বঙ্গলক্ষ্মী হোটেল। বৌবাজারের মোড়ে। বঙ্গলক্ষ্মী সত্যিকারের লক্ষ্মী। খাওয়ার জন্য আদর্শ হোটেল। রাণাঘাটের আদর্শ হিন্দু হোটেল বা বর্ধমানের ব্যানার্জি হোটেল বা আসানসোলের গঙ্গা হোটেল কিংবা শিলিগুড়ির চলন্তিকার সঙ্গে লড়তে পারতো কেবল কলকাতার বঙ্গলক্ষ্মী। রুই মাছ পোস্তও ছিল অসাধারণ। কলাপাড়ায় চুড়ো করে ভাত। ... ...
২৫০+২৫০ = ৫০০ কিমি পথ মাড়িয়ে তিনদিন পথে বা খোলা জায়গায় থেকে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করতে আসা। মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতার বিধাননগরে। স্বাধীনতার ৭৫ বছরে। নারীর দল। পুরুষবিহীন। ১০-১২ জনের ছোটো ছোটো দল। নানা গ্রামের। ... ...
দিনে ১০-১২ ঘন্টা কাজ। বসার ব্যবস্থা নেই। আমার চেনা একজন কাজ করেন শপিং মলে। শুনলাম সেখানেও বসার নিয়ম নেই। ১০-১২ ঘন্টা বিউটি। হাজার দশেক টাকা বেতন। যাতায়াত সাজপোশাকেই কত খরচ চলে যায়? আগে শুনতাম ইউনিয়নের জন্য ঝামেলা। এখন তো দেখছি, ইউনিয়ন না থাকলেই ঝামেলা। ১০-১২ ঘন্টা দাঁড়িয়ে কাজ করতে পারেন মানুষ? ... ...
কয়েকটি মন্দির দেখি বনজঙ্গলে ঢাকা। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এত বড় ঐতিহ্য। কিছু করছেন না? কে করবে? সবাই শিবলিঙ্গ খুঁজে বেড়াচ্ছে। এদিকে কত ভালো ভালো মন্দির পড়ে আছে। তার মুখেই শুনলাম, ঠিক মতো বেতন হচ্ছে না, অস্থায়ী কর্মী বেশি। ... ...
পথ চলার বিবরণ ... ...
চেনা মানুষ অচেনা গল্প ... ...
বাংলার সমাজ অর্থনীতি সংস্কৃতির চলমান দলিল। পথে ঘাটে ট্রেনে বাসে অটো ট্রামের দেখা জীবন-সৃতি (স্মৃতি নয়)। ... ...
পথে ঘাটে যা দেখি। শুনি। এই কলকেতায়। তার একটি হদিস হাদিস। ... ...
কিছুদিন আগে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছি। আশির দশকে বেশ কিছু ভালো স্মৃতি। সেই টানে, হচ্ছে শুনে, সংস্কৃতি-র অনুষ্ঠানে। দুজন ভালো গায়ক গায়িকা গাওয়ার কথা। গান শুনলাম। মন ভরলো না। ইউ টিউবে সিডিতে শোনার ভালো লাগা থাকলো না।কিন্তু যা দেখে একটু বিস্মিত। উদ্দাম নাচ।প্রচণ্ড গরম। জায়গাটা খোলা এটাই ভরসা।বাংলা লোকগান হোক আর রবীন্দ্রসঙ্গীত-- নাচ উদ্দাম।বিয়ারের বোতল দেখলাম ডেলিভারি দিচ্ছে।এক তরুণীর সঙ্গে বন্ধুদের মিষ্টি বচসা।'আমিই কিন্তু ফোনে অর্ডার দিয়েছিলাম। তাই আমি আগে'।ডেলিভারি বয়কে জিজ্ঞেস করে জানলাম, নরম উষ্ণ সব পানীয়ই আজকাল ফোন করে মেলে। হাজার হাজার তরুণ তরুণী।অনেকেই বসে শুনছিলেন।হাজার খানেক উদ্দাম নাচে। উন্মত্ত গরমে। আর এইসব কায়দার আলো।তার তাপও কম নয়।মঞ্চের একদম কাছে শত শত নৃত্যল ... ...
#পথ_চলিতে ১শরীরটা সুবিধার নয়। কিন্তু সে নিয়ে কাঁহাতক আর বিলাপ করা যায়। গতকাল এক অনুজপ্রতিম দার্শনিকের সান্নিধ্যে চমৎকার কেটেছে। তাঁর মা শক্তি কর ভৌমিক চমৎকার লেখেন। আমার প্রিয় দার্শনিক বলেন খুব সুন্দর। পুরো মাথা ঘুরিয়ে দেবেন, বিপরীত যুক্তি ও তথ্য দিয়ে। কিন্তু লেখা নৈব নৈব চ।আপাতত শুনেই মুক্তি।তবে একটা লাভ হয়েছে, চমৎকার সিঁদল খেয়েছি। বাড়তি পাওনা মনে রাখার মতো, এঁচোড় রান্না। গাছ পাঁঠা যে কেন বলা হয়, টের পেলুম। আজ সকালে একটা বৈঠক সেরে বিকেলে মানিকতলা খালপাড়ে। পড়াতে। ইচ্ছে ছিল প্রাচ্য নাট্যদলের 'পোস্টমাস্টার' দেখার। বন্ধু সুজন বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও অংশুমান ভৌমিক, অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায়দের আড্ডাটাও হলো না।তবে আজ পাঠশালায় মন ভরিয়ে দিল কয়েকজন।বহুদিনের ... ...