আমি নিশ্চিত, তুমি এমন দু’জনকে চেনো, যাদের একজন ক্রিকেটের সমস্ত শুকনো সংখ্যাতত্ত্ব মাথায় নিয়ে ঘুরে বেড়ায়, আর একজনের সে সব শুনলেই ক্লান্তি আসে। কিন্তু কিছু কিছু প্রশ্ন এতটাই গভীর, এতই বিশাল তার পরিধি – যে তার উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করলেও ভিড় করে আসে আরও হাজারটা প্রশ্ন (কম করেও) – যারা নিজেরাও প্রায় ততটাই গভীর। সেইসব প্রশ্ন-পিতামহ তখন জন্ম দেয় এক-একটি গবেষণার বিষয়ের। ... ...
সেই পুরোনো লোক, আম্বেদকর। সেই পুরোনো দল, আরএসএস। নতুন সাল, ২০১৬। নতুন মতামত — ‘মেলাবেন, তিনি মেলাবেন’। ২০১৬-র এপ্রিলে সে-ই অর্গানাইজার-এরই সংখ্যায় প্রচ্ছদ হল — “Ultimate Unifier”। সঙ্গে ছবি — না, মৈত্রেয় বুদ্ধের নয় — আম্বেদকরের। স্তুতির বন্যা বয়ে গেল। ‘গোটা দেশকে জুড়ে রাখার ফেভিকল তিনি সাপ্লাই করেছেন’ থেকে শুরু করে, ‘ব্রাহ্ম-প্রার্থনা-আর্য – সমস্ত সমাজের ভাল ব্যাপারগুলোই তাঁর চিন্তাধারায় বর্তমান’ হয়ে, ‘মোটেই তিনি ব্রাহ্মণদের বিরুদ্ধে ছিলেন না, ব্রাহ্মণ্যবাদের শ্রেণীবিভাগের বিরোধী ছিলেন’ পর্যন্ত। ... ...
খবরে জানা গেছে, অঙ্কের এক অধ্যাপক রিচার্ড ফাইনম্যানকে 'উজবুক' বলায় পাশের পাড়ার পদার্থবিদ্যার ২ ছাত্র এসে তাঁকে বেধড়ক পেটায় ও তারপর তাঁর গলা কেটে নেয়। ... ...
আসল কথা হল, রামমন্দির হয়ে গেছে। বাবরি মসজিদ নিয়ে কথা বলে না আর কেউ। এবার আমরা যাবো মথুরা। শাহী ইদগা ভেঙে সেই জায়গায় মাখনের হাঁড়ি বসাবো (যদিও মাখন-ইতিবৃত্ত বেন্দাবনের, মথুরায় কেষ্টা পিউবার্টি পেরিয়ে গেছিল)। ইতোমধ্যেই কোর্টে কেস ঠুকে দিয়েছি। জিতে গেলে তো কথাই নেই, না জিতলেও, কে আটকায়? ... ...
মহাকালের এই সাময়িক বিচ্যুতির সুযোগে লিপযিগ গ্যালাক্সির ষষ্ঠ গ্রহের এক বনে একটা হাওয়া পাক দিয়ে উঠল। ঝোড়ো নয়, হালকা হাওয়া। এই হাওয়া কিন্তু গল্পের শুরু নয়, শেষও নয়। কিন্তু একে একরকমের শুরু বলাই যেতে পারে। হাওয়া পাক দিল ঘন বনের পাশ দিয়ে, উপলখণ্ডের উপর দিয়ে, খেত খামার ছাড়িয়ে – এক ছোট্ট বাড়ির উঠোনে। এই পরিবারের জীবনে এর থেকে গুরুত্বপূর্ণ দিন বোধহয় আর কখনো আসেনি... ... ...
কবিতা কৃষ্ণনের ট্যুইটে শেয়ার হওয়া সেই ভিডিওর নীচে যে শেষমেশ রাজনীতি, পুলিশের আসল উদ্দেশ্য, পুলিশের নিজেকে রক্ষা করার উচিত কিনা – এসব নিয়ে জলঘোলা করা হবে, তাতে কারুর কোনো সন্দেহ ছিল না। কেন উচ্ছেদ করা হচ্ছে, কতদিন ধরে, উচ্ছেদ কতটা ন্যায়সঙ্গত, কোনো মূল্যেই – নাগরিক, পুলিশ – কারুর জীবনের বিনিময়েই কি মন্দির বানানোর নামে উচ্ছেদ করা দরকার – এ সব প্রশ্ন ছাপিয়ে উঠে আসবে, ভিডিওতে দেখানো একটিমাত্র লোককে অনেক পুলিশ মিলে নৃশংসভাবে মেরে ফেলা ছাড়াও কোনো ‘বৃহত্তর’ ছবি ছিল কিনা। কেউ আর একটা ভিডিও শেয়ার করে দেখাবে, ‘আহা, পুলিশ বলে কি মানুষ নয়?’ মুখ্যু-মন্ত্রী হিমন্ত শর্মা এরই প্রতিধ্বনি করে বলবেন, ‘পুলিশ তো নিজের কাজ করছিল, ওই লোকগুলোই লাঠিসোটা নিয়ে ওদের মেরেছে।’ ... ...
MistBorn-এর লেখক Brandon Sanderson-কে নিয়ে পরে বিশদে আলোচনা হবে (প্রচণ্ড ইন্টারেস্টিং ক্যারেকটার মশাই – লালমোহন থাকলে হয়তো ‘হাইলি সাসপিশাস’-ও বলতেন), কিন্তু ওঁর একটা ক্ষমতা নিয়ে অল্প-কথা এই জায়গায় বলতেই হচ্ছে – তা হল ওঁর অসাধারণ ম্যাজিক-সিস্টেম তৈরি করার ক্ষমতা। এই বিশেষ বইটিতে যে সিস্টেমটা ব্র্যান্ডনবাবু বানিয়েছেন, তার নাম অ্যালোমেন্সি। ব্যাপারটা ঠিক কি, তা নিয়ে একটি শব্দও আমার খরচ করার দরকার নেই – বইয়ে বিশদে আছে। এতটাই ডিটেলে, যে এই ধরণের সিস্টেমের অন্তর্গত সামঞ্জস্য সম্পূর্ণ ঠিকঠাক আছে কিনা, তা নিয়ে এদের জন্যে নিবেদিত রেডিট-পাতায় মাইলের পর মাইল তক্কো চলে। ... ...
লিখবটা কি? অনেক ভেবে মাথায় এল – ‘ফ্যান্টাসি’। ওসব ‘কুয়াশানগরীর উপাখ্যান’-মার্কা কবিতা-কবিতা গপ্পো নয় (লেখার এমন বেগ – কি না কি বলে চলেছি), গভীর Genre-fiction, বিশেষ করে – হাই-ফ্যান্টাসি। আপনি যদি কেবলমাত্র ওই চন্দ্রিলবাবুর ‘কিছু Dystopia’ দেখে সায়েন্স-ফিকশন সম্পর্কে, আর গেম অব থ্রোন্স/লর্ড অব দ্য রিংস দেখে ফ্যান্টাসি সম্পর্কে ধারণা তৈরী করে থাকেন, তা হ’লে হবে না – ঐসব রোগের উপসর্গ মাত্র। এই ছড়ানো জঁরাগুলির বিস্তৃতি বহুদূর। সেই বিখ্যাত কুম্ভকার-সন্তান, যিনি পেশাদার জাদুকর হওয়ার চেষ্টায় বংশের মুখে চুন-কালি লেপেছিলেন, আর যাঁর কৈশোর-অ্যাডভেঞ্চারগুলি লিখে ফেলে ওই বয়স্কা, আপাত-trans-phobic মহিলা এখন টাকার স্তূপের ওপর ‘রোলিং’, তাঁর গপ্পোগুলিও পড়ে এর আওতায়। আরও কত কি-ই না আছে এই জঁরায়! ... ...