এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • জীবন শৈলী -- (অ)শিক্ষা

    Binary
    অন্যান্য | ১৯ নভেম্বর ২০০৮ | ২৮৬১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Binary | 24.66.94.142 | ১৯ নভেম্বর ২০০৮ ০৯:৩৮404962
  • কারণ ছাড়া কার্য্য হয় না। তো, এই লেখাটার-ও কোনো কারণ আছে, হয়ত আছে মাথার পেছেন দিকে। মনে এলে বলব, শেষে।

    তখন বোধহয় ক্লাস ফাইব, ফোর-ও হতে পারে। এক-ই বেঞ্চের, এক-ই বাসের (স্কুল বাস), হরিহরাত্মা বন্ধু ছিলো মনিময় পাল। বয়েস স্কুল। স্কুল নারীসঙ্গ বর্জিত। পাড়ায় অবশ্য গুটি কয়েক পাড়াতুতো মেয়ে বন্ধু ছিলো বটে। তাদের সাথে, চোরচোর, আইস-বাইস, পিট্টু খেলা হতো। আবার, এক্কাদোক্কা, কুমীরডাঙ্গা-ও বাদ যেত না। মেয়েদের সাথে এক্কাদোক্কা, কুমীরডাঙ্গা খেলার কথা লিখতে এখন, এতো পরিপক্ক বয়সে-ও কান লাল। তো, তখন হাফপ্যান্টু পরা বন্ধু আর ফ্রক-ইজের পরা বন্ধুনি-র কোনো তফাত মনে হয়নি। যেমন মনে হয়নি, চা দোকানের ছেলে উড়িষ্যা-র সীতারাম আর পাঁচতলা অট্টালিকায় থাকা বাপন-এর সমাজনৈতিক-অথনৈতিক তফাত। দশ-এগারোর বাপন-সীতারাম-আমি-টুম্পা-রিমি আর ইলেকট্রিক আফিসের নেপালী দারোয়ানের ছেলে, খিলা, একটাই ক্যাম্বিস বল (টেনিস বলকে ক্যাম্বিসবল বলা হতো কেন, কে জানে ?), দিয়ে ঘুঁটি সাজিয়ে পিট্টু খেলতাম। বা শীতকালে অ্যানুয়াল পরীক্ষার শেষে, ইঁটের উইকেট বানিয়ে রাস্তার ক্রিকেট।

    যাকগে, যে কথা হচ্ছিল। তো, সেই পাড়ার সেই বন্ধুনিদের, 'বন্ধুনি' ভাবাটা, কবে যে সুরু হলো, সেই ধোঁয়াশাটা এখনো কাটতে চায় না। যতদুর মনে পরে, মেয়ে-পুরুষের তফাতের নিষিদ্ধ ইস্তাহার শুনিয়েছিলো মনিময়। কেন জানিনা, একই বয়সের দশটা ছেলের, একটা-দুটো কেন যে কখন, আগে আগে বড় হতে সুরু করে ? মনিময়-ই প্রথম বলেছিলো, 'রাস্তায় দেখবি, এট্টা ছেলে আর মেয়ে একসঙ্গে যাচ্ছে, তার মানে ওরা প্রেম করছে'। তো, আমরা, স্কুলবাসের জানালা দিয়ে, গুনতি করতাম, কটা এমন জোড়-জোড় মেয়ে-পুরুষ দেখলাম। ব্যাপারটা অনেকটা আরেট্টু ছোটোবেলার গাড়ি গোনার মতো, সেরকম-ই এক্সাইটিং। 'প্রেম' কথাটা তখন অনেক দুরের ভেসে আসা ঘাসফুলের সোঁদা গন্ধ, মায়াময় হাতছানির মতো, আবছা। আরেকটা শব্দ শিখেছিলাম ঐ মনিময়ের কাছে-ই। নীরোধ। একদম সত্যি বলছি, তখন জানতাম-ই না কথাটা নীরোদ না নীরোধ। মনিময়-ও বলতে পারেনি। শুধু বলছিলো, ওটা নকি খুব রহস্যময় বস্তু, 'দেখিসনি, লাল তেকোনা-র পাশে পরিবারে ছবি'। সেটাযে কি হিসাবে, রহস্যময়, বোঝার ক্ষমতা তখন ছিলোনা। অনেক চাপাচাপি করায়, মনিময় গম্ভীর মুখে বলেছিলো, ওটা একটা ওষুধ, খেলে পরিবারের কল্যান হয়!!!!

    যখন চতুর্থশ্রেনী, আমাদের ইংরাজীর শিক্ষিকা হিসাবে এলেন মুনমুন সেন। ওনার পোষাকি নাম ছিলো 'শ্রীমতি' সেন। তখন বুঝিনি, এখন বুঝি, তখন নয়-দশ-এগারো বছরের আমরা, ২৩/২৪-এর মুনমুন সেনের ইংরাজীর ক্লাস এতোটা যে উপোভোগ করতাম, সেটা একটা অন্যরকম ভালোলাগা। সেটা একটা আকর্ষন। সমপাতন, সেই রাজ কাপুরের 'মেরা নাম জোকার', কিশোর ঋষি কপূর আর সিমি গ্রেওয়াল। দিদিমনি (মুনমুন সেন) সেই দশ বছরের ছেলেদের শুনিয়েছিলেন অস্কার ওয়াইল্ডের 'হ্যাপি প্রিন্স' এর গল্প। সেই প্রিন্স, সেই সোয়ালো পাখিটা, সেই প্রথম শোনা 'প্রেম' কথাটা মিলেমিশে একাকার হয়ে দ্রুত কেটেগেছিলো শেষ শৈশব, প্রথম কৈশোর। তারপর সবকিছু কেমন পালটে গেল। সেই পিট্টু, এক্কাদোক্কা আর কুমীরডাঙ্গা খেলার বন্ধুনি-রা কেমন যেন দূরে চলে যেতে লাগল। আমরা ওদের ব্‌ত্তে তখন ব্রাত্য। অবজ্ঞার দ্‌ষ্টি।

    নতুন যে স্কূলটায় ভর্তি হলাম, একটু বড় হয়ে, সেটা কো-এডুকেশন। ততদিনে মনিময়ের ব্যখ্যা করা সেই রহস্যময় ঝাপসা পর্দাটা একটু একটু করে পরিস্কার হতে সুরু করেছে। তবুও ধোঁয়াশা কাটে না। ক্লাস সেভেনে, জ্যামিতি-পরিমিতি, ব্যরোমিটারে বায়ুচাপ নির্নয় ইত্যাদি বুঝতে যত না বেগ পেতে হয়েছে, তার চেয়ে অনেক কঠিন লেগেছিলো, ব্যা-ংএর জননতন্ত্র বুঝতে। পরিস্কার করে বলা ভাল বুঝতেই পারিনি তখন। কেউ সাহায্য করেনি, স্কুলে স্যারেরাও নয়, বাড়ীতে বড়-রাও নয়। 'স্বাস্থ্য ও শিক্ষা' বইতে লেখা ছিলো, 'উপস্থচ্ছেদ করা ষাঁড়কে বলদ বলে'। এই জটিল বাক্যটির মর্মার্থ বহু চেষ্টা করেও উদ্ধার করতে না পেরে, পাড়ার এক কলেজে পড়া দাদাকে জিজ্ঞাসা করলে, সে ভয়ানক অবজ্ঞা ভরে উত্তর দিয়েছিলো, 'আরে বুঝলিনা, বিচি কাটা , বিচি কাটা ষাঁড়' !!!

