নৌকো আসে দলে দলে, রত্নচূর্ণ মাখানৌকো মানেই জল থাকে বুঝি? এখন কিছু নেইনা থাকা জলচ্ছায়া খোলের ভিতর রাখা হাত ডুবোও, হাতে ধরে তোলোযত পুরোনো নদী, হেমন্তকাল এলে সরু নৌকো আসে দলে দলে, অন্ধকার হোলো আমরা যে সব দিন, যে সব আলুথালুকথাবিন্দু ভাসিয়েছিলাম, তাদের মনে করেফিরে আসছে নৌকোঋতু, ঘামছে বাম তালু উপোস গেলো, চালবাতাসা ভিজছে ঘরে ঘরেকি করে ভেজে? দারুণ দাবানলে বৃদ্ধ তরুপুড়ে যাচ্ছে, খালি হচ্ছে মেঘের চবুতরা নৌকো আসে দলে দলে, অথচ বুকে খরাজল জল বলে দিনান্তে নিশি ডাকছে তো ডাকছেই ... ...
তুমি যদি জলে পড়ে যাও তবেজল ফুলে ওঠে বাজারের থলির মতনঅথবা জুতো শুঁকতে পছন্দ করা লালু কুকুরেরউল্টো ছায়ায় ভাসমান পাইখানা করে নীল ফড়িং এভাবে কিছুই হয় নাছোট ঘর বেঁটে হয়ে যায়পৃথিবীর গা থেকে ঘন ধামাকায়ধোঁয়া ওড়ে নিয়মিতউদ্গীরনের ন্যায় পুরু নতুন বাজারখেলা শুরু হয় যেইদিনতোমার পিত্তি গাঢ় হয়পা থেকে বিচি হয়ে নাইকুন্ডলিতে উঠে আসেআশ্চর্য এ আই শিরশির ফোন বাজলে বুঝতে পারোপ্রতিটি রিংটোন আসলে গুহ্য সংকেতজলের নিচে আছে আসল চৌবাচ্চা জলাধার স্টোরেজ ফুরোয় না তুমিযতই পর্দা কচলাও ... ...
খুব পুরোনো পুকুরঘাট, নদীর তরলতাতোমার সঙ্গে কথা হচ্ছে, কথা হচ্ছে, কথাপিঠের গায়ে মাছির মতো, শব্দ এসে বসেকোথায় যাবো, যাচ্ছি, যাই, অনন্ত অভ্যাসে? ... ...
তুমি কি নক্ষত্রকথা আমাকে জানাবে? / বিষ আকাশের নীচে, কমব্যাট-ফেটিগ সবুজ / বন্দুক যা জানে না তা, আমাকে জানাবে? / কালো পিঁপড়ের মতো, মানুষেরা ধুয়ে যায় জলে / কালো শরীরের মতো, মানুষেরা পুড়ে ফেটে যায় ... ...
বড় হয়ে গেছ, ছোট হয়ে গেছ, একে একে গেছ ঝরে / আমি সেই ভাঙনের বীজ, ডাঙায় ঢেলেছি / জলে মিশে আছে অটুট রাত্রি, চাঁদ তারা ঘুম মাটি / সার সার মুখ শুয়ে আছে নদী ... ...
কত শব্দ অন্তরালে ঝরে যাচ্ছে বৃথা / কত শব্দ দূর দেয়ালে মরে যাচ্ছে বৃথা / আগের মত হয় না কিছু, নদীর মরা সোঁতা ... ...
তোমাকে পাখি ভাবছিলাম অলীক কোলাহলে / চোখের কোন গাছ ছিলো না, রাত্রি হবে বলে / সমস্ত মুখ ঝাপসা হলো, নির্বাপিত, বাসি / এবার ফিরে যাবার টানে বাস্তু বানভাসি ... ...
গুঁড়ি দিয়ে মেঘ নামে, ওঠে আর নামে / আমি সব ভুলে যাই, কোথায় কি ছিলো / কোথায় তেঁতুলরঙ পাঁচিলবাগানে / সবুজ শ্যাওলা আর ঘাস জন্মেছে ... ...
আমি কি ফিরাবো তবে, জনহীন / আমাদের বনলতা, মসে ছাওয়া দিন / বাড়ির ছাদে জমাট, মেঘ বসে থাকা ... ...