‘২০০০ সালের মধ্যে সবার জন্য স্বাস্থ্য’—১৯৭৮সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই ঘোষণাপত্রে ভারতবর্ষও স্বাক্ষর করেছিল। কিন্তু পাশের শ্রীলঙ্কাও তার দেশের নাগরিকদের বিনা পয়সায় স্বাস্থ্য-পরিষেবা দিচ্ছে আর আমরা পাচ্ছি লবডঙ্কা। শুধু চিকিৎসা খরচ মেটাতে প্রতি বছর ৬ কোটি ৩০ লক্ষ লোক দারিদ্র্যসীমার নীচে নেমে যাচ্ছেন। হাসপাতালে বেড পাওয়ার সুপারিশের জন্য নেতা মন্ত্রীর পায়ে মাথা খুঁড়তে হয় অথবা দালালকে টাকা দিতে হয়। এই তো হাল!
অথচ সবার জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা যাকে বলে ‘সবর্জনীন স্বাস্থ্য পরিষেবা’ তা লাগ ... ...
চিকিৎসক-জীবনে আমি যে দুটো জনস্বাস্থ্য কর্মসূচীতে কাজ করেছি সেই শহীদ হাসপাতাল ও শ্রমিক-কৃষক মৈত্রী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নৈতিকভাবে চিকিৎসা-পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। যে ডাক্তার-বন্ধুরা আমার মতো কোনও গণসংগঠনের সঙ্গে থেকে ডাক্তারী করেন না, তাঁদের নীতিনিষ্ঠ থাকার কথা বললে অনেক সময় বলেন—প্রাইভেট প্র্যাকটিশ করে বা প্রাইভেট হাসপাতালে কাজ করে নীতিনিষ্ঠ থাকা যায় না। সত্যিই কি তাই?! একজন ব্যক্তিগত ভাবে কতোটা সৎ থাকতে পারেন আর কিভাবে?
কোথায় চেম্বার করবেন?
অনেক ডাক্তার ওষুধের দোকানে চেম্বার করে ... ...
স্বাস্থ্য মানে কেবল চিকিৎসা-পরিষেবা নয়, কিন্তু এই আলোচনা পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসা-পরিষেবা, বিশেষত সরকারী চিকিৎসা পরিষেবাতেই সীমিত। তৃণমূল সরকারের তিন বছর পার হয়ে গেল, এই তিন বছরে চিকিৎসা-সংক্রান্ত অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার, অনেক ঘোষণা করেছে। তিন বছর পর ঘুরে দেখাই যায়—কি ছিল পদক্ষেপগুলো আর কতটাই বা সুফল পাচ্ছেন মানুষ। লিখছেন ডা পুণ্যব্রত গুণ।
২০১১-এ ৩৪ বছরের পুরোনো বামফ্রন্ট সরকারের পতনের পর নতুন তৃণমূল সরকার গঠনের পর থেকেই স্বাস্থ্য দপ্তরের পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ ... ...
আজ, ৩রা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকেল ৪টায় কলকাতা প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হল একটা প্রেস কনফারেন্স। এপিডিআর, শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ, ফোরাম অফ পিপলস হেলথ, মেডিকাল সার্ভিস সেন্টার, মেডিকাল কলেজ ডেমোক্রাটিক স্টুডেন্টস এসোশিয়েসন, প্রোগ্রেসিভ এন্ড ডেমোক্রাটিক স্টুডেন্টস ফ্রন্ট, বন্দী মুক্তি কমিটি ও কলকাতা নাগরিক সমন্বয়-এর যৌথ উদ্যোগে এই প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
আগামী কাল, ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকেল ৩টায় কলেজ স্কোয়ার থেকে এন আর এস মেডিকাল কলেজ অবধি মিছিল।
দাবীঃ
১। কোরপান শাহের হত্যাকারীদের শাস্ত ... ...
দল্লী-রাজহরার ঠিকাদারী শ্রমিকদের মধ্যে বড়ো অংশটাই ছিলেন আদিবাসী, অল্প কিছু অ-আদিবাসী। আদিবাসীরা মদ খাওয়াকে অপরাধ বলে মনে করেন না। জঙ্গল থেকে মহুয়া কুড়িয়ে এনে তাঁরা ঘরে মদ চোলাই করেন। পারিবারিক যে কোনও অনুষ্ঠান, যে কোনও সামাজিক উৎসবের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ মদ্যপান। স্ত্রী-পুরুষ, বয়স্ক-অল্পবয়স্ক—উৎসবে সবাই মদ খাবেন—এটাই রীতি।
এ রীতি ভেঙ্গে গিয়েছিল দল্লী-রাজহরায়। ’৭৭-এ ছত্তিশগড় মাইন্স শ্রমিক সংঘ ইউনিয়ন গঠনের আগে যেখানে প্রায় ৯৫% শ্রমিক মদের নেশা করতেন, সেই হার নেমে এসেছিল ৫%-এরও কমে। অথচ শংকর গ ... ...
Pahli Awaz--First Cry a film directed by Ajay TG.
This film tells story of a remarkable hospital in the mining township of Dalli-Rajhara, Chhattisgarh known as Shaheed (Martyrs') Hospital. The hospital was paid for and built by the voluntary labour of daily-wage contract miners and successfully provides modern health care to workers, tribals and the poor. The film reveals the history of the making and key turning points of the hospital and the experiences of the doctors and worker-paramedics ... ...
স্বাস্থ্য মানে কেবল চিকিৎসা-পরিষেবা নয়, কিন্তু রোগীর চিকিৎসা করে এমন একজন চিকিৎসক হিসাবে আমি পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসা-পরিষেবা, বিশেষত সরকারী চিকিৎসা পরিষেবাতেই আমার আলোচনা সীমিত রাখব।
২০১১-এ নতুন সরকার গঠনের পর থেকে স্বাস্থ্য দপ্তরের পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রীর হাতে, তাই সরকারী নীতি-নির্ধারণে স্বাস্থ্য যথেষ্ট গুরুত্ব পাবে, এমনটাই আশা করা যায়।
•২০১২-র ফেব্রুয়ারী মাসে সরকারী ডাক্তারদের জেনেরিক নামে ওষুধ লিখতে নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রথম পর্যায়ে জেনেরিক প্রেসক্রিপশন শুরু করা হয় ... ...
পরিবারে বিভিন্ন প্রজন্মের ছয়জন সচ্ছল ডাক্তারকে দেখে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলাম...। মেডিকাল কলেজে ঢোকার পর মেডিকাল কলেজ ডেমোক্র্যাটিক স্টুডেন্টস’ অ্যাসোশিয়েসন নতুন স্বপ্ন দেখতে শেখালো...ডা নর্মান বেথুন, ডা দ্বারকানাথ কোটনিসের মতো ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন...। কিন্তু কোথায় যাব? কোথায় স্পেনের জনগণের ফ্রাংকো-বিরোধী আন্দোলন, কোথায় চীনের মুক্তিযুদ্ধ? নিকারাগুয়ায় সান্দিনিস্তা সরকারের এক প্রতিনিধির কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলাম নিকারাগুয়ায় কাজ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করে, তার উত্তর এলো না। অবশেষে ডাক্তারী পাস ... ...
(যে সব অভিনব আন্দোলনের জন্য দল্লী-রাজহরা শ্রমিক আন্দোলনের দিল্লী হয়ে উঠেছিল সেগুলোর অন্যতম—লোহাখনির মেশিনীকরণ-বিরোধী আন্দোলন। এই আন্দোলনের তীব্র শেষ পর্যায়ে আমি ছিলাম সেখানে। প্রতি সপ্তাহে রিপোর্ট লিখেছি মতপ্রকাশ পত্রিকার জন্য। বড় লেখা লিখেছি অনীক-এ। অনুষ্টুপ-এর সংঘর্ষ ও নির্মাণ, অভিমুখ পত্রিকার শঙ্কর গুহ নিয়োগী স্মরণ সংখ্যায় মেশিনীকরণ-বিরোধী আন্দোলন নিয়ে লেখাদুটো আমারই। আবার ১৯৯৪-এ ছত্তিশগড় মাইন্স শ্রমিক সংঘের নিয়োগী-পরবর্তী নেতৃত্ব আন্দোলনের সঙ্গে বেইমানি করে যখন দল্লী খনিকে পূর্ণ মেশিনীকরণের ... ...
রবিবার আমি সাধারণত লেখা আপলোড করি। এই রবিবার থাকব যদুগোড়ায়। তাই আজ।
(এই ধারাবাহিকের একমাত্র তাত্ত্বিক রচনা—প্রকাশিত হয়েছিল ‘বিসংবাদ’ পত্রিকার প্রথম বর্ষ সপ্তম সংখ্যা, সেপ্টেম্বর—অক্টোবর, ১৯৯৫-এ।)
২৮শে সেপ্টেম্বর, ১৯৯১-এর আগে ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশের বাইরে কম মানুষই শংকর গুহ নিয়োগীর নাম শুনেছিলেন। এই সময় নিয়োগীর নামের সাথে আরও দুটো শব্দের সঙ্গে পরিচিত হলেন দেশের মানুষ—‘সংঘর্ষ ও নির্মাণ’।
সংঘর্ষ ও নির্মাণ ব্যাপারটা কি? সংঘর্ষ না হয় বোঝা গেল—সংগ্রাম? কিন্তু, নির্মাণ? ... ...