এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • The Great War for Civilisation:The Conquest of The Middle East

    r
    বইপত্তর | ০৪ আগস্ট ২০০৭ | ২১৮৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • r | 61.95.167.91 | ২৮ আগস্ট ২০০৭ ১৩:২৫390757
  • ক্ষমতার কেন্দ্রকে প্রশ্ন করা সাংবাদিকতার একটা জটিল সমস্যা। মনে রাখা দরকার ফিস্ক কিন্তু কোনো অ্যাক্টিভিস্ট সাংবাদিক নন। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের চলচ্চিত্র দেখে ছোটোবেলা থেকেই ফিস্ক ভেবে রাখেন বড় হলে তিনি যুদ্ধের সংবাদদাতা হবেন। কোনো মহত্তর লক্ষ্য নিয়ে ফিস্ক সাংবাদিকতায় আসেন নি। অ্যাক্টিভিস্ট সাংবাদিকতার একটা বড় সুবিধা হল- প্রথম থেকেই তাঁরা একটা পক্ষ নিয়ে নেন। এবার সেই পক্ষের দাবীদাওয়াকে তুলে ধরার জন্য তাঁর তথ্যানুসন্ধান চলে। ফিস্ক কিন্তু মূলধারার সাংবাদিক। ফিস্ক পশ্চিম এশিয়ার প্রত্যেক কুশীলবের ভন্ডামি ও নৃশংসতাকে নিজের লেখায় জায়গা করে দেন। সাদ্দাম, বুশ, আরাফত, হামাস, শাহ, খোমেইনি, ব্লেয়ার- কেউ এই বৃত্তের বাইরে নয়। অথচ ফিস্ক সুনির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক অবস্থানও গ্রহণ করেন। এই অবস্থান নিতে তাকে কোনোরকম ছলচাতুরি বা তঙ্কেÄর আশ্রয় নিতে হয়। সাবেকী সাংবাদিক সত্যবাদিতার ভিত্তিতে তিনি এই অবস্থান নেন। এখানেই ফিস্কের সাংবাদিকতার জিত এবং ভারতের মূলধারার মিডিয়ার পরাজয়। ক্ষমতার কেন্দ্রের রং দেখে যে সাংবাদিকতার প্রশ্নের ধরনধারন পালটে যেতে থাকে। যে সাংবাদিকতায় সাদামাটা তথ্যকেও রং চড়িয়ে দেখানোটাই নিয়ম। ফিস্ক কখনও "রাজনৈতিক নেতা মানেই খারাপ" জাতের কোনো ছেলেভোলানো আপ্তবাক্যের আশ্রয় নেন না, যে আপ্তবাক্য ভারতীয় মধ্যবিত্তের এবং মধ্যবিত্তচালিত মিডিয়ার রাতদিনের জপমন্ত্র। ফিস্ক ইতিহাস ও বর্তমানের সামগ্রিক মূল্যায়নে করে রাজনীতির প্রতিটি বাঁককে বুঝবার চেষ্টা করেন। রাজনৈতিক অবস্থান এবং সাংবাদিক সত্যবাদিতা যে একে অন্যের হাত ধরাধরি করে চলতে পারে, ফিস্কের লেখা তার বড়ো উদাহরণ। এবং এই দুইয়ের ঠিকঠাক মিলমিশ হলে তবেই ক্ষমতার কেন্দ্রকে দক্ষভাবে প্রশ্নের মুখে ফেলা যায়।
  • Arijit | 128.240.233.197 | ২৮ আগস্ট ২০০৭ ১৪:০৪390759
  • এখানে লিংকটা দেওয়াটা মনে হয় অপ্রাসংগিক হয়ে গেলো - ঠিক মধ্যপ্রাচ্যের এই লেখাগুলো টাইপের লেখা নয়। তবে ফিস্কের লেখা বলেই ভাবলুম এক জায়গায় থাক...
  • r | 61.95.167.91 | ২৮ আগস্ট ২০০৭ ১৪:২৮390760
  • অবশ্যই প্রাসঙ্গিক। ফিস্কের এই লেখা Fisrt Holocaust অধ্যায়ের একটা সংযোজন।
  • r | 59.162.191.115 | ৩০ আগস্ট ২০০৭ ০০:১১390762
  • বব ফিস্কের সাথে এর পরের চেনাশোনার ভার ভাবী পাঠকের সদিচ্ছার উপরেই ন্যস্ত হোক। ইদানীং মুম্বাই-দিল্লির ঠান্ডা ঘরের অধিবাসীরা ঠোঁট বেঁকিয়ে সুললিতস্বরে বাণীবর্ষণ করছেন যে পৃথিবীর ভূ-রাজনৈতিক অবস্থা গত কুড়ি তিরিশ বছরে আমূল পালটে গেছে। ভারতকে তার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। তিরিশ বছর ধরে পশ্চিম এশিয়ার রণক্ষেত্রের ফ্রন্টে ঘুরে বেড়ানো পোড়খাওয়া অ-বামপন্থী ফিস্কও মনে করেন - "the times they are a'changin". শুধু ফিস্কের চোখে পালটে যাওয়ার ধাঁচটা একটু আলাদা। ফিস্কের সেই দীর্ঘ ভাষ্য দিয়েই তবে শেষ হোক এই আলোচনা-

    "All of this, however, obscured a momentous change within Arab society: the one great transition I have witnessed in almost thirty years reporting the Middle East. When I first visited the West Bank scarcely nine years after the 1967 war, there was in the occupied territories an Israeli-controlled Palestinian police militia, an army of collaborators- they even wore black berets- who "controlled" a supine and humiliated Palestinian people. North of Isaraeli border, a Lebanese popluation lived in fear of Israeli military invasion. Israeli troops had only to cross the frontier to send a quarter of million Lebanese civilians fleeing back to Beirut. To the east, millions of Iraqis lived in grovelling obedience to the Baath party.

    Today, the Arabs are no longer afraid. The regimes are as timid as ever, loyal and supposedly "moderate" allies obeying Washington's orders, taking their massive subventions from the United States, holding their preposterous elections, shaking in fear lest their people decide that "regime change"- from within their societies, not the Western version imposed by invasion- is overdue. It is the Arabs as people- brutalised and crushed for decades by corrupt dictators- who are no longer running away. The Lebanese in Beirut, under siege by Israel, learned to refuse to obey the invader's orders. The Hizbullah proved that the mighty Israel army could be humbled. The two Palestinian intifadas showed that Israel could no longer impose its will on an occupied land without paying a terrible price. The Iraqis first rose up against Saddam and then, after Anglo-American invasion, against the occupation armies. No longer did the Arabs run away."


    (শেষ)
  • Arijit | 128.240.233.197 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৭ ১৭:৩৫390763
  • আমার একটা ছোট্ট কনফিউজন হচ্ছে - প্রথম হলোকাস্টের চ্যাপটারটা পড়ছিলাম - সেখানে "ইয়ং টার্ক'-দের উল্লেখ আছে - জেনোসাইড প্রসঙ্গে। এবার এটাই "তরুণ তুর্কী' নয়? কামাল আতাতুর্কের? অথচ ১৯২০ সালে কামাল আতাতুর্ক এই জেনোসাইডকে ডিনাউন্স করেছিলেন বলেও তো পড়লাম। আর্মেনিয়ান হলোকাস্ট আর কামাল পাশার টাইমফ্রেমটা এট্টু ক্লিয়ার করবে কেউ?
  • Arijit | 128.240.233.197 | ০৩ অক্টোবর ২০০৭ ১৬:৪৩390768
  • এটা নে কেউ আর কথাই বলে না। রঙ্গন লেখা শেষ করে দিলো, আর সব চুপ। ডিডি, ব, মামু - সব্বাই। একা আমিই বকে যাচ্ছি।

    এইবার এট্টু ক্রিটিক্যাল কোশ্চেন।

    হজ আমিনের কথা পড়ছিলাম - গ্র্যাণ্ড মুফতি, যিনি অক্ষশক্তির কাছ থেকে সাহায্য আশা করেছিলেন, হিটলারের সাথে দেখা করেছিলেন। নাৎসীদের সাথে যোগ থাকার কারণে অনেক ক্ষেত্রেই প্যালেস্টিনীয়রা একটু এমব্যারাসড, ওদিকে ইজরায়েল এঁকে "ওয়ার ক্রিমিন্যাল' বানিয়ে দিতে চায়। অথচ, ভদ্রলোক যেটা করেছিলেন তার সাথে আমি সুভাষচন্দ্র যা চেয়েছিলেন, তার মিল পাই। দুজনেই ব্রিটিশ শক্তির বিরুদ্ধে সাহায্য আশা করেছিলেন জার্মানির কাছ থেকে।

    ফিস্ক লিখেছেন যে হজ আমিন হলোকস্টের কথা জানতেন না তা নয়। ইনফ্যাক্ট ইহুদীদের সম্পর্কে তাঁর রাগের কথা তিনি নিজেই লিখে গেছেন, এবং এও লিখেছেন যে "জার্মানরা ইহুদী সমস্যার সমাধান বের করেছে' - অর্থাৎ পরোক্ষে হলেও ইনি কনসে®¾ট্রশন ক্যাম্পগুলোকে সমর্থন করতেন বলেই মনে হয়। যদিও, একদম শেষ জীবনে ইনি লেখেন যে উনি এগুলো জানতেন না।

    এবার ক্রিটিক্যাল কোশ্চেন - সুভাষচন্দ্র কি হলোকস্টের কথা জানতেন? জানলে তাঁর কোন প্রতিক্রিয়া ছিলো কি? সুভাষচন্দ্র সম্পর্কে ইজরায়েল কখনো কোন বক্তব্য রেখেছে কি? এমনও হতে পারে যে ইজরায়েল-সম্পর্কিত কিছু নয় বলে কোন মন্তব্য নেই, আবার উল্টোটাও হতে পারে...অক্ষশক্তির সাথে হাত মেলানোর জন্যে...
  • Samik | 125.18.104.1 | ০৩ অক্টোবর ২০০৭ ১৬:৫৩390769
  • সুভাষ বোসের সাথে হিটলারের দেখা হয় ১৯৪১ সালে। তখন ব্রিটেন সমেত অক্ষশক্তি বেশ পর্যুদস্ত অবস্থায়। ১৯৪১ সালে সেই অবস্থায় কেউই কি হলোকাস্ট সম্বন্ধে খুব বেশি কিছু জানত? আরও কিছুদিন পরে জেনেছিল না?
  • d | 192.85.47.1 | ০৩ অক্টোবর ২০০৭ ১৬:৫৫390770
  • ঠিক আছে তালে বলি ...
    সবে হাতে পেয়েছি। অসম্ভব খুদে খুদে ছাপা, পেপারব্যাক এডিশানটার। প্রচুর সময় লাগছে পড়তে।
  • Arijit | 128.240.233.197 | ০৩ অক্টোবর ২০০৭ ১৬:৫৮390771
  • দাখাউ তৈরী হয়েছিলো ১৯৩৮-৩৯ নাগাদ। অসউইৎজ প্রায় ওইরকম সময়েই। হলোকস্টের কথা অজানা থাকার কথা নয় - কারণ হজ আমিনের টাইমফ্রেমটাও এরকমই।
  • Arijit | 128.240.233.197 | ০৩ অক্টোবর ২০০৭ ১৭:০২390772
  • এক হতে পারে সুভাষচন্দ্র সত্যিই জানতেন না, ফেয়ার এনাফ, যদিও, একদমই জানতেন না এটা বেমালুম হজম করে নেওয়া কঠিন।

    কিন্তু যদি জেনেও কোন মন্তব্য না থেকে থাকে, তাহলে প্রশ্ন উঠবে। এখন ভারতীয় স্বাধীনত সংগ্রামী, অসংখ্য লোকের আদর্শ - কাজেই এই প্রশ্নগুলো বেশ অপ্রিয়। হাতে মাথা কাটতে পারে লোকে।
  • Samik | 125.18.104.1 | ০৩ অক্টোবর ২০০৭ ১৭:০৭390773
  • হুঁ, জানা উচিত।

    নেতাজির সাথে হিটলারের দেখা হয় আরও পরে, মে ২৯, ১৯৪২।

    এই আর্টিক্‌লটা পড়ো। http://www.revolutionarydemocracy.org/rdv7n1/Bose.htm

    নেতাজী জার্মানি ছেড়েছিলেন আরও এক বছর পরে, ফেব্রুয়ারি ৮, ১৯৪৩। ততদিনে ভালোভাবে জেনে যাওয়া উচিৎ। অ্যাকচুয়েলি, এই সাইট অনুযায়ী, হিটলারকে দিয়ে নিজের কাজ হবে না, এই স্বপ্নভঙ্গের পরেই তিনি চলে যেতে পারেন নি, কারণ He was held up by the Germans because they wanted to use him in the event of a German victory over Russia. He was allowed to leave only after the German surrender in Stalingrad, and Hitler's secret plan for India fell apart.
  • Arijit | 128.240.233.197 | ০৩ অক্টোবর ২০০৭ ১৭:৫৭390774
  • ডিডিদা?

    আমি কেবল ভাবছি যে এই ঘটনাগুলো নাইন-টেনের ইতিহাসে পড়েছি, কিন্তু এতদিন প্রশ্নটা এভাবে মাথায় আসেনি কেন। হতেই পারে এর উত্তর আছে, আমি সেটা জানি না - কিন্তু প্রশ্নটা কেন মাথায় আসেনি সেটা বড় প্রশ্ন।
  • dd | 202.122.20.242 | ০৩ অক্টোবর ২০০৭ ২১:৫০390775
  • WW2 নিয়ে যা বই পড়েছি সেগুলি সবই বৃটীশ বা আমেরিকানদের লেখা। খুব কম বইতেই সুভাস বোস বা আই এন এ ফুটনোটের বেশী স্থান পেয়েছে। যেখানে দু এক প্যারা লেখা হয়েছে সেগুলিও খুব দায়সারা।

    এমনিতেই ঐ বার্মা সেক্টররের লড়াইকে বিস্মৃত যুদ্ধ বলা হতো। আর শুধু সামরিক দিয়ে দেখতে গেলে আই এন এর অবদান ছিলো খুবই কম।

    হিটলার ভারতবর্ষকে ভয়ানক কুচক্ষে দেখতেন। নিতান্ত হতদরিদ্র কুসংস্করাচ্ছন্ন বুনো .... এই ধরনের কথা বলতে গেলেই ইন্ডিয়ার কথা পারতেন। বহু যায়গায়। অনেক যায়গায়। মনে হয় না হিটলার সুভাস বোসকে নিয়ে কিছুমাত্র মাথা ঘামিয়েছিলেন।

  • Arijit | 77.98.196.117 | ০৩ অক্টোবর ২০০৭ ২২:০৯390776
  • কিন্তু উল্টোটা ডিডিদা? মানে হলোকস্ট সম্পর্কে সুভাষচন্দ্র কিছু জানতেন কি?
  • r | 59.162.191.115 | ০৪ অক্টোবর ২০০৭ ১১:৫১390778
  • ইন্টারেস্টিং! দুই পয়সা দিই-

    ১৯৪৫ অবধি বাইরের দুনিয়া হলোকস্ট সম্পর্কে কতটুকু জানত? ইউরোপ অনেকটা জানত কিন্তু যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত মনে হয় না পুরো ঘটনা ইউরোপের বাইরে খুব একটা পৌঁছেছিল। নাৎসীরাও হলোকস্ট ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল। সেই সময়ে সাধারণ ভারতীয়দের মধ্যে জার্মানি এবং জাপানি সম্পর্কে একটা গুণমুগ্‌ধতা ছিল। যার উদাহরণ- সারে গা মা পা ধা নি/ বোম ফেলেছে জাপানি/ বোমের মধ্যে কেউটে সাপ/ ব্রিটিশ বলে বাপ রে বাপ। নেতাজিও খানিকটা এই সেন্টিমেন্টের বশবর্তী ছিলেন। তবে নেতাজী সেই সময় ইউরোপ ঘুরে বেড়াচ্ছেন। হয় তো জানতেও পারতেন। কিন্তু নেতাজী কোনোদিনই নাৎসী পার্টির কাছের মানুষ হয়ে উঠতে পারেন নি, যা পেরেছিলেন হজ আমিন। যুদ্ধের মাঝামাঝি থেকে রিবেনট্রপ যিনি নেতাজীর ঘনিষ্ঠ, তিনিও হিটলারের নেকনজর থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। হিটলারের দেখা পেতেই বছর ঘুরে যাচ্ছে। কাজেই নাৎসী পার্টির অন্দরমহল থেকে হলোকস্টের খবরাখবর জানার সম্ভাবনাও বেশ কম।
  • Blank | 59.93.243.117 | ০৪ অক্টোবর ২০০৭ ১২:৪৬390779
  • এক পয়সা
    সুভাষ নাৎসী শাসন কে ভারত বর্ষে ইংরেজ শাসনের সাথে তুলনা করেছিলেন।
    Subhash as I knew himkitty kurty লিখেছেন এই কথা।
  • dd | 202.122.20.242 | ০৪ অক্টোবর ২০০৭ ২১:৪৫390780
  • র ঠিক কইলো। কেউ জানতো না। মানে বেশীর ভাগ লোকেই জানতো না হলোকস্টের কথা। নিশ্চয়ই গুজব ছিলো। উড়ো খবর। কিন্তু সঠিক কেউ জানতো না। সাধারন আর্মান নাগরিকেরাও নয়। তো সুভাষ বসু জানবেন ক্যামনে?

    রাশান আর আম্রিগানরা যখন এইসব ক্যাম্পগুলো মুক্ত করেছিলো তখন সারা দুনিয়া স্তম্ভিত হয়ে গেচিলো।

    মার্টিন গিলবার্ট (পাবলিশার ফিনিক্স) WW2 নিয়ে day by day history লিখেছেন, জিউদের উপর অত্যাচারের ধারা বিবরনী দিয়েছেন।

    auschwitz থেকে পালিয়ে ছিলো দুজন পোলিশ। তারা প্রচুর ক্যাম্পেইন করার চেষ্টা করেছিলেন - লন্ডনে। বলেছিলেন অন্তত: বোমা মেরে রেইলওয়ে স্লাইডিং গুলোকে ভেঙে দেওয়া হোক, যাতে করে নতুন করে ট্রেন ভরতি ইহুদী আর চালান না হয়। ৪৪ সালের ২৫ শে অগাস্ট RAF ছবিও তুলেছিলো। কিন্তু কেউ মাথা ঘামায় নি।
  • dd | 202.122.20.242 | ০৪ অক্টোবর ২০০৭ ২১:৫৬390781
  • আর ৪৪ সালের শেষ থেকে ৪৮ সাল পর্য্যন্ত সারা ইওরোপ থেকে জার্মানদের উৎখাত করা হয়েছিলো। একটা একটা করে দেশ লিবারেটেড হয়েছে আর দুশো তিনশো বছরে ধরে অধিবাসী ethnic germanদের দূর করে দেওয়া হয়েছে।

    যুদ্ধ শেষে পটসডাম কনফেরেন্সে স্তালিন, ট্রুম্যান,চার্চিল(পর অ্যাটলী) সবাই লিখিত ভাবে দাবী করেছেন ইওরোপকে জার্মান মুক্ত করতে হবে।

    শুধু পুর্ব ইওরোপ নয়, ডেনমার্ক নরওয়ে সুইডেন থেকেও।

    কত জন নির্বাসিত হয়েছিলো? প্রায় ১২ মিলিয়ন। কতজন মারা গেছে? যা খুসী তাই একটা সংখ্যা লিখতে পারেন। তিন চার পাঁচ ছয় মিলিয়ন। কোনো হিসেব নেই।

    " এ আমাদের হলোকস্ট ,আমাদের কথা কেউ বলে না"। বল্লেন একজন প্রুসিয়ান।
    পড়ুন Max Hastingsএর ArmageddonPan books
  • tan | 131.95.121.132 | ০৫ অক্টোবর ২০০৭ ০০:৪৫390782
  • এরা, এই উৎখাত জার্মানেরা গ্যালো কোথা? মানে কোনো দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিলো কি? জার্মানমুক্ত করবো বলে লিখিত ভাবে দাবী, সভ্য বৃটিশ মিত্রপক্ষ,কোনো একটা জায়্‌গা তো দেখাতে হবে যেখানে পাঠাবে! সেরকম জায়্‌গা দেখিয়েছিলো কি?
  • Arijit | 77.98.196.117 | ১৩ অক্টোবর ২০০৭ ০৩:১০390783
  • ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন কনফ্লিক্ট এবং তথাকথিত ওয়ার অন টেরর নিয়ে ফিস্কের রাগ-ঘৃণা পরিস্কার হয়ে আসে একটা প্যারাগ্রাফে -

    Terrorism is a word that has become a plague on our vocabulary, the excuse and reason and moral permit for state-sponsored violence - which is now used on the innocent of the Middle East ever more outrageously and promiscuously. Terrorism, terrorism, terrorism. It has become a full stop, a punctuation mark, a phrase, a speech, a sermon, the be-all and end-all of everything that we must hate in order to ignore injustics and occupation and murder on a mass scale. Terror, terror, terror, terror. It is a sonata, a symphony, an orchestra tuned to every television and radio station and news agency report, the soap-opera of the Devil, served up on prime-time or distilled in wearingly dull and mendacious form by the right-wing 'commentators' of the American east coast or the Jerusalem Post or the intellectuals of Europe. Strike against Terror. Victory over Terror. War on Terror. Everlasting War on Terror. Rarely in history have soldiers and journalists and presidents and kings aligned themselves in such thoughtless, unquestioning ranks. In August 1914, the soldiers thought they would be home by Christmas. Today, we are fighting for ever. The war is eternal. The enemy is eternal, his face changing on our screens. Once he lived in Cairo and sported a moustache and nationalised the Suez Canal. Then he lived in Tripoli and wore a ridiculous military uniform and helped the IRA and bombed American bars in Berlin. Then he wore a Muslim Imam's gown and ate yoghurt in Tehran and planned Islamic revolution. Then he wore a white gown and lived in a cave in Afghanistan and then he wore another silly moustache and resided in a series of palaces around Baghdad. Terror, terror, terror. Finally, he wore a khuffiah headress and outdated Soviet-style military fatigues, his name was Yassir Arafat, and he was the master of world terror and then a super-statesman and then, again, a master of terror, linked by his Israeli enemies to the terror-Meister of them all, the one who lived in the Afghan cave.
  • Arijit | 128.240.229.65 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৮ ১৫:৫৩390784
  • প্রায় প্রতিটা পাতা পড়তে গেলে ইদানিং একটা কমেন্ট মাথায় ঘুরছে - শেষবার দক্ষিণ লেবাননে ইজরায়েল বম্বিং করায় দুশোর ওপর লোক মারা যাবার পর একজনের কমেন্ট - "যে দুশোজন মারা গেছে তার অর্ধেক টেররিস্ট, বাকিরা ভবিষ্যতের টেররিস্ট' - আর মাথার মধ্যে চিড়িক করে জ্বলে উঠছে।

    বাড়ি গিয়ে আবার কিছু লাইন তুলে দেবো...

    http://tinyurl.com/3x954u
  • Arijit | 128.240.229.68 | ১৮ মার্চ ২০০৮ ১৮:৩৩390785
  • প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধে (এবং তার পরেও - ইরাকে, বসনিয়ায়, ইরাকে এই ২০০৩-এ) Depleted uranium shell ব্যবহার - এবং তার পর ক্যানসার এপিডেমিক নিয়ে ভারতীয় (স্পেশ্যালি বাংলা) মিডিয়ায় কতটা কভারেজ হয়েছে কেউ বলতে পারো?

    বইটার এই অংশটুকুর ডাইরেক্ট অনুবাদ করে কোথাও তুলতে পারলে ভালো হত। এর জন্যে কি কপিরাইট সংক্রান্ত প্রশ্ন আসতে পারে? ইন্ডিপেন্ডেন্টে চিঠি লিখে রাস্তা বের করা যায়?
  • Arijit | 61.95.144.123 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১২:৩৬390786
  • টেস্টিং
  • shyamal | 64.47.121.98 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০০:২৬390787
  • অরিজিত এই থ্রেডটাকে তোলায় নেতাজী নিয়ে কতগুলো পুরোনো পোস্ট পড়লাম। কদিন আগে আনন্দবাজারে একজন লিখেছেন, নেতাজী নাকি বলেছিলেন ভারত স্বাধীন হলে ডিকটেটরশিপ ছাড়া অন্য পন্থা চলবেনা। এর সত্যতা কি কেউ জানেন?
    এটা যদি সত্যি হয় তবে বলব:
    নেহরু না হয়ে নেতাজি প্রধানমন্ত্রী হলে দেশটা হয়তো পাকিস্তান বা বাংলাদেশের পথ নিত।

    আমি নেতাজীর লেখা একেবারেই পড়িনি। কিন্তু ওনার সম্বন্ধে যা শুনেছি, মনে হয় ওনার আবেগ ছিল রাষ্ট্র গঠনের জ্ঞানের চেয়ে বেশী। উনি হয়তো ভাল প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হতে পারতেন, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী?
  • kd | 59.93.202.209 | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১২:৩৯390789
  • শ্যামল, আপনি যা শুনেছেন, তা আমিও শুনেছি। উনি স্বাধীনতার প্রথম দশ বছর ডিক্টেটরিয়াল সরকার জাতির চরিত্রগঠনের জন্যে প্রয়োজনীয় মনে করতেন। ঐ 'বাঁধা গরু ছাড়া গরু' থিয়োরি আর কি। এখনকার ওপর থেকে নীচতলা অবধি করাপশান দেখে মনে হয় উনি খুব ভুল ভাবেননি। কারুর মধ্যে national spirit দেখিনা - সকলেরই 'দেস-ভেস গোলি মার, ইস্‌মে মেরা ক্যা ফ্যায়দা হ্যয়' attitude। আর আপনি পাকিস্তান/বাংলাদেশের সঙ্গে তুলনা করেছেন - কিন্তু একবার ভেবে দেখবেন ওদের মূল প্রব্লেম কোথায়। মৌলবাদী চিন্তাধারা - থিওক্রেসি - যা এখনও প্রবলভাবে বিদ্যমান। নেতাজীর secularism নিয়ে ওনার অতি বড় শত্রুও সন্দেহ করবে না - INAএর ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ তার জ্বলজ্বলে উদাহরণ।

    আমার বেশী পড়াশুনো নেই - যা মনে হয়েছে তাই লিখেছি। dd, h, ইত্যাদিরা কি পড়েছেন, কি ভাবেন জানার জন্যে অপেক্ষা করছি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন