ম্যাল রোডে ঢোকার মুখেই, দা ওয়ান অ্যান্ড ওনলি - কেভেন্টারস। ছাদে বসে দার্জিলিং চা - ফলোড বাই দা গাবদা পর্ক প্ল্যাটার - অনেকদিনের টার্গেট। খুশীর স্বাস্থ্য বাতিক - সে চিকেন প্ল্যাটার। যতটা ক্যালোরি বার্ণ হল প্রায় ততটাই আবার ভরে গেল। মেঘের আবার ডেজার্টও চাই - কাজেই তার জন্য আইসক্রিম। আমি আইসক্রিমের ভক্ত নই, খুশী তো খাবেই না এসব (সিঙ্গল কান্না)। কেভ'স এ আর কোন ডেজার্ট ও নাই। ... ...
তৈরী হয়ে বেরিয়ে পড়া গেল ঘন্টা খানেকের মধ্যেই। রুমের বাইরে পা রাখতেই বোঝা গেল, ইট'স কুল। কুল মানে একেবারে মহাকুল।বিশ্বকুল। বাপ্রে কুল। একে তো ছয় ডিগ্রি, তায় আবার কুয়াশা। কনকনে ঠান্ডা হাওয়া। কয়েক মিনিটেই জ্যাকেট, সোয়েটার, উলিকটের গেঞ্জি ভেদ করে কাঁপিয়ে দিল একদম। ... ...
জেনেশুনেও ভুলে মেরেছি যে কোভিডকালের পর গাড়িতে বেডরোল দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা কম্বল, চাদর, বালিশ কিছুই আনিনি। এদিকে তিনজনেরই আপার বার্থ। কান্নার অজস্র ইমোজি। যত রাত বাড়ছে, তত কাঁপুনি বাড়ছে। ব্যাগ থেকে শীতের জ্যাকেট, মোজা, সব বের করে পরে ফেলেও সারারাত থরহরি কম্প। তিনজনেরই প্রায় নির্ঘুম রাত। ভোর পাঁচটা না বাজতেই সব উঠে পড়েছি। দাঁত ফাত মেজে চাতকের অপেক্ষা, কখন লোয়ার বার্থের ঘুম ভাঙবে, একটু নীচে গিয়ে বসা যাবে ... ...
ব্যাপার হচ্ছে এসব জানা বোঝা সত্ত্বেও আমার একটা দার্জিলিং প্রীতি জোরদার রয়ে গেছে। তার কারণ, ছোটবেলায় দুই বছর বাবার কর্মসূত্রে ছিলাম এই শহরে। গভর্নমেন্ট হাই স্কুলে ফাইভ, সিক্স। খাদের ধারের রেলিং টা, টুং সোনাদা ঘুম পেরিয়ে। স্মৃতির শহর - বিস্মৃতিরও শহর - কারণ সেই ১৯৮৩ তে দার্জিলিং ছাড়ার পর ফিরে এসেছিলাম ২০০৫ এ - বাইশ বছর পর। তারপর আবার কেটে গেছে পনেরো বছর। হয়তো আরো যেত। কিন্তু আমার পুত্র বাদ সাধিল। ... ...
নন্দীগ্রামে কী হয়েছিল, সবাই জানি। কেন হয়েছিল, সেটা আমার কাছে আজও পরিষ্কার নয়। অধিকারীদের খাস তালুকে সিপিএমের হার্মাদ বাহিনী এতবড় তাণ্ডব চালিয়েছিল কোন মোটিভে? জমি দখল? অথচ তার আগেই সরকারী ঘোষণা হয়ে গেছে যে নন্দীগ্রামে কেমিকাল হাব হচ্ছে না, সেজ হচ্ছে না? লক্ষণ- শিশিরের যুদ্ধ? ওইরকম সময়ে, যখন গোটা বাংলা সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের দিকে তাকিয়ে টানটান বসে আছে? আমার অঙ্ক মিলছে না। এটা রাজনৈতিক হারাকিরি, সেটা বোঝার জন্য থিঙ্ক ট্যাঙ্ক লাগার কথা নয়। কিছুই পাবার ছিল না, হারাবার ছিল অনেক (যদি সবটা তখনো না বোঝাও গিয়ে থাকে) - তবুও এই কাণ্ড? এই স্কেলে? ... ...
সম্ভবতঃ এটি সরকারী সাবতাজ প্ল্যানের অঙ্গ হিসাবেই সাধিত হয়েছে - কিন্তু তা হয়ে থাকলে সেটা এ বিরাট ব্যাকফায়ার করেছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। প্রজাতন্ত্র দিবসে সাধারণ প্রজারা গিয়ে আইন অমান্য করে লালকেল্লায় নিজেদের ঝান্ডা উড়িয়েছে জাতীয় পতাকার নীচে - বিবিধের মাঝে মিলন মহানের এর চেয়ে বড় প্রতীকি বিজ্ঞাপন আর কী হতে পারত সেদিন? ... ...
ছকটা সহজ, সেই কারণেই এই ছক ভাঙাটা খুব কঠিন। বিজেপি কোন গোপন তাস আর খেলছে না। তারা সরাসরি আমাদের ভিতরের লুকানো ফ্যাসিস্ট প্রবৃত্তিকে বাইরে আসার আহ্বান জানাচ্ছে। আমাদের ভিতরের শয়তানকে জল বাতাস দিয়ে জাগিয়ে তুলছে। শক্ত হয়ে দাঁড়াতে পারব আমরা? লড়াইটা কিন্তু আমাদের নিজেদের সঙ্গেই ... ...
এক গলা জলে দাঁড়িয়ে দুটি ছেলেমেয়ে দেখছে, এক কোমর জলে দাঁড়ানো স্কুলশিক্ষক জাতীয় পতাকা ওড়াচ্ছেন - আমার কাছে ওই বাচ্চাদুটি আমার দেশ - আর মাথার ওপরে পতপত করা ওই পতাকাটা রাষ্ট্র। মাটির থেকে দূরে, নিজ গর্বে উড্ডীয়মান, নীচের দেশটিই তাকে তুলে ধরেছে কিন্তু তার সঙ্গে সম্পর্ক বিরহিত। তাকে "ভালবেসে" কিছু করা যায় না কারণ তাকে ভালবাসা যায় না। ... ...
“কারণ এলিয়েনেশন এই পৃথিবীতেই হয়!” এবার নিজের জায়গা ছেড়ে জানালার কাছে গিয়ে দাঁড়ায় অপরাজিতা, “আপনি যেমন করেছেন আপনার গপ্পে…”
“আমি এলিয়েনেশন করেছি?”
“করেননি? রাজপুত্র থেকে কেরাণীপুত্রের বৃত্তের বাইরে সবাইকে?” ... ...
জীবনে সেই প্রথম চক্ষুকর্ণের বিবাদ ভঞ্জন করে "কম্পিউটার" দেখা হল - ইনটেল 386 - সাদা রঙের পিসি - টিভির মত দেখতে সাদা দামড়া মনিটার, ইয়া গাব্বা সাইজের সি পি ইউ, সেটাও সাদা, তাতে ছোট এবং বড় দুই রকমের ফ্লপি ডিস্কের স্লট। বলা বাহুল্য এসব ডিটেইল কিছুই তখন জানতাম না - ওটাকে ফ্লপি বলে বা ওই ঢোকানোর জায়গাটাকে স্লট বলে, সেটুকুও না। সিডি ব্যপারটার নামই শুনব আরো প্রায় বছরখানেক পরে ... ...