    কেউ হাসবেননা মাইরি। আমার প্রথম পর্নোগ্রাফি 'শ্রীমদভাগবত'। ঠাকুমার ঠাকুর ঘরে। তাকে। যেখানে খবরের কাগজে সুন্দর করে মলাট দেওয়া, মহাভারত, চৈতন্য চরিতাম্‌ত আর শ্রীমদভাগবত সাজান থাকত। 'শ্রীমদভাগবত'-এর অমোঘ আকর্ষণ ছিলো, 'শ্রীক্‌ষ্ণের গোপীদের বস্ত্রচুরির' পরিচ্ছদ আর 'রাসলীলা'। সঙ্গে পূর্নচন্দ্র দাসের ছবি। আর ছিলো, একপিস গীতগোবিন্দম, জয়দেবের,পারিবারিক বই-এর আলমারিতে। ঘননীল কাপড়ের বাঁধাই। একপাতায় সংস্ক্‌ত আর একপাতায় বাংলা তর্জামা। চলন্তিকা অভিধান দেখে দেখে, মানে খুঁজতাম সেই সব গোপন শব্দের। পীনোন্নত পয়োধর, নিতম্ব ইত্যাদি। আর একদিন, তখন ক্লাস এইট হবে, দেখে ফেললাম আরো নিষিদ্ধ ছবি। বিজন এনেছিলো। প্রাপ্তবয়স্ক তাসের প্যাকেট। প্রতিটা তাসে আলাদা আলাদা ছবি। নারী-পুরুষের। আদিম। হাতে হাতে ফিরছিলো তাসগুলো, বেঞ্চে বেঞ্চে। বাংলার ক্লাশ চলছিলো তখন। মাথাটা তোলপাড় হচ্ছিল ছবিগুলো দেখে। বুকে প্রবল ঢিপ্‌ঢিপ। মনিময়ের সেই রহস্যময় পর্দাটা কে যেন একটানে ছিঁড়ে দিয়েছিলো সেইদিন। এরপর থেকেই ক্লাসে মেয়েদের উপস্থিতিটা এক ধাক্কায় বদলে গেল। একটু করে ঢুকে গেলো পৌরুষ দেখানোর জেদ। খেলার মাঠে। অংক ক্লাসে। বুঝে যাচ্ছিলাম, মেয়েরা কোথায় আলাদা। শরীরে। মনে। কেন আকর্ষনটা এত চৌম্বকিয়। বলাকা বলে মেয়েটা আড়চোখে তাকালে চোখাচুখি হলে, কেন হাওয়ায় উড়তে ইচ্ছা করে। ক্লাস নাইনে দেখে নিলুম 'ব্লু লেগুন'। গ্লোব সিনেমায়। স্কুল পালিয়ে। নীল প্যান্ট আর সাদা জামা পরা, পিঠে স্কুলে ব্যাগ। গেটম্যান বখাটে ছেলে বলেছিলো, তবে বাধা দেয়নি। তারপরে দেখেছিলাম 'লেসমেকার'। সেটাও স্কুল পালিয়ে। যশোর রোডে, শেলী সিনেমায়। ছবিটা আগাপাশতালা কিছুই বুঝিনি। তবে ঐ যে বিজন চোখ মেরে বলছিলো 'দারুন সিন আছে'। তাই দেখতে গেছিলাম।

    ***
    আরকি, এবারে প্রথমের 'কারণ'টা। সাড়ে নয় বছরের কন্যা, এই সেদিন বার্বি পুতুলের বায়না করেছে, মামাবাড়ী গিয়ে দিদার কাছে শোবে বলে নাকিনাকি সুরে কান্না ধরেছে, দিদার তৈরী আমের আচার আর ফ্রিজারে রাখা চকোলেট চুরি করেছে, এই সেদিন পজ্জন্ত রাত্রে স্বপ্ন দেখেও ভ্যাঁ করেছে, ড্রইং ক্লাশে ক্রেয়ন দিয়ে লাল র-ংএর সূয্য - সবুজ র-ংএর মাঠ - কালো র-ংএর মেঘ আর নীল র-ংএর ব্‌ষ্টি এঁকেছে, এখোনো মা সাহায্য না করেদিলে সোয়েটার জুতো টুপি ঠিক্‌ঠাক পরা হয় না, --------- সে সেদিন বাবাকে জিজ্ঞাসা কল্লে,
    -- 'বাবা, পিরিয়ড মানে কি ?'
    -- 'কেন, তুই জানিস না ? ইংরাজি বাক্য শেষে যে ফুট্‌কিটা থাকে ?'
    -- 'না না, সেই পিরিয়ড নয়, 'টয়লেট পিরিয়ড', জিমরুমে গ্রেড এইটের মেয়েরা ডিসকাস কচ্ছিল যে -----'।

    শেষের সুরু, শৈশব --- কেন যে শেষ হয় ?
  • Binary | 24.66.94.142 | ১৯ নভেম্বর ২০০৮ ০৯:৪০404973
  • খুব ল্যাখ্যা পাচ্চিল বলে লিখলুম, কিচু মনে করনি কেউ।
  • siki | 203.122.26.2 | ১৯ নভেম্বর ২০০৮ ১১:৪৯404984
  • অ্যাকেবারে মনে করি নি। ক্লাস নাইনে ব্লু লেগুন শুনে মনে হচ্চে তুমি প্রায় আমার বয়েসী, এক দেড় বছরের বড় হবে হয় তো।

    জিনিসগুলো নিয়ে দুয়েক টুকরো এক্সচেঞ্জ অফ ভিউজ মনে হয় অপ্রাসঙ্গিক হবে না।
  • san | 220.227.64.98 | ১৯ নভেম্বর ২০০৮ ১২:৩০404995
  • খুব সুইট লেখা :-)
  • siki | 203.122.26.2 | ১৯ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:২০405002
  • প্রথমদিকে কিছুই-জানতাম-না কন্ডিশনে অনেকে অনেক রকম ভাবে জীবন-শৈলী কল্পনা করে নেয়। দিদি একবার আমাকে (ক্লাস সিক্স) বলেছিল, য্যা: ঐ বাচ্চাটা ঐ মেয়েটার হবে কী করে? ওর তো বিয়েই হয় নি! ততদিন পর্যন্ত আমি জানতাম মেয়েরা পূর্ণবয়স্ক হলে তাদের পেটে বাচ্চা আসে। তখনও মেয়েদের শরীর সম্বন্ধে স্পষ্ট অস্পষ্ট কোনওরকমই আইডিয়া জন্মায় নি। বাচ্চা হবার ব্যাপারে যে "বিয়ে'-রও একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে, সেই প্রথম জানলাম। এ রকম অনেকের অনেক রকম আইডিয়া ছিল, শুনলে হাসি পেতেই পারে। কিন্তু সিরিয়াস আলোচনা হোক।

    পরিচিত অপরিচিত প্রায় সমস্ত মেয়েদেরই একটা কমন অভিযোগ থাকে ছেলেদের প্রতি, ঐ ছেলেটার নজর ভালো নয়, কেমন করে যেন তাকাচ্ছিল; বা, সুযোগ পেলেই শরীরে হাত দেবার চেষ্টা করে; বা, ছেলেরা মেয়েদের শরীর ছাড়া আর কিছু বোঝে না।

    অভিযোগগুলো যেমন জগতের সমস্ত ছেলেদের ওপরেই বর্তায় না, তেমনি এটাও সত্যি যে, অভিযোগগুলো একশো শতাংশ সত্যি। কেন অনেক ছেলেই এমন? কমবয়েসী, বেশীবয়েসী নির্বিশেষে? কখনও কোনও মেয়ের নামে এমন অভিযোগ কেন শোনা যায় না ছেলেদের কাছ থেকে?

    দ্য আলটিমেট স্যাক্রিফাইস আ ম্যান ডাজ ফর সেক্স ইজ, ম্যারেজ। দ্য আলটিমেট স্যাক্রিফাইজ আ উওম্যান ডাজ ফর ম্যারেজ ইজ, সেক্স। এগুলো নেহাৎই কথার কথা। কিন্তু পুরোপুরি উড়িয়ে দেবারও নয়।

    (পরে লিখব আবার)
  • Blank | 203.99.212.224 | ১৯ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:২১405003
  • এরা কেমন শিশু মতন। ইদিকে আমি ক্লাশ থ্রি তেই প্রেম ট্রেম বুঝতুম। কিন্তু ব্যপারটা কিছুতেই বিশ্বাস করতুম না। শনিবার ডিডি ওয়ানে হিন্দি সিনিমা দেখে পরিষ্কার বুজেছিলুম যে ক্লাসের মেয়েদের সাথে প্রেমাতে হয়।
    ইদিকে কিছুতেই ভেবে পেতুম না এই কাকলি, শ্রাবন্তী এদের সাথে কি করে প্রেম করা যায়। সবচেয়ে বড় কথা এদেরকে 'তুই/তোকারি' না করে 'তুমি তুমি' করে ডাকবো কি করে? এই নিয়ে খুব কনফিউসড ছিলুম আমি।
  • quark | 121.242.12.21 | ১৯ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:২৫405004
  • ব্ল্যাঙ্ক,

    এর মানে হ'ল তোমার "শিশু"কাল আর এই সিকি, আধুলি, থুড়ি বাইনারি, এদের শিশুকাল এক সময়ে নয়, "পিথিবি বদলে গেছে" ইত্যাদি।
  • siki | 203.122.26.2 | ১৯ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৩১405005
  • আমরা ছোটবেলায় জানতাম মিঠুন চক্কোত্তির বউয়ের নাম শ্রীদেবী।

    আমি তিনতিনটে গার্লস স্কুলে পড়েছি। পোচুর বান্ধবী ছিল। তবু হায়, প্রেম কী জিনিস জানতাম না। যতদিনে জানলাম, ততদিনে আমার বেঞ্চিতে আর কোনও মেয়ে নেই। বাংলা বয়েজ স্কুল।
  • siki | 203.122.26.2 | ১৯ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৩৩405006
  • দেখেছিস ব্ল্যাঙ্ক, তুই কতো বাচ্চা? তুই ক্লাস থ্রিতে শনিবার ডিডি ওয়ানে হিন্দি সিনেমা দেখতিস। আমরা দেখতাম রবিবার। তখন শনিবার বাংলা "বই' হত।
  • quark | 121.242.12.21 | ১৯ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৩৬404963
  • সিকি "গার্লস স্কুলে" পড়েচে? মাইরি?
  • siki | 203.122.26.2 | ১৯ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:৩৯404964
  • তিনটে গার্লস, তিনটে বয়েজ, দুটো কলেজ।
  • san | 220.227.64.98 | ১৯ নভেম্বর ২০০৮ ১৪:৪৪404965
  • স্কুলে, আমরা বন্ধুরা প্রেম শব্দটাকে খারাপ চোখেই দেখতাম। এখন ভাবতে গেলে অবাক লাগে - আমরা রবিঠাকুর বঙ্কিম শরৎচন্দ্র তারাশঙ্কর সবেতেই ছিলাম - কবিতাতেও - প্রেম আমাদের কাছে অচ্ছুৎ থাকার কথা ছিলনা । অথচ যে স্বল্পসংখ্যক মেয়ে (মূলত: বাগবাজার শ্যামবাজার শোভাবাজার পাড়ারই ) পাড়ার ছেলেদের কথা তুলে মুচকি হাসতো - তাদের এড়িয়ে চলতাম। ওরা ছিল 'বড্ড পাকা মেয়ে' , আমাদের চোখে।

    অথচ, খুব স্ট্রিক্ট গার্লস স্কুলে যেমনটি হয় - উঁচু ক্লাসের দিদিদের ওপর অনেকেরই আকর্ষণ জন্মেছিল। চিঠি লেখা, ক্লাসের সামনে দিয়ে একবার ঘুরে যাওয়া, একবার আড়চোখে দেখা - এমনকি কবিতা লেখা তাকে নিয়ে - কি অসম্ভব নর্মাল বলেই আমরা দেখতাম। প্রেম কথাটাও কখনো মাথায় আসেনি। গোণাগুনতি এক-আধটি মেয়ে বাদ দিয়ে তাদের মধ্যে লেসবিয়ান ছিলনা কেউ।

    যৌনতা , ট্যাবু ছিল একেবারেই। পষ্ট মনে আছে, জীবনবিজ্ঞানের দিদিমণি ,যাঁর মত যত্ন করে পড়াতে কম মানুষকেই দেখেছি, নাইন না টেনে ব্যাঙের জননতন্ত্র পড়াতে এসে এমব্যারাসড মুখে 'ওতে আর কি আছে, নিজেরা পড়ে নিও' বলে পরের চ্যাপ্টার শুরু করলেন , আর জনতা বলল দেখলি উনি কি ভদ্র,ডিগনিফায়েড। জনতা মানে একেবারে ক্লাসশুদ্ধু সক্কলে ,আমরাও , আমিও :-))))

    একটি মেয়ে বোধয় বলার চেষ্টা করেছিল - তোরা এত ন্যাকামি করছিস কেন । তাকে বলা হল - যে 'মেয়ে' লোকজনের সামনে সেক্স নিয়ে ডিসকাস করতে পারে, সেতো যারতার সঙ্গে গিয়ে থাকতেও পারে।আমরাও মাথা নাড়লাম। ঠিকই তো।

    এসব পনের বছর বয়েসের গল্প। পনের থেকে যখন পঁচিশে এসে আমরা পৌঁছলাম - অনেকেরই তখন মদ সিগারেট গাঁজা এবং লিভ-ইন-রিলেশন - কিচ্ছুটি বাকি নেই। ভাগ্যিস। ভাগ্যিস একসময়ে শেষেরও শুরু হয় :-)

  • siki | 203.122.26.2 | ১৯ নভেম্বর ২০০৮ ১৪:৫৪404966
  • হুঁ, মেয়ে প্রেম করলে তাকে খারাপ মেয়ে বলে দেখা হত, ছেলে প্রেম করলে তাকে হিরো ভাবা হত, একেবারে পুরুষতান্ত্রিক চিন্তাভাবনা। "তুমি মেয়ে', এই উচ্চারিত শব্দদ্বয়ের ভেতরে অনেক না-উচ্চারিত বারণ থেকে যেত।

    যেত কেন, আজও যায়।
  • siki | 203.122.26.2 | ১৯ নভেম্বর ২০০৮ ১৫:১০404967
  • ক্লাস এইট নাইন, যখন সবে পিটুইটারি আর টেস্টোস্টেরন তাদের খাপ খুলছে, ততদিনে সমবয়েসী মেয়েগুলো সব পুরোপুরি মেয়ে হয়ে গেছে। হাতে কীভাবে যেন চলে আসছে জামাকাপড়বিহীন সাদা চামড়ার ছেলেমেয়েদের ছবির রঙীন বই। কিছুটা জানি, কিন্তু বেশ কিছুটা জানি না, নিজেরাও বুঝতে পারছি, কিন্তু বুঝতে পারছি না ছোটবেলার মেয়েবন্ধুগুলোকে এখন দেখলে কেন মনের মধ্যে একটা অন্যরকম ফীলিং হয়, তারাও সহজ হতে পারে না আমাদের দৃষ্টির সামনে আর, অবৈধ জিনিসেরা হানা দিচ্ছে আমাদের কল্পনায়, রাতের স্বপ্নে, মনের মধ্যে পাপবোধ ঢুকে যাচ্ছে, একরকমের অনুশোচনা হচ্ছে কিন্তু পরমুহূর্তের উদগ্র কৌতূহল সেই অপরাধবোধকে চাপা দিয়ে দিচ্ছে। প্রিয় বন্ধুকে দেখে হীনম্মন্যতায় ভোগা, ওর কেমন গোঁফ বেরিয়ে গেছে, আমার ঠোঁটের ওপরটা কেন এখনও মসৃণ; বাবার শেভিং কিট থেকে ব্লেড চুরি করে কাঁচা গালে মুখে টানছি।

    ছেলেদের বড় হওয়াটা বড় অন্যরকম। কদিন আগেও যে রাস্তায় সাইকেল চালিয়ে অনবরত যাতায়াত করেছি, এখন সেই রাস্তায় রিক্সাকে ওভারটেক করতে ইচ্ছেও করে না, রিক্সায় বসে আছে স্কুলের মেয়ে, সদ্য উঁচু ক্লাসে উঠেছে, শাড়ি পরে যাচ্ছে, পিঠে ব্লাউজের ওপরে দেখা যাচ্ছে ধবধবে সাদা পিঠ, সেইসব ছেড়ে কেউ ওভারটেক করে?

    ছেলে জানতেও পারছে না, মন বলছে এ সব ঠিক না, এ সব বাজে ছেলেরা করে, কিন্তু পিটুইটারি বলছে তবু দ্যাখ, দেখতেও কত ভালো লাগে বোঝ।
  • santanu | 82.112.6.2 | ১৯ নভেম্বর ২০০৮ ১৫:১৪404968
  • না না আজ আর যায় না।

    কলকাতার তিনটে স্কুলের ক্লাস ৭ থেকে ১০ অব্দি ছাত্রীদের জেনারেল প্রোফাইল থেকে বলতে পারি, কোনো মেয়ের boy friend না থাকাটা বেশ আশ্চর্য ব্যপার,

