কাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট দেখছি, কিছু ছবি মূলত, যার মূল কথা হলো জুতো পায়ে ভারতের জাতীয় পতাকাকে সম্মান জানানো মোটেও ঠিক নয়। ওতে দেশের অসম্মান হয়। এর আগে এরকমটা শুনিনি। মানে ছোটবেলায়, অর্থাৎ কিনা যখন আমি প্রকৃতই দেশপ্রেমিক ছিলাম এবং যুদ্ধে-ফুদ্ধে যাবো ভাবতাম, তখন ইশকুলে যতবার জাতীয় পতাকা উঠতো জুতো কিন্তু আমার পায়েই থাকতো বলে মনে পড়ছে। তাতে আমার বাচ্চা বয়সের দেশপ্রেম খুব একটা অপবিত্র হয়ে গেছে বলে তো কখনো মনে হয়নি। আমরা জানতাম মন্দিরে ঢুকতে গেলে জুতো খুলতে হয়। জুতো খুলতে হয় মসজিদের প্রার্ ... ...
আমরা প্রচন্ড বুদ্ধিমান। গত কয়েকদিনে আমরা বুঝে গেছি যে ভারতবর্ষ দেশটা আসলে একটা ট্রেনের মতো, যে ট্রেনে একবার উদ্বাস্তুগুলোকে সিটে বসতে দিলে শেষমেশ নিজেদেরই সিট জুটবে না। নিচে নেমে বসতে হবে তারপর। কারণ সিট শেষ পর্যন্ত হাতেগোনা !
দেশ ব্যাপারটা এতটাই সোজা। ইউরোপিয়ানগুলো বোকা। তাই এই নমি ওই লজি নামে আঠাশরকম পড়াশোনার বিষয় বানিয়েছে। সব আমাদের মতো বুদ্ধিমান ভারতীয়দের ফেল করাবে বলে। ফেল না করাতে পারলে আমরা সব টকটকিয়ে মগডালে চড়ে গিয়ে ওদের সাইজ করে দিতুম কিনা! তখন কি আর ওদের এই দুনিয়াজোড়া আধিপত্য চলতো ... ...
আসমানী জহরত (The 0ne Rupee Film Project)-এর কাজ যখন চলছে দেবদীপ-এর মোমবাতি গানটা তখন অলরেডি রেকর্ড হয়ে গেছে বেশ কিছুদিন আগেই। গানটা প্রথম শুনেছিলাম ২০১১-র লিটিল ম্যাগাজিন মেলায় সম্ভবত। সামনাসামনি। তো, সেই গানের একটা আনপ্লাগড লাইভ ভার্শন আমরা পার্টি সিকোয়েন্স-এ ব্যবহার করেছিলাম। অর্ঘ্য-র "শহরনামা" বা "বন্ধু" সেইভাবে রেকর্ড হয়নি কোনোদিন। ও তখন বাইরে বাইরে থাকতো। প্রথমে বেনারস, তারপর বরোদা। গিটার বাজিয়ে মোবাইলে রেকর্ড করা গান সব। তারপর কয়েকবছর বাদে ল্যাপটপ-এ রেকর্ড করে ডিজিটাল অডিও ওয়ার্কস্টেশনে অ্ ... ...
প্রথমেই বলে নেওয়া ভালো যে বুদ্ধবাবু বা সিপিএমকে নতুন করে এতো বছর বাদে খিস্তি করার জন্য এই লেখা নয়। এবং অবশ্যই বলে রাখা দরকার যে তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে এই লেখার দূরদূরান্ত অবধি কোনো সম্পর্ক নেই। সেরকম কারো মনে হলে সেটা একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার।
পটভূমি বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীদের স্লোগানের অশ্লীলতা নিয়ে আশেপাশে অনেকেই বেশ ভাবিত হয়ে পড়েছেন যা দেখছি। এই "নেতাচোদা" বা পুলিশকে "চ্যাটের বাল" বলা নিয়ে অনেকেরই আপত্তি হচ্ছে। আমার তো বেশ মজা লাগলো দেখে। তুমি আমায় মারছো, তার ওপর তোমার আবার ... ...
জোট থাকলে জটও থাকবে। জটগুলো খুলতে খুলতে যেতে হবে। জটের ভয়ে অনেকে জোটে আসতে চায় না। তবে আমি চিরকালই জোট বাঁধার পক্ষের লোক। আগেও সময়ে সময়ে বিভিন্নরকম জোটে ছিলাম । এতবড় জোটে অবশ্য প্রথমবার। তবে জোটটা বড় বলেই এখানে জটগুলোও জটিলতর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কেউ ফেসবুকে তেড়ে এসে গালাগাল করে গেলো, কি দেখে নেবে বলে শাসানি দিলো; এইধরণের উটকো ঝামেলাগুলোর কথা বলছি না। এগুলো থাকবেই। এড়ানো যাবে না। জোট না থাকলেও এগুলো হতো, তবে হ্যাঁ, জোট হয়েছে বলে হয়তো একটু বেশি সংখ্যায় হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে মূল কারণটা বুঝে সেই অনুয ... ...
অবশেষে আমরা দ্বিতীয় পর্বের অন্তিমভাগে এসে উপস্থিত হয়েছি। অন্তিমভাগ, কারণ এরপর আমাদের তৃতীয় পর্বে চলে যেতে হবে। লেখা কখনও শেষ হয় না। লেখা জোর করেই শেষ করতে হয়; সেসব আমরা আগেই আলোচনা করেছি।তবে গল্পগুলো শেষ করে যাওয়া প্রয়োজন কারণ এই পর্বের কিছু গল্প পরবর্তী পর্বে আর ফিরে আসবেনা। কেন আসবেনা তার যথাযথ কারণ রয়েছে যা কিনা কাঠামোগত। পঠনকারীর সেসব না জানলেও চলবে। যদি কোনো সমালোচকের হাতে পরে থাকে এই আখ্যান আশা রাখছি তিনি যথেষ্ট দুঁদে এবং কারণটি খুঁজে নিতে সক্ষম হবেন। আর তিনি যদি তা না পারেন সেক্ষেত্রে আগে ... ...
কথাটা কিছুতেই আর ওইদিকে এগোচ্ছে না। ঠেলে দিতে পারলে হয়তো এগিয়ে যাবে, কিন্তু সেটা বর্বরোচিত হয়ে যাবে না তো আবার? একবার বাথরুমে যেতে পারলে মনে হয় ভালো হতো। পেটের ভিতরটা কিরকম একটা যেন করছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে বাথরুমে যাওয়াটাও কি ভালো দেখাবে?
ভুলটা নওলকিশোরেরই। তার উচিত ছিল রুচিরাকে নিয়ে সোজা সিঁড়ির নিচের ঘরে ঢুকে যাওয়া। এইসব বাড়ি দেখানো-ফেখানোর কোনও দরকারই ছিল না। আসলে সে বুঝতে পারেনি ব্যাপারটা এইদিকে চলে যাবে। নওলকিশোরের বাবা-মা'র ঘর এটা। রুচিরা একবার বসছে, একবার উঠছে। আর নানান জিনিস ... ...
ডাবের জলটা বেশ মিষ্টি। বহুদিন এতো ভালো ডাব খায়নি অভিমন্যু। স্ট্রয়ে চুমুক দিতে দিতে ভাবছিলো সে। তাকে এখন দেখতে লাগছে গম্ভীর এবং চিন্তামগ্ন। আর থেকে থেকে "হুম" বলে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ছে সে। যেন কত রহস্য উন্মোচিত হয়ে যাচ্ছে তার অর্ধোন্মিলিত চোখের সামনে। কত জটলার জট ছাড়িয়ে সে বুঝে যাচ্ছে যেন এরপরে ঠিক কি ঘটতে চলেছে। আসলে গোটাটাই ভাঁওতা। শুভাশীষকে চাপে রাখার উপায়। সে ভাবছে বলতে মূলত ওইটাই --- আহা রে! কি মিষ্টি ডাবের জল! রোজ যদি এরকম পাওয়া যেত!
জলটা শেষ হয়ে যেতে ওইভাবেই না তাকিয়ে কোনোদিকে না ফিরে বাঁহা ... ...
ছিল মানুষ হয়ে গেলো বমি! তাই তো? সুকুমার রায় পড়েছেন অনেক ছোটবেলায়, তাই না? - স্যার আমি সত্যি বলছি, আমি সারারাত ওখানেই ছিলাম। ... ...
১
নওলকিশোরের প্রবল জাত্যাভিমান। মানে ব্যাপারটাকে জাত্যাভিমান হয়তো বলা যায় না ঠিক। তবে কিনা তার হেব্বি গর্ব। তার বংশপরিচয়, তার ছোড়দাদুর গানের গলা, তার দূরসম্পর্কের পিশেমশাইয়ের পি এইচ ডি, তার নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া মামার আঁকার হাত, তার বাবার খুড়তুতো ভাইয়ের জার্মানির স্থায়ী ঠিকানা, তার নিজের বোধশক্তি ও বিচক্ষণতা --- মানে একটা তো জায়গা চাই থামবার! এরকমটা হলে কার নাক আর ছোট থাকতে পারে! দোষটা মোটেই নওলকিশোরের নয়! সে বহুবার ভেবে দেখ ... ...