প্রায় মাধ্যমিক পর্যন্ত প্রফেশ্যনাল ম্যাসাজের বলতে আমার দৌড় ছিল ওই সিধু জ্যাঠা অবদিই। বাড়ির উঠোনে সেই সকাল থেকে বাড়ি শুদ্ধু পাবলিকের দাড়ি, চুল কাটা চলছে। প্রথমেই বাবার দিয়ে শুরু, বাবা দাড়ি কেটে নিমো ফটকগোড়ায় নারানের চায়ের দোকানে রোজকার প্রাতঃকালীন আড্ডায় চলে গেল। কাকা রবিবার ছূটির দিনে দাড়ি ইত্যাদি কেটে একবার গেল চাষের জমিতে রাউন্ড মারতে, সে রাউন্ড মারা অবশ্য সিম্বলিকই ছিল। কাজের কাজ বলতে কাকা মাঝে মাঝে জমি থেকে গোটা কতক মূলো তুলে এনে বলত, মূলো গুলো খাবার মত হয়ে গ্যাছে, মুড়ি দিয়ে খাব বলে নিয়ে এলা ... ...
এমন হয়, প্রায়শই হয়। কথাবার্তায় উঠে আসে কোনও কোনও নাম। আমাদের লেখকের ক্ষেত্রেও তাই হলো। লেখক ও তার বন্ধু হাসানুজ্জামান ইনু সেইদিন রাত আটটা ন’টার দিকে জিন্দাবাজারে হাঁটছিলেন। তারা বাদাম খাচ্ছিলেন এবং বলছিলেন যে রিকাবিবাজার যাবেন, ও সেখানে গুড়ের চা খাবেন।তখন শীতের সময়। চারিদিকে পড়েছে শীত। মানুষজন গরম কাপড় পরে বের হয়েছেন। অনেকে ব্যস্তভাবে হাঁটছেন, অনেকে দাঁড়িয়ে ভাপা পিঠা খাচ্ছেন। ব্যস্ত রাতের পূণ্যভূমি। এমন অবস্থায় আমাদের লেখক ও তার বন্ধু হাঁটতে হাঁটতে বললেন হেলেনের কথা। ইনু বললে ... ...
‘ খোলা হাওয়া লাগিয়ে পালে টুকরো করে কাছি’, ‘ডুবতে রাজী’ থাকার একটা বয়স সব্বার জীবনেই বোধহয় আসে, কেউ সামাল দিয়ে নেয়, কেউ ভেসে ভেসে অবশেষে ডুবেই যায়। জোর দিয়ে বলতে পারি না অবশ্য, আমার অন্য অনেক সদাই প্রশ্নের মুখে পড়া অনুমানের মত এটিও একটি। তাত্ত্বিক আলোচনায় টানলে প্রথম সুযোগেই প্রতিপক্ষ আমায় হেলায় গোল্লাছুট্ করিয়ে ছাড়বেন এ দৃঢ় প্রত্যয় অবশ্য সংশয়াতীত। সে যাই হোক গিয়ে, সে ভয়ে কম্পিত নয় (নাকি!!) এ বীরাঙ্গনার হৃদয়। ইয়ে , ধান ভানা বড্ড কায়িক-মানসিক শ্রমের ব্যাপার, বরং বেসুরো হলেও শিবের গীত ... ...
একটা ভাঙাচোরা ভ্যানে ওরা রূপসাকে নিয়ে গেল। এতটুকু মায়া না করে ভ্যানে তুলছিল একটা মোটা পুলিশ। পায়ের কাপড় সরে যাচ্ছিল। বাড়ির সামনে ভিড় করে থাকা অজস্র কৌতূহলী চোখ বার বার ছুঁয়ে দিচ্ছিল রূপসাকে। সবে বৈশাখের শুরু, এখন থেকেই কাঠফাটা গরম। ঘোষেদের দোকানের সামনে একটা লরি দাঁড়িয়ে। সিমেন্টের বস্তা নাবাতে নাবাতে দরদর করে ঘামছে দুজন হাজারী। গরমে রাস্তার পিচ গলতে শুরু করেছে। বড় গাড়ি গেলে চাকার দাগ বসে যাচ্ছে। কলকাতার কাছে হলেও জায়গাটায় এখনো গ্রামের ছাপ স্পষ্ট। রাস্তার দুপাশে এলোমেলো ভাবে গজিয়ে উঠছ ... ...
আপনার মতে টুসুর একটা ৫ ফুট উঁচু চৌডল এর দাম কত হতে পারে?৫০০০ টাকা ?১০০০ টাকা ?না এবছর অনেক খরচ করে বানানো চৌডল গুলো বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা বা তারথেকেও কম দাম এ । তাই হয়তো পরের বছর থেকে বন্ধই হয়ে যাবে এই উৎসব। ছৌনাচ এর থেকে কোনো অংশে কম গুরুত্বপূর্ন না হওয়া সত্ত্বেও যুগের অগ্রগতির সাথে সাথে শেষ হতে চলেছে টুসু শিল্প।বামুন্ডির শিল্পীদের মতে শুধু মাত্র কম্পিটিশনের জন্য বানানো খুউব বড় বড় চৌডল ছাড়া একটি চৌদলের লাভ প্রায় ২০-৩০ টাকা। অনেক সময় ৪০০-৫০০ টাকা খরচ কর ... ...
সাত মাস ধরে নিজের মেয়ের ধর্ষণ ও খুনের কেসের কোন অগ্রগতি না পেয়ে ভিকটিমের মা এক অভিনব প্রতিবাদ করে বসলেন। প্রায় পরিত্যক্ত তিনটা বিলবোর্ড ভাড়া করে পর পর তিনটা বিলবোর্ডে লিখে দিলেন - ১) RAPED WHILE DYING২) AND STILL NO ARRESTS? ৩) HOW COME, CHIEF WILLOUGHBY? তারপর যা হয় আর কি! কেস সমাধানের থেকে পুলিশের সব রাগ গিয়ে পরে বিলবোর্ডে আর ভিকটিমের মা মেলড্রিডের উপরে। যদিও পুলিশ চিফ এই ব্যাপারে যথেষ্ট আন্তরিক। মেলড্রিডের তখন আর আন্তরিকতায় সন্তুষ্ট থাকার মত অবস্থা নাই। যেভাবে হোক মেয়ের হত ... ...
কিউবায় মোট পনেরোটি প্রভিন্স আর একটি যাকে ওরা বলে স্পেশাল মিউনিসিপ্যালিটি। আমরা যেখানে গেছিলাম সেই প্রভিন্সের নাম ভিলাক্লারা। আর যে শহরের এয়ারপোর্টে নামলাম বা উঠলাম , সেটা সান্টাক্লারা। এইটুকু ইনফরমেশন অবশ্য যাবার আগেই জানতাম। আর তার সাথে যেটা আমার শিকড়গত বামপন্থা জানিয়ে রেখেছিলো, যে এই সেই সান্টাক্লারা, গেরিলা যুদ্ধের তীর্থক্ষেত্র। চে'র মাত্র সাড়ে তিনশ গেরিলা বাহিনী হারিয়ে দিয়েছিলো আমেরিকান মদতপুষ্ট পাঁচ হাজার সেনা , ট্যাংক , কামান বন্দুক আর সবচেয়ে বড়ো কথা পুঁজিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থা-কে। রক্তপা ... ...
"কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে” – এই জাতীয় প্রশ্ন মনে হয় কবি আমার মত পাবলিকদের উদ্দেশ্যেই ছুঁড়ে দিয়েছিলেন সেই কবে। আর তারও আগে থেকে আমার মত পাবলিকদের মায়েরাই ‘সুখে থাকতে ভুতে কিলোয়” বাগধারাটিকে শুধু টিকিয়ে নয় বরং জাগ্রত করে রেখেছেন আমাদের বিদ্ধ করে করেই। সেই দিন ভোর বেলা নাগাদ ফুরফুরে হাওয়ায় বারান্দায় চা খেতে গিয়ে বাঁদরের নাচানাচি এবং পাখির ডাক শুনতে শুনতে ভুতে কিলোনোর ব্যাপারটা আবার চাগাড় দিয়ে উঠল। প্রায় সবার ডাকনাম আছে, কিন্তু আমার কেন নেই – তার মানে কি আমার দিকে ঠিক মত নজর দেওয়া হয় ... ...
১৩চলো, আখ্যান লিখি, তুমি কিছু বলো-কিছু আমি বলি - যদি যেতে চাও, চলো...১যাই ছুঁয়ে আসি, নদীঘাট, একটি শালতিপলকা দুলতেছিল, কাঁচা পথে কাদের পালকিহেঁকে যায়, ঝোপ ঝাড়, পিছুপিছু কত বাচ্চারাজুটেছিল, দেখ মুখ টিপে ঘোমটা আড়ালেহঠাৎ বিদ্যুৎ চমক, ওইখানে তুমিই দাঁড়ালে।২তাই হবে, অনেক অনেক দিন আমাদের কথা নাই, চিঠি ও পত্তর তোমাকে লেখার খাতা, বারো ভূত দানছত্তর উড়িয়ে পুড়িয়ে খেয়ে নোনা ইঁট জমিদার বাড়িজঙ্গলে দেওয়ালের গলায় বাঁধা আছে অশ্বত্থ ... ...
ভাবছিলাম এ বিষয়ে আদৌ কিছু লিখবো কিনা, কারণ প্রবল গালমন্দ খাবার সম্ভাবনা আছে। আসলে, অনেকদিনই, মানে যখন থেকে ভারতবর্ষ এবং বাংলায় গুরুবাদী প্রকল্পের আলোচনা শুরু হয়েছে, তখন থেকে মাঝেমাঝেই রামকৃষ্ণ দেব এর কথা মনে পড়ে। তাঁকে আমি কখনোই এইসব চমকপ্রদ বাবাদের সঙ্গে মেলাতে পারিনা। সত্যি বলতে কি, কথামৃত পুরোটা পড়িনি আজও। পড়বো নিশ্চয়ই কখনো। কিন্তু যতোটুকু পড়েছি, তাতে ওঁর মধ্যে অদ্ভুত কিছু পরষ্পরবিরোধি চলাচল দেখেছি। সেটা নারী বিষয়েই। বিনোদিনী কে তিনি পঙ্কতল থেকে "উদ্ধার" করেন। বলেন " তুই তো গায়ে হলুদ মেখেই বস ... ...
( দ আর কেউ কেউ একজায়গায় চেয়েছিলেন লেখাটা , কিন্তু আজকে কি জানি কেন আমার 'add to first post' অপশনটা পাচ্ছি না , কাল কিন্তু পেয়েছিলাম। ক্ষমাপ্রার্থী। )--------------------------------------------------------------------------------------------------------জীপসাফারি-র বাকি গল্পটুকু-তে এখন থাক। তার আগে বলি , এই পর্যন্ত পড়ে যারা ভাবছেন , সমাজতান্ত্রিক দেশ হিসাবে কিউবা স্বর্গরাজ্য , বিশেষতঃ যাঁরা পারিশ্রমিক আর কাজের সুযোগ-এ অথবা উচ্চশিক্ষার উৎকর্ষে , আমেরিকার সুবৃহৎ দক্ষতার বাজারে প্যাম্পার ... ...
অমিতাভ মালিকের মৃত্যুর পরবর্তী সময়টুকু যেন স্টার জলসা আর জি বাংলার যৌথ প্রযোজনার সিরিয়াল। জমে ক্ষীর। বিউটি মালিকের আছড়ে পড়া কান্নার লাইভ দেখাচ্ছে চ্যানেলগুলো। সেইসঙ্গে স্যোশাল মিডিয়ায় তাদের যৌথ ছবি সাঁটিয়ে আমাদের বহু লোকের অশ্রুপাত। এর মধ্যে আবার দু' এক টুকরো চাট মশলার মতো টিপ্পনী : "ওর আর কী! গেলো তো মায়ের। ও তো দু'দিন পরেই..." আমাদের সম্মিলিত ছিছিক্কার, রাগ আছড়ে পড়লো সরকারের ওপর। আমরা সবাই তখন ব্যোমকেশ, সব্বাই ফেলুদা। চুলচেরা বিশ্লেষণে আমরা এক্সপার্ট কমেন্ট দিচ্ছি। কেনো বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ... ...
নৈ:শব্দের পত্রগুচ্ছ ১-সরি আসতে অনেকটা দেরি হয়ে গেল। আসলে বাইপাসে এত জ্যাম ছিল।-আপনি দমদম থেকে টালিগঞ্জ বাইপাস দিয়ে এসেছেন?! মেট্রো ধরেন নি কেন? -না মানে, অফিস টাইম, ভিড় হবে তাই। -আপনি মশাই মুম্বাই গিয়ে পুরো গোল্লায় গেছেন। -সে গেছি। যাই হোক, আর এম্ব্যারাস করবেন না। বলুন কেন ডেকেছেন? -আপনাকে একটা গল্প বলব বলে।-মানে? গল্প শোনাতে এতদূর টেনে আনলেন। -শুনেই দেখুন। শর্ত হল, যদি গল্পটা পছন্দ হয়, তাহলে আপনাকে তাই নিয়ে একটা বই লিখতে হবে, রাজি?-কি নিয়ে গল্প? ... ...
ছোট খাটো মুদিখানা বা কিউবান মেমেন্টো বিক্রির হকারি মার্কা দোকান ছাড়া কিউবাতে ব্যক্তিগত মালিকানায় কোনো ব্যবসা নেই। এটা নিয়ে অবশ্য কারো সন্দেহের অবকাশ থাকার কথা নয় , কারণ এটাই নিয়ম হওয়ার কথা। আমরা অবশ্য বাজারহাট , কপোরেটিভ স্টোর সেরকম করে দেখিনি। জামা কাপড়ের দোকান-ও দেখিনি। তবে বড়োবাজারী মাড়োয়ারি-র গদি-র মতো কোনো দোকান যে নেই তা নিশ্চিত। এমনকী ওই কনসিয়ারজবাবু-ই বললেন , বিদেশিদের পাসপোর্ট ছাড়া ট্যাক্সি-তে নেওয়াও বারণ ছিল এই সেদিন পর্যন্ত। কারণ দুটো , এক বিদেশী নাগরিকদের নিরাপত্তা আর দুই , ট্যাক ... ...
আমার দুই সন্তানেরই জীবন শুরু হয়েছিল দুটি নিজস্ব অমূল্য সম্পদের মালিক হিসেবে। মেয়েকে তার বড়দিদা, মানে আমার জ্যেঠিমা দিয়েছিলেন আর ছেলেকে দিয়েছিলেন আমার মা। মূল্যের বিচারে তারা তুচ্ছ হলেও আমাদের কাছে তারা অমূল্য। দুটি কাঁথা। রঙিন সুতোর সঙ্গে ভালবাসার বুননে তৈরী দুটি অসাধারণ বস্ত্র খন্ড। নিতান্তই তুচ্ছ, পুরোন কাপড়ের টুকরো দিয়ে তৈরী..... তবু সামান্যকে যেন যাদুস্পর্শে অসামান্য করে তোলা হয়েছে।মেয়েলি শিল্প। ঠিক যে টানে শিকেয় কড়ি গেঁথে সাজিয়ে তোলা হত, সেই একই টানে কাঁথা সেলাই। কাপড় গুলো কোনক্রম ... ...
আমাদের শনিদেব তুল্য এ এক স্প্যানিশ দেবী - ঘোর কৃষ্ণবর্ণা, লোল বক্ষ,বীভৎস উজ্জ্বল চক্ষু - লা সান্তা মুয়ের্তো। শনির দৃষ্টিতে সব ছারেখারে যায়, আবার সুনজরে সর্বসুখ। লা সান্তা মুয়ের্রতোর সামনে নরবলি দেওয়া হয়, সদ্যচ্ছিন্ন রক্তমাখা আঙুল খেতে বাধ্য করা হয় গ্যাবিনো ইগলেসিয়াসের সাড়া জাগানো উপন্যাস জিরো সেইন্টসের নায়ক ফার্নান্দোকে।কিন্তু এই দেবীর বরাভয় প্রাপ্ত হয় প্রান্তিকতম মানুষজন, গরীবগুর্বো, অসহায় দিন আনি দিন খাই মুটেমজুররা। যতো ছোটখাটো ড্রাগ পেডলার, দোকানী, মুটে মজুর, তাদের সকলের আশ্রয় দেব ... ...
কুম্ভলগড়ের সাধু১৯৯২ এর পুজোর ছুটিতে রাজস্থান যাওয়া হল। পঞ্চমীর দিন স্কুল ছুটি হয়ে বেরোনো। ফেরা ভাইফোঁটা কাটিয়ে স্কুল খোলার আগের দিন। ইন্ডিয়ান রেলে সার্কুলার টিকিট বলে একরকম টিকিট পাওয়া যায়। আগে থেকে কোথায় কোথায় থামা হবে প্ল্যান করে রেলওয়েকে জমা দিতে হয়। শুরু এবং শেষের স্টেশন এক হতে হবে - এই হল শর্ত । একমাস বা চল্লিশ দিন - এইরকম কিছু একটা সময়ের জন্য ভ্যালিড থাকে এই টিকিট। একসময় ইউরোপে ঘোরাঘুরির জন্য ইউরোরেলের খোঁজখবর নিয়েছিলাম। সেখানেও আছে এমন ব্যবস্থা।আমি তখন ক্লাস এইট, ভাইয়ে ... ...
স্কুলবেলা থেকেই নতুন বছরের জন্য অপেক্ষা করতাম আমি। শুধু আমি কেন, 'আমরা' বলাই ভাল, আমরা : ক্লাসের ছেলেমেয়ে সবাই। সেসময় নভেম্বরের কুঁড়িতে ডিসেম্বরের নরম দুপুরফুল ফোটার গন্ধে রোদ্দুর আলসেমি খেলে, বইপত্তর ছড়াতে হত না মাদুরের বেলাভূমিতে। পরীক্ষাপাতির চক্কর ছিল আরও মাস তিনেক পর। ২৫ শে ডিসেম্বরের পর থেকেই শুরু হত সে মাধুকরী অপেক্ষা, কবে আসবে বছরের প্রথম দিন। স্কুল খুললেই গ্রিটিংস কার্ডের ঝাঁপি নিয়ে বসব। কত রঙের সেসব কার্ড, কোথাও ফুল, কোথাও একটা ছোট্ট ঘর , আকাশে দু'তিনটে পাখি, একটা নারকেল গাছ আর নীল নদী ... ...
কিউবা বেড়াতে গেছিলাম বলে দাবি করছিনা যে কিউবা দেখে ফেলেছি। সমাজতান্ত্রিক একটা দেশ দেখা বলতে যেরকম দেশটার মেঠো পথে পথে ঘুরে বেড়ানো বোঝায় , মানুষ কে ছুঁয়ে দেখা বোঝায় , সংস্কৃতিকে নেড়েঘেঁটে দেখা বোঝায় , বিশেষ করে এমন একটা দেশে , যেখানকার বৈশিষ্ট-ই পশ্চিমি বাজারসভ্যতার সঙ্গে ছুঁতমার্গ , তার আমি কিছুই করিনি। কিউবা বললেই আমাদের মতো আশি/নব্বই-এর দশকে বামপন্থী রাজনীতি করা বা বিশ্বাসকরা মানুষ যেমন করে রুকস্যাক কাঁধে মোটরসাইকেলে চে-গেভারার মেঠো পথে ঘুরে বেড়ানো মনে করে , সেরকম কোনো তীর আমি মারিনি। আমি ... ...
দি গ্ল্যামার অফ বিজনেস ট্রাভেলদুধেতে পটিতে*******************“স্যার , আর ইউ শিওর ইউ ওয়ান্ট টু টেক দিস সীট ?”“কি ব্যাপার বলুন তো ? আমি সবসময়েই টিকিট বুকিং এর সময় ওই সীট টাই চাই। লম্বা লম্বা পা গুলো ছড়িয়ে বসা যায়। এত লম্বা ফ্লাইটে খুবি সুখকর। কোনবারেই টিকিট বুকিং এর সময় আপনারা এই সীট গুলো ফ্রী রাখেন না। আর এয়ারপোর্টে এসে কোনবার পাই ও না। তা এবার যখন খালি আছে, বারবার জিজ্ঞাসা করছেন কেন ?”“ না স্যার, আসলে আপনার পাশের সীট টা এক ইনফ্যান্ট ফ্লাই করছে, মা আছে অবশ্ ... ...