দেশভাগ, বাটওয়ারা, পার্টিশান – উপমহাদেশের চুপচুপে রক্তভেজা এক অধ্যায় নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা, নির্মম কাটাছেঁড়া এই সবই ভারতে শুরু হয় মোটামুটি ১৯৪৭ এর পঞ্চাশ বছর পূর্তির সময়, অর্থাৎ ১৯৯৭ থেকে। তার আগে স্থাবর অস্থাবর সবকিছু ছেড়ে কোনওমতে প্রাণ নিয়ে পালানো মানুষজনও নিজেদের একান্ত আলাপচারিতায় এর হিংস্র ক্ষতবিক্ষত অংশটুকু সযত্নে এড়িয়ে যেতেন বা কোনও রূপকের (আগুনে ঝড় বা ভূমিকম্প) সাহায্যে বর্ননা করতেন। হ্যাঁ খুশবন্ত সিঙের ‘আ ট্রেইন ট্যু পাকিস্তান’ খুবই ব্যতিক্রমী ছিল। খুব সম্ভবত আউটলোক পত্রিকার বিস্তারিত আলোচ ... ...
ঘুগনীটা শেষ করে শালপাতাটা আমার দিকে এগিয়ে টেনিদা বললে, "বলতো, রামায়ণ কাকে নিয়ে লেখা?"আমি অনেকক্ষণ ধরে দেখছিলাম শালপাতায় কোণায় এককুচি মাংস লেগে আছে। টেনিদা পাতাটা এগোতেই তাড়াতাড়ি করে কোণে লেগে থাকা মাংসের কুচিটা মুখে চালান করে দিয়ে বললুম, "কেন, রামচন্দ্রকে নিয়ে।" টেনিদা একটা পিলে চমকানো হাসি হেসে বললে, "ফুংসুক ওয়াংড়ুর সঙ্গে দেখা হওয়ার আগে আমিও তাই ভাবতাম।" ফুংসুক ওয়াংড়ুর নাম শুনে দেখলাম সবজান্তা ক্যাবলাও চোখ পিটপিট করে ঘুরে বসল। -মতলব, বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক ফুং ... ...
বছর তিন বাদে সুকিয়া স্ট্রিটের পাড়ায়, বাড়ির ঠিক সামনের মাঠে চুপচাপ বসে দেখতে হত বড়দের খেলা, নিজে খেলার উপায় ছিল কম। বিকল্প হিসেবে ফুটবলের জায়গা হিসেবে নেওয়া হল পাড়ার বন্ধু বাজুর বাড়ির সরু গলি, সাড়ে চার থেকে পাঁচ ফুট চওড়া, যেখানে আমি আর বাজুই শুধু দুটো দল, বল ছিল পয়সা থাকলে রাবার ডিউস ক্রিকেট বল আর না থাকলে সুতো বাঁধা প্লাস্টিকের ড্যালা।একে অন্যকে ঐ সরু জায়গার মধ্যে টপকে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে শরীরের ভার পরিবর্তন, ভারসাম্য আর সব মিলিয়ে সামান্য জায়গায় ড্রিবলিং স্কিল তৈরির রান্নাঘর ছিল সেই ... ...
হাইনৎস লাইপম্যানের বিখ্যাত উপন্যাস অগ্নিগর্ভর অন্যতম প্রধান চরিত্র অটো আত্মহত্যা করেছিল। আত্মহত্যা করেছিল কারন সব কিছু মেনে নেওয়া উদাসীন দুনিয়াটা কমিউনিস্ট অটোর কাছে অসহ্য ঠেকছিল, খুনীদের রক্তাক্ত হাতে হাত মিলিয়ে আপোষ করে বেঁচে থাকা তার কাছে অসহ্য লাগছিল। ট্রেড ইউনিয়ন নেতা বিদেরমানের লাশ পাওয়া যায় রেল লাইনের ধারে, নাৎসি বিরোধী অভিনেতা হার্বার্টকে ধরিয়ে দেয় তার প্রেমিকাই, আর একদা সোশ্যালিস্ট পার্টির নেতা ম্যাক্স, লোভে অথবা ভয়ে কিংবা হয়তো দুটোর জন্যই যোগ দেয় নাৎসিদের সাথেই। কিন্তু তাতেও সব শেষ হয়ে ... ...
(আজকের এক জায়গার আলোচনার প্রত্যুত্তরে লেখা... এখানে সংরক্ষণ করে রাখলাম...)মার্কসীয় দর্শন বস্তুবাদী শিল্পতত্ত্ব বস্তুবাদী ভাবধারায় প্রবর্তিত। মার্কসবাদ শিল্প বিষয়ক আলোচনায় সর্বপ্রকার ভাববাদী ধারণা বর্জন করে। এই মতাদর্শ অনুসারে শিহিক্কল্পের সৃজন, মূল্য তথা শিল্পের উপভোগ, প্রচলন সবই বস্তুবাদী নীতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ঐতিহাসিক বস্তুবাদি দৃষ্টিতে মার্কসবাদ ইতিহাসের যে ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেছে সেখানে শিল্পের উৎপত্তিও চিত্রিত হয়েছে মানুষের বস্তুগত জীবনের প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ হিসেবে। এঙ্গেল ... ...
(বাংলায় কার্যকর রাজনৈতিক ঐক্য সর্বপ্রথম মুসলমান শাসকগণই প্রতিষ্ঠা করেন। বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ তৈরি, বাংলা ভাষার বিকাশ সাধন ইত্যাদি ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। এর পূর্বে ক্ষুদ্র স্বাধীন রাজ্য ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাই ছিল বাংলার একটি বিস্তীর্ণ ভূখণ্ডের প্রধান বৈশিষ্ট্য। সম্প্রতি এই ওয়েবসাইটের একটি আলোচনা দেখে মনে হল এই বিষয়ে আলোচনা করার অবকাশ রয়েছে। তাই কেন বাংলার প্রাক-মুসলমান যুগ "ওরকম" ছিল, আর কেন মুসলমান যুগে বাংলার রাজনৈতিক অবস্থা "এরকম" হল সেটা নিয়ে কিছু লেখার চেষ্টা করছি...)প্ ... ...
সময়টা ছিল শরৎকাল, ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘ আর উজ্জ্বল রোদের দিন, কিন্তু ক্লাস এইটের প্যাংলাপানা মোটা চশমা পরা ছেলেটা তার ক্লাসরুমে দাঁড়িয়ে সেসব কিছুই টের পাচ্ছিল না। টিফিন টাইম শেষ হয়ে আসছিল আর দরজার কাছে দাঁড়িয়ে সে ভাবছিল কোন পথে শেষ বেঞ্চে তার ব্যাগের দিকে গেলে, কোনো চাঁটি বা ঠ্যালা না খেয়ে পৌঁছনো যাবে। হেয়ার স্কুল থেকে এই হিন্দু স্কুলে আসার পর দু’বছর কেটে গেছে, অথচ তার ওপর চালিয়ে যাওয়া র্যাগিং থামেনি। সে ভাবতে পারে প্রচুর, কথা বলতে পারে কম আর মারতে পারে ঘোড়ার ডিম। প্রতিক্রিয়াহীন এই ক্রমাগত অত্যা ... ...
একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাই। সহজ ও সোজা একটা কথা। কিন্তু এই সহজ ও সোজা কথাটার মাঝে অনেক কিছুই লুকিয়ে আছে। লুকিয়ে আছে জাতি হিসেবে আমাদের সবচেয়ে বড় গৌরব কে অবহেলায় ফেলে রাখার লজ্জা, আছে জাতি হিসেবে আমরা কতখানি নির্বোধ তার পরিচয়, এর মধ্যেই আছে রক্তের দামে কেনা স্বাধীনতার বর্তমান অবস্থা।বিশ্বের বড় বড় গণহত্যার থেকে কোন অংশে কম হয়নি একাত্তর সালে এই বাংলায়। নয় মাসে ত্রিশ লক্ষ মানুষ কে মেরে ফেলা।এত অল্প সময়ে এত সংখ্যক মানুষ কে মেরে ফেলা, এমন নজির পৃথিবীর ইতিহাসে নেই আর। সংখ্যাট ... ...
ওই মালতীলতা দোলেশামিম আহমেদপিয়ালতরুর কোলে ১কারবালার ময়দানে বনবন করে লাঠি ঘোরাচ্ছিল নুর আলম কলবলি। গায়ে তার ফুলতোলা স্যান্ডো গেঞ্জি আর লাল রঙের হাফ প্যান্ট। গেঞ্জিতে সবুজ সুতো দিয়ে আঁকা পাঞ্জাতন। পাঞ্জাতনের প্রসঙ্গ এলেই দু চোখ জলে ভিজে যায় নুর আলম কলবলির। নবিজি, হজরত আলি, নবিকন্যা মা ফতিমা, আলি-ফতিমার দুই ছেলে—হাসান আর হোসেন হলেন পাঞ্জাতন। নবিজিকে গোস্তের মধ্যে বিষ মাখিয়ে খাইয়েছিল কোনও এক প্রৌঢ়া নারী, নমাজ পড়া অবস্থায় বিষ মাখানো তরবারি নিয়ে আলিকে হত্যা করে এক খারিজি, ... ...
(‘নিপীড়িতের শিক্ষাবিজ্ঞান’ বইটির ভূমিকা লিখেছিলাম। সেই ভূমিকার নতুন রূপ এই লেখা। আমার ব্যাখ্যা যে সঠিক হবেই, তার মানে নেই। অন্য কেউ অন্য ভাবে ব্যাখ্যা দিতেই পারেন। আলোচনা কথোপকথন যত হবে, ততই ভালো। বিভিন্ন শব্দের বিস্তারিত আলোচনা আগামী দিনে করার ইচ্ছে রইল। এই লেখাটি এই মাসেই 'দুর্বার ভাবনা'-তে ছাপা হবে।আমার অনুনয়, আসুন তর্ক জুড়ি।)কোথায় যাবো আমরা আজকের এই নারকীয় পরিস্থিতিতে? সারা দেশের প্রতিটি “সূচ্যগ্র মেদিনী”তেই জারি রয়েছে নরক, রয়েছে শিশুঘাতী নারীঘাতী বিভৎসা। ধিক্কার হানতে পারেন এ ... ...
কখনও একসাথে কয়েকটি কাজ করার চেষ্টা করে দেখেছেন? কেমন লাগে এভাবে কয়েকটা কাজ একসাথে করতে? গোলমাল লাগে? নাকি লাগে না?একসাথে কয়েকটা কাজ করাকে বলা হয় "মাল্টিটাস্কিং", আর কাজ করতে গিয়ে যে গোলমাল লাগে, গবেষকগণ তাকে বলছেন "ইন্টারফিয়ারেন্স"। কিন্তু গবেষকগণ হঠাৎ করে এই ব্যাপারগুলোর এরকম নামকরণ করতে গেলেন কেন? এটা নিয়ে কোন কাজ হয়েছে কী? হুম হয়েছে বৈ কি... গত বছরেই এটা নিয়ে একটা পেপার দেখেছিলাম। সেদিন একজনের সাথে কথা হল, বললেন তিনি নাকি সবসময় মাল্টিটাস্কিং করেন, এটা নাকি তার বদ অভ্যাস। আমি বললাম, ... ...
রামায়ন ও ইন্টারনেট (পর্ব ১) টেনিদা একটু গলাটা ঝেড়ে নিয়ে বলল, বুঝলি সেকালেও ফেসবুক, ইন্টারনেট ছিল। ক্যাবলা চাপাস্বরে বলল, ওই শুরু হল ঢপের চপ। টেনিদা হুংকার ছেড়ে বলল, "এ্যাই ক্যাবলা কি বললি রা?" ক্যাবলা তাড়াতাড়ি সামলে নিয়ে বলল, "আমি না, প্যালা বলছিল, আসার সময় দেখে এসেছে কালিকায় চপ ভাজছে। তাই বলছিলাম, একটু চপ টপ হলে এই বৃষ্টিতে ভালো হত।"আমি সবে প্রতিবাদ করতে যাব, এমন সময় টেনিদা উদাস গলায় বলল, "নাহ্ চপ আর খাবো না। বরং নগেনের দোকান থেকে একটু পকোড়া নি ... ...
কয়েকটি পলিটিক্যাল প্যারডি1. কখনো বদল আসে, সময় মুচকি হাসে,চারিদিকে সব কিছু সাজানো ঘটনা,দেখব না ভুলগুলো, কানেতে অহং তুলো,শুনব না আমি কোনও সম-আলোচনা।পার্ক স্ট্রীট-কামদুনি, গুন্ডা-মাফিয়া-খুনি,ছাড়া পায়, ধরা পড়ে শিলা-মৌসুমি,চোপ! চোপ! চিৎকার, বেয়াদব কোথাকার,প্রশ্ন করলে জানি মাওবাদী তুমি। সন্ধ্যে নিবিড় হতে, বারোভুতে লুটেপুটেছিঁড়ে খাক, তা হলেও মুখ খোলা মানা,পুলিশ আজ্ঞাবহ, জীবন যে দুঃসহ,ফেসবুকে পোস্টালে হবে জরিমানা,চারিদিক ... ...
ছোটবেলা থেকেই হিন্দু বাড়ির অন্দরমহলে সহজেই ঢুকে যেতাম। বেশি ছোট বেলায় কেউ কিছু মনে করছে কিনা তা বুঝতেই পারতাম না। একটু বড় হলে বুঝতে পারি আমার হুট হাট করে বাড়ির মধ্যে ঢুকে যাওয়াতে হয়ত উনাদের সমস্যা হচ্ছে। ভুলে খেয়ে ফেলতাম যা মনে হত তা। আবার আরেকদিন বেমক্কা গিয়ে হাজির হতাম। প্রশ্রয় ছিল বেশ ভাল ভাবেই, আর তাই আমার যা ইচ্ছা তা বা যখন ইচ্ছা তখন হুট করে কারো বাড়িতে হাজির হতে বিন্দুমাত্র ভাবতে হয়নি। আমার বাড়ির অগ্রজদের দেখতাম হিন্দুদের মত করেই মুরুব্বীদের মাসি, পিসি বলে ডাকতে। আমি সেসব ঝেড়ে ফে ... ...
'পত্থলগড়ি'ঝুমা সমাদ্দার।রাঁচী থেকে তার পড়শী জেলা খুঁটির দূরত্ব ৩১ কিলোমিটার। পাহাড় জঙ্গলে ঘেরা গ্রামে মুণ্ডা সম্প্রদায়ের মানুষের বাস।এ সব পাহাড়-জঙ্গুলে জায়গায় গ্রামের সাধারণ আদিবাসী মানুষ যেমন হয়ে থাকেন, এঁরাও তার ব্যতিক্রম নন, সহজ, সরল, নির্বিরোধী।'পত্থলগড়ি' এখানকার বহু প্রাচীন প্রথা । কারও মৃত্যু কিম্বা গ্রামের সীমানা নির্দেশ অথবা বিশেষ কোনো ঘটনাকে মনে রাখার জন্য একটি বড় পাথরে বক্তব্য খোদাই করে বিশেষ বিশেষ স্থানে খাড়া করে রেখে দেওয়া হয়।মাস কয়েক ধরে ... ...
“এমন সময় তাহার দিদি দুর্গা উঠানের কাঁঠাল তলা হইতে ডাকিল-অপু-ও অপু। সে এতক্ষণ বাড়ি ছিল না, কোথা হইতে এইমাত্র আসিল। তাহার স্বর একটু সতর্কতামিশ্রিত। মানুষের গলার আওয়াজ পাইয়া অপু কলের পতুলের মতো লক্ষ্মীর চুপড়ির কড়িগুলি তাড়াতাড়ি লুকাইয়া ফেলিল। পরে বলিল-কি রে দিদি? দুর্গা হাত নাড়াইয়া ডাকিল-আয় এদিকে-শোন-। দুর্গার বয়স দশ এগারো বৎসর হইল। গড়ন পাতলা পাতলা, রং অপুর মতো অতটা ফরসা নয়, চাপা। হাতে কাচের চুড়ি, পরনে ময়লা কাপড়, মাথার চুল রুক্ষ-বাতাসে উড়িতেছে, মুখের গড়ন মন্দ নয়, অপুর মতো চোখ গুলি বেশ ডাগর ডাগর। অপ ... ...
দেখে এলাম। "সঞ্জু"। প্রত্যাশামত বলতেই পারি, কারণ আমার রাজকুমার হিরাণীর সব ছবিই অতিসরলীকৃত লাগে। এ ছবি সে ব্যাপারে যারে কয় G.O.A.T. মানে সেরার সেরা আরকি!প্রচুর প্রশ্ন নিয়ে থিয়েটার থেকে ফিরলাম। সুনীল দত্ত কি ভগবান ছিলেন? দোষে গুণে মানুষ হতে শুনেছি, এতো বাবা বাবা নয়, আইডিয়াল নিশ্চয়। নার্গিসের যেকটি সিনেমা দেখেছি তাতে অতি অভিনয় চোখে লাগেনি, তিনি ব্যক্তিগত জীবনে এরকম মেলোড্রামাটিক ছিলেন? সঞ্জয় দত্ত এর বড় হওয়া টওয়া তো শুনলাম হস্টেলে। মানে সিনেমায় তাই বলল। তা সেকি যথেষ্ট পালিশওয়ালা স্কুল নয়? ... ...
শেফালী দেসরা, সীমা মারান্ডি, পূর্নিমা টুডু কোন বহু আলোচিত নাম নয়। কিন্তু সংবাদপত্রের পাতায় এই উপজাতি মেয়েগুলির নাম থাকা উচিত ছিলো, ওদের সাফল্যের নিরিখে। বীরভূম জেলার রাজনগর ব্লকের মাদারপুর গ্রামটি উপজাতি অধ্যুষিত, দারিদ্র্য আর অশিক্ষার আঁধারে মোড়া। সেই প্রত্যন্ত পিছিয়ে পড়া গ্রামটির প্রথম প্রজন্মের পড়ুয়া হিসেবে শেফালী, সীমা আর পূর্নিমার সাফল্যের সঙ্গে প্রথমবারেই মাধ্যমিকের গন্ডী পার করা নিঃসন্দেহে একটি মাইলস্টোন আর এই সাফল্যের দোড়গোড়ায় ওদের পৌঁছে দিতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়েছে শ্রীজা ইন্ডিয়া ... ...
নামের সুতোয় ঈপ্সিতার লেখা পড়ে নিজেকে আর সামলাতে পারলাম না।( )আমার নিজের নাম নিয়ে চিরকাল আমার দুঃখ। আমার অনেক মেয়েলি নামও ছিলো। শক্তিও আদতে মেয়েরই নাম হওয়ার কথা, ছেলেরা হবে শক্তি পদ বা শক্তি ব্রত। স্ত্রী -দেবীরা ই তো শক্তি। তা, ছেলেদের দাবীর কি সীমা আছে? বড় রুমাল, বড় ছাতা, সুবিধা জনক হাফপ্যান্ট সব ওঁদের দখলে। শক্তি নামে আবার বিখ্যাত কবি, শক্তিপদ রাজগুরুর মত ... ...
"জল দাও। জলদি জল দাও।" এক গ্লাস ভর্তি জল এগিয়ে দিতেই নি:শ্বেসে শেষ করে ফেলল সুজন। তারপর ঘাড় হেলিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকল। হেসে ফেলে বললাম, " গেছে তো? এবারেও?"। ধপাস করে বিছানায় শুয়ে পড়তে পড়তে বলল, "কতবার বলেছি, আমাকে যেতে বোলো না। আমার দ্বারা হয় না। আমি খুব একটা কম রোজগার তো করি না। চাকরী কেন করতে হবে? দিনকাল।বদলেছে, ফ্রীল্যান্স করে তো ইচ্ছেমত বাঁচা যায়। তুমি তো করছো চাকরী।কেন যে জোর করো!"আমি হেসে বললাম, " আমি ই কি সব নাকি? তোমার মা চান এইটুকু তুমি করো। আমার সাথে থাকো বলে এ ... ...