(ছাত্রজীবনে বরিস পলেভয়ের লেখা সোভিয়েত বৈমানিক আলেক্সেই মেরেসিয়েভের জীবনী ‘মানুষের মতো মানুষ’ পড়ে অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। আর কর্মজীবনে একজন মানুষের মতো মানুষ শংকর গুহ নিয়োগীর সান্নিধ্যে ছিলাম পাঁচটা বছর।
শংকর গুহ নিয়োগীর জীবন ও সংগ্রাম নিয়ে এ লেখা ঝাড়গ্রামের ‘সুবর্ণরেখা’ প্রকাশ করে ১৯৯৬-এর ২৮শে সেপ্টেম্বর, নিয়োগী শহীদ হওয়ার ঠিক পাঁচ বছর পর।)
আই এস সি পাশ করে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ পেয়েও সে সুযোগকে প্রত্যাখান করে শ্রমিকের জীবন বেছে নেওয়া, কেননা সে সুযোগের পেছনে সুপারিশ ছিল!
শ্রমিক ... ...
আজ বিকেলে জামিন পেলেন ডা সমীর বিশ্বাস। মাওবাদীদের সহায়তার কথিত অভিযোগে তিনি বন্দী ছিলেন ৯০ দিন। পুলিশ আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করতে পারেনি এখনও।
সমীরদার জামিনের আবেদনের যখন শুনানি চলছে, সে সময় এম সি ডি এস এ-র ডাকে মেডিকাল কলেজের জেনেরাল লেকচার থিয়েটারে অনুষ্ঠিত হল তাঁর মুক্তির দাবীতে এক সভা। সভায় বক্তা ছিলেন আসানসোল সিভিল রাইটস এসোশিয়েসনের পক্ষে ডা মুক্তেশ ঘোষ, ডা সঞ্জীব মুখার্জী, এ পি ডি আর-এর তাপস চক্রবর্তী, বন্দীমুক্তি কমিটির ছোটন দাস, শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগের ডা সৌম্যকান্তি ... ...
আগামী কাল, ১২ই মার্চ, ২০১৪ বেলা ৩টায় মেডিকাল কলেজ ডেমোক্র্যাটিক স্টুডেন্টস' এসোশিয়েসনের ডাকে ডা সমীর বিশ্বাসের মুক্তির দাবীতে সভা মেডি্কাল কলেজ জেনেরাল লেকচার থিয়েটারে।
বক্তাঃ ডা সঞ্জীব মুখার্জী, ডা মুক্তেশ ঘোষ, সুজাত ভদ্র।
সভায় যোগ দিন।
১৭ই জানুয়ারী স্টুডেন্টস' হলে অনুষ্ঠিত গণ-কনভেনশনের আগে প্রকাশিত প্রচার-পত্র নীচে দেওয়া হলঃ
ডা সমীর বিশ্বাসের মুক্তি চাই,
অসুস্থ মানুষকে চিকিৎসা করার অধিকারের পুনঃপ্রতিষ্ঠা চাই।
ডা বিনায়ক সেনের পর ডা সমীর বিশ্বাস—মাওবাদীদে ... ...
{কিছুটা মজা করে, কিছুটা অভিমানে বলতাম—আমি নিয়োগীর ‘বি’-টীমের লোক। ‘এ’-টীমে ছিলেন বিনায়কদা (সেন), আশীষদা (কুমার কুন্ডু)। শৈবালদা (জানা), চঞ্চলাদি (সমাজদার) আর আমি হাসপাতাল সামলাতাম। ওঁরা করতেন সংগঠনের কাজ—বিনায়কদা পূর্ণত, আশীষদা অংশত। ১৯৮৬-র ডিসেম্বরে আমি শহীদ হাসপাতালে যোগ দেওয়ার পারিবারিক দায়িত্ব সামলাতে আশীষদা বিদায় নিলেন, কয়েক মাস পর চঞ্চলাদি। ১৯৮৭-এর শেষদিকে দল্লী-রাজহরা ছাড়লেন বিনায়কদা-ইলিনাদি। হাসপাতালে ডাক্তার বলতে রইলাম আমি আর শৈবালদা। ছত্তিশগড় মুক্তি মোর্চার সঙ্গে যুক্ত বুদ্ধিজীবী বলতে ... ...
লেখাটা প্রকাশিত হবে সুন্দরবন শ্রমজীবী হাসপাতালের পত্রিকা 'লোকগাথা'-এ।
১৯৮৩-র ৩রা জুন ছত্তিশগড়ের লোহা-খনি শহর দল্লী-রাজহরার ঠিকাদারী শ্রমিকরা এক হাসপাতাল শুরু করেন। তাঁদের ইউনিয়নের নাম—ছত্তিশগড় মাইন্স শ্রমিক সংঘ, নেতা শংকর গুহ নিয়োগী। ১৯৭৭-এ ইউনিয়নের জন্মের পর ঘর সারানোর ভাতার দাবীতে লড়াই করছিলেন শ্রমিকরা, ২-৩ জুন আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর গুলি চালালে শহীদ হন এগারো জন—তাঁদের মধ্যে একজন মহিলা, একজন শিশু। সেই শহীদদের স্মৃতিতে হাসপাতালের নাম হল শহীদ হাসপাতাল।
শহীদ হাসপাতাল থেকে অনু ... ...
পয়সা না থাকলে ডাক্তার দেখানো যাবে না-ওষুধ কেনা যাবে না। ডাক্তার অপ্রয়োজনীয় ওষুধ লিখলেও আপনি কিনতে বাধ্য। প্রয়োজনীয় ওষুধটা জেনেরিক বা কমদামী ব্র্যান্ডে পাওয়া গেলেও ডাক্তার লিখবেন দামী ব্র্যান্ড। যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে বলা হল আপনাকে, সেগুলো করাতে হবে ডাক্তারের বলে দেওয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে, হয়ত সেখান থেকে ডাক্তার কাটমানি পাবেন। স্পেশালিস্টকে রেফার করার ক্ষেত্রেও অনেকক্ষেত্রে কাটমানির গল্প।
মনে হয় না অবস্থাটা বদলানো দরকার?
যদি এমন হতো যে, অসুস্থ হলে আপনি কোন ডাক্তারকে দেখাবেন ... ...
বিশ্বের বৃহত্তম শিল্প-দুর্ঘটনার শহর ভোপাল—২৮ বছর আগে যেখানে ডাক্তার হিসেবে, জনস্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলাম। না, শেষ অবধি টিঁকে থাকতে পারিনি।
প্রথম যাওয়া ১৯৮৫-র ২রা জুলাই, জ্যোতির্ময় সমাজদারের সঙ্গে। ঠিক এক মাস আগে ৩রা জুন ইউনিয়ন কার্বাইড প্রাঙ্গণে ‘গণ-হাসপাতাল’-এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপণ করেছিল জনস্বাস্থ্য সমিতি। গ্যাসপীড়িতদের দুটি সংগঠন—জাহরিলী গ্যাস কান্ড সংঘর্ষ মোর্চা, নাগরিক রাহত আউর পুনর্বাস কমিটি, বোম্বের ট্রেড ইউনিয়নগুলির ট্রেড ইউনিয়ন রিলিফ ফান্ড এবং ইউনিয়ন কার্বাই ... ...
এই লেখার ইংরেজী অনুবাদ রয়েছে
১৯৯৮-এ আমি, অমিতাভ আর সুমিত ভাবলাম এবার একটা সংগঠন বানানো দরকার, সেই সংগঠন-শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ সোসাইটি হিসেবে রেজিস্টার্ড হয় ১৯৯৯-এর ডিসেম্বরে।
আমি ১৯৮৩-তে ডাক্তারী পাশ করে ইন্টার্নশিপ-হাউসস্টাফশিপ শেষ করে, ১৯৮৫-তে কয়েক মাস ভূপালে কাটাই গ্যাসপীড়িতদের স্বাস্থ্য-আন্দোলনে, ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৪ অবধি ছত্তিশগড়ের শ্রমিক-স্বাস্থ্য আন্দোলন ও শহীদ হাসপাতালে কাজ করার পর, ১৯৯৫ থেকে পশ্চিমবংগের হাওড়া জেলার চেঙ্গাইলে কানোরিয়া জুট মিলের সংগ্রামী শ্রম ... ...
১৯৭৯-এর শেষার্ধে মেডিকাল কলেজ ছাত্র সংসদ ও সেই সময় ছাত্র সংসদে আসীন মেডিকাল কলেজ ডেমোক্রাটিক স্টুডেন্টস’ অ্যাসোশিয়েসন-এর উদ্যোগে হাসপাতালে এক অনুসন্ধান চালানো হয়। দেখা যায়- হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে সিনিয়র অফিসার অন ডিউটি-র পদ সাতটা, তার মধ্যে তিনটে পদ খালি। হাউসস্টাফদের ওপর বিরাট কাজের চাপ থাকা সত্ত্বেও তাদের দিয়ে জোর করে জুনিয়র অফিসার অন ডিউটি-র কাজ করানো হয়। গত এক মাস ধরে ইসিজি মেশিন খারাপ, হার্টের রোগীদের চিকিৎসা না করে পাঠাতে হয়েছে অন্য হাসপাতালে, রাস্তায় মারা গেছেন কিছুজন। ... ...
২০০৮-এর ১লা এপ্রিল দারিদ্রসীমার নীচে থাকা মানুষদের জন্য ভারত সরকার রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা যোজনা বা RSBY নামে এক স্বাস্থ্যবিমা চালু করেছেন। অন্য স্বাস্থ্যবিমায় যার নামে বিমা তাকে প্রিমিয়াম দিতে হয়। এই বিমায় কিন্তু সরকার সেই ‘প্রিমিয়াম’ দিয়ে দেন, ও গরীব মানুষ বিনামূল্যে একটা নির্দিষ্ট মূল্যমান অবধি অনেক চিকিৎসা সরকারি-বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানেই পেতে পারেন। কিন্তু গরীব মানুষ কি জানেন তাঁর কি পাওয়ার কথা? যা পাওয়ার কথা তা তিনি পাচ্ছেন কি?
•রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা যোজনা কাদের জন্য?