    ছেলেগুলান আমাদের মতই আছে, বান্ধবী থাকলে হীরো, নাহলে ছোঁক ছোঁক।
  • r | 198.96.180.245 | ১৯ নভেম্বর ২০০৮ ১৫:১৬404969
  • আমার এক বন্ধু মেয়েদের নিয়ে এতই মুগ্‌ধ ছিল সে বহুকাল ভাবত মেয়েরা বাতকর্ম করে না। তারপর নাকি একদিন দূরদর্শনের পেনাজ মাসানির গান দেখাতে দেখতে তার মনে হল উনি সমে এসে হাঁটু থেকে নিতম্ব অবধি দুই ইঞ্চি উঁচু করে বায়ুত্যাগ করলেন। স্বপ্নের কি নিদারুণ অপমৃত্যু! তাও এমন সুন্দরী মহিলার হাতে, থুড়ি, নিতম্বে।
  • siki | 203.122.26.2 | ১৯ নভেম্বর ২০০৮ ১৫:১৭404970
  • কলকাতাটা হোল পবঙ্গ নয়, বাইনারি। মফস্‌সল আজও মফস্‌সলেই আছে। জীবন খুব একটা পাল্টায় নি সেখানে আজও।
  • r | 198.96.180.245 | ১৯ নভেম্বর ২০০৮ ১৫:২১404971
  • অনেক পালটেছে। হু হু পালটেছে। আমাদের কৈশোরে শাটপেন্টুল পরা মেয়ে প্রায় দেখাই যেত না। এখন দেখা গেলে কেউ ফিরেও তাকায় না। তখন পাড়ার ছেলেরা মিলে রাতপাহারা দিত। এখন রবীন্দ্রজয়ন্তী, বিজয়া সম্মিলনীতে হাত গোল গোল করে নাড়ুনৃত্য করার মেয়ে পাওয়া যায় না। এখন কার অত সময়?
  • siki | 203.122.26.2 | ১৯ নভেম্বর ২০০৮ ১৫:২৪404972
  • বেসিক ব্যাপারটা খুব লেম্যান অ্যাপ্রোচে বোঝানো আছে দীপ জ্বেলে যাই সিনেমায়। শিশু জন্মের পর প্রথম ভালোবাসে নিজের হাত-পা-মুখ, তারপরে মা-কে। পুরুষ শিশুর ক্ষেত্রে একটা সার্টেন বয়েস এসে যাবার পরে সে বুঝতে পারে এই মা-কে ভালোবাসা ব্যাপারটা (ইডিপাস কমপ্লেক্স) ঠিক নয়। তার বেড়ে ওঠার পরিবেশ তার পারিপার্শ্বিক আর তার ইনস্টিংক্টই তাকে জানিয়ে দেয় এটা। তখন সে মায়ের সাবস্টিট্যুট খুঁজতে শুরু করে। জ্ঞাতসারে নয়, অজ্ঞাতে। মোটামুটি মিল পেলেই সে সেই মেয়ের প্রতি আকৃষ্ট হতে শুরু করে।

    জানিনা ব্যাপারটা কতটা সায়েন্টিফিক। হতে পারে এটা ফ্রয়েডীয় তত্ব। সিনেমাতে বোধ হয় ফ্রয়েডের নামও নেওয়া হয়েছিল।
  • r | 198.96.180.245 | ১৯ নভেম্বর ২০০৮ ১৫:২৮404974
  • অজয় করই তাহলে বেথের দীপ জ্বালিয়েছিলেন। :-))
  • siki | 203.122.26.2 | ১৯ নভেম্বর ২০০৮ ১৫:৩১404975
  • ন, বেথে যখন দীজ্বেযা দেখেছিল তখন এসব কথা শুনলেও বোঝার বয়েস হয় নি। অনেক পরে সিডি দেখেছি যখন ততদিনে এ সবই জেনে বুঝে গেছি। জাস্ট রেফারেন্সটা দিলাম
  • san | 220.227.64.98 | ১৯ নভেম্বর ২০০৮ ১৫:৪০404976
  • ধ্যাৎ। পুরুষতন্ত্র টন্ত্রের ব্যাপার না। মানে স্কুলের গল্পটা সেরকম ছিলনা।অতিভিক্টোরীয় শুদ্ধতাগোছের গল্প বলা যেতে পারে। আর শান্তনু নির্ঘাৎ ইংলিশ মিডিয়ামের গল্প বলছেন তাইতো ? বাংলা না ইংলিশ, কনভেন্ট না মিশন এসবের ভিত্তিতে প্রোফাইলিং করলে একটু অন্যধরণের কিছু রেজাল্ট মনে হয় পেতেন :-))))
  • siki | 203.122.26.2 | ১৯ নভেম্বর ২০০৮ ১৬:০২404977
  • তবে হ্যাঁ, বেথে ছড়াবে না, এ কি হতে পারে? ব্লু লেগুন আমি দেখেছি ঐ ক্লাস টেনেই, তবে সে পরে আসা পুরনো ছবি হিসেবে। এই সব সিনেমা অবশ্য ঘুরে ঘুরে বারবারই আসে। বাইনারি যদি ব্লু লেগুন রিলিজ টাইমে (১৯৮০) দেখে থাকেন, আর তখন তিনি ক্লাস নাইনে পড়ে থাকেন, তা হলে উনি আমার থেকে অনেক বড়।
  • santanu | 82.112.6.2 | ১৯ নভেম্বর ২০০৮ ১৬:১১404978
  • মিডিয়াম টা কারণ হতে পারে। আমি আর গিন্নি মাঝে মাঝেই এখনকার স্কুল ছাত্রীদের আমুল পরিবর্তন নিয়ে আলোচোনা করি ও একমত হই যে ছাত্রীরা যতোটা, ছাত্ররা ততোটা বদলায় নি।

