্রিডম্যানরা জাঁকিয়ে বসেছেন।
    কিন্তু ২০০৮ এর সংকটের পরে আবার ঘুরে ফিরে অন্য নামে কেইন্সীয় প্যাকেজ। আবার জোসেফ স্টিগলিজ ও অন্যেরা বেশি প্রাসংগিক হচ্ছেন।
  • রঞ্জন | 238912.69.340112.207 | ২৯ মে ২০১৯ ০৮:১৬383653
  • এবং ফ্রান্স থেকে পিকেটির কন্ঠস্বর!
  • S | 458912.167.34.76 | ২৯ মে ২০১৯ ০৮:৫৭383654
  • ৩ আমাদের ছোটবেলার মডেল রাশিয়ায় পুঁজির সামাজিকীকরণ হয়েছিল, না রাষ্ট্রীকরণ? যদি দ্বিতীয়টি হ্যাঁ হয় , তাহলে ওই ইকনমিকে সোশ্যালিস্ট বলব কি স্টেট ক্যাপিটালিজম?

    সেটা ডিপেন্ড করছে যে মোট পুঁজির কতটা সেন্ট্রাল বডির হাতে ছিলো, তার উপরে। পলিটব্যুরো আর সেন্ট্রাল কমিটি যদি প্ল্যানিং কমিশানের মাধ্যমে প্রায় সব কিছুই ঠিক করে দেয়, তাহলে সেটাও সমস্যার। তার থেকে লোকাল বডিরা যদি ঠিক করে, তাহলে সেটা একটু বেশি হলেও সমর্থনযোগ্য।

    ৫ আজকে সমস্ত পুঁজিবাদী দেশে সরকারের নিয়ন্ত্রণ, কেইন্সীয় দাওয়াই দিয়ে ট্রেড সাইক্ল নিয়ন্ত্রণ , ইত্যাদির ফলে এবং চীন ইত্যাদি দেশে ব্যক্তিগত মুনাফা কে তোল্লাই দেয়ার ফলে ক্ল্যাসিক্যাল ক্যপিটালিজম ও সোশ্যালিজম এর বাইপোলার ছবিা বাস্তবে অনেক আবছা হয়ে গেছে কি না?

    ক্লাসিকাল ক্যাপিটালিজম তো বহুদিন হলো প্রায় কোনও দেশেই নেই। এমনকি পস্চীমের যত বড়সড় দেশ রয়েছে, সেগুলো ক্রমশঃ ক্লাসিকাল থেকে সড়ে আসছে। ফ্রিডম্যান আর গ্রীনস্প্যানও এখন অতীত বলতে পারেন। গ্রীনস্প্যান ওয়াজ বেসিকালি আ লিবারেটেরিয়ান। তা ওদের এখন আর কেউ সিরিয়াসলি নেয়না। ফলে ক্লাসিকাল ক্যাপিটালিজম ও সোশ্যালিজম বাইপোলারই রয়েছে। যেটা হচ্ছে বলে মনে হয় সেটা হলো ক্রুড ক্যাপিটালিজমকে সড়িয়ে সোশালিজম ক্রমশ জায়্গা করে নিচ্ছে। সেই প্রক্রিয়াটা সহজ নয় এবং বহু বাধা বিঘ্ন আসছে। ফলে দুপা এগোলে একপা পিছতে হচ্ছে।

    আমার মনে হচ্ছে যে ক্যাপিটালিজম থাকবে। কিন্তু সেটা সমাজে কি রোল প্লে করবে সেটা সোসাইটিই ঠিক করে দেবে। মানে ক্যাপিটালিজমের রসটুকু (ইনোভেশন, ওয়েল্থ ক্রিয়েশান, জবস, ট্রেড ইত্যাদি) খেয়ে বাকিটা ফেলে দাও।
  • S | 458912.167.34.76 | ২৯ মে ২০১৯ ০৯:০৬383655
  • ফ্রিডম্যান ওয়াজ বেসিকালি আ লিবারেটেরিয়ান।
  • রঞ্জন | 232312.176.9004523.57 | ২৯ মে ২০১৯ ১৫:৫৯383656
  • এস,
    "আমার মনে হচ্ছে যে ক্যাপিটালিজম থাকবে। কিন্তু সেটা সমাজে কি রোল প্লে করবে সেটা সোসাইটিই ঠিক করে দেবে। মানে ক্যাপিটালিজমের রসটুকু (ইনোভেশন, ওয়েল্থ ক্রিয়েশান, জবস, ট্রেড ইত্যাদি) খেয়ে বাকিটা ফেলে দাও।"

    -- একদম। কমিউনিকেশন বিপ্লব আগের অনেক উপপাদ্যকেই অচল বা সীমিত করে দিয়েছে। আর ক্যাপিটালিজমের ক্রাইসিস থেকে ফিনিক্সের মত বেঁচে ওঠার এবং নিজেকে রি-ইনভেন্ট করার ক্ষমতা অদ্ভূত। লেনিনের 'মরিবান্ড ক্যাপিটালিজমের' ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে মনে হয় । এখনও অবিচুয়ারি লেখার সময় আসে নি ।

    তাই বামপন্থাকেও আজ নিজেকে রি-ইনভেন্ট করতে হবে, নইলে "ডোডো" হয়ে যেতে হবে।

    চলুন , আমরা আগামী দিনের জন্যে লিবারতেরিয়ান সোশ্যালিজম অ্যাজ পলিটিক্যাল ফিলজফি এবং মডেল হিসেবে উন্নত ওয়েলফেয়ার স্টেটের জন্যে আন্দোলন/প্রচার করি । এটাই হবে একুশে শতাব্দীর 'পোকিতো বামপন্থা '। সিরিয়াসলি!
  • dc | 670112.203.5667.139 | ২৯ মে ২০১৯ ১৬:৩৪383657
  • সেই স্টেটে ফ্রি মার্কেট থাকলেই হলো।
  • রঞ্জন | 232312.176.9004523.57 | ২৯ মে ২০১৯ ১৭:০৩383659
  • ফর কঞ্জিউমার গুডস, ইয়েস!
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন