এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পায়ের তলায় সর্ষে--৬ :

    (dear)
    অন্যান্য | ২০ জুন ২০০৭ | ৩৯৩৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • dear | 203.145.188.131 | ২০ জুন ২০০৭ ১১:৩৫389307
  • ২৩ অক্টোবর '০৬
    রাত ৯ টা

    জাঁকিয়ে পড়া শীত আর প্রায় অভেদ্য অন্ধকারে মাখামাখি হয়ে আছে গোটা পার্বত্য উপত্যকা। এত অন্ধকার যে দূর পর্বতের চূড়া আর আকাশ কোথায় মিলেছে বোঝা দায় । তবে আকাশের চেয়ে বেশি তারা ঝিকমিক করছে পার্বত্য উপত্যকা-পটে। জিজ্ঞাসা করে জানলাম, দূরে পাহাড়-চূড়ে যেখানে সবচেয়ে বেশি আলোক-বিন্দু'র সমাবেশ সেটি এশিয়া'র বৃহত্তম তিব্বতী উপাসনালয়......রুমটেক মনাষ্ট্রি।

    হ্যাঁ, এটাই আমার গ্যাংটকে প্রথম দিন। বসে আছি হোটেলের টপ-ফ্লোরে। এটি আসলে এদের ডাইনিং। এক কাপ গরম চা নিয়ে খোলা জানালা'র বাইরে হানা দিচ্ছিল আমার আবিষ্ট প্রায় দৃষ্টি। এ যেন সত্যিই আঁধারের পটে আপন খেয়ালে আঁকা আলোকবিন্দু'র নক্সীকাঁথা। বামদিকে কাছের উপত্যকায় মাঝে মাঝে জেগে উঠছে দিওয়ালি'র আতশবাজি'র রোশনাই।
  • dear | 203.145.188.131 | ২০ জুন ২০০৭ ১২:১২389318
  • The valley of Gangtok এ পৌছুনো'র আগের কথা কিছু বলে নিই। গতকাল রাত ১০ টা ০৫এ শিয়ালদা' ৯এ প্লাটফর্ম থেকে
    দার্জিলিং মেল। সঙ্গে প্রায় গোটা ফ্যামিলি। মোটামুটি ৬-৮ জনের দল হ'লে সুবিধে হ'ল কম্পার্টমেন্টের একটা কক্ষ পুরো নিজেদের
    দখলে থাকে। গোটা জার্নিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে শুয়ে আসা যায় । ট্রেন ছাড়লো ঠিকঠাক সময়েই।

    তবে ফ্যামিলি'র সঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার সবচেয়ে সুবিধেটা টের পাওয়া গেলো রাতের খাওয়া-দাওয়া'র সময়। বড়বৌদি'র ম্যাজিক
    ব্যাগ থেকে বেরলো পরটা আর আলুর-দম। (বড়দা বলল, ওটার নাম চট্‌পটি আলুর-দম ---অর্থাৎ রেসিপি বইয়ে তেমনই লেখা
    আছে ! আর ওটা তৈরী করতে মেজদা প্রায় সারা দুপুর লড়াই করেছে।) তারপর আরও আছে! কম মশলা দিয়ে মাখোমাখো মুরগি।
    উম্‌ম্‌ম্‌ম ........ আমার মনে পড়লো আগে একবার আমি একাএকা দিল্লী যাচ্ছি। সেবার আমাকে সহৃদয় ইন্ডিয়ান রেলওয়েজ এর
    পরিবেশন করা অমৃতপ্রায় (?) ডিনার উপভোগ করতে হয়েছিলো !
  • dear | 203.145.188.131 | ২০ জুন ২০০৭ ১২:৫২389329
  • আজ সকাল ৮ টায় নিউজলপাইগুড়ি ষ্টেশনে। সেখান থেকে টাটা সুমো ভাড়া ক'রে গ্যাংটকের পথে।

    এই যাত্রাপথের বর্ণনা ভাষায় দেওয়া দু:সাধ্য। (সবচেয়ে সেরা বর্ণনা মনে পড়ছিলো সৈয়দ মুজতবা আলি'র )।
    শুরুতে যে হিমালয় সুদূর মনে হচ্ছিলো তা ক্রমে কাছে আস্তে শুরু করলো । সেই পর্বতের কোল বেয়ে ক্রমশ উপরে
    উঠছিলাম। কিছু সময় পর থেকেই তিস্তা আমাদের সঙ্গী হ'লো। সে এক অপুর্ব দৃশ্য। একপাশে প্রায় খাড়া নেমে আসা পাহাড়।
    তাতে ঘন বনানী। কিছুটা পরপর সেই খাড়াই বেয়ে নেমে আসা ক্ষীণ অথচ খরস্রোতা ফল্গুধারা। আর রাস্তার
    অন্যপাশে আবার খাড়াই নেমে গেছে তিস্তায়। পথের বাঁকে বাঁকে তিস্তা কখনও হারিয়ে যাচ্ছিলো। কখনও বা হঠাৎ এই
    খরস্রোতার সশব্দ উপস্থিতি। যেন তিস্তা নাম্নী কোনো উদ্দাম উচ্ছ্বল পাহাড়ী মেয়ে আমাদের সাথে লুকোচুরি খেলছিলো এবং
    যখনই ধরা পড়ছিলো তখনই তার মোহন রূপ আর হাসিতে মুখরা হচ্ছিলো।
  • dear | 203.145.188.130 | ২০ জুন ২০০৭ ১৬:৪১389340
  • ন্যাশনাল হাইওয়ে যে এত সরু হতে পারে প্রথম দেখলাম। ড্রাইভার অত্যন্ত কুশলী হাতে আমাদের গ্যাংটক অভিমুখে নিয়ে
    যাচ্ছিলো। পথের বাঁকে বাঁকে মৃত্যুর হাতছানি। আমাদের রাস্তা থেকে তিস্তার খাত কয়েকশো ফুট নিচে। যেখানে একটা
    দুর্ঘটনা মানে প্রায় নিশ্চিত মৃত্যু। এবং এজন্যই হয়তো বিপদ ও মৃত্যুর গা ঘেষে এই যাত্রার এক দুর্বার আকর্ষণ আছে। মাঝে
    মধ্যেই আমাদেরকে গাড়ি থামিয়ে নামতে হয়েছিলো। কারণটা পরে বলছি। গাড়ি থেকে নেমে রাস্তার পাশে খাঁদের কিনারায়
    দাড়িয়ে অনেক নিচে তিস্তার দিকে তাকিয়েছিলাম । অত দূর থেকেও তিস্তার গর্জন শোনা যাচ্ছিলো। যেন দু'হাত সামনে
    প্রসারিত করে বলছে, এসো, ঝাঁপ দাও আমার বুকে, তোমায় বয়ে নিয়ে যাব...... পার্থিব রোমান্টিকতার সীমানা পেরিয়ে
    .....পরিচয় করাব অমোঘ মৃত্যু'র সাথে।...... এককথায় এই যাত্রা পথ ছিলো "ভয়ঙ্কর সুন্দর' !

    যা বলছিলাম, পথে আমাদের অনেকবার থামতে হয়েছিলো। তার কারণটা নিতান্তই অকিঞ্চিৎকর হ'লেও বেশ অমোঘ! আমাদের
    মধ্যে দু-তিনজন বাদ দিয়ে প্রায় সকলেই "বমি অভিযান' শুরু ক'রে দিয়েছিলো। বিশেষ ক'রে বাচ্চারা। পাহাড়ি চরাইয়ের
    বাঁকে বাঁকে মোশন সিকনেস ভালই টের পাচ্ছিলাম। আমরা যে ক'জন বমি করিনি তারাও। বোধহয় বেশি উচ্চতায় আরোহন
    জনিত কারণে। শেষে সবাই এতো বমি করছিলো যে--- সর্বোচ্চ "বমিদাতা'কে পুরস্কার ও "বমনবীরচক্র' উপাধি দেওয়া
    হবে !
  • S | 61.95.167.91 | ২০ জুন ২০০৭ ১৭:০২389351
  • পথে তিস্তাবাজারে সেই ঝোরার পাশে দাঁড়িয়ে চা-বিস্কুট খান নি?
  • dear | 203.145.188.130 | ২০ জুন ২০০৭ ১৯:০২389361
  • আর চা-বিস্কুট !
    তখন সবাই বৃষ্টিভেজা খবরের কাগজের মতো নেতিয়ে পরেছে। বড়দা আর জিজু সবচেয়ে তাজা ছিলো ওরা খেলো। আমি
    বমি না করলেও পাকস্থলি ইতিমধ্যে নো এϾট্র বোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছিলো। শুধু একটা কোল্ড-ড্রিংক নিলাম।

    যাই হোক,তিস্তার অন্য দিকে পাহাড়ের কোলে ঘন সবুজ অরণ্য। তার মাঝে মাঝে ইতস্তত: বিক্ষিপ্ত ছোট ছোট জন বসতি।
    ছোট্ট ছোট্ট অনুচ্চ কাঠের ঘর। গুটি কতক পাকাও ছিলো। এই বাড়ি গুলি অদ্ভুত । একটি বাড়ির উঠোন হঠাৎ খাড়াই নেমে গেল
    পাশের (নিচের ) বাড়ির উঠোনে! অর্থাৎ পর পর একটা বাড়ির চালের উচ্চতায় পরের বাড়ির উঠোন। আমি বরাবর
    সমতলের বাসিন্দা। ব্যাপারটি আমার বেশ লাগলো। .....আর ছিলো পাহাড়ের কোলে সবুজ চাষের ক্ষেত । যেন পাহাড়ের গায়ে
    ধাপে ধাপে বিশালাকায় সিড়ি উঠে গেছে। আর তা'তে কোনও কল্প-দৈত্যের জন্য মখমলি ঘন সবুজ গালিচা পাতা।

    অবশেষে যাত্রাপথ শেষ করে গ্যাংটক পৌছুনোর আগে আরেকটা কথা। সিকিম বর্ডার পার হওয়ার পর থেকে রাস্তার
    আশেপাশে ক্রমশ জনপদ বাড়ছিলো। (পথে মনিপাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেক্‌নোলোজিকাল ইন্‌স্টিটিউট্‌ এবং মনিপাল মেডিক্যাল
    কলেজ দেখলাম।) পথে আঞ্চলিক মেয়েদের ও ছেলেদের (সিকিমিজ ও নেপালিদের সহজেই তাদের মুখের আদল ও চেহারার
    গড়ন দেখে চেনা যায়) পোশাক-আষাকে বহুজাতিকতার (কিংবা আন্তর্জাতিকতার) ছাপ। পোশাকে কোনও স্থানীয় সংস্কৃতির
    পরিচয় নেই। হয়তো ট্যুরিষ্ট আনাগোনা অত্যন্ত বেড়ে যাওয়ার ফলে এখানকার অর্থনীতির পরিবর্তন ঘটেছে। জীবনযাত্রা ও
    সাংস্কৃতিক বিবর্তন্টা তারই ফল।
  • S | 61.95.167.91 | ২০ জুন ২০০৭ ২২:১৬389362
  • পাহাড়ের কোলে বাড়িঘরের একটা দুর্দান্ত জিনিস দেখা যায়। প্রচুর হোটেল / বাড়ির এϾট্র ছাদ দিয়ে হয়, মানে ছাদটা রাস্তার লেভেলে, বাকি বাড়িটা নিচের দিকে। তার পরে ছাদে পার্কিং করে রাখা মারুতি ভ্যান থেকে টাটা সুমো ...
  • Blank | 65.82.130.9 | ২০ জুন ২০০৭ ২২:৫৬389363
  • ওহ এবারে দার্জিলিং এ গিয়ে এমন একটা ছবি তুলেছিলুম। বাড়ির মাথায় মারুতি পার্কিং। অদ্ভুত দেখতে লাগে।
  • dear | 203.145.188.131 | ২০ জুন ২০০৭ ২৩:৫৬389364
  • দুপুর একটা-দেড়টা নাগাদ শহর গ্যাংটকের বাসষ্ট্যান্ড পৌছে গেলাম।এইবার হলো মুসকিল। জিজ্ঞাসাবাদ ক'রে জানা গেলো
    আমাদের বুক করা হোটেলটি বাসষ্ট্যান্ড থেকে আরও খানিকটা উপরে। ঐ জার্নি করে আমরা এমনিই কাহিল; তার 'পরে
    লাগেজ-পত্তর নিয়ে...!! শেষ পর্যন্ত যদিও লাগেজ বওয়ার জন্য দু'জন লোক পাওয়া গেলো। বলল, ওরা দুজনেই আমাদের দশ
    জনের লাগেজ বয়ে দেবে! আমরা তো হেসেই খুন! .....এবং আমাদের হতবাক করে দিয়ে সমস্ত লাগেজ তুলে নিলো। বড়
    ট্রাভেলার্স ব্যাগ, স্যুটকেস মিলিয়ে ৪-৫টা জিনিস একটা বেল্ট দিয়ে বেঁধে পিঠে, মাঝারি মাপের ৪-৬টা ব্যাগ দু'হাতে নিয়ে
    অবলীলায় হাঁটতে লাগলো। শেষে প্রায় খালি হাতে আমরাই ওদের তুলনায় পিছিয়ে পড়ছিলাম।.... ছোটোবেলায় গোপাল চন্দ্র
    ভট্টাচার্য্য'র লেখায় পরেছিলাম, পিঁপড়েরা নিজেদের ওজনের প্রায় ২০গুণ অবধি ভার বইতে পারে!
  • I | 172.200.176.54 | ২১ জুন ২০০৭ ০২:০৯389308
  • ডিয়ার, খাসা হচ্ছে।
  • Tim | 71.67.115.14 | ২১ জুন ২০০৭ ০২:১৪389309
  • ডিয়ার,
    সিকিমের ছবিগুলো আনতে না পারার দু:খ ঘুচিয়ে দিলে।:)
    আচ্ছা, হোটেলটা কি CPWD অফিসের বা সিনেমা হলের কাছে ছিল?
  • dear | 203.145.188.131 | ২১ জুন ২০০৭ ১০:২৭389310
  • ফটো আমার কাছে কিছু আছে। দেখি আপলোড করতে পারি কিনা।

    সিনেমা হল মনে নেই। cpwd বোধহয় ছিলো। তবে এটুকু নিশ্চিত মনে আছে BSNLএর মোড়টি ছাড়িয়ে উপরে ওঠার রাস্তাটি।
  • tim | 71.67.115.14 | ২১ জুন ২০০৭ ১০:৪৪389311
  • আম্মো তেমনটাই আন্দাজ করছিলেম। লেখাটা দারুন হচ্ছে। চলুক।
  • malay | 219.64.116.219 | ২১ জুন ২০০৭ ১২:২৪389312
  • পুরোন কথা মনে পড়ে যাচ্ছে- চালিয়ে যান দাদা
  • dear | 203.145.188.131 | ২১ জুন ২০০৭ ১৭:৩৪389314
  • হোটেলে পৌছে মনে হ'লো তেনজিং নোরগে'র কৃতিত্ব আমাদের চেয়ে খুব সামান্যই বেশি! যথারীতি রাস্তার লেভেলে হোটেলের দো'তলা--- এবং এখানেই রিসেপ্‌শন। আমাদের ঘরও এই ফ্লোরেই। গ্রাউন্ড ফ্লোরটি সম্ভবত হোটেল-মালিকের বাড়ি। খুবই শান্ত পরিবেশ । ঘর গুলি অত্যন্ত পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন। ২৪ঘন্টা গরম জলের ব্যবস্থা। ...ম্যানেজার বলল , আপনারা হাত-মুখ ধুয়ে নিন। আধঘন্টার মধ্যে লাঞ্চ্‌ দিয়ে দেব । ম্যানেজারকে আমার অত্যন্ত ভদ্রলোক মনে হলো। না, শুধু বাংলায় বললেন ব'লেই নয়---যতক্ষন অবধি পৌছাই নি শুধু মনে হচ্ছিলো তখন পৌছাব ! এখন একেবারে স্নান করে যেই ঘরে একটু শান্তিতে বসেছি খবর পেলাম একসাথে তেত্রিশ কোটি ছুঁচো পেটের মধ্যে ডন দেওয়ার চেষ্টা করছে!

    হোটেলের দ্বিতীয় তলে আমরা , তৃতীয়তলও ট্যুরিষ্টদের জন্য , চতুর্থ তল হলো ডাইনিং হল। রাস্তার দিকের অংশটি কিচেন আর বাকি তিন দিক টানা কাঁচের দেওয়াল, মাঝে মাঝে কাঁচের বড় বড় জানালা। আর যথারীতি পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন। যাইহোক খাবার-দাবার যা দিলো--- ভাত, ডাল, মাছ---বাড়ির মতো না হ'লেও মন্দ না বরং ভালো ই।

    আমাদের ঘরের লাগোয়া একটা ব্যালকনি ছিলো। খাওয়া-দাওয়ার পর সেখানে দাড়িয়ে সিগারেটে সুখটান দিচ্ছি। গায়ে হাল্কা জামাকাপড়। বাতাসের একটা সস্নেহ ঠান্ডা স্পর্শ। উপভোগ্য। তখনও দিব্যি রোদ। কিন্তু সে রোদের আহ্লাদী মায়াবী রং যেন গোটা গ্যাংটক উপত্যকা রূপী কোনও এক অনূঢ়া কন্যা'র গায়ে হলুদ দিয়ে দিচ্ছে।....... হোটেলের সামনে রাস্তা। রাস্তার অপরপাশে সবুজ ঘন ঝোপ-জঙ্গলে ঢাকা প্রায় খাড়া পাথুরে জমি (বরং পর্বত-গাত্র বলাই সমীচিন) উঠে গেছে পরবর্তী রাস্তা অবধি। এ রাস্তা থেকে ও রাস্তা অন্তত ৬-৮তলা সমান উচু। আর ছিলো হোটেলের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া হাত দেড়-দুই চওড়া জলের স্রোত। বেশ খরস্রোতা । এবং দোতলার ব্যালকনি থেকেও যথেষ্ট জোরে জল বয়ে যাওয়ার শব্দ শোনা যাচ্ছে।
  • Blank | 65.82.130.9 | ২১ জুন ২০০৭ ২০:০২389315
  • ছবি দেখা গেলো না তো :(
  • Blank | 65.82.130.9 | ২১ জুন ২০০৭ ২৩:০৫389317
  • আপনার নাম খানি সমেত ফটু খানি দেখে নিলুম :)
  • Tim | 71.67.115.14 | ২২ জুন ২০০৭ ১১:৩৪389319
  • খাসা ছবি।
  • dear | 203.145.188.130 | ২২ জুন ২০০৭ ১২:৩৮389320
  • গ্যাংটকের ঠান্ডাটা বোঝা গেলো ছোট-খাটো একটা দিবা-নিদ্রা থেকে জাগার পর। সূর্য্য তখন অস্তাচলে। গোটা শহরে নেমে এসেছে সন্ধ্যারাত্রি। সঙ্গে দোসর শীত। ঘরে বসে চায়ে চুমুক দিতে দিতে শীত-পোশাক পরে নিলাম। মাথায় কান ঢাকা টুপি এবং পকেটে গ্লাভ্‌স। যদি প্রয়োজন হয়!

    গীর্জাটিকে (হোটেলের গা ঘেঁসে অবস্থিত) বা'দিকে রেখে একটু এগিয়ে গিয়ে ডানদিকে অন্ধকারাচ্ছন্ন একটা সিঁড়ির মুখ পেলাম। খাড়া প্রায় দুইতলা সমান উচু সিঁড়ি ভেঙে অপেক্ষাকৃত চওড়া আরেক রাস্তা পেলাম। .....প্রায় নির্জন,ঠান্ডা এবং অল্প কুয়াশায় আচ্ছন্ন রাস্তায় চরাই-উৎরাই ভাঙতে ভাঙতে এগোচ্ছি। রাস্তার ধার ঘেসে রেলিং ধরে নিচের ও সামনের পাহাড় নিয়ে গোটা উপত্যকার দিকে মুগ্‌ধ তাকিয়েছিলাম। যেন জমাট অন্ধকারে মুঠো মুঠো জোনাকি! অথবা তারায় ভরা আকাশের প্রতিবিম্ব যেন গ্যাংটক উপত্যকাময়।
  • dear | 203.145.188.130 | ২২ জুন ২০০৭ ১৬:৩৪389322
  • এক স্থানীয় পথচারীকে পাওয়া গেলো।তার সাথে গল্প -স্বল্প করতে করতে হাটছিলাম । এরা ভালই হিন্দি জানে। ভদ্রলোক নিতান্তই ভদ্রলোক! তাঁকে এটা সেটা জিজ্ঞাসা করে করে জেরবার করে দিলাম। তবুও উনি বিরক্তি প্রকাশ করলেন না--- শুধু শেষ-মেষ , হমে জরা জল্‌দি হ্যায়, বলেই হনহন করে হাটা লাগালেন! ভাবুন, আপনাকে যদি কেউ কলকাতায় দাড়িয়ে শুধায়, এটা কি (নন্দনের সামনের উড়ালপুল দেখিয়ে)? ওটা কি (ময়দানে গোষ্ঠ পালের মুর্তি দেখিয়ে)? ....আর উইটাই বা কি (এবার হাজরা মোড়ের সুলভ কমপ্লেক্স দেখিয়ে)! কাহাতক বিরক্ত না হয়ে পারবেন!
  • Binary | 198.169.6.69 | ২২ জুন ২০০৭ ২০:০২389323
  • প্রায় ১১ বছর আগে গ্যাংটক গেছিলাম ..... মধুচন্দ্রিমায় ...... ছিলাম শহর থেকে কিছুটা উপরে টিভি টাওয়ারের কাছে টুরিস্ট লজে।
    নস্টালজিক ফিলিং হচ্ছে।
  • dri | 129.46.154.111 | ২৩ জুন ২০০৭ ০২:৪৫389324
  • নর্থ বেঙ্গল কোনদিন যাইনি। যাওয়ার ইচ্ছে চাগিয়ে উঠছে।
  • dear | 203.145.188.130 | ২৩ জুন ২০০৭ ১৩:৩৭389325
  • হাটতে হাটতে একটা ব্যাপার লক্ষ্য করলাম, কিছু কিছু বাড়ির সামনে ৫-১০ জন স্থানীয় ইয়াং ছেলে --- ওরা স্থানীয় ভাষায় হাততালির ছন্দে ছন্দে ছড়ার মতো করে কিছু গাইছিলো। কথার মানে বুঝতে পারলাম না। আমার সঙ্গী ভদ্রলোককে (তখনও পালান নি) জিজ্ঞাসা করে জানলাম, এটি দিওয়ালি (দীপাবলী) উপলক্ষ্যে প্রথা বিশেষ। এলাকার ছেলেরা দল বেধে বাড়ি বাড়ি যায়, গৃহকর্তার সুখ-সম্মৃদ্ধি কামনা করে গান করে। আর দিওয়ালির প্রীতি ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে। বিনিময়ে কিছু অর্থ বা ফল-ফলাদি পায়।

    আরেকটু উঠতেই রাস্তা আরও শুনশান , আরও অন্ধকার হ'লো। রাস্তার ধারে বাড়ি-দোকানপাট এই সন্ধ্যেবেলায়ই বন্ধ-ঝাপ ফেলা। একটু এগোতে জমাট কুয়াশাপটে দুটি আলোকবিন্দু স্পষ্ট হলো। একটা টিমটিমে। কাছে গিয়ে দেখি একটা ছোট্ট ঝাপ খোলা---ছোটো একটা কেরোসিনের কুপি জ্বলছে। আর দোকানি বুড়ো আপাদমস্তক কম্বল মুড়ি দিয়ে বসে ঝিমুচ্ছে। উপরে প্ল্যাকার্ড ঝোলানো --- লাল সাদা AIRTEL....আর অন্য দিকে যে দোকানটি সেটা দেখে যুগপৎ চোখ চকচক করে উঠলো এবং মনে পরে গেলো--- বেড়াতে আসার আগে আমার এক বন্ধুনি (কলকাতার) পই পই করে বলে দিয়েছিলো, ওর জন্য গ্যাংটক থেকে সিকিম রাম আনা চাইই! তা, যা ষ্টক দেখলাম রামেরা সবকটা ভাইই কলকাতায় পাওয়া যায়!....অগত্যা এক "বৃদ্ধ সন্ন্যাসী'কে পকেটস্থ করে ইউ টার্ন নিলুম।
  • dear | 203.145.188.130 | ২৩ জুন ২০০৭ ১৬:০৩389326
  • ...গ্যাংটক বা সিকিমের বেশিরভাগ মানুষ হিন্দু। আর আছে খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ এবং মুসলিম। তবে মনে হয় ধর্ম নিয়ে এখানে বিশেষ গোঁড়ামি বা ধর্মাচরণ নিয়ে তেমন মাতামাতি নেই। ভিন-ধর্মী মানুষের জীবনযাত্রাতেও বিশেষ প্রভেদ নেই। শুনলুম, এখানে অনেক হিঁদুই নাকি গোস্ত(বিফ্‌) খান।এছাড়াও সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এতোখানি উচুতে মদ্যপানের সামাজিক গ্রহনযোগ্যতাও স্বাভাবিক। অবশ্য যেখানে মানুষের বেঁচে থাকাটাই একসময় সংগ্রাম ছিলো সেখানে ধর্মীয় ও সামাজিক নীতিবোধ নিয়ে বাড়াবাড়ি না থাকারই কথা। এখানে মন্দির এখনো দেখি নি। বেশ কিছু চার্চ আছে। আর আছে মনাষ্ট্রি--- বৌদ্ধ উপাসনালয় ও বৌদ্ধ ধর্ম বিষয়ক শিক্ষাকেন্দ্র।

    তবে ইদানীং গ্যাংটক ও শহরতলির বাসিন্দাদের কাছে শুধু বেঁচে থাকাটাই বিশেষ সংগ্রাম আর নেই। আগেই বলেছিলাম--- এখানে বেশ কিছু বছর আগে থেকেই আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে পরিবর্তন ঘটেছে। কিছুটা অবশ্যম্ভাবী রূপেই। কথা হচ্ছিলো এক কিউরিও শপের (এটা বি এস এন এল মোড়েই) মালিকের সঙ্গে। বছর তিরিশেক বয়স ছেলেটির। ওর সঙ্গেই গল্প-স্বল্প করছিলাম। দোকানের বেশিটাই বৌদ্ধ তথা তিব্বতি (লামা) 'দের ব্যবহার্য্য জিনিসপত্র বা ধর্মানুষঙ্গিক তৈজসপত্রের ইমিটেশনে ভরা। বেশিরভাগ ট্যুরিষ্ট তাদের গ্যাংটক ভ্রমনের স্মৃতিচিহ্ন রূপে কিছু কিনে নিয়ে যান।ড্রাগন মুর্তি, বুদ্ধমুর্তি,গনেশ বিভিন্ন আকারের সুদৃশ্য ঘন্টা ইত্যাদি। এবং লামা সন্ন্যাসীদের "জপ যন্ত্র'র প্রতিরূপ। সেগুলির মধ্যে জপমন্ত্র লেখা (অবশ্যই তিব্বতিভাষায়) সুদীর্ঘ কাগজ রোল করে রাখা আছে।
  • dear | 203.145.188.130 | ২৩ জুন ২০০৭ ১৭:৫৫389327
  • যা বলছিলাম। এইসব দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে পাহাড় কেটে যাতায়াত ব্যবস্থা'র উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে পর্যটন শিল্পের প্রভুত উন্নতি হয়েছে। ট্যুরিষ্ট আনাগোনা বাড়ার ফলে স্থানীয় মানুষের আর্থিক স্বচ্ছ্বলতাও বেড়েছে। ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। মেয়েদের পর্দানশিন অবস্থারও পরিবর্তন হয়েছে। শিক্ষা-দীক্ষায় এবং কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের যোগদান প্রতিদিন বাড়ছে। কিন্তু স্বদেশী এবং বিদেশী ট্যুরিষ্ট সমাগম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় মেয়েদের দেহোপজীবিকায় প্রবেশের হার(প্রবনতা) ও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    এ প্রসঙ্গে কিউরিও দোকান মালিকের সঙ্গে কিছু কথোপকথন :

    অনেক্ষন ধরে দাড়িয়ে শুধু জিনিসপত্র দেখছি অথচ কিছুই কিনছি না আর এটা সেটা ফালতু (! ) বকছি--- এটা দোকানদারের নজরে ছিলো। প্রায় আধ ঘন্টা- চল্লিশ মিনিট ধরে। দোকান ফাঁকা হলে আমায় আপন লোকের মতো বললেন--- কোন হোটেলে?
    বললাম।
    ---কি, বন্ধু-বান্ধবরা মিলে এসেছেন?
    ---হ্যাঁ বললাম, সত্যি চেপে গিয়ে।
    ---অঁচ্ছা, তো ফের মউজ্‌মস্তি করতে হোঙ্গে ! হাঁ ?
    ---মওজ্‌মস্তি ! মৎলব?
    ---আরে সাব , ছুট্টি বনানে আয়ে হো , করলো করলো। পাত্তা -বগারা যো চাহিয়ে ,হ্যায়।
    ---নহি জি, ইস সর্দি (ঠান্ডা ) মেঁ দারু হি কাফি হ্যায়।
    ---হাঁ বো ভি হ্যায়!
    ---আরে বো তো হম উপ্পরকা দুকান সে লে চুকে।
    ---হুম্‌....(গলার আওয়াজ একটু নামিয়ে) আরে ছোড়িয়ে, আসলি মস্তি ভি হ্যায়! ভদ্রলোক একটা চোখ টিপল । --- আপ বোলো আপকি হোটেলমে ভেজ দেঙ্গে।
    ---হাঁ ? ব্যাপারটা বুঝে আমিও এট্টু গল্প দিলুম,---ছোড়িয়ে, বোহি চালিস সালকা মধুবালা ভেজেঙ্গে আপ !
    লোকটি হাসল, --- আপকো ক্যাঁ চাহিয়ে বোলো না,...স্কুল কা ভি হ্যায়......
    আর কথা বাড়ালুম না। দোস্তলোগসে বাত করতে হ্যায়--- বলে পালালুম।
  • dear | 203.145.188.131 | ২৪ জুন ২০০৭ ১৬:২৮389328
  • গ্যাংটক
    ২৪ অক্টোবর, মঙ্গলবার
    বিকেল ৪ টে ৩০

    অদ্ভুত, অবিশ্বাস্য, অভুতপূর্ব--- এই শব্দগুলো আজকের অভিজ্ঞতা ও আমার অনুভবকে প্রকাশ করার পক্ষে যথেষ্ট নয়। প্রকৃতি যে মানুষের সৃষ্টির চেয়ে কত বেশি সুন্দর, আকর্ষণীয় এবং বিচিত্র হতে পারে তা আজ উপলব্ধি করলাম। আরও স্পষ্ট করে বললে, শুধু বরফ যে মানুষকে কেমন পাগল করে দিতে পারে নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। এ তো শুধু বরফ নয়,--- বরফ আর বরফ ! ... সত্যি বলতে বর্ণনা শুনে বা ভ্রমনকাহিনি পড়ে কল্পনা শক্তিকে বহু প্রসারিত করেও, এমন কি চলচ্চিত্রে লাইভ দেখেও এ অনুভুতি বা অভিজ্ঞতাকে ছোঁয়াও যায় না।.....
    যাই হোক, এতো পরে, আগে সকালের কথা বলে নিই।

    সকালে ঘুম থেকে উঠে আমরা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে তৈরী হলাম! সকাল ৯টায় হোটেলের সামনে আমাদের গাড়ি আসার কথা। আজ আমরা যাচ্ছি ""ছাঙ্গু লেক এবং বাবামন্দির'' । তবে সকালটা সত্যিই মিষ্টি মনে হলো যখন ব্রেকফাষ্ট্‌ সারতে হোটেলের ডাইনিং হলে গেলাম। জানালা দিয়ে যখন সকালের মিঠে রোদ ডাইনিং হলের মধ্যে উঁকি দিচ্ছিলো তখন চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে আমার মোহিত মুগ্‌ধ দৃষ্টি সুদূরতম পাহাড়ের ওপাশে আবদ্ধ।....এক অপরূপা সুন্দরীর শরীরী বিহঙ্গে আবিষ্ট। তার উপস্থিতির ঔঙ্কÄল্যে, তার রূপের ছটায় আমোদিত। সুদুর পাহাড়ের ওপারে দাড়িয়ে থাকা, উন্নত-গ্রীবা সেই চির তরুণী আর কেউ নয়--- পশ্চিমবঙ্গ তথা বাঙালীর গর্ব সে ভোরের সূর্যালোকে প্লাবিত মোহিনী কাঞ্চনজঙ্ঘা।..... কুয়াশাহীন সুনীল প্রেক্ষাপটে শরতের সকালে শিশিরসিক্ত শিউলী ফুলের পাঁপড়ির মতো অপাপসাদা শিখররাজি'র মধ্যে উন্নততমা কাঞ্চনজঙ্ঘা।... তোমাকে আমার এই প্রথম দর্শন। এবং প্রথম দর্শনেই প্রেম !
  • dear | 203.145.188.131 | ২৪ জুন ২০০৭ ২২:৩৮389330
  • আমাদের গাড়ির ড্রাইভারের কাছে ওদিককার আবহাওয়ার খবর পাওয়া গেলো। এমনিতে অক্টোবর - নভেম্বর মাসে পাহাড়ে আবহাওয়া ভালই থাকে। মেঘ মুক্ত সুনীল আকাশ, ঝলমলে রোদ, আরামপ্রদ তাপমাত্রা। একটু-আধটু মেঘ থাকলেও তারা পেঁজা তুলার মতো পাহাড় গুলির মাথা ছুয়ে ছুয়ে আসি-যাই রোদকে সঙ্গী ক'রে সিঁদুর টোকাটুকি খেলে বেড়ায়। ...যাইহোক, ড্রাইভারের মুখে ওয়েদার বুলেটিন যা পাওয়া গেলো তা হলো: গত তিন দিন পাহাড়ে বেশ ভালো রকমের তুষার পাত হয়েছে।....এই খবরটি একই সঙ্গে হতাশাব্যাঞ্জক এবং ভালো! হতাশাব্যাঞ্জক তখন আমাদের জন্যও ছিলো, এখন আমার সীমিত পাঠককুলের জন্যও।--- তিনদিন টানা তুষারপাতের ফলে "রোহ্‌টাং পাস' (অথবা রোটাং ) যাওয়ার রাস্তা বিপর্যস্ত। ফলে সেথায় যাওয়া হল না। খবরটি শুনে সাংঘাতিক হতাশ হয়েছিলাম। এবং বোধহয় আপনারাও হচ্ছেন! রোটাং ছাড়া গ্যাংটক বেড়ানোর গপ্পো যথেষ্টই নিম-বেগুন লাগার কথা !

  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন