[মূল গল্প – Sentry, লেখক – Fredric Brown, প্রথম প্রকাশকাল - ১৯৫৪] .....................
বাড়ি থেকে পঞ্চাশ হাজার আলোকবর্ষ দূরের এক গ্রহের মাটিতে কর্তব্যরত সে, জলে-কাদায় যতটা মাখামাখি, খিদে আর শীতে তার চেয়ে কিছু কম নয় ।
এখানে আলোটা পাওয়া যায় এক বিদ্ঘুটে নীল রঙের সূর্য থেকে, আর মাধ্যাকর্ষণের যা দশা সে আর বলে কাজ নেই । সে যাতে অভ্যস্ত তার দ্বিগুণ মাধ্যাকর্ষণ এখানে, নড়াচড়া করাই দায় ।
যুদ্ধের এমন কতকগুলো মৌলিক ব্যাপার আছে, লাখো বছরেও যার কোনও পরিবর্তন হয়না । যার ... ...
[ মূল গল্প --- Answer, লেখক --- Fredric Brown। ষাট-সত্তর দশকের মার্কিন কল্পবিজ্ঞান লেখক, কল্পবিজ্ঞান অণুগল্পের জাদুকর। ] ......
সার্কিটের শেষ সংযোগটা ড্বর এভ সোনা দিয়ে ঝালাই করে জুড়ে দিলেন, এবং সেটা করলেন বেশ একটা উৎসবের মেজাজেই । ডজনখানেক দূরদর্শন ক্যামেরা তাঁর দিকে তাগ করে আছে, আর তাদের তোলা ছবিগুলো ঈথারবাহিত হয়ে মুহূর্তে ছড়িয়ে যাচ্ছে ব্রহ্মাণ্ডের কোণে কোণে ।
তিনি এবার সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে ড্বর র্যেন-এর দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়লেন, তারপর স্যুইচের পাশে অবস্থান নিয়ে প্রস্তু ... ...
মূল গল্প : আইজ্যাক আসিমভ
রাইগেল গ্রহের যে দীর্ঘজীবী প্রজাতির হাতে এই গ্যালাক্সির নথিপত্র রক্ষণাবেক্ষণের ভার, সে পরম্পরায় নারন হল গিয়ে চতুর্থজন ।
দুটো খাতা আছে ওনার কাছে । একটা হচ্ছে প্রকাণ্ড জাবদা খাতা, আর অন্যটা তার চেয়ে অনেকটা ছোট । গ্যালাক্সির সমস্ত বুদ্ধিমান প্রাণিদের নাম ওঠে ওই বড় খাতাটায় । আর ছোট খাতায় স্থান পায় শুধু সেই সমস্ত প্রজাতিরা যাদের সভ্যতা খানিকটা পরিণত হয়েছে, এবং সেই সুবাদে যারা গ্যালাক্টিক ফেডারেশনে স্থান পাবা ... ...
সম্প্রতি আয়ার্ল্যান্ডে আইনসিদ্ধ হল গর্ভপাত । যদিও এ সিদ্ধান্তকে এখনও অপেক্ষা করতে হবে রাষ্ট্রপতির আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের জন্য, তবু সকলেই নিশ্চিত যে, সে কেবল সময়ের অপেক্ষা । এ সিদ্ধান্ত সমর্থিত হয়েছে ৬৬.৪ শতাংশ ভোটে । গত ২৫ মে (২০১৮) এ ব্যাপারে আইরিশ সংসদের (Oireachtas) উভয় কক্ষে প্রস্তাবিত হয়েছে সে দেশের সংবিধানের ছত্রিশতম সংশোধনী, যাতে ওই সংবিধানের ১৯৮৩ সালের অষ্টম সংশোধনকে বাতিল করার কথা রয়েছে । ওই সংশোধনীতে গর্ভস্থ সন্তানের জীবনের মূল্য তার মায়ের জীবনের মূল্যের সমান বলে ঘোষণা করা হয়েছিল । সে স ... ...
যে ছেলেটা কলেজে পড়ার সময় ভালবাসত বেপরোয়াভাবে নৌকো বাইতে, এবং তা করতে গিয়ে প্রায়শই নৌকোটির বারোটা বাজিয়ে বিস্তর বদনাম কিনত, সে বা অন্য কেউই বোধহয় কখনও ভাবেনি যে, তার জীবনের শেষ দুই-তৃতীয়াংশ জুড়ে সে শুধু নিশ্চুপে বসে মহাবিশ্বের সাথে কথা বলবে মনে মনে । ছেলেটা মানে স্টিফেন উইলিয়াম হকিং, অসাড় দেহ আর অসীম মেধা নিয়ে মহাবিশ্বের দুর্বোধ্যতার সাথে সাপলুডো খেলে যাওয়া সেই অবিশ্বাস্য বিজ্ঞানী । গণিত দিয়ে বিশ্বকে বাঁধতে চাওয়াটা তাঁর বরাবরেরই, কিন্তু ক্রমেই শুকিয়ে এসেছে স্নায়ু আর পেশি, শিকেয় উঠেছে নিজের হাতে অ ... ...