সম্প্রতি ইসকন ও রামকৃষ্ণ মিশনের মধ্যে কাজিয়া তুঙ্গে উঠেছে। সেই প্রেক্ষিতেই বিকৃত ইতিহাসের সুলুকসন্ধান করা... ... ...
তামাম বাংলা-বাঙালি তথা ভারতীয় উপমহাদেশের মনের জমিতে ক্রিকেট খেলাটিকে যিনি প্রথম রোপণ করেছিলেন সেই সারদারঞ্জন রায়ের আজ ১৬৫তম জন্মদিন। আজ সারাদিন কাজী নজরুলের জন্মতিথিতে তো সব্বাই তাঁকে স্মরণ করেছেন নানা ভাবে। আমি বরং "ভারতীয় ক্রিকেটের W. G GRACE". তথা ক্রিকেটার-অধ্যাপক-সংগঠক সারদারঞ্জন রায়কে আজ স্মরণ করি। 'ক্রিকেটপাগল' বাঙালিকে যিনি 'পাগল' হতে শিখিয়েছিলেন এই আই পি এলের ভরা মরশুমে বরং বিস্মৃতির ধুলোয় আবছা হয়ে যাওয়া সেই সারদারঞ্জনের কৃতি জীবন আর অনন্য উদ্যোগগুলিকে আরেকবার ফিরে দেখি আজ। ... ...
১০ ক্লাসের ইতিহাস বইয়ের ৩ নম্বর অধ্যায়ের প্রথমভাগে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে ১৮-১৯ শতকে আদিবাসী জনগোষ্ঠীগুলির প্রতিরোধের ইতিহাসে মাত্র সাড়ে পাঁচ লাইন ব্যয়িত হয়েছে 'ভীল' বিদ্রোহের জন্যে। 'ভীল' বলে সেই একদল প্রাচীন উপজাতি গোষ্ঠী, যাঁরা কিনা সেই সুদূর খান্দেশ-আরাবল্লীর রুখাসুখা পাথুরে জঙ্গলে ইংরেজদের বিরুদ্ধে একটানা বিদ্রোহ করে এসেছিল প্রায় দু'শো বছর ধরে, তাঁদের কথা আমরা বাঙালিরা স্কুলের সিলেবাস নির্বাচনজনিত বাস্তবিক নানা সীমাবদ্ধতার কারণে না জানলেও আরাবল্লীর গাঁও দেহাতের ভীল-মীণা-ডামোর আদিবাসীরা চির গৌরবের সঙ্গে মনে ধরে রেখেছেন তাঁদের প্রিয় দুই শিক্ষক এবং বীর বালিকা কালী বাঈয়ের স্মৃতিকে। একটু সময় খরচা কর পড়ে নেবেন কি কালীবাঈয়ের অজানা ইতিহাস? ... ...
বাবা কুঞ্জন আর মা থাইথারা মানি সাধ করে নয়, জাতিভেদ প্রথার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবেই আদরের ছোটো মেয়েটির জন্মের পর নাম রেখেছিলেন দাক্ষায়ণী অর্থাৎ দক্ষের কন্যা দুর্গা। এই শ্রুতিমধুর নামটি যুগ যুগ ধরে কোচিন-ত্রিবাঙ্কুরের জাতে-বর্ণে শতধা বিভক্ত সমাজে কেবল উঁচু বর্ণের সম্পত্তি হয়েই রয়ে গেছিল! উচ্চবর্ণের জন্য নির্দিষ্ট নাম নিজের সন্তানকে দেওয়ার সাহসই পুলায়াদের হয়নি কখনো। প্রতিবাদী নামটিকে আক্ষরিক অর্থে সার্থক করে তোলার জন্যই যেন জন্ম হয়েছিল দাক্ষায়ণীর। ... ...
" সম্ভবত আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে টালমাটাল সময়ে, ১০ আগস্ট ১৯৪৭-এর সকালে আমি দিল্লি পৌঁছলাম। ২০০ বছরের ঔপনিবেশিক শাসনের শেষে হিন্দোস্তান আর পাকিস্তান নামের দুটি স্বশাসিত ডোমিনিয়নে চিরতরে ভেঙে যাওয়া ভারত ১৯৪৭-এর ১৫ আগস্ট নিজের প্রথমতম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের জন্য অস্থির উদ্দীপনা নিয়ে অপেক্ষা করছিল। আমিও অবশ্য ভাঙছিলাম...।আমি ভাঙছিলাম আমার সুরক্ষিত আর গতানুগতিক জীবনের সমস্ত শিকলগুলোকে। ... পরিবারের তামাম তির্যক কানাঘুষো, সমাজের সব নিষ্ঠুর নিন্দামন্দ আর লখনৌয়ের স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবনের যাবতীয় অভ্যেসের বন্ধন ভেঙেছিলাম আমি আর পুরুষের কোনরকম সহায়তা আর অনুমোদন বিনে আমার জীবনটাকে নতুন করে গড়ে তোলার জন্য বেরিয়ে এসেছিলাম একদম একলা। আশ্চর্য ধৈর্য্য আর সহিষ্ণুতা দিয়ে আমার ঘটানো এমন অভূতপূর্ব কান্ডকে পারিবারিক আর সামাজিকভাবে সামলানোর জন্য আমি আমার মা আর শাশুড়ি মায়ের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকব...।" কেবল এই দেশই নয়, পৃথিবীর প্রথম পেশাদার মহিলা সংবাদপাঠক সাঈদা বানোর আত্মজীবনী 'ডগর সে হঠ কর'-বইটির কয়েক লাইন দিয়েই না'হয় শুরু হোক এই লেখা...। ... ...
এখন প্রশ্ন হচ্ছে আসলে কে দায়ী? এইটা আসলেই রয়ের মাস্টার প্ল্যান ছিল? পাকিস্তান সদলবলে ঢুকে পড়েছিল রয়ের চালে? রয়ের নীল নকশা হলে মকবুল বাটের সমর্থনের যুক্তি কী? তিনি খুবই সুপরিচিত নেতা ছিলেন। ১৯৭৬ সালে কাশ্মীরে ঢোকার সময় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। আট বছর ধরে বিচার চলে, তিহার জেলে ফাঁসি হয় মকবুল বাটের। কাশ্মীরিদের কাছে মকবুল বাট এখনও শ্রদ্ধেয়, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচিত নাম। কাজেই এই দিক দিয়েও আসলে প্রমাণ করার উপায় নাই যে এইটা রয়ের পরিকল্পনা। পরবর্তীতে কেউ কেউ বলেন যে হাসিম কুরেশি মূলত ডাবল এজেন্ট, তিনি মকবুলের সাথে বিমান ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে ভারতে প্রবেশ করে এবং ধরা খান। তিনি তখন দল বদল করে ভরতের পক্ষে কাজ করে। এবং রয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী গঙ্গার মত পুরান একটা বিমান নিয়ে লাহোর নামে। এখানে প্রশ্ন থাকে যে তখন হাসিম কুরেশির বয়স কত? ১৬/১৭ বছরের একটা বাচ্চা ছেলের উপরে রয়ের মত গোয়েন্দা সংস্থা নির্ভর করবে? বিশ্বাসযোগ্য না। আবার রয়ের বেশ কিছু সাবেক কর্মকর্তা পরবর্তীতে দাবী করেছেন পুরোটাই তাদের পরিকল্পনায় হয়েছে, পাকিস্তানকে ঘোল খাইয়েছে বলে দাবী করে! পাকিস্তান তাদেরকে রয়ের সদস্য বলে বিচার করলেও একজনকে শাস্তি দিয়ে বাকিদের ছেড়ে দেয় কেন জানা যায় না, একজনকেও কয়দিন পরে কেন ছেড়ে দিল কেন তারও কোন উত্তর নাই। দেশদ্রোহীদের এত সহজে কেউ মুক্তি দেয়? তাহলে সত্য কী? কোন দাবীই আসলে নিরঙ্কুশ ভাবে প্রতিষ্ঠা করা যায় না। ... ...
শেরপুরে পাকিস্তান বাহিনী প্রবেশ করে ২৬ এপ্রিল। তুমুল গোলাগুলি করতে করতে তারা প্রবেশ করে। প্রবেশের পরেই ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করে তারা। সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় বিশেষ গুরুত্ব ছিল এই এলাকার। ঝিনাইগাতী উপজেলার আহমদনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে ঘাঁটি করে পাকিস্তান বাহিনী। রাজাকারদের সহযোগিতায় চলে হত্যা লুট ধর্ষণ। নালিতাবাড়িতে তৈরি হয় বিধবা পল্লী। পুরো শেরপুরে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ টি খণ্ড যুদ্ধ হয়েছিল যুদ্ধকালীন সময়ে। যুদ্ধ হয়েছে এমন জায়গা গুলোর মধ্যে কাটাখালি, রাঙামাটি গ্রাম, সূর্যদী, নালিতাবাড়ী ফরেস্ট ক্যাম্প, বারোমারী, নন্নী, ঝিনাইগাতী, নাচনমহুরী, নকশী, শ্রীবরদী, কর্ণঝোরা, কামালপুর, টিকারকান্দা, নারায়নখোলা, বড়ইতার, নকলার যুদ্ধ গুলোকে বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য করা যায়। ... ...
আত্মপ্রচারের রকমফের ... ...
সেই সব ঘটনা ... ...
পর্বতারোহণের কিংবদন্তী বললে একজনকেই বোঝায়। আজও তাঁর মৃত্যু ও শেষ অভিযান নিয়ে গবেষণা হয়, স্পেকুলেশনেরও অন্ত নেই। ... ...
জীবদ্দশায় গান্ধী যেমন ভারতীয় উপমহাদেশ সহ গোটা পৃথিবীকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন, তেমনি এদেশের প্রায় সমস্ত অঞ্চলের সমস্ত বোলি'র চারণকবিদের সৃজনশীলতাকেও সুগভীরভাবে প্রভাবিত করেছিলেন তিনি। একদিকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রাম আর অন্যদিকে গান্ধীবাবার সন্তসম জীবনভাবনা, একের পর এক অহিংস সত্যাগ্রহ আন্দোলন, স্বাবলম্বন ও সম্প্রীতির ডাক, আম জনতার মনে তাঁর প্রতি অপার ভালোবাসা ইত্যাদি সমস্ত বিষয়কে কেন্দ্র করেই চেনাজানা ধর্মীয় ও সামাজিক রূপকের কাঠামোয় এই পল্লীকবিরা রচনা করেছিলেন 'গান্ধীগীত' নামে জনপ্রিয় বহু শত লোকগান। গান্ধীগীতের এই অনন্য ধারাটির সূত্রপাত হয়েছিল সেই ১৯১৭র চম্পারণ এবং ১৯১৮র খেদার সত্যাগ্রহ আন্দোলনের অসামান্য দিনগুলোতে…. ... ...
জীবদ্দশায় মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী যেমন ভারতীয় উপমহাদেশ সহ গোটা পৃথিবীকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন, তেমনি এদেশের প্রায় সমস্ত অঞ্চলের সমস্ত বোলি'র চারণকবিদের সৃজনশীলতাকেও সুগভীরভাবে প্রভাবিত করেছিলেন তিনি। একদিকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রাম আর অন্যদিকে গান্ধীবাবার সন্তসম জীবনভাবনা, একের পর এক অহিংস সত্যাগ্রহ আন্দোলন, স্বাবলম্বন ও সম্প্রীতির ডাক, আম জনতার মনে তাঁর প্রতি অপার ভালোবাসা ইত্যাদি সমস্ত বিষয়কে কেন্দ্র করেই চেনাজানা ধর্মীয় ও সামাজিক রূপকের কাঠামোয় এই পল্লীকবিরা রচনা করেছিলেন 'গান্ধীগীত' নামে জনপ্রিয় বহু শত লোকগান। গান্ধীগীতের এই অনন্য ধারাটির সূত্রপাত হয়েছিল সেই ১৯১৭র চম্পারণ এবং ১৯১৮র খেদার সত্যাগ্রহ আন্দোলনের অসামান্য দিনগুলোতে…. ... ...
পবিত্রতা, সারল্য, অহিংসা, সত্যাশ্রয়, ত্যাগ, দয়া, মৃদুস্বভাব, তেজস্বিতা, ক্ষমা, ধৈর্য্য, মঙ্গলাচরণ, এবং অবশ্যই আত্মশ্রদ্ধা ও আত্মজ্ঞান – রবীন্দ্রনাথ তার প্রতিটিই প্রায় কর গুনে তুলে এনেছেন তাঁর এই রচনায়। আমরা যে দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপন করলাম, তার মধ্যে আজ কি এই গুণাবলী পাই আমরা? ... ...
প্রাচীনকাল থেকেই সম্মোহন বিদ্যা প্রচলিত রয়েছে মানব সমাজে। সেকালে এই বিদ্যাকে যাদুবিদ্যা, বশীকরণ বিদ্যা বা অলৌকিক ক্ষমতা বলে মানুষ বিশ্বাস করা হতো। অষ্টাদশ শতকে সম্মোহন বিদ্যার নামকরণ হয় ‘মেজমেরিজম’। অষ্ট্রিয়ার ভিয়েনা শহরের ড. ফ্রাঞ্জ ফ্রেডরিখ অ্যানটন মেসমার সম্মোহন বিদ্যার চর্চা শুরু করেন। ফলে এর ব্যাপক প্রচার শুরু হয় এবং পরবর্তীতে তার নামানুসারে এর নামকরণ করা হয় ‘মেজমেরিজম’। ... ...
দুটো জিনিস নিয়ে আজকাল খুব কনফিউশন। এক, গুডি পাড়বার দিন অনেকে বাংলা হরফে হিন্দু নববর্ষ উইশ করছেন। দুই, বাংলাদেশের ১৪ই এপ্রিলটা সঠিক পয়লা বৈশাখ না পশ্চিমবঙ্গের ১৫ই এপ্রিল, সেই নিয়ে বিবাদ। সেখানেও হিন্দু মুসলমান চলে আসছে। ... ...