এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ছেঁড়াখোঁড়া স্বপ্নেরা

    d
    অন্যান্য | ২৭ নভেম্বর ২০০৯ | ১১৯৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • d | 121.245.132.195 | ২৭ নভেম্বর ২০০৯ ১৭:০৬427240

  • -
    চিনু যখন জন্মায়, তখন প্রমদাকান্ত আর সরলাবালা দুজনেই খুব আশা করেছিলেন এবার ছেলে হবে। আশা অবশ্য তাঁরা প্রতিবারই করেন। মিনু , বিনুর সময়ও করেছিলেন। কিন্তু এবারে কেন যেন মনে হয়েছিল ভগবান নিশ্চয়ই একটা ছেলে দেবেন। মানদা দাসীর তীক্‌ষ্‌ঞকন্ঠ যেই ঘোষণা করল "মেয়ে হয়েচে গো' টালিগঞ্জের ঐ বাড়ীটা হঠাতই চুপচাপ, শান্ত হয়ে গেল। সরলাবালার বাপেরবাড়ীতে এমনিতে লোকের কোন কমতি নেই। মা, তিনভাই, ভাইবৌ, তাদের ১৩ টি ছেলেমেয়ে ----- সর্বদাই হট্টমেলা হয়ে থাকে। এছাড়া দেশেরবাড়ী পাবনা থেকেও আসোজন বসোজন লেগেই আছে। অক্টোবরের এই শুরুর সিকটায় অবশ্য ভাই ভাইবৌরা কেউ নেই। সবাই দুর্গাপুজা উপলক্ষে গেছে পাবনায়। শুধু মা অনিলাবালা থেকে গেছেন আসন্নপ্রসবা সরলার জন্য। প্রমদাকান্তও দুদিন এখান থেকেই অফিস করছেন।

    রাইটার্সের সামান্য কেরাণী প্রমদাকান্ত, বড় দুই মেয়ের বিয়ের ভাবনাতেই কাহিল হয়ে থাকেন, আবার একটা মেয়ে। একটাও কি পাশে দাঁড়াবার মত কেউ জন্মাতে নেই! আর এই তো দেশের অবস্থা! যখনতখন স্বদেশী আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়ছে! আরে তোরা পারবি ঐ শক্তিশালী ইংরেজদের সাথে? আর সত্যি তো ইংরেজরা না দেখলে এই দেশটার কি হাল ছিল সে তো জানাই আছে। এইসব ভাবনার মধ্যে মানদার চাঁছাছোলা গলা ভেসে আসে "অ মিনু মায়ের কাছে একটু বোস দিকি, আমি খুকীটারে একটু পোস্কার করে নিই' । জলের স্পর্শে নবজাতিকা তীক্‌ষ্‌ঞকন্ঠে কেঁদে ওঠে আর মানদার গজগজ চলতে থাকে "থাক থাক আর কাঁদে না --- ঐ তো মেয়ের ঢিপি -- তার আবার অত আদিখ্যেতা কিসের'? সাড়ে ছ বছরের মিনু ঠিক বুঝে যায় এই বোনটা একেবারেই অবাঞ্ছিত।৩ বছরের বিনু অতশত বোঝে না, বোনকে দেখতে চায়, হাত বাড়াতে যায় ------ মানদার ঝঙ্কারে ভয় পেয়ে সেও বোধহয় নিজের মত করে বুঝেই যায় যে বোনটা এমনকি তার চেয়েও বেশী অনাকাঙ্খিত। সরলাবালার জ্ঞান আছে কিনা বোঝা যায় না, চুপচাপ পড়ে থাকেন।অশুধু অনিলাবালা বলতে থাকেন ভগবান যা দেন তাই হাত পেতে নিতে হয়। অশ্রদ্ধা করতে নেই। তবে বাড়ীতে জামাই আছে, তাই গলা তেমন চড়ে না।
  • d | 121.245.132.195 | ২৭ নভেম্বর ২০০৯ ১৭:০৮427251

  • -
    সাড়ে নয় বছরের চিনুর মাথায় পড়াশোনা তেমন ঢোকে না। কদিন ধরেই বাবা চেষ্টা করছে ভাগ শেখানোর। কিন্তু ও বুঝতেই পারছে না। প্রমদাকান্ত আর মেজাজ ঠিক রাখতে পারেন না। এই নিয়ে চারদিন হয়ে গেল ----- রোজ একবার করে দেখিয়ে দেন আর এই মেয়ে ঠিক কিছু না কিছু ভুল করে! এর মাথায় আছেটা কি? অথচ খোকনকে দেখো, কেমন চটপট সব শিখে নেয়। চিনুর চেয়ে তিন তিনটে বছর ছোট অথচ এই বয়সেই যোগ আর বিয়োগ দিব্বি পারে। একটু লেখাপড়া শিখলে অন্তত বিয়ের চেষ্টা করতে সুবিধে হয়। আজকাল আর অশিক্ষিত মেয়েদের কেউ বিয়েও করতে চায় না। আসলে অমনোযোগ --- দিব্বি বাপের ঘাড়ে খাচ্ছে দাচ্ছে ---- প্রমদাকান্ত ঠাস করে এক চড় বসিয়ে দেন চিনুর গালে। চিনু ঘরের মধ্যে বিছানা থেকে সোজা বারান্দায় গিয়ে পড়ে, মাথাটা ঠুকে যায় দেওয়ালে, চোখে অন্ধকার দেখে। ভবানীপুরের এই বাড়ীটার দেওয়াল, মেঝে বড় ঠান্ডা, চিনুর আর উঠতে ইচ্ছে হয় না মেঝে থেকে। খোকন ভয়ে চীত্‌কার করে কেঁদে ওঠে। সরলাবালা এসে স্বামীকে একটু অসন্তুষ্টভাবেই মনে করিয়ে দেন যে মেয়ে একেই তো কালীতারা, রূপের ধুচুনি, তায় যদি খুঁতো হয়ে যায় তাহলে কিন্তু বিয়ে দিতে আরও সমস্যা হবে।অআর পাত্র কেনার মত টাকার জোরও তাঁদের নেই। প্রমদাকান্ত গুম হয়ে যান। বিনু বোনকে উঠিয়ে বসায়, সরলা আঁচল ভিজিয়ে মাথার ফোলাটায় লাগিয়ে দেন। চিনু কেঁপে কেঁপে ওঠে --- কাঁদে না কিন্তু। সেদিন আর পড়তে হয় না চিনুকে। আর কি আশ্চর্য্য! পরেরদিন ভাগ অঙ্ক সে একদম নির্ভূল করে। পরে "এক চড়ে ভাগ শেখানো' তাদের বাড়ীতে একটি গল্পকথা হয়ে যায়।
  • d | 117.195.37.190 | ২৭ নভেম্বর ২০০৯ ১৭:৫১427262
  • শিবপুরের এক পুলিশ কনেস্টবলের সাথে মিনুর বিয়ে দেন প্রমদাকান্ত। ছেলেটি ভাল, প্রায় কোন দাবীদাওয়াই ছিল না। বিনুর বিয়েরও চেষ্টা চলছে। বিনু দিব্বি ক্লাস এইটে উঠে গেছে, চিনু আর খোকনও পড়ছে। তবে চিনুর সব শেখাই ঠেকে ঠেকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এগোতে থাকে।আনেকগুলো দিন চলে যায়, মিনুরও বিয়ে ঠিক এক মেডিকেল রিপ্রেসেন্টেটিভের সাথে।অপরিবারটি বেশ বড় ও খুবই ভাল। এর মধ্যে কেমন করে কে জানে আচমকাই একদিন রান্নাঘরে গরম জলের হাঁড়ি চিনুর গায়ে উল্টে পড়ে। একেবারে ফুটন্ত গরম জল ---- আর সরলাবালার আশঙ্কা সত্যি করে বুকপেটের বিস্তীর্ণ অংশ পুড়ে চামড়া গুটিয়ে যায়, বাঁ হাতে কনুইয়ের ভেতর দিক থেকে কবজির ভেতর দিক অবধি চামড়া জুড়ে যায়, বাঁ হাতের তিনটি আঙুলও হাতের তেলোর সাথে জুড়ে জুড়ে যায় , যেগুলি আর আর কোনওদিনই ঠিক হয় নি। মনে মনে চিনুর মৃত্যুকামনা করেছিলেন কিনা জানা যায় না, তবে প্রকাশ্যে প্রমদাকান্ত কিছু বলেন নি। সরলাবালা কিন্তু অসাবধানের জন্য চিনুকেই দায়ী করেন। সকালে বিকালে সেকথা জানিয়েও দেন। সংসারে যার পাশ ফিরেও জায়গা হতে চায় না, তার সেই জায়গাটুকুই কিছুতেই আর খালি হতেও চায় না।

    ইতিমধ্যে ভারত স্বাধীন হয়েছে, সন্ধ্যে হলেই ব্ল্যাক আউট ও দিবারাত্রিব্যপী দাঙ্গার দিন পেরিয়ে স্বাধীন ও মুক্ত স্বদেশে প্রমদাকান্তের পক্ষে দুবেলা সকলের মুখে খাওয়ার জোটানৈ এক বিরাট সমস্যা। পাবনা থেকে প্রায় সবাই চলে এসেছে, শুধু কৃষ্ণকান্ত নিয়মিত যাওয়া আসা করেন, "শত্রুসম্পত্তি' বাবদ টাকাপয়সা তিনিই এনে ভাইদের ভাগ করে দেবেন। বড়দাদার ওপরে সবাই নির্ভর করে, বিশ্বাস করে।

    ( চলতেও পারে )
  • tkn | 122.163.3.13 | ২৭ নভেম্বর ২০০৯ ১৮:৪১427266
  • চলতেই হবে। অসম্ভব ভালো লাগছে। থেমো না
  • M | 59.93.208.148 | ২৮ নভেম্বর ২০০৯ ১৫:১৯427267
  • আর কতো দেরী করবে বলোতো?
  • Bratin | 117.194.96.38 | ২৮ নভেম্বর ২০০৯ ১৬:৪০427268
  • দ দি, দারুন হচ্ছে। লিখে ফেলো বাকি টা....
  • d | 115.118.230.113 | ২৮ নভেম্বর ২০০৯ ১৬:৫৬427269
  • এটা তো পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা। বছর পাঁচেকের মধ্যে শেষ করব বলে ভেবে রেখেছি। যাঁরা পড়ছেন/পড়ছ তাঁদের ধন্যবাদ। তবে শুধুই "ভাল ভাল' না বলে একটু ঠিকঠাক সমালোচনা করলে ভারী উপকৃত হই।
  • tkn | 122.163.3.195 | ২৯ নভেম্বর ২০০৯ ০১:০০427270
  • দ, মিনুর বিয়ে হয় এক কনস্টেবলের সঙ্গে, তারপরে মিনুরই বিয়ের ঠিক হয় মেড রিপ্রেজেন্টিটিভের সঙ্গে লিখেছ। ধরে নিয়েছি বিনুর বিয়ের কথা লিখতে চেয়েছ। ভালো সত্যিই হচ্ছে। এটুকু আর তাই ধরিয়ে দিই নি। এখন বলে গেলাম :-))
  • d | 121.245.181.171 | ২৯ নভেম্বর ২০০৯ ০৯:১১427271
  • অ্যা: ছি ছি এটা একেবারে নীহাররঞ্জন গুপ্ত টাইপের ভুল।
  • aranya | 144.160.226.53 | ৩০ নভেম্বর ২০০৯ ০৫:৪৫427241
  • বেশ ক্লাসিক মত, দিব্যি মেজাজে এগোচ্ছে, ভাল লাগছে, মন খারাপ করাচ্ছে, এর আবার সমালোচনা কি? খুব, খুব ভাল হচ্ছে লেখাটা।
  • d | 117.195.34.146 | ২০ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৯:৫৫427242

  • --

    যুঁইয়ের জীবনে আজ একটা বিশেষ দিন। আজ ও প্রথমবার রিকশায় চড়েছে। বীণা, অসীমা আর যুঁই আজ স্কুল থেকে আসার সময় কিশোরগঞ্জ টেলার্সের সামনে থেকে রিকশায় চড়ে ওরা তিনজন হেমন্তবাবুর বৈঠকখানা পর্যন্ত এসেছে। কিশোরগঞ্জে রিকশা চালু হয়েছে বছরখানেকেরও ওপর, কিন্তু ওদের তাতে চড়বার কোনও সুযোগই হয় নি। কিশোরগঞ্জের মধ্যে কোথায়ও যেতে গেলে হেঁটেই যায়, বড়জোর বাবার সাইকেলে বসে; তাও আজকাল বড় হয়ে গেছে বলে সাইকেলে চড়লে মা বকে। ওকেও, বাবাকেও। আর দেশের বাড়ী জঙ্গলবাড়ীতে কিম্বা মামার বাড়ী বাজিতপুরে যেতে গেলে সেই নৌকা আর গোরুর গাড়ীই ভরসা। ওরা তিনবন্ধু ক'সপ্তাহ ধরেই শলা পরামর্শ করছিল, কেমন করে সবার চোখ এড়িয়ে একটু রিকশায় চড়া যায়। অসীমার খুব সাহস; দিব্বি রিকশাওলাদের কাছে গিয়ে ভাড়াটাড়া জেনে এসেছে। যুঁউই তো ভয়েই মরে যায়, কেউ যদি দেখে ফেলে মা'কে বা বাবাকে বলে দেয়! বীণাও ভীতু। ওদের ভয় দেখে রিকশাওলা একগাল হেসে বলে আইস্যা অফনেরা এক আনা দিয়েন, লন বসেন'। কোনওমতে গাদাগাদি করে তিনজনে উঠে বসে। সে কী আশ্চর্য্য এক অভিজ্ঞতা --- রাস্তার লোকগুলোকে কেমন ধীরগতি লাগে --- ওরা কেমন সাঁই সাঁই করে চলে এলো ---- বসার জায়গাটাও কেমন আরামদায়ক সাইকেলরডের মত অমন শক্তমত নয়।

    হেমন্তবাবুর বৈঠকখানার সামনে থেকে যুঁইরা হেঁটেই পাড়ার মধ্যে ঢোকে, যে যার বাড়ী চলে যায়। যুঁইয়ের একটু একটু ভয় ভয় লাগতে থাকে ---- মা যদি জানতে পারে, কী করবে! এমনিতেই তো কথায় কথায় বলে "হ: হইতাস তো ঐ অরুণার লাহান'! এত খারাপ লাগে যুঁইয়ের এই তুলনাটা। ও কেন অরুণাদির মত হবে? অরুণাদি নাকি নিজে নিজেই বিয়ে করে নিয়েছে --- কি লজ্জার কথা ---- অরুণাদি নাকি বাড়ী এসেছিল, ওর মা দেখা করে নি, মুখে কাপড় ঢাকা দিয়ে ঘরে শুয়েছিল। ওর বাবা এসে চীৎকার করে বের করে দেয় ওদের বাড়ী থেকে। সেই থেকে কোন কাজ অপছন্দ হলে মা অরুণাদির সাথে তুলনা দেয় --- যুঁইয়ের গাল কান গরম হয়ে যায়, কিন্তু মা;কে কিছু বলতে সাহস পায় না।

    বাড়ী ঢুকে দেখে দাদা মেজদা এসেছে কলকাতা থেকে, সেজদাও বাড়ীতে। দাদা মেজদা কলকাতায় মেসে থেকে কলেজে পড়ে। স্বদেশী আন্দোলনে সব স্কুল কলেজ বন্ধ, ওরা তাই এই সুযোগে কদিন বাড়ীতে থেকে যাবে। যুঁই তাড়াতাড়ি হাতপা ধুয়ে শাড়ী বদলে রান্নাঘরে যায় মা'কে সাহায্য করতে। মাও বেশ খুশীখুশী। ওকে বলে লুচিগুলো বেলে দিয়ে গিয়ে পড়তে বসতে। "আইচ্ছ্যা' বলে ও কাজে লেগে যায়, মনে মনে ভাবে এখনও তো সন্ধ্যে হতে দেরী আছে, তবে আগে আগে পড়া করে নিলে দাদাদের কাছে বসে গল্প শুনতে পাবে।
  • M | 59.93.203.167 | ২১ ডিসেম্বর ২০০৯ ১১:৫৭427243
  • তাপ্পর?
  • a x | 75.53.196.154 | ২১ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৩:০৮427244
  • দ, কেমন লাগছে কিভাবে বলি? তুমি যখন এই ধরণের লেখাগুলো লেখ, মনে হয় কোনো অন্ধকার অতীত থেকে নিজের হয়ে সেগুলো ফিরে আসে। আমার অতীত বা আমার মা-র বা ঠাকুমার। খুব চেনা লাগে। তোমার অদ্ভূত ক্ষমতা আছে খুব কম কথায়, কোনো নাটকীয়তা ছাড়া এই অমানবিক অপমানের গল্প লেখার। পড়তে গিয়ে প্রতিক্রিয়াগুলো খুব ব্যক্তিগত হয়ে যায়।
  • Samik | 121.242.177.19 | ১৬ জুলাই ২০১০ ১১:১১427245
  • দমু, একবার তুলে দিলাম ...
  • de | 59.163.30.3 | ১৬ জুলাই ২০১০ ১৭:৪৪427246
  • আরে বা! খুব ভালো লাগলো পড়তে দমদি! আরো লেখো না!
  • Nina | 64.56.33.254 | ১৬ জুলাই ২০১০ ২২:১৪427247
  • আরে বাহ! প্লিজ দমদি;-)) গল্পটাতে দম দাও--বসে রইলাম।

  • d | 59.161.182.94 | ১৭ জুলাই ২০১০ ১২:৪৭427248

  • --
    যুঁইদের সারা মাসের চালডাল, তরি তরকারী আসে দেশের বাড়ী মানে জঙ্গলবাড়ী থেকে। ওখানে মেজজ্যাঠা আর মণিজ্যাঠা থাকেন। সারাবছর তদারকি করে জমিজিরেত দেখভাল করেন, প্রতি তিনমাসে চাল পাঠান, ডাল আসে বছরে দুবার আর মাসে মাসে ঠিক চলে আসে কিছু শাকসবজি আর সময়ের ফল। বাড়ীতে অতিথি এলে বাবা কিশোরগঞ্জ বাজারে
    যায় নিশি-চাকরকে সঙ্গে নিয়ে। এমনিতে বাজার যাওয়ার তেমন দরকার পড়ে না। দেশের বাড়ী থেকে যা এলো তো এলৈ। রোজের তরকারী, মাছ বাড়ীতেই রাখা হয়।অনইল্যা আসে মাছ নিয়ে। বাবা ভেতরবাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়, মা দেখে দেখে রাখে। যতদিন দাদু বেঁচে ছিল বারবাড়ীর বারান্দায় বসে থাকত সারা সকাল আর দেখে মাছ, দুধ সব রাখত। নিশিকে দিয়ে ভেতরে পাঠিয়ে দিত। মা নিয়ে ঠিকঠাক ব্যবস্থা করত।

    দাদুর কথা মনে পড়লেই যুঁইয়ের মন খারাপ লাগে। দাদু ওকে খুব ভালবাসত। মা কিন্তু দাদুকে খুব ভয় পেত। দাদু কালাজিরা চালের ভাত খেত, সেই ভাত বসানো হত দাদু যখন তেল মেখে পুকুরঘাটের দিকে যাবে, তখন। দাদু চান করে এসে পাতে বসবে আর মা বেড়ে দেবে
    গরম ঝরঝরে ভাত।অএকটুও আগেপরে হওয়া চলবে না। হলে কী হবে? তা কেউ জানে না। শুধু মা যখন মামাবাড়ী যায় তখন দিদিমণিকে বলে 'তাইন যহন পুকুরের লাহান যাইবো তহনই ভাত বসানি লাগবো, একটুও আগেপরে হওনের উপায় নাই'। দিদিমণিও ঘাড় নেড়ে বলে 'হ আগের দিনের লুক তো ত্যাজটা খুব আসে অহনও'। সেবারে মামাবাড়ী থেকে ফিরে যুঁই যখন ভেলুকে আদর করতে গিয়ে কামড় খেল; আসলে ভেলু কিকরে যেন ওর চেনের সাথে জড়িয়ে গেছিল, যুঁই বোঝে নি গলা জড়িয়ে আদর করতে গেছে আর অমনি ভেলু ঘ্যাঁক করে যুঁইয়ের নাকের পাশে দাঁত বসিয়ে দিয়েছে; যুই তো কাঁদতেই মা ভীষণ বকতে শুরু করেছিল আর অমনি দাদু ডেকে উঠল 'বৌমাআ'। ব্যাস! মা একদম চুপ। শুধু যুঁইয়ের দিকে রাগীচোখে তাকিয়ে দাঁত কিড়মিড় করছিল। দাদু তারপর লাঠি নিয়ে বেরোল সঙ্গে নিশির কোলে যুঁই, রমেন ডাক্তারের ডিসপেন্সারিতে গিয়ে কি যেন একটা অ্যাসিড দিয়ে ঐ নাকের পাশটা ভাল করে মুছে দেওয়া হল। সাইট্রিক অ্যাসিড? না না নাইট্রিক অ্যাসিড বোধহয়। এই নামটা ওর কিছুতেই মনে থাকে না আর মেজদা আর সেজদা খালি 'বলদা বলদা' বলে খ্যাপায়। উফ! কি ভীষণ জ্বালা করেছিল।অযুঁইয়ের জোরে চীত্‌কার করে কাঁদতে ইচ্ছে করছিল, কিন্তু ভয়ে পারে নি। মা যদি আড়ালে পেয়ে মারে! অসুখ বিসুখ করলে মা খুব রাগ করে। দাদু, বাবা অনেকক্ষণ ইংরিজিতে কিসব আলোচনা করেছিল, যুঁই বুঝতে পারে নি, শুধু 'গার্ল চাইল্ড' শব্দটা বারবার শুনেছিল। এটার মানে ও জানে, ছোটমেয়ে, আর 'ডেঞ্জার' মানে বিপদ তাও জানে ও। ঐ অ্যাসিড দিয়ে মোছানোর জন্য ওর নাকের পাশে একটা ছোট টোলমত গর্ত আছে। ওকে অবশ্য আর ইঞ্জেকশান নিতে হয় নি।

    সেজদা ওদের ভাইবোনদের মধ্যে সবচেয়ে দুরন্ত, তারপরই মেজদা। আরও ছোটবেলায় সেজদা যখন বাড়ীর প্রায় উল্টোদিকে বিপিন পন্ডিতের পাঠশালায় পড়তে যেত, তখন একটু বেলা হয়ে গেলেই ওদিক থেকে চীত্‌কার করত 'দাদুউ আমারে অহনও ছুটি দেয় নাআ'; আর অমনি দাদু এদিক থেকে বলত 'বিপিন ভানুরে ছাইড়্যা দাও'। ব্যাস সেজদাও অমনি কোনোদিকে না তাকিয়ে, পণ্ডিতমশাই ছুটি দিয়েছেন কিনা না দেখেই একদৌড়ে রাস্তা পেরিয়ে বাড়ী। মেজদা আর সেজদা মিলে প্রায়ই নরশুন্দা নদীতে নৌকা বাইতে যায়। কোন মাঝি নৌকা রেখে একলা একলা বসে আছে দেখলেই ওরা সেই মাঝির সাথে ভাব জমানোর চেষ্টা করে, আর ভাব জমে গেলেই নৌকা নিয়ে ভাসা। ওর্‌র প্রায়ই ঐপারে যায়, কিন্তু নামে না। ভদ্রবাড়ীর ছেলেদের নাকি ঐপারে নামতে নেই। তবে মেজদা, সেজদার গল্প শুনে যুঁই বুঝেছে যে ওরা ওপারে নামে, ঘুরে ফিরে দেখে, এমনকি ওপারে ওদের বন্ধুও আছে।অএকবার এক মাঝি কিছুতেই নৌকা দিতে রাজী হল না। মেজদা ঠিক করে ওকে শাস্তি দিতে হবে। তক্কে তক্কে থাকে। একদিন মাঝি নৌকা বেঁধে রেখে নদীতে নেমেছে প্রাকৃতিক প্রয়োজন মেটাতে। নরশুন্দায় বর্ষা ছাড়া সারাবছরই প্রায় কোমরজল বা বুকজল থাকে। এই বর্ষাতেই যা একটু নৌকা চলে। যাইহোক, নোকা খালি দেখে মেজদা আস্তে আস্তে নৌকায় ওঠে। এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখে একটা শিশিভর্তি মধু। আ: মধু বড় ভাল জিনিষ, ও তাড়াতাড়ি শিশি খুলে ঢকঢক করে অনেকটা গলায় ঢেলে দিয়েই দৌড়ে নেমে যায়। আর তারপর ......... কিছুক্ষণ পরে ভানু দেখে মেজদা প্রাণপণে জল খাচ্ছে, তার চোখমুখ লাল, নাকচোখ দিয়ে অঝোরে জল গড়াচ্ছে। রাতে বৈঠকখানায় বাবা সবাইকে ডেকে খুবই অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করল 'সুভাষ তুই মাঝির ত্যাল খাইলি ক্যান?' মাঝি এসে নালিশ করে গেছে।

    যে কোন ঝগড়ায় মেজদাকে জব্দ করার বা থামিয়ে দেওয়ার মোক্ষম অস্ত্র ভাইবোনেরা পেয়ে গেল। ভানু ও অন্য ভাইবোনেরা স্রেফ বলত 'তর সেই মাঝির ত্যাল খাওয়ন ...... ' ব্যাস! মেজদা কখনও বলে মাঝি তেলটা অন্য কোথায়ও ফেলেছে, সে আসলে মধুই খেয়েছিল। কখনও বলে ইচ্ছে করেই তেল খেয়েছিল। মোটকথা সুভাষ যে মাঝির ত্যাল খাইসিল এই নিয়ে নরশুন্দার কুচো মাছগুলোরও কোন সন্দেহ ছিল না।
  • d | 59.161.182.94 | ১৭ জুলাই ২০১০ ১২:৫৪427249
  • ইউনিকোডে পেস্ট করলাম তো এই বাড়তি 'অ'গুলো এলো কোত্থেকে? এগুলো তো প্রিভিউতেও দেখাচ্ছে না।
  • Shibanshu | 59.97.224.156 | ১৭ জুলাই ২০১০ ১৪:১৪427250
  • জালটা ছড়াচ্ছে অনেকটা জায়গা জুড়ে। অনেক চরিত্র দেখা দিচ্ছে এদিক ওদিক। কে থাকবে আর কে থাকবে না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কথকের গল্পলেখা। কালোজিরে চালের সুবাস ভেসে আসে অক্ষরের থেকে। ওপারটা কি আর বিদেশ হবেনা কখনও...
  • byaang | 122.172.109.112 | ১৭ জুলাই ২০১০ ১৯:৪০427252
  • খুব ভালো লাগছে লেখাটা
  • Shuchismita | 71.201.25.54 | ১৭ জুলাই ২০১০ ১৯:৫৬427253
  • দমদি যে কেন আরো বেশি বেশি লেখে না!
  • Samik | 122.162.75.121 | ১৭ জুলাই ২০১০ ২৩:৫২427254
  • গুরু, ফাটাফাটি।

    হুগলি জেলা বাওয়া, কথা হবে না :-)
  • ps | 117.201.114.185 | ১৮ জুলাই ২০১০ ০০:৪৮427255
  • খুব ভালো লাগছে।
  • sana | 58.106.155.113 | ১৯ জুলাই ২০১০ ০৬:২৬427256
  • খুব ভালো লাগছে,d;আরো লিখুন,প্লীজ?
  • de | 203.199.33.2 | ১৯ জুলাই ২০১০ ১৪:৪৬427257
  • তাগাদা দেবো না দমদি, যখনই পারো একটু লিখে যেও, কেমন? পড়তে খুব ভালো লাগছে!
  • Nina | 64.56.33.254 | ২০ জুলাই ২০১০ ০২:২৮427258
  • দমদিগো ও ও ও ও তাড়া না দিয়ে পাল্লুম্না--রাগ কোরোনি --লেকো লক্ষিটি

  • d | 14.96.16.210 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১০ ২১:৪৬427259

  • --
    দাদারা বাড়ীতে আসায় যুঁইয়ের মা ওদের ভাইবোনকে নিয়ে ক'সিনের জন্য মামাবাড়ী বেড়াতে চলল। বাজিতপুর যেতে গেলে শেষ দু মাইল ওরা সাধারণত: হেঁটেই যায়, কিন্তু এবারে মা'য়ের শরীর খারাপ, তাই মা'র জন্য বড়মামা গরুর গাড়ী নিয়ে এসেছে। মা তিন দাদাকে নিয়ে গরুর গাড়ীতে চড়ে বসলেও যুঁই বায়না ধরে বড়মামার সাথে সাইকেলে যাবে। দুয়েকবার আপত্তি করে মা'ও মেনে নেয়। আর যুঁইকে পায় কে! সাইকেলের রডে বসে পটর পটর করে কথা বলতে বলতে চলে। কথায় কথায় জানতে পারে সোনামাসিমা আর শেফালীমাসিমাও এখন এসেছে। দিদিমণিরও নাকি শরীর খারাপ। ছোটমাসীমা একা পারবে না মা আর দিদিমণি দুজনের আঁতুড় তুলতে।অওদিকে চামেলীমাসিমার শ্বশুরবাড়ী সেই সাঁত্রাগাছি --- সে অনেকদূর, কলকাতার কাছে। তাই সোনামাসিমাকে খবর দেওয়া হয়েছিল। শেফালীমাসিমা এমনি এমনিই বেড়াতে চলে এসেছে। যুঁই বলে, মেজদা গিয়েছিল চামেলীমাসিমার বাড়ী। ওঁর কথাবার্তার ধরণ নাকি একদম বদলে গেছে। ওখানকার লোকেদের মত করে কথা বলেন। মেজদা আর সেজদা তাই নিয়ে খুব হাসাহাসি করছিল। যুঁইরা পৌঁছাতে পৌঁছাতে সন্ধ্যে হয়ে গেল। বৈঠকখানায় হ্যাজাক নিয়ে দাদুমণি সরকারমশাইয়ের সাথে বসে হিসাব দেখছেন।অবড়ঘরে একটা হ্যারিকেন নিয়ে মন্টুমামা পড়ছে। ছোটমাসীমা পড়তে আসবে রান্না আরেকটু এগিয়ে দিয়ে। নাম ধরে মামা ডাক মা খুব অপছন্দ করে, কিন্তু অনেক বকাবকি সঙ্কেÄও প্রভাস, সুভাষ, ভানু আর যুঁইকে দিয়ে মেজমামা ডাকানো যায় নি। চারজনই 'মন্টুমামা' বলেই ডাকে, বড়রা কেউ সামনে না থাকলে 'মন্টু' বলেও ডাকে। মন্টু যুঁইয়ের চেয়ে তিন বছরের ছোট|

    রাতে পুবের ঘরে শুতে গিয়ে যুঁই জানতে পারে ওরা এখন এখানেই থেকে যাবে মা'র আঁতুড় না ওঠা পর্যন্ত। কলকাতায় কলেজ খুলে গেছে জানতে পারলে দাদা আর মেজদা এখান থেকেই সোজা কলকাতা চলে যাবে। একঢালা বিছানায় শুয়ে সোনামাসিমা, ওঁর দুই মেয়ে দেবী, ছবি, শেফালীমাসিমা, ছোটমাসিমা, বড়মামার মেয়ে রুমু, যুঁই সবাই মিলে গল্প করতে থাকে। পাশের ঘরে দাদারা সব, মন্টুমামা, রতন, ঘোঁতন এখনও হইহই করে ক্যারাম খেলছে। সলতে পড়ে যাওয়ায় হ্যারিকেনটা একবার নিভু নিভু হয়ে গেছিল। সেই সুযোগে নাকি ভানু আর মন্টু কি একটা চোট্টামি করেছে। তাই নিয়ে খুব চেঁচামেচি চলছে। এরই মধ্যে ছোটমাসীমা হঠাৎ বলে 'জানস হেইবাড়ীর বুইড়্যা পিসি এক্কেরে ফাগল হইয়া গ্যাসে। গায়ে আর জামাকাপড় রাখতেই চায় না।আনঙ্গদাদু কি যে করবেন ভাইব্যা পাইতাসেন না'। সোনামাসিমা জিগ্যেস করেন 'ছুডুপিসি কিতা করে?' ছোটমাসিমা বলেন'হ্যায় একরহমই আসে। আর খারাপ কিসু হয় নাই'। ঘরজুড়ে সবাই চুপ হয়ে যায়।অমামাবাড়ীর পাশের বাড়ীটা অনঙ্গদাদুদের। অনঙ্গদাদুর দুই মেয়েই বালবিধবা। একজন নয় আর অন্যজন চোদ্দয় বিধবা হয়েছে। অনঙ্গদাদুর অসম্ভব নিয়মনিষ্ঠার জন্যই কিনা কে জানে, গত তিন চার বছর ধরে দু জনেরই মাথায় অল্প স্বল্প গোলযোগ দেখা দিয়েছে। ওদের ধানের গোলার সাথে লাগোয়া উঠোনটার পাশেইঅনঙ্গদাদুদের পশ্চিমের কোঠার পিছনদিকটা। ওখানেই দুই মেয়ে থাকে। ঐ উঠোনে যখন দাদুমণিদের মুনিষ, রাখাল, বাগালরা খেতে বসে, তখন অনেকসময়ই দেখা যায় বুইড়্যা পিসি আর ছুডুপিসি জানলা দিয়ে তাকিয়ে আছে। মুনিষদের জন্য মাছের কাঁসি আনলেই দুই পিসি খুব করুণভাবে এক টুকরো মাছ চাইতে থাকে। প্রথমবার দেখে যুঁই খুব অবাক হয়ে দিতে গিয়েছিল। বড়মামাদের রাখাল কালীচরণ দেখতে পেয়ে হাঁইমাই করে চেঁচিয়ে ওঠে --'করেন কি দিদিঠাকরাইন, আপনার মায়ে জানতে পারলে মাইরžয়া ফালাইব'। যুঁই ভয় পেয়ে থেমে যায়। পরে মা জানতে পেরে ওকে বলেছিল 'বিধবা মাগীরে মাছ দিতে গেসলা, অতখানি বড় হইছ, তোমার হুঁশ পব কিসু নাই? হ্যারা তো ফাগল, তুমি জাইন্যা বুইঝ্যা দিলে পাপ তো তুমার হইব।' মাঝে মাঝে বুইড়্যা পিসি বেশ ষড়যন্ত্র করার ভঙ্গীতে ফিসফিস করে বলতেন 'বাবায় নাই এইহানো, একটা কাতল মাছের পেটি দে না রে আমারে। কাউরে কইতাম না'। কত মাছ ওরা ফেলাছড়া করে খায়, আর একটা টুকরোর জন্য 'হেইবাড়ী'র পিসিদের আকুলিবিকুলির কথা মনে হলেই যুঁইয়ের কিরম কান্না কান্না পায়, আর একটু ভয় ভয়ও করে। ভয় কেন করে সেটা ঠিক বোঝে না, কিন্তু যুঁই দেখেছে ওর কিরকম একটা অজানা ভয় করতে থাকে। ঘরে 'ভগবানের মাইর' জাতীয় দু একটা কথার পর সবাই আস্তে আস্তে ঘুমিয়ে পড়ে। বাইরে খিড়কির পুকুরের ধার থেকে ঝিঁঝির ডাক ভেসে আসে। দূরে কটা শেয়াল ডেকে উঠল একসাথে। যুঁইয়ের দুচোখ ছাপিয়ে হু হু করে কান্না আসে, আর --- আর সেই অজানা ভয়টাও তীব্র হয়, প্রচন্ড ভয় আর কান্নার বেগ চাপা দিতে বালিশটা নিয়ে মাথা চাপা দেয় যুঁই।

    পরেr পূর্নিমরা আগেই অনঙ্গদাদু পশ্চিমের কোঠার সাথে একটা হাগনকুঠি আর একটা চানের জায়গা বানিয়ে উঁচু পাঁচিল দিয়ে সবটা ঘিরে দিলেন।অপাঁচিলের গায়ে একটা দরজা মূল বাড়ীতে যাওয়া আসার জন্য। তাতে সারাদিন তালা দেওয়া থাকে। পশ্চিমের কোঠার জানলাগুলোর অর্ধেক ইঁট গেঁথে বন্ধ করে দিলেন। শুধু ওপরের দিকে একটা করে ফালিমত খোলা রইল। তাই দিয়ে বুইরয়াপিসির নাকের ডগা অবধি আর ছুডুপিসির চোখ পর্যন্ত দেখা যায়।
  • Diptayan | 115.113.42.194 | ২০ ডিসেম্বর ২০১০ ১০:৪২427260
  • দময়ন্তী দি - এই লেখাটা যেন বন্ধ না হয়। তুমি আগাম প্ল্যান করে রেখো, যাতে সময়াভাব না হয়।
  • ranjan roy | 122.168.138.48 | ২০ ডিসেম্বর ২০১০ ১১:৩২427261
  • দমু,
    আমার ব্রেখটের ""মাদার কারেজ"" নাটকের লাস্ট সীনের সেই চরিত্রটির মত প্রাণপণে বলতে ইচ্ছে করছে---"" থেমো না, বাজিয়ে যাও""।
  • Nina | 67.133.199.254 | ২০ ডিসেম্বর ২০১০ ২০:২৬427263
  • দমদি, তোমারে সেলাম!! এই হল গিয়া লাজবাব! বেমিশাল!লিখতে থেক, প্লিজ, তোমার সময় সুবিধে মত, কিন্তু লিখে যেও , থেমোনা---
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন