শৈশবপ্রস্তর ভিন্ন অন্যথা বিস্ময় নাই। মেহেন্দির ঘ্রাণ ও বর্ণ উভয়ত পুলকপ্রদ। বৃষ্টিবৎ ছুটিয়া যায় উৎসাহী হেলার দল। যেথা অন্ড ছিল, তা হইতে জায়মান কুতকুতে অর্বুদ চক্ষু। আয়ু, তোমাকে জন্মাবধি এমন দৃশ্য আরো দিতেছে নির্ভার রৌদ্র। ... ...
তাস খেলা ভয়ানক অপরাধ! / জুয়া তো রাষ্ট্রনায়কের খেলা!! / ফকিরেরা কেন দুঃসাহস দেখাবে? ... ...
ল্যাংস্টন হিউজের এই সময়ের জন্যও প্রবল প্রাসঙ্গিক কবিতা 'হার্লেম'-এর অনুবাদ দিয়ে শুরু করলাম। আশা রাখি আরো অনুবাদ আসবে। ... ...
আসমান থেকে নামে অদৃশ্য এক মৃত্যুদূত / মানুষ মরে একাকী, শীতাতপ-নিয়ন্ত্রিত যমালয়ে / সকলে যায় চলে যায় দূরে, বহু দূরে; সম্ভব হলে- / সাত সমুদ্দর, তেপান্তর পেরিয়ে ভিন দেশে। ... ...
শ্রদ্ধেয় গুলজার সাহেবের লেখা হিন্দি কবিতার অনুবাদ: মহামারী লেগেছিল, ঘরের রাস্তা ধরে হেঁটেছিল যত মজদুর কারিগর সব শহুরে মেশিনগুলো একে একে থমকে গেছিল ওগুলো থেকেই তো চলত হাত পা ইত্যাদি নইলে জীবনের চারা, বরাবরই পোঁতা ছিল গাঁয়ের মাটিতে ... ...
মেঘের মত আওয়াজ ছিল লম্বা একটা লোকসময় থেকে অনেক আগে, ভাবতো নতুন হোকবুকের ভেতর কিশোর ছিল অপাপবিদ্ধ সরলস্বপ্ন ছিল শিল্প সৃজন দিগন্ত তাঁর বড় ... ...
একটা ছেলে বাসা খুঁজতে গিয়ে অন্য বাসায় ঢুকল বাড়িওয়ালা বলল, - দেখ বাছা, ঘর আছে তবে দরজা নাই, তার ওপর ওপরেতে ছাদ, জলও পড়তে পারে টুপটাপ্ বাকি ভাড়া বলতে অ্যাডভান্স – ঝক্কি তো নেওয়া যায়না, কে কখন ফুরুত হয়ে যায়. ... ...
ছড়া পথে খানিক বাঁক থাকলে তবে, বাঁকের ধারে আবার দেখা হবে। ... ...
তখন ছিল আলগোছা / আর - এখন অগোছালো / দেখছি আকাশ বৃষ্টিমোছা / মেঘের ফাঁকে আলো ... ...
আমি এখনো কেঁপে কেঁপে উঠছি সেইদিনের স্মৃতি মনে করে। আর তোমাদের মুখ দেখে অবাক হচ্ছি! কি চমৎকার মুখোশ পরে থাকো তোমরা সবাই ... ...
অনুবাদ ... ...
কবিতা ... ...
ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নেবার স্বাধীনতা ... ...
দৃশ্যের সাথে পিরিতি হয় এমন দৃশ্য দেখবো বলেই তো উল্টেছি অনেক পাতা আঙুলের নখ ঢেকেছি গুঁড়ো সীসায় এমন দৃশ্য ছোঁব বলেই তো জ্বালিয়েছি মোমবাতি গলা মোম ধরেছে হাতের তালু ... ...
২৩শে এবং ২৬শে জানুয়ারী উপলক্ষে ... ...
এপ্রিল-মে মাস তখন। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সৌজন্যে প্রতিদিন খবরের কাগজে, সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ছবি ভেসে উঠছে। আমরা অনেকেই সেই সময়টাকে ছবি দিয়েই মনে রেখেছি -- দিল্লির অস্থায়ী শ্মশানে একসঙ্গে চল্লিশটি দাহকুন্ডের উদ্বাহু নৃত্য; সাদা চাদরের উপর দিয়েই শবের কপালে এক বৃদ্ধ, শীর্ণ হাত টিপ পরিয়ে দিচ্ছে। স্বাধীন দেশের পঁচাত্তরে পা দেওয়ার কালে ভেঙে, মুখ থুবড়ে পড়লো স্বাস্থ্যব্যবস্থা। মানুষ, ডাক্তার হাহাকার করে গেল অক্সিজেনের জন্য, বেডের জন্য। অথচ নেতা-নেত্রীরা মেতে রইলেন ভোটক্রীড়ায়। রাজ্যের পর রাজ্য স্রেফ ছারখার হয়ে গেল জনসভা আর পথসভায় সমাগমের দাক্ষিণ্যে। অচেনা অতিমারীর ভয়ের চেয়েও ভয়াবহ, অবিশ্বাস্য এক সময়! ... ...