    তবে ঐ, গিন্নির স্কুল সবই বেনারসে আর আমার ছোটোবেলায় সব স্কুলই বাংলা মিডিয়াম।
  • Binary | 24.66.94.144 | ১৯ নভেম্বর ২০০৮ ১৯:১২404979
  • কাল ঘুমুতে যাওয়ার আগে ল্যাখাটা পোস্ট করেছিলাম। তারপর, দেখি প্রচ্চুর মত প্রকাশ হয়েচে। যাক
    ১) ব্লুলেগুন আমি দেখেচি প্রায় সেই রিলিজের টাইমে-ই , পরে নয়।
    ২)কলকাতা ম:পস্বল এরকম কোনো তক্ক আমার লেখাতে নেই। সিকির কমেন্টের জন্য এটা বলা।
  • rimi | 168.26.215.135 | ১৯ নভেম্বর ২০০৮ ২১:১৮404980
  • স্যান 2.44 PM এর পোস্টে আমার কথাগুলো ই হুবহু বলে দিয়েছে দেখছি। বিশেষ করে শেষ প্যারা তে - ভাগ্যিস!!!!!.... :-))

    তবে অতি ভিক্টোরীয় শুদ্ধতার রুট পুরুষতন্ত্রেই। সতী সাধ্বী কিম্বা সচ্চরিত্রা নারী হবার ক্রাইটেরিয়া পুরুষই ঠিক করে দিয়েছে সেই বহুকাল আগে।
  • Binary | 198.169.6.69 | ১৯ নভেম্বর ২০০৮ ২১:৩৫404981
  • ইয়ে, আমার অরিজিনাল লেখাটা-র এসেন্স কিন্তু নারী-পুরুষ তন্ত্র-টন্ত্র এসব কিছুই নয়। শহর-গ্রাম, কলকাতা-মফস্বল, বাংলা মিডিয়াম-ইংলিশ মিডিয়াম এসব-ও নয়। জাস্ট একটা শৈশব, বেড়ে ওঠা আর পরবর্তী প্রজন্ম।
  • san | 123.201.53.144 | ১৯ নভেম্বর ২০০৮ ২২:২৮404982
  • হ্যাঁ আমিও ঠিক তন্ত্র-মন্ত্র-সাধনা আনতে চাইনি। বেড়ে ওঠার গল্প শুনে নিজেও বলতে ইচ্ছে করল। তারপর কথায় কথা বাড়ে আর কি।অরিজিনাল গল্পটা আমরা বনাম বাদ দিয়েই পড়েছি কিন্তু :-)
  • sayan | 160.83.72.211 | ১৯ নভেম্বর ২০০৮ ২২:৩৪404985
  • মিসটেক মিসটেক! এটা টাইনিইউআরেল করা উচিত ছিল। মামু/ দমদি লিঙ্ক ব্রেক রুল না লিখলে এতক্ষণে পাতা ঘেঁটে ঘ হ'ত :(
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন