এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পাকিস্তান এবং...

    b
    অন্যান্য | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ | ১৫০৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • b | 117.193.32.39 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০৮:৩৮407608
  • এখানে
    http://dawn.net/wps/wcm/connect/dawn+content+library/dawn/news/home/
    পড়ছিলাম সোয়াটের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী। এবং স্টার নিউজ থেকে রেডিফ অবধি "পাকিস্তান ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে" এই জাতীয় খবরে ভর্তি, এক সুবোধ্য কারণে উল্লাস চেপে রাখার আর জায়্‌গা পাচ্ছে না। সোয়াটের অধিবাসীরা খুশি, এলাকায় শান্তি ফিরে এসেছে বলে। আম্রিকা বোধ হয় সম্পূর্ণ কনফিউস্‌ড, কি বলবে বুঝতে পারছে না।

    তবু, ভয় লাগছে।

    (ডি: অন্য কোথাও এই আলোচনা হয়ে গেছে কি? আমি অনেক সার্চ করেও বার করতে পারলাম না এই নামের/বিষয়ের সুতো।)
  • shyamal | 72.24.207.153 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০৯:৩৮407619
  • ১৯৪৭ এ পাকিস্তান প্রথম কাশ্মীর ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং একাংশ নেয়ও। তার পর ১৯৬৫, ১৯৭১ ও কার্গিল। প্রতিবার পাকিস্তান যুদ্ধ করে কাশ্মীর নেওয়ার চেষ্টা করেছে। পাকিস্তান যে ভারতের শত্রু সেটা বোঝাতে ত্রুটি রাখেনি। তা সেই পাকিস্তান যদি ভেঙে যায়, তবে কি ভারতীয়রা বলবে,
    মেরেছে মেরেছে কলসীর কানা
    তাই বলে কি প্রেম দিব না

    সোয়াটের লোক যদি খুশী হয় বলার কিছু নেই। এটা হল ডীল উইথ দা ডেভিল। আমেরিকার পোজিশন জানিনা।

    যদি তিন চারটে নতুন রাষ্ট্র হয় -- প:পাঞ্জাব, সিন্ধু, বালোচিস্তান আর পাখতুনিস্তান, তো ক্ষতি কি? এদের কারোর কাশ্মিরের প্রতি টান থাকবে না কাজেই ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্কে বাধা থাকবেনা।

    পাকিস্তানের স্ট্র্যাটেজি ছিল কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীদের দিয়ে "লো-ইনটেনসিটি ওয়ার" চালানো যাতে ভারতের রক্তক্ষরণ হয়। কিন্তু ভারতের ধৈর্য কাজে দিয়েছে। ভারতের স্ট্র্যাটেজি মনে হয় ছিল, ঠান্ডা যুদ্ধ বজায় রেখে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়িয়ে দেশটাকে ব্যাঙ্করাপ্ট করা। সেটা সফল হয়েছে।

    আজ পাকিস্তানে ইনফ্লেশন ২৩%। আয় বৃদ্ধি খুবই কম।
    পাকিস্তানী রুপী বাংলাদেশের টাকার চেয়েও সস্তা। পাকিস্তানের যা ডলার আছে তাতে দুমাসের আমদানী সম্ভব।

    মুম্বাইয়ে কসভ ধরা পড়ে সব ফাঁস হয়ে গেছে।

    হাতে হারিকেন।
  • b | 203.199.255.110 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১০:২৪407630
  • আপনার মতো আশাবাদী হওয়া একটু মুশকিল। একটি সম্পূর্ণ ডিস্টেবিলাইস্‌ড (এখনো বোধ হয় হয় নি) প্রতিবেশী দেশ পাশে থাকলে কি তাতে খুব সুবিধা হবে? বিশেষ করে ইকুয়েশনটার মাঝে যখন তালিবান (এরা কি একটাই সুসংগঠিত গ্রুপ না অনেকগুলো-র আম্ব্রেলা ? পাঠান অধ্যুষিত অঞ্চলে এদের এতো বোল বোলাও কেন? নাকি এটার মধ্যে ইস্লামিক কিছু নেই, শুধু পুরোনো জ্ঞাতি-বেরাদরীর ব্যাপার? এই প্রশ্নগুলো একটু ভাবাচ্ছে।) ঢুকে পড়েছে?

    আর পড়ছি সোয়াটে পাঁচ ক্লাসের ওপরে মেয়েদের পড়া বারণ করেছে এরা, হবু পুরুষ ডাক্তারদের গাইনোকলজি পড়ার ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তখন খারাপ লাগে। পাকিস্তান হলেও।
  • Bhuto | 122.172.16.210 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১০:৪১407641
  • এমন ভাবনা-চিন্তা দেখলে হাসি-কান্নার একটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া হয়। আর আশ্চর্য্য লাগে এই ভেবে, যে এরা কি বুঝিয়ে বা বুঝে লড়াই করে ভারতের বিরুদ্ধে। যাদের বোঝানো হয় তাদের মগজধোলাইটা কি প্রসেস এ করে। দেশটার ভবিষ্যত কি হবে জানিনা তবে ভারতের দায়িত্ব নিয়ে বা দায়িত্ব না নিয়ে অপেক্ষা করাটা কাজে লেগেছে , একটু সুফল দেখা দিচ্ছে।
  • Binary | 70.64.8.206 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১১:২৮407652
  • যারা পাকিস্তান টুকরো হচ্ছে বলে আনন্দে দু হাত তুলে নাচছেন, একটু ভাবুন, এটা ভারতে-ও হতে পারে কিনা ? ভারত মানে কি ও কে ? কেন ভরতের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বাঙালী/মারোয়াড়ী/তামিল/মারাঠি সেন্টিমেন্ট ? পাকিস্তানের অর্থনীতি বাংলাদেশের চেয়ে খারাপ বলে ধর্ষকামী পুলক অনুভব করছেন, তাদের কাছে ভারতবর্ষ কি ও কারা ? শচীন তেন্ডুলকারের সেঞ্চুরী ছাড়া কোথায় সব ভারত এক ? ? পাকিস্তান মানে কি ? কে পাকিস্তান ? কোন পাকিস্তান কাশ্মীর চায় ? কোন পাকিস্তান সোয়াট চায় ? কে চালায় পকিস্তান ? যারা পাকিস্তানের দুরবস্থায় পুলকিত হচ্ছেন, তাঁদের শত্রু আসলে কে ? কেন অন্ধ্রে তেলেঙ্গানা ? কেন গোর্খাল্যান্ড ? এই ভারতেই ?

    এত এরকম কথা হয়ে গেল, পড়শীর সাথে ব্যাপক ঝামেলা, এর আম গাছের ডাল ওর বাড়ীতে আসে, ওর স্যুয়ারেজের জল এর বাড়ীতে আসে, এর বাড়ীর ছেলে হাট্টা জোরে মিউজিক বক্স চালায়, ওর বাড়ীর ঝি এর বাড়ীর ঝি-কে খিস্তি করে ইত্যাদি। এরপর ওর বাড়ীর ছেলে হায়ার সেকেন্ডারি-তে ফেল করে, এর বাড়ীর কত্তা-গিন্নী মিস্টি খায়, মনে রাখেনা, ওদের ছেলের-ও পরের বছর হায়ার সেকেন্ডারি।
  • b | 203.199.255.110 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১১:৪৩407661
  • দেশটা সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানি না।

    কয়েকটা প্রশ্ন তাই ভাসিয়ে দিচ্ছি:

    পাকিস্তান কেন failed state (মিডিয়া-র ভাষায়), কেন সেখানে গণতন্র দানা বাঁধতে পারল না (ধরে নিচ্ছি ভারতে বেঁধেছে, যদিও টুটা ফুটা), মিলিটারি ডিক্টেটরশিপ কেন হঠাৎ করে শরিয়া অনুগত হয়ে পড়ল (আয়ুব বা ইয়াহিয়া হন নি), মিলিটারী আর মোল্লাদের মধ্যে কোনো টার্ফ ওয়ার আছে কি না, সেখানে বুরোক্রেসি-র ভূমিকা এসব নিয়ে একটু বিনি পয়সা-র জ্ঞান চাইছিলাম।
  • shyamal | 72.24.207.153 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১২:০৭407662
  • বাইনারীকে,
    আগেই বলেছি, ১৯৪৭ থেকেই পাকিস্তান দেখিয়েছে ভারতের শত্রু হতে তারা পিছপা নয়। পরবর্তী প্রত্যেক যুদ্ধ শুরু করেছে পাকিস্তান।
    পাকিস্তান কাশ্মীর নিয়ে এত আগ্রহী কেন? কারণ ওটা একমাত্র গ্লু যা দেশটাকে এতদিন ধরে রেখেছে। নয়তো একটা দেশ কৃত্রিম ভাবে শুধু ধর্মের ভিত্তিতে তৈরী হয়েছে।
    ভারতও কি ভাঙতে পারে? না। আর তার পনের আনা কৃতিত্ব নেহরুর নেতৃত্ব ও দূরদর্শীতার। সেজন্য ভারত প্রথম থেকেই কতগুলো আধুনিক আইডিয়াকে গ্লু হিসেবে ব্যবহার করে। গণতন্ত্র, সেকুলারিজম, ডাইভার্সিটি, মিলিটারির ওপরে সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণ, ফেডারালিজম। এজন্য ভারতের ভিতটা অত্যন্ত জোরদার হয়েছে। এর সঙ্গে হয়তো ছিল হিন্দু ধর্মের পাঁচ হাজার বছরের সহনশীলতার অভ্যাস।
    অর্থনীতিতেও ভাল করছিলেন, তার পরে মাথায় কি পোকা ঢুকল, অংকের শিক্ষক প্রশান্ত মহলানবীসের পরামর্শ নিয়ে অর্থনীতিকে ডোবালেন।
    ভারতে এখনও প্রচুর গরিব মানুষ আছে। কিন্তু দেশটা যে ঠিক রাস্তায় হাঁটছে, সেটা সারা পৃথিবী স্বীকার করেছে।

    তেলেঙ্গানা, গোর্খাল্যান্ড এগুলো খুচরো ব্যাপার। যদি ভারতের মধ্যে কতগুলো রাজ্য বাড়ে ক্ষতি কি? ছোট রাজ্য ম্যানেজ করা সহজ। বিহার, ইউ পি, এম পি ভাঙল , তাতে কি কোন ক্ষতি হয়েছে?

    ভারত বলে একটা কনসেপ্ট বেশ ভাল ভাবে দাঁড়িয়ে গেছে। হিন্দু, মুসলিম নির্বিশেষে তারা ভারতীয় হিসেবে গর্বিত তা আপনি কাগজপত্রে লেখা চিঠিতেই বুঝবেন। অধিকাংশ ভারতীয় মুসলিম আজ পাকিস্তানি মুসলিমের থেকে ভিন্ন। তারা অনেক বেশী শিক্ষিত , সেকুলার, মডারেট।
    সবাই স্বীকার করে যে ভারত কেওটিক কিন্তু ফাংশনিং ডেমোক্র্যাসি।

    শেষে বলি, সবাই চৈতন্যদেব নয়, যে শত্রুর বাঁশ গেছে বলে নাচবেনা।
  • Bhuto | 122.172.33.105 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১২:১১407663
  • সেজন্যেই কান্না-হাসির মিশ্র প্রতিক্রিয়া বললাম। এবং তাও ঐ পঞ্চম শ্রেণীর ফতোয়া জারী নিয়ে। এটা এত জটিল ব্যপার যে আনন্দিত বা দু:খিত হবার জন্য যে ন্যুনতম in-depth knowledge লাগে সেটা অজ অবধি চর্চা করা হয়ে ওঠেনি। Binary বা শ্যামলদার কথায় একটু জেনে নি।
  • Binary | 70.64.8.206 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৪:০৪407664
  • ভারতবাসী হিসাবে গর্বিত ?? হা:। সেকুলার ?? হা: হা:। ভারতীয় মুসলমানরা শিক্ষিত, মডারেট ? হা: হা: হা:।
    মনে করুন গোধরা, রাজ ঠকরে, উড়িষ্যার কন্ধমাল, ম্যাঙ্গালোরের রামসেনা, মুসলমান শিক্ষার হার, বিহারের পাপ্পু যাদব। আসলে ভারত বলে যে কনসেপ্টটা নিয়ে আমার দেশ বলে 'গর্বিত' হচ্ছেন, সেটা ফালতু। আসলে ভারত মানে ভারত, সেটা স্রেফ জিওগ্রাফিকাল এনটিটি আর বিশাল জনসংখ্যার সুযোগে। নইলে, কাশ্মীর, পাঞ্জাব, সিকিম, অরূনাচল, মেঘালয়, মনিপুর কোনো বর্ডার-ই এখন শান্ত নয়। তামিলনাডু নিজেদের মত।
    ৫৬% সাধারণ শিক্ষার হার পাকিস্তানে, ভারতীয় মুসলমানদের ৪১%, ৮৫% ভারতীয় মুসলমান মহিলা নিরক্ষর, মাত্র ৪% ভারতীয় মুসলমান মাধ্যমিকের গন্ডী পেরোয়, ভারতীয় সেনায় মুসলমানরা ব্রাত্য এবং বিশ্বাসযোগ্য নয় ...... সেকুলার ?? হা: হা:
  • santanu | 82.112.6.2 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৪:০৬407609
  • এই তো, কবে একটা অরিজিৎ বললো, একটা ধর্মযুদ্ধ চাই - ইউজুয়াল টাইপ; দুগ্গা দুগ্গা, এসে গেল বোধহয়।
  • Binary | 70.64.8.206 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৪:০৯407610
  • যুদ্ধ ? বাবারে, কি চাপ, আমি আর মুখ খুলছি না :)))
  • shyamal | 72.24.207.153 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৭:১২407611
  • বাইনারী,

    ভারতে শেষ জনগণনা হয় ২০০১ এ। তখন সাক্ষরতা ছিল :
    হিন্দু : ৬৫%, মুসলিম : ৫৯%
    মুসলিম মহিলা : ৫০%

    পাকিস্তানে ২০০০ - ২০০৫ এ গড় সাক্ষরতা ছিল : ৫০%। (মহিলাদের : ৩৬%)

    http://www.unicef.org/infobycountry/index.html

    আপনার তথ্যগুলো বোধ হয় ঠিক নয়।
  • shyamal | 72.24.207.153 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৭:২১407612
  • দেখুন পাকিস্তানিরা কি ভাবছেন:
    http://www.jang.net/vf/
  • shyamal | 72.24.207.153 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২৩:০১407613
  • স্বামীনাথন আইয়ার লিখেছেন কি করে পাঞ্জাবে খালিস্তানী সন্ত্রাস চিরতরে বন্ধ হয়েছিল। তিনি মনে করেন পাকিস্তানের উচিৎ ঠিক সেই ভাবে তালিবানী সন্ত্রাস বন্ধ করা।
    http://tinyurl.com/aglo5g
  • dri | 75.3.201.181 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০০:৩০407614
  • পাকিস্তান ভেঙ্গে টুকরো করার পলিসি ওবামার। ওবামা, মানে ওবামার পেছনে যে ব্রেন আছে, সেই ব্রেজিনস্কির। যতদিন পাকিস্তানে মুশারফ ছিল, পাকিস্তান আমেরিকার স্বার্থ দেখছিল। পাকিস্তানে আমেরিকা কিছু এয়ারবেস বানিয়েছিল। এবং সেই সূত্রে প্রচুর সি আই এ এবং এম আই সিক্সের এজেন্ট ঐ অঞ্চলে অপারেট করত। কিন্তু এই পলিসি পাকিস্তানে আনপপুলার হওয়ায় ফাইনালি মুশারফকে স্টেপ ডাউন করতে হয়। কিন্তু ইউ এস এতে বিশেষ সন্তুষ্ট হয় নি। সেটা ঐ সময়ের নিউজক্লিপিং দেখলেই বোঝা যাবে। ইন ফ্যাক্ট, এরকম একটা নিউজ লিংক আমি সম্ভবত 'আমেরিকা আমেরিকা' থ্রেডে দিয়েছিলাম। এবং তারই জেরে বেনাজিরের অ্যাসেসিনেশানও করানো হয়। ইন স্পাইট অফ অল দ্যাট, জারদারি পাওয়ারে আসে। তারপর থেকে বেচারি আমেরিকার চাপ, ভারতের চাপ আর দেশের পপুলার উইশের অধ্যে ব্যালেন্স করার চেষ্টা করছে। কিন্তু ব্যাপারটা আমেরিকার মনোমত হচ্ছে না। কয়েকটা খুব বড়বড় সেটব্যাক হয়েছে আমেরিকার। তালিবান রিসেন্টলি একটা খুব ইম্পর্ট্যান্ট স্ট্র্যাটেজিক ব্রিজ ভেঙ্গে দিয়েছে যেটা ছিল সৈন্যদের সাপ্লাই লাইন। আফঘানিস্তান ক®¾ট্রাল করতে গেলে পাকিস্তানে পার্মানেন্ট এয়ারবেস চাই, সেটা হচ্ছে না। এদিকে আফঘানিস্তানের একটু উত্তরে কিরঘিজস্তানে আমেরিকার একটি এয়ারবেস ছিল। ওটা খুব স্ট্র্যাটেজিক একটা জায়গা। ওখান থেকে আফঘানিস্তানে যেমন চট করে প্লেন পাঠিয়ে দেওয়া যায়, তেমন চীন এবং রাশিয়ার ওপর গোয়েন্দাগিরিও করা যায়। কিন্তু রিসেন্টলি কিরগিজস্তানের সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঐ এয়ারবেসটি বন্ধ করে দেওয়ার, রাশিয়া এবং চীনের চাপে। তাই ওবামা তথা ব্রেজিনস্কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তানকে কয়েক টুকরো করে উত্তর পাকিস্তানের টুকরোতে নিজেদের এয়ারবেস বসানো। তাতে আফঘানিস্তানের ওপর ক®¾ট্রালটা বজায় থাকবে, আবার চীনের ওপর গোয়েন্দাগিরিও চালানো যাবে।

    তো এই পুরো জিওপলিটিক্সে ভারতের কৃতিত্ব খুবই সামান্য। আছে শুধু পারভার্স আনন্দ। পাকিস্তানের বরাবরই ডেফিসিট ফাইনান্সিং, ভারতেরই মত। অর্থাৎ আই এম এফের কাছে টিকি বাঁধা। আই এম এফ যদি চাইত, অনায়াসে পাকিস্তানকে সহজ শর্তে লোন দিয়ে বাঁচিয়ে দিতে পারত। কিন্তু এখন করবে না, কারণ আমেরিকা পাকিস্তানের থেকে যা যা চায় তা পাচ্ছে না। তাই আমরা মিডিয়াতে খালি শুনতে পাচ্ছি পাকিস্তানের ফাইনান্সিয়াল ডিসিন্টিগ্রেশানের কথা। বেচারি জারদারি পড়েছে ফাঁপরে। ও যদি এখন আমেরিকার তাঁবেদারি করে তাহলে ভোটারদের বিট্রে করতে হবে। কিন্তু না করলে পাকিস্তান টুকরো হয়ে যাবে।

    এই গেমে ইন্ডিয়া মজা দেখছে, এবং আমেরিকার বন্ধু সাজার চেষ্টা করছে। কিন্তু যে কোন দেশেরই আমেরিকার থেকে সাবধান থাকা উচিত। পাকিস্তান পুরো কোল্ড ওয়ারের পিরিয়ডে আমেরিকার বন্ধু ছিল। এতদিনের বন্ধুর সাথে বেইমানি করতে আমেরিকার একটুও বাধছেনা। ওবামা খুব ওপেনলি পাকিস্তান বোম্বিং করার কথা বলে।
  • dri | 75.3.201.181 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০০:৪৫407615
  • ইন ফ্যাক্ট, আমেরিকা খুব রিসেন্টলি ডিক্লেয়ার করেছে, উইঘুর অঞ্চলের 'অত্যাচারিত' মানুষদের ইমিগ্রেট করতে দেবে। এসব আর কিছুই নয়, চীনের উইঘুর অঞ্চলটা ডিস্টেবিলাইজ করার চেষ্টা। কিরঘিজস্তান এবং উত্তর পাকিস্তান দুটোই উইঘুরের বর্ডার।

    এনিওয়ে, এইসব মুভে যেটা হবে সেটা হল চীন এবং পাকিস্তানের অ্যালায়েন্স তৈরী হবে। এবং হচ্ছেও, জারদারি চীনে খুব শিগ্গিরি।
  • shyamal | 72.24.207.153 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০৩:২১407616
  • দ্রি বলছেন আমেরিকা বেনাজিরকে খুন করিয়েছে। আর পাকিস্তান আমেরিকাকে এয়ার বেস ব্যবহার করতে দিচ্ছেনা।

    তথ্য কিন্তু এই দুটো থিওরীর উল্টো।
    ১) গত শনিবার আমেরিকার ড্রোন বাইতুল্লা মেহসুদের ঘাঁটি প্রায় ধ্বংস করেছে। গত বছর তদন্তে জানা যায় যে মেহসুদের গোষ্ঠি বেনাজিরকে খুন করে।

    ২) টাইমসের তদন্তে প্রকাশ যে আমেরিকা পাকিস্তানের ভেতরের একটি ছোট এয়ার বেস থেকে ড্রোন অ্যাটাক করছে। এটি বালোচিস্তানের শামসি এয়ারবেস। আফগান সীমান্ত থেকে ৩০ মাইল দূরে। অবশ্য রাজনৈতিক কারণে পাকিস্তান ও আমেরিকা উভয়ই এই তথ্য চাপার চেষ্টা করেছিল।

    আর আই এম এফ পাকিস্তানকে বাঁচানোর জন্য সাড়ে সাত বিলিয়ন ডলার ধার দিয়েছে। কিন্তু বাইরের কোন সংস্থা দেশকে বাঁচাতে পারেনা, যদি সে দেশের নেতারা ঠিক পলিসি না নেয়। পাকিস্তানের পলিসি হল নিজের নাক কেটে ভারতের যাত্রাভঙ্গ। তো এখন নিজের হাত পাও কাটা যাচ্ছে।

    এখন পাকিস্তান আর ভারতকে কোনদিক দিয়েই সমতুল্য ভাবা বেঠিক।
  • Binary | 70.64.8.206 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১১:৪১407617
  • বেনজির-কে যে অ্যামেরিকা খুন করিয়ে ছিলো, সেটা দেওয়ালে লেখা। বাইতুল্লা করালে-ও ব্যাকগ্রাউন্ড-টা থেকে-ই যায়। অ্যামেরিকা কখনই চায়নি, মুশারফ উল্টে যাক। তাই শেষ মুহূর্ত পর্য্যন্ত তোল্লাই দিয়ে গেছে। বেনাজিরের মার্ডারটা হল ইলেকশন বন্ধ করার একটা চেষ্টা মাত্র, এও সন্দেহ আছে, ওতে মুশারফ ইনভলভ ছিলো বলে। প্রবল জনমতের জন্য ইলেকশন বন্ধ করতে পারেনি। ইভন, এখনো মুশারফকে অ্যামেরিকা-ই প্রোটেকশন দিচ্ছে। ইকনমিক/জিওপ্রাফিকাল ডিসইন্টিগ্রশন-ও পরিস্কার অ্যামেরিকার চাল। জারদারির প্রবলেম হচ্ছে, ওর আর্মি ব্যাকিং নেই, একেবারেই নেই। নইলে, আজ সোয়াটে তালিবান দুম করে এত পাওয়ারফুল হয়ে গেল , আর মুশারফের আমলে ঘুমচ্ছিলো ?
  • shyamal | 72.24.207.153 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৭:৪৫407620
  • আশ্চর্য। অথচ বেনজির যখন দেশে ফিরলেন, সব মেজর কাগজ বলল, বেনজিরকে আমেরিকা পাপেট হিসেবে গদিতে বসাতে চাইছে। আমেরিকা এককালে অনেক কিছু করেছে। কিন্তু গত তিরিশ বছরে সেইসব কারচুপির অনেকটাই কংগ্রেস বেআইনী করে দিয়েছে। এখনও কিছু কিছু ঘটনা হয়না তা নয়। কিন্তু আমেরিকা আর সি আই এ সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের সমান বলে এত অমূলক ভয় , ভক্তি , শ্রদ্ধা দেখলে মনে হয় থ্রিলার লেখকরা সার্থক।
  • Binary | 70.64.8.206 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২১:৫৭407621
  • বাপরে, কংগ্রেস (উফ!) সিআইএ-কে বেআইনি করে দিয়েছে, এই মন্তব্য-টা ব্যাপক লাগাল। সিআইএ-র কথা কেউ বলেছে নাকি ?
  • dri | 75.3.201.181 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২৩:৫১407622
  • সি আই এ সর্বশক্তিমান কেন হতে যাবে? এই তো শাভেজকে সরাবার খুব চেষ্টা করেছিল, কিন্তু পারেনি। তা, সে আর কি করা যাবে? কিন্তু যতটা শক্তিমান, ততটা শক্তিমান। সেটা তো বলতে হবে। চেষ্টার ত্রুটি রাখেনি।

    বেনাজির আমেরিকার পাপেট কিনা। আমেরিকা সবাইকেই পাপেট বানানোর চেষ্টা করে। কিন্তু পাপেটরাও তো মানুষ। সব কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন না করতেই পারে। কেউ কেউ শুরুতে পাপেট থাকে। পরে আমেরিকান ইনফ্লুয়েন্স থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। অতীতের পাপেটকে আমেরিকা কোনদিন মারেনি এমন তো নয়। সাদ্দাম হুসেন জলজ্যান্ত উদাহরণ। মুশারফ বেশী পাপেট ছিল। জারদারি কম পাপেট। মুশারফ ওপেনলি পাকিস্তানের এয়ারবেস দিয়েছিল। জারদারি লুকিয়ে লুকিয়ে দিচ্ছে, কম দিচ্ছে। এটাও তো একটা তফাত। ইলেকশান জিতে ক্ষমতায় এলে মানুষের কাছে কিছুটা অ্যাকাউন্টেবিলিটি থাক। অত কম পাপেটে আমেরিকার অসুবিধে হচ্ছে।

    আর আই এম এফের লোন একটা জোকস। পাকিস্তান বার বার বলেছে আই এম এফ যতটা অফার করছে ততটা এনাফ নয়। যতটা দরকার তার চেয়ে কম অফার করা একটা চালাকি। কারণ, তাতে পেশেন্ট সেই মরবে (হয়ত একটু দেরিতে), কিন্তু তোমাকে কেউ কিছু বলতে পারবে না। তুমি বলে বেড়াবে, দেখ আমি কিন্তু দিয়েছিলাম। (ঠিক একই কাজ ফেডারাল রিজার্ভ করেছে ছোট ব্যাঙ্কদের বেলাউট মানি দেওয়ার সময়)।

    ভারত পাকিস্তান সমতুল্য নয়। সেভাবে দেখতে গেলে কোন দুটো দেশই সমতুল্য নয়। ভারতে নিজস্ব সমস্যা রয়েছে। পাকিস্তানের নিজস্ব সমস্যা রয়েছে। কিন্তু তুলনা করতে গেলে ভারত পাকিস্তানের অনেক বে্‌শ ক্লোজ আমেরিকার থেকে। ভারত পাকিস্তানের পার ক্যাপিটা জি ডি পি কাছাকাছি। লেভেল অব ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশান সিমিলার। বরং ভারতেই বেশী পার্সেন্টেজ মানুষ এখনো কৃষিভিত্তিক। ভারতেরই পাবলিক ডেট বেশী অ্যাজ পার্সেন্টেজ অব জিডিপি। হ্যাঁ, পাকিস্তানের গ্রোথ রেট কম, ইনফ্লেশান বেশী। কিন্তু এর চেয়ে বেশী ইনফ্লেশানওয়ালা দেশও আমেরিকার সুনজরে থাকলে আই এম এফ বেলাউট পেয়ে যেত। আই এম এফও তো ইন দা এন্ড টাকাই ছাপায়, :-)। সাত বিলিয়ান আর চোদ্দ বিলিয়ানে কি তফাত? তফাতটা পোলিটিকাল। কাকে দেব, কি কন্ডিশানে দেব।
  • Binary | 70.64.8.206 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০৮:১৮407623
  • সিআইএ-র না পারার তালিকাতো অনেক।
    ৪০ বছরে ফিদেল-কে সরাতে পারেনি।
    ৪০ বছরে প্যালেস্তাইন কব্জা করতে পারেনি।
    ৪০ বছর ধরে ভিয়েতনামে-র থুতু চাটতে হয়েছে।
    ৪০ বছর ধরে নর্থকোরিয়াকে বাগে আনতে পারেনি।
    ২০ বছরে লাদেন নামক শিব গড়তে বাঁদর গড়েছে।

    কিন্তু ৪০ বছর ধরেই, অনামে-বেনামে কুচ্ছিত-হতকুচ্ছিত কাজগুলো করার চেষ্টা করে গেছে।

    কে সিআইএ-কে সর্বশক্তিমান বলে এতসব ফেলিওরের পর ? কিন্তু চেষ্টাটা তো করেই চলে ..... সোয়াট সেরকমি আরেকটা ....

  • shyamal | 24.117.80.243 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১০:০১407624
  • প্রায় সব মিডিয়া রিপোর্টে দেখা যায়, ভারত আর পাকিস্তানের মাথাপিছু জিডিপি প্রায় এক। ভারতের $2700 হলে পাকের $2550। আমার মনে হয় পাক সরকার মিথ্যে তথ্য দেয়।
    আমি অল্পদিন আগে ওয়েব থেকে কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছি। দেখুন।

    http://docs.google.com/Doc?id=dwpvkqt_0d7xb94tx

    ভারতের দামগুলো মুলত: কলকাতার।
  • dri | 75.3.201.181 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১০:৫৭407625
  • এই তথ্য থেকে প্রমাণ হয় না ভারতের জিডিপি পাকিস্তানের চেয়ে বেশী। প্রথমত ধরে নিচ্ছি এগুলো রিপ্রেজেন্টেটিভ। লাহোরে ডিমের দাম আর পাকিস্তানের মফস্বলের ডিমের দামে অনেক তফাত থাকতেও পারে। এনিওয়ে, ধরা যাক এক লিটার দুধের দাম ভারতের তুলনায় পাকিস্তানে বেশী। তাতে পাকিস্তানের স্কুল টীচার ভারতের স্কুল টীচারের চেয়ে হয়ত বেশী 'গরীব' হল, কিন্তু পাকিস্তানের দুধ বিক্রেতা ভারতের দুধ বিক্রেতার চেয়ে বেশী ধনী হল। জিডিপিতে সবার প্রোডাক্টিভিটি যোগ করে লোকসংখ্যা দিয়ে ভাগ করা হয়।

    আর স্ট্যাটিস্টিক্সে গুল? ভারত, পাকিস্তান, আমেরিকা সব দেশের সরকারই দেয়।
  • lcm | 69.236.185.129 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৩:০৫407626
  • হে হে। গুলের স্ট্যাট, বা, স্ট্যাটের গুল :)

    জন্ম থেকে পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে শত্রুতা করছে - এই স্টেটমেন্টটা নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক। অনেক ঘটনা/কচকচানি, ইতিহাসে বিশদভাবে আছে, সংক্ষেপে যতটুকু জানি মোটামুটি বলছি, ভুলভাল হলে ঠিক করে নিও প্লিজ। ৪৭-এ যখন দেশ ভাগ হচ্ছে, সে সময় কাশ্মীর-এর রাজা হরি সিং। কাশ্মীরের জনসংখ্যার ৭৭ শতাংশ তখন মুসলিম। মুসলিম মেজরিটি প্রভিন্সের হিন্দু রাজা। ভাগাভাগির সময় পাকিস্তান ধরেই নিয়েছিল যে রাজা কাশ্মীর-কে পাকিস্তানের হাতে দিয়ে দেবে। কিন্তু, তা হচ্ছে না দেখে পাকিস্তান ক্ষুব্ধ হয়। রাজা কথা বললেন মাউন্টব্যাটন-এর সাথে, কাশ্মীর চলে এল ভারতের মধ্যে। এদিকে পাকিস্তানের কিছু দখল্‌দারি তখনও কাশ্মীরে বসে। ডাকা হল ইউ এন-কে । সৈন্য পাঠিয়ে পাক দখলদারিদের হঠানো হল, ইউ-এন বলল পরে গণভোট হবে, তারপর ঠিক হবে কাশ্মীর কোথায় যাবে - এই বলে তখনকার মতন ঝামেলা ঠেকানো হল। সেই গণভোট আর হয় নি। এরপর পাকিস্তান এর সাথে কাশ্মীর নিয়ে '৬০ থেকে বেশ কয়েকবার যুদ্ধ হয়। এর মধ্যে '৭০-এ ভারতীয় সৈন্যর হস্তক্ষেপে পূর্ব পাকিস্তান হয়ে যায় বাংলাদেশ।

    এই হল গল্প। এইবার একবার ভাবো যে ঘটনাক্রমে তোমার জন্ম হয়েছে পাকিস্তানে, তাহলে ছোট থেকে একটা ধারনা -- আমাদের কাশ্মীর দেয় নি, গণভোট-এর দাবীকে পাত্তা দেয় নি, পুর্ব পাকিস্তান ছিনিয়ে নিতে সহায়তা করেছে, এবার হয়ত আমাদের-ও অ্যাটাক করবে, আমাদের সব থেকে বড় শত্রু হিন্দুস্তান... - সমস্ত ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে এইরকম ধারনা জনমানসে গেঁথে যাওয়া কি খুব কঠিন কাজ? মনে রাখতে হবে, আমরা যখন বড় হয়েছি, তখন শুনেছি পাকিস্তান আমাদের শত্রু, কিন্তু কখনই বিশ্বাস হয় নি যে পাকিস্তান এসে দিল্লী থেকে কন্যাকুমারী দখল করে নেবে।
    একথা ঠিক পাকিস্তান এই শত্রুতাকে একস্ট্রিমে নিয়ে গেছে। '৬০-এর দশকে জুলফিকার আলি-র সেই বিখ্যাত মন্তব্য - ঘাস খেতে হয় ঘাস খাব, কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবার জন্য অস্ত্র তৈরী করব...। এসবের ফল পাকিস্তান-কে আজও ভুগতে হচ্ছে। কিন্তু কথা হল, ইউ-এন এবং পশ্চিম দুনিয়া, এই কাশ্মীর ইস্যু ঝুলিয়ে রাখল কেন?
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৩:০৯407627
  • ৪৮/৪৯-এ ইউএনের সৈন্য ছিলো না। হরি সিং ইনস্ট্রুমেন্ট অব অ্যাকসেশনে ফর্মালি সই করার পর ভারতীয় সৈন্যদের নিয়ে এয়ারফোর্সের একটা প্লেন কাশ্মীরে নামে। একচোট মারামারির পর সম্ভবত: ইউএন ঢোকে। অবিশ্যি আমি ঝিলম নদীর তীর থেকে বলছি। পিওর অথেন্টিক ইতিহাস ঘাঁটিনি।
  • lcm | 69.236.185.129 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৩:১১407628
  • অরিজিৎ, ঠিক। প্রথমে ভারতীয় সেনা, পরে ইউএন।
  • shyamal | 24.117.80.243 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৮:২৯407629
  • ১৯৪৭ এ প্রচুর দেশীয় রাজ্য ছিল। জিন্না, কংগ্রেস ও ব্রিটিশ সরকারের মধ্যে চুক্তি হয় যে প্রতি দেশীয় রাজ্যের রাজা ঠিক করবেন তিনি ভারত না পাকিস্তানে যাবেন। আর কেউ নয়। প্রজা নয়। এই চুক্তিতে পাকিস্তান রাজী হয়।

    হরি সিং প্রথমে ঠিক করেছিলেন কাশ্মীর আলাদা দেশ হবে। তাই কোন দিকেই যান নি। কিন্তু পাকিস্তান বেআইনী অ্যাটাক করায় সঙ্গে সঙ্গে ভারতের অংশ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ইতিমধ্যে পাকিস্তান বেআইনীভাবে একটা অংশ ক্যাপচার করে যেটা আজ POK। হরি সিংয়ের সিদ্ধান্তের সাথে সাথে ভারত কাশ্মিরে সেনা পাঠায় । তার ফলে আজকের জম্মু কাশ্মির বেঁচে যায়। যখন ইউ এন এ প্রশ্ন তোলা হয় যে পাকিস্তান কেন নিয়ম ভেঙ্গে সৈন্য পাঠিয়েছিল, তখন তারা বলে, কই আমরা সৈন্য পাঠাইনি তো। পাঠান আর কাশ্মিরিরা রিভোল্ট করে রাজার বিরুদ্ধে।
    মনে রাখবেন এই সেম চাল পাকিস্তান কারগিলেও চেলেছিল। বলেছিল পাক সৈন্য কার্গিলে যায়নি, মুজাহেদীনরা গিয়েছিল।

    কাশ্মীরের ক্ষেত্রে পুরো নিয়ম ভাঙার দোষ পাকিস্তানের। ভারতও কি নিয়ম ভাঙেনি? হায়দ্রাবাদে নিজাম চেয়েছিলেন পাকিস্তানের অংশ হতে। ভারত দুই থাপ্পড় দিয়ে নিয়ে নিয়েছে।
  • shyamal | 24.117.80.243 | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৮:৪৫407631
  • এটাও দেখুন :

    http://tinyurl.com/allej7
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন