এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  গান

  • চন্দ্রবিন্দুর নতুন লীলা - হুলাবিলা

    Somnath
    গান | ১৫ ডিসেম্বর ২০০৫ | ৫২৪৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Suman | 24.166.170.155 | ১৭ ডিসেম্বর ২০০৫ ১০:৫৫401604
  • শাস ছাড়া আর শাস নেওয়া - এটা চলতে থাকে অনবরত। তবে তারতম্য আছে বৈকি। দূর থেকে দেখলাম বাসটা টার্মিনাস থেকে বেড়িয়ে যাচ্ছে- শুরু করি অনভ্যস্ত দৌড় - কোনোমতে বাসের হ্যান্ডেল ধরে নিয়ে হাঁফাতে থাকি - শাসবায়ু বড় ভালো লাগে তখন। এই শাসবায়ু আবার যখন আড়বাঁশিতে সুর তোলে আর আমরা ক্রমশ: অতিক্রম করতে থাকি একের পর এক স্তর - তখন এর আবেদন কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা।
    সমস্ত ব্যাপারটার মধ্যে থাকা নিয়ন্ত্রণের কথা বলতে চাইছি আর কি। ফোঁস ফোঁস করে নিশাস ফেলে দমবন্ধ না করে- যেভাবে ওরা এতদিন অপেক্ষা করছিল সঠিক শাসবায়ুটার জন্য - সে নিয়ত্রণকে বাহবা না দিয়ে পারা যায় না। আর সেই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে দিয়েই "হুলাবিলা" হয়ে ওঠে সার্থক।

    না:, তা বলে এর প্রতিটি গানই অমোঘ তা বলতে পারছি না। তবে এর মধ্যে বেশি একটা কাঁকড় পেলাম না - এই বাজারে এই বা কম কি।

    স্কটিশ কলেজে কয়েকদিন ক্লাস করেছিলাম (১৯৯১ তে,), ওদের দেখতাম মাঠের এককোণে অদ্ভুত মন কাড়া সুর নিয়ে খেলা করে যাচ্ছে। তারপর ওদের দেখি বছর তিনেক পর - তখন ওরা নাম করতে শুরু করেছে - আমাদের কলেজের এক অনুষ্ঠানে এসেছিল। আর তারপর থেকে তো একমাত্র ওদের ক্যাসেট বেরোলেই তো আগে ভাগে কিনে ফেলা অব্যাস হয়ে গেল। প্রতিবার প্রত্যাশা পুর্ণ করে দিত ওদের আগের গুলো - এটা তার থেকেও যে একটুখানি বেশি - এটুকু বলা যায়।
  • Samit | 59.144.52.146 | ১৭ ডিসেম্বর ২০০৫ ১৫:৪৯401615
  • চমৎকার। ঝাঁপিয়ে উঠে দাপিয়ে কোলে, ওদের গালে ম-অ-স্ত একটা হামি খেতে ইচ্ছে করে।
  • Ishan | 24.166.170.155 | ২০ ডিসেম্বর ২০০৫ ০৯:৫৭401626
  • হুলাবিলা, বা অ্যাজ সাচ সমগ্র চন্দ্রবিন্দু শুনলেই যে কথাটা প্রথম মাথায় আসে, যে আর যাহাই হউক ইহা গান নহে। শৃন্বন্ত বিশ্বে এই একঝাঁক শেয়ালের চিৎকার, ইহা সঙ্গীত সুধারস নহে। পেলিংএর কাঞ্চনজঞ্‌ঘা বা গীর্জার ঘন্টাঘরে ঈশ্বর ওরফে ভূমার সামনে দাঁড়িয়ে আমরা যখন বিস্ময়ে হতবাক, তখনও দুম করে হিসি পেয়ে যেতে পারে। প্রেমিকেআর আল্পনারঞ্জিত ঠোঁটের সামনে দাঁড়িয়েও হঠাৎ কুটকুট করতে পারে পশ্চাদ্দেশ। এইসব নেটিভতা কখনও শিল্পের বিষয় হতে পারেনা -- ইহাদের এক কথায় হুলাবিলা বলে।

    আহা কি সে গান। শৈশবের প্রথম খেলনা কিবোর্ড সদৃশ মিউজিক, লিরিক উত্তরাধুনিক নাকি বেজায় ভাট বোঝার উপায় নাই, সর্বোপরি গানের নামে ক্যাওড়ামি... ব্যারিটোন ভয়েসের গম্ভীর সামাজিক মেসেজের হাত থেকে কিঞ্চিৎ মুক্তি ... হুলাবিলা, হুলাবিলা।

    এইসব টুকরোটাকরা। প্যারোডি লিখছি বেশ করেছি, প্যারোডি বলে কি মানুষ নয় ... অনার্য খেলনা ঘোড়া নিয়ে অশ্বমেধ যজ্ঞ করতে চায় যে আহাম্মকেরা তাহাদের নাম -- হুলাবিলা, হুলাবিলা।
  • Somnath | 144.226.173.69 | ২০ ডিসেম্বর ২০০৫ ২২:৫২401635
  • যেটা বলার ছিল, মূলগত ভাবে, চন্দ্রিলের কলম বড় বেয়াড়া রকম ম্যাচিওর করে গেছে। অনিন্দ্যেরও। গানগুলোর লিরিকের উচ্চতা বেশি হয়ে গেছে সুরের পক্ষে। রক ক্লাইম্বিং করে ওইমানের সুর দাঁড় করানো বেশ টাফ। হুলাবিলায় তাই প্রথমবার লাগল কথার সাবলীল প্যারেডে সুর ব্রাত্য - বেশ কয়েকটা গানে। কঠিনরকম ভাবে খাড়া খাড়া হয়ে আছে ইনস্ট্রুমেন্ট। যেখানে ওদের আগের সব কটা অ্যালবামেই মিউজিক কে ছাপিয়ে ওঠে কণ্ঠস্বর, প্রতিটা গানে ডিস্টিঙ্কক্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ গলা - অথচ হুলাবিলায় প্রভূত ক্যাকোফনি।

    প্রচ্ছদ নিয়ে বলার কিছুই নেই, প্রথম বোধহয় কোনো ক্যাসেটের ইনলে কার্ডে কয়েকখানা কমিক স্ট্রীপের কালেকশন ও পাওয়া গেল। জিও মামা কেস। একঘর হাম্পি।

    একটা গ্রাউণ্ড দরকার ছিল গানগুলো নিয়ে আলাদা আলাদা আলোচনার। একথা অস্বীকার করার উপায় নেই, শ্রীজাত-জয়-পিনাকি নতুন কবিতা লিখলে যতটা আলোচনা হয়, তারচে' বিশেষ কম হয় না, চন্দ্রবিন্দু গান বানালে। যেমন প্রথম গান ""হতে পারে ক্লিশে" চন্দ্রিলের লেখা আর উপলের গাওয়া।

    হতে পারে ক্লিশে তেলচিটে বালিশে
    সত্যি কথা জমলে যেমন হয়
    আর, কী রোদ্দুর যে উঠত আলোই যেন ঈশ্বর
    দিনের মধ্যে ক্যাচ ধরেছি দশটা সূর্যোদয়

    ওই তো হাঁটছি সত্যি তখন বড্ড রোগা
    হিসেব করছি নোবেল পেতে দশ না বারো
    বাজার বইতে এহাত ওহাত আউপাতালি
    কোন বালিকা তোমরা কি ভাই বলতে পারো?

    যেন তোমায় আনলাম দুরপাল্লার জানলায়
    বাইরে সবাই এক সেকেণ্ডের শট
    ভীষণ গরম স্যুপটায় যেই রেখেছি ওষ্ঠ
    তোমার ঠোঁটে ফোসকা পড়ে তীব্র স্পিকটি নট

    ওই যে হাঁটছি দিব্যি দুজন লরেল-হার্ডি
    কুড়মুড়িয়ে মাড়িয়ে যাচ্ছি হিংসেদানা

    ফাঁকা ক্লাসে জোর করেছি ঘাট হয়েছে
    চলল এখন ফ্যাঁচফ্যাঁচানি রুমাল বেছে

    এ ঘরে থাক ঝুরো সন্ধ্যে
    নীচু মেঘের মতো রাত্রি
    লাল রং
    আলাপী বুড়ো এই ভরদুপুর
    পথে রাংতাবাগান

    কলকা করা বাক্য অসভ্য নাম সাক্ষর
    পার্কে বেঞ্চি দৌড়ে আসছে আজকে আমার টার্ন

    ওই যে হাঁটছি মুদ্রা দোষে নাকটা ঘষে
    আড্ডা মানেই সেকেণ্ড হাফে খেলছি সোলো
    গুজবো না শার্ট আমার পাড়া স্মার্ট পেরিয়ে
    সে রোদ্দুরের স্মরণ সভাও লিখতে হল

    ওই তো হাঁটছি এক পা টেনে স্ট্র্যাপটা ছেঁড়া
    ঝাঁকড়া চুলে লাইন গাঁথা দশ বা বারো
    একটা-দুটো পাপ করেছি ছোট্ট দেখে
    লেবুর গন্ধে ভর্তি জীবন বলতে পারো।

  • Rana | 210.212.165.45 | ২১ ডিসেম্বর ২০০৫ ০২:২৪401636
  • চন্দ্রবিন্দুর নতুন গান নিয়ে এর মধ্যে আমাদের বন্ধুদের মধ্যে একটা তীব্র আলোচনা হয়ে গেছে। সোমনাথদার কথা বিলকুল ঠিক, আমরাও একমত, চন্দ্রবিন্দুর কথা একটা বেয়াড়া জায়গাতে চলে গেছে। আর আমাদের মতে এটা ওদের অবলুপ্তির একটা অন্যতম কারন হতে পারে।

    বাংলা ব্যান্ড প্রথম থেকেই একটা niche segment কে target করে চলেছে, তা আমরা অস্বীকার করতে পারিনা। যা গোটা বাংলার সব সঙ্গীত শ্রোতাদের একটা ভগ্নাংশ মাত্র। চন্দ্রবিন্দু একটা super specialization এর জায়গাতে চলে যাচ্ছে। বৈজ্ঞানিক নিয়ম বলে অতি অভিযোজন অবলুপ্তির পথকে প্রশস্ত করে। আপনার কদ্দুর ওয়াকিবহাল অছেন জানিনা, কিন্তু বঙ্গদেশে, চন্দ্রবিন্দুর stage showর সংখ্যা আর তার জনপ্রিয়তা দুইই ক্রম হ্রাসমান। আমরা, আপাততো এই রকম একটা consensusএ এসেছিলাম, যে চন্দ্রবিন্দুর মোটামুটি এখন বছরে দু-একটা stage show করা উচিত, যেমন ওরা বছরে একটা রবীন্দ্র সদনে করে, আর বাকি cassete আর foreign trips
  • somnath | 211.28.40.185 | ২১ ডিসেম্বর ২০০৫ ১১:২২401637
  • নিছক অবলুপ্তি-ফোরকাস্ট বাংলা গান সেই সুমন-নচি-শিলু-দত্তের যুগ থেকেই ভিউমান। এ-নব রিভাইভালে দাতব্য শুধু শাকালুর দোকান কিংবা তাচ্ছিল্যের ক্যাঁৎ। সুপার স্পেশালইজেশনেও আপত্তি নেই, উপরি হাততালিও বাজুক, যদি তাতে ভেঙেচুড়ে, তুবড়েগুমরে শতাব্দীক্লেদ ঝেড়ে ফ্যালে ভাষা বা সৃজন। জনপ্রিয়তালোভে গণবোধ্য লিরিকরচনে মামুলি মিডিওকার তকমা সাঁটতে কিন্তু আমরাই উৎসুক। আমার দাবি ছিল এটুকুই, উচ্চতাসৌধ ক্লাইম্বিং কাব্যোৎকর্ষের সবল অনুগামী হোক সুরারোপ, যদিও সুমনউদ্ধৃত - সুর কি বড়োলোক বাপের জমিদারি যে যেমন ইচ্ছে খরচ করব?

    উপরের গানের রেডিওব্যাখ্যায় ইন্টারভিউ রত উপলের আত্মপ্রসাদ ছিল, এই প্রথম কোনো গান লিখতে অনেক বেশি সময় নিল চন্দ্রিল যা কিনা সুরের অভিনবত্ব এইটে দাবিয়ে অনিন্দ্যের বক্তব্য - নস্টালজিক স্মার্টনেসের পটু চমৎকারিত্বের স্বাদু উপস্থাপনা এ গানের বৈশিষ্ট্য; চন্দ্রিল সমর্থিত বিলম্বকারনও তাইই।

    রচয়িতার কথায় - এটা জেনারেল স্টেটমেন্ট - আমাদের শৈশবে পৃথিবী ছিল ম্যাজিকের কৌটো। তাই প্রথমেই গেয়ে রাখা - এ ক্লিশে নিয়েই বাঁধা হতে চলেছে আরো একটা গান - বাংলা ভাষায়। তারপরই শুনি একে একে বিমোহি শব্দবন্ধ - আলোই যেন ঈশ্বর, আউপাতালি, হিংসেদানা, ঝুরো সন্ধ্যে, আলাপীবুড়ো ভরদুপুর, রাংতাবাগান, কলকা করা বাক্য - নানাবিধ। সিনেমাকুশলে বদলে যায় সীন - কারো মুখ চলমান গতির জানলায়, স্যুপে ঠোঁট রেখেই অতর্কিত রিওয়াইন্ডপ্রবণ সময়, স্বেচ্ছাক্যাজুয়াল মাথায় লাইনগাঁথা যৌবনের আক্ষেপটুকুও উঁচু হয়ে থাকে -"সে রোদ্দুরের স্মরণসভাও লিখতে হলো !" অনিন্দ্য বলে রাখেন এটি তার প্রিয়তম পংক্তি এই গানে, আর শেষ হতে হতে সত্যিকারের লেবুর গন্ধ নাকে আসে আমাদের, এই অবেলায়, এই প্রবাসে, এই কংক্রীটেও ........
  • Lyadosh Chandra Mitra | 24.5.216.83 | ২১ ডিসেম্বর ২০০৫ ১৪:৩৭401638
  • হ্যাঁ, বড় বেশী লিরিক লিরিক হিড়িক। সুরের ঝিলিক-টা ঝিমিয়ে পড়ছে। রবিবাসরীয়-র থেকে cut-n-paste মারছে নাকি?
  • Rana | 210.212.165.45 | ২১ ডিসেম্বর ২০০৫ ১৮:৩১401639
  • সোমনাথদা, সবই তো বুঝলাম। কিন্তু তুমি আজকাল এরকম দূর্বোধ্য বাংলা লেখ কেন? পড়ে মনে হয় ধুসর পান্ডুলিপি পড়ছি। ম্যাজিকের ছড়ি কি প্যান্ডোরার বাক্স জানি না, মোদ্দা কথা, সুমন, নচি অঞ্জন শীলু, সবি অস্তমান, আর চন্দ্রবিন্দু যদি স্ট্র্যাটেজি না পাল্টায়, তবে, ওদের ব্যবসাও লাটে উঠবে। মনে রেখো, পয়সা না পেলে কিন্তু খুব ঝাড়। আশা থেকে সোনি থেকে আবার ধপাস হয়ে যাবে।

    বড়ো মনকষ্টে আছি, তাই গুছিয়ে লিখতে পারলুম না। পরে আবার চেষ্টা করবো।
  • somnath | 211.28.40.185 | ২৩ ডিসেম্বর ২০০৫ ১৯:২৭401640
  • হুলাবিলা নিয়ে আলোচনা যখন হচ্ছেই, তখন এ অ্যালবামের ম্যনিফেস্টো ও পড়া যাক। ----

    ক্রমে রাস্তা লোকারণ্য হয়েচে। চৌমাথার বেণের দোকান লোকে পুরে গ্যাচে। নানা রকম রকম বেশ -কারুর কফ ও কলারওয়ালা কামিজ, রুপোর বগ্‌লস আঁটা সাইনিং লেদর, লবংলতিকাগণের আবার অ্যাত্তোটুকুন টপ আর ঢলঢলে জিন্‌সের ফাঁকে ধবল ভুঁড়ি বেরিয়ে আচে, যেন গুমো বেড়ালের মুখে চিলতে হাসি। কলিকাতা সহর রত্নাকর বিশেষ, না মেলে এমন জানোয়ারই নাই;রাস্তার দুপাশে অনেক আমোদগেঁড়ে মহাশয়েরা দাঁড়িয়েচেন; ছ্যাৎলাধরা কেরানি, ছোট আদালতের উকীল, মরকুটে আঁতেল, অকম্মে বড়লোকের ছা, বগলে চিকণ গার্লফেরেন্ড। চিৎপুরের বড়রাস্তা মেঘ করলে কাদা হয়, - ধুলোয় ধুলো, তার মধ্যে ঢাকের গটরার সঙ্গে গিটার কাঁদে চন্দ্রবিন্দু বেরিয়েচে। প্রথমে দুটো মুটে একটা বড় পেতলের পেটা ঘড়ি বাঁশে বেঁদে কাঁদে করেচে - কতকগুলো যুবাযুবি মুগুড়ের বাড়ি বাজাতে বাজাতে চলেচে - তার পেচোনে ক্যাসেটের গাঁটরি আর ঝলমলে নিশেনের শ্রেণী। খুদেরা নেচেকুদে অস্থির হয়ে মা'র কাচে থাবড়া খাচ্চে। মধ্যে হাড়িরা দল বেঁদে ""হুলাবিলা হুলাবিলা চন্দ্রবিন্দুর এ কী লীলা"" ভজন গাইতে গাইতে চলেছে। দর্শকেরা হাঁ করে মাজাকি দেখ্‌চেন, মধ্যে বাজ্‌নার শব্দে ঘোঁড়া খেপেচে - হুড়মুড় করে কেউ দোকানে কেউ খানার উপর পড়চেন, কোঁতকার চোটে পাঁজরা ফেটে যাচ্ছে - তথাপি নড়চেন না।
  • pratim | 68.55.18.93 | ১১ আগস্ট ২০০৬ ১০:৩৩401605
  • এটা এক্কেবারে হূতোমের নক্সা। আর ব্যবসা লাটে তুলে চন্দ্রবিন্দু আরো দু চারটে হূলাবিলা নামাতে পারলে বাংলা গানের লাভ বৈ ক্ষতি নেই। এই ভাষায় কে কবে বলেছে "এই এবড়ো খেবড়ো রং, থাক বরং'?
  • jit | 59.93.216.230 | ০৭ জুলাই ২০০৭ ২০:০৮401606
  • সেশের বোক্তর সঙ্গে একেবরে এক্মত;বব্‌স লাতে উথুক, সুধু চন্দ্রবিন্দু এঅবেই বোলে জাক-এই এব্রো খেব্রো রঙ্গ থক বরঙ্গ।।।এই গর্তোমৈ সরির কোজগরি।।।।সুমন এরো কি কোনোদিন সধ্য চিলো এ কথ বোলর? জই বোলো তোম্র চন্দ্রবিন্দুর বিরুদ্ধে,অমদের কাচে সব এ ।।।হুলবিল!
  • jit | 59.93.216.230 | ০৭ জুলাই ২০০৭ ২০:১৩401607
  • বোন্ধুরা। আগের লেখা তা একেবারেই চন্দ্রবিন্দুও ভাষা হোএ গেচে।কোস্তো কোরে পোরে নিও সবাই।
  • omnath | 117.194.193.56 | ১০ জুন ২০০৯ ০০:৩০401608
  • ''তাই তোমার আনন্দ""। অর্কুটে সোমনাথ রায়ের লেখা ("অ্যানোনিমাস" নামে)। এই ইন্টারপ্রিটেশনে গানটা আসলে দেহতত্বের গান।

    তাই তোমার আনন্দ আমার পর
    পাঁচমাথা মোড়ে দিলে দাঁদ হাজা মলমের গান
    দুপুরবেলায় দিলে শ্যাওলাভর্তি কলঘর
    গোধূলির আলো চুষে খুলে গেলো রোলের দোকান

    মানুষের মানে পুরুষ মানুষের শরীরে পাঁচ মাথা মোড় কোনটা? সেখানে দাঁদ হাজা মলমের গান মানে চুলকানিসঙ্গীত। শ্যাওলাকে ছ্যাৎলা (ছোটোবেলার ভাষায়) করে নাও আর গোধুলির আলো চুষে-র মানে দাঁড়লো রোমান্টিক পরিবেশে রোলের দোকান খুলে মাংস বেরিয়ে আসা।

    তুমি তাই এসেছো নীচে
    ঘুরিছো আমার পিছে পিছে
    পশ্চাতে রেখেছো যারে
    আজ পশ্চাতে লাগিছে
    নিজের ভিতরে নিজে খাড়া থাকি ঘামে ভিজে উঁকি মারি চিলেকোঠা ঘর
    গুরু তাই তোমার এত তাই তোমার এত তাই তোমার এত আনন্দ আমার পর

    দেহতত্ব মতে এই তুমি তো নিচেই আছে। ঘুরিছো আমার পিছে পিছেটা অবশ্যি আমার নিজের তুমি নও, অন্য লোকের তুমি, যে যেকোনো সময় আমার পশ্চাতে এসে লাগতে পারে। নিজের ভিতরে নিজে.... এই লাইনটা তো এবার জলের মতন স্বচ্ছ অর্থবাহী।

    পকেট এ খুচরো চেপে দৌড়ে পার হয়েছো পথ
    বাস চলে যায় তবু তুমি থাকো মেয়েটিকে দেখে
    পঁচিশে নাগরদোলা সাতাশে বিফল মনোরথ
    চাকা বসে যায় আর তীর মারে অলিগলি থেকে
    পকেটে খুচরো-র মানে কি এক্সপ্লিসিটলি বলার দরকার আছে? ঐ যে মহায়নের ভাষায় ছিলো না - 'চিরে গিয়ে হল মানিব্যাগ' .... তো সেই সেই খুচরো পয়সা সামলে বা সেইজনিত উত্তেজনা সামলে পথ পার হওয়া। আবার দৌড়-এর কারনও সেই হরমোন-ই।

    বাস চলে যায়, বা বাস্তবে সময় চলে যায়, দৃশ্য সরে যায়। কিন্তু তুমি-টি জেগে থাকেন মেয়েটিকে দ্যাখার পর থেকে।
    পঁচিশে নাগরদোলা - কারন শাস্ত্রমতে ২৫-এ ব্রহ্মচর্য শেষ ও গার্হস্থ শুরু। সেই আশা ২৫-এ নাগরদোলার খোঁজ করে/ন , আর ২৭-এ বিফল মনোরথে, রাস্তার কুকুরের মতো হাল হয়ে যায়।

    কেঁপে উঠি আনকোরা শীতে
    বাথরুম পায় রাতে ভিতে
    অ্যাতো দিলে দত্যি ও দানো
    বর্মটি ভুলে গ্যাছো দিতে
    মশারির কিছু নীচে ইচ্ছা তরঙ্গিছে নেপথ্যে নেড়িরা প্রখর
    গুরু তাই তোমার এত তাই তোমার এত তাই তোমার এত আনন্দ আমার পর।

    শীত টাকে হীট ভাবলেই হল। তখন রাত ভিতে বাথরুম পাওয়ার অভিজ্ঞতাটা খুব কমন। এত দিলে দত্যি ও দানো, বর্মটি ভুলে গ্যাছো দিতে, এটা বোধহয় বিবাহিত পুরুষের অভিজ্ঞতা ..... মশারির কিছু নিচে ইচ্ছা তরঙ্গিছে - তে মাঝরাতে মশারির মধ্যে একান্ত অসিলেটারি মোশন এসে যায়। নেপথ্যে নেড়ি অর্থে, নেড়িকুত্তি বা bitch-রা। যাদের ভেবে ইচ্ছা তরঙ্গিছে।

    কখনো পানীয় আর কখন শাস্ত্র হল কোক
    স্থানীয় পাগলি পেলো এই সীজনএও কোল জোড়া
    কাগাবগা ঠ্যাং তুলে ঝেড়ে দিল তৎসম শ্লোক
    সকালের ফুসকুড়ি সন্ধ্যের স্লট-এ হল ফোঁড়া

    স্থানীয় পাগলি কারো তুমি-র তাড়নাতেই কোলজোড়া পেল। তুমি-ই coke দেখলে কোকশস্ত্রের কথা মনে করাও
    আর কাগাবগা কেস-টার দুটো interpreteion-ই যায়। একটা ঐ সেক্স টেক্স নিয়ে ট্যাবু বা ফ্রয়েডীয় ডায়লগ ঝাড়া। আরেকটা আরবিট পাবলিক ঠ্যাং তুলে পাগলির ভেতর কিছু ঝেড়ে দিল। তৎসমটা ক্লোন অর্থে নিতে হবে এক্ষেত্রে। সকালের কম হীট, বয়েস বাড়ার সাথে সাথে অসহ্য রকম প্রকট হয়ে পড়ল।

    চুপ চাপ চিঠি ছিল পাতি নভেল-এর চোরা খাঁজে
    খুচ খাচ কেঁদে গেল কোচিং-এর গলি বুঝে চিল
    টুপ টাপ ঝরে গেল ভাঁজকরা বিরহসমাজে
    সাধে কি কথায় বলে লোভে পাপ পাপে জেলুসিল

    পাতি নভেল মনে পাতিবই। চিলের ওড়াটা ওপর দিয়ে ওড়া। জীবনানন্দের চিল নয়, সুমনের প্রথম লাইন - "কি দেখছো চিল"। আসলে ওপর থেকে উঁকি মেরে যা দ্যাখা যায় ...l লোভে পাপ পাপে জেলুসিল একটা অসাধারন লাইন, এই লোভটা খায়ার লোভের। এত লোভ, বদহজম করিয়ে ছাড়ে।

    আমায় নিয়ে ম্যাল মেলা সস্তায় কমেডির খেলা
    সেক্সি স্পটের মতো শ্বেতী হৃৎপিন্ডের মতো ড্যালা
    যথাযথ অটো পেলে ন্যাতাকানি খুলে ফেলে তোমারে রাখিব স্পনসর
    গুরু তাই তোমার এত তাই তোমার এত তাই তোমার এত অনন্দ আমার পর

    প্রথম ম্যাল টা বিকশিত করো আর ২য় মেলাটা 'অনেক" অর্থে, মানে তোমার জন্যে আমি অনেক অনেক বার খোরাক মেলে ধরি লোকের সামনে, ২য় লাইন-টা অভিজ্ঞতাজনিত।।।
    অটো একটি যান, যাতে চড়া হয় (এবং ঝাঁকুনি থাকে)। এখানে গাড়ি নারী-র মেটাফর। আর জীবনের উদ্দেশ্য-ই তো তাই। যথাযথ অটো পেলে ন্যাতাকানি খুলে ফেলে "তোমা"-রে রাখিব স্পনসর .... কারন তখন তো সৃষ্টিসুখের উল্লাস।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ১০ জুন ২০০৯ ০০:৩৮401609
  • যেমন ওমনাথ, তেমনই সোমনাথ, যেন মূর্তিমান দুই অজিত চৌ। :)

    কিন্তু ওমনাথ, শুধু কপি পেস্টই হচ্ছে, না কাজ কিছু এগোচ্ছে?
  • sinfaut | 203.91.207.30 | ১০ জুন ২০০৯ ১০:৩৪401610
  • গানের গা* মেরে দিয়েচে।
  • lcm | 69.236.189.2 | ১০ জুন ২০০৯ ১০:৪০401611
  • *=য়কী
  • dipu | 207.179.11.216 | ১০ জুন ২০০৯ ১০:৪৩401612
  • :-))
  • nyara | 64.105.168.210 | ১০ জুন ২০০৯ ১০:৪৫401616
  • সিনফটকে - :))))

    পুরোটা পড়িনি, কিন্তু এটা কি সিরিয়াস ডিসকোর্স নাবিয়েছে? আমার তো মনে হল খিল্লি।
  • Arpan | 122.252.231.12 | ১০ জুন ২০০৯ ১০:৪৫401614
  • :D
  • sinfaut | 203.91.207.30 | ১০ জুন ২০০৯ ১০:৪৫401613
  • *=ঁড়
  • lcm | 69.236.189.2 | ১০ জুন ২০০৯ ১০:৫০401617
  • বোঝো! ওয়াল্ড কার্ড * এর ওয়াইল্ডনেস বিকশিত।
  • tatin | 130.39.149.146 | ১০ জুন ২০০৯ ১১:১৫401618
  • খিল্লি ভাবলে খিল্লি, সিরিয়াস ডিসকোর্স ভাবলে তাই - লেখার সময়ে দুটৈ করতে চেয়েছিলাম - ওমনাথ বাবু প্রায় বিস্মৃতির অতল থেকে জিনিসটা উঠিয়ে আনলেন!
  • lcm | 69.236.189.2 | ১০ জুন ২০০৯ ১১:১৯401619
  • ধুর, খিল্লি না, ডিসকোর্স-ও নয় --- ইহা হইল ভাট।
  • tatin | 130.39.149.146 | ১০ জুন ২০০৯ ১১:২৫401620
  • তা'লে তাই। চাপ নেবেন না মশয়
  • lcm | 69.236.189.2 | ১০ জুন ২০০৯ ১১:৩৩401621
  • আহা তাতিন ভাই, স্রেফ ভাট... মহেশ/পুরন্দর/পাতি/জোলো/বিশুদ্ধ/পুষ্টিকর... কোনো প্রেফিক্স নাই।
  • saikat | 202.54.74.119 | ১০ জুন ২০০৯ ১২:১০401622
  • হুঁ, এতদিনে বুঝলাম চন্দ্রিলের কবিতা পড়ে কেন বুঝতে পারি না।
  • r | 198.96.180.245 | ১১ জুন ২০০৯ ১৬:০৫401623
  • এই তাতিনবাবু কি দমদম কিশোর ভারতী ইস্কুলে পড়ত?
  • tatin | 70.177.57.163 | ১১ জুন ২০০৯ ১৯:৪৬401624
  • @r
    হুম, আপনাকে চিনি কি?
  • r | 198.96.180.245 | ১১ জুন ২০০৯ ১৯:৫৫401625
  • আফনে আমারে চিনেন কিনা হেইডা আমি ক্যামনে বলবাম? ;-)

    তবে ঐ ইস্কুলের সাথে আমাদের বহুযুগের যোগাযোগ। আমিও পড়েছি। ক্লাস ফাইভ অবধি। ১৯৮১ সাল। তখন আপনি কি ইস্কুলে ভর্তি হয়েছেন? আমার পিতৃদেব ঐ স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন। এখনও কিশোর ভারতী এজুকেশন ফাউন্ডেশনের সাথে যুক্ত। কাকা ঐ ইস্কুলেই পড়াতেন। :-)
  • tatin | 70.177.57.163 | ১১ জুন ২০০৯ ২১:০২401627
  • আমি ৯৬-এর মাধ্যমিক ব্যাচ। আপনার কাকার নাম কী?
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন