রোগের ব্যাপক সংক্রমণ কী ভাবে বদলে দিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে মানবসভ্যতার গতিমুখ? সাড়ে চার দশক আগে লেখা একটি বইয়ে তা চর্চা করেছিলেন ইতিহাসকার উইলিয়াম হার্ডি ম্যাকনিল। ইতিহাসের এক সম্পূর্ণ ভিন্ন পাঠ। কোভিড অতিমারির এই অনিশ্চিত দিনকালে সে বই হয়ে উঠেছে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। পড়লেন জনস্বাস্থ্য-আন্দোলনের কর্মী, চিকিৎসক বিষাণ বসু ... ...
আলব্যের কামু-র মতো কালজয়ী ঔপন্যাসিকের ভাষ্যও আজকের আলজেরিয়ার ফরাসি সাহিত্যে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে। ম্যর্সো, কন্ত্র-অঁকেত (ম্যর্সো, পালটা অনুসন্ধান) নামের সাম্প্রতিক উপন্যাসে L’Etranger বা ‘আউটসাইডার’-এর কাহিনিকে পালটা ভাষ্যে পাঠকের সামনে হাজির করে হইচই ফেলেছেন এ সময়ের ফরাসি সাহিত্যের অন্যতম নাম কামেল দাউদ, যাঁকে হত্যার ফতোয়া জারি করেছেন এক উগ্রপন্থী ইমাম। লিখছেন ইংরেজি ও ফরাসি ভাষার শিক্ষক পার্থপ্রতিম মণ্ডল ... ...
বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বই। পড়লেন দময়ন্তী এবং মো. সাইফুজজামান। ... ...
সম্প্রতি প্রয়াত হলেন চিত্তরঞ্জন দাশগুপ্ত। অত্যন্ত সীমিত সুযোগ-সুবিধা ও গবেষণার পরিকাঠামো সত্ত্বেও তিনি একাধিক পুস্তক ও প্রবন্ধে যেমন রেখে গিয়েছেন পশ্চিমরাঢ়ের ইতিহাস ও সংস্কৃতির তথ্যসমৃদ্ধ ব্যাখ্যা, তেমনই বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরে গড়ে তুলেছিলেন এক গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রহশালা। খ্যাতি বা অর্থ নয় এই কাজেই ছিল তাঁর প্রাণের আনন্দ। তাঁর কাজের যথাযথ মূল্যায়ন জরুরি। জানালেন প্রত্নতত্ত্ববিদ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবেকানন্দ চেয়ার প্রোফেসর অফ সোশাল সায়েন্স রূপেন্দ্রকুমার চট্টোপাধ্যায়। ... ...
সম্প্রতি প্রয়াত হলেন বিজয়া মুখোপাধ্যায়, কবি, গদ্যকার, সংস্কৃতজ্ঞ। ‘নারীবাদী’ তকমার পাঁচিলে না ঘিরেও বলা যায় তাঁর লেখালেখি নারীবিশ্বের উঠোনে দাঁড়িয়েই। লিখছেন কবি চৈতালী চট্টোপাধ্যায় ... ...
সাধারণত রোগ সেরে গেলে কেউ ডাক্তারের কাছে ফেরত আসেন না। যারা আসেন, হয় তাদের জ্বর কমেনি অথবা পেটে ব্যথা আরও বেড়েছে। প্রথম দিকে হতাশ হয়ে পড়তাম। ভাবতাম, কারোরই তো অসুখ কমাতে পারছি না। আস্তে আস্তে বুঝলাম, দশ জনের মধ্যে দু- তিনজন ফেরত আসছেন। বাকিরা সুস্থ আছেন বলেই আসছেন না। দিনকে দিন অভিজ্ঞতা বাড়ছে। এখন আর সহজে আনন্দ, মন খারাপ, হতাশা এইসব হয় না। কতো রকমের মানুষ যে হয়! সাধারণ মানুষ, ‘ডাক্তার বাবু, আমি ঠিক হয়ে যাবো তো?’ ... ...
আমাদের তথ্যানুসন্ধানের কাজ শুরু হয় ২০১৮-র এমন এক সময়, যখন ভাটপাড়ার অধিবাসীদের দৈনন্দিন জীবন আগুন আর ছাইয়ের উপর দাঁড়িয়েছিল। ভাটপাড়া নাগরিক অধিকার রক্ষা কমিটির সহায়তায় আমরা বিভিন্ন সময়ে কিছু ফিল্ড সার্ভে-ও করেছিলাম। বছরখানেক পেরিয়ে এসে আমরা যখন পুরোনো বিবৃতিগুলির পর্যালোচনায় বসেছি, ঠিক তখনই কিছু নতুন শব্দকে কেন্দ্র করে নতুন করে এক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি রূপ নিতে শুরু করেছে—‘নিজামউদ্দিন-মুসলিম-করোনা’। ইতিমধ্যে তেলিনিপাড়াতেও দাঙ্গা শুরু হয়ে যায়, এবং ফলস্বরূপ হুগলি নদীর দু-পারেই সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ... ...
মাওরীদের হাতে টাসমানের বেশ কয়েকজন সঙ্গী নিহত হন। এই ঘটনার পর টাসমান আর সে দেশে পা রাখেন নি, ফিরে যান। যে দ্বীপটি তিনি আবিষ্কার করেন তার নাম পরে পরিবর্তিত করে রাখা হয় নিউ জিল্যাণ্ড। এর পর একশো বছরের ওপর এই দ্বীপে ইউরোপীয়দের পা পড়েনি। একশো আঠাশ বছর পর ১৭৭০ সালে ইংরেজ নাবিক ক্যাপটেন কুক আসবেন নিউজিল্যাণ্ডে, শুরু হবে সে দেশের এক কলোনিয়াল ইতিহাসের দীর্ঘ অধ্যায়। ... ...
গত শতকের ষাটের দশক থেকে আজকের দিন পর্যন্ত, প্রায় ছ'টি দশক ব্যাপ্ত শেখরনাথ মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস বৃত্তরৈখিক প্রকাশিত হচ্ছে ধারাবাহিক ভাবে। ... ...
মাল্যবান, জলপাইহাটি, বাসমতীর উপাখ্যান লেখা হয়েছিল পেনসিলে। গোপনে লিখতেন কবি, আর ভাই অশোকানন্দ দাশের বাড়ি গিয়ে ট্রাঙ্কে জমা করে ফিরে আসতেন। ১৭২/৩ রাসবিহারী এভিনিউয়ের সেই বাড়ি অতি সম্প্রতি ভাঙা শুরু হয়েছে। সেখানেই ছিল সন্দেশ পত্রিকার অফিস। বাড়িটি পেনসিলে আঁকা বাড়ির মতো ধূসর হতে হতে মুছে গেল। ট্রাঙ্কগুলি অনেকদিন আগেই জাতীয় গ্রন্থাগারে জমা পড়েছিল। অনুজ প্রতিম লেখক আফসার আমেদ তা কপি করে আনত ন্যাশানাল লাইব্রেরি থেকে। ভাইরাস আক্রান্ত এই অন্তরীন কালে আমি আমার জীবনের কথা বলব ভাবছি। জীবনানন্দ মুছে যাননি, আমার লেখা অস্পষ্ট হতে হতে হারিয়ে যাবে জানি। আমি সামান্য মানুষ, জীবনভর কলমে লিখেছি, তার উপরে জল পড়ে লেখা ধুয়ে গেছে কতবার। আমি আমার কথা পেনসিলে লিখতে শুরু করলাম। ... ...
যৌবন গিয়ে প্রৌঢ়ত্ব ছুঁই ছুঁই, এমন সময় ছোটদাদু চাকরি থেকে বরখাস্ত হলেন। তখন চাকরি চলে যাওয়া তেমন কোন বড়ো ব্যাপার ছিলোনা, লোকের হামেশাই চাকরি যেত। পরিবারও খুবই সচ্ছ্বল ছিলো -- চারটি কন্যাসন্তানের পিতা ছোট্দাদু বাড়ি এসে "কোনো ভদ্রলোকের বাচ্চা চাকরি করেনা" ঘোষণা করে তাস পিটতে বসে গেলেন। যৌথ পরিবারের কর্তা, বড়োদাদু মার্চেন্ট আপিসের বড়োবাবু। তিনি নার্ভাস হয়ে পরের মাসেই একটা পাকা চাকরির বন্দোবস্ত করে বাড়িতে এসে ছোটভাইকে বলার পর ছোটদাদু নাকি অট্টহাস্য করে বলেছিলেন, "তোমার কি মাথা খারাপ হয়েছে বড়দা? সত্তর টাকার মাইনে পেয়ে এসে আমি এখন পঞ্চাশ টাকায় ঢুকবো?"! বলা বাহুল্য ছোটদাদুকে আর কোনদিন উপার্জন করতে দেখা যায়নি, এবং যৌথ পরিবারটি অনতিবিলম্বে স্বখাতসলিলে ধরাশায়ী হয়। তারপরের দুই প্রজন্ম মুখে রক্ত তুলে খেটেও সেই বিলাসিতার ঋণ চোকাতে পারেনি। যে দারিদ্র পাকিয়ে ধোঁয়া টানে কবি, যে দারিদ্রে জলের ছিটে দিয়ে উজ্জ্বল করে তোলে আঁকিয়ে - সেই রাজকীয় শিল্পমন্ডিত দারিদ্র নয়। শস্তা অগৌরবের দারিদ্র। ... ...
আন্তর্জাতিক বিপণন সমীক্ষক গ্র্যান্ডভিউ রিসার্চের সাম্প্রতিক হিসেবে দেখা যাচ্ছে, ২০১৯ সালে সারা বিশ্বে এই স্যানিটাইজার বিক্রির মোট পরিমাণ ছিল ২৭০ কোটি মার্কিন ডলার। ২০২০ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত এর বাজার বার্ষিক ২২.৬ শতাংশ হারে বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। করোনার প্রকোপে শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই গত মার্চ থেকে জুলাইয়ের মধ্যে স্যানিটাইজার বিক্রি হয়েছে ২০ কোটি ডলার মূল্যের। আগের বছরের তুলনায় যার বৃদ্ধি ৪৬৫ শতাংশ। চলতি বছরের নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ভোট কর্মী ও ভোটদাতাদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে মার্কিন কংগ্রেস ইতিমধ্যে ইলেকশন অ্যাসিস্ট্যান্স কমিশনকে ৪০ কোটি ডলার বরাদ্দ করেছে স্যানিটাইজার, মাস্ক ইত্যাদি কেনার জন্যে। আর একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা টেকন্যাভিও নজর রেখে চলেছে ভারতের বাজারের দিকে। তাদের সমীক্ষায় স্পষ্টই বলা হচ্ছে, মহামারীর কল্যাণে আগামী চার বছরে অর্থাৎ ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবসা তুঙ্গে উঠবে যার বৃদ্ধির পরিমাণ হবে ৪১ কোটি মার্কিন ডলারের কাছাকাছি। স্বভাবতই ভারতের বাজার ধরার জন্যে পাল্লা দিচ্ছে থ্রি এম, ডাবর, ইমামি, গোদরেজ কনজিউমার প্রোডাকটস, গোজো ইন্ডাস্ট্রিজ ইনকরপোরেটেড, আই টি সি, ম্যারিকো, রেকিট বেনকাইজার, হিমালয়া ড্রাগ ও ইউনিলিভার গ্রূপের মতো একঝাঁক ডাকসাইটে সংস্থা। ... ...
হুজুগের বাইরে থেকে হুজুগকে দেখার জন্য, এবং দেখানোর জন্য, হুজুগের সময় ছাড়া আর কি কোনও তেমন বিকল্প থাকতে পারে? তাই, একদিন আগে থাকতেই, ইয়ে আজাদি। কয়েকটি লেখার সমাহার। ... ...
মধ্যরাতের স্বাধীনতা মিথ্যা, এ ঘোষণা ঘটে উঠেছিল যে ভাষায়, সে ভাষা আমাদের নয়। আমাদের, বাঙালিদের নয়। এমন কথা বললে প্রাদেশিকতার দায় এসে পড়ে বটে, কিন্তু প্রাদেশিকতা কি তত দূষ্য? একটা উত্তর দিচ্ছেন সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়। ... ...
সাধারণ সময়ে উত্তর পূর্বাঞ্চল, ঠিক ভারত নয়। আর যখন সেখানকার বাসিন্দারা রেগে ওঠেন, তখনই রাষ্ট্রের কাছে গোটা উত্তর পূর্ব হয়ে ওঠে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। ক্রুদ্ধ নাগরিকরা স্বায়ত্তশাসন দাবি করলে, চিহ্নিত হন শত্রুদের ক্রীড়নক হিসেবে। এরই মাঝে থেকে আসামের অঙ্কুর তামুলি ফুকন লিখছেন তাঁদের কথা, নিজেদের কথা। ... ...
স্বাধীনতার সংজ্ঞা বদল হয় মধ্যরাতে। জ্ঞানবিজ্ঞান চর্চায়। চর্চার কণ্ঠ রুদ্ধ হতে থাকে। কিন্তু সংকট যখন সমাগত, তখন মুক্তি থাকে প্রসরমান অনুশীলনের স্বাধীনতায়। ভাষণে নয়, নয় প্রতিশ্রুতিতে। লিখছেন শুভময় মৈত্র। ... ...
ওঁদের ১৫ অগাস্ট সরকারি ছুটি নেই। অথচ এ দেশেই জন্মেছেন ওঁরা। ভিন দেশের নাগরিক হয়ে যাওয়া পাঁচ বাঙালি লিখছেন এ দেশের স্বাধীনতা নিয়ে তাঁদের বোধ। ... ...
`রাত আড়াইটের সময় ট্রেন জলগাঁও পৌঁছাল। জলগাঁও থেকে ফর্দাপুর পঞ্চাশ মাইল। অজন্তা সেই সময় জঙ্গলাকীর্ণ। মুকুলকে চার মাইল দূরে ফর্দাপুরে থাকতে হবে। ১৯৬৫ সালে যখন নারায়ণ সান্যাল অজন্তা আসছেন তখন এই রাস্তায় বাস চলে। ১৯১৭-তে বলা বাহুল্য কোনো বাস নেই। বাইশ বছরের মুকুল অজন্তা দেখার উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটছেন। তিনি এক মুহূর্তও নষ্ট করবেন না। রাত আড়াইটেতেই তাঁর টাঙা চাই। সে অবশ্য পাওয়া গেল না। ভোর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হল। টাঙাওয়ালা ভাড়া নিল ছাব্বিশ টাকা। হাওড়া থেকে জলগাঁও ট্রেন ভাড়ার প্রায় দ্বিগুণ। টাঙা থেকে দেখা পশ্চিম ভারতের গ্রামের চমৎকার বিবরণ মুকুলের বইতে আছে। নেরি নামের এক গ্রামের কথা আছে যেখানে মাত্র কিছুদিন আগেই প্লেগ হওয়ায় গ্রামের সবাই বাড়ি ফেলে পালিয়েছে। সাজানো-গোছানো লালিত্যময় সে গ্রাম। দরজায় নকশা আঁকা। খাঁ খাঁ করছে। ... ...
করোনা অতিমারির সময়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার অসামান্য গুরুত্ব আমাদের সবার দৃষ্টিপথ, শ্রুতি এবং ভাবনার ক্ষেত্রপথের একেবারে বাইরে চলে যাচ্ছে। অতি উচ্চ মুল্যের আইসিইউ পরিষেবা, উচ্চচাপের অক্সিজেনের ব্যবস্থা, ECMO ইত্যাদি জন মানসিকতায় ক্রমশ গ্রাহ্য হয়ে উঠছে, মান্যতা পাচ্ছে। মনে ক্ষোভ পুষে রেখেও সাধারণভাবে মানুষ চাইছে বেশি দামের রেমডেসিভিরের চিকিৎসা – নিতান্ত কমদামের এবং একমাত্র “improved survival” ঘটাতে পারে ডেক্সোমেথাসোনের চিকিৎসা নয়। চিকিৎসকেরাও এই সোশ্যাল সাইকি বা গণমানসিকতার বশে থাকছেন বেশিরভাগ সময়েই। বাজারের, মিডিয়ার এবং বিজ্ঞাপনের দুর্মর শক্তি উভয়কেই নিয়ন্ত্রিত এবং প্রভাবিত করছে। ফলে চিকিৎসা আরও বেশি করে হাই-টেক হয়ে উঠছে, ভার্টিকাল প্রোগ্রামের দিকে ঝুঁকছে। এবং ক্রমাগত ঝুঁকবে। ... ...
একটি চালু প্রবাদ হল ‘যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে’। যখন মেয়েদের একটু টাইট দেওয়ার, একটু কড়কে দেওয়ার দরকার পড়ে তখনই এই প্রবাদের আবিল ব্যবহার নজরে আসে। অথচ ইতিহাস দেখিয়েছে যে বা যারা ভালো ভাবে ‘রেঁধেছে’ তাঁরা কেউই ভালো ভাবে ‘চুল’ বেঁধে উঠতে পারেননি। এবং এটি ছেলেদের ক্ষেত্রেও আংশিক সত্য। ভাস্কর মীরা মুখোপাধ্যার-এর একটি সাক্ষাৎকারে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয় যে কেন তিনি বিয়ে ভাঙেন, কেন তিনি সংসার ভাঙেন। উত্তরে তিনি ঠিক কী বলেছিলেন আমার মনে নেই, কিন্তু যেটা বলেছিলেন তার সারমর্ম হল সংসার তিনি ছাড়তে চাননি, তাঁর ভাস্কর্য-প্রীতির জন্য সংসার তাঁকে ছেড়ে গিয়েছে। ... ...