আমি অন্ধকারে ভয় পাই, প্রতিদিন। একটা ছুরি শান দেওয়া হতে থাকে আলোয়, অথচ জানি সেটা অন্ধকারের অপেক্ষায় থাকে ব্যবহৃত হবে বলে।আমার অপার্থিব সব অনুভূতি হরমোন সঞ্জাত। চাদর গায়ে চড়িয়ে এক বৃদ্ধ আসেন, আর নিরাবরণা এক নারী। দুপুরের রোদ বাড়তে থাকে। পোস্ট বক্স নাম্বার নোট ... ...
১ .মানুষের অনেক কথা বলার ছিল,ফিসফিসিয়ে বলে মাটিকে,চলার পথে ঝুঁকে থাকাগাছের পাতায় হাত বুলিয়ে সে কথা বলে ।দীর্ঘ অন্ধকারে ফুটপাথ জুড়েঅনবরত সেই সব কথারা কানাকানি করে,মানুষের অনেক কথা শোনার ছিল ।২. গল্প বলা আর গল্প শোনাএইভাবে সভ্যতা এগিয়ে যায় ।তোমার নগ্নতায় মুগ্ধ হয়ে,বারবার চোখ তুলিও লজ্জায় নামিয়ে নিই ।বিরক্ত হয়ে চলে যাই,আকণ্ঠ লোভে ফিরে আসি আবার ।তারপর সারারাত শিশির পড়ে ,আমাদের ক্ষমায় ভিজিয়ে দেয় তোমাকে । ... ...
ভেবে দেখলাম এই সময় বসে একটা কবিতা আমাকে লিখতেই হবে। লেখা সহজও।মার্ডার মিষ্ট্রি সঙ্গে আগাথা ক্রিষ্টি :দৈব ছন্দযোগ যেন। দিন শেষ রাত শেষ, দাদু ভোর ভোর উঠে লিখলেন তাসের দেশ ... অল রেডি সেমি কবিতা। তারপর? তারপর তারপর তারপর ... এখন লেখা এত দরকার তবু কেন যে আর কিছু মাথায় আসছে না, অন্যসময় কত ভুলভাল আইডিয়া থাকে । বাইরে বৃষ্টি শুরু হল .. আমিও কবিতার কিউ পেলাম।ব্যাঙ্গালোরে বৃষ্টি যেন আমার ফিউচার প্রেমিকার দৃষ্টি ||আহা ... এই গিটকিরি সহযোগে, আদি ও ওরিজিনাল ছাগল-ছাপ ছন্দে আমার কবিতা সমাপ্ত হল। অথ : নীলানন্দ দাশ ( জীবন বাবুর বংশোদ্ভূত) ... ...
...... ... ...
দরজা খটখটিয়ে বলি , চাই ৷ "কী চাই কেন চাই কীভাবে চাই ?" "রক্ত চাই মাংস চাই, চলতি ফিরতি অন্ধকারে, ভাত ডাল আলুসেদ্ধ পেলেও চলে ৷" তখন সব দরজা বন্ধ হয়ে যায়, খুব বৃষ্টি হয় , আকাশ বাতাস সব ভিজিয়ে ! রাস্তায় রাস্তায় তখন আমার অসংখ্য ছায়া, যত আলো তত ছায়া । হেঁটে হেঁটে সেই ভদ্রলোক ক্রমশ চলে যান গভীরতার দেশে ৷ আমি তখন ভিসার ফটো তুলে বেড়াই, আজ এই ভিসা কাল অন্যটা, আর মাঝে লম্বাটে ছায়াগুলি, বৃষ্টির মেঘগুলি ...আমি ভিজে যাই, পালাই পালাই করি , ভিজে ভিজে আবার ... ... ...
মেঘ পেরিয়ে রোদ পেরিয়েআলো ও অন্ধকার পেরিয়ে( বুঝেছি, সব পেরিয়ে । এগিয়ে যা ... )এখন অনিশ্চয়তার দেশ ।( হুঁ, দ্যাশ )তবু সবুজ পাতার ছায়া সর্বাঙ্গে নিয়েবসে থাকি( রোদ মেঘ ছায়া ... সবুজ পাতা .. এই শহরে বসে এসব অবাস্তব জিনিস পত্তর লিখিস কেন র্যা ? )অন্তত, পাতাটি সবুজ, কল্পনা করি !( খোয়াব দেখিস বল ৷ )আমাদের মুখ আছে মুখোশ আছেমুখ আর মুখোশের মাঝে আছে দু ইঞ্চি কল্পনার অবসর ।( তোর আছে , আমার সেরেফ মুখ আছে ,সেই মুখ দিয়ে খাওয়া দাওয়া করে প্রেমসে ঘুম দিইপাতা ফাতা নিয়ে বেফালতু ভাবনার দরকারই পড়ে না ৷ ) ... ...
ভূবনদা, সিস্টেম থেকে নোটিফিকেশন এসেছে, তুমি একটি লুজার আমিও বড় বেশি তোমার মতআমার আশু সতর্ক হওয়া দরকার ।আমি কেটে উড়িয়ে দিতে পারিনিবসে বসে ভেবেছি, ভেবে ভেবে মন খারাপ করেছিলাভ কিছু হয়নি ;আবার নোটিফিকেশন এসে চলেছে ।একটা সময়ের পর আমিও তুমি হয়ে যাব তোমার মত ব্যর্থ হয়ে যাব.. এইসব ঠারেঠোরে লেখা | তবু দেখ , আমার করার কিছু নেই,একেবারেই কিছু .. নেই ।তবু দেখ ভূবনদা ,তোমাকে এইসব জানানোর উপায় নেই । ... ...
আজ বাসে একটা মেয়ে উঠেছিল । আমার পাশের সিটে বসেছিল । খুব রোগা । অপুষ্ট কঙ্কালসার চেহারা । কোলে একটা বাচ্চা । বাসটা এয়ারপোর্টের, এ সি । হাওড়া থেকে ভাড়া পঞ্চাশ । মেয়েটা ২৫ বা ৩০ টাকা বের করে দিচ্ছিল । সম্ভবত সেটা নন্-এসি বাসের ভাড়া, মেয়েটাকে বাড়ির কেউ বলে দিয়েছিল । মাঝবয়েসী ভুড়িওয়ালা সৌখিন চেহারার কন্ডাক্টর ভাড়াটা দেখে প্রথমে খুব তাচ্ছিল্যের একটা ভাব আনলেন, তারপর বললেও হয় না বললেও হয় এরকম একটা দার্শনিকতার সুরে বললেন, " কি ? ভাড়া আছে না নেই ? না থাকলে ছেড়ে দাও দিতে হবে না !...বাচ্চাটার মুখটা তুলে মোছাও .. কি নোংরা লাগছে .. ... ...
এক বন্ধুর সঙ্গে দেখে এলাম "অপরাজিত" ৷ একটা দৃশ্যে আমার চোখ ভিজে গেল, সেটা হরিহরের ঘরে ফেরার পরের দৃশ্য ৷ পথের পাঁচালী দেখতে গিয়েও ওইখানেই চোখ ভেজে , এখানেও ভিজল দূর্গার কথা ভেবেই ৷ প্রাণের প্রাচূর্যে উচ্ছল এক কিশোরী যাকে মেনে নিতে হয়েছে, জীবনে আনন্দের সব উপকরনে তার অধিকার নেই I তার ভাই অপুকে তার মা বেশী ভালবাসে , অন্যায়ভাবে বেশী ভালবাসে । পরের ঘরে চুরি করতে গিয়ে সে প্রায় ধরা পড়ে যায় .. একঘর লোকের সামনে ৷ বড় নির্মমভাবে তাকে মেরেছিলেন বিভূতিভূষন I আমি পথের পাঁচালী পড়েছিলাম ক্লাস সেভেনে ৷ সেই জন্যেই হয়ত পথের পাঁচালী সিনেমাটা কোনোদিনই আমার পুরোটা ... ...
ভেবে দেখলে বলার অনেক কিছু ছিল । বিলম্বিত সাত সুর কিংবা দরদী চোখের চাহনি । সব ছেড়ে চলে যেতে পারি , এমন আশ্বাসও দিতে পারতাম ৷প্রশ্নটা সময় নিয়ে , কতটুকুই বা নিজেকে ভালবাসা যায় অন্যের বেঁধে দেওয়া সময়ে ? পৃথিবীতে যথেষ্ট সময় নেই আজকাল ৷সিনেমা হল থেকে বেরিয়ে তর্ক করি ৷ আসলে তর্কটা আগে থেকেই ছিল ... ...