গোলান পাহাড় ঃ
আরব ইস্রায়েলের কুরুক্ষেত্র
গোলান পাহাড় খুব বড় একটা কিছু মালভূমি নয়। ম্যাপ দেখলে দেখবেন মাত্র সাড়ে চারশো বর্গ মাইলের মতন। খুব চওড়া যেখানে সেখানে সাতাশ মাইল আর দৈর্ঘ্যে সবচে বেশী ৪৫ মাইল। সবথেকে উঁচু যায়গা ১৭০০ ফীট। তবে এই উপত্যকার সেই অর্থে কোনো নিদৃষ্ট সীমান্ত নেই - তাই আয়তনের রকমফের আছে।চারিদিকে উষর সমতলের মাঝে একটা আখাম্বা - যাকে বলে টেবল টপ মাউন্টেইন।আসলে পাহাড় কিছু নয়, টিলা বলাই ভালো। ইংরাজীতে তাই সব সময়েই এই অঞ্চলকে গোলান হাইট বলে। গোলান হিল নয়।
তবে এটি য ... ...
১৯৪৫,ফেব্রুয়ারী মাস –
যুদ্ধ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। ফেব্রুয়ারী মাস।আর তিন মাস পরেই ইওরোপে যুদ্ধের পালা সাংগ হবে। যা কিছু উৎসাহ আর উদ্দীপনা, তা শুধু ঐ রাশানদের মধ্যেই। তারা লড়াই করে ছিনিয়ে নেবে বার্লিন। রক্তঋণ শোধ করবে। স্বজন হারানোর শ্মশানে শেষ লড়াইটা তাদেরই।
তুলনায় মিত্রপক্ষের সেনাদের একটু ঢিলে ঢালা ভাব। তারা জানেন বার্লিন দখল তাদের লক্ষ্য নয়। ওটা রাশানরাই করবে। কিছু কিছু যায়গায় জার্মান সেনাদের মরনপণ লড়াই দেখে তারা খুবই অবাক। কী করতে এরা এখনো লড়ে যাচ্ছেন ?
তবে হিটলার যে ... ...
অতলান্তিকের যুদ্ধ
********************************
৩ সেপ্টেম্বর,১৯৩৯, সকাল এগারোটা। বলা যেতে পারে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হলো। ব্রিটেইন আর ফ্রান্স, দুই দেশই একসাথে জর্মানীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করলেন।
আর সেই ঘোষনার ঠিক আট ঘন্টা পরেই প্রথম সাবমেরিন আক্রমন ঘটলো। পরিষ্কার নিষেধ থাকা স্বত্তেও এক জার্মান ইউ বোট এক ব্রিটীশ যাত্রীবাহী জাহাজ "এথেনিয়া"কে টর্পেডো মেরে ডুবিয়ে দিলো। জার্মানীর মাথা হেঁট। যুদ্ধ তখনো বিবৃতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ। আর তারই মধ্যে প্রথম আক্রমনই এক প্যা ... ...
হলদিঘাটের লড়াই
শুরুর আগে
***************************
বেশী পিছিয়ে গেলে তো মুষ্কিল। ঐ ১৫৬৮ সাল। প্রায় পুরো রাজপুতেরাই আকবরের বশ্যতা স্বীকার করে নিয়েছে। আর সেই বিশ্ববন্দিত কমিক্সের বিখ্যাত গলের মতন শুধু মেওয়ার হাতের মুঠোর বাইরে। আর এক ভয়ানক লড়াইএ চিতোর দুর্গের পতনের পর মেওয়ারের রাজা উদয় সিং,আশ্রয় নিলেন পাশের জংগলে। বছর চারেক পর তার মৃত্যু হলে,তার ছেলে রানা প্রতাপ ইন এক্সাইল মেওয়ারের রাজা হলেন ।
প্রথমটায় কিন্তু রানা প্রতাপ, আকবরের সাথে টক্কর নিতে যান নি।তার নিজের ছেলে অম ... ...
জয়দ্রথ বধ - কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের আঠারো দিনের মধ্যে চতুর্দশ দিনের লড়াইটাই ছিলো সব থেকে বেশে রক্তক্ষয়ী। আর দিন না বলে, দিন আর রাত বলাই ভালো - কেনো না লক্ষ পিদিম জ্বালিয়ে চাঁদের আলোয় রাত্রিবেলাতেও যুদ্ধ হয়েছিলো।সেই একেবারে শেষ রাতে ঘন্টাখানেকের বিশ্রাম।তারপর পরের দিন আবার সকাল থেকেই শুরু। ... ...
আলমগীরের শেষ চিঠি
ঔরঙ্গজীবকে নিয়ে ভারতীয় উপমহাদেশের অনেক ঐতিহাসিকেরা খুব স্পষ্ট দুটো শিবিরে বিভক্ত। খারাপ এবং ভালো। সাদা এবং কালো। আসলে একটা স্ট্যান্স অন্যটার প্রতিক্রিয়া।
তাহলে সত্যিটা কি ? কোথাও একটা। যে জন আছে মাঝখানে। কিছুটা সাদা, অনেকটা কালো, আর কিছু ধুসর। জীবন যেরকম হয় আর কি। আমার আপনার মেজোমামা বা আপিসের বস - আদ্যন্ত খারাপ বা ভালো কেউ নয়। পাঁচমিশালী।
সে সময়কার রাজা রাজরাদের মতন খুব অল্প বয়স থেকেই লড়ে যেতে হয়েছিলো ঔরঙ্গজীবকে । বাবা সাজাহান তার বাবা জাহাঙ্গীরের ... ...
আপনেরা কেউই আমার নিবারন মামুকে চেনেন না। তা চিনবেনই বা কী করে। আমার মামু গাঁয়ে গঞ্জে থাকেন,সাতে পাঁচে নেই, এমন কি ছয়েও নেই। সাড়ে তিন, পৌনে আড়াই, চার লক্ষ চুয়ান্ন ........... নাঃ, আমার মামু কোথাও নেই।
সারাদিন মাঠে ঘাটে নিজের মনেই ফ্যা ফ্যা করে ঘুড়ে বেড়িয়ে মামুর আমার দিন দিব্বি কেটে যায়।
মামুর খালি একটাই সখ - সেটা হচ্ছে বিখ্যাত হবার। সেই ছোটোবেলার থেকেই আমার মামু একটু অন্য রকমের। ঠাকুমাকে জাপ্টে ধরে ঘুমাতে যান আমার মামু, তখন আমার মামুর বয়স কুল্লে সাত। তো ঘুমের মধ্যে মামুর কী খিল খিল ... ...
বেগুন লাল দিশি
************************************
ধেৎ। বেগুন আবার কুকুরের নাম হয় না কি?
কেনো হবে না শুনি? কবিতায় পড়ো নি "কোনো গুন নেই তার নামটি বেগুন"? পুরো নাম অবশ্য বেগুন লাল দিশি। ভালো নাম বেগুন কেনো সে তো কবিতাতেই পষ্টো বলে দেওয়া আছে। অন্য কুকুরেরা কতো জানে,প্রাজ্ঞ হয়। তোচনের বিরাট আইরীশ সেটার হ্যান্ডশেক করে, ঘনাইএর কুকুরটা তো ডোবারম্যান। খাবার সামনে থাকলে নাক উঁচু করে বসে থাকে। যতোক্ষন খাবার আদেশ না আসছে ততক্ষন খায় না। বড়জোর জুল জুল করে একটু তাকায়। ঘনাই "ইট' বল্লেই অ ... ...
বিচার
বিচারক বল্লেন " তাহলে আপনার নিজের ছেলেও স্বীকার করলো? " তাঁর গলায় শ্লেষ ছিলো। আর আসন্ন বিজয়ের গৌরব।
আমি চুপ করে থাকি। বলবার মতন কথা তো কতই রয়েছে। কোথার থেকে শুরু করবো। কোথায় শেষ।
বড় ছেলে স্থির দাঁড়িয়ে। সে আমার চোখে চোখ রাখতে দ্বিধা করছে না। উন্নত শির। সা জোয়ান। মরদের বাচ্চা আমার ছেলে।
বিচারক আমার বড় ছেলের দিকে তাকায়। " আর কিছু ? আর কিছু বলার আছে?"
" না "। আমার দিকে ফিরে তাকায় বড় ছেলে। প্রত্যয়ী কন্ঠে বলে " বাবা, তুমি মেনে নেও। এতে তোমারই ভালো হব ... ...
ইমফল ও কোহিমা - মহত্তম/বিস্মৃত লড়াই
শুরুর আগে
*********************
শুরু করতে হবে আই এন এ নিয়ে। মিলিটারী দিক দিয়ে এর ভুমিকা সামান্য হলেও কোহিমা ইমফল অভিযান নেওয়ার সিদ্ধান্তে এর অবস্থান গুরুত্বপুর্ণ ছিলো।
উত্তর আফ্রিকায় এবং পরে ইতালীতে ভারতীয় সেনারা ভালই লড়াই দিয়েছিলো। যদিও কিছু ঐতিহাসিকরা নেহাৎই ফু ফু করে উড়িয়ে দেন। জাপানীদের চোখে কিন্তু ভারতীয় সেনারা একেবারেই পাতে দেবার যোগ্য ছিলো না। কেনো না দক্ষিন পুর্ব এশিয়ায় ভারতীয় সেনাদের কীর্ত্তি কলাপ খুবই লজ্জার ছি