আচার্য শান্তরক্ষিত। স্রোংচান গামপোর পরবর্তী একশো বছরে বৌদ্ধ ধর্ম আবার হারিয়ে যেতে বসেছিল তিব্বতের বুক থেকে। রাজা ত্রিসোং দেচেন আমন্ত্রণ জানালেন নালন্দার অধ্যক্ষ আচার্য শান্তরক্ষিতকে। উদ্দেশ্য বৌদ্ধ ধর্মকে রাজপ্রাসাদের বাইরে তিব্বতের সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া। ... ...
তোনমি সম্ভোট তিব্বতের লিপি তৈরী করলেন। কিন্তু ঠিক কোন লিপি থেকে জন্ম নিল তিব্বতি বর্ণমালা? ... ...
স্রোংচান গামপো রাজা হয়ে যখন প্রায় সমস্ত উপজাতিকে নিজের অধীনে এনে এক সার্বভৌম সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করলেন তখন অ্যাডমিনস্ট্রেশন প্রয়োজনীয় হল। আগের কাঠের গায়ে দাগ কেটে হিসাবের সময় ফুরল। বহির্দেশের সাথে শুরু হল কূটনৈতিক যোগাযোগ। এবং এই সমস্ত কিছু সঠিক ভাবে অর্গানাইজড ভাবে করার জন্য দরকার হয়ে পড়ল ‘লিপি’। আর ei লিপি তৈরির ভার পড়ল মন্ত্রী তোনমি সম্ভোটের উপর ... ...
স্রোংচান গামপোর সময় তিব্বত সাম্রাজ্য সবচেয়ে বড় আকার ধারণ করে। নেপালের রাজকুমারী ভৃকুটি এবং চীনের রাজকুমারী ওয়েনচেঙের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক তিব্বতের সাথে এই দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্ককে দৃঢ় করে। আর এই দুই রাণীর হাত ধরে তিব্বতে প্রবেশ করে বৌদ্ধ ধর্ম। ... ...
সপ্তম শতাব্দীর প্রথমভাগ। পরিব্রাজক হিউএন সাং বা জুয়্যাং জ্যাং পা রাখলেন ভারতের মাটিতে। এদিকে নালন্দার নাম যশ সারা পৃথিবী জুড়ে। বাংলায় রাজা শশাঙ্ক। কামরূপে ভাস্করবর্মন। ওদিকে কান্যকুব্জে শিলাদিত্য হর্ষবর্ধন। আর দক্ষিণে নর্মদার নীচে চালুক্যরাজ দ্বিতীয় পুলকেশী। সবাই নিজের নিজের রাজ্য বিস্তারে ব্যস্ত। আর মাথার ওপরের হিমালয় পার হলেই তিব্বত। সেখানেও আর এক প্রবল পরাক্রমশালী রাজা স্রোংচান গামপো। বিস্তার করে চলেছেন তিব্বত সাম্রাজ্যের। শুধু তো সাম্রাজ্য বিস্তার নয় - শিক্ষা এবং জ্ঞানের আলো নিয়ে আসছেন নিরক্ষর তিব্বতি মানুষদের মাঝে... ... ...
তিব্বতের প্রাচীন ধর্ম-বিশ্বাস ছিল 'বোন'। রাজারাও মেনে চলতেন। তারপর একদিন আকাশ থেকে এক স্বর্ণপেটিকা নেমে এলো রাজপ্রাসাদের ছাদে। তার মধ্যে 'ওঁ মনি পদ্মে হুঁ' মন্ত্র। রাজা ল্হাথো থোরি ঞাংচান নিরক্ষর। কী লেখা উদ্ধারই করতে পারলেন না। কিন্তু তিব্বতভূমে সেইদিনই প্রথম পা রাখলেন তথাগত... ... ...
বৌদ্ধধর্ম তিব্বতে পৌঁছেছিল সপ্তম শতাব্দীতে। কিন্তু তার আগে ভারতবর্ষে কীরকম ছিল তার চেহারা? হীনযান, মহাযান কী? নির্বাণই বা কী? ... ...
যেদিন সুনীল জলধি হইতে হিমালয় পর্বত মাথা চাড়া দিয়েছিল, সেদিন তার সাথে জন্ম তিব্বত মালভূমিরও। এই বিস্তৃত মালভূমির চারিদিকে বিশাল বিশাল পর্বতমালা। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। শনশন করে হাড় কাঁপানো হাওয়া বয়। কেমন করে ওখানে জীবন ধারণ করে মানুষেরা? কেমন করে শুরু হয়েছিল সভ্যতার? ... ...
তিব্বতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার শুরু হয় সপ্তম শতাব্দীতে রাজা স্রোংচান গামপোর পৃষ্ঠপোষকতায়। তারপর রাজা ত্রিসোং দেচেনের রাজত্ব কালে আচার্য শান্তরক্ষিত এবং গুরু পদ্মসম্ভবের সাহায্যে স্থাপিত হয় প্রথম মঠ - সাময়ে। তিব্বতের ইতিহাস তার আগে রহস্যাবৃত, উপকথায় ভরপুর। তিব্বতের সেই ধূসর ইতিহাস নিয়েই এই লেখা। ... ...
তিব্বতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার শুরু হয় সপ্তম শতাব্দীতে রাজা স্রোংচান গামপোর পৃষ্ঠপোষকতায়। তারপর রাজা ত্রিসোং দেচেনের রাজত্ব কালে আচার্য শান্তরক্ষিত এবং গুরু পদ্মসম্ভবের সাহায্যে স্থাপিত হয় প্রথম মঠ - সাময়ে। তিব্বতের ইতিহাস তার আগে রহস্যাবৃত, উপকথায় ভরপুর। তিব্বতের সেই ধূসর ইতিহাস নিয়েই এই লেখা। ... ...