কিছু লিরিক থাকে, জীবনটাকে কেমন একটানে একটুখানি বদলে দেয়, অন্য চোখে দেখতে শেখায় পরিস্হিতিকে, নিজেকেও ফিতের মাপে ফেলতে শেখায়। আজ বিলিতি প্রেমদিবসে, বেশ তেমন একখান গানের কথা কই! না রবিঠাকুর লেখেন নি সে গান, নিদেন বাংলা গানও নয়, নেহায়ত বানিজ্য-অসফল এক হিন্দি সিনেমা, এক সদ্য বিবাহ-‘বন্ধনে’ আবদ্ধ সেসময় ও আজও সফলভাবে সে বাঁধন বহন করে চলা যুগলের সে সময়ের নিরিখে অন্যবিষয়ের চলচ্চিত্রায়ন। অ্যালঝেইমার্স রোগ বিষয়ক ডিটেলসে গাঁজাখুরি থাকলেও , সেই যে বিশেষ গানটি, সেটি এই ফিল্মের জন্যে শ্রেয়া ঘোষাল গে ... ...
বেয়াল্লিশতম কলকাতা বইমেলা নানান দিক থেকে বেশ ব্যতিক্রমী বলা যায়। যেমন ধরুন বইমেলার হিস্টিরিতে এই প্রথম কলকাতা বইমেলা হল কলকাতার মূল ভুখন্ডের বাইরে, বিধাননগর পুলিশের এলাকায়। অথবা ধরুন গে দু'দুখানা (পান নট ইন্টেন্ডেড) ফুডপার্ক। কিম্বা আমেরিকা আর ভিয়েতনামের পাশাপাশি হাত ধরাধরি করে ভীড়ের ক্ষীর খাওয়া – এরকম আরো অনেক। তা ব্যতিক্রমে গুরুই বা কিছু কম যাবে কেন? ধরুন গে মেলা এবং গুরুর ইতিহাসে এই প্রথমবার মেলাশেষের অনেক আগেই গুরুর স্টলের ট্রেড লাইসেন্স থেকে ইনশিওরেন্স, সব্ব কম্ম সারা। এমন কি শেষদিনের গেটপা ... ...
জুতোপর্ব:নতুন দেশ, ঝাঁ চকচকে রাস্তা... ছবির মতো শহর, সাজানো গুছানো এক্কেবারে সিনেমার মতো।আহা ইউরোপ শুনলেই DDLJ এর শাহরুখকে মনে পরে। “তুঝে দেখা তো এ জানা সনম”... আল্পস পর্বত, রাইন নদী, বরফ, টয়ট্রেন, নীল আকাশ, রাস্তাভর্তি টিউলিপ, ড্যাফোডিল! কি সুন্দর ভাবতে লাগে না?ক্লাস টেনে আমাদের ইংরাজী পাঠ্যবইয়ে কবি ওয়ার্ডস ওয়ার্থের একখান কবিতা ছিলো... ড্যাফোডিল!“When all at once I saw a crowd, A host, of golden daffodils; Beside the lake, beneath the trees, ... ...
চায়ের কাপটা টেবিলে নামিয়ে আশেপাশে ফোনটা খুঁজছিল অদিতি। সকালের নিয়ম করে মন ভাল করানো মেসেজের আশায়। তখনই চোখ পড়ল কাকটার দিকে। বারান্দার সামনে জামরুল গাছটায় বসে যেন ওর দিকে তাকিয়ে আছে। এই মফস্বলে এখনো গাছ, ফুল, পাখি, পুকুর সব বেঁচে আছে। সকালে বাড়ির সামনের গাছে কাক বসাতেও আশ্চর্যের কিছু নেই। কিন্তু অদিতি একটু থমকে গেল পাখিটার তাকানোর ভঙ্গীতে। যেন একচোখ জিজ্ঞাসা নিয়ে গম্ভীর তাকানো।উড়েও গেল না। তাকিয়েই রইল অদিতির দিকে।-"হ্যাঁ গো, চা দিলে?"সম্বিত ফিরল ঘর থেকে প্রবালের ডাক ... ...
ছোটো বেলায় থাকতাম মানিকতলা পোস্ট অফিসের কাছে। অসুখ-বিসুখে এলাকার মানুষের সম্বল ছিলেন ডা হরিসাধন বন্দোপাধ্যায়, তাঁর বিবেকানন্দ ফার্মেসি মানিকতলা মোড়ের কাছে, এখন যেখানে সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাংক তারই পাশে। বিশাল ডাক্তারখানা, একটা ঘরে রোগীরা বসে আছেন, অন্য ঘরে ডাক্তারবাবু রোগী দেখছেন, আরেকটা ঘরে কম্পাউন্ডাররা ওষুধ দিচ্ছেন—বড়ি, বড়ি গুঁড়িয়ে পুরিয়া, বড় ওষুধের বোতল থেকে ছোট কাঁচের বোতলে, বোতলের গায়ে কাগজে মাত্রা বোঝানো। জ্বর হলে অ্যালকালি মিকশ্চার, বদহজমে কার্মিনেটিভ মিক্সচার। আজ যেমন বুঝি, ডাক্তারবাবুর ... ...
১বিকেলের হাওয়া বইছিল রেলব্রিজের ওপর - দু হাতে বাজারের ব্যাগ নিয়ে আঁচল সামলাতে নাজেহাল হচ্ছি। স্কুল ছুটির পরে বাজার হয়ে বাড়ি ফেরা এখন নিয়মের মত। ভারি বাজার তো নয়-টুকটাক -একটু আলু, পেঁয়াজ, ধনে পাতা, দুটো ডিম হয়ত। সকালে মাছটা এনে দেয় বাবুলাল; চাল ডাল মাসকাবারি বাড়িতে দিয়ে যায় গোপীর দোকান থেকে। দু'দিন হ'ল বাবুলাল এখানে নেই। কবে আসবে জানি না। তবু ক'টা ডিম নিলাম আজ - রাতের দিকে যদি আসে ; তারপর ফুলকপি কিনতে গিয়ে দুহাতে ব্যাগ হয়ে গেল। বাড়ি দূরে নয়, কাছেই। এই তো রেলব্রিজ পেরোলেই বাজার, শনিম ... ...
এমন কত হয়__তিন নম্বর ঘুঁষিটা মারার আগে সব রাগটা মনে মনে এক করে আনতে হল। নইলে এত জোরে মারতে পারত না। ছিটকে পড়ে যাওয়ার আগে ছেলেটা একটা আওয়াজ করে উঠেছিল। মাথার মধ্যে হাজার একটা রাগ গুটিশুটি মেরে বসে আছে তার। বাবা অনুরাগের ছোঁয়া দেখে নাম রেখেছিল, তাপস। নিজের নামটা মনে আসতেই রাগটা গনগন করে ওঠে মাথায় আবার। এই হতচ্ছাড়া গুন্ডাগুলো তার থেকে অনেক বেশি তৈরি হয়ে এসেছে। শুধু নেহাত বোনটার মুখ মনে করে সে লড়ে যাচ্ছে। আজ বাড়ি ফিরে ওটাকেও পালিশ করতে হবে। এসব আপদ জোটে কি করে কে জানে। ... ...
বিষধর সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসা আমি করতে পারি না। আমি পারি না, পারেন না আমার মতো বেশির ভাগ ডাক্তারই। কেন না, আমাদের শেখানো হয় না। ডাক্তারী পাঠ্যক্রমে সাপে কাটার স্থান ফরেনসিক এন্ড স্টেট মেডিসিনে। এই বিষয়ে অন্যান্য বিষক্রিয়ার সঙ্গে সাপের বিষ সম্পর্কে পড়ানো হয়। কিন্তু বিষধর সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসা শেখানো হয় না। শেখানো যেতে পারত যে বিষয়টায় সেই মেডিসিনে সাপের কামড়ের চিকিৎসার স্থান নেই, অথচ এমন অনেক রোগের বিষয়ে পড়িয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যয় করা হয়, সারা জীবনে ডাক্তার যে সব রোগের রোগী দেখতেই পাবেন না হয়তো। ... ...
রাত বারোটা আটাশ মিনিট এবং আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায় একটি অর্ধ নির্মিত, ভগ্ন দশাগ্রস্ত চেহারার বহুতল ভবনের পাশে। তখন বৃষ্টি নামল আকাশ ভেঙ্গে। বড় বড় ফোঁটায় নামল ঝমঝম করে। আমি দৌড়ে গিয়ে বিল্ডিংটার বারান্দায় আশ্রয় নিলাম। শহর যেন থেমে গেছে আমার মনে হলো। বৃষ্টির বড় ফোঁটাগুলিকে আমি রাস্তায় পড়তে দেখছিলাম। ছোটবেলা থেকেই আমার মনে হয় প্রতিটি বৃষ্টির ফোঁটা মানুষকে স্পর্শ করার জন্যই আসমান থেকে লাফ দেয়। এর মাত্র ক্ষুদ্র একটি অংশ তাদের উদ্দেশ্যে সফল হয়। আর বাকীরা স্থলে পড়ে, ... ...
রান্নাঘর পর্ব:ডিসেম্বরের চার তারিখ কলকাতা ছেড়েছিলাম , সেদিন উষ্ণতা ছিলো ২৭ ডিগ্রী, রৌদ্র করোজ্জ্বল একটা দিন। ফ্র্যাঙ্কফুর্টে নামলাম -২ ডিগ্রীতে। আগের দিনই প্রবল তুষারপাত হয়েছে।এক ধাক্কায় মাইনাসে... ২৭ থেকে -২ এর পার্থক্য -২৯ ডিগ্রী, যাকে বলে থার্মাল শক। ফ্রাঙ্কফুর্ট এয়ারপোর্ট মাটির উপরে...নীচে রেল স্টেশন। শীত তাপ নিয়ন্ত্রিত থাকার কারণে বুঝতেও পারিনি বাইরের অবস্থা!Mainz hauptbahnhof এ নামা মাত্রই জমে গেলাম! প্রধান ট্রেন স্টেশনকে এরা hauptbahnhof বলে। জার্মানরা বড্ডো জটিল ... ...
একটি কাল্পনিক ইন্টারভিউ-আমার কাজকর্মের বিচার কিন্তু নোট বাতিল দিয়ে করলে চলবে না।-তবে? জিএসটি দিয়ে করি?-না, না ওটাও চলবে না।- তবে স্যার জিডিপি?-হুমমম্.. নাহ্, ওটারও তো অবস্থা লজ্ঝড়ে। । অন্য কিছু হোক।-তবে কৃষকদের অবস্থা নিয়ে কথা বলি?-পরের প্রশ্ন। -স্যার এক কোটি চাকরি? জব ক্রিয়েশন?-সেটা হয়েছে। পকোড়া। হ্যাঁ পকোড়া। দিদির চপ, আমার পকেড়া। তারপর ধরো গোরক্ষা বাহিনী, রোমিওদমন ব্রিগেড...চাকরির অভাব? শাইনিংদের জন্য আছে আই টি সেল। ট্রোলপিছু দশ টাকা। এর বাইরে ... ...
ভালোবাসায় আদর আসে,সোহাগ আসে,মন ভেঙে যাওয়া আসে, যন্ত্রণা আসে, বিরহ জেগে থাকে মধুরাতে, অপেক্ষা আসে, যা কখনো আসেনা, তার নাম 'জেহাদ'। ভালোবাসায় কোনো 'জেহাদ' নেই। ধর্ম নেই অধর্ম নেই। প্রতিশোধ নেই। এই মধ্যবয়সে এসে আজ রাতে আমার সেই হারিয়ে যাওয়া বাংলা কে মনে পড়ছে। আজ প্রখ্যাত ডাক্তার ভিন্নধর্মের বিবাহ আর প্রেম কে যখন 'লাভ জিহাদ' বলে লেবেল সেঁটে দেন, তখন পূর্ব বর্ধমানের সমস্ত 'বামপন্থী' 'স্যেকুলার' তকমা আঁটা মানুষ চুপ করে থাকেন। ডাক্তার কে চটিয়ে দেবার ক্ষমতা কারোর নেই। ভাবি, আজ যদি কোনো শিক্ষক বলেন মুসলম ... ...
অনেকেই খুব বেশি চমকে গেলেও আমার কাছে খুব একটা চমকে যাওয়ার মত মনে হয়নি এবারের অস্কার মনোনয়ন। খুব প্রত্যাশিত কিছু ছবিই মনোনয়ন পেয়েছে। তবে কিছু ছবি ছিল যারা মনোনয়ন পেতে পারত কোন সন্দেহে ছাড়াই। কিন্তু যারা পাইছে তারা যে যোগ্য হিসেবেই পেয়েছে তা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে। শেপ অফ ওয়াটার সেরা ছবি, পরিচালক, চিত্রনাট্য, অভিনেত্রী এবং পার্শ্ব অভিনেত্রী সহ সর্বোচ্চ ১৩টি বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে। এতখানি না হলেও এটা মোটামুটি অনুমিতই ছিল।বোবা এক মেয়ে আর এক জলদানবের মাঝের প্রেম কাহিনী দিয়ে ডেল টোরো সেরা প ... ...
খুব শান্তি পাই, যখন দেখি কালচারগুলো মিলে যাচ্ছে।বিধর্মী ছেলের হাত ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছো শহরের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত। দুটি হাত ছোঁয়া সংবেদী বিন্দুতে ঘটে যাচ্ছে বনমহোৎসব। দুটি ভিন্ন ধর্মের গাছ ভালোবাসার অক্সিজেন ছড়িয়ে দিচ্ছে। যেন খেজুর বটের অপার আত্মীয়তা।মায়ের শাড়ি পরে এসেছো তুমি। ব্রাক্ষ্মণ রমনীর খুঁতখুঁতে গন্ধ লেগে আছে তাতে। সেই শাড়ি বারবার ছুঁয়ে যাচ্ছে আমার পাঞ্জাবির হাতায়। তোমার মায়ের মুসলিম বিদ্বেষে সন্তানসুলভ শ্রদ্ধা রেখে যাচ্ছে আমার নাজুক মুসলমানি...।লেকের একটুকরো ... ...
কবি অনেকদিন হতেই “জীবনের ধন কিছুই যাবে না ফেলা” বলে আশ্বাস দিয়ে এলেও ছোটবেলায় হালকা ডাউট ছিল কবি কোন ধনের কথা বলেছেন এবং ফেলা অর্থে কোথায় ফেলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন? ধন যে ফ্যালনা জিনিস নয়, সেটা আবার নিমোর ছেলেদের থেকে ভালো কে বুঝত! কিন্তু সেই নিয়ে কাব্যি করার জন্যি কনফিউশনটা তৈরী হয় আমাদের মধ্যে। যত দিন যায় ক্রমশঃ ততরূপে ধন আমাদের সামনে পরিস্ফুট হয়। এমন ভাবেই নিমো উন্নত অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক অবস্থা পার করা এবং ক্লাস ফাইভে মেমারী বিদ্যাসাগর স্মৃতি বিদ্যামন্দিরে উঠে সি এ টি – ক্যাট বলে ... ...
সেদিন, অঝোর ধারে কাঁদতে কাঁদতে বাবার চেয়ারের হাতল ধরে মেঝেতে বসে পড়েছি। দৃশ্যত শান্ত বাবা, খানিকক্ষণ কাঁদার সুযোগ দিলেন। এ দুটি বাক্যে ভেবে নেবার কোনো কারণই নেই, বাবা আর আমার সম্পর্ক অতি সুমধুর ও বোঝাপড়ার। বরং তার অব্যবহিত কয়েক মাস আগে পর্যন্তও উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় শেষে কমপক্ষে তিনদিন বাক্যালাপ স্হগিত থাকা, আমার জ্যেষ্ঠা কন্যা, যিনি আমার বাবার ঘোষিত তৃতীয় পক্ষ, তাকে ভুলিয়ে , বকে যেনতেনপ্রকারেণ বাবার সান্নিধ্যে যেতে না দেওয়া এগুলোই পরিবারের বাকী সদস্যদের চেনা চিত্রনাট্য ছিলো। কিন্ত এ কয়েকমাসে সম ... ...
পরবাস পর্ব:অদ্ভুত একটা দেশে এসে পড়েছি! এদেশের আকাশ সবসময় মেঘাচ্ছন্ন.. সূর্য ওঠেই না বললে চলে! হয় বৃষ্টি নয়তো বরফ!!বর্ষাকাল আমার খুবই প্রিয়.. আমি তো বর্ষার মেয়ে, তাই বৃষ্টির সাথে আমার খুব আপন সম্পর্ক। কিন্তু এদেশের বৃষ্টিটাও বাজে! এরা অতি সন্তর্পণে ঝরবে! কেন রে বাবা! ঝমঝমিয়ে নাম না একবার!! তা নয়, টিপ টিপ করে পড়ছে। যেন একটু বেশি জোরে বৃষ্টি হলেই মাস্টারমশাই খুব বকে দেবে! কলকাতায় অফিস যাওয়ার সময় খুব চাইতাম একটু মেঘ করুক, সেইসময় আমি অফিস পৌঁছে যাই টুক করে! আর এখানে চাইছি সূর্য উঠ ... ...
হিন্দু স্কুলের জন্মদিনেআমাদের স্কুলের খেলার মাঠ ছিল না। থাকার মধ্যে ছিল একটা উঠোন, একটা লাল বেদী আর একটা দেবদারু গাছ। ওই লাল বেদীটায় দাঁড়িয়ে হেডস্যার রেজাল্ট বলতেন। ওই উঠোনটায় আমরা হুটোপাটি আর প্রেয়ার করতাম। আমাদের ইস্কুলের প্রেয়ার ছিল জনগনমন। তখনো জাতীয়তাবাদী ভক্তি প্রদর্শন বাধ্যতামূলেক হয় নি। তাই আমরা নিজেদের আনন্দেই জাতীয়সঙ্গীত গাইতাম, অন্যথা পাকিস্তানে এক্সপোর্ট হওয়ার ভয় থেকে নয়। তবে ভয় কি আর ছিল না? ইতিহাসের বিষ্ণুবাবুকে যমের মত ভয় পেতাম। প্রেয়ারে পৌঁছতে একটু দেরি হলেই সাঙ্ঘাতিক ব ... ...
আমার বাবাকে জীবনকালে , আমার জ্ঞান ও বিশ্বাসমতে, থানায় যেতে হয়েছিলো একবারই। কোনো অপরাধ করায় পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছিলো তা নয়, নিছক স্নেহের আকুল টান বাবাকে টেনে নিয়ে গিয়েছিলো 'মামা'দের মাঝে। 2007 সাল। তখন এপ্রিল মাস। 14ই মার্চ ঘর ছেড়ে মাসতুতো বোনের বাড়ী চলে আসবার পর, 17 তারিখ আমার বড়কন্যেকে তার ইচ্ছাক্রমে আমার কাছেই আনতে , জলপাইগুড়ি যাই বাবার বাড়ীতে, যেখানে তারা দুইবোন অ্যানুয়াল পরীক্ষা শেষে অভয়ারণ্যে বিচরনের আনন্দ উপভোগ করছিলেন। তো, বড়মেয়েকে নিয়ে আমি বেড়োলাম উকিলের সাথে দেখা করতে, আর ছোট ... ...
মাঘ এলেই মনে পড়ে শ্রীপঞ্চমীর বিকেলে অপু বাবার সাথে নীলকন্ঠ পাখি দেখতে বেরিয়েছিল।নিজে ও রোজকার রুটিন বদলে ফেলতাম পুজোর দিনপনেরো আগে। স্কুল থেকে রোজ বিকেলে বাড়ি ফিরে খুঁটিয়ে দেখতাম উঠোনের আমগাছটায় মুকুল এলো কিনা, আর গাঁদার চারায় কতগুলো কুঁড়ি এলো, তারপর ব্যাগ রেখে জামাকাপড় বদলে একছুটে বাড়ির পেছনের মাঠটা পেরিয়ে পোটোবাড়িতে............গিয়ে দেখতাম সারি সারি প্রতিমা সাজানো, একমেটে থেকে খড়ির প্রলেপ মেখে নেওয়ার গল্প তৈরী হচ্ছে। পোটোকাকু আমায় দেখে একগাল হেসে বলতেন, 'ওহ! এসে গেছো, দ্যাখো আজ ক ... ...