ভালো আছি ও ভালো থেকো-র মধ্যবর্তীতে এক লম্বা সেতু যা ধরে এগোতে গিয়ে আরোগ্যের পথ ধরি। সেখানেও ওটিপি আসে...ভালো থাকার ওটিপি ... ...
পাড়ার নিজস্ব পেপারওয়ালা, সব্জিওয়ালা, ঠাকুরমশাই ও নাপিত কাকু থাকত। পাড়ার এক ঘরের মাস্টারমশাই, বেশ ক ঘরের হয়ে যেতেও সময় নিত না। তখন মোবাইল নেই, এক বাড়িতে ফোন বাজলে অন্য বাড়িতে ছুটে যেতে হত। শোনাতে হত তাদেরকেও হাল সমাচার। ছাদের অ্যান্টেনাগুলো নিজেদের মধ্যে চুপিচুপি গল্প সেরে নিত। দড়িতে দড়িতে শুকোত লাল-নীল ছাপা শাড়ি... কাঁটা ঘুড়ি অনেকদিন ঝুলে থাকত ইলেক্ট্রিকের তারে...আর সার বেঁধে পাখিরা কখনও ওতে বসে তাদের মিটিং সারত... ... ...
আমাদের পরিবারের সাথে এখন খুব ঘুলেমিলে গেছে সোনামণি। ইচকি পিচকিও খুব খুশি তাদের নতুন মামি পেয়ে। এদিকে আমিও ওর হাতে দুজনকে সঁপে দিয়ে নিশ্চিন্ত। মা এখন হরিপদবাবুদের পুরনো কুলারে আমাদের থাকার জায়গা করে দিয়েছেন, আর মেয়েটাও অল্প কদিনে ঐ খুপচিটাকে কেমন ঘর বানিয়ে ফেলেছে। ... ...
ডিপ্রেশন মানেই জীবন শেষ করে দেওয়া নয়। বিশ্বাস করুন, পৃথিবীতে এমন কেউ আছেন যিনি আপনার কথা শুনতে যান, কথা বলতে চান। তাই হয়তো নতুন এক শব্দের কয়েনেজ “4 a.m friend”… হ্যাঁ, এমন একজনকেই চাই যাকে রাত বিরেতে উঠিয়ে বলতে পারি, হ্যালো, আমি আজ ভালো নেই। কথা বলতে পারি… হয়তো তাহলে ডিপ্রেশন কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারব। সুশান্তের পাশে কাল কেউ ছিলনা…তাই হয়তো ওকে এভাবেই চলে যেতে হলো… ... ...
ফুচকা…আহা, গোল ওই কুরমুরে বস্তুটি আলুমাখা ঠেসে যখন তেঁতুল জলে ডুব দেয় তখনই আমার মন গেয়ে ওঠে, “মাঝে মাঝে তব দেখা পাই চিরতরে কেন পাইনা”… আসলে “দেখা”র জায়গায় একটু কষ্ট করে “খেতে” পড়ে দেখুন, কি এক আশ্চর্য ভালোলাগা আপনাকে মুহুর্তে ঘিরে ধরবে। ... ...
আজ ই-ম্যাগ দাপিয়ে বেড়ানো সুপ্রিয় পাখি সেন -এর ইন্টারভিউ নিতে হবে তাই রোব্বার হলেও চটপট উঠে গেল জয়ন্ত। গত ক বছরে যার চেহারা কেউ দেখেনি, সে কেমনটি হতে পারে ভেবে জল্পনা চলত প্রচুর। উনি ফর্সা না কালো, লম্বা না বেঁটে আর বয়সটা! বেট লাগালেও শিওর হওয়া হত না। উনি তো একেবারে হাওয়া, কোনও ফটো-টটোও নেই। তাই ছেলেরা আন্তাবরি বকত ... ...
“চিঠি” - সাদা পাতায় লেখা এক মনকেমনের কাহিনী, “চিঠি” - সেই দূরবর্তী মানুষটিকে জানান দেওয়া, যে “ভালো আছি” ও জানতে চাওয়াও তাঁর ভালো থাকার কথা। যারা নিয়মিত চিঠি লিখতে ও পড়তে ভালোবাসেন তাদের সাথে এই “পত্র দিও” ওতোপ্রোত ভাবে জড়িয়ে। একখানি চিঠি যে কি পরিমান ভালো থাকা দিতে পারে তা যারা পেয়েছেন একমাত্র তাঁরাই বুঝবেন। এমন অনেক সময় হয়, মানুষটি যখন কাছাকাছি, তখন সব কথা বলা হয়ে ওঠে না। কিন্তু দূরত্ত্ব বাড়ার সাথে সাথে সেই কথাই একটি চিঠির আকার নেয়...আর কি থাকে না সেই চিঠিতে!...প্রাত্যহিক জীবনের গল্প থেকে শুরু করে সমস্তটা উঠে আসে তাতে, আর যিনি পান সেই সময় তাঁর উপলব্ধিটাও অসামান্য। চিঠির মধ্যে ঐ মানুষটার প্রতিচ্ছ্ববি অজান্তে তৈরী হয়ে যায় আমাদের মনের ভেতরে...চিঠিকে তখন আরো বেশি আপণ মনে হয়। তাই হয়তো প্রিয় মানুষটির একটি চিঠির জন্য আমাদের এত অপেক্ষা, আর তেমনই তা না পেলে মনখারাপ-মনখারাপ। ... ...
একটা ছেলে বাসা খুঁজতে গিয়ে অন্য বাসায় ঢুকল বাড়িওয়ালা বলল, - দেখ বাছা, ঘর আছে তবে দরজা নাই, তার ওপর ওপরেতে ছাদ, জলও পড়তে পারে টুপটাপ্ বাকি ভাড়া বলতে অ্যাডভান্স – ঝক্কি তো নেওয়া যায়না, কে কখন ফুরুত হয়ে যায়. ... ...